Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Showing posts with label রক্ত ও রক্তনালীর সমস্যা. Show all posts
Showing posts with label রক্ত ও রক্তনালীর সমস্যা. Show all posts

Friday, August 29, 2014

ব্লাড প্রসার কমানোর উপায়ঃ

 ব্যায়াম : অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয় ৬ থেকে ৮ ইউনিট।


 মেডিটেশন : ইয়োগা বা মেডিটেশন রক্তচাপ কমায়। উন্মুক্ত বাতাসে অন্তত পাঁচ মিনিট ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘ দম নিলে রক্তচাপ কমে।

 আলু খান : পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি বেশি খেতে হবে। এক্ষেত্রে বেশি আলু খাওয়াই হতে পারে রক্তচাপ কমানোর উৎকৃষ্ট উপায়।

 লবণ পরিহার : কাঁচা লবন খাওয়াই যাবে না। যথাসম্ভব খাবারেও লবণ কমাতে হবে।
দৈনিক ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ খাওয়া নয়।

 চকোলেট খান : কালো চকোলেট খাওয়া যেতে পারে। তা ধমনিকে আরও স্থিতিস্থাপক করে।

 মদপান নয় : উচ্চ রক্তচাপ কমাতে মদ্যপান পরিহার করুন।

 ধুমপানও নয় : রক্তচাপ কমাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধুমপান পরিহার করতে হবে।

 চা খান : চা খাওয়া যেতে পারে দৈনিক ৩ কাপ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ৩ কাপ চা ৬ সপ্তাহের মাথায় ৭ পয়েন্ট রক্তচাপ কমিয়েছে।

 কফি পান নয় : গবেষণায় জানা গেছে, কফি অর্থাৎ ক্যাফেইন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।

 কাজ করুন পরিমিত : সপ্তাহে ৪১ ঘণ্টার বেশি কাজ রক্তচাপ ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।

 গান শুনুন : ক্ল্যাসিক কিংবা ধীরলয়ের গান শুনুন। গান শোনার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসে গতি আসবে। রক্তচাপ কমবে।

 নাক ডাকা : ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার অভ্যাস থাকলে তা পরিহারের চেষ্টা করুন। নাক ডাকলে ঘুম কম হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায়।

 সয়া খাবার : শর্করা জাতীয় খাবারের পরিবর্তে সয়া জাতীয় বা নিন্মচর্বির দুগ্ধজাত খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমতে পারে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, January 14, 2014

অপুষ্টিজনিত সমস্যাঃ- রক্তস্বল্পতা!

বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের শতকরা প্রায় ৫৫ জন রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। রক্তস্বল্পতা অতি সহজে নিরাময়যোগ্য অপুষ্টিজনিত একটি রোগ। হিমোগ্লোবিনের গঠনের জন্য লৌহ অপরিহার্য। দেহের প্রতিটি কোষ বাঁচার জন্য অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল। রক্তস্বল্পতায় কোষে কম পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছানোর কারণে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।


লক্ষণঃ
     মুখমন্ডল ফ্যাকাশে বা সাদা হয়ে যায়।
     শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়।
     বুক ধড়ফড় করে।
     রক্তের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে শ্বাস প্রশ্বাস এবং নাড়ীর গতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়।
     বসা থেকে উঠলে মাথা ঘুরায় এবং বমি ভাব হয়।
     জিহবা মসৃণ এবং সাদা হয়ে যায়।
     হাতের তালু ও নখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
    রক্তের ঘনত্ব কমে যাওয়ার ফলে পায়ে ও শরীরে পানি আসতে পারে।
    শীত ভাব হয়।

কারণঃ
     খাবারে প্রধানত লৌহের ঘাটতি হলে।
     খাবারে আমিষের ঘাটতি হলে।
     খাবারে ভিটামিন-সি এর ঘাটতি হলে।
     কৃমিতে আক্রান্ত হলে।
     দুর্ঘটনায় অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলে।
     বাচ্চা প্রসবের পর ঠিকমত লৌহ সমৃদ্ধ খাবার না খেলে।

প্রতিরোধ / প্রতিকারঃ
    প্রচুর পরিমাণ লৌহসমৃদ্ধ ও আমিষ জাতীয় খাদ্য যেমন:গাঢ় সবুজ শাকসব্জী, কাঁচাকলা, ডাল, মাছ,মাংস, কলিজা, ডিম ইত্যাদি খেতে হবে।
    ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল যেমন: পেঁপে, কলা, পেয়ারা ইত্যাদি খেতে হবে।
    শিশুকে শালদুধ সহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
    শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।
    কৃমি থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে।
    মারাত্মক অবস্থায় লৌহ ও আমিষ সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ মতো আয়রণ ট্যাবলেট খেতে হবে।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ]

Tuesday, November 12, 2013

রক্ত জমাট না বাঁধা বা হিমোফিলিয়া!

হিমোফিলিয়া কী?


