আপনি যখন একটি সিগারেটে আগুন ধরিয়ে ধূমপান করতে শুরু করেন তার ৭ সেকেন্ডের মধ্যেই মস্তিষ্কে সিগারেট সেবনের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়৷ ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো বলে শেষ করা যাবে না৷
ধূমপানের ক্ষতিকর দিকসমূহঃ-
(১) ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার (Bronchogenic Corcinoma)-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়৷
(২) ধূমপানের ফলে ফুসফুসের অন্যান্য রোগ, যেমন- ব্রংকাইটিস -এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷
(৩) ধূমপানের ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায়৷
(৪) ধূমপানের ফলে মানবদেহে রক্তচাপ/ উচ্চরক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পায় এবং
(৫) উচ্চরক্তচাপের রোগীর মস্তিষ্কের স্ট্রোক (Stroke) -এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷
(৬) ধূমপানের ফলে রক্তনালীর বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়, যেমন- রক্তনালী চিকন হওয়া, বাজা©র রোগ ইত্যাদি৷
(৭) যিনি ধূমপান করেন তার পার্শ্ববর্তী মহিলা, শিশু ও অধূমপায়ী ব্যক্তিরাও সমপরিমাণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷
(৮) ধূমপানের ফলে পরিবেশ দূষিত হয়৷
প্রতি বছরে ধূমপানে সমগ্র বিশ্বে তিন লক্ষাধিক লোক মারা যায়৷ কাজেই আর দেরী না করে এখনই ধূমপান পরিত্যাগ করুন৷ আপনার ধূমপান ত্যাগের জন্য আপনার ইচ্ছাই যথেষ্ট৷ আপনাদের ধূমপান ত্যাগে সহায়তা করার জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খুবই কার্যকারী, প্রয়োজনে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ গ্রহন করুন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে আইন করে প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে এখন থেকে জনসমাগমে, বাসে, লঞ্চে, ট্রেনে এবং প্লেনে ধূমপান করা যাবে না৷ প্রকাশ্যে ধূমপান করলে পঞ্চাশ টাকা জরিমানা হবে৷ সরকারের এই উদ্যোগ সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে৷ অনেক দেশে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে যেমন-ভূটান৷ ভূটানে ধূমপান নিষিদ্ধ করার ফলে সে দেশের পরিবেশ দূষন অনেক অংশে কমে গেছে৷
ধূমপান মুক্ত সুস্থ-সুন্দর ও নির্মল পৃথিবী গড়ে উঠুকএটাই আমাদের সকলের একান্ত কামনা্রতি বছরে ধূমপানে সমগ্র বিশ্বে তিন লক্ষাধিক লোক মারা যায়৷ কাজেই আর দেরী না করে এখনই ধূমপান পরিত্যাগ করুন৷ আপনার ধূমপান ত্যাগের জন্য আপনার ইচ্ছাই যথেষ্ট৷ কারণ বিশুদ্ধ পরিবেশ জীব মন্ডল এবং প্রকৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷বাতাস যদি দূষিত হয় তাহলে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাড়ঁাবে৷ তাই আমাদের উচিত সবার প্রয়োজনে ধূমপান মূক্ত পরিবেশ গঠনে সহায়তা করা৷
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।
0 comments:
Post a Comment