Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Showing posts with label হেলথ টিপস্. Show all posts
Showing posts with label হেলথ টিপস্. Show all posts

Friday, October 4, 2019

বয়স ধরে রাখতে ৭ উপায়!

মানুষের বয়সের ছাপ প্রথমে পড়ে মুখের ত্বকে। ত্বকে ভাজ পড়তে থাকে। ত্বক বুড়িয়ে যায়। ডাক্তারের কাছে না গিয়েও আপনি রাখতে পারেন ত্বক সৃন্দর সতেজ, যেখানে থাকবে না বয়সের ছাপ। এজন্য আপনাকে নূন্যতম সাতটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে।


এসব নিয়ম নির্দেশনা সমূহ হচ্ছে:

১. সূর্যের আলো ত্বকের ক্ষতি করে। তাই সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত সূর্যের আলো পরিহার করুন। প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর মধ্য মাত্রার সানব্লক ব্যবহার করুন।

২. ধূমপান ছেড়ে দিন। ধূমপানের ফলে ত্বকের মসৃণতা কমতে থাকে এবং ত্বক বুড়িয়ে যায়।

৩. ত্বকের পরির্চায় বা গোসলের সময় অতিমাত্রায় গরম পানি পরিহার করুন। অধিক ক্ষারযুক্ত সাবান পরিহার করুন। প্রতিদিন একটি ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করুন এবং প্রতিদিন ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

৪. স্বাস্থ্যসম্মত আহার করুন এবং খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, ফল রাখুন, প্রচুর পানি পান করুন। মাছ খান। রেডমিট পরিহার করুন, ভাত কম খান।

৫. সর্বোপরি মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন। মানসিক চাপ থেকে ত্বকে ভাজ পড়ে এবং ত্বকে বুড়িয়ে যেতে পারে। সর্বদা হাসি খুশি থাকতে চেষ্টা করুন।

৬. হঠাৎ রেগে গিয়ে কপাল কুচকাবেন না। প্রতিদিন কপাল কুচকাতে থাকলে কম বয়সে ত্বকে ভাজ পড়তে শুরু করে।

৭. প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। অন্তত সপ্তাহে পাঁচ দিন। উপরের এ সাতটি নিয়ম মেনে চললে অবশ্যই আপনার ত্বক সুন্দর, সজীব ও আকর্ষণীয় থাকতে সহায়ক হবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, August 27, 2019

ব্যায়ামের জানা-অজানা উপকারীতা!

আমরা সবাই বলি ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা উপকারী। কিন্তু কতটুকু উপকারী, তা অনেকেই জানি না। নিয়মিত ব্যায়াম করলে নানা রকম দীর্ঘ মেয়াদী রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়, ওজন কমানো যায়, ভালো ঘুম হয় আর মানসিক প্রশান্তি আসে।


নিচে ব্যায়াম করার বেশ কিছু উপকারীতা আপনাদের সাথে শেয়ার করলামঃ

ব্যায়াম মনকে চাঙ্গা করেঃ ব্যায়াম করলে মস্তিস্ক থেকে নানা রকম রাসয়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এসব রাসায়নিক উপাদান চিত্ত প্রফুল্ল করে এবং শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি চেহারায় লাবণ্য ও ওজ্জ্বল্য বাড়ায়। যিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাকে বিষন্নতা কিংবা হতাশা সহজে হ্রাস করতে পারে না।

রোগ প্রতিরোধ করেঃ আধুনিক জীবনে শারীরিক পরিশ্রমের পরিমান কমে গিয়েছে, অর্থাৎ হাটাহাটির প্রয়োজন হয় না বললেই চলে আর আমাদের খাদ্যাভ্যাসও বদলে গিয়েছে। ফলে দিনে দিনে ক্রনিক রোগ ব্যাধি যেমনঃ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অস্থিক্ষয়, ক্যানসার ইত্যাদি প্রকোপ বহুগুণে বেড়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম এগুলো প্রতিরোধ করে।

শরীরের বাড়তি ওজন কমায়ঃ বাড়তি ওজন কমাতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। শারীরিক চর্চা করলে ক্যালরি খরচ হয়। এভাবে আমরা যতই ব্যায়াম করবো ততই আমাদের ক্যালরী খরচ হবে এবং যার ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

কর্মস্পৃহা বাড়ায়ঃ ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবারাহ হয়। এর ফলে আমাদের হৃদযন্ত্র ও রক্তলালি সচল থাকে। এর ফলে সমস্ত শরীরে একটি সুস্থ প্রাণস্পন্দন ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। এটা আমাদের কর্মস্পৃহা বাড়ায়।

সুনিন্দ্রা আনেঃ যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যান্ত উপকারী। ব্যায়াম অনিন্দ্র দুর করে, অতি নিদ্রা হ্রাস করে। অবশ্য একেবারে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করা উচিত নয়। কারণ ব্যায়ামের পরে মানসিক চাঙা ভাবের কারণে ঘুম আসা বিলম্বিত হতে পারে।

যৌন জীবনের জন্য উপকারীঃ যাদের যৌনজীবনে জড়তা কিংবা অনাগ্রহ এসেছে, তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যান্ত উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম করলে যৌনস্পৃহা বাড়ে, যৌন মিলনের স্থায়ীত্বকাল বৃদ্ধি পায় এবং দাম্পত্য জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।

ব্যায়ামের বিকল্পঃ যদি আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করার সময় না পান তাহলে নিয়মিত সালাত আদায় করুন। কারণ আমার জানা মতে, ব্যায়াম থেকে যে সব উপকারীতা পাওয়া যায় তার থেকে বেশী উপকারীতা পাওয়া যায় নিয়মিত সালাত আদায় করলে। আর তাছাড়া প্রত্যেক মুসলাম নর-নারীর উপর সালাত ফরজ।

সুতরাং বুঝায়ই যাচ্ছে যে সুস্থ দেহ ও মনের বিকাশের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসুন নিয়মিত সালাত আদায় করি এবং ব্যায়াম করি।


[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Friday, September 14, 2018

ছাদের উপর মোবাইল টাওয়ার স্থাপনা মারাত্মক ক্ষতিকর!

