Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Showing posts with label স্বাস্থ্য টিপস. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য টিপস. Show all posts

Sunday, March 15, 2020

করোনা ভাইরাস (COVID-19) সম্পর্কিত সাধারন তথ্য

✅ করোনা ভাইরাস কী?
👉 করোনা ভাইরাস একটি জীবাণু যা মানুষের শরীরে জ্বর, কাশি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট (নিউমোনিয়া) তৈরী করে।
👉 বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। শুধুমাত্র কিছু কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
👉 বিশেষ করে যারা বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দূর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রভাব মারাত্বক হতে দেখা যায়।
👉 এই রোগটি অতিরিক্ত সংক্রামক, সুতরাং খুব দ্রুত এটি বিস্তার লাভ করে। তবে যথাযথ প্রতিরোধম‚লক ব্যবস্থা নিলে, এর বিস্তার অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।


✅ করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ কিভাবে ছড়ায়ঃ
👉 এই ভাইরাসটি মূলত মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়- আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি, কফ-থুথুর মাধ্যমে ও
আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি সংস্পর্শে আসলে।

✅ রোগের লক্ষণসমূহঃ
👉 ভাইরাস শরীরে ঢোকার পরে সংক্রমনের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ২-১৪ দিন সময় লাগে।
👉 বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ জ্বর।
👉 এছাড়া শুকনো কাশি হতে পারে।
👉 শ্বাসকষ্ট/ নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে।
👉 অন্যান্য অসুস্থতা (ডায়াবেটিস/ উচ্চ রক্তচাপ/ শ্বাসকষ্ট/ হৃদরোগ/ কিডনী রোগ/ ক্যান্সার ) থাকলে তা বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।

✅ কখন সন্দেহ করবেন আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন?
👉 আপনি যদি গত ১৪ দিনের মধ্যে-
- চীন বা অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে) ভ্রমণ করে থাকেন, অথবা
- কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকেন,
এবং আপনার যদি-
- জ্বর (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি)
- কাশি
- গলাব্যথা
- শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে দেরি না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাবেন, অথবা আইইডিসিআর হটলাইনে যোগাযোগ করবেন।

✅ সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ
প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুই প্রকার:
১) ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও
২) কাশির শিষ্টাচার

✬ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতাঃ
👉 সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া অথবা হ্যান্ড ''স্যানিটাইজার" ব্যবহার করে হাত পরিস্কার করা।
👉 অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করা।

✬ নিচের ধাপ অনুসরণ করে হাত ধুতে হবে -
👉 প্রথমে দুইহাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন
👉 এরপরে দুই হাতেই সাবান লাগিয়ে নিন
👉 একহাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালু ঘষুন
👉 এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের উল্টো পীঠ এবং আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ঘষুন
👉 দুই তালু আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ঘষুন
👉 এক হাত দিয়ে অন্য হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন
👉 ডান হাতের সব আঙ্গুল একসাথে অপর হাতের তালুতে ঘষুন
👉 এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধুয়ে একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে হাত মুছে ফেলুন

✬ কখন কখন হাত ধুতে হবে -
👉 নাক পরিষ্কার করা, হাঁচি বা কাশি দেয়ার পরে।
👉 অসুস্থ কাউকে সবো দেয়ার আগে ও পরে।
👉 খাবার তৈরির আগে ও পরে।
👉 খাবার খাওয়ার পূর্বে।
👉 প্রতিবার টয়লেট ব্যবহার করার পরে।
👉 হাতে দৃশ্যমান কোনো ময়লা থাকলে।
👉 ময়লা-আবর্জনা ধরার পরে।
👉 কোন প্রাণী হাত দিয়ে ধরলে বা প্রাণীর ময়লা পরিষ্কার করার পরে।

✬ কি দিয়ে হাত ধুতে হবে-
👉 সাবান-পানি হলো হাত ধোয়ার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়
👉 হাতের কাছে সাবান না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা যাবে

 কাশির শিষ্টাচার
👉 হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে অথবা কনুই ভাঁজ করে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
👉 ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত বিন এ ফেলুন।
👉 যেখানে সেখানে থুথু/কফ ফেলার অভ্যাস পরিহার করুন।
👉 সর্দি/কাশি বা জ্বর এ আক্রান্ত হলে ডিসপাজেবল মাস্ক পরিধান করুন ।
👉 ব্যবহৃত মাস্ক প্রতি ৮ ঘন্টা পরপর বা হাঁচি-কাশি দেবার পর মাস্ক ভিজে গেলে পরিবর্তন করুন।

✅ আপনার নিজের কোন লক্ষণ দেখা দিলে কি করবেন?
👉 জ্বর, হাঁচি-কাশি, মাথাব্যাথা হলে- আইইডিসিআর এ হটলাইনে যোগাযোগ করুন ও আপনার তথ্য অফিসে জানিয়ে দিন।
👉 পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তার সার্থে আপনি একা আলাদা একটি রুমে আলাদাভাবে অবস্থান করুন ও সবসময় মাস্ক পরিধান করুন।
👉 জরুরী কাজ ব্যতিত বাড়ীর বাইরে যাওয়া হতে বিরত থাকুন। জরুরী কাজে বাইরে গলেে মাস্ক পরিধান করুন।
👉 সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখুন।
👉 ব্যবহার করা কাপড়চোপড় ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং আসবাবপত্র জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন।

✅ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে কি করবেন?
👉 সংস্পর্শে আসার দিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত আলাদা একটি কক্ষে অবস্থান করুন ও সবসময় মাস্ক পরিধান করুন।
👉 জরুরী কাজ ব্যতিত বাড়ীর বাইরে যাওয়া হতে বিরত থাকুন, জরুরী কাজে বাইরে গলে মাস্ক পরিধান করুন।
👉 সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখুন।
👉 এই ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষন দেখা দিলে আইইডিসিআর এ হটলাইনে যোগাযোগ করুন ও আপনার অফিসে জানিয়ে দিন।
👉 ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা না দিলে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফেরত যেতে পারবেন।
👉 ব্যবহার করা কাপড়চোপড় ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং আসবাবপত্র জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন।

✅ অন্যান্য মাঠ কর্মীদের করণীয় -
👉 কর্মস্থলে মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলুন।
👉 প্রত্যেক সেবাগ্রহনকারীর সাথে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও কাশি শিষ্টাচার নিয়ে কথা বলুন।
👉 হাঁচি কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে বা বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন, ব্যবহার করা টিস্যু কোন ঢাকনা যুক্ত পাত্রে ফেলে দিন এবং হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
👉 হাঁচি-কাশি বা জ্বর আছে এমন ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখুন।
👉 অপরিষ্কার হাতে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ করবেন না।
👉 টাকা/ পয়সা হাত দিয়ে ধরার পরে সাবান-পানি দিয়ে বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ফেলুন।
👉 হাঁচি-কাশির সময় পোশাকে কিছু লাগলে বাসায় ফিরে তা অবশ্যই ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।

✅ অফিসের নিয়ম কানুনঃ
👉 অফিসে ঢোকার মূল প্রবেশপথে হাত ধোয়ার জন্য ’হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন ষ্টেশন স্থাপন করতে হবে।
👉 জীবাণুনাশক দিয়ে প্রতিদিন ডেস্ক, কম্পিউটার, টেলিফোন, দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং এবং খাবারের জায়গা পরিস্কার করুন।
👉 কারো সাথে হাত মিলানো বা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন।
👉 মিটিং রুম ও কমন স্পেসে, সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজিং ষ্টেশন স্থাপন করুন।
👉 সর্দি/কাশি বা জ্বর এ আক্রান্ত হলে ডিসপাজেবল মাস্ক পরিধান করুন, অন্যান্য কর্মীদের থেকে কমপেক্ষে এক মিটার দুরত্ব বজায় রেখে চলুন এবং ও আইইডিসিআর এ হটলাইনে যোগাযোগ করুন।
👉 টাকা-পয়সা ধরার পর হাত সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করুন।

✅ গাড়িতে করণীয়ঃ
👉 গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করার পূর্বে ও প্রতি ট্রিপের পর ড্রাইভিং হুইল, গিয়ার, ড্যাশবোর্ড, গাড়ির হাতল, কাঁচ এবং যেসব জায়গায় যাত্রী বসা বা উঠা-নামার সময় হাত দিয়ে স্পর্শ করা হয়, সেসকল স্থান অফিস থেকে সরবরাহকৃত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন।
👉 গাড়ি চালনার সময়ে হাঁচি বা কাশি আসলে টিস্যু বা হাতের কনুই এর ভাঁজ ব্যবহার করুন।
👉 এসি গাড়ির চালকগণ বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। কারণ বদ্ধ জায়গায় হাঁচি বা কাশি থেকে জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি থাকে।
👉 গাড়িতে পর্যাপ্ত টিস্যু বক্স রাখুন এবং যাত্রীদের হাতের নাগালে রাখুন।

