Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Wednesday, July 30, 2014

শক্তিশালী ব্রেইনের জন্য!

ব্রেইন আমাদের দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকিন্তু কখনো কি আমরা ব্রেইনের যত্ন নেয়ার কথা ভেবেছি! শুধু অভিযোগ করে যাই "আমার মাথা ঠিকমত কাজ করছে না বা আজকাল আমার কিছুই মনে থাকে না!" অন্যান্য অঙ্গের মত ব্রেইনেরও খাবার, পুষ্টি ও এর্নাজী দরকার। টোটাল বডি এর্নাজীর ২০% ব্রেইন ব্যবহার করে। তাই আমাদের দৈনিক খাবার মেনু এমন হওয়া উচিত,যেন তা ব্রেইনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও এর্নাজী সরবরাহ করতে পারে


যে খাবারগুলো রাখতে হবে ডায়েট চার্টেঃ

১. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- যা ব্রেইন গঠন করবেঃ
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা ব্রেইনের মেরামত ও নতুন কোষ তৈরীতে সাহায্য করে। এছাড়া এগুলো আপনাকে নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী করে এবং মানসিক ভাবে ভাল অনুভব করায়। oleic acid ব্রেইনকে ক্ষীপ্র করে। Olive oil, peanut oil থেকে oleic acid পাওয়া যায়

২. Antioxidants- যা ব্রেইনকে সুরক্ষা দেয়ঃ
খাবারে Antioxidants এর অভাব থাকলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতি শক্তি কমতে থাকে। তাই Antioxidants সমৃদ্ধ খাবারের দিকে নজর দিতে হবেAntioxidants এর ভাল উৎস হল-সবুজ চা, ব্লুবেরী ও অন্যান্য বেরী জাতীয় ফল, লাল আঙ্গুর, টমেটোগাজর,রসুনপালং শাক, whole grains ও সয়া দ্রব্য

৩. ভিটামিন ও মিনারেলস- ব্রেইনের গঠনকারী ইটঃ
সুনির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন ও মিনারেলস ব্রেইনের গঠনে খুবই প্রয়োজন। ব্রেইনের কাজের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হল- Vitamins C, B12, and B6 মিনারেলসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল-ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এসব ভিটামিন ও মিনারেলস নিয়মিত খেতে হবে

৪. আশঁ - যা ফুয়েল সরবরাহকে নিয়ন্ত্রণ করেঃ
ব্রেইন শুধুমাত্র গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারেরক্তে এই গ্লুকোজের সরবরাহ ধীর ও নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে আশঁ জাতীয় খাবারভাল পরিমানে আশঁ পাওয়া যাবেঃ শুষ্ক ফল (কিছমিছ, খেজুরকালো কিছমিছ), বিভিন্ন রকমের শাকসবজিআস্ত ফল (যেমন-আপেলকমলানাসপতি) whole wheat grains (বার্লি, লাল চালবিভিন্ন ধরনের whole wheat pastas and cereals)

৫. পানি- আদ্র রাখবে ব্রেইনকেঃ
সামান্য পানিশূন্যতাও মানসিক শক্তি কমিয়ে দেয় এবং স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব ফেলেতাই কমপক্ষে ২.৫-৩ লিটার পানি দৈনিক পান করা উচিত

৬. কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজনঃ
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার serotonin এর লেভেল ঠিক রাখে। ঘুমের ধরন, মুড, appetite ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্রেইনের কোষ serotonin ব্যবহার করে এছাড়া অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রণ করে serotoninতাই জটিল কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে

৭. প্রয়োজন নিয়মিত গ্লুকোজ সরবরাহঃ
আগেই বলেছি,ব্রেইন শুধুমাত্র গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। আর নিয়মিত খাবার গ্রহন না করলে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমে যায়এর ফলে মেমোরী লস হতে পারেতাই দেখা যায় যারা সকালের নাস্তা বাদ দেয় তাদের স্মৃতি শক্তি দূর্বল হয়। খুব তাড়াতাড়ি গ্লুকোজ পাওয়া যাবে আস্ত ফল থেকে, যেমন- আপেল, কমলা, আঙ্গুর ইত্যাদি

৮. (Fava Beans) সীমঃ
সীমে খুব ভাল পরিমানে আছে levodopa , আমাদের ব্রেইন levodopa কে dopamine এ রুপান্তরিত করেdopamine ব্রেইনের বিশেষ কিছু কাজ (concentration, motivation movement) নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন হয়

৯. Herbs:
Herbs খাবারের স্বাদই শুধু বাড়ায় না, আমাদের চিন্তা-ভাবনায়ও বিশেষ প্রভাব ফেলে। Herbs স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, মানসিক দক্ষতা বাড়ায়মনোযগ বাড়ায়মানসিক সতর্কতা বাড়ায়

