Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Sunday, February 23, 2014

গাজরের গুণাগুণ!

গাজর কাঁচা, সেদ্ধ বা রান্না যে কোন ভাবেই খাওয়া যায়। কেন গাজর খাবেন? গাজরের গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে সারা বিশ্বে বহু গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গাজরের অসংখ্য গুণের মধ্য থেকে ৬টি সেরা স্বাস্থ্য-উপকারিতার তথ্য এখানে উপস্থাপন করা হলোঃ-



বার্ধক্য দেরিতে আসেঃ 
অবশ্যই প্রথম যে বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হলো একটি সুনয়ন্ত্রিত জীবনযাপন পদ্ধতি বা লাইফস্টাইল। খাদ্যাভ্যাস সেখানে অন্যতম ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন গাজর খাওয়ার অভ্যাসে আপনি বার্ধক্যকে অপেক্ষা করাতে পারেন দীর্ঘ সময়ের জন্য। কারণ, অ্যান্টি-এজিং যে খাবারগুলো রয়েছে, তার মধ্যে গাজর অন্যতম। বিটা-ক্যারোটিন জাতীয় অ্যান্টি অক্সিডেন্টে উপাদানে সমৃদ্ধ গাজর ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না। শরীরের ভেতরটা সজীব থাকার ফলে বাইরেও তারুণ্যের ভাবটা বজায় থাকে।

সৌন্দর্য বাড়ায়ঃ

গাজর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ। এ দুটি উপাদানই ত্বক, চুল ও নখের সৌন্দর্য বাড়ায়।

কার্ডিওভাস্কুলোর রোগ প্রতিরোধেঃ

গাজরের আলফা-ক্যারোটিন, বিটা-ক্যারোটিন ও লিউটেইন জাতীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানসমূহ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। গাজর কিছুটা আঁশযুক্ত হওয়ায়, তা খারাপ কোলেস্টেরলকে শুষে নেয়। ফলে আপনার হার্ট থাকে সুস্থ ও সবল।

সুস্থ-সবল দাঁত ও মাড়ির জন্যঃ

গাজর দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো করে। দাঁতে জমে থাকা খাদ্যকণা থেকে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতিকর প্লাক পরিস্কার করে গাজর। গাজরে কামড় দেয়ার সময় স্যালাইভা বা লালা উৎপাদন বেড়ে যায়। অ্যাসিডের মাত্রায় ভারসাম্য আনে, যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে, দাঁত কিংবা মাড়ি যে কোন রোগ থেকে দূরে থাকে।

সুস্থ লিভারের জন্যঃ

লিভার বা যকৃৎ মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের একটি। গাজর খাবার থেকে বিষাক্ত উপাদান ছেঁকে সরিয়ে দেয়। লিভার থেকে বাইল নামে নিঃসৃত এক ধরনের পাচক রসের পরিমাণ ও লিভারে জমা হওয়া চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে গাজর। ফলে, লিভার থাকে সুস্থ।

প্রদাহ প্রতিরোধেঃ

কাঁচা বা সেদ্ধ গাজর শরীরের কেটে যাওয়া বা ক্ষত সৃষ্টি হওয়া অংশে জীবাণুনাশক বা অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে। তাই প্রতিদিন গাজর খাওয়ার অভ্যাস করুন।

এছাড়াও ...

*) গাজর ক্ষুধা বাড়ায় এবং সহজে হজম হয়।
*) গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ, বি ও সি আছে।
*) গাজর খেলে শরীর নরম ও সুন্দর হয়।
*) গাজর শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং ওজন বাড়ে।
*) গাজরে ক্যারোটিন আছে প্রচুর পরিমাণ।
*) শরীরের পুষ্টি এবং বুদ্ধির বিকাশে গাজর উপকারী।
*) গাজর খেলে রঙ ফর্সা হয়, মুখের সৌন্দর্য বাড়ে। কারণ গাজরে আছে রক্ত পরিষ্কার করার গুণ।
*) গাজরে ফসফরাস থাকার জন্য যারা মাথার কাজ করেন তাদে পক্ষে গাজর ও গাজরের শাক খুব উপকারী।
*) গাজর শরীরের জ্বালা ও পেট ফাঁপা দূর করে।


[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Thursday, February 20, 2014

মধুর যাদু !

