Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Wednesday, October 28, 2015

অতিরক্তি দুধ পান থেকে সাবধান!

সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকাল জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দুধ নিয়ে স্বাস্থ্য ঝুকিঁর কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, বেশি দুধ পান করলে নারীদের হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিওপেরোসিস- এর সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং পুরুষেরা হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়তে পারেন৷


চিকিৎকদের ভাষ্যঃ ভগ্ন ও দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য বরাবরই বেশি করে দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা৷ কিন্তু ব্রিটিশ মেডিকাল জার্নাল তাদের গবেষণায় দেখেছে ভিন্ন রূপ৷ এ বছরের অক্টোবরে একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত দুধ স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়৷

ঝুঁকিঃ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অতিরিক্ত দুধ পান করলে অল্প বয়সে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷ এছাড়া নারীদের হাড় ভাঙা, হাড় দুর্বল হয়ে পড়া বা অস্টিওপেরোসিস-এর প্রবণতা বাড়ে৷

গবেষণাঃ সুইডিশ গবেষকদের একটি দল ৬১ হাজার নারীদের ওপর এই পরীক্ষা চালিয়েছিলেন, যাদের বয়স ৩৯ থেকে ৭৪ বছর৷ ২০ বছর ধরে চলেছিল এই গবেষণা৷ তার সঙ্গে ৪৫ হাজার পুরুষকে ১১ বছর ধরে পরীক্ষা করা হয়েছিল, যাদের বয়স ৪৫ থেকে ৭৯ বছর৷এরা সবাই অতিরিক্ত দুধ খেতেন৷

পরীক্ষার ধরনঃ দুধ পানের পাশাপাশি তাদের ব্যাক্তিদের জীবনযাপনের ধরন নিয়েও পরীক্ষা করা হয়েছে৷ সেই ভিত্তিতে দেখা গেছে, অতিরিক্ত দুধ একটি রিস্ক ফ্যাক্টরহিসেবে কাজ করেছে৷ গবেষণা চলাকালীন (২০ বছর ধরে চলা) ২৫,৫০০ জন মারা গেছেন এবং ২২,০০০ জন হাড় ভেঙেছেন৷

কী পরিমাণ দুধ পানে ঝুঁকিঃ গবেষণায় দেখা যায়া, প্রতি ১,০০০ জনের মধ্যে ১৮০ জন দিনে তিন গ্লাসেরও বেশি দুধ পান করতেন৷এরা ১০ বছরের মধ্যেই মারা যান৷ এছাড়া যে নারীরা দিনে দুই গ্লাস বা তার চেয়ে বেশি দুধ পান করেন, তাদের হাড়ের ক্ষয়রোগের আশঙ্কা যারা দিনে এক গ্লাস দুধ পান করেন তাদের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি৷ পুরুষের ক্ষেত্রেও বেশি দুধ পানে প্রায় একই রকম আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেন গবেষকেরা৷

দুধের গুণাগুণঃ দুধ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি-১২ সহ নানান পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ৷ ব্রিটেনের সরকারি স্বাস্থ্য পরামর্শে বলা হয়ে থাকে, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে প্রায় ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় এবং দুধ এই ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস৷

পরিমিত দুধ পানঃ নিয়মিত এবং পরিমিত দুধ পানে হাড়ের ক্ষয়রোগ বা অস্টিওপেরোসিস দূর হয় এবং স্তন ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে৷

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, September 13, 2015

প্রতিদিন একটি আমলকীর ২০টি উপকারিতা!

আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য সবচাইতে উপকারি ভেষজের মাঝে একটি। এটি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং আছে দারুণ সব উপকার।


প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে খান একটি করে আমলকী। কিংবা আমলকীর আচার। খেতে পারেন আমলকীর মোরব্বা কিংবা আমলকীর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়। এই সামান্য আমলকী আপনার দেহের করবে বিস্ময়কর সব উপহার।

কীভাবে জানতে চান?
আসুন জানি প্রতিদিন একটি আমলকী খাওয়ার ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে:-

✭ আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
✭ এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
✭ আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
✭ এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু'বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
✭ আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।
✭ প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
✭ আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।
✭ আমলকী চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যালযা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
✭ এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।
✭ আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
✭ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।
✭ কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।
✭ ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
✭ শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।
✭ এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।
✭ শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
✭ লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
✭ এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র্যাডিকালস।
✭ সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।
✭ ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

 [আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Wednesday, July 15, 2015

সবুজ আপেল খাওয়ার ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা!

আপেলের গুনাগুন সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এই সুস্বাদু ফল আমাদের সবারই খেতে কমবেশি ভালো লাগে এবং নারী-পুরুষ সবার জন্যই আপেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি।

ডাক্তারদের মতামত অনুযায়ী প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না খুব একটা। আপেল সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে, লাল ও সবুজ। লাল আপেলের গুণাবলি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু সবুজ আপেলের বিশেষ গুণগুলো সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই ধারনা নেই। তাই চলুন আজ জেনে নিই আমাদের দেহের সুস্থতায় সবুজ আপেলের গুনাবলি সম্পর্কে কিছু তথ্য।

সবুজ আপেলে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবারঃ সবুজ আপেলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপদান হল ফাইবার, যা সবুজ আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণে। সবুজ আপেলের এই ফাইবার উপাদান আমাদের পেটের যে কোন সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে ও পরিপাক প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে হতে সহায়তা করে।

কোলন ক্যানসার রোধ করেঃ সবুজ আপেলের ফাইবার উপদান আমাদের দেহকে কোলন ক্যানসার রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে।

ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেইঃ সবুজ আপেল আমাদের পেটের সুস্থতায় অনেক সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া সবুজ আপেলের মধ্যে কোন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই যা আমাদের দেহের জন্য খারাপ। তাই আপনি নিশ্চিন্তে ডায়েট করতে পারেন সবুজ আপেল খেয়ে।

কোলেস্টেরল মাত্রা খুব কমঃ বলাই হয়েছে কে সবুজ আপেলে কোন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই এবং যতটুকু আছে তাও মাত্রায় খুব কম। যেহেতু সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার উপাদান আছে তা দেহের কোলেস্টেরল মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।

সহজেই হজম হয়ঃ আপনি খুব ভারী কোন খাবার খেয়েছেন। চিন্তা করছেন হজম হবে কিনা ঠিকমত। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই ,আপনি একটি সবুজ আপেল খেয়ে নিন। কারণ সবুজ আপেলে আছে এনজাইম উপাদান যা খুব দ্রুত খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে।