✅ বাড়িতে করণীয়ঃ
👉 বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
👉 খাবার প্রস্তুত করার পুর্বে হাত ও কাঁচা খাবার ভাল করে ধুয়ে নিন।
👉 মাছ-মাংশ-ডিম ভাল করে রান্না করুন।
👉 অপ্রয়োজনে পশু-পাখি ধরবেন না, ধরলে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
👉 অসুস্থ ব্যক্তির পরিচর্যার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

✅ যারা রান্নার কাজে জড়তি তাদরে করণীয়ঃ
👉 খাবার প্রস্তুত করার পুর্বে এবং পরিবেশনের আগে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
👉 কাঁচা খাবার (শাক- সব্জি, ফল-মূল, মাছ-মাংশ) ভাল করে ধুয়ে নিন।
👉 মাছ-মাংশ-ডিম ভাল করে (সিদ্ধ) রান্না করুন । আধা-সিদ্ধ খাবার খাওয়া যাবে না।
👉 কোন প্রাণীর শ্লেষ্মা বা মল হাতে লাগলে দ্রুত সাবান পানি দিয়ে হাত পরিস্কার করুন।
👉 খাবার প্রস্তুত করার সময় উচ্ছিষ্ট জিনিস খোলা জায়গায় ফেলবেন না, ঢাকনাবদ্ধ পাত্রে উচ্ছিষ্ট রাখুন ও পরে ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থানে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন বিড়াল, কুকুর বা কাক যেন ময়লা না ছিটায়, রান্নাঘর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
👉 রান্না বা খাবার পরিবেশনের সময়ে হাঁচি বা কাশি না দেয়ার চেষ্টা করুন, প্রয়োজনবোধে মাস্ক ব্যবহার করুন

✅  কোভিড-১৯ এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে কি?
👉 আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ উপশমের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা এবং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা (সাপোর্টিভ কেয়ার) দিতে হবে।
👉 এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই।
👉 সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা বা ব্যবস্থা পরীক্ষাধীন, যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
👉  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এ সংক্রান্ত গবেষণা ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা করছে এবং প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার একটি গাইডলাইন দিয়েছে।

 অ্যান্টিবায়োটিক কি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী?
👉 অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে নয়, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।
👉 নোভেল করোনাভাইরাস এক ধরনের ভাইরাস বিধায় এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা উচিত নয়।
👉 তবে, যদি কেউ কোভিড-১৯ দিয়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যাকটেরিয়া থেকে সহ-সংক্রমণের জন্য (co-infection) অ্যান্টিবায়োটিক পেতে পারেন।

✅ কোয়ারান্টাইন কী? আইসোলেশন কী? কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন – এর মধ্যে পার্থক্য কী?
👉 কোয়ারান্টাইনঃ কোয়ারান্টাইন–এর মাধ্যমে সেই সকল সুস্থ ব্যক্তিদের, যারা কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে, অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়, তাদের গতিবিধি নয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ঐ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় কি না তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
👉 আইসোলেশনঃ আইসোলেশন–এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের, অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়।

👉 পার্থক্যঃ
√ কোয়ারান্টাইন–এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে এমন সুস্থ ব্যক্তিদের আলাদা রাখা হয় ও তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয় আইসোলেশন–এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের আলাদা রাখা হয়।
√ কোয়ারান্টাইন–এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণাধীন সুস্থ ব্যক্তিবর্গ ঐ নির্দিষ্ট সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় কি না তা দেখা হয়আইসোলেশন–এর মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তি হতে যেন সুস্থ ব্যক্তিরা আক্রান্ত না হয় এ জন্য অসুস্থ ব্যক্তিদের অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়।

                           আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Wednesday, January 9, 2019

বুকে ব্যথা মানেই হার্টের সমস্যা নয়!!

হার্টের সমস্যায় বুকে ব্যথা হলে যাকে আমরা অ্যানজিনা পেইন বলে থাকি, এটা বুকের ঠিক মাঝখানে অনুভূত হয়, বাম পাশে নয়। হার্টে রক্তস্বল্পতার কারণে যে ব্যথা হয়, তা বুকের মাঝখান থেকে কখনও কখনও গলা, চোয়াল, পিঠের পেছনে এবং বাম বাহুতে ছড়িয়ে পড়ে। রোগী সাধারণত বুকে ব্যথার চেয়ে অস্ব্বস্তি বা কেউ বুকটা চেপে ধরেছে— এ কথা বেশি বলে থাকেন। ব্যথার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হতে পারে।


হার্টের ব্যথার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, চলাফেরা, বিশেষ করে সিঁড়ি ভাঙতে গেলে ব্যথা তীব্রতর হতে থাকে এবং বিশ্রাম নিলে ব্যথা অনেকটা কমে আসে। টেনশন করলে কিংবা একবারে বেশি পরিমাণ খেলে, এমনকি ঠাণ্ডা বাতাসের কারণেও অনেকের এ ধরনের ব্যথা বাড়তে পারে। হার্টের সমস্যায় বুকে ব্যথার পাশাপাশি ঘাম হতে পারে, বমি বমি ভাব কিংবা বমি হতে পারে।

🏷 পেটের আলসার ও বুকে ব্যথাঃ
হাইপার এসিডিটি বা পেটের আলসার বা পেপটিক আলসারের সমস্যাকে সাধারণ মানুষ গ্যাস্ট্রিক বলে থাকেন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায়ও বুকে ব্যথা হতে পারে। এ ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝবরাবর নিচের দিকে অনুভূত হয়। রোগের তীব্রতায় অনেক সময় তা পুরো বুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভাজাপোড়া খেলে, খালি পেটে থাকলে এ ধরনের ব্যথা আরও বেড়ে যায়। রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের ওষুধ খেলে এ জাতীয় ব্যথা কমে যায়। হার্টের ব্যথা কখনও এসব ওষুধে ভালো হয় না।

🏷 বুকের হাড় ও মাংসের সমস্যা এবং বুক ব্যথাঃ
বুকের হাড়ে সমস্যা হলে বুকে ব্যথা হতে পারে। বুকের আর্থ্রাইটিস, হাড়ের ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে ব্যথা হয়। এ ছাড়া বুকের মাংসে আঘাত লাগলে বুকে ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের ব্যথা নড়াচড়া করলে বাড়ে এবং ব্যথানাশক ওষুধ খেলে কমে। যারা খেলাধুলা করেন, ড্রাইভিং এবং ভারী কাজ করা যাদের পেশা, তাদের বুকে ব্যথা হতে পারে। যারা হঠাৎ ব্যায়াম শুরু করেন, প্রাথমিক অবস্থায় তাদেরও বুকে ব্যথা হতে পারে। এসবই বুকের হাড় ও মাংসের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। বিশ্রাম নিলে, ব্যথার ওষুধ খেলে এ জাতীয় ব্যথা সেরে যায়।

🏷 খাদ্য নালির সমস্যা ও বুকে ব্যথাঃ
খাদ্য নালির সমস্যায়ও বুকে ব্যথা হতে পারে। যেমন- খাদ্য নালির ইনফেকশন, খাদ্য নালির স্পাজম ইত্যাদি কারণে বুকে ব্যথা হয়। চিত হয়ে শুয়ে থাকলে, খাওয়া ও পানি পান করার সময় এ ব্যথা বাড়তে পারে। এ ব্যথার ধরন অনেকটা রক্তস্বল্পতা জনিত বুকে ব্যথার মতোই এবং অনেক সময় ব্যায়াম করলে বেড়ে যেতে পারে।

🏷 শ্বাসনালির সমস্যা ও বুকে ব্যথাঃ
অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে শ্বাসনালির স্পাজম হতে পারে। এ রোগে বুকে চাপ চাপ লাগে এবং বিশ্রাম নিলে কমে যায়। হার্টে রক্তস্বল্পতা জনিত ব্যথার সঙ্গে এ ব্যথার অনেক মিল আছে। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যথার পাশাপাশি কাশি, বুকে চিঁ চিঁ আওয়াজ হতে পারে। ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন_ নিউমোনিয়া, ফুসফুসে পানি ঢোকা বা যক্ষ্মা ও ক্যান্সার ইত্যাদি রোগেও বুকে ব্যথা হতে পারে।

