Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Showing posts with label ত্বক ও চুলের সমস্যা. Show all posts
Showing posts with label ত্বক ও চুলের সমস্যা. Show all posts

Thursday, February 19, 2015

নখ ভাঙা রোধ করার ৭টি উপায়!

শখ করে একটু বড় করেছিলেন সাধের নখটা। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করেই ভেঙ্গে গেলো। একটা নখ ভেঙ্গে যাওয়া মানে হাতের বাকি ৪ আঙ্গুলের নখও কেটে ফেলতে হবে। ইশ, নখটা যদি একটু শক্ত হতো!


চাইলে খুব সহজেই নখ শক্ত করা যায়। নখে পর্যাপ্ত পুষ্টির যোগান দিলে এবং একটু যত্ন করলেই পাওয়া সম্ভব কাঙ্খিত শক্ত লম্বা নখ।

আসুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে নখ ভাঙ্গার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভবঃ

অলিভ অয়েল তেল এবং লেবু:- অলিভ অয়েল তেলকে হালকা গরম করে নিন তারপর নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। এতে আপনার নখ গুলো চকচকে হবে এবং এভাবে নিয়মিত করলে নখগুলো শক্তও হয়ে যাবে। নখ ভাঙ্গা রোধ করতে এবং নখ শক্ত করতে লেবুর বিকল্প নেই । ৩ চা চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নখে লাগান। এটি নখকে শক্ত করার সাথে সাথে নখের হলদে ভাব দূর
করে।

গ্লাভস পরুন:- রান্না-বান্না, তরকারী কাটা কিংবা হাঁড়ি পাতিল ধোয়া যাই করুন না কেন অবশ্যই গ্লাভস পরে নিবেন। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেয়া উচিত। এতে হাতে ময়লা লাগে না এবং নখে চাপ পরে না। তাছাড়া গ্লাভস পরে নিলে বারে বারে ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট ও ডিশ ওয়াসার লাগে না। ফলে নখ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

ময়শ্চারাইজ:- যখনই সময় পাবেন নখে পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।

অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার বন্ধ করুন:- সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দিন। এতে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

নিয়মিত নখ কাটুন:- নির্দিষ্ট সময় পর পর সামান্য পরিমাণে হলেও নখ ছোট করুন। নখের কোণা ধারালো হয়ে গেলে নেইল ফাইলার দিয়ে ফাইল করে নিন। নিয়মিত নখ কিছুটা ছোট করে নিলে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ভাঙ্গার প্রবণতা কিছুটা কমে যায়।

দাঁত দিয়ে নখ কামড়াবেন না:- দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর অভ্যাস থাকতে আজই ত্যাগ করুন। কারণ সব সময় দাঁত দিয়ে নখ কাটলে নখ দূর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়। তাই নখ ভাঙ্গা রোধ করতে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।

ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খান:- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে।

খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন নিয়মিত। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।

লবণ পানিতে নখ ভেজান:- সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা গরম পানিতে লবন মিশিয়ে নিয়ে আপনার নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ২০ মিনিট। এরপর ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন। সব শেষে শুকনো করে মুছে নিয়ে গ্লিসারিন বা ভেসলিন ম্যাসাজ করে নিন।

এক সপ্তাহ পর পর একবার এভাবে লবণ পানিতে নখ ধুয়ে নিলে নখের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং নখের ভঙ্গুরতা কমে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, January 19, 2015

নিয়মিত করুন এই ৫টি কাজ, চুলপড়া রোধ করুন বহুগুণে!

চুল পড়া শুরু করলেই আমরা যে জিনিসটি বেশি করি, তা হলো দুশ্চিন্তা। কিন্তু জানেন কি, চুল পড়ার দুশ্চিন্তায় আরো বেশি চুল পড়ে যায়? তাই চুল পড়া রোধ করতে হলে প্রথমেই রোধ করতে হবে দুশ্চিন্তা। চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটা বড় মাপকাঠি। তাই চুল নিয়ে আমাদের আবেগটাও বেশি। ঠিক এ কারণেই চুল পড়লে বা মাথায় টাক পড়ে গেলে অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। চুলের অতি সাধারণ কিছু যত্ন, বিশেষ করে ঘুমানোর আগে কিছু কাজ নিয়ম করে করলে চুল পড়া রোধ করা যায় অনেকখানি এবং আজীবনের জন্যই।




 চুল পরিষ্কার রাখুনঃ চুল পড়া রোধের প্রথম শর্ত হলো চুল পরিষ্কার রাখা। তাই সারাদিন বাইরে ধুলোময়লার ভেতর থাকার পর অবশ্যই বাড়ি ফিরে চুল পরিষ্কার করা উচিত। সকালে বা দিনের বেলা সম্ভব না হলে রাতের গোসলের সময় শ্যাম্পু করুন। প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ঘুমানোর আগে অবশ্যই চুল শুকিয়ে ঘুমাবেন।

★ চুল আঁচড়ানঃ বাইরে থেকে ফেরার পর যদি চুল ধোয়া সম্ভব না হয় তাহলে প্রথমে চিরুনী দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন। এর পর চিরুনী পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে তারপর চুল আঁচড়ান। চুলে আটকে থাকা আলগা ধুলো চিরুনীর সাথে উঠে আসবে। আবার চিরুনী ধুয়ে নিয়ে একইভাবে চুল আঁচড়ান।

 চুল বেঁধে ঘুমানঃ মানুষের গড়ে প্রতিদিন ১০০টা পর্যন্ত চুল পড়ে যেতে পারে। এবং বেশির ভাগ চুল পড়ে যায় রাতের বেলা, বালিশের সাথে চুলের ঘষা লেগে। রাতে চুল বেঁধে ঘুমান, বিশেষ করে যাঁদের বড় চুল। তাহলে চুল কম পড়বে। অনেকেই আছেন যাঁরা চুল বেঁধে ঘুমাতে পারেন না, অস্বস্তিবোধ করেন। আবার অনেকের মাইগ্রেন আছে বলে চুল বেঁধে ঘুমালে মাথাব্যথা করে। যাঁদের চুল বেঁধে ঘুমাতে সমস্যা তাঁরা ঘুমাতে যাবার আগে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। চুলে জটা থাকলে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

★ চুল শুকনো রাখুনঃ যাঁরা অতিরিক্ত ঘামেন তাঁদের চুল পড়ে যায় বেশি। এমনভাবে ঘুমান যাতে ফ্যানের বাতাস মাথায় লাগতে পারে। রাতে মাথার ত্বক ঘামলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং চুল আরো বেশি পড়ে যায়। গোসলের পর এক মগ পানিতে ৩ চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া কম ঘামবে।

 তেল লাগানঃ পরের দিন ঝরঝরে চুল পেতে চাইলে আগের দিন রাতে চুলে তেল লাগান এবং পরদিন শ্যাম্পু করুন। অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল কুসুম গরম করে চুলের গোড়ায় লাগান। আলতো হাতে মাসাজ করুন। এতে ঘুম যেমন ভালো হবে তেমনি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভালো হওয়ায় শ্যাম্পু করার সময় চুলও পড়বে কম।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Thursday, January 8, 2015

খুশকি দূর করার উপায়!

