Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Thursday, October 31, 2013

ক্যান্সার ! প্রতিরোধ সম্ভব কি?


ক্যান্সার নিয়ে আমরা সবাই-ই কম বেশি জানি! এটা বলতে একধরনের কিছু রোগ কে বুঝানো হয় যাকে মেডিকেলের ভাষায় আমরা বলি ম্যালিগন্যান্ট নিওপ্লাসম! ম্যলিগন্যন্সি তখনই হয়, যখন কোষ বিভাজনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নষ্ট হয়ে সেটা বেশি আকারে হতে থাকে

ক্যান্সার ! হলে অনেক ক্ষেত্রেই তা মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ায় একারনে ক্যান্সার প্রতিরোধ একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলা যেতে পারে
প্রশ্ন হচ্ছে ক্যান্সারের প্রতিরোধ সম্ভব কি?
হ্যাঁ তবে সেটা ৩০ ৪০% ক্ষেত্রে যদি নিয়ম মেনে সঠিক ভাবে জীবন যাপন করা যায়
কিভাবে সম্ভবঃ

ধূমপান থেকে বিরত থাকাঃ
ধূমপান থেকে বিরত থাকা বলতে একটিভ এবং প্যাসিভ, দুই ভাবেই বিরত থাকতে হবে একটিভ ধুমপান বলতে, নিজে ধূমপান করা, আর প্যাসিভ ধুমপান বলতে অন্য ধূমপায়ীদের সাথে থাকার কথা বলা হয়েছে
প্রতি বছর তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি ব্যবহারর জন্য ৫ মিলিয়ন মানুষ মারা যায় অন্য ভাবে বলতে গেলে প্রতি ৬ সেকেন্ডে মৃত্যু ঘটছে একজন মানুষের তামাক ব্যবহারের জন্য
পৃথিবীতে যত ধরনের ক্যান্সার হয়, তার এক চতুর্থাংশের কারন ই হচ্ছে এই তামাক জাতীয় দ্রব্য ধুমপান
কি কি ক্যন্সার হয়ে থাকেঃ শুধুমাত্র ফুসফুসের ক্যান্সারই নয়, এর সাথে, মুখ, শ্বাসনালী, নাক, সাইনাস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, জরায়ু, কিডনী, লিভার এর ক্যান্সার হতে পারে!
কেন হয়ঃ ধুমপানের জন্য নানা ধরনের কারসিনোজেন (এমন মলিকিউল যা কিনা কোষের জেনেটিক ম্যাপ পরিবর্তন করে ক্যন্সার সৃষ্টি করে) থাকে তা ছাড়া, নানা ধরনের ফ্রী র‌্যাডিকেল (যেমন সুপার অক্সাইড) এর মাধ্যমেও এমনটা হতে পারে
সুতরাং, নিজের, নিজের পরিবারের এবং বন্ধু-বান্ধবদের জন্য নিজে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যকে বিরত থাকতে বলুন!

অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকাঃ
ধূমপান যেমন শরীরে নানা ধরনের ক্যান্সারের সৃষ্টি করে, ঠিক তেমন ভাবেই অ্যালকোহল শরীরের নানা স্থানে ক্যান্সারের সৃষ্টি করে থাকে
কি কি ক্যান্সার হয়ে থাকেঃ মুখ, লিভার, ইসোফেগাস, ব্রেস্ট, ফ্যারিংস

বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশানঃ 
বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশানও ক্যান্সারের কারন হয়ে দাঁড়ায় তাদের অনেক ইনফেকশান যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা হয়, তবে ক্যান্সার থেকে দূরে থাকা সম্ভব
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশান হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাক্টেরিয়ার ইনফেকশানের জন্য পাকস্থলিতে ক্যান্সার হতে পারে
ভাইরাল ইনফেকশান হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস, এপস্টিন-বার ভাইরাস, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, ক্যাপোসি সারকোমা হার্পিস ভাইরাসের জন্য ক্যান্সার হতে পারে
কি করনীয় যে কোনো ধরনের ইনফেকশানের জন্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে এবং রেগুলার ফলো আপ-এ থাকতে হবে!