🏷 দুশ্চিন্তার সঙ্গী বুকে ব্যথাঃ
যারা প্রায়ই টেনশনে ভোগেন, তারা সব সময় বুকে একটা চাপ অনুভব করেন। বিশ্রাম নিলে, রাতে ভালো ঘুম হলে এ ব্যথা কিছুটা কমে আসে। তাই এ ধরনের সমস্যা এড়াতে যতদূর সম্ভব দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করা উচিত। টেনশনের সবচেয়ে খারাপ দিক হলো, আগে থেকে হার্টের সমস্যা থাকলে টেনশনে তা আরও বেড়ে যায়। ছোট বাচ্চারা নিঃসঙ্গ অবস্থা, অনিশ্চয়তা, ভীতি বোধ, স্কুলভীতি, পরীক্ষাভীতি এসব কারণে বুকে ব্যথার কথা বলে থাকে।

আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা এখন অনেক বেড়েছে। তবে অতি সচেতনতা অনেক সময় বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে। বুকে ব্যথাও এমন একটি বিষয়। অতি স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে সামান্য বুকে ব্যথায় আমরা বুঝে পাই না কী করব, কাকে দেখাব। মেডিসিন না হার্ট স্পেশালিস্ট, সবচেয়ে বড় স্পেশালিস্ট কে ইত্যাদি ভাবতে ভাবতে আমরা খেই হারিয়ে ফেলি। এরপর লোকজনের অনাবশ্যক বাড়তি উপদেশ তো আছেই। তবে বুকের ব্যথা একেবারে মামুলি বিষয় নয়। মাথায় পানি ঢেলে অথবা বুকে তেল মালিশ করে যে সমস্যাটি দূর হবে, তা-ও নয়। এ জন্য অযথা অস্থির না হয়ে সময় মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, August 21, 2018

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ও আমাদের সকলের করণীয়…

:) ঈদ-উল-আযহার দিন ১৩টা সুন্নত কাজ রয়েছেঃ-

১* ভোরে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা ।
২* মেসওয়াক করা ।
৩* গোছল করা ।
৪* যথা-সাধ্য উত্তম পোষাক পরা।
৫* শরী’আত সম্মতভাবে সাজ-সজ্জা করা ।
৬* সুগন্ধি বা খুশবু লাগানো ।
৭* ঈদ গাহে যাবার আগে কিছু না খাওয়া।
৮* আগে আগে ঈদগাহে যাওয়া।
৯* ঈদগাহেই ঈদের নামায পড়া।
১০* পায়ে হেটে ঈদগাহে যাওয়া।
১১* যাবার সময় তাকবীর জোরে জোরে বলতে বলতে যাওয়া ।
“ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লালাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল হ্বামদ”
১২* এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া, অন্য রাস্তা দিয়ে প্রত্যাবর্তন করা।
১৩* ঈদুল ফিতরের তুলনায় আযহার নামায সকাল সকাল পড়া।

** যেখানে ঈদের নামায আদায় হবে সেখানে আগে পরে নফল নামায পরা ঠিক না।


:) কোরবানীর পশু জবেহ করা প্রসংগেঃ

• নিজ পশু নিজেই জবেহ করা উত্তম। না পারলে জবেহের সময় সামনে থাকা।
• পশুকে কিবলামুখী করে শুইয়ে জবেহ করা, জবাই কারীও কিবলাহ মুখী হওয়া।
• ধারালো ছুরি দ্বারা জবাই করা।
• জবাই করার পর পশুটি সম্পুর্ণ নিস্তেজ হওয়ার পর বাকী কাজ শুরু করা, আগে না।
• জবাই করার পুর্বে পানি খাওয়ানো বেশী পরিমাণে, প্রাণীকে ক্ষুধার্থ রাখা জুলুম।
• ঈদের নামাযের পুর্বে কোরবানী না করা।
• গোশত দিয়ে কোন পারিশ্রমিক দেয়া যায়েয নেই।
• গোশত তিন ভাগ করে ১. নিজে ২. আত্বীয়-স্বজন ৩. গরীব-মিসকীন দের দেয়া উত্তম।


:) পরিবেশগত সতর্কতাঃ
• আমাদের পরিবেশ ও চার-পাশ আমাদের পরিষ্কার রাখাই দায়িত্ব।
• অন্যের চলাচলে কষ্ট যাতে না হয় খেয়াল রাখা।
• জবেহ করার আগেই মাথার কাছে গর্ত করে নেওয়া, যাতে রক্ত ওখানে গরিয়ে যায়।
• সকল বজ্র ঐ গর্তে ফেলতে হবে, যাতে দুর্ঘন্ধ না ছড়ায়। আমার পশুর কোরবানীর বজ্রে যাতে অন্য কারো কষ্ট না হয়।
• ছুরি-চাপাতি ব্যবহারে সতর্ক হোন। বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন।
• চামড়া কাটতে দক্ষ ব্যক্তির সাহায্য নিন, অন্যথায় চামড়ার গুনগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
• ছুরি-চাকু জীবানু মুক্ত করে নিন।
• গোশত কাটতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন।

Sunday, January 3, 2016

কম ওজন বাড়িয়ে নিন সহজে!

ওজন বাড়াতে হলে আগে জানতে হবে আপনার ওজন কম কেন???


এর কয়েকটি কারণ হতে পারেঃ
১। বিভিন্ন ধরনের রোগ- যক্ষা, ডায়রিয়া সংক্রামক ব্যধি ইত্যাদি থাকলে।
২। দেহের তুলনায় কম খাদ্য খেলে এবং সেই সাথে খুব বেশি কাজ করলে।
৩। থাইরয়েড গ্রন্থির অসামাঞ্জস্যতা।
৪। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অতিরিক্ত চিন্তা আহারে অরুচি তৈরি করতে পারে।
৫। দুর্বল খাদ্য নির্বাচন।
৬। নিদ্রাহীনতা, অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ, পুষ্টিহীনতা।
৭। খাওয়ার ব্যাপারে অনীহা বা খুতখুত স্বভাব।
৮। বংশগত।

আরো অনেক কারণ আছে যে কারণে কম ওজন দেখা যায়। তাই আগে বের করতে হবে আপনার ওজন কেন কম?

তারপর জানতে হবে আপনার ওজন কত কম, স্বাভাবিক ওজন থেকে। এজন্য আপনি আপনার বি.এম.আই টা মেপে নিতে পারেন। সেই ভাবে আপনি আপনার আদর্শ ওজন কত তা জানতে পারবেন। ১৮.৫-২৪.৯ হলো স্বাভাবিক বি.এম.আই।

৫-৬ কেজি কম হলে মোট ক্যালরির সাথে ২০০ ক্যালরি যোগ করে খেতে পারেন। ৬-১২ কেজি কম হলে ৫০০ ক্যালরি এবং ১২ কেজি বা তার অধিক হলে মোট ক্যালরির সাথে ৬০০ ক্যালরি যোগ করতে পারেন।

ওজন বাড়ানোর জন্য খাবারের ক্ষেত্রে কিছু নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। যেমন – উচ্চ ক্যালরির, উচ্চ প্রোটিন, চর্বি, এবং উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ। যাদের ওজন কম তাদের খাবারের প্রতি অরুচি থাকে, তাই এক বারে না খেয়ে বারে বারে (১ঘণ্টা পর পর) খেতে হবে।

✬ উচ্চ ক্যালরিঃ কেউ যদি সকালে ২টি রুটি খেতে না চায় সে ১টি তেলে ভাজা পরোটা খেতে পারে। উচ্চ ক্যালরির কয়েকটি খাবার হলো– হালুয়া, পুডিং, মিষ্টি, মাখন, জ্যাম, জেলী, কলা, কোল্ড ড্রিঙ্কস ইত্যাদি।

✬ উচ্চ প্রোটিনঃ প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের জন্য ১ গ্রাম প্রোটিন দরকার। কিন্তু যাদের ওজন কম তাদের দৈনিক ৯০-১০০ গ্রাম প্রোটিন দরকার। ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, ডাল ও বাদামে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়।

✬ উচ্চ চর্বিঃ স্বাভাবিক সময় থেকে চর্বির পরিমাণ বাড়াতে হবে। মাখন, তেল ঘি, মেয়োনেজ, দুধের সর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের জন্য দুধে একটু তেল দিয়ে গরম করলে তাতে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়বে।

✬ উচ্চ শর্করাঃ পাতা জাতীয় শর্করা না খাওয়া ভালো। অধিক শর্করা পেতে পাউড়ুটি, বিস্কুট, আলু, নুডুলস, মিষ্টি ফল ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।

✬ তরলঃ খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে পানি, সরবত, দুধ ইত্যাদি। বেশি পানি খেলে তা পাকস্থলিকে বড় করতে সাহায্য করে। তবে খাবার গ্রহণের আগে ও মাঝে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবারেও যদি ওজন না বাড়ে তবে ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন! 