চলে এসেছে শীতকাল। নানা রকম সবুজ সবজিতে ভরে গেছে বাজার। তাই শীত মানেই জমিয়ে খাওয়ার আয়েস। তবে ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে শীতকালটা কিন্তু মোটে‌ও সুবিধার নয়। শীতকালে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ-সুক্ষ। উপরন্তু বাড়তি পাওনা খুশকি। শীতকালে মাথার স্কাল্প শুষ্ক হয়ে ওঠে আর তাতেই এই সমস্যা। এছাড়া বিভিন্ন কারণেও খুসকি হতে পারে। যেমন-ব্যাকটেরিয়াল বা ফানগাল ইনফেকশন। চুলে ঠিক মত শ্যাম্পু না করা ও চুল ঠিক মত না আঁচড়ানো অথবা পুষ্টির অভাবে, এইসব কারণ হতে পারে খুশকির।


খুশকি তাড়াতে আজকাল বাজার ভরে গেছে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে। কিন্তু এই শ্যাম্পুতে থাকা কেমিকেল খুশকি তাড়ায় কিন্তু চুল হারিয়ে ফেলে তার প্রাণ। অন্যদিকে আবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা বন্ধ করলে ফিরে আসে খুশকি। 

তাই চিরতরের জন্য এই খুশকি বিদায় করতে আপনাদের জন্য রইল সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ

১) ২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো আর দইয়ের একটি মিশ্রণ বানিয়ে ভাল করে চুলের গোরায় লাগান। এক ঘণ্টা রেখে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২) অলিভ ওয়েল বা তিল তেল সারা রাত চুলে লাগিয়ে সকালে স্নান করার ১ ঘণ্টা আগে চুলের গোরায় লেবুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩) ভিনেগার আর জল সমপরিমাণে মিশিয়ে সারারাত চুলের গোরায় লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪) সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন, সকালে ভাল করে বেটে নিয়ে চুলের গোরায় লাগান। ২,৩ ঘণ্টা রেখে শিকাকাই বা রিঠা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৫) আপেল থেকে তার রস বার করে নিন। এই রস দিয়ে ভাল করে চুল ম্যাসাজ করুন, খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

৬) বিট মূলের রস, ভিনেগার আর আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে চুলের স্কাল্পে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত খুশকি দুর হবে।

৭) অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর পাতা বেটে ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৮) চুলে শ্যাম্পু করার সময় এক চা চামচ বেকিং সোডা ভাল করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। একবার শ্যাম্পু করলেই তফাত বুঝতে পারবেন।

৯) নিম পাতার অনেক রকম অ্যান্টি ব্যায়োটিল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফানগাল গুণ আছে, তাই যাদের অনেক খুসকি আছে তারা নিমের পাতা বেটে আধ ঘণ্টা মাথায় লাগিয়ে রাখুন, পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার লাগান। আর খুশকি থাকবে না।


১০) রসুন যা সহজেই পাওয়া যায়, খুশকি সারানোর জন্য এটা খুবই ভাল। রসুনের পেস্ট বানিয়ে চুলে অধঘন্টা লাগিয়ে রাখুন পরে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, December 8, 2014

শীতেও কোমল ঠোঁট পেতে চাইলে!

শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়া, চামড়া ওঠা সাধারণ ব্যাপার। এর ফলে ঠোঁটের স্বাভাবিক কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। এসব সমস্যা সমাধানে বাজারে পাওয়া যায় নানা ধরনের লিপজেল, চ্যাপস্টিক, লিপগ্লস ইত্যাদি। তবে এসব ঠোঁটের জন্য কতটা উপকারী? কিভাবে শীতের রুক্ষ আবহাওয়াতেও ঠোঁটকে কোমল রাখা যায়। আসুন দেখে নিই এক নজরে।




ঠোটের বিশেষ যত্নঃ দুধ, মধু ও গোলাপের পাপড়ির পেস্ট তৈরি করে রাতে ঠোঁটে লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে লিপজেল লাগান। এই ম্যাসাজ এক দিন পর পর করা ভালো। এতে ঠোঁট নরম ও কোমল থাকবে। তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়।

এ ছাড়া শীতে ঠোঁটের কোমলতা ধরে রাখতে যা করতে পারেনঃ
 গোসলের আগে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
 শীতে ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে উপকারী হচ্ছে গ্লিসারিন ব্যবহার।
 কিছুক্ষণ পর পর চ্যাপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। লিপজেলও ব্যবহার করতে পারেন।
 পার্টিতে লিপস্টিক ব্যবহার করলে অবশ্যই তার ওপর লিপগ্লস ব্যবহার করতে হবে।
 বাজারে কিছু কালার চ্যাপস্টিক পাওয়া যায়। পার্টিতে কালার চ্যাপস্টিক ব্যবহার করলেও তার সঙ্গে লিপগ্লস ব্যবহার করতে হবে। না হলে মেকআপের টানে এবং শীতের রুক্ষতায় ঠোঁট শুকিয়ে যাবে।
 শীতে ঠোঁটের কোমলতার জন্য চ্যাপস্টিক, লিপজেল, অলিভ অয়েল, গ্লিসারিন, লিপগ্লস ইত্যাদি যা-ই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়।
 কখনোই নিজে নিজে চামড়া ওঠানো যাবে না। এতে ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরা শুরু হবে এবং ফাটা দাগ বসে যেতে পারে। চ্যাপস্টিক, লিপজেল ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের ফাটা চামড়া নরম হয়ে এমনিতেই উঠে যাবে।
 প্রতি রাতে বিট অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগালে কালো দাগ দূর হতে পারে।
 ঠোঁটে ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মাখন লাগানো যেতে পারে, যা ত্বক ফাটা দূর করে ও নরম রাখে।

শুষ্ক ঠোঁটের প্রতিকারঃ
 ভালো মানের লিপস্টিক অনেক সময় ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে। এ ক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
 টুথপেস্টের কারণেও অনেক সময় ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। এ রকম হলে টুথপেস্ট বদলে ফেলুন। সাদা রঙের টুথপেস্ট সাধারণত ঠোঁটের জন্য ভালো ।
 সাবান ও ফেসওয়াশ ঠোঁটে লাগাবেন না।
 সূর্যমুখীর তেল শুষ্ক ঠোঁটের জন্য ভালো। এটি দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ভ্যাসলিন লাগাতে ভুলবেন না।
★ শুষ্ক ঠোঁটে কখনোই ম্যাট লিপস্টিক লাগাবেন না।
 ঠোঁটের লিপস্টিক তুলতে তুলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, December 2, 2014

শুষ্ক ও ফাটা চুল বড় করার ৭টি পরামর্শ!

চুল বড় করে তোলা হয়তো সময়ের ব্যাপার। কিন্তু চুলকে সুন্দর, ঝরঝরে আর পরিপুষ্ট অবস্থায় রাখাটা বেশ কঠিন। যাদের চুলের অবস্থা ভলো নয় এবং উস্কোখুস্কো, তারাও চুল বড় করে তুলতে পারেন। তবে কিছু বিষয়ে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমনঃ-


১. শ্যাম্পু বদলে ফেলুনঃ চুলের অবস্থা বাজে হলে শ্যাম্পু বদলে দেখুন পার্থক্য হয় কিনা। অনেকের চুলে সব শ্যাম্পু স্যুট নাও করতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু বদলানোর কারণে চুলের চেহারা বদলে যায়। এভাবে বার বার শ্যাম্পু বদলে চুলের জন্য মানাসসই শ্যাম্পু খুঁজে নিতে পারেন।

২. তাপ এড়িয়ে চলুনঃ শুকনো আর ফাটা চুল বড় করতে হলে তাপ এড়িয়ে চলতে হবে। চুল আয়রন করবেন না। স্ট্রেইট করা থেকে আপাতত বিরত থাকুন। চুল বড় করে তারপর একটি ব্যবস্থা করা যাবে।