অতি বেগুনী(আল্ট্রা ভায়োলেট) রশ্মি থেকে দূরে থাকাঃ
আল্ট্রা ভায়োলেট রে সূর্যের আলোতে বিদ্যমান, এই রশ্মির কারনে তা ত্বকের কোষের নিউক্লিয়াস-এ পরিবর্তন পরিবর্তন ঘটিয়ে ত্বক-এ ক্যান্সার তথা স্কিন ক্যান্সার করে থাকে অবশ্য এই ক্যান্সার আমাদের তুলনায় ককেশিয়ান তথা সাদা চামড়ার লোকেদের ভেতর বেশি দেখা যায় তার পরও সূর্যের আলোর প্রখরতা বেশি হলে সরাসরি সেই আলো তে না থাকাটাই উত্তম

পরিমিত এবং সুষম খাদ্য গ্রহনঃ
আমাদের খাদ্য তালিকার ভেতর অনেক খাবারই এন্টি ক্যান্সারাস উপাদান বহন করে (যেমন টমেটো), তাই পরিমিত এবং সুষম খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব!

 নিয়িমিত ব্যয়ামঃ
নিয়মিত ব্যয়াম করার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব ব্যাপারটা শুনতে কিছুটা অদ্ভুতও বটে, ব্যয়াম কিনা করবে ক্যান্সার প্রতিরোধ! হ্যাঁ, কেননা মিয়মিত শরীর চর্চার মাধ্যমে আমাদের ইমিউনিটির কোষ সতেজ থাকে আর এই কোষ গুলোই আমাদের শরীরে কোনো ক্যান্সার কোষ সৃষ্টি হলে তা ধ্বংস করে থাকে!

মধ্য বয়সের পর থেকে নিয়মিত চিকিৎসকের ফলো-আপ-এ থাকাঃ
অনেক সময় ক্যান্সার সৃষ্টি হলে তা যদি দ্রুত ডায়াগনোসিস করা যায়, তাহলে সেটা চিকিৎসা করে সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব তাই মধ্যবয়সের পর থেকে নিয়মিত চিকিৎসকের ফলো-আপ-এ থাকা উচিত

ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্পূর্ন ভাবে সম্ভব না হলেও, সঠিক ভাবে জীবনযাপন করে এবং সচেতন থাকার মাধ্যমে ৩০-৪০% ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব!
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য

Wednesday, October 30, 2013

কম্পিউটারের সামনে বসবেন কীভাবে?

প্রতিদিন কম্পিউটারে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন যাঁরা তাঁদের নানা রকম শারীরিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন: কোমর, ঘাড় ও ঊরুতে ব্যথা, কাঁধ ও আঙুল অবশ হয়ে আসা, হাতের কবজি ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ শুকনো বোধ করা ও মাথাব্যথা। 


তবে এসব সমস্যার বেশির ভাগই হয়ে থাকে অনুপযুক্ত চেয়ার-টেবিল ও দেহভঙ্গির কারণে

বসার ভঙ্গি কেমন হবে?
এমন একটি চেয়ার ব্যবহার করুন, যা আপনার দেহের বাঁকগুলোর সঙ্গে মিশে যায়চেয়ারে হেলান দিয়ে বসা ভালো আপনার কোমর, ঊরু ও হাঁটু যেন একই সমান্তরালে থাকে পায়ের পাতা দুটো আরাম করে মেঝেতে বিছিয়ে রাখতে হবে, ঝুলে থাকবে না হাত দুটো কাজের ফাঁকে চেয়ারের হাতলে বিছিয়ে রাখা যাবে চেয়ারটির গদি এমন হবে, যা খুব শক্ত নয়, আবার বেশি নরমও নয়

কম্পিউটারটি কেমন হবে?
কম্পিউটারের মনিটর চোখ থেকে অন্তত ২০ থেকে ২৬ ইঞ্চি দূরে থাকবে মনিটরের একেবারে ওপরের বিন্দুও যেন চোখের সমান্তরালে থাকে, জোর করে উঁচু হয়ে যেন দেখতে না হয় কম্পিউটার টেবিলের নিচে পা দুটি যথেষ্ট আরাম করে জায়গা পাবে, গাদাগাদি করে থাকবে না টেবিলের উচ্চতা হবে কনুইয়ের সমান্তরাল কি-বোর্ড ও মাউসের জায়গাটি আপনার ঊরুর ১ থেকে ২ ইঞ্চি ওপরে থাকবে কবজি সোজা ও বাহু মেঝের ঠিক ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকবে মনিটর এমন জায়গায় স্থাপন করুন, যেখানে অতিরিক্ত আলোর জন্য চোখে চাপ পড়বে নাযেমন জানালা থেকে একটু দূরে মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন। একটানা বেশি সময় ধরে একই ভঙ্গিতে বসে কাজ করবেন না। কাজের মধ্যে বিশ্রাম নিনঅফিসে দু-এক পাক ঘুরে আসুন

