ব্রেইন আমাদের দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু কখনো কি আমরা ব্রেইনের যত্ন নেয়ার কথা ভেবেছি! শুধু
অভিযোগ করে যাই "আমার মাথা ঠিকমত কাজ করছে না বা আজকাল আমার কিছুই মনে থাকে
না!" অন্যান্য অঙ্গের মত ব্রেইনেরও খাবার, পুষ্টি ও এর্নাজী দরকার। টোটাল বডি
এর্নাজীর ২০% ব্রেইন ব্যবহার করে। তাই আমাদের দৈনিক খাবার মেনু এমন হওয়া উচিত,যেন তা ব্রেইনের জন্য প্রয়োজনীয়
পুষ্টি ও এর্নাজী সরবরাহ করতে পারে।
যে খাবারগুলো রাখতে হবে ডায়েট চার্টেঃ
১. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- যা ব্রেইন গঠন করবেঃ
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা ব্রেইনের মেরামত
ও নতুন কোষ তৈরীতে সাহায্য করে। এছাড়া
এগুলো আপনাকে নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী করে এবং মানসিক ভাবে ভাল অনুভব করায়। oleic
acid ব্রেইনকে
ক্ষীপ্র করে। Olive oil, peanut oil থেকে oleic acid পাওয়া যায়।
২. Antioxidants-
যা
ব্রেইনকে সুরক্ষা দেয়ঃ
খাবারে Antioxidants
এর
অভাব থাকলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতি শক্তি কমতে থাকে। তাই Antioxidants
সমৃদ্ধ
খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। Antioxidants এর ভাল
উৎস হল-সবুজ চা, ব্লুবেরী
ও অন্যান্য বেরী জাতীয় ফল, লাল
আঙ্গুর, টমেটো, গাজর,রসুন, পালং শাক, whole grains ও সয়া
দ্রব্য।
৩. ভিটামিন ও মিনারেলস- ব্রেইনের গঠনকারী ইটঃ
সুনির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন ও মিনারেলস ব্রেইনের গঠনে খুবই
প্রয়োজন। ব্রেইনের কাজের জন্য সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হল- Vitamins
C, B12, and B6। মিনারেলসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল-ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এসব ভিটামিন ও মিনারেলস নিয়মিত খেতে হবে।
৪. আশঁ - যা ফুয়েল সরবরাহকে নিয়ন্ত্রণ করেঃ
ব্রেইন শুধুমাত্র গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। রক্তে এই গ্লুকোজের সরবরাহ ধীর ও নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে
আশঁ জাতীয় খাবার।ভাল পরিমানে আশঁ পাওয়া যাবেঃ শুষ্ক ফল (কিছমিছ, খেজুর, কালো কিছমিছ),
বিভিন্ন
রকমের শাক, সবজি, আস্ত ফল (যেমন-আপেল, কমলা, নাসপতি) whole
wheat grains (বার্লি, লাল চাল, বিভিন্ন ধরনের whole wheat pastas and cereals)।
৫. পানি- আদ্র রাখবে ব্রেইনকেঃ
সামান্য পানিশূন্যতাও মানসিক শক্তি কমিয়ে দেয় এবং
স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। তাই
কমপক্ষে ২.৫-৩ লিটার পানি দৈনিক পান করা উচিত।
৬. কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজনঃ
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার serotonin এর লেভেল ঠিক রাখে। ঘুমের ধরন, মুড, appetite ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্রেইনের কোষ serotonin ব্যবহার করে। এছাড়া অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রণ করে serotonin। তাই জটিল কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে।
৭. প্রয়োজন নিয়মিত গ্লুকোজ সরবরাহঃ
আগেই বলেছি,ব্রেইন
শুধুমাত্র গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। আর
নিয়মিত খাবার গ্রহন না করলে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমে যায়। এর ফলে মেমোরী লস হতে পারে। তাই দেখা যায় যারা সকালের নাস্তা বাদ দেয় তাদের স্মৃতি শক্তি
দূর্বল হয়। খুব তাড়াতাড়ি গ্লুকোজ পাওয়া যাবে আস্ত
ফল থেকে, যেমন- আপেল, কমলা, আঙ্গুর ইত্যাদি।
৮. (Fava
Beans) সীমঃ
সীমে খুব ভাল পরিমানে আছে levodopa , আমাদের ব্রেইন levodopa
কে
dopamine এ
রুপান্তরিত করে। dopamine ব্রেইনের বিশেষ কিছু কাজ (concentration, motivation ও movement) নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন হয়।
৯. Herbs:
Herbs খাবারের
স্বাদই শুধু বাড়ায় না, আমাদের
চিন্তা-ভাবনায়ও বিশেষ প্রভাব ফেলে। Herbs স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, মানসিক দক্ষতা বাড়ায়, মনোযগ বাড়ায়, মানসিক সতর্কতা বাড়ায়।
১০. মাছঃ
প্রোটিন হল neurotransmitters
তৈরীর
জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর neurotransmitters mental performance এর জন্য
প্রয়োজন। মাছ হল প্রোটিনের খুবই ভাল উৎস। এছাড়া মাছে আছে essential oils যা ব্রেইনের বর্ধন, সুরক্ষা ও কাজের জন্য প্রয়োজন।
১১. বিভিন্ন রকমের বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার, ফুলকপি, ব্রোকলী, বাধাকপি
ব্রেইনের জন্য খুবই উপকারী।
ব্রেইনের যত্ন নিন, পুষ্টি যোগান, ব্রেইনও
আপনাকে দরকারের সময় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে।
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]
quite!! fine!!
ReplyDelete¸.•´
( `•.¸
`•.¸ )
¸.•)´
(.•´
*´¨)
¸.•´¸.•*´¨) ¸.•*¨)
(¸.•´ (¸.•` *(`'•.¸(`'•.¸ ¸.•'´) ¸.•'´)
«`'•.¸.¤ Thank You ¤.¸.•'´»
(¸.•'´(¸.•'´ `'•.¸)`' •.¸)