খোলামেলা আলাপ না করলেই নয়। এখানে ছেলে-মেয়ে বিভেদ নাই। বাঁচতে হলে আলোচনা করতে হবে। অনেক জানা ব্যক্তি আছেন, তাদের দায়িত্ব আমাদের মতো কম জানা মানুষকে বিস্তারিত জানানো।
★ ঘটনা-1
-দোস্ত, চল।
-কোথায় যাবি?
-আরে চল না!! এতো প্রশ্ন কেন?
মজা নিবি মামা, এমন মজা লাইফে পাস নাই। নিজে নিজে আর কতো! এবার আসল মজা। ৫০০টাকা সাথে নিস।
-কেন? ৫০০ টাকা কেন??
-আরে, নিস, এতো কেন কেন করিস না।
দুইজন মিলে গেলো এক প্রস্টিটিউট মহলে।
সেখানে গিয়ে কি করলো, সেটা নাই বললাম।
★ ঘটনা-2
তরিকুল গেলো ওষুধের দোকানে। লক্ষ্য- কনডম কিনবে। কিন্তু পকেটে টাকা সামান্যই। দেখলো- ১০০ টাকার, ৭০ টাকার, ৫০ টাকার, ২০ টাকার প্যাকেট। ৬.৫ টাকা পার পিস দামের কনডমও দেখতে পেলো। সে নিলো ৬.৫ টাকারটা। এসবের দামের যে পার্থক্য- বুঝাই যায়, মানের কি গরমিল। এগুলোও আজকাল সেফ নয়।
★ ঘটনা-3
মেসে থাকে সাজিদ। বারান্দায় হাঁটার সময় দেখে- পাশের রুমের ছেলেটি সিরিঞ্জ হাতের চামড়ার ভেতর ঢুকাচ্ছে। মুখের এক্সপ্রেশনে কি যে মজা পাচ্ছে, সেই জানে!
কলেজ লেভেলের ভালো ছাত্র সাজিদ ভার্সিটিতে রেজাল্ট করলো খারাপ। ব্যস। মাদক গ্রহণ শুরু। সিরিঞ্জ-ইঞ্জেকশনের পর্যায় আসতেও সময় লাগলো না। যা দেখে একসময় ঘৃণা হতো সেটা ছাড়া তার পক্ষে যেন বেঁচে থাকাই সম্ভব না।
•••► অনিরাপদ যৌন মিলন বাড়ছেই। এসব এইডসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে। বাংলাদেশের তরুন সমাজে ৮০% অবৈধ যৌনমিলন হয় আবাসিক হোটেলে।
•••► নিরাপদে কনডম ব্যবহার লোপ পাচ্ছে। যেটি এইডস ছড়াতে ওস্তাদ।
•••► শিরায় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে যারা মাদক গ্রহন করে তাদের ৭০% এর শরীরে এইচআইভি এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
•••► দেশে সমকামীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখে পৌঁছেছে। নারী-পুরুষের চেয়ে এদের এইডস ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
•••► এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেলুনে একই ব্লেড দিয়ে ৮-১০ জনের শেভিং এর কাজ চালানো হয়। শহরে যদিও শেভিং এ আলাদা ব্লেড ব্যবহার করা হয়, কিন্তু চুল কাটার পর এলপাতারি ভাবে লেগে থাকে সামান্য চুল চাঁছার জন্য একটা কমন ব্লেডই ব্যবহার করে নাপিতরা। এটা সবার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।
যাই হোক, এভাবে বললে, বলে শেষ করা যাবে না। ধর্মীয় জ্ঞান
থাকলে এসব নিয়ে ভাবতে হতো না, যেটা আমাদের মধ্যে একেবারেই নেই।
★ এইডস প্রতিরোধে করণীয়:
•••► ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এইডস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু বিশ্বস্ত একজন স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখতে হবে। একাধিক
যৌনসঙ্গী পরিহার করতে হবে।
সূরা নূর-এর ৩০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, "মোমেনদেরকে বল, তারা যেন তাদের নজর সংযত রাখে, তাদের যৌনাঙ্গের সংরক্ষণ করে। এটা তাদের জন্য মঙ্গল।"
ইসলামে সমকামিতাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সূরা আরাফ’র ৮২ নাম্বার আয়াতে "সমকামীদের সীমা লংঘনকারী কওম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।"
•••► যৌনসঙ্গীর এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে, অথবা নিয়মিত ও সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
•••► শরীরে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রহণের প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে, সে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এইচআইভি নেই।
•••► একবার ব্যবহার করা যায় এমন জীবাণুমুক্ত সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
•••► পুনরায় ব্যবহার যোগ্য সুচ, সিরিঞ্জ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পূর্বে নিশ্চিত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
•••► দেখা গেছে, যৌনরোগ বা প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কারও যৌনরোগ বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে দ্রুত চিকিত্সা করাতে হবে।
এইডস সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে প্রতিরোধমূলক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
এইডসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। এর যে চিকিত্সা বের হয়েছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাছাড়া এ চিকিত্সা শুধু এইডস হওয়ার সময়কে বিলম্বিত করে। এইডস পুরোপুরি নিরাময় করে না।
তাই এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো এইডস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং সে অনুযায়ী সচেতন হয়ে নিরাপদ জীবনযাপন করা। এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
শহরে HIV-AIDS সম্পর্কে বিস্তারিত (১০০%) জানেন ৩৩% মানুষ। আর গ্রামে এই পরিমাণ মাত্র ১৯% এইডস যেভাবে ছড়াচ্ছে, আমাদের সকলের সতর্কতার জন্য, মুক্ত আলোচনা একান্তই প্রয়োজন।
★ ঘটনা-1
-দোস্ত, চল।
-কোথায় যাবি?
-আরে চল না!! এতো প্রশ্ন কেন?
মজা নিবি মামা, এমন মজা লাইফে পাস নাই। নিজে নিজে আর কতো! এবার আসল মজা। ৫০০টাকা সাথে নিস।
-কেন? ৫০০ টাকা কেন??
-আরে, নিস, এতো কেন কেন করিস না।
দুইজন মিলে গেলো এক প্রস্টিটিউট মহলে।
সেখানে গিয়ে কি করলো, সেটা নাই বললাম।
★ ঘটনা-2
তরিকুল গেলো ওষুধের দোকানে। লক্ষ্য- কনডম কিনবে। কিন্তু পকেটে টাকা সামান্যই। দেখলো- ১০০ টাকার, ৭০ টাকার, ৫০ টাকার, ২০ টাকার প্যাকেট। ৬.৫ টাকা পার পিস দামের কনডমও দেখতে পেলো। সে নিলো ৬.৫ টাকারটা। এসবের দামের যে পার্থক্য- বুঝাই যায়, মানের কি গরমিল। এগুলোও আজকাল সেফ নয়।
★ ঘটনা-3
মেসে থাকে সাজিদ। বারান্দায় হাঁটার সময় দেখে- পাশের রুমের ছেলেটি সিরিঞ্জ হাতের চামড়ার ভেতর ঢুকাচ্ছে। মুখের এক্সপ্রেশনে কি যে মজা পাচ্ছে, সেই জানে!
কলেজ লেভেলের ভালো ছাত্র সাজিদ ভার্সিটিতে রেজাল্ট করলো খারাপ। ব্যস। মাদক গ্রহণ শুরু। সিরিঞ্জ-ইঞ্জেকশনের পর্যায় আসতেও সময় লাগলো না। যা দেখে একসময় ঘৃণা হতো সেটা ছাড়া তার পক্ষে যেন বেঁচে থাকাই সম্ভব না।
•••► অনিরাপদ যৌন মিলন বাড়ছেই। এসব এইডসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে। বাংলাদেশের তরুন সমাজে ৮০% অবৈধ যৌনমিলন হয় আবাসিক হোটেলে।
•••► নিরাপদে কনডম ব্যবহার লোপ পাচ্ছে। যেটি এইডস ছড়াতে ওস্তাদ।
•••► শিরায় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে যারা মাদক গ্রহন করে তাদের ৭০% এর শরীরে এইচআইভি এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
•••► দেশে সমকামীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখে পৌঁছেছে। নারী-পুরুষের চেয়ে এদের এইডস ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
•••► এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেলুনে একই ব্লেড দিয়ে ৮-১০ জনের শেভিং এর কাজ চালানো হয়। শহরে যদিও শেভিং এ আলাদা ব্লেড ব্যবহার করা হয়, কিন্তু চুল কাটার পর এলপাতারি ভাবে লেগে থাকে সামান্য চুল চাঁছার জন্য একটা কমন ব্লেডই ব্যবহার করে নাপিতরা। এটা সবার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।
যাই হোক, এভাবে বললে, বলে শেষ করা যাবে না। ধর্মীয় জ্ঞান
থাকলে এসব নিয়ে ভাবতে হতো না, যেটা আমাদের মধ্যে একেবারেই নেই।
★ এইডস প্রতিরোধে করণীয়:
•••► ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এইডস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু বিশ্বস্ত একজন স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখতে হবে। একাধিক
যৌনসঙ্গী পরিহার করতে হবে।
সূরা নূর-এর ৩০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, "মোমেনদেরকে বল, তারা যেন তাদের নজর সংযত রাখে, তাদের যৌনাঙ্গের সংরক্ষণ করে। এটা তাদের জন্য মঙ্গল।"
ইসলামে সমকামিতাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সূরা আরাফ’র ৮২ নাম্বার আয়াতে "সমকামীদের সীমা লংঘনকারী কওম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।"
•••► যৌনসঙ্গীর এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে, অথবা নিয়মিত ও সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
•••► শরীরে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রহণের প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে, সে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এইচআইভি নেই।
•••► একবার ব্যবহার করা যায় এমন জীবাণুমুক্ত সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
•••► পুনরায় ব্যবহার যোগ্য সুচ, সিরিঞ্জ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পূর্বে নিশ্চিত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
•••► দেখা গেছে, যৌনরোগ বা প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কারও যৌনরোগ বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে দ্রুত চিকিত্সা করাতে হবে।
এইডস সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে প্রতিরোধমূলক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
এইডসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। এর যে চিকিত্সা বের হয়েছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাছাড়া এ চিকিত্সা শুধু এইডস হওয়ার সময়কে বিলম্বিত করে। এইডস পুরোপুরি নিরাময় করে না।
তাই এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো এইডস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং সে অনুযায়ী সচেতন হয়ে নিরাপদ জীবনযাপন করা। এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
শহরে HIV-AIDS সম্পর্কে বিস্তারিত (১০০%) জানেন ৩৩% মানুষ। আর গ্রামে এই পরিমাণ মাত্র ১৯% এইডস যেভাবে ছড়াচ্ছে, আমাদের সকলের সতর্কতার জন্য, মুক্ত আলোচনা একান্তই প্রয়োজন।
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]
0 comments:
Post a Comment