পেঁয়াজ ছাড়া কি রান্না চলে?
প্রতিদিনের রান্নায় পেঁয়াজ না থাকলে যেন স্বাদই পাওয়া যায় না। শুধু কি তাই?
সালাদের সাথে, সিঙ্গারার সাথে কিংবা ভাতের সাথে কাঁচা পেয়াজও খেয়ে থাকেন অনেকে।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই অতি পরিচিত পেঁয়াজের হরেক গুণের কথা?
কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই অতি পরিচিত পেঁয়াজের হরেক গুণের কথা?
পেঁয়াজের আছে নানান গুণ এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক।
একটি বড় পেঁয়াজে ৮৬.৮ শতাংশ পানি, ১.২ শতাংশ প্রোটিন, ১১.৬ শতাংশ শর্করা জাতীয় পদার্থ, ০.১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০৪ শতাংশ ফসফরাস ও ০.৭ শতাংশ লোহা থাকে। এছাড়া পেঁয়াজে ভিটামিন এ, বি ও সি আছে।
আসুন জেনে নেয়া যাক পেঁয়াজের স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলোঃ
উপকারী কোয়ারসেটিনের উৎকৃষ্ট উৎসঃ
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন আছে যা পেয়াজের বাইরের হালকা বেগুনী ত্বকে থাকে। কোয়ারসেটিন রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে, হাঁপানির সমস্যা কমায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ব্রঙ্কাইটিস সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। মজার ব্যাপার হলো এই উপকার পেতে সারাদিন পেঁয়াজ না খেলেও চলবে। গবেষকদের মতে দিনে মাত্র একটি মাঝারী আকৃতির রান্না করা কিংবা কাঁচা পেঁয়াজ খেলেই এই উপকারিতা পাওয়া যায়।
শরীরকে বিষ মুক্ত করেঃ
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সালফার যৌগ আছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সালফারে এমিনো এসিড আছে যা রসুন ও ডিমে পাওয়া যায়। এই এমিনো এসিড গুলোকে মিথিওনাইন ও সিস্টাইন বলা হয়। এই উপাদান গুলো শরীরকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ধাতুর থেকে মুক্তি দেয়। এমন কি এগুলো শরীর থেকে সীসা, আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম বের করে দেয়। পেঁয়াজ ভিটামিন সি আছে যা শরীরকে বিশুদ্ধ করে এবং সীসা, আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারিঃ
পেঁয়াজ রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। তাই পেঁয়াজ হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেক কার্ডিওলোজিস্টই নিয়মিত পেঁয়াজ খেতে বলে দেন রোগীদেরকে। বিশেষ করে হার্ভাডের ডাক্তার ভিক্টর গুড়েউইচ তার রোগীদেরকে প্রতিদিন অন্তত একটি করে পেঁয়াজ খাওয়ার উপদেশ দেন।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কোষের ডিএনএ কে ক্ষতির থেকে বাঁচিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁয়াজের রস টেস্ট টিউবের টিউমার সেল কে ধ্বংস করে এবং ইদুরের শরীরের টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে। পেঁয়াজের রস বিষাক্ত নয় এবং এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই যত খুশি তত খেলেও কোনো সমস্যা নেই।
যৌন ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
পেঁয়াজ যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে পেঁয়াজের রস খেলে যৌন ক্ষমতা বাড়ে। এভাবে নিয়মিত খেলে যৌন ক্ষমতা প্রায় ২০০% বেড়ে যায়। যারা পেঁয়াজের রস খেতে পছন্দ করেন না তাঁরা খাবারের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খেলেও উপকার পাবেন।
এছাড়া ....
• পেয়াজের রস চুলে দিলে তা উকুন নাশক হিসেবে কাজ করবে পাশাপাশি চুল পরা কমাতেও সাহায্য করবে।
• লাল পেঁয়াজ মাসিক রোগ সংশোধন করতে সাহায্য করে. মাসিক শুরু হবার কিছু দিন আগে লাল পেয়াজ খান।
• কারো নাক দিয়ে রক্ত পরলে কাচা পেয়াজ কেটে তার ঘ্রাণ নিতে দিন।
• প্রতিদিন একটা পেঁয়াজ আপনার ঘুমের অভাব দূর করবে।
• পোকামাকড় কামড়ালে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে দিন।
• সাদা পেয়াজ Piles থেকে রক্ত ঝরা বন্ধ করবার জন্যেও সুপারিশ করা হয়।
• পেয়াজ হজম শক্তি বাড়ায়।
• শরীর থেকে অবাঞ্ছিত কলেস্টেরল সরিয়ে সাহায্য করে।
• দৈনিক একটি লাল পেঁয়াজ করোনারি হার্ট রোগ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে।
• পেঁয়াজ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
• জয়েন্ট পেইন দূর করে।
• হলুদের সাথে পেয়াজের রস মিশ্রিত করে শরীরে কোন কাল দাগ থাকলে সেখানে ব্যবহার করুন।
• দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
• আপনার শিশুর কৃমি সমস্যা থাকলে এক চামচ পেঁয়াজের রস খেতে দিন।
• পেয়াজ মেমরি ও স্নায়ুর উন্নতি ঘটায়।
• কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
• প্রতিদিন চিনি দিয়ে পেয়াজ খেলে তা শিশুদের উচ্চতা লাভ করতে সাহায্য করে।
• কারো নাক দিয়ে রক্ত পরলে কাচা পেয়াজ কেটে তার ঘ্রাণ নিতে দিন।
• প্রতিদিন একটা পেঁয়াজ আপনার ঘুমের অভাব দূর করবে।
• পোকামাকড় কামড়ালে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে দিন।
• সাদা পেয়াজ Piles থেকে রক্ত ঝরা বন্ধ করবার জন্যেও সুপারিশ করা হয়।
• পেয়াজ হজম শক্তি বাড়ায়।
• শরীর থেকে অবাঞ্ছিত কলেস্টেরল সরিয়ে সাহায্য করে।
• দৈনিক একটি লাল পেঁয়াজ করোনারি হার্ট রোগ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে।
• পেঁয়াজ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
• জয়েন্ট পেইন দূর করে।
• হলুদের সাথে পেয়াজের রস মিশ্রিত করে শরীরে কোন কাল দাগ থাকলে সেখানে ব্যবহার করুন।
• দাঁতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
• আপনার শিশুর কৃমি সমস্যা থাকলে এক চামচ পেঁয়াজের রস খেতে দিন।
• পেয়াজ মেমরি ও স্নায়ুর উন্নতি ঘটায়।
• কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
• প্রতিদিন চিনি দিয়ে পেয়াজ খেলে তা শিশুদের উচ্চতা লাভ করতে সাহায্য করে।
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।
0 comments:
Post a Comment