ক্লান্ত লাগলে দাঁড়িয়ে মাংসপেশিগুলো টান টান করে নিন। মাসল স্ট্রেচিংয়ের কিছু নিয়ম আছে: দাঁড়িয়ে হাত মাথার ওপর নিয়ে টান টান করুনমাথা এক দিকের কাঁধের ওপর হেলে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন, এবার উল্টো দিকেও তা করুন। কাঁধ দুটোকে কানের কাছাকাছি উঁচু করে ধরুন, কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন। হাত দুটো মুঠো করে সামনে টান টান করে আড়মোড়া ভাঙার মতো করে সামনে-পেছনে আনুন

মাঝে মাঝে মনিটর থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে বাইরে সবুজ কোনো দৃশ্যে চোখ রাখুন ও চোখের বিশ্রাম নিন

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য

Tuesday, October 29, 2013

আলঝেইমার’স ডিজিজ (Alzheimer’s Disease)

মানুষ বৃদ্ধ হলে স্মরণ শক্তি কমে যায় (Dementia) এটা আমাদের মাঝে খুবই প্রচলিত একটি ধারণা ধারনাটা যে খুব একটা ভুল তাও কিন্ত নয় ৪৫ বৎসর বয়সের পর বিশাল অংশের একদল লোকের স্মরণ শক্তি কমে যেতে শুরু করে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে সব কিছু ভুলে যাবার প্রবণতাও এই ধরণের বুদ্ধিবৈকল্য বা স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়ার কারণ যে সকল রোগ তার প্রধান রোগটির নাম আলঝেইমারস রোগ ১৯০৬ সালে জার্মান মনোচিকিৎসক অ্যালয়েস আলঝেইমার (Alois Alzheimer) সর্বপ্রথম এ রোগটির বর্ণনা দেন, আর তার নাম অনুসারেই এ রোগের এমন নাম রাখা হয়


এ রোগের সঠিক কারণ কি তা কিন্ত এখন ও জানা যায়নি তবে সাম্প্রতিক গবেষনা গুলো দাবী করছে; যে সকল উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটার (Neurotransmiter) এর আদান প্রদান এর মাধ্যমে মস্তিস্ক তাদের কার্য সম্পাদন করে তাদের সমস্যার কারণেই এই রোগটি হয়ে থাকে পরিসংখান অনুযায়ী শতকরা ১৫ ভাগ রোগীই এ রোগে আক্রান্ত হন পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে (Familial Inheritance), আর শতকরা ১ থেকে ৫ শতাংশ রোগের কারন হলো জেনেটিক (Genetic) এ রোগ হলে মস্তিস্কের পরিমান ছোট (Atrophy) হয়ে আসতে থাকে, বিশেষ করে সেরিব্রাল কর্টেক্স (Cerebral Cortex) এবং হিপোক্যাম্পাস (Hippocampus) উল্লেখযোগ্য ভাবে আকারে কমতে Atrophy) থাকে

আগেই বলেছি আলঝেইমারস রোগ হলে রোগীর স্মৃতি শক্তি কমে যেতে শুরু করে রোগী সাম্প্রতিক (Short Term) এবং অতীত (Long Term) দুই ধরণের স্মৃতিই বিস্মৃত হয়ে যান, যদিও সাম্প্রতিক ঘটনা গুলো ভুলে যাবার হারটাই অধিক এছাড়া এ সকল রোগীর মাঝে দ্বিধা (Confusion), খিটখিটে স্বভাব (Irritation), উদ্ধ্যত ভাব (Aggression), বিষন্নতা-অবসাদ, বাকশক্তিহীনতা বা অন্যের কথা বোঝার ক্ষমতা লোপ পাওয়া (Aphasia) সহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয় দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তিনি তার এই সমস্যা গুলো বুঝতে পারেন না এমন কি তার মনে এ বিশ্বাস জন্মায় যে তার এ ধরনের কোন সমস্যাই নেই এর ফলে অনেক সময়ই ব্যক্তিটি পারিবারিক ভুলবোঝাবুঝির শিকার হন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তার একটি বৈরি সম্পর্ক তৈরী হয়; ফলস্বরূপ তিনি চরম একাকীত্বে ভুগতে থাকেন