১০. মাছঃ
প্রোটিন হল neurotransmitters তৈরীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানআর neurotransmitters mental performance এর জন্য প্রয়োজন। মাছ হল প্রোটিনের খুবই ভাল উৎসএছাড়া মাছে আছে essential oils যা ব্রেইনের বর্ধনসুরক্ষা ও কাজের জন্য প্রয়োজন

১১. বিভিন্ন রকমের বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারফুলকপি, ব্রোকলীবাধাকপি ব্রেইনের জন্য খুবই উপকারী

ব্রেইনের যত্ন নিনপুষ্টি যোগান, ব্রেইনও আপনাকে দরকারের সময় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ।]


Saturday, July 19, 2014

বুক জ্বালা ও এসিডিটিঃ কি খাবেন, কি খাবেন না!

সারাদিনের সিয়াম সাধনার পরে আহারে এক আধটু ভালোমন্দ সকলেই খেতে চাইরসনা বিলাসের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে এসিডিটি, বুক জ্বালাআজ আমাদের আলোচ্য বিষয় সেইসব খাবার নিয়ে যেগুলো বুক জ্বালা বৃদ্ধি ও হ্রাসে সহায়ক


 সারাদিনের অনাহারের পরে এমনিতেই পেটে থাকেনা কোন খাবারভাজাপোড়া খাবার বাড়িয়ে দিবে এসিডিটির পরিমাণভাজাপোড়া খাবারে রয়েছে অতিরিক্ত তেল বা চর্বিচর্বি যুক্ত খাবার হজম হতে সময় নেয় বেশি, পাকস্থলিতে থাকে অধিক সময়, তাই এসিডের কাজ ও চলে বেশিক্ষন ধরেযার ফলাফল বুক জ্বালা করা
 সাইট্রাস বা লেবু জাতীয় ফলের বিশেষ দুর্নাম রয়েছে বুকজ্বালার পেছনেখালি পেটে সরাসরি টক কিছু খুব একটা বেশি খাওয়া ঠিক হবে নালেবুতে রয়েছে এসিড যা পাকস্থলির এসিডের সাথে মিলে এসিডিটির কস্ট বাড়িয়ে দেবে
 বাঙালীরা এমনিতেই মশলা যুক্ত খাবার পছন্দ করিএসিডিটির হাত থেকে বাঁচতে না হয় পেয়াজ, রসুন, মরিচ বা গোল মরিচ একটু কমই খাইএসব মশলা বুক জ্বালা বাড়ানোর মহৌষধ!
 টমেটোকে হয়তো বেশীরভাগ মানুষই নিরাপদ বলে মনে করবো কিন্তু দেখা গেছে টমেটো সস বা অধিক টমেটো সহকারে রান্না খাবারে বুক জ্বালা বাড়তে পারে
 আমিষের মাঝে অল্প চর্বি যুক্ত খাবারই উত্তমমাছ খেতে পারেন ইচ্ছামতোমুরগী বেছে নিতে পারেনসমস্যা সেই গরু-খাসিতেএগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হোন
 মিস্টি পছন্দ? চকোলেট খেতে ভালবাসেন? সতর্ক হতে হবে এর ব্যাপারেচকোলেটেরও রয়েছে বদনাম এসিডিটির পেছনে
 খেতে হবে কম করেএকবারে বেশি করে খেলে এসিডিটির প্রকোপ বাড়েরাতে ঘুমাতে যাবার বেশ কয়েক ঘন্টা আগেই সেরে ফেলুন নৈশভোজনা হলে ঘুমের মাঝে বুক জ্বালা করতে পারে
 কফি; শক্তি জোগাতে যার জুড়ি নেইসাবধান থাকতে হবে কফির ক্ষেত্রেওদিনে এক বা দুকাপ কফিতে মানা নেই তবে এর বেশি পান করলে এসিডিটি আপনাকে নাও ছাড়তে পারে
 কার্বোনেটেড বেভারেজ বা কোল্ড ড্রিঙ্ক, খুবই খারাপ পানীয়বুক জ্বালাপোড়া করার পেছনে অতিরিক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস পানের অবদান অনেক
 খুব কম বাংলাদেশিই মদ পান করেনযারা করে থাকেন তারা মনে রাখবেন মদ পানে এসিডিটি বাড়ে