৩. ভিটামিন খানঃ যদি চুলের জন্য প্রতিদিনই মাল্টিভিটামিন খেয়ে থাকেন, তার সঙ্গে যোগ করুন ফোলিক এসিড ও বায়োটিন। এতে মাথার খুশকি দূর হবে এবং স্কাল্পের ত্বক পরিপুষ্ট মনে হবে।

৪. হেয়ারকাটঃ একটি সুন্দর পছন্দের চুলের কাট দিয়ে দিন। সেই চুলটিকে বড় করতে থাকুন। কোনো কাটিং ছাড়া এমন শুকনো চুল দেখতেও ভালো লাগে না। তাই একটি সুন্দর হেয়ারকাট দিয়ে চুল বড় করুন।

৫. হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুনঃ চুলের শুষ্কতা দূর করতে হলে তাদে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে মলিনভাব দূর হয়ে যাবে। এ ছাড়া ফাটা চুলও কিছুটা সুস্বাস্থ্য ফিরে পেতে পারে। দুই-তিন দিন পর পরই সাধারণ কন্ডিশনার অথবা সপ্তাহে একদিন ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।

৬. খাবার বদলে ফেলুনঃ খাবারের ওপর যে চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে তা আমরা প্রায়ই ভুলে যায়। তাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিজপূর্ণ একটি বারগার খাওয়ার আগে চুলের কথা ভেবে দেখবেন। ভিটামিন ই-যুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

৭. পানি খানঃ পানি শুধু দেহকেই সুস্থ রাখে না, চুলের বৃদ্ধির জন্যও বেশ কার্যকর। তাই নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি খান।


[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Friday, November 28, 2014

শীতে দ্রুত চুল বৃদ্ধি করার ৪টি পদ্ধতি!

শীতে অনেকেরই চুলে দেখা যায় খুশকি। ফলে চুল পড়ে যায়। চুল যেন খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে সে জন্য নিচে কিছু টিপস দেয়া হল। চলুন জেনে নিইঃ-


নিয়মিত চুল ছাটাঃ 
চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর পর চুল ছাটাই করা উচিত। এতে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। শিকড় থেকে যখন চুল বেড়ে ওঠে আস্তে আস্তে নিচের দিকে তা ফেটে যায়। ফেটে যাওয়ার ফলে তা আর বাড়তে পারে না। তাই ধীরে ধীরে তা পড়ে যেতে থাকে। ছাটাইয়ের ফলে চুল প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় এবং দীঘল কালো হয়ে বেড়ে ওঠতে থাকে।

গরম তেল ম্যসেজ করুনঃ 
এক সপ্তাহ পরপর মাথায় গরম তেল ম্যসেজ করলে আপনি অবিশ্বাস্য ফলাফল পাবেন। এতে করে শুধু আপনার চুল বৃদ্ধিই পাবে না বরং আপনার চুলকে করবে ঘন এবং চুল পড়া বন্ধ করবে। আপনার চুলের উপযোগী তেল ব্যবহার করে আপনি পেতে পারেন ভালো ফলাফল।

চুলে প্রোটিন দিনঃ 
ভিটামিন  ক্যাপসুল বাজারে পাওয়া যায়। সপ্তাহে একবার চুলে ভিটামিন  ক্যাপসুল এবং ডিমের সাদা অংশ ম্যাসাজ করলে চুল হয়ে ওঠে আরো ঘন ও উজ্জল। এতে করে চুল গোড়া থেকে হয় শক্ত।

রাতে চুলের যত্ন নিনঃ 
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে অন্তত ৫০ বার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো উচিত। এতে করে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল পড়া বন্ধ করে। চিরুনীর পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, November 23, 2014

শরীলে ছৌদ বা ছুলি রোগ কেন হয়?

ছইদ বা ছুলি (Tinea Versicolor) আমাদের দেশে একটি পরিচিত ত্বকের রোগ। সাধারনত জনসংখ্যার ৮-১০% এতে আক্তান্ত হয়ে থাকে, যুব বয়সীরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। গরম এবং আদ্র আবহাওয়া এর জন্য অনুকূল পরিবেশ। হাল্কা চুল্কানি এবং দেখতে খারাপ ছাড়া খুব একটা বেশি জটিলটা এ রোগে হয় না।


✽ কি কারণে হয়?
মেলাসেযিয়া (Malassezia) নামের এক ধরনের ইসট/ছত্রাক (yeast) এর কারন। মেলাসেযিয়া আবার কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। এরা ত্বকে কোন প্রকারে অসুবিধা না করেই পরজীবী হিসেবে অবস্তান করে এবং ত্বক নিঃসৃত তেল ও মৃত ত্বকের কোষকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে। কিন্তু গরম ও ঘর্মাক্ত ত্বকের কারনে এদের অতিরিক্ত ব্রিধি ঘটে, যার কারনে এরা রোগের সৃষ্টি করে।

✽ কোথায় হয়?
শরীরের বুক, পিঠ, গলা এবং হাতে বেশি দেখা দিয়ে থাকে। কোন কোন সময় বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে মুখেও দেখা দিতে পারে। কেমন দেখতে ছোপ ছোপ আকারে গোলাকার কিংবা একসাথে মিশে থাকতে পারে। রং অন্যান্য স্থানের
চেয়ে হাল্কা বা খয়েরি বা গোলাপি হয়। অনেক সময় আঁশের মত আবরন থাকে। সাধারনত যাঁদের ত্বক গাড় বর্ণের তাদের ক্ষেত্রে হাল্কা এবং ফর্শাদের গোলাপি বা খয়েরি রঙের হতে পারে। আক্তান্ত স্থানে হাল্কা চুল্কানি অনভুত হতে পারে।

✽ প্রতিরোধঃ
গরমে শরীরে ঘাম ও তেল নিঃসরিত হয়ে থাকে, যা মেলাসিযিয়ার বংশ বিস্তারে অনুকুল। গোসল এবং সাবান ব্যাবহারের মাধমে ঘাম ও তেল দূর করতে হবে।

✽ চিকিৎসাঃ
এ ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার অনেক কার্যকারী।

মনে রাখবেন এ রোগ ছাড়াও ত্বকের আরও অনেক রোগে একই ধরনের রঙ পরিবরতন হয়ে থাকে, কাজেই সময় মত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করে সুস্থ জীবন জাপন করুন, ধন্যবাদ।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, November 16, 2014

শীতে আগাম ত্বকের যত্ন!