লিভার ও নালীর সমস্যা রোধ করেঃ সবুজ আপেল আমাদের দেহের লিভারের যে কোন সমস্যা দূর করে ও পাশাপাশি খাদ্য নালী, পরিপাক নালী ও অন্যান্য নালীর সমস্যা দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ করেঃ সবুজ আপেল ডায়রিয়ার সমস্যা রোধ করে ও পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য ও বাতের সমস্যা দূর করে এবং বদ হজমের সমস্যাও দূর করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহঃ সবুজ আপেলে আছে ফ্লেভনয়েড ও পলিফেনল যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। আর এই উপদান দুটি আমাদের দেহের DNA এর ক্ষতি রোধ করে এবং ক্যানসারও রোধ করে।

ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করেঃ সবুজ আপেলের জৈব এসিড উপাদান আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখে। তাই যদি আপনার বার বার ক্ষুধা লেগে থাকার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সবুজ আপেল খেয়ে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন।

দেহে শক্তি বৃদ্ধি করেঃ সবুজ আপেল আমাদের দেহে শক্তি যোগায়। সবুজ আপেলের অন্যতম উপদান কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারি। বিশেষ করে যারা খেলাধুলা করেন, কঠোর পরিশ্রম করেন তারা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ আপেল অবশ্যই রাখুন। 

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, July 12, 2015

জেনে নিন আদর্শ ওজন!

আমরা কোনো কিছু না ভেবে শুধু দেখেই কাউকে মোটা বা চিকন বলে থাকি। আসলে কিন্তু ব্যাপারটি মোটেই তা নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই নির্ণয় করে কাউকে রোগা বা মোটা বলা হয়ে থাকে। উচ্চতার সাপেক্ষে প্রতিটি মানুষের আছে একটি আদর্শ ওজন। ধারনা করা হয় যে ওজন যদি এই আদর্শ মাত্রায় থাকে, অর্থাৎ এর চাইতে বেশি বা কম না হয়ে থাকে, তাহলে মানুষটি সুস্থ দেহের অধিকারী। এবং রোগ বালাই হবার সম্ভাবনা কম।


আদর্শ ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তির ওজন কিলোগ্রামে মাপা হয় এবং উচ্চতা মিটারে মাপা হয়। এবার ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকে বলে বিএমআই। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে স্বাভাবিক। ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্যবান বা অল্প মোটা, ৩০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে হলে বেশি মোটা। আর ৩৫-এর ওপরে হলে অত্যন্ত ও অসুস্থ পর্যায়ের মোটা বলা যেতে পারে।

অতিরিক্ত ওজন কিংবা অতি কম ওজন কারোই কাম্য নয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন বেঁটে কিন্তু মোটা, আবার অনেকে খুব লম্বা কিন্তু যেন তালপাতার সেপাই। এরকম অবস্থা মানে উচ্চতা অনুযায়ী তাঁদের ওজন ঠিক নেই।

আপনার ওজন বেশি না কম, নাকি তা ঠিকই আছে তা বুঝতে হলে জেনে নিন উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কতো-

উচ্চতা --- পুরুষ(কেজি) --- নারী(কেজি)
►৪’৭” ------ ৩৯-৪৯ ----- ৩৬-৪৬
►৪’৮” ------ ৪১-৫০ ----- ৩৮-৪৮
►৪’৯” ------ ৪২-৫২ ----- ৩৯–৫০
►৪’১০” ------ ৪৪-৫৪ ----- ৪১–৫২
►৪’১১” ------ ৪৫-৫৬ ----- ৪২-৫৩
►৫ফিট ------ ৪৭-৫৮ ----- ৪৩-৫৫
►৫’১” ------ ৪৮-৬০ ----- ৪৫-৫৭
►৫’২” ------ ৫০-৬২ ----- ৪৬-৫৯
►৫’৩” ------ ৫১-৬৪ ----- ৪৮-৬১
►৫’৪” ------ ৫৩-৬৬ ----- ৪৯-৬৩
►৫’৫” ------ ৫৫-৬৮ ----- ৫১-৬৫
►৫’৬” ------ ৫৬-৭০ ----- ৫৩-৬৭
►৫’৭” ------ ৫৮-৭২ ----- ৫৪-৬৯
► ৫’৮” ------ ৬০-৭৪ ----- ৫৬-৭১
► ৫’৯” ------ ৬২-৭৬ ----- ৫৭-৭১
►৫’১০” ------ ৬৪-৭৯ ----- ৫৯-৭৫
►৫’১১” ------ ৬৫-৮১ ----- ৬১-৭৭
►৬ ফিট ------ ৬৭-৮৩ ----- ৬৩-৮০
►৬’১” ------ ৬৯-৮৬ ----- ৬৫-৮২
►৬’২” ------ ৭১-৮৮ ----- ৬৭-৮৪

শরীর অতিরিক্ত রুগ্ন হলে দেখতে খারাপ তো লাগেই, সাথে চেহারায় দ্রুত বলিরেখা পড়ে। অতি রুগ্ন মানুষ অপুষ্টির শিকার। ফলে পুষ্টি জনিত নানাবিধ রোগ, যেমন- অ্যানিমিয়া বা রক্ত শুন্যতা, শারীরিক দুর্বলতা, নানান রকম চর্মরোগ ইত্যাদি হওয়ার প্রবল সম্ভাবন থাকে। অপুষ্টির শিকার হলে চুল পড়ে যাওয়া, দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়া, হাড় খয়ে যাওয়া সহ নানা রকম রোগ হতে পারে।

আবার শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার ফলে মানুষ মোটা হয় বা ভুঁড়ি হয়। ফ্যাট সেল বা চর্বিকোষ আয়তনে বাড়ে তখন শরীরে চর্বি জমে। পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে। অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য দেহে চর্বি জমে, আবার যে পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে বা দেহ যে পরিমাণ ক্যালরি পাচ্ছে সে পরিমাণ ক্ষয় বা ক্যালরি খরচ হচ্ছে না-এ কারণেও দেহে মেদ জমতে পারে। এগুলো শোনার বা জানার পর অনেকে হয়তো বলবেন, সঠিক পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের পরও ওজন বেশি। তাদের অভিযোগ সঠিক। বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে।

