আটা শর্করা জাতীয় খাবার। শর্করা দেহে শক্তি জোগায়। আটা ও ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার
যেমন: বিস্কুট, ব্রেড, প্যাটিস,
শিঙাড়া, সমুচা ইত্যাদি মুখরোচক খাবার। এখন এসব খাবার তৈরিতে রিফাইন্ড
বা পরিশোধিত আটা ব্যবহার হয়। লাল আটা আনরিফাইন্ড বা অপরিশোধিত। খেতে সুস্বাদু হলেও পরিশোধিত
সাদা আটার পুষ্টিগুণ অনেক কম। গম থেকে আটা উৎপাদনের এবং পরিশোধন প্রক্রিয়ায়
প্রায় ১৪ রকমের ভিটামিন, ১০ ধরনের মিনেরেলস এবং এতে
বিদ্যমান আমিষ নষ্ট হয়ে যায়।
লাল আটার পুষ্টিমূল্য (প্রতি ১০০ গ্রামে):
গমের বাইরের লাল বা বাদামি আবরণে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এই আবরণ ম্যাগনেশিয়াম নামক
খাদ্য উপাদানে ভরপুর। এটি এক ধরনের খনিজ উপাদান, যা আমাদের দেহের প্রায় ৩০০ রকমের এনজাইমের
কাজ পরিচালনা করে।
প্রোটিন- ১২ গ্রাম, ফ্যাট- ১.৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট- ৬৯.৪ গ্রাম, আঁশ- ২ গ্রাম, ক্যালরি- ৩৪১। এ ছাড়া ফলিক এসিড, ফসফরাস,
জিংক, কপার, ভিটামিন বি১, বি২ এবং বি৩-এর ভালো উৎস।
সুস্বাস্থ্যের জন্য লাল আটাঃ
১. ডায়াবেটিস রোগী ও স্থুল রোগীর (অতিরিক্ত ওজন) রক্তে চিনির পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণ করে। লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ রক্তের কোলেস্টেরল
কমাতে সাহায্য করে।
২. এর আঁশ রক্তে ক্ষতিকারক ফ্যাট কমায় ও উপকারী ফ্যাট বাড়ায়।
৩. ক্ষুধা প্রশমিত করে ও অতিরিক্ত ওজন কমায়।
৪. এতে রয়েছে থায়ামিন যা স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করে। (হাত ও পায়ের নার্ভ সচল রাখে)।
৫. পরির্পূণ পুষ্টি সমৃদ্ধ আঁশযুক্ত গমের আটা সুস্বাস্থের জন্য অপরির্হায।
৬. এই আটায় লিগনান নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৭. প্রচুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে।
৮. লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ ডায়াবেটিস রোগের জন্য উপকারী। কারণ এটি রক্তের শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৯. হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারী।
১০. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
সতর্কতাঃ
* লাল আটায় অক্সালেট নামক উপাদান রয়েছে। তাই যাদের গলব্লাডারে পাথর
রয়েছে এবং যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের লাল আটা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
* অনেকের
লাল আটা খেলে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।
[আপনাদের সুখী জীবন
আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ]
0 comments:
Post a Comment