সন্ধ্যা মিলাতে না মিলাতেই শিরশিরে ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। ভোরবেলার রোদে পাওয়া যায় হিমেল গন্ধ। এ সবই শীতের আগমনীবার্তা। আর কদিনের মধ্যে রাতারাতি পড়ে যাবে ঠাণ্ডা। আর শীতকাল মানেই খসখসে ত্বক। শীতকালে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক বাতাসে ত্বক ফাটে। ঘরের ভেতর এবং বাইরের তাপমাত্রায় পার্থক্য থাকার কারণে ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য নষ্ট হয়। ত্বক নিষ্প্রভ দেখায়। তাই শীত আসার আগেই যত্ন নিতে শুরু করুন ত্বকের।


★ নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুনঃ আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এ সময়টাতে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক লাগে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। তবে কেমিক্যালযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। মাইল্ড ফেসওয়াস দিয়ে ঈষদুষ্ণ পানিতে মুখ ধোবেন। থার্মাল শকের হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে সপ্তাহে অন্তত দু দিন সোপ-ফ্রি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ক্রিম ক্লিনজারও ব্যবহার করতে পারেন।
★ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখুনঃ আবহাওয়ার তারতম্যে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুবই জরুরি। পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ভেজা মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। সারাদিন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে থাকতে চাইলে ব্যবহার করুন ওয়াটার বাইন্ডিং ময়েশ্চারাইজার। এটা ঠাণ্ডা বাতাস থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। ক্রিমের মতো ঘন ময়েশ্চারাইজার ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণ ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।
★ ত্বক নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করুনঃ শীত পুরোপুরি পড়ার আগেই ত্বকের ওপর মরা কোষ জমতে থাকে। তাই ত্বক নিষ্প্রভ, অনুজ্জ্বল দেখায়। স্ক্র্যাবিং করলে মরা কোষ ঝরে যায়। ত্বক বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। ত্বকের ভেতর ময়েশ্চারাইজার ভালো মতো প্রবেশ করতে পারে। ছোট ছোট দানাযুক্ত স্ক্র্যাবার ব্যবহার করলে ত্বক রুক্ষ হবে না। অ্যালকোহল বেসড টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
★ হাত ও মুখের চামড়া সব সময় বাতাসের সংস্পর্শে থাকে বলে বেশি ভঙ্গুর। হাতের ত্বকের অবস্থা আরও করুণ। কারণ, হাতের চামড়ায় তরল সরবরাহের গ্রন্থি কম থাকে। তাই হাতের জন্য বিশেষ ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
★ বেশি গরম পানিতে গোসল করবেন না। অবশ্য শীতকালে একটু বেশি গরম পানিতে গোসলের মজাই আলাদা। কিন্তু এতে চামড়ার শুষ্কতা বাড়ে। তাই কুসুম গরম পানিতে গোসল করাই ভালো।
★ পানি খাবেন বেশি করে। কিন্তু মনে করবেন না যে সেই পানি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করবে। বেশি পানি খেলে চামড়া বেশি সতেজ থাকবে, এমন ধারণা ভুল। আসলে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পানি খেতে হবে। শরীর ঠিক তো সব ঠিক!
★ পায়ে গ্লিসারিন মাখুন। রুক্ষতা কাটাতে এর জুড়ি নেই।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Wednesday, June 4, 2014

মাথার চুল পরার কারন ও প্রতিকার!

চুল পরা হালকা থেকে সম্পূর্ণ টাক অবধি হতে পারে অনেক করাণে চুল পরতে পারে বড় অসুখ থেকে সেরে ওঠার পরে চুন পরে যেতে পারেসার্জারির পরেমায়েদের সন্তান প্রসব করার পরে কখন কখন এটা হয় অল্প স্বল্প চুলতো পরেই তবে টাক পরে যাওয়াটা স্বাভাবিক নয়


কারনঃ
✬ ঔষধের প্রতিক্রিয়াঃ ঔষধের কারণে হঠাৎ চুল পরে যেতে পারে এবং সারা মাথার চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে অসুখ হওয়ার কারণে শারীরিক অসুস্থতার কারণে চুল পরতে পারে যেমন থাইরয়েড হলে (হাইপোথাইরয়েডিসম বা হাইপারথাইরয়েডিসম)সেক্স হর্মনের ব্যালান্স নষ্ট হলে বা নিউট্রিশানের অভাবে আইরনজিঙ্কবা/ও টিনের অভাবে যারা খাবার খুব মেপে বা বেছে খায় বা যে সকল মহিলাদের খুব বেশি রজঃস্রাব হয়
✬ মাথায় ফাংগাল ইনফেকসান হলে মাথার কোন অংশে টাক পরে যেতে পারে ফাংগাল ইনফেকসান হলে এই কারণেই অনেক সময়ে বাচ্চাদের কোন কোন অংশে চুল পরে যায়
✬ বংশগত টাক পরার ধাত ছেলেদের চুল পরার একটা ধরণ আছে (প্রথমে মাথার সামনে তার পর মাথার মাঝখান) এটা বেশির ভাগ পুরুষদের হয় এবং এটা অল্প বয়সেই শুরু হতে পারে এটা তিনটি কারণে হতে পারেবংশগতহর্মনের জন্য বা বয়স বাড়ার ফলে মহিলাদের চুল পরা সামনে থেকে না হয়ে মাথার মাঝখান থেকে শুরু হয়

উপসর্গঃ
রোজ 50 থেকে 100 টা চুল পরা স্বাভাবিক এর থেকে বেশি পরলে চিন্তার বিষয় পাতলা চুল হলে টাক দেখা যায় বেশি করে

নিবারণ করাঃ
চুল পরা কিছু মাত্রায় কমানো যায় ঠিক ঠাক প্রয়োজনীয় খাবার খেলেচুলে ব্যবহার করা তেল,সাবান ঠিক করে বাছলে এবং চুল পরা বন্ধ করে এমন ঔষধ খেয়ে ফাংগাল ইনফেকসান হলে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে কারোর সাথে চিরুনিটুপি অদলবদল করা যাবে না বংশগত চুল পরা চিকিত্সার মাধ্যমে সারানো যায়

কোন খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য একান্ত প্রয়োজনঃ
✬ গাঢ় সবুজ সবজি। এতে রয়েছে Vit-A, vit-C যা Natural Conditionar 'এর কাজ করে গাঢ় সবুজ শাক। এতে আছে Vit-E বিভিন্ন ধরনের Been যেমন-শিমের বিচীমটর শুটিবরবটি ইত্যাদি এগুলো প্রোটিনের ভালো উৎস আরও আছে Iron, Zinc, Biotin  Biotin চুল ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে
✬ বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন- কাঠ বাদামকাজু বাদামআখরোট এগুলো Natural Conditionar 'এর কাজ করেতবে দৈনিক ১ মুঠের বেশি নয়)
✬ চুল প্রোটিন দ্বারা তৈরী  তাই খাবার তালিকায় প্রথম শেনীর প্রোটিন রাখতে হবেযেমন-মুরগীডিম
✬ লাল চাললাল আটা অর্থাৎ Whole grain খেতে হবে। এতে Zinc, Iron, Vit-B পাওয়া যায়
✬ Low fat দুধ  এতে Calcium আছেযা চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশকীয় উপাদান Protein তো আছেই
✬ গাজর। Vit-Aএর ভাল উৎস প্রতিদিন Snacks /Salad হিসেবে খাবার তারিকায় রাখুন
✬ তিসি (Flax seed) চুলের জন্য ভীষণ উপকারী মোটা গুড়া করে ১ চাচমচ পরিমান প্রতিদিন খাওয়া উচিত। (এতে omega -3 fatty acid আছে)
✬ সূর্যমূখীর বীচি চুলকে মজবুত ও ঝলমলে করতে দারুন ভাবে কাজ করেDry roast করে ১মুঠ পরিমান খেতে পারেন লক্ষ্য করুন: সূর্যমূখীর বীচি মশলার দোকান থেকে কিনবেন গাছ/ফুলের চারার দোকান থেকে কিনবেন নাওগুলোতে কীটনাশক দেয়া থাকে
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ]

Tuesday, March 18, 2014

সাধারণ উপাদানে ত্বকের পি এইচ পুনরদ্ধার!

প্রথমে আমাদের জানা দরকার ত্বকের পি এইচ কী? 