সবকিছুর জন্য দরকার নিজের ইচ্ছা এবং প্রচেষ্টা। তাই খাবার বুঝে শুনে খান এবং সুস্থ থাকুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, July 12, 2015

জেনে নিন আদর্শ ওজন!

আমরা কোনো কিছু না ভেবে শুধু দেখেই কাউকে মোটা বা চিকন বলে থাকি। আসলে কিন্তু ব্যাপারটি মোটেই তা নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই নির্ণয় করে কাউকে রোগা বা মোটা বলা হয়ে থাকে। উচ্চতার সাপেক্ষে প্রতিটি মানুষের আছে একটি আদর্শ ওজন। ধারনা করা হয় যে ওজন যদি এই আদর্শ মাত্রায় থাকে, অর্থাৎ এর চাইতে বেশি বা কম না হয়ে থাকে, তাহলে মানুষটি সুস্থ দেহের অধিকারী। এবং রোগ বালাই হবার সম্ভাবনা কম।


আদর্শ ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রামে মাপা হয় এবং উচ্চতা মিটারে মাপা হয়। এবার ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকে বলে বিএমআই। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক। ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা অল্প মোটা, ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা। আর ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত ও অসুস্থ পর্যায়ের মোটা বলা যেতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন কিংবা অতি কম ওজন কারোই কাম্য নয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন বেঁটে কিন্তু মোটা, আবার অনেকে খুব লম্বা কিন্তু যেন তালপাতার সেপাই। এরকম অবস্থা মানে উচ্চতা অনুযায়ী তাঁদের ওজন ঠিক নেই।

আপনার ওজন বেশি না কম, নাকি তা ঠিকই আছে তা বুঝতে হলে জেনে নিন উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কতো-

উচ্চতা --- পুরুষ(কেজি) --- নারী(কেজি)
►৪’৭” ------ ৩৯-৪৯ ----- ৩৬-৪৬
►৪’৮” ------ ৪১-৫০ ----- ৩৮-৪৮
►৪’৯” ------ ৪২-৫২ ----- ৩৯–৫০
►৪’১০” ------ ৪৪-৫৪ ----- ৪১–৫২
►৪’১১” ------ ৪৫-৫৬ ----- ৪২-৫৩
►৫ফিট ------ ৪৭-৫৮ ----- ৪৩-৫৫
►৫’১” ------ ৪৮-৬০ ----- ৪৫-৫৭
►৫’২” ------ ৫০-৬২ ----- ৪৬-৫৯
►৫’৩” ------ ৫১-৬৪ ----- ৪৮-৬১
►৫’৪” ------ ৫৩-৬৬ ----- ৪৯-৬৩
►৫’৫” ------ ৫৫-৬৮ ----- ৫১-৬৫
►৫’৬” ------ ৫৬-৭০ ----- ৫৩-৬৭
►৫’৭” ------ ৫৮-৭২ ----- ৫৪-৬৯
► ৫’৮” ------ ৬০-৭৪ ----- ৫৬-৭১
► ৫’৯” ------ ৬২-৭৬ ----- ৫৭-৭১
►৫’১০” ------ ৬৪-৭৯ ----- ৫৯-৭৫
►৫’১১” ------ ৬৫-৮১ ----- ৬১-৭৭
►৬ ফিট ------ ৬৭-৮৩ ----- ৬৩-৮০
►৬’১” ------ ৬৯-৮৬ ----- ৬৫-৮২
►৬’২” ------ ৭১-৮৮ ----- ৬৭-৮৪

শরীর অতিরিক্ত রুগ্ন হলে দেখতে খারাপ তো লাগেই, সাথে চেহারায় দ্রুত বলিরেখা পড়ে। অতি রুগ্ন মানুষ অপুষ্টির শিকার। ফলে পুষ্টি জনিত নানাবিধ রোগ, যেমন- অ্যানিমিয়া বা রক্ত শুন্যতা, শারীরিক দুর্বলতা, নানান রকম চর্মরোগ ইত্যাদি হওয়ার প্রবল সম্ভাবন থাকে। অপুষ্টির শিকার হলে চুল পড়ে যাওয়া, দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়া, হাড় খয়ে যাওয়া সহ নানা রকম রোগ হতে পারে।

আবার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার ফলে মানুষ মোটা হয় বা ভুঁড়ি হয়। ফ্যাট সেল বা চর্বিকোষ আয়তনে বাড়ে তখন শরীরে চর্বি জমে। পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে। অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য দেহে চর্বি জমে, আবার যে পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে বা দেহ যে পরিমাণ ক্যালরি পাচ্ছে সে পরিমাণ ক্ষয় বা ক্যালরি খরচ হচ্ছে না-এ কারণেও দেহে মেদ জমতে পারে। এগুলো শোনার বা জানার পর অনেকে হয়তো বলবেন, সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের পরও ওজন বেশি। তাদের অভিযোগ সঠিক। বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে।

মদ্যপান, অতিরিক্ত ঘুম, মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে। বাড়তি ওজন কিংবা ভুঁড়ি নিয়ে অনেক সমস্যা। বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া রক্তনালিতে চর্বি জমে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাড়তি ওজন রক্তচাপেরও কারণ। ডায়াবেটিস টাইপ-২ দেখা দিতে পারে মেদ বৃদ্ধির জন্য। মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।

ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়। হাঁটুর সন্ধিস্থল, কার্টিলেজ, লিগামেন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আর্থ্রাইটিস, গেঁটে বাত এবং গাউট হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চর্বি থেকে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

সব মিলিয়ে বলা যায়, অতিরিক্ত কম ওজন বা অতিরিক্ত বেশি ওজন- দুটোই সুস্থতার বিপরীত। নিজের আদর্শ ওজন নির্ণয় করুন, এবং আপনার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওজনকে আদর্শ অবস্থানে আনবার জন্য চেষ্টা করুন। কেবল সুন্দর থাকা মানেই ভালো থাকা নয়, সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাই সত্যিকারের ভালো থাকা।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, March 9, 2015

কি ভাবে দ্রুত পেটের মেদ কমাবেন!

পেটের মেদ সাধারনত শরীরের অন্য কোন অংশের মেদের চেয়ে একটু আলাদাশরীরের  অন্য অংশের মেদ সাধারনত চামড়ার নিচে জমে থাকেতবে পেটের মেদ লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে জমে থাকে, যা অনেক সময় প্রান ঘাতি হয়ে দেখা দিতে পারেপেটের মেদ এর সাথে হার্ট এর সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যা এর জোরাল সম্পর্ক খুজে পাওয়া যায়


আমরা অনেকেই পেট এর মেদ কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংশ পেশি এর  ব্যায়াম করে থাকিএর ফলে পেটের মাংশ পেশি এর টোন বা আকৃতি সুন্দর হলে ও পেটের মেদ কমাতে তা খুব একটা কাজে দেয় নাপেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়ামমনে রাখবেন, ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাল্কা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাংতে থাকেতাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমান চর্বি কমতে থাকবে

মনে রাখা প্রয়োজন, প্রথম দিন ই ৪০-৪৫ মিনিট জগিং শুরু করবেন নাএর ফলে আপনার শরীরে ব্যথা এসে যেতে পারে, ফলে আপনি পরবর্তীতে ব্যায়াম করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেনতাই প্রথম দিন ১০ মিনিট, পরের দিন ২০ মিনিট এভাবে সময় বাড়ান এবং ১ ঘণ্টা তে স্থির  থাকুনমনে রাখবেন, অতি দ্রুত ওজন কমানো গেলেও এতে হিতে বিপরিত হতে পারেওজন কমানোর মুল মন্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা

এখন বলে রাখি, শুধু ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহনে সতর্ক হতে হবেখাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ জাতিও খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুনচর্বি জাতিয় খাবার কম খানফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে

এটা তো বললাম জমান চর্বি কমানোর কথাএখন বলব, যাদের পেটে তেমন মেদ নেই তবে ধিরে ধিরে বেড়ে যাচ্ছে তারা কি করবেনসম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে যদি একজন বেক্তি মাত্র ১০ মিনিট আস্তে আস্তে হাঁটেন, তবে তার দেহে যে হরমন ও আঞ্জায়েম নিস্রিত হয়, তাতে সারা দিনে খাবারের সাথে গ্রহন করা সমস্ত অতিরিক্ত চর্বি রক্ত থেকে পরিস্রুত হয়ে যায় এবং দেহে জমতে পারে নাকেবল এই ১০ মিনিট হাটার কারনে যে পরিমান চর্বি জমতে বাধা পায়, তা যদি আমরা ব্যায়াম এর মাধ্যমে কমাতে চাইতাম, তার জন্য আমাদের ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এক নাগারে জোরে দৌড়াতে হত

তাই নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ এই কমানো সম্ভব
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ।]

Thursday, December 25, 2014

লেবুর খোসার অসাধারণ কিছু ব্যবহার!