মধুকে সর্বরোগের প্রতিষেধক বলা হয়। তবে মধুর নিরাময় শক্তিও রয়েছে। 

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, 
‘‘...তার (মৌমাছি) থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের প্রতিকার (নাহল-৬৯)।’’ 


মধু যেমন বলকারক খাদ্য এবং রসনার জন্য আনন্দ ও তৃপ্তিদায়ক, তেমনি রোগ-ব্যাধির জন্যও ফলদায়ক ব্যবস্থাপত্র। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মধু খুবই ভালবাসতেন। একবার এক ব্যক্তি মহানবীর (সাঃ) কাছে এসে বলল, আমার ভাইয়ের পেটে অসুখ হয়েছে। 

রাসূল (সাঃ) বললেন, তাকে মধু পান করাও। সে ব্যক্তি পুনরায় আসলে রাসুল (সাঃ) আবারও বললেন, তাকে মধু পান করাও। সে ব্যক্তি তৃতীয়বার আসলে রাসূল (সাঃ) একই কথা বললেন, তাকে মধু পান করাও। লোকটি পুনরায় এসে বলল, আমি তাকে মধু পান করিয়েছি। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন, আল্লাহ সত্য বলেছেন এবং তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যা বলেছে। তাকে মধু পান করাও। অতঃপর তাকে মধু পান করালে সে সুস্থ হল (সহীহ বোখারী)। 

মধু রোগ প্রতিষেধক। কারণ এর রয়েছে জীবাণু বিরোধী গুণাবলী। মধুতে চিনির পরিমাণ শতকরা ৮২.৪ ভাগ। অর্থাৎ মধুতে চিনির পরিমাণ অত্যধিক বলে সাধারণ কোন প্রকার রোগ-জীবাণু জন্মাতে পারে না। তাছাড়া মধুর অম্লতাও জীবাণু বিরোধী কাজের জন্য দায়ী। 

এক গবেষণায় (২০০৫) জানা যায়, ডায়রিয়ার জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে মধু দারুণ কার্যকর। আরেক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় জানা যায়, মধু টাইফয়েড জ্বরের জীবাণুর বিরুদ্ধেও খুব কার্যকর। 

মধুর বিভিন্ন ধরনের কার্যকরী ক্ষমতা বিদ্যমান। মানসিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরা দৈনিক দু'বার এক চামচ করে মধু পান করলে তাদের মানসিক শক্তির উন্নতি হয়ে থাকে। 

এছাড়া পুদিনা পাতা সিদ্ধ করে সেই পানিতে সামান্য মধু মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে মানসিক শক্তি ও উদ্যম বৃদ্ধি পায়। যারা অনিদ্রায় ভোগেন তাদের জন্য মধু অত্যন্ত উপকারী। এক গ্লাস দুধের মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে ভাল ঘুম হয়। এছাড়া দুধ-মধুর মিশ্রণ মস্তিষ্কের দুর্বলতা কমিয়ে দেয়। 

সর্দি-কাশিতে মধুর উপকারিতা প্রমাণিত। ছোট দু'চামচ মধু অর্ধেক লেবুর রসের সাথে দৈনিক তিন-চার বার সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। যদি গলা ব্যথা থাকে তাহলে দিনে ৩ বার ১ চামচ করে মধু খেতে হবে। মধুর তৈরি চা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এ জন্য এক কাপ গরম পানিতে পরিমাণমত মধু মিশিয়ে চায়ের মত করে পান করতে হয়। 

মধু হৃদপিন্ডকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত ১ চা চামচ মধু সেবনে হৃদপিন্ড শক্তিশালী থাকে। 

ডায়াবেটিকসের চিকিৎসায় মধু একটি অতুলনীয় ওষুধ। চিনি এবং অন্যান্য মিষ্টি দ্রব্য পরিত্যাগ করে নিয়মিত অন্তত ১ চা চামচ মধু সেবন করা যায়। 

প্রতিদিন সকালে ও রাতে ১ চা চামচ মধুর সাথে ছোট ১ চামচ চারুচিনি গুড়া গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে দীর্ঘদিনের আর্থ্রাইটিস রোগে উপকার পাওয়া যায়। ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগেও দিনে তিনবার ১ চা চামচ মধুর সাথে ১ চা চামচ দারুচিনি গুড়া ১ মাস খেলে ক্যান্সার রোগীরা উপশম পেতে পারেন। 

মুত্রথলির সংক্রমণে এক চা চামচ মধুর সাথে এক চামচ দারুচিনির গুড়া এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে ৩ বার পান করলে উপকার পাওয়া যায়। 

যারা ব্রন সমস্যায় রয়েছেন, তারা চন্দন বাটার সাথে পরিমাণমত মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। চুলের খুশকির সমস্যায় লেবুর রসে মধু মিশ্রিত করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ২০-৩০ মিনিট ম্যাসাজ করার পর শ্যাম্পু দ্বারা চুল পরিষ্কার করতে হবে। ৫-৭ দিন নিয়মিত এ ম্যাসাজ করলে খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

এছাড়াও ...