পি এইচ বা পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন হল কোন একটি পদার্থের এসিডিক বা এলকালীর পরিমাপ। ০-১৪ পর্যন্ত মাপের স্কেল দ্বারা এটি পরিমাপ করা হয়। মানুষের ত্বকে সেবামের পি এইচ সাধারণত ৪.৫ থেকে ৫.৫ পর্যন্ত থাকে। যা স্কেল অনুযায়ী এসিডিক। 



এই ন্যাচারাল স্কিন এসিডিটি ত্বককে ফাঙ্গাস আর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে আর আমাদের ত্বক রাখে স্বাস্থ্যজ্জ্বল। কিছু কিছু স্কিন প্রোডাক্ট এই ন্যাচারাল পি এইচ ব্যাহত করে। আমাদের ত্বক স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমণ এবং পরিবেশগত চাপ সহ্য করার ক্ষমতার অধিকারী কিন্তু আন ব্যালেন্সড pH এর মাত্রা দ্বারা এসব কর্মকাণ্ড প্রভাবিত হয়। 

আমাদের ত্বকের পৃষ্ঠতলে একটি পাতলা, প্রতিরক্ষামূলক স্তর আছে, যাকে এসিড ম্যাণ্টেল বলা হয়। এই এসিড ম্যাণ্টেল সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে নির্গত সেবাম (ফ্রি ফ্যাটি এসিড) দ্বারা গঠিত হয়। এটি আবার ঘামের ল্যাকটিক এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের সাথে মিশ্রিত হয়ে ত্বকের জন্য pH তৈরী করে। 

আপনার ত্বক ওয়াটার প্রুফ থাকার জন্য এবং সংক্রমণ প্রতিহত করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল প্রয়োজন। এই তেল আমদের শরীরেই উৎপন্ন হয়। তেলের পরিমাণ খুব সামান্য হলে ত্বক শুষ্ক এবং অকালে রিংকেল দেখা দিতে পারে। আবার খুব বেশি পরিমাণ তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হতে পারে। বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ কারণে ত্বকের পি এইচ ভারসাম্যহীন হয়ে যেতে পারে। 

আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বক আম্লিক হয়ে যায় আবার আমাদের জীবনধারা এবং আমাদের পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার (ধূমপান, বায়ু, জল, সূর্য, দূষণ) সংস্পর্শে ত্বক নিজেকে রক্ষার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এখন চলুন দেখা যাক কিছু ফেস মাস্কের বদৌলতে ত্বকের পি ইচ কীভাবে পুনরদ্ধার করবেন।

টমেটো মাস্কঃ
১টি টমেটোর পাল্প, ১ প্যাকেট জেলাটিন, ১ টেবিল চামচ কমলার রস। এই উপাদান গুলোকে গরম করুন তারপর মসৃণ একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে অ্যাপ্লাই করে শুকানোর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টমেটো ত্বকের প্রাকৃতিক পি এইচ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং ব্লেমিশের জন্য চমৎকার প্রাকৃতিক প্রতিকারক। উপরন্তু জেলাটিন মুখের ত্বক দৃঢ় করতে সাহায্য করে এবং কমলার রস ত্বককে এক্সফলিয়েট করে।

টক দইয়ের মাস্কঃ 

১ টেবিল চামচ পাকা কলার পেস্ট এবং ১ টেবিল চামচ টক দই নিন। এটি ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে অ্যাপ্লাই করুন। এই দুটি উপাদানই ত্বকের জন্য একদম জাদুর মত কাজ করে। কলাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ, পটাসিয়াম এবং খনিজ পদার্থ একটি সুস্থ ত্বক সুনিশ্চিত করে। আবার দইয়ে আছে আলফা হাইড্রক্সি এসিড, এটি ত্বকের pH এর ভারসাম্য পুনঃস্থাপনে সাহায্য করে।

লেমন মাস্কঃ 

আধা কাপ লেবুর খোসা এবং লেবুর পাতা পানিতে ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। এর সাথে ওটস মিশিয়ে পানিটি ছেঁকে ঠাণ্ডা করতে রাখুন। আরেকটি বাটিতে বেসন, লেবুর রস, ছেঁকে রাখা পানিটি মিশিয়ে একটি ফেস মাস্ক বানিয়ে ফেলুন। মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে নিন তারপর গুঁড়ো করুন। এবার এই চূর্ণ দিয়ে ত্বক উপযোগী ফেস মাস্ক তৈরী করা হবে। আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়ে থাকে তবে আধা চা চামচ কমলার খোসা চূর্ণের সাথে ১ চা চামচ লেবুর খোসা চূর্ণ, বেসন, লেবুর রস এবং টক দই মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। প্রথমে মাস্কটি দিয়ে মুখ হালকা ম্যাসেজ করবেন তারপর শুকানোর জন্য ১৫ মিনিট অপেক্ষা করবেন। এসময় কারও সাথে কথা বলবেন না। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।

এসব মাস্ক ছাড়াও আরও কিছু খাদ্য আছে যা আপনার ত্বকের পি এইচ সমতা রক্ষা করতে সাহায্য করে এমনকি এসব খাদ্য আপনার ত্বককে ক্লিনও করে।

পানিঃ 

পানিতে ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য আছে আর যখন কোন কিছু ক্ষারীয় হয়, তখন এটি আপনার শরীরে্র বাড়তি অ্যাসিড প্রতিরোধ করে। এসিডের উপস্থিতি ব্যক্তির pH এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান আপনার pH এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

লেবুঃ 

লেবু আম্লিক কিন্তু এটি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ক্ষারীয় আকার ধারণ করে। শুধু লেবু নয় সব ধরণের সাইট্রাস জাতীয় ফল আপনার pH এর মাত্রা কম করতে সাহায্য করবে।

কাজুবাদামঃ
 

কাঁচা কাজুবাদাম আপনার ত্বকের pH এর সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তবে একটি অঙ্কুরিত কাজুবাদামে পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি পরিমাণে থাকে এবং আপনার ত্বক এর pH এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ 

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পুরো দেহের Ph এর সমতা রক্ষা করতে সহায়তা করে। যার শরীরে Ph এর মাত্রা কম সে খুব তাড়াতাড়ি যে কোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং দেহে শক্তি অনেক কম থাকে। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার প্রতিদিন খেলে দেহে শক্তি সঞ্চয় হয়।

রসুনঃ 

রসুন বিভিন্ন রোগের জন্য মহৌষধ স্বরূপ এবং ত্বকে pH এর ভারসাম্য বজায় রাখতে এর অবদান অনস্বীকার্য। আপনি প্রতিদিন রসুন এবং একটি কাঁচা লবঙ্গ খেলে আপনার ত্বক এবং চেহারা স্বাস্থ্যজ্জ্বল হতে বাধ্য।

শাক-সবজিঃ 

দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ত্বকের পি এইচ রক্ষা করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক খাবারই আছে যা আমাদের শরীরে প্রবেশের পূর্বে এসিডিক থাকে কিন্তু হজমের পর পরই তা আ্যালকালাইনে পরিণত হয়। একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ Jeannette Graf এর মতে আমাদের আম্লিকের থেকে ক্ষারীয় খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন, নতুবা অভ্যন্তরীণ ভাবে আমরা অনেক বেশি আম্লিক হয়ে পড়বো। তার মানে আমাদের প্রচুর পরিমাণে এল্কালাইজিং খাদ্য যেমন সবুজ শাক-সবজি, লেবু , টমেটো, গাজর, সয়াবিন গ্রহণ করতে হবে।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Thursday, February 6, 2014