✽  খাদ্য হিসাবেঃ লেবুর খোসাতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল। একই সাথে এটি প্রাকৃতিকভাবে হজম সহায়ক। লেমন জিস্ট, লেমন সুগার, লেমন অলিভ ওয়েল কিংবা লেমন পিপার এইসব নামের খাদ্য বানিয়ে খেতে পারুন।


✽  পিপড়া এবং কীটপতঙ্গদের হাত থেকে বাঁচতেঃ বুকসেলফের নিচে, আলমারির চিপায়, দরজার পাশে সহ যে সব জায়গাতে পিপড়া অবস্থান করতে পারে সেসব জায়গায় লেবুর খোসা কুচি কুচি করে ছড়িয়ে দিন। পিপড়া আর ঘরে থাকবে না। মাছিও লেবু থেকে দূরে অবস্থান করে।

✽  ফ্রিজ সতেজ রাখুনঃ ফ্রিজের ভেতরে দুই একটি লেবুর খোসা রেখে দিন। ফ্রিজ থাকবে গন্ধমুক্ত এবং লেবুর সুগন্ধময়।

✽  আবর্জনার দূর্গন্ধনাশকঃ দূর্গন্ধময় আবর্জনার মধ্যে লেবুর খোসা নিক্ষেপ করুন। লেবুর খোসা দূর্গন্ধ শুষে নিবে।

✽  চায়ের কেটলি কিংবা কফি পট পরিষ্কার করতেঃ জমে থাকা চায়ের দাগ পরিস্কারের ক্ষেত্রে কেটলিতে পানি নিয়ে তাতে লেবুর খোসার ছোট ছোট টুকরা দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। এক ঘন্টা পর তাপ বন্ধ করে ময়লা জায়গা পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। কফি পট পরিষ্কার করতে লবণ যোগ করে তাতে বরফ ও লেবুর খোসা দিয়ে এক থেকে দুই মিনিট`ঘষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

✽  কাটিং বোর্ড পরিষ্কারঃ কাটিং বোর্ডের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল পরিস্কার করা সম্ভব লেবুর খোসা ব্যবহার করে। কাটিং বোর্ডের সব ময়লা দাগ পরিস্কার করতে অর্ধেক লেবু কেটে তাতে কয়েক সেকেন্ড
রেখে দিলে দেখবেন পরিস্কার হয়ে গেছে।

✽  ডিসওয়াশার দূর্গন্ধমুক্ত করতেঃ এটির মধ্যে লেবুর খোসা ঘষলে দূর্গন্ধমুক্ত হয়ে যায় এবং সতেজ থাকে।

✽  মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার`করতেঃ মাইক্রোওয়েভের তেল চিটচিটে হলে বাটিতে পানি নিয়ে তাতে লেবুর খোসা ছেড়ে দিয়ে গরম করতে হবে। এরপর পানি ফেলে দিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। তাতেই মাইক্রোওয়েভ ঝকঝকে হয়ে যাবে।

✽  রান্নাঘর সতেজ রাখতেঃ রান্না ঘরের গন্ধযুক্ত ময়লা পরিষ্কারে লেবুর খোসা ব্যবহার করা যায়। এতে রান্নাঘর সতেজ থাকে।

✽  ড্রয়ারের সুগন্ধী হিসাবেঃ লেবুর খোসা সূর্যের তাপে শুষ্ক করে ড্রয়ারে রেখে দিলে সেটি ড্রয়ারকে সুগন্ধ রাখবে।

✽  ত্বক উজ্জ্বল করেঃ ত্বকে মেসেজ করে ধুয়ে ফেললে নরম, কোমল ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়।

✽  নখ উজ্জ্বল করতেঃ হাত বা পায়ের নখে লেবুর খোসা ঘসলে নখ পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল সাদা হয়।

✽  বয়স দাগ দূর করতেঃ মানুষের বয়স যখন বেড়ে যায় তখন শরীরে বয়স দাগ পড়ে। এইসব দাগের উপর লেবুর খোসা ঘষলে তা দূর হয়ে যায়।

✽  স্কিন টনিক হিসাবেঃ লেবুর খোসা ত্বকে অল্প ঘষে ধুয়ে ফেললে এটি ত্বকের স্কিন টনিক হিসেবে কাজ করবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, December 23, 2014

থাইরয়েডের সমস্যায় করণীয়!

থাইরয়েডের সমস্যা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটা যেন একটু বেশিই। হাইপো-থাইরয়েডিজমের জন্য ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে প্রয়োজন যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ, সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। 


থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কোন খাবার গুলো আপনাকে উপকার দেবে আর কী কী করলে আপনি উপকার পাবেন, সে সব সম্পর্কে আসুন জেনে নেয়া যাকঃ-

১। আয়োডিন যুক্ত খাবার গ্রহণঃ যদিও আয়োডিন যুক্ত লবণের মাধ্যমে আমরা আয়োডিন গ্রহণ করে থাকি। তবে লবণ কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। কলা, গাজর, স্ট্রবেরি, দুধ, সামুদ্রিক মাছ এবং দানাশস্যে আয়োডিন রয়েছে। এগেুলোকে রাখতে হবে প্রতিদিনের খাবার তালিকায়। শাকপাতা ও মৌসুমি সবজিতেও রয়েছে আয়োডিন। তাই ডায়েটিং এর নামে খাবার তালিকা থেকে এগুলো বাদ দিলে চলবে না।

২। প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণঃ থাইরয়েড ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। চিজ, পনির, ডিম, ফ্রেশ সি ফুড, মুরগির মাংস পরিমিত খেলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিক মত কাজ করতে পারবে।

৩। জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুনঃ বার্গার, হটডগ, চিপস প্রভৃতি জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুন। এ সব প্রসেসড খাবারের বাড়তি লবণ কোষের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। আর এগুলো শরীরে মেদ জমতে সহায়তা করে। তাই যথাসম্ভব এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন। বাড়িতে তৈরি ওয়েল ব্যালেন্সড খাবার খান।

৪। নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে প্রপার ডায়েটের সাথে সাথে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা জরুরি। ব্যায়ামের জন্য নিতে পারেন অভিজ্ঞ কোন ইন্সট্রাকটরের পরামর্শ। সাইক্লিং কিংবা সুইমিং থাইরয়েডের জন্য খুব উপকারী। যোগাসনও খুব কাজে দেয় বলে জানিয়েছেন অনেকে।

৫। পরিমিত ঘুমঃ থাইরয়েড ভালো ভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন রাতের ভালো ঘুম খুব জরুরি। তাই রাতের ঘুমের সাথে কোন কম্প্রোমাইজ নয়। অনেকে রাতে জেগে থেকে দিনে ঘুমান। এটা ঠিক আছে যদি আপনার ঘুম পরিমিত হয়। তবে মনে রাখবেন রাতের ঘুম বেশি গাঢ় হয়। কারণ শব্দ ও আলোর উৎপাত রাতে কম থাকে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Wednesday, December 3, 2014

নুডুলসে আছে মোম, তাই সাবধান!

নুডুলস রান্নার যে পদ্ধতি প্রচলিত তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপদজনক। আমাদের অনেকেই নুডুলস ছাড়া চলতেই পারেন না। ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই নুডুলসের জয় জয়কার। নুডুলস খাওয়া নিয়ে কিছু তথ্য আমরা আপনাদের জানাতে যাচ্ছি যা আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি দূর করবে বলে আশা করছি।


পাত্রে পানি নিয়ে তাতে নুডুলস ও মসলার গুড়া দিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করি এবং খাওয়ার উপযোগী বলে ধরে নিই। কিন্তু এটি নুডুলস রান্নার সবচাইতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। এভাবে রান্নার ফলে মসলার উপাদান এমএসজি (মনোসোডিয়াম গ্লুকামেট) আণবিক পর্যায়ে পৌঁছে বিষাক্ত হয়ে যায়।

এবং আরেকটি বিষয় আমরা হয়তো জানিই না যে, নুডুলসে মোমের আবরণ দেওয়া থাকে এবং এভাবে রান্নার ফলে সেই মোম আমাদের দেহে ঢুকে যায় এবং তা নিষ্কাশন করতে দেহের ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগে।

নুডুলস রান্নার সঠিক পদ্ধতিঃ
★  একটি পাত্রে নুডুলস সিদ্ধ করুন।
★  সিদ্ধ হলে মোম যুক্ত পানি ছেকে ফেলে দিন।
★  আরেক পাত্রে পানি গরম করুন ফুটানো পানিতে সিদ্ধ করা নুডুলস ছেড়ে দিন এবং চুলা নিভিয়ে দিন।
★  এরপর মসলা ছিটিয়ে নেড়ে দিন, নুডুলস স্যুপ তৈরি হয়ে যাবে।
★  আর যদি ঝড়ঝড়া নুডুলস খেতে ভালবাসেন তাহলে পাত্র থেকে পানি ছেকে মসলা যোগ করুন।

তৈরি হয়ে যাবে নুডুলস। যদিও তা তৈরি করতে দুই মিনিট নয় প্রায় ১০ মিনিট সময় এমনিতেই লাগবে।

এই পদ্ধতিতে সামান্য একটু বেশি সময় লাগবে তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। বিজ্ঞাপন দাতাদের মুখরোচক কথায় কান দিবেন না। ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, December 1, 2014

এইডস ও আমরা!