মদ্যপান, অতিরিক্ত ঘুম, মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে। বাড়তি ওজন কিংবা ভুঁড়ি নিয়ে অনেক সমস্যা। বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া রক্তনালিতে চর্বি জমে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাড়তি ওজন রক্তচাপেরও কারণ। ডায়াবেটিস টাইপ-২ দেখা দিতে পারে মেদ বৃদ্ধির জন্য। মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।

ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়। হাঁটুর সন্ধিস্থল, কার্টিলেজ, লিগামেন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আর্থ্রাইটিস, গেঁটে বাত এবং গাউট হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চর্বি থেকে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

সব মিলিয়ে বলা যায়, অতিরিক্ত কম ওজন বা অতিরিক্ত বেশি ওজন- দুটোই সুস্থতার বিপরীত। নিজের আদর্শ ওজন নির্ণয় করুন, এবং আপনার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ওজনকে আদর্শ অবস্থানে আনবার জন্য চেষ্টা করুন। কেবল সুন্দর থাকা মানেই ভালো থাকা নয়, সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাই সত্যিকারের ভালো থাকা।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Friday, July 3, 2015

যে ৬টি সমস্যা হয় ঘুমের অভাবে!

যে ৬টি সমস্যা হয় ঘুমের অভাবে একজন সুস্থ মানুষের জন্য কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুম হয় এমন মানুষদের এক-চতুর্থাংশ কার্ডিওভাসকুলার সমস্যায় ভোগেন। স্লিপজার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।


তাদের ধমনিতে রক্ত চলাচলে বাধা, দুর্বল বোধ করাসহ দুর্বল হার্টবিটের সমস্যা হতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়। হার্ভার্ড মেডিক্যার স্কুলের গবেষকরা জানাচ্ছেন ঘুমের সমস্যায় শরীরে যে ৭ ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তার বিষয়ে।

মস্তিষ্কঃ টানা তিন দিন ধরে দিনে ১৯ ঘণ্টা করে জেগে থাকলে মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে যাওয়া শুরু করে। পশুদের ওপর করা এই গবেষণায় এমন ফলাফল পাওয়া গেলেও বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও তাই হবে। এ সমস্যায় আলঝেইমার এবং ডেমেনশিয়া হতে পারে এমন প্রোটিনকে পরিষ্কার করতে পারে না মস্তিষ্ক।

রিফ্লেক্সঃ টানা ২৪ ঘণ্টা নির্ঘুম কাটালে মস্তিষ্কের কগনিটিভ মোটরের দশা এমন হয় যেনো মানুষটি অ্যালকোহল খেয়েছেন। এ সময় মধ্যম ক্যাফেইনযুক্ত এক কাপ কফি খেয়ে ২০ মিনিট ঝিমিয়ে নিন। লগবোরোহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় গাড়ি চালকদের এ সমস্যায় সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।

পাকস্থলীঃ যারা অভ্যাসগতভাবে দিনে ৫০ ঘণ্টা ঘুমান তাদের পাকস্থলীতে লেপটিন হরমোনের পরিমাণ ১৫.৫ শতাংশ কমে যায়। এটি আপনাকে ভরপেট অনুভব করতে সহায়তা করে এবং ফ্যাট সঞ্চয়ের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের গবেষণায় এসব তথ্য জানানো হয়।

কোমরঃ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, যারা রাতে মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমান তাদের বডি ম্যাস ইনডেক্স গড়ের চেয়ে ৩.৬ শতাংশ বেশি থাকে। তাদের মাঝে স্থূলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে কোমরে চর্বি জমে যায়।

রক্তচাপঃ যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের সিসটোলিক বিপি ১৩২-এ উঠে যায়। এর স্বাভাবিক মাপ ১২০ এর কম। ঘুমের অভাবে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় যাকে স্ট্রেস হরমোন বলা হয়।

অগ্ন্যাশয়ঃ রাতে গড়ে ৬ ঘণ্টা ঘুমের কারণে পুরুষদের ডায়াবেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভবনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ইয়েল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, April 26, 2015

ইসলামের দৃষ্টেতে হস্তমৈথুন!

আল্লাহ তাআলার দেয়া এ সুন্দর যৌবন কালটাকে ক্ষয় করার জন্য যে ব্যক্তি তার স্বীয় লিঙ্গের পিছনে লেগে যায় এবং নিজ হাত দিয়ে এটা চর্চা করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তার এ হাত পরকালে সাক্ষী দেবে যে, সে এ পাপ কোথায় কতবার করেছে- যা পবিত্র কালামে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়।


আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَىٰ أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُم بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ [٣٦:٦٥]
সেইদিন আমি তাদের মুখের উপর মোহর মেরে দেব, বরং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে, আর তাদের পা সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত সে-সন্বন্ধে। ” -(আল- কুরআন, ৩৬:৬৫)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
যে ব্যক্তি স্বীয় জিহ্বা এবং লজ্জাস্থান জামিন হবে আমি তার জাহান্নামের জন্যে জামিন হবো।” -(বুখারি, মিশকাত)

উক্ত হাদিস থেকে প্রমানিত হচ্ছে, মানব দেহের এ দুটো অঙ্গ অত্যন্ত দুর্বল ও বিপদজনক। এ দুটো অঙ্গের মাধ্যমে বিশেষ করে লজ্জা স্থানের মাধ্যমে পাপ করাতে শয়তানের জন্য খুব সুবিধা। এ দুটো অঙ্গের মাধ্যমে বেশীর ভাগ পাপ হয়ে থাকে। যদি কোন ব্যক্তি এ দুটো অঙ্গের হেফাজত করে, বিশেষ করে যুবক অবস্থায় লিঙ্গের হেফাজত করে অবয়িদ কোন প্রকারেই বীর্যপাত ঘটাতে চেষ্টা না করে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশের বিরাট সুযোগ পেয়ে যাবে।

অন্যত্র সহীহ হাদীস থেকে আরও প্রমানিত হয়ঃ
“(একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যুবকদের লক্ষ্য করে বলেন) হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখে, তাদের বিবাহ করা উচিত। কেননা বিবাহ দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। আর যে বিবাহের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখে না, তার উচিত (কামভাব দমনের জন্য) রোযা রাখা।” -(বুখারীমুসলিম, মিশকাত)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেনঃ
তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তাআলা নিজের দায়িত্ব মনে করেনঃ
(১) ঐ খতদাতা ব্যক্তি, যে তার খতের মূল্য পরিশোধের চেষ্টা করে। 
(২) সে বিবাহিত যুবক, যে চরিত্রের হিফাজতের উদ্দেশে বিবাহ করে। 
(৩) সে মুজাহিদ, যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।” -(হাসানঃ আত-তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত)