এমন রোগ হলে পরিবারের প্রবীণ সদস্যটিকে একজন নিউরোবিশেষজ্ঞের নিকট নিয়ে যাওয়া উচিত সাধারণত চিকিৎসক সাহেব রোগীর ইতিহাস জেনে এবং তার আত্মীয়দের সাথে কথা বলেই রোগটি নিশ্চিত করতে পারেন তবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় সিটি স্ক্যান (CT Scan), এম-আর-আই (MRI), স্পেক্ট (SPECT-Single Photon Emission Computed Tomography), পেট স্ক্যান (PET-Positron Emission Tomography) এসব পরীক্ষা করে অনেক সময় নিশ্চিত হতে হয় রোগীর এর সাথে মস্তিস্কের অন্য কোন রোগ আছে কিনা

দুর্ভাগ্যজনক হলো আলঝেইমার রোগের এখনো সঠিক কোন চিকিৎসা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়ে উঠেনি তবে পরিবারের আপনজনেরা সহানুভুতিশীল হলে এবং সহমর্মিতা সহ ব্যক্তিটিকে একটি সঠিক স্নেহময় পরিবেশ তৈরী করে দিলে তার জন্য একটি অর্থবহ জীবন যাপন সম্ভবপর হয়ে উঠতে পারে
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় যে, যেসকল ব্যক্তি মধ্যবয়সে বিভিন্ন বুদ্ধিভিত্তিক কাজ (যেমন লেখালেখি, বইপড়া, যন্ত্রসংগীত বাজানো), বিভিন্ন সামাজিক গঠন/সেবামূলক কাজ, Board Game খেলা (দাবা, Cross Word Puzzle) ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত থাকেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান তাদের মাঝে এ রোগ হবার প্রবণতা কম অন্যদিকে যারা অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ রোগে ভোগেন বা ধুমপায়ী তাদের মধ্যে এ রোগ হবার প্রবণতা অপেক্ষাকৃত ভাবে বেশী

উৎসাহের কথা হলো অতিসম্প্রতি আলঝেইমার রোগের উপশমে DONEPEZIL, GALANTAMINE, MEMANTINE, RIVASTIGMINE নামক কিছু ওষুধ আবিস্কৃত হয়েছে এদের কার্যকারীতা শতভাগ না হলেও অনেক ক্ষেত্রেই এরা রোগ উপশমে আশানুরূপ প্রমাণ রেখেছে 

তবে বাস্তবতা হলো এই যে বার্ধক্যে উপনীত হলে আমরা যে কেউই এমন একটি রোগের শিকার হয়ে উঠতে পারি, তাই আমাদের সকলের উচিত এমন রোগীদের সহানুভুতির দৃষ্টিতে দেখা এবং আমাদের নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একটা সুন্দর  পৃথিবীর পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়াস অব্যাহত রাখা

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য

কিডনি সুস্থ্য রাখার ৭ টি উপায়

কিডনি ফেইলুর বা রেনাল ফেইলুর শরীরের এক নীরব ঘাতক, প্রায় প্রতিটি পরিবারেরই কেউ না কেউ এই ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত তাই আমরা সকলেই কমবেশী জানি এ রোগের ভোগান্তি কতটা নির্মম; কিন্ত আমরা কি জানি কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে সহজেই এই রোগ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব আসুন জেনে নেই কিভাবে সহজেই আপনার কিডনিকে সুস্থ্য রাখা সম্ভব