জেনে নেবো এসিডিটির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় বন্ধু খাবারের নামঃ
 সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন চিড়া, দই, ওটমিলফল খেতে পারেন পাকা কলা, ফুটি বা বাঙ্গিচিড়া, মুড়ি এগুলোরও রয়েছে এসিড শুষে নেওয়ার ভালো ক্ষমতা
 তেল, ভাজি পোড়া যত পারুন কম খানবাইরের সুস্বাদু খাবার দেখলেই খেতে চাওয়ার ইচ্ছা সামলাতে হবে
 আমিষের মাঝে ডিম বা মাছে কোন সমস্যা নেইমুরগী নিয়েও কোন আপত্তি করেন না ডাক্তাররাগরু-খাসী খেতে হলে যথাসম্ভব তেল বাদ দিয়ে রান্না করতে হবে
 সালাদ যদি হয় টমেটো বা পিয়াজ ছাড়া তবে খেতে পারেন যত খুশি
 ভেষজ উদ্ভিদ ঘৃতকুমারী আমাদের খুব পরিচিত একটি নামঘৃতকুমারীর শরবতের সুনাম রয়েছে বুকের জ্বালা পোড়া কমাতে
 পানীয়ের মাঝে নিতে পারেন লেবু বা কমলা ছাড়া আপেল জুস, ম্যাঙ্গো জুস, বেরি জুসকোল্ড ড্রিঙ্কস বাদ দিয়ে পান করুন পানি বা হারবাল চা
 ফুলকপি, পাতাকপি, আলু, ব্রুকলি, শালগম, লাউ, কুমড়া, সবুজ বিভিন্ন শাক প্রভৃতি সবুজ সবজি খেতে পারেন নির্দ্বিধায়
 দুধে সমস্যা না থাকলেও দুগ্ধজাত মাখন, ঘি নিয়ে ঝামেলা আছেমাখন, ঘি, পনির খেলে হিসাব রেখে খাবেন

খুব সাধারণ প্রতিদিনের সমস্যা এই এসিডিটি বা বুক জ্বালাখাবার গ্রহনে একটু সচেতন হলেই আমরা পারি অনেকটা মুক্ত থাকতে এই সমস্যা থেকেনিজেকেই খেয়াল করতে হবে কোন বিশেষ খাবারে বুক জ্বালা বাড়ছে, সেসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবেযখন তখন এন্টাসিড চোষার প্রয়োজন ও তেমন একটা পড়বে না আর

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ।]


চোখের পাতা কেন লাফায়?

চোখের পাতা কেন লাফায়, জানেন কিছুএটা ৭টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ!


ডান চোখের পাতা লাফালে নাকি সুসংবাদ আসে, আর বাম চোখেরটা লাফানো খারাপ’ - এমনটাই হয়তো শুনে এসেছেন দাদী-নানীর মুখেকিন্তু প্রকৃত অর্থে এমনটা কখনোই নয়আর চোখের পাতা লাফানোর সময় আপনি হয়তো ভাবেন আপনার সামনের কেউ সেটা দেখতে পাচ্ছে - আদতে চোখের পাতা এতো দ্রুত লাফায় যে সেটা কেউ বুঝতেই পারে না আপনি ছাড়া

চোখের পাতা লাফানোর এই রোগটির নাম ডাক্তারী ভাষায় Myokymiaপেশীর সংকোচনের কারণেই চোখের পাতা লাফায়দুই একবার হঠাৎ চোখের পাতা লাফালে চিন্তার কিছু নেইকিন্তু সেটা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় এবং আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিতকেননা তা হতে আসলে ৭টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ

চোখের পাতা কী কী কারণে লাফায় আসুন তা জেনে নেই
 মানসিক চাপঃ
আমরা যখন কঠিন মানসিক চাপের ভেতর দিয়ে যাই তখন শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখায়চোখের পাতা লাফানো মানসিক চাপের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে

 ক্লান্তিঃ
পরিমিত ঘুমের অভাব বা অন্য কোন কারণে ক্লান্তি থেকেও চোখের পাতা লাফানো শুরু হতে পারেঘুমের অভাবে চোখের পাতা লাফালে পরিমিত ঘুম হলেই সেরে যাবে

 দৃষ্টি সমস্যাঃ
দৃষ্টিগত কোন সমস্যা থাকলে চোখের উপর চাপ পড়তে পারেটিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের স্ক্রীনের আলোও চোখের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারেআর এই সব সমস্যা থেকে চোখের পাতা লাফানো উপসর্গ দেখা দিতে পারে

 ক্যাফিন এবং এ্যালকোহলঃ
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন ক্যাফিন এবং এ্যালকোহল অতিরিক্ত সেবনে চোখের পাতা লাফাতে পারেতাই ক্যাফিন এবং এ্যালকোহলের ব্যবহার মাত্রা কমিয়ে এনে এ সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়া সম্ভব

 চোখের শুষ্কতাঃ
কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলে, অতিরিক্ত এ্যালকোহলের প্রভাবে, চোখে কন্ট্যাক্ট ল্যান্স ঠিকমতো না বসলে কিংবা বয়সজনিত কারণে চোখ শুকিয়ে যেতে পারেচোখের শুষ্কতা চোখের পাতা লাফানোর জন্য দায়ী বলে চক্ষু চিকিৎসকরা মনে করেন

 পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাঃ
কিছু কিছু প্রতিবেদনে পুষ্টির ভারসাম্যহীনতাকে চোখের পাতা লাফানোর একটি কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছেবিশেষ করে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব জনিত কারণে এমনটি হতে পারে বলে দাবী করা হয়েছে

 এলার্জিঃ
যাদের চোখে এলার্জি আছে, তারা চোখ চুলকায় বা হাত দিয়ে ঘষে; ফলে চোখ থেকে পানির সাথে কিছুটা হিস্টামিনও নির্গত হয়ধারণা করা হয় হিস্টামিন চোখের পাতা লাফানোর জন্য দায়ী

চোখের পাতা লাফানোর উপর ভালো বা মন্দ সংবাদের কোনটিই জড়িত না থাকলেও যদি মাত্রাতিরিক্ত চোখের পাতা লাফায় তবে সেটি আপনাকে মন্দ সংবাদই দেবে যে - আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবেআর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলে সেটা অবশ্যই হবে সুসংবাদসুস্থ থাকুন

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ।]

Tuesday, July 15, 2014

মুরগী ছাড়া রাসায়নিক ডিম এখন বাংলাদেশে॥॥

মুরগী ছাড়া ডিম! ভাবছেন এতা কি করে সম্ভব?

হা সম্ভব, চীনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক ডিম এখন বাংলাদেশের বাজারে সয়লাব করেছে। অতএব ডিম কেনার আগে ভাল করে যাচাই করে কিনুন। চীনের অত্যন্ত ক্ষতিকারক রাসায়নিক ডিম এখন আমাদের বাংলাদেশে।




বেশ বহুদিন আগে আমি নিজে ডিম ভাজতে গিয়ে দেখি আশ্চর্য ভাবে ডিমটি পুরোপুরি শক্ত হয়ে আটকে গেল ঠিক প্লাস্টিক এর মত। এটা খেতেও ভিন্ন রকম ছিলো। তখনতো আর জানতে পারিনি যে এই অত্যন্ত ক্ষতিকারক রাসায়নিক ডিম কৃত্তিম ভাবে তৈরি। ব্যবসায়ী ভাইয়েরা আমাদের অন্তত সুস্থ ভাবে বাঁচতে দিন। অনেকে এটাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।

কিন্তু মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট মর্নিং নিউজ এজেন্সি সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়, ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সীমান্তের চোরা পথে চীন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হয়ে আসছে। যা দেখতে অবিকল হাঁস-মুরগির ডিমের মতো।

‘২০০৪ সাল থেকেই তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ডিম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য প্রকাশ হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ডিমে কোনো খাদ্যগুন ও প্রোটিন নেই। বরং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

কিভাবে তৈরি হয় কৃত্রিম ডিম ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত প্রস্তুত প্রনালীতে দেখা যায়, কুসুম ও সাদা অংশের সমন্বয়ে কৃত্রিম ডিম তৈরি করতে প্লাস্টিকের ছাঁচ ব্যবহৃত হয়। তবে তার আগে কুসুম তৈরি করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে।

সরাসরি ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ও কালারিং ডাই দিয়ে লাল বা গাঢ় হলুদ রংয়ের কুসুম তৈরি করা হয়। তার ওপর অতি পাতলা স্বচ্ছ রাসায়নিকের আবরণ তৈরি করা হয়।

যাতে কুসুম ও সাদা অংশ এক না হয়ে যায়। সাদা অংশ তৈরিতে ব্যবহার হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রিজিন জিলাটিন ও এলাম।

প্লাস্টিকের ছাঁচ ডিমের সাদা অংশ তৈরি করে তার মাঝখানে ডিমের কুসুম তৈরি করা হয়।

শেষ ধাপে ডিমের উপরের শক্ত খোলস তৈরিতে করা হয়। এর জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াক্স এর
মিশনখানে ব্যবহার করা হয় প্যারাফিন, বেনজয়িক এসিড, বেকিং পাউডার, ক্যালসিয়াম কার্বাইড।

সাদা অংশকে ওয়াক্সের দ্রবণে কিছুক্ষণ নাড়ানো চাড়ানো হয়। বাইরে থেকে স্বল্প তাপ প্রয়োগ করা হয়। এতেই তৈরি হয়ে যায় হুবহু ডিমের মতো দেখতে একটি বস্তু।

আসল ডিম থেকে নকল ডিম আলাদা করার উপায়ঃ

কৃত্রিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। অল্প চাপে ভেঙ্গে যায়।
এ ডিম সিদ্ধ করলে এর কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়। ভাঙ্গার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
কৃত্রিম ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড় এবং এর খোলস মসৃণ।

ইন্টারনেট- এর বিভিন্ন সাইট থেকে আরো জানা যায়চীনে তৈরী হওয়া এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম এক কথায় বিষাক্ত। কৃত্রিম ডিম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

দীর্ঘদিন এ ধরনের ডিম খেলে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফুসফুসের ক্যান্সারসহ জটিল রোগের কারণ।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, July 14, 2014

মাদকের ভয়াবহতা!