হস্তমৈথুন এমনই একটি কাজ যার অর্থ নিজেকে কলুষিত করা। এটা একটা জঘন্য কলুষ বা পাপ বোধযুক্ত কাজ। হস্তমৈথুন এমনই গোপনীইয় পাপ যা মানুষ চোরের মত চুপিসারে করে এবং প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করে।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেনঃ
উত্তম চরিত্র হল পু্ন্য। আর যে কাজ তোমার মনে খটকা সৃষ্টি করে এবং লোকের কাছে প্রকাশ হওয়াকে তুমি পছন্দ কর না, তা হল পাপ।” -(মুসলিম, মিশকাত)

অশালীন, অশোভনীয় ও অন্যায় কাজে মনে সঙ্কোচবোধ করার নাম হলো লজ্জা বা হায়া। যার লজ্জা নেই সে পারে হস্তমৈথুনে লিপ্ত হতে।

লজ্জা বা হায়া সম্পর্কে  রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
লজ্জাশীলতা কল্যাণই বয়ে আনে।”  -[বুখারী ও মুসলিম]

মুসলিমের এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছেঃ 
লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়।
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, March 9, 2015

কি ভাবে দ্রুত পেটের মেদ কমাবেন!

পেটের মেদ সাধারনত শরীরের অন্য কোন অংশের মেদের চেয়ে একটু আলাদাশরীরের  অন্য অংশের মেদ সাধারনত চামড়ার নিচে জমে থাকেতবে পেটের মেদ লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সাথে লেগে জমে থাকে, যা অনেক সময় প্রান ঘাতি হয়ে দেখা দিতে পারেপেটের মেদ এর সাথে হার্ট এর সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যা এর জোরাল সম্পর্ক খুজে পাওয়া যায়


আমরা অনেকেই পেট এর মেদ কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংশ পেশি এর  ব্যায়াম করে থাকিএর ফলে পেটের মাংশ পেশি এর টোন বা আকৃতি সুন্দর হলে ও পেটের মেদ কমাতে তা খুব একটা কাজে দেয় নাপেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়ামমনে রাখবেন, ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাল্কা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাংতে থাকেতাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমান চর্বি কমতে থাকবে

মনে রাখা প্রয়োজন, প্রথম দিন ই ৪০-৪৫ মিনিট জগিং শুরু করবেন নাএর ফলে আপনার শরীরে ব্যথা এসে যেতে পারে, ফলে আপনি পরবর্তীতে ব্যায়াম করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেনতাই প্রথম দিন ১০ মিনিট, পরের দিন ২০ মিনিট এভাবে সময় বাড়ান এবং ১ ঘণ্টা তে স্থির  থাকুনমনে রাখবেন, অতি দ্রুত ওজন কমানো গেলেও এতে হিতে বিপরিত হতে পারেওজন কমানোর মুল মন্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা

এখন বলে রাখি, শুধু ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহনে সতর্ক হতে হবেখাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ জাতিও খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুনচর্বি জাতিয় খাবার কম খানফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে

এটা তো বললাম জমান চর্বি কমানোর কথাএখন বলব, যাদের পেটে তেমন মেদ নেই তবে ধিরে ধিরে বেড়ে যাচ্ছে তারা কি করবেনসম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে যদি একজন বেক্তি মাত্র ১০ মিনিট আস্তে আস্তে হাঁটেন, তবে তার দেহে যে হরমন ও আঞ্জায়েম নিস্রিত হয়, তাতে সারা দিনে খাবারের সাথে গ্রহন করা সমস্ত অতিরিক্ত চর্বি রক্ত থেকে পরিস্রুত হয়ে যায় এবং দেহে জমতে পারে নাকেবল এই ১০ মিনিট হাটার কারনে যে পরিমান চর্বি জমতে বাধা পায়, তা যদি আমরা ব্যায়াম এর মাধ্যমে কমাতে চাইতাম, তার জন্য আমাদের ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা এক নাগারে জোরে দৌড়াতে হত

তাই নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ এই কমানো সম্ভব
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ।]

Wednesday, March 4, 2015

রসুনের গুনাগুন!

✽  যৌবনের প্রারম্ভ থেকেই যদি কেউ ১/২ চামচ কাচা আমলকির রসের সাথে ১/২ কোয়া রসুন বাটা মিশিয়ে খায়, বার্ধক্য দেরিতে আসে। যৌবনের সজীবতা অনেকদিন বজায় থাকে।


✽  বীর্য পাতলা হলে, অল্প গরম দুধের সাথে ২/১ কোয়া রসুন বেটে নিয়মিত খেতে হবে। এভাবে খেলে যক্ষার প্রতিশেধক হিসেবেও কাজ করে।
✽  অনেক খাওয়া দাওয়ার পর ও শরীর শুকিয়ে যেতে থাকলে ১/২ কোয়া রসুন বেটে এক পোয়া দুধে ফুটিয়ে খেলে ওজন বাড়বে।
✽  বাতের ব্যাথায় গাওয়া ঘি এর সাথে ২/৩ কোয়া রসুন বাটা খেতে হবে। তাছাড়া সরিষার তেলে রসুন ভেজে মালিশ করা যেতে পারে।
✽  অনেকদিন যাবত হাল্কা জ্বর থাকলে ৫/৭ ফোটা রসুনের রসের সাথে এক চামচ ঘি মিশিয়ে খেলে অল্পদিনেই ভালো হয়ে যায় (না হলে অবশ্যি ডাক্তার দেখাবেন)।
✽  দুই বা এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে একটু গরম দুধ খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, কৃমি দূর হয়, শরীরের জড়তা কাটে। তাছাড়াও চুলকানি ও রাতকানায় উপকার পাওয়া যায়।
✽  কুকুর কামড়ালে অবশ্যি ইঞ্জেকশন নেবেন। পাশাপাশি ২-৫ ফোটা রসুন এর রস অল্প দুধে মিশিয়ে খাবেন।
✽  এমফাইসিমা (এক ধরণের হাপানি যাতে শ্বাস ছাড়তে কষ্ট হয়) এর উপশমের জন্য ৫/৭ ফোটা রসুনের রস ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে রোজ খেতে হবে।
✽  বাচ্চার হুপিং কাশিতে পায়ের নিচে ভেসলিন এর প্রলেপ লাগিয়ে ২/৩ কোয়া রসুন বেটে লাগাতে হবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, February 28, 2015

রসুন খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায় !

