হৃদরোগ চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয় বহুল। এ ছাড়া হৃদরোগ একবার হলে প্রায় সারা জীবন এই মারাত্মক ব্যধি পুষতে হয়। তাই এইরোগ প্রতিরোধই উত্তম পন্থা।
১. ধূমপান না করা এবং তামাক জাতীয় পদার্থ যেমন- জর্দ্দা, গুল, তামাকপাতা ব্যবহার না করা। ধূমপান এবং তামাক জাতীয় জিনিষের ব্যাবহার হৃদরোগের ঝুঁকি অত্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। সিগারেটে যে নিকোটিন থাকে তাতে আমাদের রক্তনালী শরু হয়ে যায়। ফলে রক্তনালী দিয়ে রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্থ হয়। যা হার্ট এ্যাটাকের অন্যতম কারণ। ধূমপান আমাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. প্রতিদিন আমরা যাদি শারীরিক পরিশ্রম করি তাহলে আমাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। শারীরিক পরিশ্রম আমাদের ওজন কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই আমাদের প্রতিদিন শারীরিক প্ররিশ্রম করা উচিত যেমন-বাগান করা, ব্যায়াম করা, ঘরের কাজ করা ইত্যাদি।
৩. হার্ট এর জন্য উপযোগী খাবার খাওয়াঃ আমরা যদি আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে তেল বা চর্বি এবং লবণ খাওয়া কমিয়ে দেই তাহলে আমরা হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারি। বেশী করে শাক-সবজি এবং ফল-মূল আহার করলে হার্ট অনেক সুস্থ এবং ভাল থাকতে পারে।
৪. শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রিণে রাখাঃ অল্প বয়সেই যদি আমাদের ওজন বেড়ে যায় তা আমাদের হার্টের অনেক পরিবর্তন ঘটায় যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেষ্টেরল, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। তাই শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবেঃ উচ্চ রক্তচাপ এবং হাই কোলেষ্টেরল আমাদের হার্টের অনেক ক্ষতি করে। তাই রক্তচাপ ও কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর এ জন্য কোলেষ্টেরল লেভেল ও হার্টের অন্যান্য পরীক্ষা করা উচিত।
৬. সঠিক রাখুন রক্তে চর্বির মাত্রাঃ প্রতি ১০০মিলিলিটার রক্তে মোট কলেস্টরলের মাত্রা থাকতে হবে ২০০ মিলিগ্রামের নিচে। পাশাপাশি এইচডিএল/কলেস্টরলের অনুপাত এবং এইচডিএল/ট্রাইগ্লিসারাইড অনুপাত ২% এর কম হলে তা হৃদবান্ধব হবে। কম চর্বিযুক্ত খাবার আর নিয়মিত ব্যায়াম –রক্তে চর্বির মাত্রা ঠিক রাখে।
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।
0 comments:
Post a Comment