হিমোফিলিয়া জন্মগত বংশানুক্রমিক রক্তের এক বিশেষ রোগ। এই রোগে রক্তের জমাট বাধার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। 


সাধারণত শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা আঘাতপ্রাপ্ত স্থান থেকে রক্ত বের হলে কয়েকটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাঁচ থেকে আট মিনিটের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধে। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য অণুচক্রিকা ছাড়াও ১৩টি উপাদান প্রয়োজন। এই উপাদানগুলোকে ‘ফ্যাক্টর’ বলে। এদের মধ্যে আট ও নয় নম্বর ফ্যাক্টরে ঘাটতি দেখা দিলে রক্তের জমাট বাধায় সমস্যা দেখা দেয়। ঘাটতির মাত্রা অনুযায়ী প্রকাশ পায় রোগের তীব্রতা। এই ফ্যাক্টর গুলো যদি ৩০ শতাংশের নিচে নেমে যায় তাহলে রক্ত জমাট বাধার সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এমনকি এক পর্যায়ে শরীরের অভ্যন্তরে নিজে নিজেই রক্ত ক্ষরণ হতে শুরু করে।

দু'ধরণের হিমোফিলিয়া আছ। হিমোফিলিয়া-এ ও হিমোফিলিয়া-বি। ফ্যাক্টর আট-এর অভাব হলে তাকে হিমোফিলিয়া এ বলে। ফ্যাক্টর নয় এর অভাব হলে তার নাম হিমোফিলিয়া বি। 'হিমেফিলিয়া বি' কে ক্রিসমাস ডিজিজও বলা হয়। পৃথিবীতে যত হিমোফিলিয়া রোগী আছ তার ৮৫ শতাংশই হিমোফিলিয়া এ-এর রোগী। 

 

এ রোগে কেন হয়?

হিমোফিলিয়া ঘুমন্ত এক ধরণের জেনেটিক রোগ। শরীর এক্স- ক্রোমজমের বিশেষ একটি জিনের মিউটেশন থেকে এই রোগের সূত্রপাত হয়। মূলত: মেয়েরা এর বাহক। আর পুরুষরা এর শিকার। কারণ মেয়েদের শরীর থাকে দু'টি এক্স-ক্রোমজম আর পুরুষের একটি। তবে ক্ষেত্র বিশেষে মেয়েরাও এর শিকার হতে পারে। 

আমাদের দেহের কোষে মোট ২৩ জোড়া ক্রোমোজম থাকে। এর মধ্যে এক জোড়া ক্রোমোজম লিঙ্গ নির্ধারণ করে। মেয়েদের কোষে থাকে এক্স এক্স এবং ছেলেদের কোষে এক্স ওয়াই ক্রোমোজম। হিমোফিলিয়া জিন থাকে এই এক্স ক্রোমোজমের মধ্যে। এক্স ক্রোমোজম হচ্ছে হিমোফিলিয়া রোগের বাহন। যেহেতু মেয়েরা দুটো এক্স ক্রোমোজমের অধিকারী, তাই একটা রোগাক্রান্ত হলে অন্য এক্স ক্রোমোজম ভালো থাকে বলে সহজে মেয়েরা এ রোগে ভোগে না। ছেলেদের বেলায় একটা এক্স ক্রোমোজম থাকে। সেটা যদি হিমোফিলিয়া রোগ বহনকারী হয়, তাহলে ছেলেদের এ রোগ থেকে মুক্তি নেই। হিমোফিলিয়ার জিন বহনকারী নারীদের সাধারণত ‘ক্যারিয়ার’ বা বাহক বলা হয়। 


রোগের লক্ষণঃ

 মূলত: রক্ত ক্ষরণই এর প্রধান লক্ষণ। অধিকাংশ রোগীরাই কোন অপারেশনের পর বা দূর্ঘটনাজনিত আঘাতের পর যখন আর রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না তখনই রোগটি সম্পর্কে প্রথম জানতে পারে। শিশুদের খাতনা করার পর অনেক শিশুদের রক্ত ক্ষরণ বন্ধ হতে সময় বেশী লাগে। তখনও এই রোগের চিন্তা মাথায় আসে। রোগের মাত্রা অনুযায়ী প্রকাশ পায় আরো কিছু লক্ষণ। ফ্যাক্টর দু'টির ঘাটতি বেশি হলে নিজে নিজেই বা সামান্য আঘাতে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে হাঁটুতে, কনুইয়ে। এমনকি গভীর মাংসেও। এর থেকে অস্থি সন্দির কর্মক্ষমতাও নষ্ট হতে পারে। 

এছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশেও রক্ত ক্ষরণ হতে পারে। বিশেষ করে মস্তিষ্কে, গলার ভিতরে, গলায় রক্তক্ষরণ হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক। এতে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিত্সা ব্যবস্থা না নিলে হিমোফিলিয়া রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সময় থাকতেই রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ভাল। অন্তত: সাবধান থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকিটা কমানো যায়। 