শ্যাম্পু করার সময় মনে রাখবেন যে ৫টি জরুরি বিষয়ঃ

প্রতিদিন ধুলোবালি, কালো ধোয়ায় ও মাথার ত্বকের তেলে চুল ময়লা হয়ে যায়। ফলে চুল শ্যাম্পু করতে হয় নিয়মিত। নিয়মিত সবাই শ্যাম্পু করলেও অনেকেই এটা জানেন না যে শ্যাম্পু করারও আছে কিছু নিয়ম কানুন। আর এই নিয়ম গুলো না জানার কারণে শ্যাম্পু করার পরেও ঠিক মত চুল পরিষ্কার হয় না অনেকেরই।




আসুন জেনে নেয়া যাক শ্যাম্পু করার ৫টি টিপসঃ-



শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নিনঃ

অনেকেই ভাবছেন যে শ্যাম্পু করার আগে আবার চুল আঁচড়ে নেয়ার কি আছে! শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নিলে চুল বেশ নরম ও কোমল হয়। এরপর শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নিলে নিজেই বুঝতে পারবেন পার্থক্যটা।


শ্যাম্পুর সাথে পানি মিশিয়ে নিনঃ

শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর সাথে পানি মিশিয়ে নিন। এরপর সেটাকে মাথায় দিয়ে ভালো করে ঘষুন। শ্যাম্পুর সাথে পানি মিশিয়ে নিলে শ্যাম্পুর ক্ষতিকর কেমিকেল চুলের ক্ষতি কম করে এবং প্রচুর ফেনা তৈরী হয় বলে চুল ভালো করে পরিষ্কার হয়।


দুইবার শ্যাম্পু করুনঃ

যখন শ্যাম্পু করবেন তখন একবারের বদলে দুইবার শ্যাম্পু করুন। কারণ প্রথম বার শ্যাম্পুতে চুলের ধুলা, ময়লা ও মাথার ত্বকের তেল মোটামুটি ভাবে পরিষ্কার হয়। আর দ্বিতীয়বার শ্যাম্পু করার সময় সেটা পুরোপুরি পরিষ্কার হয় এবং চুল ঝরঝরে হয়।


হালকা গরম ও ঠান্ডা পানির ব্যবহারঃ 

চুলে শ্যাম্পু করার আগে চুল খুব হালকা গরম পানি দিয়ে একবার ধুয়ে নিন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার সময় কখনই গরম পানি ব্যবহার করা উচিত না।


মাথার তালুতে কন্ডিশনার লাগাবেন নাঃ

শ্যাম্পু করার পর চুলের রুক্ষতা দূর করার জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে গিয়ে মাথার তালুতেও লাগিয়ে ফেলে। মাথার তালুতে কন্ডিশনার লাগিয়ে ফেললে চুলের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যাবে। এছাড়াও চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে অন্তত ২ মিনিট রাখুন। তাহলে চুল কোমল হবে।


[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Saturday, December 7, 2013

ব্রন, মুখে এসব ব্রনের দাগের জন্য চিন্তায় কাটাচ্ছেন!

সত্যিই তাই! কিশোর বয়সে ব্রন হওয়াটা এক অনিবার্য বিড়ম্বনাই বটে। কিশোর-কিশোরীরা এ সময়টা যেন একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে। লজ্জায় যেন মুখ লুকাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু চাইলেই কি এ বিব্রতকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়? এ যে এই বয়সের অনিবার্য ঘটনা। রুখবে কে আর তারে? কাজেই ভাগ্যের এই অমোঘ পরিণতিকে সহজেই মেনে নিয়ে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে যথাসম্ভব বেঁচে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর সেই করণীয় কিছু জানাতেই আজকের এ প্রসঙ্গের অবতারণা।


কেন এমন হয়?
আগেই বলেছি কিশোর বেলাটা এমনই একটা ক্রান্তিকাল যে সময়টা হচ্ছে শৈশবকালের শেষ আর যৌবনের উঁকি দেয়ার মাঝের বিশেষ এক সময়। আর এই সময়টাতেই কিশোর-কিশোরীদের দেহাভ্যন্তরে চলে বিশেষ বিশেষ কিছু পরিবর্তন। সবচেয়ে বেশি যে ব্যাপারটা ঘটে তা হলো হরমোনের উদ্দীপনা। তারই একটি লক্ষণ হলো এই ব্রন।

মূলত এন্ড্রোজেন, প্রজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন নামক যৌন হরমোনের উদ্দীপনার জন্য এটা হয়। এর ফলে ত্বকের নিচে সিবাসিয়াস নামক গ্রন্থি থেকে সেবাম নামক এক প্রকার সাদা জেলির মতো পদার্থ নিঃসৃত হয়। এই সেবাম ত্বকের নিচে অবস্থান করে বিধায় ব্রনগুলো উঁচু উঁচু ঢিবির মত দেখায়। তবে যার যত বেশি সেবাম নিঃসৃত হবে তার ততোধিক মাত্রায় ব্রন দেখা দেবে। কারণ হরমোনের উদ্দীপনা ব্যক্তিবিশেষে কমবেশি হতে পারে। এ ছাড়া ত্বকের নিচে এক ধরনের ইনফেকশনের কারণেও সিবাসিয়াস গ্রন্থির উত্তেজনার কারণে ব্রন হতে পারে।

কিছু রোগের কারণেও ব্রন দেখা দিতে পারে। যেমন মোটা হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, শরীরে লিপিডের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। আবার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণেও হতে পারে। বংশগত কারণেও কারো কারো আবার ব্রন খুব বেশি মাত্রায় হতে পারে।

এ ছাড়াও অতিরিক্ত কসমেটিকস ব্যবহারে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়েও ব্রন হতে পারে। আবার কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াজনিত কারণেও ব্রন হতে দেখা যায়। সে রকম ওষুধগুলো হলো- স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ, খিচুনিনাশক ওষুধ, ঘুমের ওষুধ ইত্যাদি। এ ছাড়া চকলেট, ক্যান্ডি, চিপস, বাদাম সফট্ ড্রিংকস, তৈলাক্ত খাবার ইত্যাদি গ্রহণের ফলেও ব্রনের আধিক্য দেখা দিতে পারে।

ত্বকের উজ্জ্বাল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রন। মুখে এসব ব্রনের দাগের জন্য চিন্তায় কাটাচ্ছেন। চিন্তার কোন কারণ নেই। 

ব্রন থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করুন, দেখুন আপনি অনেক ভাল থাকবেনঃ
— প্রথম ও পূর্বশর্তই হলো সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। বিশেষ করে মুখমণ্ডল ধৌতকরণ প্রণালীটা ভালোভাবে জানতে হবে ও অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মুখের ত্বককে বেশি তৈলাক্ত বা বেশি শুষ্ক হতে দেয়া যাবে না। সে জন্য দিনে অন্তত দুইবার নন-মেডিকেটেড নরম সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার করার সময় হাতের আঙুলের মাথা দিয়ে বৃত্তকারভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সাবান দ্বারা মুখ পরিষ্কার করতে হবে আলতোভাবে। মুখে বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না। আবার মুখের ব্রণ যখন তখন নখ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা না করাই ভালো, তাতে মুখের ওপর দাগ পড়তে পারে।
—  ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।
— বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
— ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এই কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান।
— কোল ড্রিংকস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।
— আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।
— খুব বেশি পরিমাণে পানি খান। দিনে যদি দু লিটার পানি খেতে পারেন তা আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে। পানি বেশি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে পিত্ত বেরিয়ে যাবে। আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
— আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।