বর্ণ, গন্ধ, শব্দহীন এবং অদৃশ্য মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয় নির্গত বিকিরণ মানব দেহ ও জীব জগতের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর।


বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের থেকে কমপক্ষে ৫ ফুট দূরে মোবাইল রাখতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল কমপক্ষে ৭ ফুট দূরে রাখতে হবে।

আবাসিক এলাকা থেকে দূরে লোকালয়ের বাইরে কমপক্ষে ৪০ তলা ভবন সমান উঁচুতে মোবাইলের টাওয়ার স্থাপন করতে হবে।

বাস্তবে আমরা কী দেখছি?

আমার আপনার বাচ্চাদের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদের উপর কিংবা বাসার ছাদে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হচ্ছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে আবাসিক এলাকা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে অনেক দূরে এবং অনেক উঁচুতে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হয়। অথচ আমাদের দেশে মোবাইল ফোনের ৯০ শতাংশ টাওয়ার লোকালয়, বাড়ি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে।

এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে আমরা অলংকৃত হচ্ছি আমাদের শিশুরা ২০ বছর পরে বিকিরণের প্রভাবে লিউকেমিয়া, ব্রেন ক্যান্সার, স্মৃতিশক্তি হারানো সহ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনায়, একটানা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন গ্রহণ করলে স্কিন ক্যান্সার সহ ভয়াবহ রোগের আশংকা থাকে।

তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বিনয়ের সাথে আবেদন রাখছি এসব ভয়ানক স্থাপনা যেন নিরাপদ দূরুত্বে স্থাপনকরে আমাদেরকে এবং আমদের দেশের উজ্জল ভবিষ্যত প্রজন্মকে এসব ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Wednesday, October 28, 2015

অতিরক্তি দুধ পান থেকে সাবধান!

সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকাল জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দুধ নিয়ে স্বাস্থ্য ঝুকিঁর কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন বলছে, বেশি দুধ পান করলে নারীদের হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিওপেরোসিস- এর সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং পুরুষেরা হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়তে পারেন৷


চিকিৎকদের ভাষ্যঃ ভগ্ন ও দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য বরাবরই বেশি করে দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা৷ কিন্তু ব্রিটিশ মেডিকাল জার্নাল তাদের গবেষণায় দেখেছে ভিন্ন রূপ৷ এ বছরের অক্টোবরে একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত দুধ স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়৷

ঝুঁকিঃ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অতিরিক্ত দুধ পান করলে অল্প বয়সে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷ এছাড়া নারীদের হাড় ভাঙা, হাড় দুর্বল হয়ে পড়া বা অস্টিওপেরোসিস-এর প্রবণতা বাড়ে৷

গবেষণাঃ সুইডিশ গবেষকদের একটি দল ৬১ হাজার নারীদের ওপর এই পরীক্ষা চালিয়েছিলেন, যাদের বয়স ৩৯ থেকে ৭৪ বছর৷ ২০ বছর ধরে চলেছিল এই গবেষণা৷ তার সঙ্গে ৪৫ হাজার পুরুষকে ১১ বছর ধরে পরীক্ষা করা হয়েছিল, যাদের বয়স ৪৫ থেকে ৭৯ বছর৷এরা সবাই অতিরিক্ত দুধ খেতেন৷

পরীক্ষার ধরনঃ দুধ পানের পাশাপাশি তাদের ব্যাক্তিদের জীবনযাপনের ধরন নিয়েও পরীক্ষা করা হয়েছে৷ সেই ভিত্তিতে দেখা গেছে, অতিরিক্ত দুধ একটি রিস্ক ফ্যাক্টরহিসেবে কাজ করেছে৷ গবেষণা চলাকালীন (২০ বছর ধরে চলা) ২৫,৫০০ জন মারা গেছেন এবং ২২,০০০ জন হাড় ভেঙেছেন৷

কী পরিমাণ দুধ পানে ঝুঁকিঃ গবেষণায় দেখা যায়া, প্রতি ১,০০০ জনের মধ্যে ১৮০ জন দিনে তিন গ্লাসেরও বেশি দুধ পান করতেন৷এরা ১০ বছরের মধ্যেই মারা যান৷ এছাড়া যে নারীরা দিনে দুই গ্লাস বা তার চেয়ে বেশি দুধ পান করেন, তাদের হাড়ের ক্ষয়রোগের আশঙ্কা যারা দিনে এক গ্লাস দুধ পান করেন তাদের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি৷ পুরুষের ক্ষেত্রেও বেশি দুধ পানে প্রায় একই রকম আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেন গবেষকেরা৷

দুধের গুণাগুণঃ দুধ ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন বি-১২ সহ নানান পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ৷ ব্রিটেনের সরকারি স্বাস্থ্য পরামর্শে বলা হয়ে থাকে, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে প্রায় ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় এবং দুধ এই ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস৷

পরিমিত দুধ পানঃ নিয়মিত এবং পরিমিত দুধ পানে হাড়ের ক্ষয়রোগ বা অস্টিওপেরোসিস দূর হয় এবং স্তন ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে৷

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, August 9, 2014

নখের বিভিন্ন চেহারায় নানা রোগের লক্ষণঃ

চিকিৎসকরা খুব সহজেই মানুষের নখের অবস্থা দেখে মারাত্মক কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বলে দিতে পারেন নখের প্রায় ৩০ রকম চেহারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে নানা তথ্য প্রদান করে 


আরো বিশেষ কিছু অবস্থা রয়েছে যা দেখে একাধিক সমস্যার কথা বোঝা যায় এমনকি নখের চেহারায় লুকিয়ে থাকে হৃদরোগ, ক্যান্সার অথবা এমনই বেশ কয়েকটি জটিল রোগের লক্ষণ

