ক্ষতিকারক রাসায়নিক, হেয়ার রিমুভাল
ওয়াক্স অনেকে আছেন হেয়ার রিমুভাল ক্রিম নিয়ে খুঁতখুঁতে। ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ভয়ে
ব্যবহার করতে চান না। আবার কর্মব্যস্ততার কারণে সেলুনে
যাওয়ার সময় বের করে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে অনেকে সহজ পন্থা হিসেবে শেভিং
বেছে নেন।
সচেতন নারীর ক্ষেত্রে এটা কোনো
ভাবেই কাম্য নয়। বরং, খানিক অবসর মিললে গান শুনতে শুনতে বানিয়ে নিতে পারেন হেয়ার
রিমুভাল ওয়াক্স।
নিচে প্রস্তুত প্রনালী দেওয়া হলোঃ
✭ একটি সসপ্যানে কিছু চিনি নিয়ে
গরম করতে থাকুন। গলতে শুরু না করা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। একসময় ক্যারামেলে পরিণত
হবে।
✭ এবার এতে কয়েক ফোঁটা মধু ও
লেবুর রস দিন। ভালো করে নাড়তে থাকুন। সবকিছু যেন ভালোভাবে মিশে যায়- খেয়াল রাখুন।
✭ যদি বেশি ঘন হয়েছে মনে হয়, তবে সামান্য
পানি মিশিয়ে নাড়তে পারেন।
✭ এবার মিশ্রণ তৈরি। চুলা থেকে
নামিয়ে নিন। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা করুন।
✭ ঠাণ্ডা হলে একটি টিনের কৌটায়
সংরক্ষণ করুন। এরপর রিফ্রিজারেটরে রাখুন। ঘরে তৈরি
ওয়াক্স ব্যবহারের সুবিধা বাজারের ওয়াক্সের সঙ্গে এর গুণগত অনেক পার্থক্য রয়েছে।
উপকারিতাও বেশি।
তেমন কিছু বিষয় জেনে নিনঃ
✭ এটি শুধু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে
তৈরি। যা ত্বককে মোলায়েম ও উজ্জ্বল করে।
✭ ঘরে তৈরি ওয়াক্স ব্যবহারে ত্বকে
কোনো ধরনের ফুসকুড়ি বা সংক্রমণের ভয় থাকে না।
✭ এটি অবাঞ্চিত লোম অপসারণের
পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে।
✭ এটি লোমের বৃদ্ধি হ্রাস করে।
✭ ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা
দূর হয়।
ওয়াক্স ব্যবহারের পরের যত্নঃ
✭ ওয়াক্স ব্যবহারের পর সব সময়
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
✭ ত্বক মুছার জন্য হালকা ভেজা
কাপড় ব্যবহার করুন। এতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে। ত্বক
সহসা শুকাবে না।
✭ ওয়াক্স ব্যবহারের পরপরই
সূর্যালোকে বের হবেন না। যদি বের হতেই হয়,
তবে শরীর ঢেকে বের হন।
✭ ওয়াক্স ব্যবহারের পর গরম পানিতে
গোসল করবেন না। তাহলে দরকারি তেল ঝরে যাবে।
✭ রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
✭ কোথাও যদি জ্বালাপোড়া করে বা
লাল হয়ে যায়, তবে ট্যালকম পাউডার মাখুন। অথবা বরফ ঘষতে পারেন।
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]
0 comments:
Post a Comment