=> হাজারো গুণে ভরা মধুতে গুকোজ ও ফ্রুকটোজ আছে যা শরীরে শক্তি যোগায়। এর অন্যান্য উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

=> প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়।

=> মন ভালো করতে প্রতিদিন হালকা গরম পানির সাথে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খান। সঙ্গে একটু দারুচিনির গুঁড়াও ছিটিয়ে নিতে পারেন।

=> প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে ওজন কমে যায় কিছুদিনের মধ্যেই। এছাড়াও এভাবে প্রতিদিন খেলে লিভার পরিষ্কার থাকে, শরীরের বিষাক্ত উপাদান গুলো বের হয়ে যায় এবং শরীরের মেদ গলে বের হয়ে যায়।

=> মধুর সাথে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ ১০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।

=> মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কমে এবং যারা ইতিমধ্যেই একবার হার্ট অ্যাটাক করেছেন তাদের দ্বিতীয়বার অ্যাটাকের ঝুকি কমে যায়।

=> হজমের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন সকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিবার ভারী খাবারের আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খান।

=> যারা সারাক্ষন দূর্বলতায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেয়ে নিন এবং সারা দিন সবল থাকুন।

=> সকালে ত্বকে মধু লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মধুর বেশ কিছু উপাদান ত্বক শুষে নেয়। ফলে ত্বক মসৃণ ও সুন্দর হয়।

=> ত্বকে নিয়মিত মধু ব্যবহার করলে ত্বকের দাগও চলে যায়।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Monday, February 17, 2014

ডিমে বাড়ে স্মরণশক্তি!

মুরগির মাংস ও ডিম মানুষের স্মরণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোলাইন-সমৃদ্ধ এ খাবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এ কথা হয়তো আপনি প্রথম শুনছেন। কিন্তু এটিই সত্যি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এর প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ গবেষণা চালান। তাঁরা বলেন, মুরগির মাংস, ডিম, সামুদ্রিক মাছ এবং শিমে ভিটামিন-ডি ঘরানার পুষ্টি পাওয়া যায়।

গবেষণায় পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে তাঁরা দাবি করেন, যাঁরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে কোলাইন-সমৃদ্ধ খাবার খেয়েছেন, তাঁরা স্মরণশক্তির পরীক্ষায় ভালো করেছেন। সেই সঙ্গে মতিভ্রম সংক্রান্ত মস্তিষ্কের ক্ষতি তাঁদের মধ্যে কম দেখা গেছে।

গবেষকদলের অন্যতম সদস্য ড. রোদা ওউ বলেন, 'আপনার আজীবনের খাদ্যাভ্যাস কিভাবে মস্তিষ্কের বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে পারে, তার প্রমাণ এই গবেষণা।' তবে তিনি কোনো একটি খাবারকে মতিভ্রমের বিরুদ্ধে 'ম্যাজিক বুলেট' হিসেবে বিবেচনা না করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমার মতে, নতুন এ গবেষণার বার্তা হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত, সুষম খাবার গ্রহণটাই গুরুত্বপূর্ণ।'

গবেষণায় ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৪০০ প্রাপ্তবয়স্ক (৩৬ থেকে ৮৩ বছর) মানুষের তাঁদের খাদ্যতালিকা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তাঁদের স্মরণ ও অবধারণশক্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের মস্তিষ্কের এমআরআই পরীক্ষা করা হয়।

এতে দেখা গেছে, যেসব নারী ও পুরুষ সর্বোচ্চ পরিমাণ কোলাইন-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেছেন, তাঁরা স্মরণশক্তি পরীক্ষায় ভালো করেছেন। আর যাঁরা কম কোলাইন-সমৃদ্ধ খাবার খেয়েছেন, পরীক্ষার ফলাফলে তাঁরা ছিলেন নিচের দিকে।

এর আগে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবারের ধরন; মানে মাছ, সবজি ও জলপাই থেকে উৎপাদিত তেল (অলিভ অয়েল) স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Wednesday, February 12, 2014

মাশরুমের উপকারিতাঃ

রোগমুক্ত স্বাস্থ্য যদি চান নিয়মিত মাশরুম খান। মাশরুম এর উপরকারী দিক গুলো সম্পর্কে এখানে বর্ননা করা হয়েছে। মাশরুম একটি সবজি জাতীয় উদ্ভিদ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাবারে মাশরুম ব্যবহার করা হয়।