এখানে নখের ১০টি অবস্থার কথা জেনে নিন যা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ প্রকাশ করেঃ
১. এমফিসেমিয়ার মতো ফুসফুসের সমস্যা এবং ফুসফুসের অন্যান্য রোগে নখের অবস্থা বিধ্বস্ত হয়ে যায় দেখে মনে হয়, নখ কেউ হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে এই নখের নিচের টিস্যু পাতলা হয়ে যায় এবং এর আকৃতি গোলাকার বা টিউবের মতো আকৃতি পায় এ ধরনের নখ হৃদরোগসহ পাকস্থলী ও বাওয়েল ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ করে 
২. আঙ্গুলের মাথা থেকে নখের শেষভাগ অনেক নিচে থাকে নখটিকে অনেক ছোট মনে হয়। এ ধরনের নখ একজিমা, আরথ্রাইটিস অথবা সোরিয়াসিস এর লক্ষণ এসব রোগে আক্রান্তের মধ্যে অর্ধেকের বেশি রোগীর এমন নখ থাকে
৩. নখের ওপরে লম্বালম্বি বা আড়াআড়িভাবে এলোমেলো দাগ তৈরি হয় এটি লিভারের সমস্যা এবং পুষ্টিহীনতার লক্ষণ হতে পারে এসব দাগ রক্তে প্রোটিনের অভাগ নির্দেশ করে
৪. নখে কালচে লম্বালম্বি দাগ ত্বকের ক্যান্সার নির্দেশ করে ত্বকের ক্যান্সার সাবুনগুয়াল মেলানোমা হয়ে বিরাজ করে যা নখের এই চেহারা দেয়
৫. হাতের আঙ্গুল চামচের মতো বাঁকা হয় আয়রনের অভাবে। এ ছাড়া নখের দুই পাশ ও সামনের দিকে বেড়ে চামচের মতো হতে থাকে যাকে কইলোনাইসিয়া বলে এমন নখ লোপাসের লক্ষণ
৬. নখের অস্বাভাবিক রঙ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ করে হলুদাভ নখ টিউবারকলোসিস এবং ফুসফুসের কয়েক ধরনের সমস্যার কথা জানায় বাদামী নখ গর্ভবতীদের থায়রয়েডের সমস্যা নির্দেশ করে নখের এক ভাগের সাদা রঙ এবং অন্য ভাগের কালচে রঙ অকার্যকর কিডনির লক্ষণ দেখায়
৭. নখের বাম থেকে ডান দিকে চলে যাওয়া গভীর দাগ বড় ধরনের রোগ অথবা আঘাতের ফলে হয়
৮. কোনোরকম আঘাত ছাড়া নখ নরম হয়ে আলগা হয়ে যাওয়ার অর্থ দেহে রক্ত চলাচলের প্রবাহমাত্রা কম এ ধরনের নখ থায়রয়েডের সমস্যা এবং অন্য ওষুধ গ্রহণের ফলে সৃষ্ট অ্যালার্জির লক্ষণ প্রকাশ করে
৯. প্যারোনাইসিয়া হলে নখ তার টিস্যু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উল্টে যায়। এই নখ পুড়ে গেছে বলে মনে হয় আবার ডায়াবেটিস ও এইচআইভি হলেও এমন হয়
১০. নখের নিচে লালচে অথবা বাদামী রঙের দাগ হৃদযন্ত্রের ভালভে সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ করে

 [আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ।]

Monday, July 14, 2014

মাদকের ভয়াবহতা!

"একটি পাত্রে একটি ব্যাঙ নিয়ে তাতে পানি দিয়ে গরম করতে শুরু করুন। পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙটি তার শরীরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য করতে শুরু করবে। যতই বাড়বে ততোই পানির তাপমাত্রার সাথে নিজের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য করতে থাকবে।



ঠিক যখন পানি ফোটার তাপ মাত্রা সর্বোচ্চ পৌঁছবে তখন আর সে ওই তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে নিতে পারবে না।

ওই তাপমাত্রায় সে লাফ দিয়ে পাত্রের বাইরে আসার জন্য চেষ্টা করবে। কিন্তু সে তা আর পারবে না, কারণ সে তার সকল শক্তি পানির তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে নিতে ব্যয় করে ফেলেছে। এর খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাঙটি মারা যাবে।

ব্যাঙটি কেন মারা গেল?
অনেকেই উত্তর দিবেন পানির উচ্চ তাপমাত্রার জন্য।

কিন্তু ব্যাঙটি মারা গিয়েছে এই কারণে যে, কখন লাফ দিয়ে বের হতে হবে সঠিক সময়ে তার সিদ্ধান্তে না আসতে পারার জন্য।"

চাতুর্যপূণ, বিভ্রান্তিকর ও প্রচন্ড শক্তিশালী মাদক অনেকের অবস্তা এই ব্যাঙের মতো করে ফেলে।

মানুষ এবং ব্যাঙের রয়েছে অসাধারণ মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। শুরুতে মাদকাসক্তরা বুঝেই উটতে পাররনা মাদকের ভয়াবহতা।

তারা মনে করে সবকিছু ম্যানেজ করে মাদক নেওয়া অব্যাহত রাখতে পারবে কিন্তু একটা পর্য়ায়ে তা আর সম্ভব হয়ে উঠে না। ততদিনে মাদক তাদের শারীরিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে ফেলে।

এ্যাডিকশন চক্র থেকে বেরিয়ে আসার শক্তি ততদিনে তারা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের পরিণতি এই ব্যাঙের মতো হয়।

ভাইয়ারা আমার আপনাদেরকে সিদ্ধান্তে নিতে হবে কখন আপনারা মাদকের এই ভয়াল চক্র থকে বেরিয়ে আসবেন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Friday, February 7, 2014

যৌনক্রিয়া ক্ষমতাকে উন্নিত করতে কেজেল ব্যায়াম!