অনেকের দেখা যায় অতিরিক্ত মাত্রায় শারীরিক মেলামেশা করার ফলে শুক্র সল্পতা দেখা দেয় অর্থাৎ শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায় এবং semen (বীর্য) পাতলা হয়ে যায়। আপনার শরীররে যদি শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায় তবে আপনি অনেক সময় সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হতে পারেন।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিয়নের কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক মসলা রসুন। কেননা সুস্থ semen (বীর্য) তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার।

যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune booster হিসাবে কাজ করে আর এটি অতিঅ সহজলভ্য সব্জী যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুব ই কার্যকরী৷

সেবন বিধিঃ 
প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ি হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন।

যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।

সাবধানতাঃ
যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, February 22, 2015

তরুণদের বিবাহে ভীতি!

পুরুষের বিয়ে ভীতি। শুনতে নিশ্চয়ই অবাক করার মত কথা। হ্যাঁ, আজকাল তরুণদের একটা বড় অংশের বিয়ে ভীতি রয়েছে। আর এই বিয়ে ভীতির কারণ অর্থ-বিত্তের অভাব, বেকারত্ব, শারীরিক অসুস্থতা, পাত্রী অপছন্দ, নতুন জীবনে পদার্পণ বা দাম্পত্য আতংক এসব কিছুই নয়।


বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত তরুণ-যুবকদের বৃহত্তর অংশ মনে করে তাদের জীবন শেষ হয়ে গেছে। তারুণ্য- যৌবনে শরীরের ওপর অত্যাচার- অবিচার, ক্ষেত্র বিশেষে মাদক সেবন এবং নারীর সংস্পর্শে এলে নিজের নিষ্ক্রীয়তার অভিজ্ঞতা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌন জীবন নিয়ে ভুল ধারণা এবং মানসিক সমস্যা এবং কিছু কিছু মেয়েদের অতিরিক্ত জ্ঞান তরুণদের বিয়ে ভীতির প্রধান কারণ।

অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা নেই তা বলা যাবে না। তবে ডাক্তারদের চেম্বারে আসা বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত তরুণদের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগেরই কোন শারীরিক সমস্যা নেই।

এছাড়া শতকরা যে ২০ ভাগের কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা অন্ততঃ ৫ ভাগের যৌন সমস্যা (ইম্পোর্টেন্স) রয়েছে। এ তথ্য আন্তর্জাতিক গবেষণা তথ্যের সঙ্গে সঙ্গাতিপূর্ণ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমাদের দেশের তরুণরা অধিক সুঠাম ও সক্ষম। তবুও তরুণদের বিয়ে ভীতি কেন। এসব তরুণদের কাছে চেম্বারে আমি পাঁচটি প্রশ্ন করে থাকি। কেমন করে তারা বুঝতে পেয়েছে তারা ফুরিয়ে গেছে বা শারীরিক যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এই ধারণার পিছনে কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে কি? শারীরিক শক্তি ফিরিয়ে কোন ওষুধ সেবন করেছে কি, ইত্যাদি ইত্যাদি।

তরুণ- যুবকদের বিচিত্র সব জবাব, অভিজ্ঞতা, এসব তুলে ধরার কোন ইচ্ছা আমার নেই। এছাড়া রোগীর গোপন তথ্য প্রকাশ মেডিক্যাল এথিকস অবমাননার পর্যায়ে পড়ে। তাই এসব নিয়ে দীর্ঘ বর্ণনার কোন ইচ্ছে নেই। তবে এ কথাটি সত্য, তরুণদের বিয়ে ভীতির কারণের পিছনে যেমন অজ্ঞতা, মানসিক সমস্যা এবং তরুণদের একটি বড় অংশের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেতিবাচক হওয়ায় (যার শতকরা ৯৯ ভাগ বিয়ের পর ঠিক হয়ে যায়) বিভ্রান্তি বাড়ছে। পাশাপাশি একশ্রেণীর তথা কথিত যৌন সমস্যা চিকিৎসক নাম ধারীদের অজ্ঞতা এবং ভুল চিকিৎসার কারণে তরুণদের যৌন ভীতি বেড়ে যাচ্ছে।

বিয়ে করেনি এমনসব তরুণদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেক্স স্টিমুল্যান্ট ট্যাবলেট দেয়া হয়। ফলে এসব তরুণরা মনে করে তাদের নিশ্চয়ই যৌন সমস্যা রয়েছে। এতে তরুণদের সাময়িক শারীরিক ফিটনেস বাড়লেও দীর্ঘ মেয়াদি মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে।

এমনকি একাধিক তরুণ অকপটে শিকার করেছেন ডাক্তারের দেয়া যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। এসব বিয়ে ভীতি বা যৌন ভীতিতে আক্রান্তদের বেশির ভাগের প্রায় একই মন্তব্য যতদিন ট্যাবলেট সেবন করেন ততদিন ভালো থাকেন। ওষুধ সেবন শেষ তো সবশেষ।

অথচ এসব তরুণের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগই শারীরিক ভাবে সুস্থ এবং কেবলমাত্র যথাযথ কাউন্সিলিং করতে পারলে কোন প্রকার যৌন উত্তেজক ওষুধ ছাড়াই তরুণদের বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব।

বাংলাদেশী রোগীদের শারীরিক বা যৌন সমস্যার চেয়ে মানসিক সমস্যাই বেশি। থাক এসব কথা। তরুণদের বিয়ে ভীতি আসলে মোটেও শারীরিক সমস্যার কারণে হয় না।

যৌবনে অধিকাংশ পুরুষই কিছু অনাকাঙ্খিত অভ্যাসের শিকার হয়। এর জন্য শরীরের যৌন শক্তি শেষ হয়ে যাবে এটা নিতান্তই ভুল ধারণা। শরীরে যৌন শক্তি নামে আলাদা কোন শক্তি নেই। শারীরিক সুস্থতা, সুঠাম দেহ, মানসিক প্রশান্তি থাকলে এবং পরস্পরের সুন্দর সম্পর্কও সমঝোতা থাকলে প্রাত্যহিক জীবনের অন্য সব কাজের মত দাম্পত্য জীবনও সুখের হতে পারে।

তাই বিয়ে ভীতির কারণে তরুণদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করা উচিত নয়। এছাড়া এজন্য অযথা ডাক্তারের চেম্বারে যাবারও কোন দরকার নেই।

তবে বিয়ের পর যদি কোন শারীরিক সমস্যা থাকে এবং এ কারণে স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশংকা তৈরি হয় তখন যেকোন সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। যদি ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে তা আবশ্যই চিকিৎসায় ভালো হয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা-ওষুধ ছাড়াই কাউন্সিলিং তরুণদের বিয়ে ভীতি দূর এবং বিবাহ পরবর্তী জীবন সুন্দর হতে পারে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Thursday, February 19, 2015

নখ ভাঙা রোধ করার ৭টি উপায়!