কর্মঠ থাকুনঃ নিয়মিত হাটা,দৌড়ানো,স্লাইকিং করা বা সাতার কাটার মতো হাল্কা ব্যায়াম করে আপনার শরীরকে কর্মঠ ও সতেজ রাখুন কর্মঠ ও সতেজ শরীরে অন্যান্য যেকোন রোগ হবার মতো কিডনি রোগ হবার ঝুকিও খুব কম থাকে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুনঃ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর শতকরা ৫০ জনই কিডনি রোগে আক্রান্ত হন রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রনে না থাকলে কিডনি নষ্ট হবার ঝুকি আরো বেড়ে যায় তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন,নিয়মিত আপনার রক্তের সুগার পরীক্ষা করিয়ে দেখুন তা স্বাভাবিক মাত্রায় আছে কিনা, না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন শুধু তাই নয় অন্তত তিন মাস পরপর হলেও একবার আপনার কিডনি পরীক্ষা করিয়ে জেনে নিন সেটা সুস্থ্য আছে কিনা
  রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখুনঃ অনেকেরই ধারনা যে উচ্চ রক্তচাপ শুধু ব্রেইন স্ট্রোক (stroke) আর হার্ট এটাকের (heart attack) এর ঝুকি বাড়ায়,তাদের জেনে রাখা ভালো যে কিডনি ফেইলুর হবার প্রধান কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ তাই এ রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে কোন কারনে তা ১২৯/৮৯ মি,মি, এর বেশী হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে নিয়মিত অসুধ সেবন এবং তদসংক্রান্ত উপদেশ মেনে চললেই সহজেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়
পরিমিত আহার করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুনঃ অতিরিক্ত ওজন কিডনির জন্য ঝুকিপূর্ণ,তাই সুস্থ্য থাকতে হলে ওজন কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে হবে পরিমিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কিডনি রোগ হবার ঝুকি অনেক কমে যায়অন্য দিকে হোটেলের তেলমশলা যুক্ত খাবার,ফাষ্টফুড,প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে রোগ হবার ঝুকি অনেকাংশে বেড়ে যায় মানুষের দৈনিক মাত্র ১ চা চামচ লবন খাবার প্রয়োজন আছে -খাবারে অতিরিক্ত লবন খাওয়াও কিডনি রোগ হবার ঝুকি বাড়িয়ে দেয় তাই খাবারে অতিরিক্ত লবন পরিহার করুন
ধুমপান পরিহার করুনঃ অধুমপায়ীদের তুলনায় ধুমপায়ীদের কিডনি ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা শতকরা ৫০ গুণ বেশী শুধু তাই নয় ধুমপানের কারণে কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পেতে শুরু করে এভাবে ধুমপায়ী একসময় কিডনি ফেইলুর রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়
অপ্রয়োজনীয় অসুধ সেবনঃ আমাদের মাঝে অনেকেরই বাতিক রয়েছে প্রয়োজন / অপ্রয়োজনে দোকান থেকে অসুধ কিনে খাওয়া এদের মধ্যে ব্যথার অসুধ (NSAID) রয়েছে শীর্ষ তালিকায় জেনে রাখা ভাল যে প্রায় সব অসুধই কিডনির জন্য কমবেশী ক্ষতিকর আর এর মধ্যে ব্যথার অসুধ সবার চেয়ে এগিয়ে নিয়ম না জেনে অপ্রয়োজনীয় অসুধ খেয়ে আপনি হয়তো মনের অজান্তেই আপনার কিডনিকে ধংস করে যাচ্ছেন -তাই যে কোন অসুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই নিবন্ধিত চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন তা আপনার ক্ষতি করবে কিনা
নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানঃ আমাদের মাঝে কেউ কেউ আছেন যাদের কিডনি রোগ হবার ঝুকি অনেক বেশী, তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত কারো যদি ডায়াবেটিস এবং / অথবা উচ্চ রক্তচাপ থাকে,ওজন বেশী থাকে (স্থুলতা / Obesity),পরিবারের কেউ কিডনি রোগে আক্রান্ত থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে তার কিডনি রোগে আক্রান্ত হবার ঝুকি অনেক বেশী তাই এসব কারন থাকলে অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে
কিডনি ফেইলুর হয়ে গেলে ভালো হয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই, ডায়ালাইসিস কিংবা প্রতিস্থাপন (Renal Transplant) করে শুধু জীবনকে দীর্ঘায়িত করা সম্ভব তাই এই রোগ এড়িয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াটা প্রতিটি সুস্থ্য মানুষের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য