"একটি পাত্রে একটি ব্যাঙ নিয়ে তাতে পানি দিয়ে গরম করতে শুরু করুন। পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙটি তার শরীরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য করতে শুরু করবে। যতই বাড়বে ততোই পানির তাপমাত্রার সাথে নিজের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য করতে থাকবে।



ঠিক যখন পানি ফোটার তাপ মাত্রা সর্বোচ্চ পৌঁছবে তখন আর সে ওই তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে নিতে পারবে না।

ওই তাপমাত্রায় সে লাফ দিয়ে পাত্রের বাইরে আসার জন্য চেষ্টা করবে। কিন্তু সে তা আর পারবে না, কারণ সে তার সকল শক্তি পানির তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে নিতে ব্যয় করে ফেলেছে। এর খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাঙটি মারা যাবে।

ব্যাঙটি কেন মারা গেল?
অনেকেই উত্তর দিবেন পানির উচ্চ তাপমাত্রার জন্য।

কিন্তু ব্যাঙটি মারা গিয়েছে এই কারণে যে, কখন লাফ দিয়ে বের হতে হবে সঠিক সময়ে তার সিদ্ধান্তে না আসতে পারার জন্য।"

চাতুর্যপূণ, বিভ্রান্তিকর ও প্রচন্ড শক্তিশালী মাদক অনেকের অবস্তা এই ব্যাঙের মতো করে ফেলে।

মানুষ এবং ব্যাঙের রয়েছে অসাধারণ মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। শুরুতে মাদকাসক্তরা বুঝেই উটতে পাররনা মাদকের ভয়াবহতা।

তারা মনে করে সবকিছু ম্যানেজ করে মাদক নেওয়া অব্যাহত রাখতে পারবে কিন্তু একটা পর্য়ায়ে তা আর সম্ভব হয়ে উঠে না। ততদিনে মাদক তাদের শারীরিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে ফেলে।

এ্যাডিকশন চক্র থেকে বেরিয়ে আসার শক্তি ততদিনে তারা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের পরিণতি এই ব্যাঙের মতো হয়।

ভাইয়ারা আমার আপনাদেরকে সিদ্ধান্তে নিতে হবে কখন আপনারা মাদকের এই ভয়াল চক্র থকে বেরিয়ে আসবেন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, July 13, 2014

গরমে ঘামের সমস্যা!

তীব্র গরমে প্রতিটি মানুষের ঘাম হয়। কিন্ত ঘাম যদি হয় স্বাভাবিকের চাইতে বেশি তাহলে তো দুশ্চিন্তা হতে পারে। অনেকে আবার ঘাম নিয়ে দুশ্চিন্তা করে করে আরো বেশি ঘেমে যান।






দুশ্চিন্তা না করে সামান্য কিছু টিপস মেনে চললে ঘাম থেকে মুক্তি পাবেন সহজেঃ
বেশি বেশি দই খান। দইয়ে থাকা ল্যাকটোজ খাবার তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে, একই সঙ্গে গরমে শরীর সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম। গরমে ডাবের পানি খেলে শরীর সতেজ ও সজীব থাকে।
খুব বেশি ঘাম হলে লেবুর রস দিয়ে শরবত বানিয়ে খান। এছাড়া অল্প লিকার দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন।
শারিরীক দুর্বলতা থেকে ঘাম বেশি হতে পারে। শাকসবজি, ফলমূল, পানি, ভিটামিন ও অ্যান্টি-
অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খান।
তেল মসলা ও ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার কম খাবেন।
বার বার পানি দিয়ে ভালোমতো হাত, মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার গোসল করুন।
সুতি আরামদায়ক হালকা রঙের পোশাক পরুন।
চায়ের মধ্যকার টনিক এসিড প্রাকৃতিক ঘাম বিরোধী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। ২লিটার পানিতে ৪টি চায়ের প্যাকেট ভিজিয়ে রেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে ঘাম কম হবে।
বাসার বাইরে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন!