শখ করে একটু বড় করেছিলেন সাধের নখটা। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করেই ভেঙ্গে গেলো। একটা নখ ভেঙ্গে যাওয়া মানে হাতের বাকি ৪ আঙ্গুলের নখও কেটে ফেলতে হবে। ইশ, নখটা যদি একটু শক্ত হতো!


চাইলে খুব সহজেই নখ শক্ত করা যায়। নখে পর্যাপ্ত পুষ্টির যোগান দিলে এবং একটু যত্ন করলেই পাওয়া সম্ভব কাঙ্খিত শক্ত লম্বা নখ।

আসুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে নখ ভাঙ্গার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভবঃ

অলিভ অয়েল তেল এবং লেবু:- অলিভ অয়েল তেলকে হালকা গরম করে নিন তারপর নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। এতে আপনার নখ গুলো চকচকে হবে এবং এভাবে নিয়মিত করলে নখগুলো শক্তও হয়ে যাবে। নখ ভাঙ্গা রোধ করতে এবং নখ শক্ত করতে লেবুর বিকল্প নেই । ৩ চা চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নখে লাগান। এটি নখকে শক্ত করার সাথে সাথে নখের হলদে ভাব দূর
করে।

গ্লাভস পরুন:- রান্না-বান্না, তরকারী কাটা কিংবা হাঁড়ি পাতিল ধোয়া যাই করুন না কেন অবশ্যই গ্লাভস পরে নিবেন। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেয়া উচিত। এতে হাতে ময়লা লাগে না এবং নখে চাপ পরে না। তাছাড়া গ্লাভস পরে নিলে বারে বারে ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট ও ডিশ ওয়াসার লাগে না। ফলে নখ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

ময়শ্চারাইজ:- যখনই সময় পাবেন নখে পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।

অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার বন্ধ করুন:- সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দিন। এতে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

নিয়মিত নখ কাটুন:- নির্দিষ্ট সময় পর পর সামান্য পরিমাণে হলেও নখ ছোট করুন। নখের কোণা ধারালো হয়ে গেলে নেইল ফাইলার দিয়ে ফাইল করে নিন। নিয়মিত নখ কিছুটা ছোট করে নিলে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ভাঙ্গার প্রবণতা কিছুটা কমে যায়।

দাঁত দিয়ে নখ কামড়াবেন না:- দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর অভ্যাস থাকতে আজই ত্যাগ করুন। কারণ সব সময় দাঁত দিয়ে নখ কাটলে নখ দূর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়। তাই নখ ভাঙ্গা রোধ করতে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।

ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খান:- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে।

খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন নিয়মিত। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।

লবণ পানিতে নখ ভেজান:- সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা গরম পানিতে লবন মিশিয়ে নিয়ে আপনার নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ২০ মিনিট। এরপর ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন। সব শেষে শুকনো করে মুছে নিয়ে গ্লিসারিন বা ভেসলিন ম্যাসাজ করে নিন।

এক সপ্তাহ পর পর একবার এভাবে লবণ পানিতে নখ ধুয়ে নিলে নখের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং নখের ভঙ্গুরতা কমে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Friday, February 13, 2015

মোবাইল পকেটে রেখে যে ক্ষতির মুখে পুরুষরা!

মোবাইল পকেটে রেখে যে ক্ষতির মুখে পুরুষরা সাধারণত আমরা অধিকাংশ পুরুষ আমাদের সেল ফোনটি প্যান্টের পকেটে রেখেই চলা ফেরা করে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় বলেছে, যেসব পুরুষ সাধারণত তাদের প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখেন তাদের প্রজননের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যুক্তরাজ্যের এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছেন।


মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্ষতির বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানতে এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োসায়েন্সের গবেষক ফিয়োনা ম্যাথিউসের নেতৃত্বে একদল গবেষক ১০টি গবেষণার বিষয়ে বিস্তারিত রিভিউ করেন এবং এক হাজার ৪৯২টি নমুনা পর্যবেক্ষণ করেন।
  
গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয় এনভায়রনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনালসাময়িকীতে। গবেষণার বিষয়ে গবেষক ম্যাথিউস বলেন, সারা বিশ্বে প্রচুর মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবেশে এর উন্মুক্ত ব্যবহারে সম্ভাব্য ভূমিকাগুলো আরও পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। মোবাইল ফোনে সাধারণত যে উচ্চ তরঙ্গ ব্যবহার হয় তা মানুষের শরীরের জন্য এবং স্পর্শকারর অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।

ম্যাথিউস স্বীকার করেছেন, তারা যে গবেষণা করেছেন তাতে দেখা গেছে মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন শুক্রাণুর গুণগত মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিকলাঙ্গ হওয়া থেকে শুরু করে নানান শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। এটি সত্যি উদ্বেগ জনক।

এর আগে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যা বিষয়ক গবেষক নন্দিতা পালসহেটকার বলেছিলেন, মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এতে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও। এ ধরনের ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।


মোবাইল ফোনের তরঙ্গে শুক্রাণুর ক্ষতি বিষয়ক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরাও এ ধরনের তথ্য পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমরা পারমাণবিক রেডিয়েশনের কথা বলছি, তবে মোবাইলের ব্যবহার এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে মোবাইল ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে আমাদের শারীরিক ক্ষতির বিষয়ে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, February 9, 2015

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ভেষজ গুণ!