ব্রনের দাগ দূর করতে ভেষজ পদ্ধতিঃ
— কমলা লেবুর ছাল শুকিয়ে গুড়ো করে নিন। মুসুরির ডাল আর চাল ভিজিয়ে ভালো করে পিষে নিন। ওই পেস্টের মধ্যে চন্দন পাউডার, মুলতানি মাটি, কমলা লেবুর ছালের গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে দুই চামচ দুধও মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পরে ধুয়ে নিন। এই প্যাকটা নিয়মিত মুখে লাগান। ত্বকের জেলা বাড়বে। ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে।
ব্রন দূর করবে নিম

— চার-পাঁচটা নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মূলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে ওর মধ্যে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।

ব্রন সমস্যাকে খুব সহজ ঘরোয়া উপায়ে মেটানো সম্ভবঃ
এর জন্যে পরিস্কার আটার সাথে কিছুটা পরিমান মধু, পাতিলেবুর রস এবং বাদাম বাটা মিশিয়ে নিন৷ এবার এই মিশ্রনটিকে প্রতিদিন মুখের প্রলেপের মতন করে লাগাতে থাকুন৷ কয়েক সপ্তাহ ধরে এই নিয়ম মেনে চললে আপনার ব্রন সমস্যা একেবারে কমে যাবে৷

নিজেই তৈরী করুর ব্রনের ঔষুধঃ
এটির নাম নিম পাতার প্যাক। এটি মেখে আপনি খুব সহজে ব্রন থেকে পরিত্রান পেতে পারেন। আসুন জেনেনেই কিভাবে এটি তৈরী করা যায়।

৫ থেকে ৭ টি নিমপাতা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এখন নিমপাতা গুলিকে ভালো করে পিষে নিন। এর সাথে এক চামচ পরিমান মূলতানি মাটি ও সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ব্যাস। হয়ে গেল নিমপাতার প্যাক। এখন আপনার তৈরীকৃত প্যাকটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১ ঘন্টা পর সামান্য গরম পানি দিয়ে প্যাকটি তুলে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করুন। আশা করি ব্রন থেকে মুক্তি পাবেন।

 আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Wednesday, November 20, 2013

Chicken Pox বা জল বসন্ত!

আমাদের দেশে চিকেন পক্সের খুব বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। জলবসন্ত বা চিকেন পক্স একটি খুবই ছোঁয়াচে রোগ, ভেরিসেলা জোস্টার নামের ভাইরাস এর জন্য দায়ী। ছোটবড়, নারি-পুরুষ ভেদে সকল বয়েসিরাই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন তবে শিশুদের মধ্যে আক্তান্তের হার বেশি হয়ে থাকে।


কিভাবে ছড়ায়?
কাশি-হাঁচি, এমনকি ত্বকের সংস্পর্শে এলেও অন্যরা এতে আক্রান্ত হতে পারে। রোগটি ছড়াতে শুরু করে ত্বকে গুটি দেখা দেওয়ার দুদিন আগে থেকেই। আর ছড়াতে থাকে যদ্দিন না সব কটি গুটি শুকিয়ে যায়। তাই আক্রান্ত রোগী অনেক সময় নিজে বুঝে ওঠার আগেই রোগ ছড়াতে থাকে।

লক্ষণঃ
= আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার ১০-২১ দিনের মধ্যে এ রোগের লক্ষন প্রকাশ পেয়ে থাকে। 
= ত্বকে ফুস্কুড়ি প্রকাশ পাওয়ার ২-৩ দিন পূর্বেই জ্বরের ভাব হয়,শরীরে বেথা অনুভূত হয়ে থাকে। পেটে বেথা হতে পারে। 
= ফুস্কুরিতে চুলকানি ও জ্বালা-পোড়া অনুভূতি হতে পারে। 
= ফুস্কুরিতে পরবর্তীতে পানি আসে এবং সবশেষে শুকনো কাল বর্ণের খোসা তৈরি হয়ে থাকে।
= এ রোগ এর স্থায়িত্ব ১৫-৩০ দিন হতে পারে।

চিকিৎসাঃ
ভাইরাস জাতিও রোগ বিধায় এ রোগের কোন চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না। সাবধানতা অবলম্বন করলে কদিন পর এমনিতেই ভাল হয়ে যায়। তবে লক্ষণ অনুসারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা যায়। যেমন জ্বর ও চুলকানির তীব্রতা কমানোর জন্য ওষুধ দেয়া যেতে পারে।

জটিলতাঃ 
আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় শ্বাসনালীর সংক্রামণ,পাতলা পায়খানা ইত্যাদি দেখা দিয়ে জীবনহানির কারন হতে পারে। ত্বকে ব্যাকটেরিইয়া জনিত সংক্রামণ হতে পারে। সংক্রামণ পরবর্তীতে ত্বকে গর্ত থেকে যেতে পারে।

প্রতিরোধঃ
= আক্রান্ত রোগীকে পৃথক করার মাধ্যমে এ রোগের সংক্রামণ অনেকাংশেই কমানো যায়।
= শিশুকে এ রোগের প্রতিরোধক ওষুধ দিন।

সতর্কতাঃ
= আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন। জলবসন্তে মাছ-মাংস নিষেধ বলে ভুল ধারণা প্রচলিত আছে,বরং এগুলো বেশি খেতে দিন।
= ত্বকের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। সম্ভব হলে প্রতিদিন গোসল করান। 
= গোসল শেষে বেশী চেপে মুছতে যাবেন না। বাতাসে শুকিয়ে নিন।
= ত্বকের ফুসকুড়ি খুঁটবেন না, এগুলো স্বাভাবিকভাবেই শুকাবে। হালকা আরামদায়ক সুতির কাপড় পরান। 
= চুলকানি কমাতে ওলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
= শিশু, গর্ভবতী নারী, ডায়াবেটিক ও ক্যানসার রোগী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, এমন রোগীর ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিন। কারন এদের জলবসন্ত থেকে মারাত্মক নিউমোনিয়া বা অন্যান্য জটিলতা হতে পারে।
= বাচ্চাদের চিকেন পক্স হলে কখনোই এসপিরিন খাওয়াবেন না। এটি থেকে অন্য একটি রোগ Reye's Syndrome এর উদ্ভব হতে পারে। এই রোগ থেকে শিশুর লিভার, ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমনকি মৃত্যু ও হতে পারে।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Tuesday, November 19, 2013

মাথার উকুন দূর করার উপায়!

মাথার চুলে উকুন হওয়া একটা খুবই বিড়ম্বনার ব্যাপার। দেখা গেলো আপনি খুব সুন্দর করে চুল আঁচড়ে খোপা বেঁধেছেন, তারপর দেখলেন উকুনের কারণে একটু পর পর মাথা চুলকাতে হচ্ছে কি লজ্জার ব্যাপার বলুন তো। বাজারে উকুন নাশক শ্যাম্পু পাওয়া যায় কিন্তু অনেকের চামড়া খুব সেনসেটিভ হওয়ার কারণে এসব শ্যাম্পু ব্যবহার করলে কেমিক্যাল রিএকশান হয়ে উলটা আরও চর্ম রোগ দেখা দিতে পারে । তাই আসুন জেনে নেই মাথার উকুন দূর করার কিছু উপায়!