কী ধরনের এবং কোথায় বেশি রক্তক্ষরণ হয়ঃ

ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া সহজে বন্ধ না হওয়া সব হিমোফিলিয়া রোগীর বৈশিষ্ট্য। ক্ষতস্থান থেকে অল্প অল্প রক্ত চলবে কয়েক দিন থেকে সপ্তাহব্যাপী। শরীরের যেকোনো জায়গা থেকে হঠাৎ রক্ত পড়া শুরু হতে পারে, মুখের ভেতর দাঁতের কামড় লেগে অথবা ত্বকের নিচে দেখা গেল নীল জখম হয়ে গেছে একটু আঘাতেই। ক্ষত যদি বেশি হয় তাহলে জায়গাটা ফুলে উঠবে, ব্যথা হবে, এমনকি জ্বরও হতে পারে। অনেকের আবার দাঁত তুলতে গিয়েই ধরা পড়ে রোগটা। দাঁত তোলার পর রক্ত পড়া সহজে বন্ধ হয় না। সবচেয়ে মারাত্মক হয় মাথায় আর অস্থিসন্ধিতে রক্তক্ষরণ হলে। অস্থিসন্ধিতে, বিশেষ করে হাঁটুতে রক্তক্ষরণ হলে হাঁটু ফুলে উঠবে, ব্যথা হবে, রোগী হাঁটতে পারবে না। এ অবস্থায় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী চিকিৎসা না করালে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হওয়ার ঝুঁকি থাকে। 

শিশুদের ক্ষেত্রে গোড়ালির অস্থিসন্ধি বেশি আক্রান্ত হয়। অনেক সময় বড়দের বেলায় প্রস্রাবের সঙ্গেও রক্ত পড়তে পারে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রোগী রক্তস্বল্পতা ও আর্থ্রাইটিসে ভোগে। শরীরের অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গের ওপর-যেমন মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ইত্যাদির ওপর অনেক সময় জমাট রক্তের চাপ পড়লে স্মায়বিক দুর্বলতা হতে পারে। মোট কথা, শরীরে যেকোনো জায়গায় রক্তক্ষরণের ফলে বিভিন্ন ধরনের যেসব উপসর্গ হতে পারে, তা রক্তের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। 


কিভাবে জানা যায়?

রক্তের ফ্যাক্টর দু'টির পরীক্ষা (ফ্যাক্টর অ্যাসে) রক্তের জমাট বাধার ক্ষমতা পরীক্ষা (বিটি, সিটি, পিটি, এপিটিটি) করলে রোগটি ধরা পড়ে। গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের ডিএনএ পরীক্ষা করে গর্ভস্থ শিশুর রোগ সম্পর্কে জেনে নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা এখনো দুরের স্বপ্ন। 


চিকিত্সাঃ

রোগটি শিশু বয়সে নির্ণয় করা না গেলে কখনো চিকিৎসার অভাবে আবার কখনো বা ভুল চিকিৎসার কারণে অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আজ পর্যন্ত এ রোগের স্থায়ী কোনো চিকিৎসা আবিষ্কৃার হয়নি। তবে যে ফ্যাক্টরগুলোর স্বল্পতা ও অনুপস্থিতির কারণে রক্তক্ষরণ হয় সেগুলো শিরা পথে ইনজেকশন- এর মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানোই উত্তম চিকিত্সা। এই ফ্যাক্টর এর দাম অনেক বেশী প্রায় ৩৫০০ থেকে ৮৫০০ টাকা পর্যন্ত। অনেক ক্ষেত্রে সবধরনের ফ্যাক্টর বাংলাদেশে পাওয়াও যায় না। কোন কোন ক্ষেত্রে কজুলেশন ফ্যাক্টর এর বিপরীতে ইনহিবিটর তৈরী হয়। 

সে ক্ষেত্রে বেশী বেশী ফ্যাক্টর এর দরকার পড়ে অথবা বিবলতা ওষুধের মাধ্যমে চিকিত্সা করতে হয়। যা কিনা বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। নিয়মিত রক্তরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থেকে মাসে মাসেই এর মাত্রা বুঝে নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করে ভালো থাকা সম্ভব।

বিশ্বজুড়ে হিমোফিলিয়া সারা পৃথিবীতে প্রতি ১০,০০০ জনে একজন হিমোফিলিয়াসহ অন্যান্য  রক্তক্ষরণ রোগে ভুগছে। সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি এমন রোগীর সংখ্যা আরো বেশী। সনাক্তকৃত রোগীদের ৭৫ শতাংশই কোন চিকিত্সার আওতায় আসতে পারে না অর্থাত্ এরা সুচিকিত্সা থেকে বষ্ণিত। চিকিত্সায় রক্ত পরিসঞ্চালক করতে হয় বলে অনেক রোগী মারা যায় রক্ত বাহিত রোগ (যেমন হেপাটাইটিস, এইডস ইত্যাদি) ও পরিসঞ্চালন জনিত জটিলতায়।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।