জলাতন্ক রোগটি র্যাবিস ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমণের ফলে হয় ৷ এটি
একটি সিনগেল স্টানডেট আর এন এ (ss RNA) ভাইরাস৷ এই
ভাইরাসের বাইরে একটি আবরণ বা এনভেলপ থাকে৷ জলাতন্ক রোগে আক্রান্ত মানুষ পানি দেখলে
ভয় পায় বলেই এর নাম হয়েছে জলাতন্ক৷ কুকুর কামড়ালেই জলাতন্ক রোগ হবে এ ধারণা সঠিক
নয়৷ জলাতন্ক রোগে আক্রান্ত কুকুর বা অন্য কোনো পশু কামড়ালে জলাতন্ক রোগের জীবাণু
মানুষের দেহে প্রবেশ করে৷
যেভাবে ছাড়ায়ঃ
জলাতন্ক রোগে আক্রান্ত কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজী, বানর ইত্যাদির মাধ্যমে জলাতন্ক রোগ ছড়ায়৷
কুকুর কামড়ালে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে হবেঃ
যেভাবে ছাড়ায়ঃ
জলাতন্ক রোগে আক্রান্ত কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজী, বানর ইত্যাদির মাধ্যমে জলাতন্ক রোগ ছড়ায়৷
কুকুর কামড়ালে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে হবেঃ
✬ কুকুর কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতস্থান ভালোভাবে সাবান-পানি দ্বারা তারপর
আয়োডিন বা অন্যান্য এ্যান্টিসেপটিক লোশন দ্বারা পরিস্কার করতে হবে৷
✬ কুকুরটি পরিচিত ও স্বাভাবিক অবস্থায় এলাকায় অবস্থান করছে কিনা তা জানতে
হবে৷
✬ পালিত কুকুর হলে গৃহকর্তার নিকট কুকুরের বর্তমান আচরণ অস্বাভাবিক কিনা জানতে হবে৷
✬ পালিত কুকুরের জলাতন্কের প্রতিষেধক দেয়া আছে কিনা এবং দেওয়া থাকলে প্রতিষেধকের কার্যকরি মেয়াদ কতদিন তা জানতে হবে৷
✬ কুকুরটি যদি পরিচিত ও বাড়িতে বা পাড়ায় থাকে তাহলে ১০ দিন কুকুরটিকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে৷ জলাতন্কগ্রস্ত হলে ১০ দিনের মধ্যে কুকুরটি মারা যাবে৷ কুকুরটি বেঁচে থাকলে ভয়ের কোনো কারণ নেই৷
✬ কুকুরটি যদি জলাতন্কগ্রস্ত বা অপরিচিত হয় অথবা ১০ দিন পর্যবেক্ষণ করা না যায় বা কামড়ানোর পর যদি কুকুরকে মেরে ফেলা হয় অথবা এর কোনো খেঁাজ পাওয়া না যায় তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
✬ রোগীকে ধনুষ্টংকারের প্রতিষেধক দিতে হবে৷
জলাতন্ক আক্রান্ত মানুষের লক্ষণঃ
✬ কামড়ের জায়গায় ব্যথা ও চিনিচিন করে
✬ জ্বর, ঢোক গিলতে ব্যথা ও খিঁচুনি হয়৷
✬ পানি খেতে চায় না, পানি দেখলে ভয় পায়৷
✬ খুব ঘন চটচটে লালা ঝরে
✬ শান্ত থাকতে থাকতে হঠাত্ রেগে যায়
✬ পরে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় এবং পক্ষাঘাত দেখা দেয়
কুকুর কামড়ানোর ১০ দিন পর (সাধারণত ৩ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে) জলাতন্কের প্রথম লক্ষণগুলো দেখা দেয়৷ লক্ষণ প্রকাশের পূর্বে চিকিৎসা শুরু করতে হবে৷
জলাতন্ক আক্রান্ত কুকুরের লক্ষণঃ
✬ জলাতন্ক রোগে কোনো কুকুর আক্রান্ত হলে পাগলের মতো আচরণ করা শুরু করে৷
✬ সামনে মানুষ বা পশু যাকেই পায় তাকেই কামড়াতে চেষ্টা করে৷
✬ সর্বক্ষণ ঘেউ ঘেউ করে
