যে ৬টি সমস্যা হয় ঘুমের অভাবে একজন সুস্থ মানুষের জন্য
কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। রাতে ছয় ঘণ্টার কম ঘুম হয় এমন মানুষদের
এক-চতুর্থাংশ কার্ডিওভাসকুলার সমস্যায় ভোগেন। ‘স্লিপ’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
তাদের ধমনিতে রক্ত চলাচলে বাধা, দুর্বল বোধ করাসহ দুর্বল হার্টবিটের সমস্যা হতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে
জানানো হয়। হার্ভার্ড মেডিক্যার স্কুলের গবেষকরা জানাচ্ছেন ঘুমের সমস্যায় শরীরে যে
৭ ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তার বিষয়ে।
মস্তিষ্কঃ টানা তিন দিন ধরে দিনে ১৯ ঘণ্টা করে জেগে থাকলে
মস্তিষ্কের কোষগুলো মরে যাওয়া শুরু করে। পশুদের ওপর করা এই গবেষণায় এমন ফলাফল
পাওয়া গেলেও বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও তাই হবে। এ
সমস্যায় আলঝেইমার এবং ডেমেনশিয়া হতে পারে এমন প্রোটিনকে পরিষ্কার করতে পারে না
মস্তিষ্ক।
রিফ্লেক্সঃ টানা ২৪ ঘণ্টা নির্ঘুম কাটালে মস্তিষ্কের
কগনিটিভ মোটরের দশা এমন হয় যেনো মানুষটি অ্যালকোহল খেয়েছেন। এ সময় মধ্যম
ক্যাফেইনযুক্ত এক কাপ কফি খেয়ে ২০ মিনিট ঝিমিয়ে নিন। লগবোরোহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক
গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় গাড়ি চালকদের এ সমস্যায় সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।
পাকস্থলীঃ যারা অভ্যাসগতভাবে দিনে ৫০ ঘণ্টা ঘুমান তাদের
পাকস্থলীতে লেপটিন হরমোনের পরিমাণ ১৫.৫ শতাংশ কমে যায়। এটি আপনাকে ভরপেট অনুভব
করতে সহায়তা করে এবং ফ্যাট সঞ্চয়ের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। ইউনিভার্সিটি অব
উইসকনসিনের গবেষণায় এসব তথ্য জানানো হয়।
কোমরঃ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, যারা রাতে মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমান তাদের বডি ম্যাস ইনডেক্স গড়ের চেয়ে ৩.৬
শতাংশ বেশি থাকে। তাদের মাঝে স্থূলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে কোমরে চর্বি জমে যায়।
রক্তচাপঃ যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের সিসটোলিক বিপি
১৩২-এ উঠে যায়। এর স্বাভাবিক মাপ ১২০ এর কম। ঘুমের অভাবে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ
বেড়ে যায় যাকে স্ট্রেস হরমোন বলা হয়।
অগ্ন্যাশয়ঃ রাতে গড়ে ৬ ঘণ্টা ঘুমের কারণে পুরুষদের
ডায়াবেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভবনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ইয়েল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এ
তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]
Khub valo laglo.
ReplyDelete