কেজেল ব্যায়ামঃ পুরুষদের জন্য গাইড

আপনি হয়তো ভাবছেন কেজেল ব্যায়াম/ কেগেল ব্যায়াম (Kegel exercises) শুধু মহিলাদের জন্য হয়। আসলে তা নয়। মহিলারা এই ব্যায়াম থেকে যতটা সুবিধা লাভ করতে পারেন, পুরুষরাও ঠিক ততটা সুবিধা নিতে পারবেন।


 চিত্র:১ পুরুষের পেলভিস এনাটমি

কেগেল ব্যায়াম শ্রোণী মেঝের পেশী সুসংগঠিক করে মূত্রসংবহনতন্ত্র, বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথের কার্যপ্রণালী জোরদার করে এবং যৌনক্রিয়া ক্ষমতাকে উন্নিত করতে পারে। মহিলাদের মত পুরুষেরাও যখন তখন এই ব্যায়াম করতে পারেন। কিন্তু সবারই উচিত ব্যায়ামটি করার আগে সঠিক মাংশপেশী সনাক্তকরণ এবং সঠিক পন্থা জেনে নেয়া।

পুরুষদের জন্য কেজেল ব্যায়ামের উপকারিতাঃ
শ্রোণী মেঝের পেশী অনেক কারণে ক্ষতিগ্রস্থ বা দূর্বল হয়ে যেতে পারে। যেমন প্রোস্টেড গ্রাণ্ডে টিউমার বা অন্য কোনো সার্জারী, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। কেজেল ব্যায়াম পুরুষদের পেলভিস ফ্লোরের মাসল শক্তিশালী করে যখন তখন প্রস্রাবের বেগ, ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া সহ আরো অনেক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে পুরুষদের জন্য কেজেল ব্যায়াম যৌনমিলনের সময় লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা, অকাল বীর্যপাত, দ্রুত বীর্যপাতের মত সমস্যারও সমাধান দিতে পারে।
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=cWZdRebxsdM

পুরুষেরা কিভাবে কেজেল ব্যায়াম করবেনঃ
পেলভিস ফ্লোর মাসল অর্থাত শ্রোণী মেঝের পেশী খুঁজে বার করা এবং সেটা কিভাবে সংকুচন/প্রসারন করবেন- সেটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হলেও অসম্ভব কিছু নয়।

১. সঠিক পেশী খুঁজে নিনঃ
পেটে বায়ু জমলে সেটা বের হয়ে যাওয়া রোধ করতে গেলে বা প্রস্রাব করা কালে হঠাত প্রস্রাব বন্ধ করে দিলে পেটের নিম্ন ভাগে পিছনের দিকে যে পেশীগুলো আঁটসাঁট হয়ে যায় সেগুলোই পেলভিস ফ্লোর মাসল অর্থাত শ্রোণী মেঝের পেশী। আয়নায় দেখলে দেখবেন লিঙ্গ কিছুটা তলপেটের কাছাকাছি চলে আসে এবং অণ্ডথলি উপরের দিকে উঠে আসে।

২. পন্থা/পদ্ধতি/টেকনিক সঠিককরণঃ
ব্যায়ামের আগে ঠিকমতো প্রস্রাব করে নেবেন। প্রথম দিকে উচিত হবে মেঝেতে শুয়ে এই ব্যায়াম করা। মেঝেতে শুয়ে পেলভিস ফ্লোর মাসল ৩ সেকেণ্ড সংকুচন করে রাখুন, তারপর ৩ সেকেণ্ড প্রসারণ করে রাখুন। এভাবে টানা কয়েকবার করবেন। তবে খুব বেশী না। মাসল ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে শুরু করলে বসে, দাঁড়িয়ে বা চলন্ত অবস্থায়ও করতে পারবেন।

৩. মনোযোগ বজায় রাখুনঃ
ভালো ফলাফলের জন্য যখন সংকুচন করবেন তখন গভীর ভাবে মনোযোগ দিয়ে করবেন। অনেকেই ভুল করে পেটের বা তলপেটের, উরু, এবং নিতম্বের পেশী সংকুচন করে ফেলেন। এটা ঠিক নয়। দম বন্ধ বা ধরে রাখবেন না। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

৪. কতবার করবেনঃ
প্রত্যহ ৩ টা সময় (যেমন সকালে দুপুরে বিকেলে) চেষ্টা করবেন। প্রতিবার ১০ রেপস্-এর (Repetitions) 
৩ সেট করবেন। (৩ সেকেণ্ড সংকুচন + ৩ সেকেণ্ড প্রসারণ = ১ রেপ। ১০ রেপ = ১ সেট)

মাঝে মাঝে অন্য কাজের সময় (যেমন দাঁত মাজা) এটা প্রাকটিস করে নিতে পারেন। তলপেটে চাপ পড়ে এমন কিছু কাজকর্মের সময়ও (যেমন হাঁচি, কাশি, হাসা, ভারী বস্তু উত্তোলন) আপনার পেলভিস ফ্লোর মাসল সংকুচন হতে পারে। এছাড়া যৌনমিলনের সময় পেলভিস ফ্লোর মাসল সংকুচন করে লিঙ্গ আরো অধিকক্ষণ উত্থিত রাখতে পারেন বা অকাল বীর্যপাত রোধ করতে পারেন।

সমস্যা হলে-
ব্যায়াম করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে সাহায্য চাইলে কার্পণ্য বা লজ্জা করবেন না। নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা বা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন যাতে তারা আপনাকে সঠিক পেশী সনাক্তকরণ এবং ব্যায়ামের পদ্ধতি শিখিয়ে দিতে পারেন।

কিছু ক্ষেত্রে Biofeedback প্রশিক্ষণ সাহায্য করতে পারে। এই ধরণের সেশনে, ডাক্তার বা অন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা মলদ্বার দিয়ে একটি Monitoring Probe প্রবেশ করিয়ে পুরো ব্যাপারটা মনিটরে পর্যবেক্ষণ করেন। পেলভিস ফ্লোর মাসল সংকুচন করার পর একটা মনিটরে দেখা যাবে যে আপনি সঠিক পেশী সংকুচন করতে পারছেন কিনা, এবং পারলে কতক্ষণ পারছেন।

কখন ফলাফল পাবেন
নিয়মিত কেজেল ব্যায়াম করলে ৩ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা সমাধান হতে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অব্যাহত সুবিধার জন্য এই ব্যায়াম প্রত্যহ করে যাওয়া উচিত।



কেজেল ব্যায়ামঃ মহিলাদের জন্য গাইড

কেগেল ব্যায়াম/কেগেল এক্সারসাইজ/ কেজেল এক্সারসাইজ (Kegel exercises) প্রস্রাবের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্নভাগের মাংশপেশীর সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। এখানে কেগেল ব্যায়াম কিভাবে সঠিক ভাবে করতে হয় তার একটা স্টেপ বাই স্টেপ গাইড দেয়ার চেষ্টা করা হলো।