খোলামেলা আলাপ না করলেই নয়। এখানে ছেলে-মেয়ে বিভেদ নাই। বাঁচতে হলে আলোচনা করতে হবে। অনেক জানা ব্যক্তি আছেন, তাদের দায়িত্ব আমাদের মতো কম জানা মানুষকে বিস্তারিত জানানো।


★ ঘটনা-1
-দোস্ত, চল।
-কোথায় যাবি?
-আরে চল না!! এতো প্রশ্ন কেন?
মজা নিবি মামা, এমন মজা লাইফে পাস নাই। নিজে নিজে আর কতো! এবার আসল মজা। ৫০০টাকা সাথে নিস।
-কেন? ৫০০ টাকা কেন??
-আরে, নিস, এতো কেন কেন করিস না।
দুইজন মিলে গেলো এক প্রস্টিটিউট মহলে।
সেখানে গিয়ে কি করলো, সেটা নাই বললাম।

★ ঘটনা-2
তরিকুল গেলো ওষুধের দোকানে। লক্ষ্য- কনডম কিনবে। কিন্তু পকেটে টাকা সামান্যই। দেখলো- ১০০ টাকার, ৭০ টাকার, ৫০ টাকার, ২০ টাকার প্যাকেট। ৬.৫ টাকা পার পিস দামের কনডমও দেখতে পেলো। সে নিলো ৬.৫ টাকারটা। এসবের দামের যে পার্থক্য- বুঝাই যায়, মানের কি গরমিল। এগুলোও আজকাল সেফ নয়।

★ ঘটনা-3
মেসে থাকে সাজিদ। বারান্দায় হাঁটার সময় দেখে- পাশের রুমের ছেলেটি সিরিঞ্জ হাতের চামড়ার ভেতর ঢুকাচ্ছে। মুখের এক্সপ্রেশনে কি যে মজা পাচ্ছে, সেই জানে!
কলেজ লেভেলের ভালো ছাত্র সাজিদ ভার্সিটিতে রেজাল্ট করলো খারাপ। ব্যস। মাদক গ্রহণ শুরু। সিরিঞ্জ-ইঞ্জেকশনের পর্যায় আসতেও সময় লাগলো না। যা দেখে একসময় ঘৃণা হতো সেটা ছাড়া তার পক্ষে যেন বেঁচে থাকাই সম্ভব না।

•••► অনিরাপদ যৌন মিলন বাড়ছেই। এসব এইডসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে। বাংলাদেশের তরুন সমাজে ৮০% অবৈধ যৌনমিলন হয় আবাসিক হোটেলে।
•••► নিরাপদে কনডম ব্যবহার লোপ পাচ্ছে। যেটি এইডস ছড়াতে ওস্তাদ।
•••► শিরায় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে যারা মাদক গ্রহন করে তাদের ৭০% এর শরীরে এইচআইভি এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
•••► দেশে সমকামীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখে পৌঁছেছে। নারী-পুরুষের চেয়ে এদের এইডস ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
•••► এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেলুনে একই ব্লেড দিয়ে ৮-১০ জনের শেভিং এর কাজ চালানো হয়। শহরে যদিও শেভিং এ আলাদা ব্লেড ব্যবহার করা হয়, কিন্তু চুল কাটার পর এলপাতারি ভাবে লেগে থাকে সামান্য চুল চাঁছার জন্য একটা কমন ব্লেডই ব্যবহার করে নাপিতরা। এটা সবার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।

যাই হোক, এভাবে বললে, বলে শেষ করা যাবে না। ধর্মীয় জ্ঞান
থাকলে এসব নিয়ে ভাবতে হতো না, যেটা আমাদের মধ্যে একেবারেই নেই।

★ এইডস প্রতিরোধে করণীয়:
•••► ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এইডস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু বিশ্বস্ত একজন স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখতে হবে। একাধিক
যৌনসঙ্গী পরিহার করতে হবে।

সূরা নূর-এর ৩০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, "মোমেনদেরকে বল, তারা যেন তাদের নজর সংযত রাখে, তাদের যৌনাঙ্গের সংরক্ষণ করে। এটা তাদের জন্য মঙ্গল।"

ইসলামে সমকামিতাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সূরা আরাফ’র ৮২ নাম্বার আয়াতে "সমকামীদের সীমা লংঘনকারী কওম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।"
•••► যৌনসঙ্গীর এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে, অথবা নিয়মিত ও সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
•••► শরীরে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রহণের প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে, সে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এইচআইভি নেই।
•••► একবার ব্যবহার করা যায় এমন জীবাণুমুক্ত সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
•••► পুনরায় ব্যবহার যোগ্য সুচ, সিরিঞ্জ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পূর্বে নিশ্চিত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
•••► দেখা গেছে, যৌনরোগ বা প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কারও যৌনরোগ বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে দ্রুত চিকিত্সা করাতে হবে।

এইডস সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে প্রতিরোধমূলক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

এইডসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। এর যে চিকিত্সা বের হয়েছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাছাড়া এ চিকিত্সা শুধু এইডস হওয়ার সময়কে বিলম্বিত করে। এইডস পুরোপুরি নিরাময় করে না।

তাই এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো এইডস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং সে অনুযায়ী সচেতন হয়ে নিরাপদ জীবনযাপন করা। এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

শহরে HIV-AIDS সম্পর্কে বিস্তারিত (১০০%) জানেন ৩৩% মানুষ। আর গ্রামে এই পরিমাণ মাত্র ১৯% এইডস যেভাবে ছড়াচ্ছে, আমাদের সকলের সতর্কতার জন্য, মুক্ত আলোচনা একান্তই প্রয়োজন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, November 24, 2014

পা ঘামা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন!

পা ঘামা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সেই ঘামার মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে আপনার কপালে দুর্ভোগই আছে বলতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম থেকে যে দুর্গন্ধ তৈরি হয় তাতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যেতে পারেন আপনি। তবে আপনি একটু সচেতন হলেই পা ঘামা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


জেনে নিন হাত-পা ঘামার কারণঃ
সাধারণত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে আপনার হাত-পা ঘামতে পারে। এ ছাড়া শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতাও আপনাকে ঘর্মাক্ত করে তোলবে। বংশগতভাবে এ রোগ থাকাও হাত-পা ঘামার কারণ।

কেনো হয় পায়ের দুর্গন্ধ?
পায়ের ঘাম পায়ের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ। ঘেমে যাওয়ার ফলে পায়ে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। একসময় এই ব্যাকটেরিয়া পায়ে আক্রমণ করে। দীর্ঘক্ষণ পা এই অবস্থায় থাকলে পায়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। জুতা- মোজা নিয়মিত না পরিষ্কার করলেও দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে।

রোধ করুন সহজেইঃ
✭ পা সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
✭ বাইরে থেকে এসেই পা ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। পা ধোয়ার পর শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলুন।
✭ মোজা প্রতিদিন ধুয়ে দিন। ধোয়ার পর ভালো মতো শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।
✭ নিয়মিত জুতা পরিষ্কার রাখুন।
✭ চাইলে জুতায় মাঝে মধ্যে পাউডার দিয়ে রাখতে পারেন।
✭ মাঝে মধ্যে জুতা রোদে দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
✭ সম্ভব হলে কয়েক জোড়া জুতা এবং মোজা ব্যবহার করুন।
✭ সুতি মোজা ব্যবহার করলে ভালো কারণ সুতি মোজা ঘাম শুষে নেয়।
✭ বাজারে ঘাম শুষে নেয় এমন জুতাও পাওয়া যায়। চাইলে এমন জুতা ব্যবহার করুন।


[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, November 22, 2014

ঘরে বসেই বানিয়ে নিন ক্ষতিকারক রাসায়নিক ছাড়াই হেয়ার রিমুভাল ওয়াক্স!