Monday, October 28, 2013

অতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে বাচার উপায়ঃ

নিয়মিত হস্তমৈথুন শরীরের জন্য ভালো (বি:দ্রঃ ইসলামে হস্তমৈথুন নিষিদ্ধ)। 


তবে এটা খুব বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্তি আসতে পারেএটা যাতে নেশায় পরিনত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যাদের কাছে এটা নেশার মত মনে হয়, এবং মনে প্রাণে কমিয়ে দিতে চাইছেন, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করণীয় হতে পারেঃ-

১/ প্রথমেই মনে রাখতে হবে, হস্তমৈথুন বা স্বমেহন প্রাণীদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়াএটা করে ফেলে কোন প্রকার অনুশোচনা, পাপ, বা অপরাধবোধে ভুগবেন নামনে রাখবেন আপনি মানুষ আর মানুষ মাত্রই ভুল করেএটা করে ফেলার পর যদি মনে করেন ভুল হয়ে গেছে তো সেজন্য অনুশোচনা করবেন নানিজেকে শাস্তি দেবেন নাবরং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যাতে ভবিষ্যতে মন শক্ত রাখতে পারেন

২/ যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুনযদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুনপুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুনহার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিনইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিনকোন সেক্স টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন

৩/ কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুনবাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যানযেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেনযতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুনগোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন

৪/অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুনআগে থেকে সারাদিনের শিডিউল ঠিক করে রাখুনতারপর একের পর এক কাজ করে যানহস্তমৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না। যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধুবান্ধব কম, দেখা গেছে তারাই ঘনঘন হস্তমৈথুন বেশি করে। একা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান একা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করুনবন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান

৫/ বসে না থেকে সময়টা কাজে লাগানজীবনকে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে তুলুনসব সময় নতুন কিছু করার দিকে ঝোঁক থাকলে হস্তমৈথুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে এই সাথে আরো সব বাজে জিনিসগুলোও জীবন থেকে হারিয়ে যাবেনতুন ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবেন, বেঁচে থাকার নতুন মানে খুঁজে পাবেনসৃষ্টিশীল কাজে জড়িয়ে পড়ুনলেখালেখি করতে পারেন, গান-বাজনা শিখতে পারেন, আঁকাআঁকি করতে পারেন, অথবা আপনি যা পারেন সেটাই করবেননিয়মিত খেলাধূলা করুনব্যায়াম করুনএতে মনে শৃঙ্খলাবোধের সৃষ্টি হবেনিয়মিত হাঁটতে পারেন, দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, জিমে গিয়া ব্যায়াম করতে পারেনবিকেলে ফুটবল, ক্রিকেট- যা ইচ্ছে, কিছু একটা করুনঅফুরন্ত সময় থাকলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুনদেশ ও দশের জন্য সেবামূলক কাজে জড়িত হোন

৬/ ধৈর্য ধরতে হবেএকদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে নাএকাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন নাভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আগাতে হবে

৭/ অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন নারাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুনবা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমানযখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়এখানে লজ্জার কিছু নাই

কিছু অব্যার্থ টিপসঃ
১/ কম্পিউটারে পর্ণ ব্লকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে নিনআজব একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন যাতে পরে ভুল যানঅথবা কোন বন্ধুকে দিয়ে পাসওয়ার্ড দিননিজে মনে রাখবেন না
২/ কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেনএতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে
৩/ হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে নানিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেনঘনঘন নয়
৪/ যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন
৫/ যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন
৬/ ভিডিও গেম খেলতে পারেনএটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে
৭/ হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেনজগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেনছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেনলাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন
৮/ সেক্সুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেনএধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না
৯/ ছোট ছোট টার্গেট সেট করুনধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন নাদুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন
১০/ বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে দরজা খোলা রেখে তোয়ালে জড়িয়ে গোসল করুন, এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন
১১/ যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন
১২/ মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন নাতাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেননিজের মা বা বোন মনে করবেন
১৩/ ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেনযোগ ব্যায়াম করতে পারেন
১৪/ কোনদিন করেন নাই, এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন
১৫/ কাওকে মন থেকে ভালবাসুন... দেখবেন নিজের প্রতি কন্ট্রল আসবে।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য