মানবদেহের জন্য যে ২২টা এমিনো এসিড প্রয়োজন তার ৮টি বিদ্যমান রয়েছে এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর মধ্যে।এছাড়াও ভিটামিন-A, C, E, Folic Acid, Choline, B1, B2, B3 (Niacin), B6, B12 রয়েছে।


এই ঘৃতকুমারীতে আরও রয়ছে ২০ রকমের খনিজ রয়েছে যথাঃ Calcium, Magnesium, Zinc, Chromium, Selenium, Iron, Sodium, Potassium, Copper, Manganese ইত্যাদি।

এলোভেরা/ ঘৃতকুমারীর উপকারীতাঃ

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ব্যবহার্য অংশ পাতা এবং পাতার শাঁস। 

★  ওজন কমাতে এলভেরাঃ এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর পাতার ভেতরের শাঁস পানির সাথে ভাল ভাবে নিশিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।
★  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়কঃ এলোভেরার জুস ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে, তাই ডায়বেটিক রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
★  পরিপাক তন্ত্রের সুস্থতাঃ পনিয়মিত এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর রস পানে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাছাড়া ডায়েরিয়া সারাতেও ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে।
★  ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে এবং শক্তিবর্ধকঃ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু উপাদান থাকে যা দেহে ক্লান্তি দুর করে ও শান্তি আনে। কিন্তু নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস সেবন শরীরের শক্তি যোগান সহ ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
★  রোগ প্রতিরোধকঃ যারা দীর্ঘকাল ফিব্রোমিয়ালজিয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল (WBC) গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
★  শরীরের দুষিত পদার্থ অপসারনেঃ দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণে ঘৃতকুমারীর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চাপে থাকি। এছাড়া চারপাশের দূষিত পরিবেশ এবং বিভিন্ন ফাস্ট ফুড গ্রহণের কারণে নিয়মিত পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করা দরকার। ঘৃতকুমারীর রস সেবনের ফলে শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের মিশ্রণ ও খনিজ পদার্থ তৈরি হয় যা আমাদেরকে চাপমুক্ত রাখতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
★  শরিরের ব্যথা ও প্রদাহ দূর করেঃ ঘৃতকুমারীর রস হাড়ের সন্ধিকে সহজ করে এবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া হাড় ও মাংশপেশির জোড়া গুলোকে শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ প্রশমনেও কাজ করে।
★  চর্ম রোগেঃ একজিমা ঘৃতকুমারী শাঁস প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক সপ্তাহ লাগালে চুলকানি খেকে আরাম পাওয়া যায়৷
★  কোন জায়গা যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে টাটকা পাতার শাঁস ঐ জায়গায় লাগলে চট্ জলদি আরাম পাওয়া যায়৷ ফলে ফোসকা পড়ে না এবং চামড়ার দাগ হয় না৷
★  ঘৃতকুমারী পাতার রস বিষাক্ত উপাদানের প্রতি বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে । এ জন্য চেহারা মেচেতার ওপর কিছু ঘৃতকুমারী পাতার রস রেখে দেয়, চেহারার ত্বক নরম হবে এবং কিছু ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় না । যদি আপনার মুখের মেচেতা খুব গুরুতর, তাহলে ঘৃতকুমারী পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান, প্রতিদিন দু’বার, প্রত্যেকবার ১০ মিলিলিটার, কার্যকরভাবে মেচেতা প্রতিরোধ করা যায়।
★  কোমরে ব্যথা হলে শাঁস অল্প একটু গরম করে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
★  ঘৃতকুমারীর একটি পাতা, মধু এ একটি ছোট শসা ছোট করে মিশিয়ে মাস্ক করে এবং মেচেতার ওপর রেখে দেন, চামড়ার ফুস্কুড়িও প্রতিরোধ করতে পারে।
★  এলোভেরার রস ব্রলের দাগ সারাতে খুবই উপকারী ভুমিকা রাখে। এ্যালোভেরা, বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রীতে ব্যবহার করা হয়। এর কাজ হচ্ছে ত্বকের লাবন্যতা ধরে রাখা ও চুলের পুষ্টি যোগান দেওয়া। 

এছাড়া গরমে প্রশান্তি দেয়া, প্লীহা, যকৃত, কৃমি, বাত সহ বহু রোগ ও খুধামন্দা, বদহজম এবং বারতি মেদ দুর করতে এর তুলনা নেই।

আশা করি এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গুনাগুন জেনে আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Thursday, January 29, 2015

কেন সন্তানকে যৌনস্বাস্থ্য শিক্ষা দিতে হবে?

বুকে হাত দিয়ে সত্যি করে বলুন তো, আপনি কেন এসেছেন এই লেখাটি পড়তে? শিরোনামের যৌনশব্দটিই কি আপনাকে টেনে এনেছে? উত্তরটি যদি হ্যাঁহয়, তাহলে বিব্রতবোধ করার দরকার নেই, এটাই স্বাভাবিক! আমাদের সমাজে যৌনবিষয়ক যেকোনো জিনিস ট্যাবু হিসেবে গণ্য করা হয়, যেখানে বিষয়টি আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। যৌনশব্দটি মাত্রই আমাদের কাছে নেতিবাচক, অথচ এটিই আমাদের টানে বেশি! যুগ যুগ ধরে যে মন-মানসিকতা আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে বহন করে আসছি, তা সহজে পাল্টে ফেলা সম্ভব নয়।


তবুও মানুষকে পাল্টাতে হয়, প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসে মানুষের মানসিকতায়। সব পরিবর্তনই নেতিবাচক হবে, তা কিন্তু নয়! কিছু পরিবর্তন ইতিবাচক কোনো কিছুর খাতিরেই করতে হয়। তবে কিছু কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা অনেকাংশেই পিছিয়ে থাকি। যেমন যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে। আমারা নিজেরা তো এসব বিষয়ে সতর্ক নই-ই, সতর্ক করি না আমাদের সন্তানদেরও। সত্যি কথাটি হলো, যৌনস্বাস্থ্য আমাদের জীবনের সাথে জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এই ব্যাপারে অজ্ঞতা থাকলে তা স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত করতে পারে।

একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর সন্তানকে যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা দেওয়া উচিত। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি অস্বস্তিকর মনে হলেও আপনার সন্তানের জন্যই তা মঙ্গলজনক। কারণ যখন যৌনশব্দটির সাথে স্বাস্থ্যজড়িয়ে থাকে, তখন তা পুরো জীবন, এমনকি বংশবৃদ্ধির সক্ষমতার সঙ্গেও সম্পর্কিত।