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, July 12, 2014

কাঠালের বীচির অজানা গুনঃ

কাঠালের বীচি এদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি আলুর রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে মুরগী/গরুর মাংসের তরকারী, শুটকী বা মিক্সড সব্জী/নিরামিষে ব্যবহৃত হয় এমনকি ঠিক আলুর চপের মতো করে চপ ও বানানো যায়। এছাড়া শুধুমাত্র কাঠালের বীচির ভর্তা অথবা বীচি ফ্রাই ও খুব জনপ্রিয় খাবার। জনপ্রিয় হলেও আমরা এই খাবারটার পুষ্টিগুন তেমন জানিনা।


প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠালের বীচিতে এনার্জি পাওয়া যায় প্রায় ৯৮ ক্যালোরি। এতে চর্বি আছে ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন আছে ৬.৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট আছে ৩৮.৪ গ্রাম এবং ফাইবার আছে ১.৫ গ্রাম.এছাড়াও কাঠালের বীচিতে আছে নানা ধরণের ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট।

প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠালের বীচিতে আছে – ক্যালসিয়াম ০.০৫ থেকে ০.৫৫ মিগ্রা, ফসফরাস ০.১৩ থেকে ০.২৩ মিগ্রা, আয়রন ০.০০২ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৪.০৭ গ্রাম, ভিটামিন এ ৫৪০ আন্তর্জাতিক ইউনিট, থায়ামিন ০.০৩ মিলিগ্রাম, নায়াসিন ৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন সি আছে ৮ থেকে ১০ মিলিগ্রাম।

কাঠালের বীচি ভিটামিন B1-এবং ভিটামিন B12 এরও ভাল উৎস। কাঠালের বীচিতে থাকা লিগন্যান, আইসোফ্ল্যাভোন, স্যাপোনিন কে বলা হয়, ফাইটোক্যামিকেলস যা নানা রোগ হতে সুরক্ষার জন্য দায়ী।

1. প্রথমত, এতে আছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং বার্ধক্যের দ্রুত আনয়ন রোধ করে।
2. দ্বিতীয়ত, ফাইবার ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট এর কারণে এর গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স কম। ফলে উচ্চ শক্তিদায়ক খাবার হলেও এতে ওজন বৃদ্ধি হবে কম। পশ্চিমা বিশ্বের ফুড সায়েন্টিস্ট রা তাই কাঠালের বীচির পাউডার কে ময়দা হিসেবে ব্যবহার করে কেক,বিস্কিট বানানোর লক্ষ্যে গবেষনা করে যাচ্ছেন।
3. এটি একটি উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার। গরীব দেশে যাদের মাছ, মাংস কম খাওয়া হয়, এই সিজনে কাঠালের বীচি হতে পারে তাদের আমিষের চাহিদা পূরণের অস্ত্র।
4. কাঠালের বীচির জীবানুনাশক গুনও আছে। এটি Escherichia coli ও Bacillus megaterium ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর এবং এতে থাকা বিশেষ উপাদান (Jacalin) এইডস রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নয়নে সফল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
5. এছাড়াও উচ্চ পটাশিয়াম এর কারণে এটি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রনে রাখে।

এছাড়াও বহু বছর ধরে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে কাঠালের বীচির যেসব গুন গুলো বলা হয়ে আসছে তা হলো-
1. এটি মদের প্রভাব কাটায়।
2. কাঠালের বীচি হলো aphrodisiac অর্থাৎ এটি যৌন আনন্দ বাড়ায়।
3. এটি টেনশন ও নার্ভাসনেস কাটায় বলেও ধারণা করা হয়।
4. হজমে সহায়তা করে।
5. কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, July 5, 2014

Sinusitis/ সাইনুসাইটিস!

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সুন্দর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন তথা নাককান ও গলায় এ তিন অঙ্গ মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর কোনো একটি রোগাক্রান্ত হলে সম্পূর্ণ মানবদেহই অসুস্থ হয়ে যায়। এ তিন অঙ্গের যেকোনো একটি অথবা একত্রে তিনটিই রোগাক্রান্ত হতে পারে। যখন কোনো মানুষের রক্তের Esonophil, Serum IGE-এর পরিমাণ বাড়তে থাকেতখন এমনিতেই ঠাণ্ডাহাঁচিসর্দি লেগে যায়। একপর্যায়ে নাকের ভেতরের মাংস ও টনসিল বৃদ্ধি হয় এবং সব শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয়। মুখমন্ডল ও মস্তিস্কের হাড়কে হাল্কা করার সুবিধার্তে এর ভেতরে কিছু বায়ুকুঠুরি আছে যার নাম সাইনাস (Sinus), আর ঠাণ্ডায় এর প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন এর জন্য যেই রোগটি হয় তাই আমাদের অতিপরিচিত সাইনুসাইটিস (Sinusitis)