কেগেল ব্যায়াম শ্রোর্ণী মেঝের পেশীকে দৃঢ এবং শক্তিশালী করে যা জরায়ু, মূত্রথলি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে সাহায্য করে। আপনি প্রায় যে কোনো সময়ে শুয়ে বা বসে কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন। এমনকি গর্ভবতী অবস্থায়ও করা যেতে পারে।

কেন কেগেল ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ- সেটা আগে বুঝতে হবে।
অনেক কারণে আপনার শ্রোর্ণী মেঝের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থা থেকে সন্তান প্রসব, বয়স বৃদ্ধি, এমনকি মুটিয়ে গেলে বা ওজন বৃদ্ধি পেলেও এমন হতে পারে। এ কারণে শ্রোণী অঙ্গ থেকে যোনির অনেক পেশী ঢিলা হয়ে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে। এতে প্রস্রাবের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা কমে যাওয়া সহ আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

কেগেল ব্যায়াম কিছু অবশ্যম্ভাবী ঘটনাকে বিলম্বিত করে, শ্রোর্ণী অঙ্গ স্থানচ্যুতি এবং সম্পর্কিত উপসর্গ প্রতিরোধ করে আপনার তারুণ্য অনেকদিন ধরে রাখতে পারে। এছাড়া যাদের চরমপূলক লাভে সমস্যা হয় তাদের জন্যও এটা উপকার হতে পারে।

কিভাবে কেগেল ব্যায়াম করতে হয়- সেটা জানার আগে আপনার শ্রোর্ণী মেঝের পেশী চিহ্নিত করে নিতে হবে এবং কিভাবে পেশী সংকুচন এবং প্রসারণ করতে হয়।


চিত্র:২ মহিলাদের পেলভিস পেশী

চিত্র:৩ মহিলাদের পেলভিস এনাটমি

[এই ভিডিওতে দেখতে পারবেন কোনগুলো পেলভিস পেশি এবং কিভাবে সেগুলোকে সংকুচন ও প্রসারণ করা হচ্ছে।]
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=cWZdRebxsdM

প্রথমে পেশী খুঁজে নিতে হবে। যোনির ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে পার্শ্ববর্তী পেশীগুলো সংকুচন করার চেষ্টা করুন। আপনার যোনি আঁটা এবং আপনার শ্রোর্ণী মেঝের পেশীগুলো ঊর্ধ্বাভিমুখী মনে হবে। তারপর পেশী শিথিল করে দিন। দেখবেন শ্রোণীপেশীগুল আবার আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে।

প্রস্রাব করার সময় দু-একবার প্রস্রাব করার প্রবাহ বন্ধ করে দিন। সফল হলে বুঝলেন প্রাথমিক ধাপটা পার হতে পারছেন। (প্রস্রাব করার প্রবাহ বন্ধ করাটা বার বার বা অভ্যসে পরিনত করবেন না।) মূত্রথলি পরিপূর্ণ অবস্থায় বা প্রস্রাব করার সময় কেগেল ব্যায়াম করবেন না। এতে পেশী আরো শিথিল হয়ে যাবে বা প্রস্রাব করা অপূর্ণ থেকে যাবে যা মূত্রনালিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

এবার পূর্ণ পদ্ধতি। শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্নভাগের মাংশপেশীর অবস্থান নির্ণয় করা হয়ে গেলে বা বুঝতে পারার পর মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি করবেন। তারপর চেয়ারে বসে বা মেঝে/বিছানায় শুয়ে পড়বেন। পেলভিস মাসল সংকুচন করুন। ৫ সেকেণ্ড ধরে রাখুন। ৫ সেকেণ্ড পরে শিথিল করে দিন। এভাবে একটানা ৪/৫ বার করুন। এভাবে ধীরে ধীরে ৫ সেকেণ্ডের জায়গায় ১০ সেকেণ্ড করে করার চেষ্টা করুন।

শুধু শারীরিক ভাবে নয়, মানসিক ভাবেও পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য শুধু পেলভিস মাসলের উপরই মনোযোগ দেবেন। খেয়াল রাখবেন- পেটের পেশী, উরু, নিতম্বের পেশীতে যেন টান না পড়ে বা সেগুলো সংকুচিত না হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস ধরে বা বন্ধ রাখবেন না। স্বাভাবিক অবস্থায় যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস নেন, এই ব্যায়ামের সময়ও সেভাবে নেবেন।

ব্যায়ামটি ১০ বার পুনরাবৃত্তি করে ৩ টি সেট করবেন এবং দিনে ৩ বার করার চেষ্টা করবেন। এজন্য আলাদা সময়ের দরকার নাই। অন্যান্য কাজের ফাঁকেই এটা করতে পারেন। যেমন কম্পিউটারের কাজ করার সময় বা সোফায় বসে টিভি দেখার সময়, বিছানায় গড়াগড়ি দেয়ার সময়।

ব্যায়ামটি চেষ্টা করেও করতে না পারলে লজ্জিত হবার কিছু নাই। এখানে প্রশ্ন করতে পারেন বা আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

যদি একাগ্রতার সাথে সঠিক ভাবে কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন। আর ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হবে না। সেক্সের সময় যোনি মধ্যে ব্যথা কমে যাবে, বেশীক্ষণ মিলিত হতে পারবেন, মিলনে আগের চেয়ে বেশী সুখানুভূতি হবে। আরো অনেক সুবিধা পাবার জন্য এটা করা অব্যাহত রাখা উচিত।

পেলভিস পেশীর ব্যায়ামের জন্য ৩টি আসন
কেজেল ব্যায়াম: মহিলাদের জন্য গাইড নামক পোস্টে কেজেল ব্যায়াম কেন এবং কিভাবে করতে হয়ে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে আমরা জেনেছি যে বসে, শুয়ে, যেকোনো অবস্থাতেই এই ব্যায়াম করা যায়। তবে এই ব্যায়াম থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে দরকার পূর্ণ মনোযোগ। এবং সেটা ঠিক রাখতে ভালো কিছু ব্যায়ামের আসন আছে। তেমনই তিনটি আসন সম্পর্কে ধারনা লাভের জন্য এই পোস্ট।