ক্ষতিকারক রাসায়নিক, হেয়ার রিমুভাল ওয়াক্স অনেকে আছেন হেয়ার রিমুভাল ক্রিম নিয়ে খুঁতখুঁতে। ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ভয়ে ব্যবহার করতে চান না। আবার কর্মব্যস্ততার কারণে সেলুনে যাওয়ার সময় বের করে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে অনেকে সহজ পন্থা হিসেবে শেভিং বেছে নেন।


সচেতন নারীর ক্ষেত্রে এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। বরং, খানিক অবসর মিললে গান শুনতে শুনতে বানিয়ে নিতে পারেন হেয়ার রিমুভাল ওয়াক্স।

নিচে প্রস্তুত প্রনালী দেওয়া হলোঃ
✭ একটি সসপ্যানে কিছু চিনি নিয়ে গরম করতে থাকুন। গলতে শুরু না করা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। একসময় ক্যারামেলে পরিণত হবে।
✭ এবার এতে কয়েক ফোঁটা মধু ও লেবুর রস দিন। ভালো করে নাড়তে থাকুন। সবকিছু যেন ভালোভাবে মিশে যায়- খেয়াল রাখুন।
✭ যদি বেশি ঘন হয়েছে মনে হয়, তবে সামান্য পানি মিশিয়ে নাড়তে পারেন।
✭ এবার মিশ্রণ তৈরি। চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা করুন।
✭ ঠাণ্ডা হলে একটি টিনের কৌটায় সংরক্ষণ করুন। এরপর রিফ্রিজারেটরে রাখুন। ঘরে তৈরি ওয়াক্স ব্যবহারের সুবিধা বাজারের ওয়াক্সের সঙ্গে এর গুণগত অনেক পার্থক্য রয়েছে। উপকারিতাও বেশি।

তেমন কিছু বিষয় জেনে নিনঃ
✭ এটি শুধু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি। যা ত্বককে মোলায়েম ও উজ্জ্বল করে।
✭ ঘরে তৈরি ওয়াক্স ব্যবহারে ত্বকে কোনো ধরনের ফুসকুড়ি বা সংক্রমণের ভয় থাকে না।
✭ এটি অবাঞ্চিত লোম অপসারণের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে।
✭ এটি লোমের বৃদ্ধি হ্রাস করে।
✭ ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা দূর হয়।

ওয়াক্স ব্যবহারের পরের যত্নঃ
✭ ওয়াক্স ব্যবহারের পর সব সময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
✭ ত্বক মুছার জন্য হালকা ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন। এতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে। ত্বক
সহসা শুকাবে না।
✭ ওয়াক্স ব্যবহারের পরপরই সূর্যালোকে বের হবেন না। যদি বের হতেই হয়, তবে শরীর ঢেকে বের হন।
✭ ওয়াক্স ব্যবহারের পর গরম পানিতে গোসল করবেন না। তাহলে দরকারি তেল ঝরে যাবে।
✭ রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

✭ কোথাও যদি জ্বালাপোড়া করে বা লাল হয়ে যায়, তবে ট্যালকম পাউডার মাখুন। অথবা বরফ ঘষতে পারেন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Friday, November 21, 2014

“ব্যথানাশক” চা!

শরীরের যে কোন ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে তৈরি করুন “ব্যথানাশক” চা!


মাথাব্যথা, হাতে পায়ের জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশি আড়ষ্টতায় ব্যথা, ঘাড় ও কাধের ব্যথায় অনেকেই কাবু হয়ে পড়েন। এই ধরণের ব্যথাগুলো দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে থাকে। একবার শুরু হলে সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। আবার এইধরনের ব্যথার পেছনে এই ব্যস্ত যুগে ব্যয় করার মতো সময়ও হয়ে উঠে না। অনেকেই ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে এই ব্যথা কমিয়ে থাকেন। কিন্তু ব্যথানাশক ঔষধের রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা দেহের জন্য অনেক খারাপ।

তাই এই সকল শারীরিক ব্যথা দূর করতে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করাই ভালো। ভাবছেন এই ব্যথা দূর করতে কী করা যায়? আজকে চলুন তবে দেখে নেয়া যাক এক ধরণের ব্যথানাশক চা তৈরির পদ্ধতি যা দূর করে দেবে শারীরিক দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা।

যা যা লাগবেঃ
✭  ২ কাপ পানি
✭  ২ চা চামচ চা পাতা
✭  ১ চা চামচ তাজা আদা কুচি
✭  ২ টি এলাচি (ছেঁচে নেয়া)
✭  ১/৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
✭  ১/২ কাপ বাদাম দুধ (বাদাম দুধ না পেলে সাধারণ গরুর দুধ নিতে পারেন)
✭  ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো বা সামান্য কাঁচা হলুদ বাটা
✭  ২ চা চামচ মধু

চা তৈরির পদ্ধতিঃ
✭  চুলায় একটি পাত্রে দুই কাপ পানি গরম হতে দিন। পানি গরম হলে এতে আদা কুচি, হলুদ গুঁড়ো/বাটা, দারুচিনি ও এলাচি দিয়ে হালকা আঁচে ১০ মিনিট ফুটতে দিন।
✭  ১০ মিনিট ফুটে পানির রঙ হলদেটে হয়ে এলে এতে চা পাতা ছেড়ে দিয়ে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
✭  ওপর একটি পাত্রে দুধ ফুটিয়ে নিন।
✭  এবার চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম দুধ ঢেলে ঘন ঘন নেড়ে চায়ে মিশিয়ে নিন।
✭  কাপে চা ছেঁকে নিয়ে এতে মধু মেশান।
✭ গরম গরম পান করুন এই ব্যথানাশক চা প্রতিদিন ১ কাপ। এতে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা দূর হবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Wednesday, November 19, 2014

৫ টি খাবারে রুখে দিন শীতের সর্দি-কাশি!

৫ টি খাবারে রুখে দিন শীতের সর্দি-কাশি কিছু দিনের মধ্যেই শীতকালের আগমন ঘটবে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি-কাশি হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু সর্তকতার সাথে চলতে পারলে এই স্বাভাবিক ব্যাপারটিও রুখে দেয়া সম্ভব। খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার যোগ করে শীতের সর্দি-কাশি থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। লুন তবে চিনে নেয়া যাক শীতের সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে কাজ করে এমন সুপার ফুড গুলো।


মাছঃ মাছের ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। ফলে সাধারণ সর্দি-কাশি দেহে বাসা বাঁধতে পারে না।

রসুনঃ কাঁচা রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণ ঋতু পরিবর্তনের সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে সবচাইতে ভালো কাজ করে। তাই প্রতিদিন ১-২ কোয়া কাসা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন।

আদা চাঃ শীতের সর্দি-কাশি রুখে দিতে সাধারণ দুধ চা পান কড়া ছেড়ে দিন। আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং গরম গরম চা ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে বেশ ভালো কাজ করে।

মাশরুমঃ মাশরুমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ভিটামিন এবং ফাইবার যা সর্দি-কাশি রোধের পাশাপাশি দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ করে।

মিষ্টি আলুঃ শীতের খাবার এই মিষ্টি আলুর রয়েছে এই শীতকালের নানা ফ্লু জনিত রোগের হাত থেকে মুক্তির ক্ষমতা। এর ভিটামিন এ আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে বেশ কার্যকরী।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, November 16, 2014

শীতে আগাম ত্বকের যত্ন!

সন্ধ্যা মিলাতে না মিলাতেই শিরশিরে ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। ভোরবেলার রোদে পাওয়া যায় হিমেল গন্ধ। এ সবই শীতের আগমনীবার্তা। আর কদিনের মধ্যে রাতারাতি পড়ে যাবে ঠাণ্ডা। আর শীতকাল মানেই খসখসে ত্বক। শীতকালে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক বাতাসে ত্বক ফাটে। ঘরের ভেতর এবং বাইরের তাপমাত্রায় পার্থক্য থাকার কারণে ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য নষ্ট হয়। ত্বক নিষ্প্রভ দেখায়। তাই শীত আসার আগেই যত্ন নিতে শুরু করুন ত্বকের।


★ নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুনঃ আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এ সময়টাতে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক লাগে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। তবে কেমিক্যালযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। মাইল্ড ফেসওয়াস দিয়ে ঈষদুষ্ণ পানিতে মুখ ধোবেন। থার্মাল শকের হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে সপ্তাহে অন্তত দু দিন সোপ-ফ্রি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ক্রিম ক্লিনজারও ব্যবহার করতে পারেন।
★ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখুনঃ আবহাওয়ার তারতম্যে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুবই জরুরি। পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ভেজা মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। সারাদিন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে থাকতে চাইলে ব্যবহার করুন ওয়াটার বাইন্ডিং ময়েশ্চারাইজার। এটা ঠাণ্ডা বাতাস থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। ক্রিমের মতো ঘন ময়েশ্চারাইজার ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণ ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।
★ ত্বক নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করুনঃ শীত পুরোপুরি পড়ার আগেই ত্বকের ওপর মরা কোষ জমতে থাকে। তাই ত্বক নিষ্প্রভ, অনুজ্জ্বল দেখায়। স্ক্র্যাবিং করলে মরা কোষ ঝরে যায়। ত্বক বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। ত্বকের ভেতর ময়েশ্চারাইজার ভালো মতো প্রবেশ করতে পারে। ছোট ছোট দানাযুক্ত স্ক্র্যাবার ব্যবহার করলে ত্বক রুক্ষ হবে না। অ্যালকোহল বেসড টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
★ হাত ও মুখের চামড়া সব সময় বাতাসের সংস্পর্শে থাকে বলে বেশি ভঙ্গুর। হাতের ত্বকের অবস্থা আরও করুণ। কারণ, হাতের চামড়ায় তরল সরবরাহের গ্রন্থি কম থাকে। তাই হাতের জন্য বিশেষ ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
★ বেশি গরম পানিতে গোসল করবেন না। অবশ্য শীতকালে একটু বেশি গরম পানিতে গোসলের মজাই আলাদা। কিন্তু এতে চামড়ার শুষ্কতা বাড়ে। তাই কুসুম গরম পানিতে গোসল করাই ভালো।
★ পানি খাবেন বেশি করে। কিন্তু মনে করবেন না যে সেই পানি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করবে। বেশি পানি খেলে চামড়া বেশি সতেজ থাকবে, এমন ধারণা ভুল। আসলে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পানি খেতে হবে। শরীর ঠিক তো সব ঠিক!
★ পায়ে গ্লিসারিন মাখুন। রুক্ষতা কাটাতে এর জুড়ি নেই।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, November 9, 2014

শরীরের যে কোনো ব্যথা নিরসনে কার্যকরী ৬টি খাবার!

শরীর আছে আর ব্যথা থাকবে না, তা কি হয়?

নিত্যদিনের জীবনে না জানি কত ধরণের ব্যথায় ভুগে থাকেন আপনি। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ থাকে না। তখন কী করবেন? তাহলে জেনে রাখুন, এক্ষেত্রে খাবার হতে পারে একটি দারুন সমাধান। আসুন জেনে নেই এমন ৬টি খাবার সম্পর্কে, যেগুলো আপনাকে চটজলদি মুক্তি দিতে পারে অনেক প্রকারের ব্যথা হতেই!



১. চেরি ফলঃ গবেষণাতে দেখা গেছে এই সুমিষ্ট ফলটি দেহের পেশীর পুনর্গঠন করতে সহায়তা করে। চেরি ফলের জুস অথবা হালকা সিদ্ধ চেরি খেলে শরীরের যেকোনো ব্যথা খুব দ্রুত নির্মূল হয়ে যায়।

২. আদাঃ আদা খুবই উপকারী একটি ভেষজ খাবার। আয়ুর্বেদ অনুসারে প্রতিদিন খাবারে সতেজ বা শুকনা আদা যুক্ত করলে এটি শরীরের পেশী গঠনে সহায়তা করে পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নিরসন করে থাকে। গবেষণা অনুসারে এটি আঘাত পেয়ে ফুলে যাওয়া অংশকেও স্বাভাবিক করে আনতে সহায়তা করে।

৩. জইঃ জই এমন একটি খাবার যেটিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম আছে যেগুলো বিভিন্ন ব্যথা নিরসনে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া এতে থাকা জিঙ্ক মহিলাদের মেয়েলি ব্যথাও নির্মূল করে থাকে।

৪. রসুনঃ এই কটুগন্ধযুক্ত মসলাটি ব্যথা প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। শারীরিক যেকোনো ব্যথায় এটি হালকা গরম তেল বা অলিভ অয়েলে পেস্ট করে লাগিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্ত ব্যথা প্রশমিত হয়ে যায়।

৫. আঙ্গুরঃ প্রতিদিন এক কাপ আঙ্গুর খেলে পিঠের ব্যথা দ্রুত নির্মূল হয়ে যায়। কেননা এই ফলটিতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে ফলে ব্যথা নিরসিত হয়ে যায়।

৬. লবঙ্গঃ লবঙ্গ একটি ভেষজ উপাদান যেটিতে অনেক কার্যকরী উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের দাঁতের ব্যথা নির্মূলে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য যেকোনো ব্যথা নিরসনে এটি অলিভ অয়েল এর সাথে ব্যবহার করা যায়।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, October 7, 2014

মাংসের ভালো মন্দ!

সারা বছর জুড়েই আমরা কম বেশি গরুর মাংস খেয়ে থাকিতবে সারা বছর আমরা যে পরিমাণ গরুর মাংস খাই তার চেয়েও বেশি পরিমাণ গরুর মাংস খাওয়া পড়ে কুরবানির ঈদের ২-৩ দিনেতবে মাংসের ভালো ও মন্দ দুটো দিকই রয়েছে


ভালো দিক 
 মাংস প্রাণীজ প্রোটিন বা আমিষখাদ্য মূল্যের দিক থেকে উদ্ভিদ প্রোটিনের তুলনায় উন্নতরমাংস সুস্বাদুও বটেএতে সমস্ত এমাইনো এসিড বিদ্যমানএছাড়া আছে লৌহ, ফসফরাস, ভিটামিন বি১ ও ভিটামিন বি২
 কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকলেও গরু ও খাসীর কলিজায় লৌহের পরিমাণও বেশি থাকেএছাড়া মগজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ থাকে ১০০%
 দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণের জন্য এবং কৃশকায় লোকদের ওজন বাড়ানোর জন্য মাংস প্রয়োজন
 দেহের ক্ষত, পোড়া ঘা সারানোর জন্য জিঙ্ক প্রয়োজনএই জিঙ্ক পাওয়া যাবে মাংস থেকেএই কারণে নিরামিষ ভোগীদের খাবারে জিঙ্কের অভাব হয়ে থাকেআবার খেলোয়াড়দের খেলাধূলা করার সময় প্রচুর ঘাম হয়ফলে শরীর থেকে বেশ জিঙ্ক বের হয়ে যায়এ কারণে তাদের খাবারে মাংসের পরিমাণ বাড়ালে এর অভাব অনেকটা পূরণ হয়

মন্দ দিক 
 মাংসে অবস্থানকারী রোগ জীবানু দেহে বিষ উৎপন্ন করেযা খাওয়ার ফলে রোগের সৃষ্টি হয়এর জন্য প্রয়োজন রোগ জীবানুমুক্ত মাংস খাওয়ারোগ জীবানু দ্বারা মাংস বিষাক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রোগাক্রান্ত পশু জবাই করাতাই কুরবানির পশু নির্বাচনের সময় এ দিকটি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেআবার সংরক্ষণের অজ্ঞতাও মাংসকে দূষিত করেযদি রান্না করা মাংস সংরক্ষণ করতে ইচ্ছা থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দেয়াই উত্তম, কারণ মাংসের মধ্যে সহজেই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে
 টিনিয়া সেলিনাস নামক প্যারাসাইট রেড মিটে থাকেএটা দেহে বিশেষ এক ধরণের টিবির জন্ম দেয়এ জাতীয় জীবানু অন্ত্র, পাকস্থলী, যকৃত প্রভৃতি জায়গায় প্রবেশ করে আমাদের অসুস্থ করে তোলেঅধিক পরিমাণ অর্ধসিদ্ধ মাংসই এ ধরণের রোগের বিস্তার ঘটায়
 মাংসে ট্রাইসেরাইড, কোলেস্টেরল ও পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে বলে হূদরোগ, বাত, উচ্চ রক্তচাপ এর রোগীদের কম খাওয়া বা পরিহার করা উচিত
 আবার লিভার, গলব্লাডার ও প্যানক্রিয়াসের অসুখে প্রাণীজ চর্বি বাদ দেয়াই ভালোতাই মাংসের সংরক্ষণের সময় মনে রাখতে হবে যাতে এর স্বাভাকি স্বাদ ও গন্ধ বজায় থাকেটুকরা বড় করলে খাদ্য মূল্যের অপচয় কম হয়তাপে থাকমিন নষ্ট হয় ৩০% আবার রাইয়োফ্লভিন নষ্ট হয় ২০%
 অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা মাংস থেকে ফিতা কৃমি হয়এর ফলে পেট ব্যথা, খিঁচুনী, মাথা ধরা, পেট খারাপ ও জ্বর হতে পারে

খাদ্য হিসেবে মাংসের স্বাস্থ্যকর ও অস্বাস্থ্যকর দু'টি দিকই রয়েছেএই দু'দিক বিবেচনা করেই গোসত খাওয়া উচিত

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]