সন্ধ্যা মিলাতে না মিলাতেই শিরশিরে ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে
শুরু করে। ভোরবেলার রোদে পাওয়া যায় হিমেল গন্ধ। এ সবই শীতের আগমনীবার্তা। আর
কদিনের মধ্যে রাতারাতি পড়ে যাবে ঠাণ্ডা। আর শীতকাল মানেই খসখসে ত্বক। শীতকালে
ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক বাতাসে
ত্বক ফাটে। ঘরের ভেতর এবং বাইরের তাপমাত্রায় পার্থক্য থাকার কারণে ত্বকের
আর্দ্রতার ভারসাম্য নষ্ট হয়। ত্বক নিষ্প্রভ দেখায়। তাই শীত আসার আগেই যত্ন নিতে
শুরু করুন ত্বকের।
★ নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুনঃ আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এ সময়টাতে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ
হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক লাগে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। তবে কেমিক্যালযুক্ত
সাবান ব্যবহার করবেন না। ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। মাইল্ড ফেসওয়াস
দিয়ে ঈষদুষ্ণ পানিতে মুখ ধোবেন। থার্মাল শকের হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে সপ্তাহে অন্তত
দু দিন সোপ-ফ্রি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ক্রিম ক্লিনজারও ব্যবহার করতে
পারেন।
★ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখুনঃ আবহাওয়ার তারতম্যে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুবই জরুরি।
পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ভেজা মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। সারাদিন ময়েশ্চারাইজার
লাগিয়ে থাকতে চাইলে ব্যবহার করুন ওয়াটার বাইন্ডিং ময়েশ্চারাইজার। এটা ঠাণ্ডা
বাতাস থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। ক্রিমের মতো ঘন ময়েশ্চারাইজার ত্বকের স্বাভাবিক
মসৃণ ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।
★ ত্বক নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করুনঃ শীত পুরোপুরি পড়ার আগেই ত্বকের ওপর মরা কোষ জমতে থাকে।
তাই ত্বক নিষ্প্রভ, অনুজ্জ্বল দেখায়। স্ক্র্যাবিং করলে
মরা কোষ ঝরে যায়। ত্বক বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। ত্বকের ভেতর ময়েশ্চারাইজার
ভালো মতো প্রবেশ করতে পারে। ছোট ছোট দানাযুক্ত স্ক্র্যাবার ব্যবহার করলে ত্বক
রুক্ষ হবে না। অ্যালকোহল বেসড টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
★ হাত ও মুখের চামড়া সব সময়
বাতাসের সংস্পর্শে থাকে বলে বেশি ভঙ্গুর। হাতের ত্বকের অবস্থা আরও করুণ। কারণ, হাতের
চামড়ায় তরল সরবরাহের গ্রন্থি কম থাকে। তাই হাতের জন্য বিশেষ ধরনের
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
★ বেশি গরম পানিতে গোসল করবেন
না। অবশ্য শীতকালে একটু বেশি গরম পানিতে গোসলের মজাই আলাদা। কিন্তু এতে চামড়ার
শুষ্কতা বাড়ে। তাই কুসুম গরম পানিতে গোসল করাই ভালো।
★ পানি খাবেন বেশি করে। কিন্তু
মনে করবেন না যে সেই পানি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করবে। বেশি পানি খেলে
চামড়া বেশি সতেজ থাকবে, এমন ধারণা ভুল। আসলে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পানি খেতে
হবে। শরীর ঠিক তো সব ঠিক!
★ পায়ে গ্লিসারিন মাখুন। রুক্ষতা কাটাতে এর জুড়ি নেই।
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]
0 comments:
Post a Comment