আসন #১ (ম্যাডোনা)

১. হাটু গেড়ে বসে হাত পিছনে নিয়ে হাত এবং পায়ের উপর শরীরে র ভর ছেড়ে দিন।
২. পেট এবং মেরুদণ্ড স্বাভাবিক রেখে কোমর উঁচু করুন। থুতনি বুকের দিকে টাক করে বা মাথাটা পিছনের দিকে ঝুকে নিতে পারেন।
৩. এবার কোমর উঁচু অবস্থায় কেগেল ব্যায়াম করা শুরু করুন অর্থাৎ শ্রোণী/পেলভিস এলাকার মাংশপেশী সংকুচন করে ৫ থেকে ১০ সেকেণ্ড ধরে রাখুন।
৪. ধীরে ধীরে পেলভিস পেশী শিথিল করে আনুন।
৫. কোমর আগের অবস্থায় অর্থাৎ নিচে নামিয়ে আনুন। এভাবে ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন। এভাবে ১ সেট হবে
৬. একটু বিশ্রাম নিন।
৭. পুরো ব্যায়ামটা মোট ৩ সেট করুন।

আসন #২ (শ্রোণী উত্তোলন)

১. পা টান করে কোমরের উপর ভর দিয়ে বসুন। পা দুইটি কোমরের প্রসস্ততার চেয়ে একটু বেশী ফাঁক করে রাখুন। হাত পিছনে নিয়ে হাতের উপর কিছুটা ভর ছেড়ে দিন। খেয়াল রাখুন হাতের আঙুলগুলো যেন বাইরের দিকে প্রসারিত থাকে।
২. পেট এবং মেরুদণ্ড স্বাভাবিক রেখে কোমর উঁচু করুন। থুতনি বুকের দিকে টাক করে বা মাথাটা পিছনের দিকে ঝুকে নিতে পারেন।
৩. এবার কোমর উঁচু অবস্থায় কেগেল ব্যায়াম করা শুরু করুন।
৪. ১ পর্যন্ত গননা করতে নেয়ে সময়টুকুতে পেলভিস পেশী সংকুচন, আবার ১ পর্যন্ত গননা করতে নেয়ে সময়টুকুতে সেটা প্রসারন করার চেষ্টা করুন।
৫. কোমর আগের অবস্থায় অর্থাৎ নিচে নামিয়ে আনুন। এভাবে ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন। এতে ১ সেট সম্পূর্ণ হবে।
৬. একটু বিশ্রাম নিন।
৭. পুরো ব্যায়ামটা মোট ৩ সেট করুন।

আসন #৩ (শিবা)

১. টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুদিকে ছড়িয়ে দিন। হাতের উপর কোন ভর রাখবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা মেঝের উপর রাখুন। খেয়াল রাখুন যাতে হাঁটু এবং পায়ের আঙুল যেন এক লাইনে থাকে।
২. পায়ের পাতা এবং পিঠের উপর ভর রেখে কোমর উঁচু করুন।
৩. এবার কোমর উঁচু অবস্থায় কেগেল ব্যায়াম করা শুরু করুন।
৪. এই আসনে পেশী সংকুচন/প্রসারন দ্রুত করতে হয়, তাই অনেক মনোযোগ এবং অনুশীলনের দরকার। একবার ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নেয়া কালীন সময়েই ৩ থেকে ৪ বার পেশী সংকুচন/প্রসারন করতে হয়। তারপর গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে শিথিল করে দিন। পুনরাবৃত্তি করুন।
৫. কোমর নিচু করে ফেলুন। পুরো প্রক্রিয়াটা আরো ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন। এতে এক সেট সম্পূর্ণ হবে।
৬. সেটের মাঝে একটু বিশ্রাম নিয়ে মোট ৩ সেট করুন।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Tuesday, January 14, 2014

অপুষ্টিজনিত সমস্যাঃ- রক্তস্বল্পতা!

বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের শতকরা প্রায় ৫৫ জন রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। রক্তস্বল্পতা অতি সহজে নিরাময়যোগ্য অপুষ্টিজনিত একটি রোগ। হিমোগ্লোবিনের গঠনের জন্য লৌহ অপরিহার্য। দেহের প্রতিটি কোষ বাঁচার জন্য অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল। রক্তস্বল্পতায় কোষে কম পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছানোর কারণে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।


লক্ষণঃ
     মুখমন্ডল ফ্যাকাশে বা সাদা হয়ে যায়।
     শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়।
     বুক ধড়ফড় করে।
     রক্তের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে শ্বাস প্রশ্বাস এবং নাড়ীর গতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়।
     বসা থেকে উঠলে মাথা ঘুরায় এবং বমি ভাব হয়।
     জিহবা মসৃণ এবং সাদা হয়ে যায়।
     হাতের তালু ও নখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
    রক্তের ঘনত্ব কমে যাওয়ার ফলে পায়ে ও শরীরে পানি আসতে পারে।
    শীত ভাব হয়।

কারণঃ
     খাবারে প্রধানত লৌহের ঘাটতি হলে।
     খাবারে আমিষের ঘাটতি হলে।
     খাবারে ভিটামিন-সি এর ঘাটতি হলে।
     কৃমিতে আক্রান্ত হলে।
     দুর্ঘটনায় অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলে।
     বাচ্চা প্রসবের পর ঠিকমত লৌহ সমৃদ্ধ খাবার না খেলে।

প্রতিরোধ / প্রতিকারঃ
    প্রচুর পরিমাণ লৌহসমৃদ্ধ ও আমিষ জাতীয় খাদ্য যেমন:গাঢ় সবুজ শাকসব্জী, কাঁচাকলা, ডাল, মাছ,মাংস, কলিজা, ডিম ইত্যাদি খেতে হবে।
    ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল যেমন: পেঁপে, কলা, পেয়ারা ইত্যাদি খেতে হবে।
    শিশুকে শালদুধ সহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
    শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।
    কৃমি থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে।
    মারাত্মক অবস্থায় লৌহ ও আমিষ সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ মতো আয়রণ ট্যাবলেট খেতে হবে।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ]

Saturday, December 21, 2013

মস্তিষ্কের ব্যায়াম !

