সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকা অঞ্চলের ইবোলা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে চরম এক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি আসলে কি সে সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই। ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে জুরুরী তথ্যগুলো জেনে নিন।
ইবোলা ভাইরাস কি সেটি জেনে নিন!
ইবোলা ভাইরাস জ্বর/Ebola virus disease(EVD) বা ইবোলা হেমোরেজিক জ্বর /Ebola hemorrhagic fever(EHF) এই ইবোলা ভাইরাস দ্বারা মানুষের শরীরে সংক্রমিত একটি রোগ। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে! ১৯৭৬ সালে সর্বপ্রথম এই ভাইরাস দেখা দেয়। এরপর ততটা না ছড়ালেও সাম্প্রতিক সময়ে এটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ মারা গেছে এই ভাইরাসে।
সংক্ষেপে এই রোগ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক:
ইবোলা রোগের লক্ষণ!
ইবোলা রোগের লক্ষণ হচ্ছে উচ্চ মাত্রার জ্বর হওয়া। রক্তক্ষরণ এবং অনেক ক্ষেত্রেই সেন্ট্রাল নার্ভ ডেমেজ হয়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশঙ্খা প্রায় ৯০% পর্যন্তও হতে পারে। ২১ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে এর লক্ষণ পরিলক্ষিত হতে।
কোথায় থেকে আসে এই ভাইরাস?
ফল খেকো বাদুর মূলত এই ভাইরাসের প্রাকৃতিক বাহক। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি!
ইবোলা ভাইরাসের ৩টি ভয়াবহতা
✬ এখন পর্যন্ত এই রোগটির কোনো রকম প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি।
✬ এটি ছোঁয়াচে জাতীয় রোগ। সাধারণত শরীরের অভ্যন্তরীণ তরল পদার্থের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি এমন একটি রোগ যে, মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির শরীরেও এই রোগের ভাইরাস জীবিতো অবস্থায় থেকে যায়। আবার তা জীবিতো মানুষকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা রাখে।
✬ ১০ জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৬ জনেরই মৃত্যুর সম্ভাবনা থেকে যায়।
আশার কথা হলো, রোগটি ফ্লু ও অন্যান্য বায়ুবাহিত রোগের মতো ছড়ায় না, আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে না আসলে এই রোগে সংক্রমিত হবার ভয় নেই।
রোগ ছড়ায় কিভাবে?
এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যেহেতু প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি এখনও। সেহেতু প্রতিকার করাটাই সর্বোত্তম পন্থা। এই রোগ কিভাবে ছড়ায় তা জানা থাকলে, এই রোগ প্রতিরোধ করা অনেকটাই সহজ। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে নির্গত তরল এর সংস্পর্শে সুস্থ কোনো ব্যক্তি আসলে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। শরীর থেকে নির্গত তরল যেমন- ঘাম, লালা, বুমি, ডায়েরিয়ার এর সংস্পর্শে আসলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বীর্যের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়াবার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার আক্রান্ত রুগী মারা গেলেও মৃতের শরীরেও এর জীবাণু সক্রিয় থাকে, যে কারণে মৃতব্যাক্তির শেষক্রিয়া সম্পন্ন করার সময়ও সর্বোচ্চ সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইবোলা ভাইরাস রোগের চিকিৎসা!
আগেই বলা হয়েছে, এই রোগের কোনো প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। সুতরাং যা করতে হবে রোগীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে নিজে নিজে সুস্থ হওয়ার জন্য।
ডায়েরিয়ার কারণে রোগীর শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা দিলে রোগীর জন্য জরুরি ভিত্তিতে সেলাইনের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে করে পানিশূণ্যতাজনিত সমস্যা দেখা না দেয়। জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে করে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। রোগিকে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটর করতে হবে। দেখতে হবে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ সঠিক আছে কিনা। ব্লাডপ্রেশার কম অথবা বেশি হচ্ছে নাকি তাও খেয়াল রাখতে হবে।
লক্ষণ অনুযায়ী রোগীর শাররীক ও মানসিক লক্ষণ বিবেচনা করে ঔষধ নির্বাচন করলে হোমিওপ্যাথিতে এই ভাইরাস নিরাময় সম্ভব।
কিভাবে আপনি বাঁচবেন?
সাধারণত যে সকল জায়গাতে এ রোগ দেখা দিয়েছে ওই সকল জায়গায় না গেলে আপনার ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কিন্তু আপনি যদি সর্বশেষ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত দেশগুলোর কোনো একটিতে ভ্রমণ করে থাকেন, তবে অবশ্যই সতর্ক অবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
✬ সবসময় হাত সাবান এবং গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে।
✬ খেয়াল রাখতে হবে যাতে চোখ, নাক অথবা মুখে হাত লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
✬ আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যাওয়ার সময় শরীর ঢেকে মাস্ক পরে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
✬ আক্রান্ত ব্যক্তির বডি লিকুইড যাতে আপনার সংস্পর্শে কোনোভাবেই না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
✬ যদি কোনো কারণে এই রোগের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আলাদা করে ফেলতে হবে, যাতে অন্য কেও এ রোগে আক্রান্ত না হয় এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশে যাতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে সকলকে সচেতন হতে হবে। জ্বর, সর্দি, কাশি হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। ভীত না হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং পাশ্ববর্তী সকলকে সচেতন করতে হবে।
ইবোলা ভাইরাস কি সেটি জেনে নিন!
ইবোলা ভাইরাস জ্বর/Ebola virus disease(EVD) বা ইবোলা হেমোরেজিক জ্বর /Ebola hemorrhagic fever(EHF) এই ইবোলা ভাইরাস দ্বারা মানুষের শরীরে সংক্রমিত একটি রোগ। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে! ১৯৭৬ সালে সর্বপ্রথম এই ভাইরাস দেখা দেয়। এরপর ততটা না ছড়ালেও সাম্প্রতিক সময়ে এটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ মারা গেছে এই ভাইরাসে।
সংক্ষেপে এই রোগ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক:
ইবোলা রোগের লক্ষণ!
ইবোলা রোগের লক্ষণ হচ্ছে উচ্চ মাত্রার জ্বর হওয়া। রক্তক্ষরণ এবং অনেক ক্ষেত্রেই সেন্ট্রাল নার্ভ ডেমেজ হয়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর আশঙ্খা প্রায় ৯০% পর্যন্তও হতে পারে। ২১ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে এর লক্ষণ পরিলক্ষিত হতে।
কোথায় থেকে আসে এই ভাইরাস?
ফল খেকো বাদুর মূলত এই ভাইরাসের প্রাকৃতিক বাহক। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনো প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি!
ইবোলা ভাইরাসের ৩টি ভয়াবহতা
✬ এখন পর্যন্ত এই রোগটির কোনো রকম প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি।
✬ এটি ছোঁয়াচে জাতীয় রোগ। সাধারণত শরীরের অভ্যন্তরীণ তরল পদার্থের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি এমন একটি রোগ যে, মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির শরীরেও এই রোগের ভাইরাস জীবিতো অবস্থায় থেকে যায়। আবার তা জীবিতো মানুষকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা রাখে।
✬ ১০ জন আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৬ জনেরই মৃত্যুর সম্ভাবনা থেকে যায়।
আশার কথা হলো, রোগটি ফ্লু ও অন্যান্য বায়ুবাহিত রোগের মতো ছড়ায় না, আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে না আসলে এই রোগে সংক্রমিত হবার ভয় নেই।
রোগ ছড়ায় কিভাবে?
এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যেহেতু প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি এখনও। সেহেতু প্রতিকার করাটাই সর্বোত্তম পন্থা। এই রোগ কিভাবে ছড়ায় তা জানা থাকলে, এই রোগ প্রতিরোধ করা অনেকটাই সহজ। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে নির্গত তরল এর সংস্পর্শে সুস্থ কোনো ব্যক্তি আসলে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। শরীর থেকে নির্গত তরল যেমন- ঘাম, লালা, বুমি, ডায়েরিয়ার এর সংস্পর্শে আসলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বীর্যের মাধ্যমেও এই রোগ ছড়াবার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার আক্রান্ত রুগী মারা গেলেও মৃতের শরীরেও এর জীবাণু সক্রিয় থাকে, যে কারণে মৃতব্যাক্তির শেষক্রিয়া সম্পন্ন করার সময়ও সর্বোচ্চ সতর্কমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইবোলা ভাইরাস রোগের চিকিৎসা!
আগেই বলা হয়েছে, এই রোগের কোনো প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। সুতরাং যা করতে হবে রোগীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে নিজে নিজে সুস্থ হওয়ার জন্য।
ডায়েরিয়ার কারণে রোগীর শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা দিলে রোগীর জন্য জরুরি ভিত্তিতে সেলাইনের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে করে পানিশূণ্যতাজনিত সমস্যা দেখা না দেয়। জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে করে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। রোগিকে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটর করতে হবে। দেখতে হবে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ সঠিক আছে কিনা। ব্লাডপ্রেশার কম অথবা বেশি হচ্ছে নাকি তাও খেয়াল রাখতে হবে।
লক্ষণ অনুযায়ী রোগীর শাররীক ও মানসিক লক্ষণ বিবেচনা করে ঔষধ নির্বাচন করলে হোমিওপ্যাথিতে এই ভাইরাস নিরাময় সম্ভব।
কিভাবে আপনি বাঁচবেন?
সাধারণত যে সকল জায়গাতে এ রোগ দেখা দিয়েছে ওই সকল জায়গায় না গেলে আপনার ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কিন্তু আপনি যদি সর্বশেষ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত দেশগুলোর কোনো একটিতে ভ্রমণ করে থাকেন, তবে অবশ্যই সতর্ক অবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
✬ সবসময় হাত সাবান এবং গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে।
✬ খেয়াল রাখতে হবে যাতে চোখ, নাক অথবা মুখে হাত লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
✬ আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যাওয়ার সময় শরীর ঢেকে মাস্ক পরে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
✬ আক্রান্ত ব্যক্তির বডি লিকুইড যাতে আপনার সংস্পর্শে কোনোভাবেই না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
✬ যদি কোনো কারণে এই রোগের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আলাদা করে ফেলতে হবে, যাতে অন্য কেও এ রোগে আক্রান্ত না হয় এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশে যাতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা না দেয় সেদিকে খেয়াল রাখতে সকলকে সচেতন হতে হবে। জ্বর, সর্দি, কাশি হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। ভীত না হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে এবং পাশ্ববর্তী সকলকে সচেতন করতে হবে।
[ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য, ধন্যবাদ ]
Homeopathic Medicine er Name suggest korle valo hoto
ReplyDelete