✬ মুখ দিয়ে লালা পড়ে (লালার সাথে জীবাণু নির্গত হয়)
✬ কুকুরটি খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং কয়েক দিনের মধ্যে মারা যায়৷
✬ কুকুর বা অন্য কোনো পশু কামড়ালে দিশেহারা না হয়ে কুকুরটিকে ঘেরাও করে পর্যবেক্ষণ করা উচিত৷
প্রতিরোধঃ
✬ পোষা কুকুর-বিড়ালকে জলাতন্কের টিকা দেওয়া উচিত
✬ যাদের (পশুডাক্তার, পশুব্যবসায়ী, পশুপালক) পশু কামড়ানোর সম্ভাবনা বেশি তাদের আগেই টিকা নেওয়া উচিত৷
✬ জলাতন্ক রোগাক্রান্ত প্রাণী কামড় দিলে বা সন্দেহ হলে টিকা নিতে হবে এবং কামড়ানোর স্থানটি দ্রুত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷
✬ পালিত কুকুর হলে গৃহকর্তার নিকট কুকুরের বর্তমান আচরণ অস্বাভাবিক কিনা জানতে হবে৷
✬ পালিত কুকুরের জলাতন্কের প্রতিষেধক দেয়া আছে কিনা এবং দেওয়া থাকলে প্রতিষেধকের কার্যকরি মেয়াদ কতদিন তা জানতে হবে৷
✬ কুকুরটি যদি পরিচিত ও বাড়িতে বা পাড়ায় থাকে তাহলে ১০ দিন কুকুরটিকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে৷ জলাতন্কগ্রস্ত হলে ১০ দিনের মধ্যে কুকুরটি মারা যাবে৷ কুকুরটি বেঁচে থাকলে ভয়ের কোনো কারণ নেই৷
✬ কুকুরটি যদি জলাতন্কগ্রস্ত বা অপরিচিত হয় অথবা ১০ দিন পর্যবেক্ষণ করা না যায় বা কামড়ানোর পর যদি কুকুরকে মেরে ফেলা হয় অথবা এর কোনো খেঁাজ পাওয়া না যায় তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
✬ রোগীকে ধনুষ্টংকারের প্রতিষেধক দিতে হবে৷
জলাতন্ক আক্রান্ত মানুষের লক্ষণঃ
✬ কামড়ের জায়গায় ব্যথা ও চিনিচিন করে
✬ জ্বর, ঢোক গিলতে ব্যথা ও খিঁচুনি হয়৷
✬ পানি খেতে চায় না, পানি দেখলে ভয় পায়৷
✬ খুব ঘন চটচটে লালা ঝরে
✬ শান্ত থাকতে থাকতে হঠাত্ রেগে যায়
✬ পরে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় এবং পক্ষাঘাত দেখা দেয়
কুকুর কামড়ানোর ১০ দিন পর (সাধারণত ৩ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে) জলাতন্কের প্রথম লক্ষণগুলো দেখা দেয়৷ লক্ষণ প্রকাশের পূর্বে চিকিৎসা শুরু করতে হবে৷
জলাতন্ক আক্রান্ত কুকুরের লক্ষণঃ
✬ জলাতন্ক রোগে কোনো কুকুর আক্রান্ত হলে পাগলের মতো আচরণ করা শুরু করে৷
✬ সামনে মানুষ বা পশু যাকেই পায় তাকেই কামড়াতে চেষ্টা করে৷
✬ সর্বক্ষণ ঘেউ ঘেউ করে
✬ মুখ দিয়ে লালা পড়ে (লালার সাথে জীবাণু নির্গত হয়)
✬ কুকুরটি খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং কয়েক দিনের মধ্যে মারা যায়৷
✬ কুকুর বা অন্য কোনো পশু কামড়ালে দিশেহারা না হয়ে কুকুরটিকে ঘেরাও করে পর্যবেক্ষণ করা উচিত৷
প্রতিরোধঃ
✬ পোষা কুকুর-বিড়ালকে জলাতন্কের টিকা দেওয়া উচিত
✬ যাদের (পশুডাক্তার, পশুব্যবসায়ী, পশুপালক) পশু কামড়ানোর সম্ভাবনা বেশি তাদের আগেই টিকা নেওয়া উচিত৷
✬ জলাতন্ক রোগাক্রান্ত প্রাণী কামড় দিলে বা সন্দেহ হলে টিকা নিতে হবে এবং কামড়ানোর স্থানটি দ্রুত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]
0 comments:
Post a Comment