Saturday, October 26, 2013

সাইলেন্ট হার্ট এট্যাক - উপসর্গহীন হার্ট এট্যাক


হার্ট এট্যাক তথা এমআই (Myocardial Infraction) সাধারনত বেশ কিছু উপসর্গ সহ দেখা দেয় যার মধ্যে প্রধানত রয়েছে বুকে ব্যথা হওয়া, বুকে চাপ লাগা, অস্থিরতা বোধ করা, হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা বুকের ব্যথা কখনো কখনো বাম ঘাড়ের দিকে বা বাম চোয়ালে যেতে পারে, শুধু তাইনা, বাম বাহুর ভিতরের দিকেও ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে

এসব উপসর্গ দেখে আমরা দ্রুত বুঝে যাই কারো এম আই হলে, এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করি আর এমন অবস্থায় বাসায় বা অন্য কোথাও কোনো মানুষকে পাওয়া গেলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, হাস্পাতাল দূরে হলে এস্পিরিন ৪টা ট্যাবলেট একসাথে খায়িয়ে দিতে হবে পারলে জীহবার নিচে নাইট্রোকার্ড বা নাইট্রোসোল স্প্রে করে দিতে হবে!!
সবই ঠিক আছে, কিন্তু যদি এমন কিছু হয় যখন হার্ট এট্যাকের কিছুই রোগী বুঝতে পারবে না, কিন্তু হার্ট এট্যাক হয়ে হঠাৎ খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যেতে পারে এমনকি জীবনাবসান ও ঘটে যেতে পারে!
এমনটা হওয়া অসম্ভব নয়!! এমন অবস্থা হওয়াকেই বলে সাইলেন্ট এমআই বা সাইলেন্ট হার্ট এট্যাক!
সাইলেন্ট কেন?
কারন রোগী এই সময় কিছু বুঝতে পারেনা, আর পারলেও খুব অল্প বা সাধারন ব্যথা হিসেবে মনে করে তেমন পাত্তা দেয় না!
সবার হতে পারে??
না! সাধারনত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেই প্রধানত এমনটা দেখা যায়
তবে কি যেকোনো ডায়াবেটিস রোগীর এমনটা হতে পারে?
না, সেটাও নয় সাধরনত যাদের শরীরে ডায়াবেটিস এর জন্য নানা ধরনের কমপ্লিকেশান তৈরি হয়, তাদের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়ে থাকে!
কেন হয়?
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথী হওয়ার কারনে শরীরের বোধ শক্তি অনেকটাই কমে আসে ফলে হার্ট এট্যাকের সময় তীব্র ব্যথা হলেও মানুষ সেটা বুঝতে পারে না সহজে
চিকিৎসাঃ
চিকিৎসার ব্যপারে সাধারন হার্ট এট্যাক আর সাইলেন্ট হার্ট এট্যাক এর মাঝে কোনো পার্থক্য নেই
সচেতন থাকাটা খুবই প্রয়োজন সাইলেন্ট এম আই থেকে দূরে থাকতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখাটা খুব প্রয়োজনীয়
কি করা উচিতঃ
ডায়াবেটিস এর কম্পলিকেশান যার শরীরে তৈরি হবে তাকে সব সময় সাবধানে থাকতে হবে।
নিয়মিত কোনো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা ডায়াবেটোলোজিস্ট এর তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
বুকে অল্প ব্যথা দেখা দিলে কিংবা অস্থিরতা বোধ করতে (যেটা হাইপোগ্লাইসেমিয়া নয়)দ্রুত হাসাপাতালে যেতে হবে!
অস্থিরতা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার জন্য নাকি সাইলেন্ট এম আই এর জন্য কিভাবে বুঝবে?
হাইপোগ্লাইসেমিয়া এর জন্য যখন অস্থিরতা হয়, তখন গ্লুকোজ বা চিনি কিংবা অন্য কোনো খাবার খেলে সেটা দ্রুতই ঠিক হয়ে আসবে কিন্তু সাইলেন্ট এম আই এর ক্ষেত্রে সেটা হবে না আর ঘরে গ্লুকোমিটার থাকলে সহজেই এটা বোঝা যাবে!!
সাইলেন্ট এম আই এর ব্যপারে নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকে সচেতন করুন!!