সুদোকু:ছক কাটা ঘরে সংখ্যা বসানোর এই খেলাকে মগজের জন্য সবচেয়ে উপকারী ধরা হয়। এই খেলা শুধু মগজের গতিই
বাড়াবে না, ঝালিয়ে দেবে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাও।


সাধারণ গণিত:
গণিতচর্চা মানে মস্তিষ্কেরই চর্চা।
মনে মনে করার মতো অতি সাধারণ গুণ, ভাগও মস্তিষ্কের ক্ষমতা

হাতে লিখুন:
কম্পিউটারের যুগ বলে হাতে লেখার অভ্যাসটা একেবারে ত্যাগ করবেন না। হাতে লিখলে হাতের
লেখা ভাল হোক না হোক, মগজটা ব্যস্ত থাকবে।

নিজেই শিক্ষক:
কিছু শেখা বা করার সময় মনে মনে নিজেকে নিজের শিক্ষকের ভূমিকায় কল্পনা করুন। কোনো কিছু ভুলে গেলে
টিচারের মতোই নিজেকে হাত নেড়েচেড়ে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করুন।

গোয়েন্দাগিরি:
গোয়েন্দাদের মতো করে দেখতে শিখুন। একটি ঘটনা বা বিষয়ের
সঙ্গে আরেকটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়ের সম্পর্ক খুঁজে বের করুন।

ধ্যান:
যারা সারাক্ষণ নানা ধরনের চাপে থাকেন, তাদের মগজটাকে সময়ে সময়ে হালকা করতে বিকল্প নেই। মেডিটেশনের ওপর বই বা সিডি এক্ষেত্রে কাজে আসতে

খাবার ও শরীরচর্চা:
সবশেষে মগজটাকেও খেতে দিন।
স্বাস্থ্যকর খাবারে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কও সুস্থ থাকে। আর দিনে মাত্র ১৫ মিনিটের শরীরচর্চাও পারে আপনাকে আরো বুদ্ধিদীপ্ত করে তুলতে।

Thursday, October 31, 2013

ক্যান্সার ! প্রতিরোধ সম্ভব কি?


ক্যান্সার নিয়ে আমরা সবাই-ই কম বেশি জানি! এটা বলতে একধরনের কিছু রোগ কে বুঝানো হয় যাকে মেডিকেলের ভাষায় আমরা বলি ম্যালিগন্যান্ট নিওপ্লাসম! ম্যলিগন্যন্সি তখনই হয়, যখন কোষ বিভাজনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে সেটা বেশি আকারে হতে থাকে

ক্যান্সার ! হলে অনেক ক্ষেত্রেই তা মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ায় একারনে ক্যান্সার প্রতিরোধ একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলা যেতে পারে
প্রশ্ন হচ্ছে ক্যান্সারের প্রতিরোধ সম্ভব কি?
হ্যাঁ তবে সেটা ৩০ ৪০% ক্ষেত্রে যদি নিয়ম মেনে সঠিক ভাবে জীবন যাপন করা যায়
কিভাবে সম্ভবঃ

ধূমপান থেকে বিরত থাকাঃ
ধূমপান থেকে বিরত থাকা বলতে একটিভ এবং প্যাসিভ, দুই ভাবেই বিরত থাকতে হবে একটিভ ধুমপান বলতে, নিজে ধূমপান করা, আর প্যাসিভ ধুমপান বলতে অন্য ধূমপায়ীদের সাথে থাকার কথা বলা হয়েছে
প্রতি বছর তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি ব্যবহারর জন্য ৫ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় অন্য ভাবে বলতে গেলে প্রতি ৬ সেকেন্ডে মৃত্যু ঘটছে একজন মানুষের তামাক ব্যবহারের জন্য
পৃথিবীতে যত ধরনের ক্যান্সার হয়, তার এক চতুর্থাংশের কারন ই হচ্ছে এই তামাক জাতীয় দ্রব্য ধুমপান
কি কি ক্যন্সার হয়ে থাকেঃ শুধুমাত্র ফুসফুসের ক্যান্সারই নয়, এর সাথে, মুখ, শ্বাসনালী, নাক, সাইনাস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, জরায়ু, কিডনী, লিভার এর ক্যান্সার হতে পারে!
কেন হয়ঃ ধুমপানের জন্য নানা ধরনের কারসিনোজেন (এমন মলিকিউল যা কিনা কোষের জেনেটিক ম্যাপ পরিবর্তন করে ক্যন্সার সৃষ্টি করে) থাকে তা ছাড়া, নানা ধরনের ফ্রী র‌্যাডিকেল (যেমন সুপার অক্সাইড) এর মাধ্যমেও এমনটা হতে পারে
সুতরাং, নিজের, নিজের পরিবারের এবং বন্ধু-বান্ধবদের জন্য নিজে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যকে বিরত থাকতে বলুন!

অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকাঃ
ধূমপান যেমন শরীরে নানা ধরনের ক্যান্সারের সৃষ্টি করে, ঠিক তেমন ভাবেই অ্যালকোহল শরীরের নানা স্থানে ক্যান্সারের সৃষ্টি করে থাকে
কি কি ক্যান্সার হয়ে থাকেঃ মুখ, লিভার, ইসোফেগাস, ব্রেস্ট, ফ্যারিংস

বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশানঃ 
বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশানও ক্যান্সারের কারন হয়ে দাঁড়ায় তাদের অনেক ইনফেকশান যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা হয়, তবে ক্যান্সার থেকে দূরে থাকা সম্ভব
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশান হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাক্টেরিয়ার ইনফেকশানের জন্য পাকস্থলিতে ক্যান্সার হতে পারে
ভাইরাল ইনফেকশান হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস, এপস্টিন-বার ভাইরাস, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, ক্যাপোসি সারকোমা হার্পিস ভাইরাসের জন্য ক্যান্সার হতে পারে
কি করনীয় যে কোনো ধরনের ইনফেকশানের জন্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে এবং রেগুলার ফলো আপ-এ থাকতে হবে!

অতি বেগুনী(আল্ট্রা ভায়োলেট) রশ্মি থেকে দূরে থাকাঃ
আল্ট্রা ভায়োলেট রে সূর্যের আলোতে বিদ্যমান, এই রশ্মির কারনে তা ত্বকের কোষের নিউক্লিয়াস-এ পরিবর্তন পরিবর্তন ঘটিয়ে ত্বক-এ ক্যান্সার তথা স্কিন ক্যান্সার করে থাকে অবশ্য এই ক্যান্সার আমাদের তুলনায় ককেশিয়ান তথা সাদা চামড়ার লোকেদের ভেতর বেশি দেখা যায় তার পরও সূর্যের আলোর প্রখরতা বেশি হলে সরাসরি সেই আলো তে না থাকাটাই উত্তম

পরিমিত এবং সুষম খাদ্য গ্রহনঃ
আমাদের খাদ্য তালিকার ভেতর অনেক খাবারই এন্টি ক্যান্সারাস উপাদান বহন করে (যেমন টমেটো), তাই পরিমিত এবং সুষম খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব!

 নিয়িমিত ব্যয়ামঃ
নিয়মিত ব্যয়াম করার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব ব্যাপারটা শুনতে কিছুটা অদ্ভুতও বটে, ব্যয়াম কিনা করবে ক্যান্সার প্রতিরোধ! হ্যাঁ, কেননা মিয়মিত শরীর চর্চার মাধ্যমে আমাদের ইমিউনিটির কোষ সতেজ থাকে আর এই কোষ গুলোই আমাদের শরীরে কোনো ক্যান্সার কোষ সৃষ্টি হলে তা ধ্বংস করে থাকে!

মধ্য বয়সের পর থেকে নিয়মিত চিকিৎসকের ফলো-আপ-এ থাকাঃ
অনেক সময় ক্যান্সার সৃষ্টি হলে তা যদি দ্রুত ডায়াগনোসিস করা যায়, তাহলে সেটা চিকিৎসা করে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব তাই মধ্যবয়সের পর থেকে নিয়মিত চিকিৎসকের ফলো-আপ-এ থাকা উচিত

ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্পূর্ন ভাবে সম্ভব না হলেও, সঠিক ভাবে জীবনযাপন করে এবং সচেতন থাকার মাধ্যমে ৩০-৪০% ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব!
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য

Friday, October 18, 2013

সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায় !

পড়ে দেখুন, আপনিও হয়তো বাচাতে পারেন একটি জীবন।


আমরা সবাই-ই যদি এই ছোট্ট সাধারণ সণাক্তকরণ উপায়টা শিখে ফেলি, তবে হয়তো আমরা স্ট্রোকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করতে পারবো।
...


একটি সত্যি গল্পঃএকটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন।উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসেতার নতুন জুতোর হীল বেঁধে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। কেউ একজন এম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না।সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিস্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন। যদিও মনে হচ্ছিলো যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন। পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন।

মূল যে ঘটনা ঘটেছিল, তা হলো, তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় স্ট্রোক করেছিলেন। সেখানে যদি কেউ জানতেন, কিভাবে স্ট্রোক সনাক্ত করা সম্ভব, তাহলে হয়তো ভদ্র মহিলা আজও বেঁচে থাকতেন।সবাই যে মৃত্যুবরণ করে, তা নয়। অনেকের ঠাঁই হয় বিছানায়,সাহায্যহীন, ভরসাহীন মূমুর্ষূ অবস্থায়। মাত্র তিনটা মিনিট সময় নিয়ে এটা পড়ে ফেলুন।


একজন মস্তিষ্ক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল একজন মস্তিষ্ক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি একজন স্ট্রোকের শিকার রোগীকে স্ট্রোক হবার তিন ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালে নেয়া যায়, তবে তাকে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ অবস্থায় ফেরত পাওয়া সম্ভব। শুধু আমাদের জানতে হবে কিভাবে স্ট্রোক চেনা যায়, এবং কিভাবে রোগীকে উল্লেখ্য সময়ের মধ্যে মেডিকেল কেয়ারে নেয়া যায়।


মাঝে মাঝে স্ট্রোকের উপসর্গ সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের অজ্ঞতার কারণেই নেমে আসে যাবতীয় দুর্যোগ। স্ট্রোকের শিকার রোগীর মস্তিষ্কে যখন ভয়ানক রকম ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, পাশে দাঁড়ানো প্রিয়জনটিই হয়তো বুঝতে পারছে না, কি অপেক্ষা করছে তাদের কাছের মানুষের জীবনে।


সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়, সহজ তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুনঃ


S – Smile রোগীকে হাসতে বলুন।
T – Talk রোগীকে আপনার সাথে সাথে একটি বাক্য বলতে বলুন। উদাহরণঃ আজকের দিনটা অনেক সুন্দর।
R – Raise hands. রোগীকে একসাথে দুইহাত উপরে তুলতে বলুন।


এর কোনো একটিতে যদি রোগীর সমস্যা বা কষ্ট হয়, তৎক্ষণাৎ দেরি না করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং চিকিৎসককে সমস্যাটি খুলে বলুন।


সনাক্তকরণের আরেকটি উপায় হচ্ছে, রোগীকে বলুন তার জিহবা বের করতে। যদি তা ভাঁজ হয়ে থাকে, বা অথবা যদি তা বেঁকে যেকোনো একদিকে চলে যায়, সেটাও স্ট্রোকের লক্ষণ। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।


একজন খ্যাতনামা হৃদবিশেষজ্ঞ বলেছেন, যদি আমরা সবাই-ই এই সহজ ব্যাপার গুলো জেনে রাখি, তবে আমরা একজনের হলেও জীবন বাঁচাতে পারবো।


দয়া করে আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদেরও জানান !!!!! হয়তো একটা জীবন বেচেও যেতে পারে কেয়ারে ।



আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য