কিন্তু আমাদের দেশে এখনও তেমন পরিচিতি পায়নি। তবে আশার কথা হলো পুষ্টিগুণে ভরা উপাদেয় মাশরুমকে জনপ্রিয় করার জন্য সরকারি ভাবে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উপকারিতাঃ
মাশরুম শরীরের জমাকৃত কোলেস্টরেল মুক্ত করে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার, টিউমার, মেদভূড়ি, জন্ডিস, রক্তসল্পতা, ডেঙ্গুজ্বর প্রভৃতি দুরারোগ্য ব্যাধি প্রতিরোধক ও নিরাময় করে।

মাশরুমের সুস্বাদু খাবারঃ
মাশরুম ফ্রাই, মাশরুম মাংস, মাশরুম মাছ, মাশরুম সবজি, মাশরুম স্যুপ, মাশরুম নুডুল্স, মাশরুম ওমলেট, মাশরুম ভর্তাসহ বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড মাশরুমের জনপ্রিয় সু-স্বাদু খাবার তৈরি করা যায়।

মাশরুমের পুষ্টিঃ
মাশরুমে আমিষ আছে ২৫-৩০%, চর্বি ৫-৬%, ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশ ৫৭-৬০%, শর্করা ৪-৬%।

মাশরুমের ঔষধিগুণঃ
পুষ্টিগুনের পাশাপাশি মাশরুমের রয়েছে ঔষধিগুণও। 

=> মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেল, এমন সমন্বয় আছে যা শরীরে ‘ইমুন সিস্টেম’কে উন্নত করে। ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুরা নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়। 

=> মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম থাকায় এবং আঁশ বেশি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার। 

=> মাশরুমের আছে শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন, লোভাস্টটিন এবং এনটাডেনিন। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করে। 

=> মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি, যা শিশুদের দাত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত উপকারি। এতে আরও রয়েছে ফলিক এসিড ও লৌহ তাই মাশরুম খেলে রক্ত শূন্যতা দূর হয়। এছাড়া লিংকজাই-৮ পদার্থ থাকায় হেপাটাইটিস-বি ও জন্ডিসের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।


=> মাশরুমে আছে বি-ডি গ্লুকেন, ল্যাম্পাট্রোল, টারপিনওয়েড ও বেনজোপাইরিন, যা ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে। ট্রাইটারপিন থাকাতে এটি বর্তমান বিশ্বে এইডস প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 
এডিনোসিন থাকায় এটি ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধক। স্ফিঙ্গলিপিড এবং ভিটামিন বি-১২ বেশি থাকায় স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কর্ড সুস্থ রাখে। 

=> মাশরুম খেলে হাইপার টেনশন দূর হয় এবং মেরুদ- দৃঢ় রাখে। 

=> মাশরুমে আছে প্রচুর এনজাইম, যা হজম শক্তি ও রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে নিউক্লিক এসিড এবং এন্টি-এলার্জেন থাকায় কিডনি রোগ ও এলার্জি প্রতিরোধক। সালফার সরবরাহ কারী এমাইনো এসিড, এটি নিয়মিত খেলে চুল পড়া ও চুল পাকা প্রতিরোধ করে। 

=> যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে

বিদেশে মাশরুম ‘ঔষধ, টনিক ও খাদ্য ’ একের ভিতরে তিন হিসেবে পরিচিত। একটি মাত্র খাদ্য থেকে আমরা এতো উপকার পেতে পারি, তাই মাশরুমকে অবহেলা না করে আসুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাশরুম রাখার অভ্যাস গড়ে তুলি।

মাশরুম সম্পর্কে সতর্কতাঃ

পৃথিবীতে প্রায় ১৪০০ প্রজাতির মাশরুম রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় শ’খানেক মাশরুম খাওয়ার উপযোগী বলে মাশরুম গবেষকেরা ধারনা দেন। এই প্রজাতিগুলো নিয়ে ব্যাপক গবেষনা চলছে! মাশরুমের অনেক প্রজাতি বিষাক্ত! এই বিষাক্ত প্রজাতি খেলে মৃত্যুর ও সম্ভাবনা থাকে!
(Fly Agaric (Amanita muscaria)বিষাক্ত মাশরুম, খাওয়ার উপযোগি না)


তাই পথে ঘাটে, আবর্জনায় পাওয়া মাশরুম খাওয়া উচিত নয়! বাজারে পাওয়া যায় এমন মাশরুম এবং মাশরুম বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর ভিত্তিকরে চাষকৃত মাশরুম খাওয়াই শ্রেয়! বাংলাদেশে মোট প্রায় দশ প্রজাতির মাশরুম চাষ হয়। এদের মধ্যে ওয়েস্টার, ইয়ার ও শীতাকী নামের মাশরুম বেশী চাষ করা হয়।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Friday, February 7, 2014

যৌনক্রিয়া ক্ষমতাকে উন্নিত করতে কেজেল ব্যায়াম!