উকুন কিভাবে হয় বা ছড়ায়?
উকুন সাধারণত শিশুদের মাধ্যমে বেশি ছড়ায়। এক শিশুর জামা কাপড়, চুল থেকে আরেক শিশুর মাথায়, কাপড়ে উকুনের ডিম ছড়াতে পারে। যেসব শিশু স্কুলে পড়ে তাদের ক্ষেত্রে এরকম বেশি হয়। উকুন আছে এমন কেউ যদি কোথাও মাথা লাগিয়ে বসে তখন তার মাথা থেকে উকুনের ডিম সেখানে লেগে যেতে পারে। তারপর ঐ এক-ই স্থানে অন্য কেউ মাথা রাখলে তার মাথায়-ও উকুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেমন বড় বড় সোফা গুলোতে আমরা মাথা সোফার সাথে লাগিয়ে বসি বেশির ভাগ সময়। এক-ই সুইমিং পুল বা এক-ই পুকুরের পানির মাধ্যমে উকুন ছড়াতে পারেনা। কারণ উকুন সাঁতার পারেনা। একজনের মাথার সাথে আরেকজনের মাথা লেগে থাকলে সেক্ষেত্রে উকুন ছড়াবে। যেমন- সন্তানের মাথায় উকুন থাকলে মায়ের মাথায় আসবেই। এক-ই চিরুনি, তোয়ালে ব্যবহারের মাধ্যমেও ছড়ায়।

উকুন দূর করার উপায়ঃ
-> সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে নিট কম্ব (উকুনের ডিম পরিষ্কারের জন্য চিরুনি) ব্যবহার করা। এই চিরুনি নিউমার্কেট সহ যে কোন দোকানেই পাওয়ার কথা। চুল গুলো কে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে প্রথম ১ সপ্তাহ দিনে ৩ বার করে চুল আঁচড়াবেন। ১ সপ্তাহ পরে শুধু রাতে আঁচড়াবেন। ফলে উকুনের ডিম এবং একদম নতুন যে উকুন রয়েছে মাথায় সেগুলো দূর হয়ে যাবে। নিট কম্ব ব্যবহার করার পরে তা অবশ্যই ১০/১৫ মিনিট চুলায় রাখা গরম ফুটন্ত পানিতে রাখতে হবে আর নাহলে ৩০ মিনিট ভিনেগারে চুবিয়ে রাখতে হবে।



-> চুল ভালো মত আঁচড়ে নিন। এরপর কন্ডিশনার দিন চুলে। কিছুক্ষণ চুলে এভাবে কন্ডিশনার রেখে দিন। যেহেতু কন্ডিশনার খুব পিচ্ছিল তাই বড় উকুন গুলোর চুলের সাথে আটকে থাকা বা চলা ফেরা করা খুব-ই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এবার নিট কম্ব দিয়ে আঁচড়ে নিলে উকুন আর চুলের সাথে লেগে থাকতে পারবেনা।



-> ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল ২ টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস ২ টেবিল চামচ নিমপাতার রস উপরের সব গুলো উপাদান এক সাথে মিশিয়ে অথবা ব্লেনড করে তারপর মাথার চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগান। এই ভাবে সপ্তাহে যদি ২ বার চুলের যত্ন করেন ভেষজ উপায়ে তাহলে আপনি মুক্তি পাবেন যন্ত্রণা দায়ক উকুন থেকে।

-> ১০/১২ টি রসুনের কোয়া পেস্ট করে নিন। সাথে ২/৩ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার আধা ঘণ্টা পেস্ট টি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। চুলে লাগানোর দরকার নেই। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করতে হবে।

-> শ্যাম্পু করার আগে একবার আর শ্যাম্পু করার পরে আরেকবার অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে পুরো চুল ভিজিয়ে নিন। অথবা চুল ভিনেগার দিয়ে ভালো ভাবে ভিজিয়ে ৩/৪ মিনিট রেখে দিন। এইটুকু সময় শুকনো তোয়ালে দিয়ে চুল আলতো ভাবে মাথার উপর উচু করে বেঁধে রাখবেন। ৩/৪ মিনিট পর নিট কম্ব দিয়ে আঁচড়ে নিন।

-> চুল বার বার শ্যম্পু করলে উকুন দূর করা যায় না বরং এতে তাদের লাভ হয়। বার বার শ্যাম্পু করার ফলে মাথার ত্বকের তেল ধুয়ে চলে যায়, ফলে রক্ত নিতে উকুনের আরও বেশি সুবিধা হয়।

-> যে কোন ফেইসওয়াশ চুলে লাগান। এরপর একবার চুল আঁচড়ে নিন অতিরিক্ত ফেইসওয়াশ দূর করার জন্য। এখন হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিন। এর ফলে উকুন নিঃশ্বাস নিতে পারবেনা। কিন্তু এই পদ্ধতি রাতে করলে ভালো কারণ চুলে ফেইসওয়াশ প্রায় ৮ ঘণ্টার বেশি রাখতে হবে যেহেতু উকুন নিঃশ্বাস না নিয়ে প্রায় ৮ ঘণ্টার মত বেঁচে থাকতে পারে। সকালে চুল ধুয়ে ফেলবেন। আর সাথে অবশ্যি বালিশের কাপড়, বিছানার চাদর গরম পানিতে ধুয়ে ফেলবেন। এটা প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন করতে পারেন উকুন মারার জন্য।

কখন ডাক্তার দেখাবেনঃ
প্রায় সব ক্ষেত্রেই ঘরোয়া চিকিৎসাতেই উকুন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন যদিঃ-

১. যদি আপনি ত্বকে ঘটিত চুলকানির কোন কারণ না পান; কেননা অন্যান্য গোটা বা সংক্রামক রোগের লক্ষণের সাথে উকুন ঘটিত খোস-পাচড়ার লক্ষণের মিল দেখা যেতে পারে।
২. যদি আপনার দেহে খোস-পাঁচড়ার কোন লক্ষণ দেখা যায়|
৩. যদি সেরে ওঠার পর আবারও আপনি এই রোগে আক্রান্ত হোন|
৪. যদি আপনার ক্ষতগুলো সংক্রামিত হতে শুরু করে এবং সে ক্ষতস্থান থেকে তরল নিসৃত হয়।
৫. যদি আপনার চোখের পাপড়িতেও উকুনের ডিম বা নিক পাওয়া যায়|
৬. যদি শিশু বা ছোট বাচ্চা এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়|
৭. যদি চুলকানির প্রকোপে আপনি অতিষ্ট হয়ে ওঠেন|
৮. যদি আপনার শরীরে গোটা ওঠে কিংবা চিকিৎসার জন্যে ব্যবহার্য শাম্পু ব্যবহারের পর যদি আপনার অবহা আরও খারাপ হয়।

সতর্কতাঃ
-> কখনো নিজের চিরুনি, বালিশ, হেয়ার ব্যান্ড, তোয়ালে, কাপড় ছাড়া অন্যেরটা ব্যবহার করবেন না।
-> সপ্তাহে এক দিন বালিশের কাভার গরম সাবান পানিতে ধুবেন।
-> নিট কম্ব আর সাধারণ চিরুণি সব সময় পরিষ্কার করবেন। ভিনেগারে আধা ঘণ্টা করে চুবিয়ে রাখলে ভালো।
-> উকুন এবং খোস-পাঁচরার দমনে যে রাসায়নিক দ্রব্যগুলোর ব্যবহার চলছিল, সেগুলো ইদানিং আর ব্যবহার করা উচিত নয়, কেননা এগুলো নিউরোটক্সিন বা বিষাক্ত এবং এগুলো আপনার মধ্যে অন্যান্য সমস্যারও উদ্রেক করতে পারে। তাই ডাক্তারের কাছে বিকল্প কোন পদ্ধতি অবলম্বনের বিষয়ে পরামর্শ নিন।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।