সাইনাস সাধারণত চার প্রকারঃ
১। Maxillary
২। Frontal
৩। Ithomoidal
৪। Sphenoidal

সাধারণত Maxillary ও  Frontal সাইনাসে ইনফেকশন হয়ে থাকে। মাথার খুলির মধ্যে যে Sinus থাকেসেগুলোর বিশেষ ধরনের কাজ রয়েছে। এসব সাইনাস মাথার মধ্যে অবস্থিত বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুতে কাজ করে মাথাকে হালকা রাখে ও খুলির অঙ্গকে যাবতীয় সমস্যা থেকে রক্ষা করে। 

সাইনোসাইটিস দুই ধরনেরঃ 
একটি তীব্র প্রদাহযুক্ত অন্যটি ক্রনিক দীর্ঘ দিনের প্রদাহ, যা সাধারণত আস্তে আস্তে হয়ে থাকে। সাইনোসাইটিস সাধারণত ঠাণ্ডা ও ভেজা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, ধুলোবালু ও ধোঁয়াযুক্ত পরিবেশে বেশি দেখা যায়। এ ছাড়াও নাকে আঘাত পাওয়াএলার্জিনাকের হাড় বাকা হয়ে যাওয়ানাকে টিউমার হওয়া, নাকের ইনফেকশননাকের ভেতর ঝিল্লির প্রদাহ ও নাকের ভেতর মাংস বৃদ্ধি এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত নানাবিধ কারণে গুলো এ রোগের প্রকোপ অনেকগুনে বাড়িয়ে তোলে

উপসর্গঃ 
সাধারণত চোখের নিচ ও কপাল সহ মাথাব্যথামুখমণ্ডলমাথার পেছন দিকে ব্যথাসর্দিহাঁচিনাকে ব্যথা হওয়া এবং আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট অনুভব হলেই সাইনোসাইটিসের লক্ষণ বুঝতে হবে। নাক দিয়ে অবিরত পানি পরা বা হটাৎ করে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াটা সাইনুসাইটিস রোগের একদমই পরিচিত একটি উপসর্গ। সেই সাথে তীব্র-দীর্ঘ ও বিরক্তিকর মাথা ব্যথা তো রয়েছেইসাইনাস গুলোর ঠিক উপরেও একটা চাপা ব্যথা থাকে। মাথা ভারী ভারী লাগা ও সবকিছু খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া। অনেক সময় এর সাথে জরগা ম্যাজ ম্যাজ করা এবং মানসিক অবসাদ যোগ হয়ে রোগীকে ভীত করে তোলে। এ ক্ষেত্রে প্যাথলজিতে পিএনএস এক্স-রে করে আমরা সাইনাসের অবস্থান জানতে পারি। 

সাইনোসাইটিসের চিকিৎসাঃ 
সাধারণত বেশির ভাগ রোগীকেই দেখা যায় যারা সাইনাসে ভোগেন তাদের নাকের ভেতর মাংস বৃদ্ধি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে প্রথমে পলিপের চিকিৎসা দিয়ে নাকের দুটি ছিদ্র ব্লক অবস্থা থেকে মুক্ত করে সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা শুরু করা ভালো। এতে ভালো ফল আশা করা যায়। 

সাধারণত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সাইনোসাইটিসের তীব্র কষ্টকর পরিস্থিতি থেকে অতি অল্প সময়ে মধ্যে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

অন্য পদ্ধতিতে অপারেশন ও সিরিঞ্জ দিয়ে পানি ঢুকিয়ে ওয়াশের মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় বছরে কমপক্ষে দুইবার এ ধরনের চিকিৎসা নিতে হয়। এটি রোগীর জন্য দীর্ঘ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ চিকিৎসা।


রোগীদের করণীয়ঃ 
চিকিৎসার পাশাপাশি ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার ব্যবহার, অতিরিক্ত গরম, ধুলোবালু, অ্যালার্জি-জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।

অনেকের এই রোগটি বছরে কয়েকবার হয়ে থাকেবিশেষ করে যারা বিভিন্ন এলার্জিতে ভোগেনতাই এ রোগ এড়াতে ঐসব ব্যাপারে বিশেষ সাবধান হওয়া আবশ্যক। শুষ্কখোলামেলা এবং যথেষ্ট আলো বাতাস আছে এমন ঘরে বসবাস সাইনুসাইটিসের সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করে। সেই সাথে নাকে বাষ্পের ভাপ নেয়াপুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া এবং বিশ্রাম নেয়া এ রোগে বেশ আরাম দেয়


[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Wednesday, July 2, 2014

রমজানে কী কী খাওয়া উচিত?

রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস সকল মুসলমানদের জন্য। নিশ্চয়ই আপনি এবং আপনার পরিবার তৈরি হচ্ছেন এই মাস টিকে সম্মানের সাথে স্বাগতম জানাতে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের মাঝে প্রতিফলিত হবে একটি পবিত্র ছোঁয়া এবং সেই সাথে পরিবর্তন হবে খাবার এর ধরন এবং সময়সূচি। তাই আমরা আজকে জেনে নিবো রমজান সম্পর্কিত কিছু কথা যা না জানলেই না।



রমজান এমন একটা মাস যা আমাদের ঐতিহ্য এবং অভ্যাসকে সাজিয়ে দেয় তার নিজের মত করে। সেই সাথে যোগ হয় রাতের সেহেরি এবং সন্ধ্যার ইফতার যা রোজার মাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে উভয় ক্ষেত্রেই খেতে হবে এমন সব পুষ্টিকর খাবার যে খাবার গুলো সারাদিন রোজার পরে আপনাকে দিবে পরিপূর্ণ পুষ্টি এবং স্বাচ্ছন্দ্য। সেই সাথে আপনাকে সুস্থ রাখবে। পাশাপাশি দূর করতে হবে সেই সব খাদ্যাভ্যাস যা আপনাকে তৃষ্ণার্ত, ক্লান্ত অথবা তন্দ্রার রেশ এনে দেয়। চলুন জেনে নিই কী কী খাবার গ্রহণ ও কী কী খাবার বর্জন করা উচিত এই পবিত্র মাহে রমজান মাসে।

গ্রহণীয় খাবারঃ
প্রচুর পানি। ইফতার থেকে সেহেরি এর মাঝের সময় তাতে কমপক্ষে ৩ লিটার পানি গ্রহণ করুন। মানে ৮-১০ গ্লাস পানি প্রতিদিন।
প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমান যেন আপনি মানসিক এবং শারিরীক ভাবে বিশ্রাম পান। কম ঘুম হলে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন যা সারাদিন আপনাকে একটি ঝিমানোভাব এনে দিবে, এবং সাধারণ কজ কর্ম থেকে বিরত রাখবে।
ইফতারে একটি সুষম খাবার প্লেট সাজানোর চেষ্টা করুন যে প্লেটে থাকবে রমজানের মিষ্টি (খেঁজুর), ফল, ১টি ভারী খাবার, সালাদ, স্যুপ ইত্যাদি।
জটিল শর্করা গ্রহণ করুন সেহেরিতে। কারণ তা অনেক্ষণ সময় লাগে হজম হতে। ফলে সারাদিন ক্ষুধা অনুভব হতে দেয় না। জটিল শর্করার মধ্যে আছে বিভিন্ন শাক-সবজি, সিম, বাদামি চাল, গমের আটা, বীজ জাতীয় খাবার ইত্যাদি।
বাদাম গ্রহণ করা যেতে পারে যা আমিষের উন্নত একটি উৎস।
ইফতার শুরু করুন যাতে আঁশ, সুগার ও ভিটামিন/মিনারেলস আছে। ফলের রস এই ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট খাবার।
খাবারে সেই খাবারগুলো রাখুন যা সচরাচর খাওয়া হয় এবং সেহেরিতে এমন খাবার গুলো কে প্রাধান্য দিন যে খাবারগুলো আপনার সারা দিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে, তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা, আমিষ, এবং চর্বি গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন খাবার হওয়া চাই হালকা। খুব ভারী খাবার শরীরকে ভারী করে এবং পরবর্তী কালে ক্ষুধাও বেশি লাগে।
হাঁটা চলা বন্ধ করা যাবে না। একটু আধটু হাঁটা চলা করুন। তবে রোযা কালীন সময়ে ব্যায়াম বন্ধ রাখুন।

বর্জনীয় খাবারঃ
ভাজা পোড়া খাবার খাবেন না, কারণ সারাদিন রোজার পর এই সকল খাবার পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং বদ হজম হয়।
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না।
সেহেরিতে বা ইফতারিতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। খাবার নষ্ট করতে না চাইলে গরিব দের দিয়ে দিন, কিন্তু নষ্ট হবে ভেবে নিজে খেয়ে নিবেন না।
সেহেরিতে অতিমাত্রায় চা পান করবেন না। চা বেশি পান করলে বার বার টয়লেটে যেতে হতে পারে।
যাদের ইউরিক এসিড এর পরিমাণ বেশি বা আর্থ্রাইটিস আছে, অথবা কোন কারণে ডাল জাতীয় খাবার নিষিদ্ধ তারা ছোলা, বুট, বেসন, বড়া, হালিম একদমই খাবেন না। এই সকল খাবারের পরিবর্তে অন্য খাবার খান। এই ব্যাপারে পরবর্তী কালে আরও ১ টি পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করব।

রমজান মাসে একটু ভেবে চিনতে খাওয়া দাওয়া করলে কোন কষ্ট ছাড়াই সাওম পালন করা যাবে। তাই একটু সচেতন হই এবং সুস্থ ও সুন্দর ভাবে সাওম পালন করি। শুভ হোক মাহে রমজান।


[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ]