Friday, January 10, 2014

মুদ্রাদোষ‍ !

মুদ্রাদোষ আর বাজে অভ্যাস কিন্তু এক জিনিস নয়। হাতের নখ কামড়ানো, বারবার পা নাড়ানো, আনমনা থাকতে থাকতে মাথা চুলকানো, নাকের ভেতর আঙুল ঢুকিয়ে চুলকানো, হাতের কাছে লম্বা কিছু পেলেই কানে ঢুকিয়ে দেওয়া, আঙুল ফোটানো, কথা বলার সময় জোরে জোরে হাত নেড়ে বা আঙুল তুলে কথা বলা ইত্যাদি হলো মুদ্রাদোষ। মানুষ নিজের অজান্তেই এগুলোর চর্চা করতে থাকে। 


আসুন জেনে নেই মুদ্রাদোষগুলো থেকে নিজেরাই নিজেদের কিভাবে মুক্তি দিতে পারি। 
১. প্রথমে মুদ্রাদোষটি শনাক্ত করুন। 
২. সব সময় সচেতন থাকুন, যাতে মনের ভুলে এমন অভ্যাসের চর্চা না হয়। ৩. যিনি আনমনে বারবার পা নাড়েন, তিনি বসার ধরন বদলে ফেলুন।
৪. যিনি কথা বলতে বলতে হাত নাড়েন, তিনি হাত পেছনে রেখে মনে জোর নিয়ে এসে কথা বলতে পারেন।
৫. নিজের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখুন। 
৬. যেকোনো কাজে গভীর মনোনিবেশ করুন। 
৭. আলস জীবনযাপন বা অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস বাদ দিন। 
৮. নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধ্যান করে মুদ্রাদোষ পরিহার করার ক্ষমতা তৈরি করুন।
৯. কাছের মানুষদের জানিয়ে রাখুন, যাতে তাঁরা থামিয়ে দেন বা মনে করিয়ে দেন। 
১০. মুদ্রাদোষ থেকে মুক্তি পেতে আরেকটি ব্যায়াম করা যেতে পারে। তা হলো যিনি পা নাড়ান কিংবা হাত দিয়ে নাক, কান বা মাথা চুলকাতে থাকেন, তিনি দিনের একটা সময় ধরে একটানা পা বা হাতের দিকে স্থিরভাবে তাকিয়ে থাকুন। মনোযোগ নিয়ে দেখুন আর ভাবতে থাকুন অভ্যাসগুলোর কথা। কিংবা হঠাৎ বেখেয়াল হতেই পা নাড়াচ্ছিলেন, মনে হওয়ার পর বন্ধ করে তাকিয়ে ভাবতে থাকুন পাঁচ মিনিট। ভাবার সময় আবার বেখেয়াল হয়ে যাবেন না।
১১. মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে অবশ্যই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। 

0 comments:

Post a Comment