Friday, September 26, 2014

সুস্থ থাকতে গায়ে মাখুন রোদ!

দেশের বেশির ভাগটাই তো সমভূমি। আর সেখানে রোদের আলোয় মাখামাখি প্রায় বছরজুড়েই। এখানে আর যাই হোক রোদ বা সূর্যালোকের তো অভাব নেই। কিন্তু তারপরও আমাদের দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষই ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতায় ভোগেন। এটা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এমন এক পুষ্টি উপাদান, যা শরীর নিজেই তৈরি করে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে। শুধু শাক-সবজি আর আঁঁশ যুক্ত খাবার খেলে এটা পাওয়া যাবে না। এই গ্রীষ্মের আলো ঝলমলে দিনগুলোতে সুযোগ পেলেই গায়ে রোদ মাখুন। আপনার পুরো শরীর এমনকি হাড়-মজ্জাও এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।


ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতেঃ
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিনের অভাবে হাড় ও পেশি দুর্বল থাকে। শরীরে ক্লান্তি আসে এবং ত্বকেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ভিটামিনের অভাব থাকলে দস্তা গ্রহণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে শরীর। একইভাবে ভিটামিন ডি না থাকলে যথাযথভাবে ক্যালসিয়ামও গ্রহণ করতে পারে না শরীর। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ওজন বেড়ে যাওয়া বা মুটিয়ে যাওয়া এবং হূদরোগের সঙ্গেও সম্পর্কিত। আর হাড় ও পেশির রোগের একটা বড় কারণই তো এই ভিটামিনের ঘাটতি।

নাগরিক জীবনে অনেকেরই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির আশঙ্কা থাকে। দিনের বেলায় বেশির ভাগ সময়ই অফিস-আদালত, দোকানপাট কিংবা ঘরবাড়ির ভেতরে থাকা এর একটা প্রধান কারণ।

বিশেষ ভাবে ভিটামিন ডি দরকার যখনঃ
বয়স্ক ব্যক্তি, হাড় ভাঙার সমস্যায় ভুগছেন কিংবা সদ্য সন্তান জন্ম দিয়েছেন- এমন মানুষদের বিশেষ ভাবে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা দরকার। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের শরীর বাড়ন্ত থাকে বলে এ সময় হাড় ও পেশির গঠন ঠিকঠাক রাখতে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া দরকার।

এ ছাড়া অনেক বিশেষজ্ঞই বলেন শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলোর মাত্রা ঠিকঠাক আছে কিনা তা জেনে নিতে বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা দরকার। সময়মতো ধরা পড়লে অনেক ঘাটতিই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কিছু খাবারঃ
ভিটামিন ডি পেতে সরাসরি সূর্যালোকে তো যেতে হবেই এর সঙ্গে বাছাই করা কিছু খাবারও খেতে পারি আমরা।
নিচে তেমন কয়েকটি খাবারের কথা উল্লেখ করা হলোঃ-

পনির: বেশির ভাগ পনিরেই কিছু পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তবে, ভেড়ার দুধ থেকে তৈরি ইতালীয় রিকোত্তা পনিরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
মাশরুম: নিরামিষাশীদের জন্য ভিটামিন ডি-এর খুবই ভালো একটা উত্স মাশরুম। ভালো মানের ভিটামিন ডি পাওয়া যায় শিতেক মাশরুমে।
ডিম: ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে সুলভ উত্স ডিম। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে।
মাছ: বেশির ভাগ মাছেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে। মাছের তেল বিশেষত ‘কডলিভার অয়েল’ ভিটামিন ডি-এর বিকল্প উত্স হিসেবে বহুল জনপ্রিয়।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

0 comments:

Post a Comment