থাইরয়েডের সমস্যা এখন স্বাভাবিক
ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটা যেন একটু বেশিই। হাইপো-থাইরয়েডিজমের
জন্য ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কাজ সঠিক
ভাবে পরিচালনা করতে প্রয়োজন যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ, সেই সাথে ওজন
নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি।
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কোন খাবার গুলো আপনাকে উপকার দেবে
আর কী কী করলে আপনি উপকার পাবেন, সে সব সম্পর্কে আসুন
জেনে নেয়া যাকঃ-
১। আয়োডিন যুক্ত খাবার গ্রহণঃ যদিও আয়োডিন যুক্ত লবণের মাধ্যমে আমরা আয়োডিন গ্রহণ করে
থাকি। তবে লবণ কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। কলা, গাজর, স্ট্রবেরি, দুধ,
সামুদ্রিক মাছ এবং দানাশস্যে আয়োডিন রয়েছে। এগেুলোকে রাখতে হবে
প্রতিদিনের খাবার তালিকায়। শাকপাতা ও মৌসুমি সবজিতেও রয়েছে আয়োডিন। তাই ডায়েটিং এর
নামে খাবার তালিকা থেকে এগুলো বাদ দিলে চলবে না।
২। প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণঃ থাইরয়েড ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। তাই
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। চিজ, পনির, ডিম, ফ্রেশ সি
ফুড, মুরগির মাংস পরিমিত খেলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিক মত
কাজ করতে পারবে।
৩। জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুনঃ বার্গার, হটডগ, চিপস
প্রভৃতি জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুন। এ সব প্রসেসড খাবারের বাড়তি লবণ কোষের সোডিয়াম
ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। আর এগুলো শরীরে মেদ জমতে সহায়তা করে। তাই
যথাসম্ভব এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন। বাড়িতে তৈরি ওয়েল ব্যালেন্সড খাবার খান।
৪। নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে প্রপার ডায়েটের সাথে সাথে প্রতিদিন
নিয়ম করে ব্যায়াম করা জরুরি। ব্যায়ামের জন্য নিতে পারেন অভিজ্ঞ কোন ইন্সট্রাকটরের
পরামর্শ। সাইক্লিং কিংবা সুইমিং থাইরয়েডের জন্য খুব উপকারী। যোগাসনও খুব কাজে দেয়
বলে জানিয়েছেন অনেকে।
৫। পরিমিত ঘুমঃ থাইরয়েড ভালো ভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন রাতের ভালো ঘুম
খুব জরুরি। তাই রাতের ঘুমের সাথে কোন কম্প্রোমাইজ নয়। অনেকে রাতে জেগে থেকে দিনে
ঘুমান। এটা ঠিক আছে যদি আপনার ঘুম পরিমিত হয়। তবে মনে রাখবেন রাতের ঘুম বেশি গাঢ়
হয়। কারণ শব্দ ও আলোর উৎপাত রাতে কম থাকে।
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]
0 comments:
Post a Comment