শিক্ষা দেওয়ার সঠিক সময়ঃ
যেকোনো অভিভাবকের জন্যই অস্বস্তিকর তার সন্তানের সঙ্গে যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক কথাবার্তা বলা। কিন্তু এটা সন্তানের মঙ্গলের জন্যই করা জরুরি। আপনি এবং আপনার সন্তান যাতে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি না হন, সেজন্য কথা বলার জন্য বেছে নিতে হবে সঠিক সময়। সন্তানকে এসব বিষয়ে তখনই বলতে হবে যখন তার বোঝার এবং অনুধাবন করার মতো বয়স হবে। বয়ঃসন্ধিকালই এর জন্য সঠিক সময়। যখন সন্তানের শারীরিক পরিবর্তনগুলো শুরু হবে, তখনই বলা উচিত। সাধারণত এ বিষয়ে মেয়ে সন্তানকে মায়েরা এবং ছেলে সন্তানকে বাবারা বুঝিয়ে থাকেন। তবে এটা জরুরি নয়। যদি বাবার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক বেশি সহজ থাকে, তাহলে মেয়েকে বাবাও বলতে পারেন। একই কথা খাটবে মা এবং ছেলের ক্ষেত্রেও।

কেন দেবেন?
সন্তানকে কেন যৌনস্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়া উচিত, তার পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। আগেও বলেছি, যৌনস্বাস্থ্য বিষয়টি মানুষের সুস্থ জীবনযাপনের সাথে জড়িত। এ বিষয়ে জ্ঞান থাকলে সম্ভাব্য নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

জেনে নিন এমনই কিছু কারণ, যা আপনার সন্তানের সারা জীবনের ওপর প্রভাব ফেলবেঃ-

✭ বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যাঃ বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের নানা রকম শারীরিক পরিবর্তন হয়। বিশেষ করে যৌন এলাকাগুলোতে। মেয়েদের শুরু হয় ঋতুস্রাব, ছেলেদেরও পুরুষ হয়ে ওঠার নানান লক্ষণ দেখা দেয়। এর ফলে তাদের মন-মানসিকতাতেও নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। অনেকেই তাদের এই শারীরিক পরবর্তনের কারণে বিব্রতবোধ করে। যৌনস্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে তারা এই সমস্যাগুলো সহজেই মোকাবেলা করতে পারবে। মেনে নিতে পারবে এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো।

✭ স্বাস্থ্য রক্ষাঃ সুস্বাস্থ্য রক্ষায় শারীরিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য। আর সন্তানকে যৌনস্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষা দিলে তার পক্ষে নিজের সঠিক পরিচর্যা করাটা সহজ হবে। এটা শুধু কৈশোরে নয়, বরং সারাজীবনের জন্যই সুফল বয়ে আনবে। কারণ এর সাথে সম্পর্কযুক্ত রয়েছে সন্তান উত্‍পাদন ক্ষমতা তথা বংশবৃদ্ধির ব্যাপারটি। স্বাস্থ্য রক্ষার সাথে যৌনস্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টিও জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে।

✭ শারীরিক ও মানসিক বিকাশঃ যৌনস্বাস্থ্য শিক্ষা শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও সহায়তা করে। জীবনে যৌনস্বাস্থ্য ঠিক রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আপনার সন্তান অনুধাবন করতে পারবে এবং সঠিকভাবে জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এছাড়া নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন হলে মানসিক বিকাশও যথাযথভাবে হয়। আপনার সন্তান নিজের দায়-দায়িত্ব নেওয়া শিখবে এখান থেকেই। কারণ তার যৌনস্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটি একান্তই তার নিজের দায়িত্ব।

✭ অনিয়মিত জীবন-যাপনঃ যৌনস্বাস্থ্য শিক্ষার আরেকটি সুদূরপ্রসারী সুফল হলো অনিয়মিত জীবনযাপন সম্পর্কে সতর্কতা। বিভিন্ন বাজে অভ্যাস, ধূমপান, ভুল খাদ্যাভাস যে যৌনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে এবং তা কতটা ক্ষতিকর হতে পারে, তা আপনার সন্তান যৌনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হলে তবেই না বুঝতে পারবে। তাই বিব্রত বা অস্বস্তিবোধ না করে সন্তানকে সঠিকভাবে শিক্ষা দিন।

✭ যৌনরোগ সম্পর্কে সচেতনতাঃ আপনার সন্তান যদি কৈশোরেই যৌনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক শিক্ষাটি পায়, তাহলে ভবিষ্যতে সে বিভিন্ন যৌনরোগ সম্পর্কেও সচেতন হবে। বিশেষ করে যেসব যৌনরোগ অপরিচ্ছন্নতার কারণে হয় সেসব সম্পর্কে আপনি নিজেও তাকে বলতে পারেন। আর যেসব রোগ যৌন সংসর্গের কারণে হয়, বড় হলে সে নিজে থেকেই এসব ব্যাপারে সতর্ক হবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, January 25, 2015

হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখার টিপস্ !

হৃদয় আর হৃৎপিন্ড এক জিনিস নয়বুকের ভেতর যে যন্ত্রটি আপনার সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে চলেছে সেটিই হৃৎপিণ্ডআর হৃদয় আপনার চিত্ততাই হার্ট ডিজিজ বলতে শুধুমাত্র হৃৎপিন্ডের রোগকেই বোঝায় নাহৃদরোগের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যও দায়ীঅতিরিক্ত মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ আর ডায়াবেটিসের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ


সুস্থতার জন্য দরকার সঠিক জীবনদৃষ্টি আর সচেতনতাখাবার ও জীবনযাপনে সচেতন হলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব!
১. প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে
২. মাছের ডিম, মগজ, পনির, ডিমের কুসুম, মাখন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন
৩. যদি প্রয়োজন না হয় পাতে বাড়তি লবণ নেওয়ার প্রয়োজন নেই
৪. দুধ খাবেনকিন্তু ননি তোলা দুধ ও দই খান
৫. বেশি বেশি মাছ খানমাছের তেলে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড
৬. লাল মাংস না খাওয়াই ভালো
৭. কখনোই মুরগির চামড়া খাবেন না
৮. শালগম, সয়াবিন, শুকনা শিমের বিচি ও মটরশুঁটি বেশি খাবেন
৯. ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার যেমন লেবু, আমলকী, কাঁচামরিচ, পেয়ারা বেশি খাবেন
১০. টিনজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
১১. টাটকা খাবার খান
১২. দেহের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
১৩. যতটুকু সম্ভব হাসুন
১৪. দুশ্চিন্তা উত্তেজনা নয়
১৫. সবার সঙ্গে গল্প করুন
১৬. গান গাইতে পারেন মনের আনন্দে
১৭. মজার বই পড়ুন
১৮. শারীরিক পরিশ্রম করুন
১৯. নিয়মিত ব্যায়ম করুন
২০. ধূমপান বর্জন করুন

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।