মানুষের দেহ কাঠামোর একটি বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে মেরুদন্ড। মেরুদন্ড অনেকগুলি ছোট ছোট হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। এই ছোট হাড় গুলির প্রত্যেকটি কশেরুকা (ভাটিব্রা) নামে পরিচিত। প্রতিদুইটি কশেরুকার মাঝে চাপ শোষনকারী ডিস্ক থাকে যেটি মেরুদন্ডের এক হাড় থেকে অন্য হাড়কে আলাদা রাখে এবং নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
অবস্থানভেদে কশেরুকা গুলো চারটি ভাগে বিভক্ত: ১) সারভাইকেল (গ্রীবাদেশীয়) ২) থোরাসিক (বক্ষদেশীয়) ৩) লাম্বার (কোমরদেশীয়) ৪) স্যাকরাম (কটিদেশীয়)। প্রতেকটি ডিস্কের ভিতরের অংশ জেলির মতো নরম এবং বাইরের অংশ শক্ত তন্তু দ্বারা গঠিত। ভিতরের অংশকে নিউক্লিয়াস পালপোসাস এবং বাইরের অংশকে অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস বলে। আমাদের বিভিন্ন ধরনের নাড়া-চাড়া ও ভার বহন জনিত চাপকে প্রশমিত করে ডিস্ক।
ডিস্ক প্রোল্যাপ্স: বাহ্যিক আঘাত, হাড়ের ক্ষয় ও অতিরিক্ত ভাড় বহনের ফলে ডিস্কের মধ্যবর্তী অংশ যখন বাইরে বের হয়ে গিয়ে স্নায়ুমূলে (নার্ভরুটে) চাপ সৃষ্টির ফলে ডিস্ক প্রোলাপ্স জনিত ব্যথা উপন্ন হয়। ডিস্কের অবস্থান ও প্রোল্যাপ্স এর মাত্রার উপর নির্ভর করে ডিস্ক প্রোলাপ্সের জটিলতা। প্রাথমিক অবস্থায় রোগী মেরুদন্ডে ব্যথা অনুভব করে। পরবর্তীতে জটিলতা বাড়তে থাকলে রোগী হাত বা পায়ে ঝিন ঝিন শিন শিন বা অবশ হওয়া অনুভব করেন।
ঘাড় ও পিঠ ব্যথা: ঘাড়ে উৎপন্ন ব্যথা ঘাড় নড়াচড়ার সাথে সাথে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। ঘাড় থেকে ব্যথা মাথার দিকে বা শিরদাড়া বেয়ে হাতের দিকে যেতে পারে। ব্যথার সাথে ঘাড়ে বা হাতে জ্বালা-পোড়া, ঝিন-ঝিন, শিন-শিন করতে পারে। অনেক সময় ঘাড়ে উৎপন্ন ব্যথার ফলে রোগী হাত-পা বা আঙ্গুল অবশ হয়ে যেতে দেখা যায়। একপর্যায়ে হাত ও পায়ের কার্যক্ষমতা লোপ পেতে থাকে। সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে চলাফেরা বা দৈনন্দিন কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কোমর ব্যথা: লাম্বার ডিস্ক প্রোলাপ্সের ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা অনুভব হয়। স্বাভাবিক নড়াচড়ায় ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে বা দীর্ঘক্ষণ হাটাহাটি করলে কোমড় ব্যথা বেড়ে যায়। এমনকি হাচি ও কাশির ফলে কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। কোমর থেকে ব্যথা ক্রমশ পায়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ধীরে ধীরে পা প্যারালাইসিস বা অবশ হয়ে যেতে দেখা যায়। পায়ে নিচের দিকে টানটান ভাব, জ্বালা-পোড়া, ঝিন-ঝিন, শিন-শিন ও কামড়ানো অনুভব হতে পারে। ধীরে ধীরে মেরুদন্ড বেকে গিয়ে কুঁজো হয়ে যেতে পারে। চূড়ান্ত পর্যায়ে কোমর ব্যথার ফলে পস্রাব পায়খানা বন্ধ হয়ে রোগী শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এইভাবে চলতে থাকলে রোগী একপর্যায়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
অবস্থানভেদে কশেরুকা গুলো চারটি ভাগে বিভক্ত: ১) সারভাইকেল (গ্রীবাদেশীয়) ২) থোরাসিক (বক্ষদেশীয়) ৩) লাম্বার (কোমরদেশীয়) ৪) স্যাকরাম (কটিদেশীয়)। প্রতেকটি ডিস্কের ভিতরের অংশ জেলির মতো নরম এবং বাইরের অংশ শক্ত তন্তু দ্বারা গঠিত। ভিতরের অংশকে নিউক্লিয়াস পালপোসাস এবং বাইরের অংশকে অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস বলে। আমাদের বিভিন্ন ধরনের নাড়া-চাড়া ও ভার বহন জনিত চাপকে প্রশমিত করে ডিস্ক।
ডিস্ক প্রোল্যাপ্স: বাহ্যিক আঘাত, হাড়ের ক্ষয় ও অতিরিক্ত ভাড় বহনের ফলে ডিস্কের মধ্যবর্তী অংশ যখন বাইরে বের হয়ে গিয়ে স্নায়ুমূলে (নার্ভরুটে) চাপ সৃষ্টির ফলে ডিস্ক প্রোলাপ্স জনিত ব্যথা উপন্ন হয়। ডিস্কের অবস্থান ও প্রোল্যাপ্স এর মাত্রার উপর নির্ভর করে ডিস্ক প্রোলাপ্সের জটিলতা। প্রাথমিক অবস্থায় রোগী মেরুদন্ডে ব্যথা অনুভব করে। পরবর্তীতে জটিলতা বাড়তে থাকলে রোগী হাত বা পায়ে ঝিন ঝিন শিন শিন বা অবশ হওয়া অনুভব করেন।
ঘাড় ও পিঠ ব্যথা: ঘাড়ে উৎপন্ন ব্যথা ঘাড় নড়াচড়ার সাথে সাথে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। ঘাড় থেকে ব্যথা মাথার দিকে বা শিরদাড়া বেয়ে হাতের দিকে যেতে পারে। ব্যথার সাথে ঘাড়ে বা হাতে জ্বালা-পোড়া, ঝিন-ঝিন, শিন-শিন করতে পারে। অনেক সময় ঘাড়ে উৎপন্ন ব্যথার ফলে রোগী হাত-পা বা আঙ্গুল অবশ হয়ে যেতে দেখা যায়। একপর্যায়ে হাত ও পায়ের কার্যক্ষমতা লোপ পেতে থাকে। সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে চলাফেরা বা দৈনন্দিন কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কোমর ব্যথা: লাম্বার ডিস্ক প্রোলাপ্সের ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা অনুভব হয়। স্বাভাবিক নড়াচড়ায় ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে বা দীর্ঘক্ষণ হাটাহাটি করলে কোমড় ব্যথা বেড়ে যায়। এমনকি হাচি ও কাশির ফলে কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। কোমর থেকে ব্যথা ক্রমশ পায়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ধীরে ধীরে পা প্যারালাইসিস বা অবশ হয়ে যেতে দেখা যায়। পায়ে নিচের দিকে টানটান ভাব, জ্বালা-পোড়া, ঝিন-ঝিন, শিন-শিন ও কামড়ানো অনুভব হতে পারে। ধীরে ধীরে মেরুদন্ড বেকে গিয়ে কুঁজো হয়ে যেতে পারে। চূড়ান্ত পর্যায়ে কোমর ব্যথার ফলে পস্রাব পায়খানা বন্ধ হয়ে রোগী শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এইভাবে চলতে থাকলে রোগী একপর্যায়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
চিকিংসা: ঘাড়, পিঠ ও কোমর ব্যথায় ক্রমাগত ব্যথানাশক খাওয়ার পরিবর্তে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিংসকের শরণাপন্ন হয়ে রোগ নির্ণয় করতে হবে। প্রথমিকভাবে কয়েকটি ফিজিওথেরাপি দিয়েও যখন রোগী আরোগ্য লাভ না করে তখন MRI করে দেখতে হবে ডিস্ক প্রোলাপ্সজনিত কোন সমস্যা আছে কি না? মেরুদন্ডের ডিস্কের চাপ বেশী হলে অপারেশনের মাধ্যমেই সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমানে বিশ্বের অত্যাধুনিক লেজার সার্জারীর মাধ্যমে কাটা-ছেড়াহীন (Percutaneous
Laser Disc Decompression -PLDD) চিকিংসা বাংলাদেশে চালু আছে। এর ফলে রোগীকে দীর্ঘমেয়াদী ও জটিল চিকিংসার পরিবর্তে স্বল্প মেয়াদী ও নিরাপদ লেজার চিকিংসায় দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হয়। তাছাড়া যেহেতু লেজার সার্জারীতে রোগীকে অজ্ঞান করতে হয় না তাই ডায়াবেটিস, কিডনী ও হৃদরোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক রোগীরাও এখন ঝুকিহীনভাবে পিএলডিডি চিকিংসা গ্রহণ করতে পারছেন।
খরচ: অত্যাধুনিক লেজার সার্জারীর পিএলডিডি অপারেশনটি US FDA
কর্তৃক স্বীকৃত হওয়ায় উন্নত বিশ্বে ব্যাপক পরিচিত। ইউরোপ ও আমেরিকায় এই
চিকিংসাটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল তথাপি বাংলাদেশে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে একমাত্র লেজার সার্জারী এন্ড হাসপাতালে নিরাপদ PLDD চিকিংসাটি চালু আছে। রোগীদের সন্তুষ্টি ও দ্রুত আরোগ্যের কারণে PLDD বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই ঘাড়, পিঠ ও কোমর ব্যথায় অবহেলা না করে নিরাপদ চখউউ এর মাধ্যমে দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন।
লেখক: ডা. মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লেজার সার্জারী এন্ড হাসপাতাল
www.LaserHospital.net Phone:
+88-01856439001
0 comments:
Post a Comment