কেজেল ব্যায়ামঃ পুরুষদের জন্য গাইড

আপনি হয়তো ভাবছেন কেজেল ব্যায়াম/ কেগেল ব্যায়াম (Kegel exercises) শুধু মহিলাদের জন্য হয়। আসলে তা নয়। মহিলারা এই ব্যায়াম থেকে যতটা সুবিধা লাভ করতে পারেন, পুরুষরাও ঠিক ততটা সুবিধা নিতে পারবেন।


 চিত্র:১ পুরুষের পেলভিস এনাটমি

কেগেল ব্যায়াম শ্রোণী মেঝের পেশী সুসংগঠিক করে মূত্রসংবহনতন্ত্র, বৃহদন্ত্র ও পায়ুপথের কার্যপ্রণালী জোরদার করে এবং যৌনক্রিয়া ক্ষমতাকে উন্নিত করতে পারে। মহিলাদের মত পুরুষেরাও যখন তখন এই ব্যায়াম করতে পারেন। কিন্তু সবারই উচিত ব্যায়ামটি করার আগে সঠিক মাংশপেশী সনাক্তকরণ এবং সঠিক পন্থা জেনে নেয়া।

পুরুষদের জন্য কেজেল ব্যায়ামের উপকারিতাঃ
শ্রোণী মেঝের পেশী অনেক কারণে ক্ষতিগ্রস্থ বা দূর্বল হয়ে যেতে পারে। যেমন প্রোস্টেড গ্রাণ্ডে টিউমার বা অন্য কোনো সার্জারী, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। কেজেল ব্যায়াম পুরুষদের পেলভিস ফ্লোরের মাসল শক্তিশালী করে যখন তখন প্রস্রাবের বেগ, ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া সহ আরো অনেক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে পুরুষদের জন্য কেজেল ব্যায়াম যৌনমিলনের সময় লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা, অকাল বীর্যপাত, দ্রুত বীর্যপাতের মত সমস্যারও সমাধান দিতে পারে।
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=cWZdRebxsdM

পুরুষেরা কিভাবে কেজেল ব্যায়াম করবেনঃ
পেলভিস ফ্লোর মাসল অর্থাত শ্রোণী মেঝের পেশী খুঁজে বার করা এবং সেটা কিভাবে সংকুচন/প্রসারন করবেন- সেটা কিছুটা কষ্টসাধ্য হলেও অসম্ভব কিছু নয়।

১. সঠিক পেশী খুঁজে নিনঃ
পেটে বায়ু জমলে সেটা বের হয়ে যাওয়া রোধ করতে গেলে বা প্রস্রাব করা কালে হঠাত প্রস্রাব বন্ধ করে দিলে পেটের নিম্ন ভাগে পিছনের দিকে যে পেশীগুলো আঁটসাঁট হয়ে যায় সেগুলোই পেলভিস ফ্লোর মাসল অর্থাত শ্রোণী মেঝের পেশী। আয়নায় দেখলে দেখবেন লিঙ্গ কিছুটা তলপেটের কাছাকাছি চলে আসে এবং অণ্ডথলি উপরের দিকে উঠে আসে।

২. পন্থা/পদ্ধতি/টেকনিক সঠিককরণঃ
ব্যায়ামের আগে ঠিকমতো প্রস্রাব করে নেবেন। প্রথম দিকে উচিত হবে মেঝেতে শুয়ে এই ব্যায়াম করা। মেঝেতে শুয়ে পেলভিস ফ্লোর মাসল ৩ সেকেণ্ড সংকুচন করে রাখুন, তারপর ৩ সেকেণ্ড প্রসারণ করে রাখুন। এভাবে টানা কয়েকবার করবেন। তবে খুব বেশী না। মাসল ধীরে ধীরে শক্তিশালী হতে শুরু করলে বসে, দাঁড়িয়ে বা চলন্ত অবস্থায়ও করতে পারবেন।

৩. মনোযোগ বজায় রাখুনঃ
ভালো ফলাফলের জন্য যখন সংকুচন করবেন তখন গভীর ভাবে মনোযোগ দিয়ে করবেন। অনেকেই ভুল করে পেটের বা তলপেটের, উরু, এবং নিতম্বের পেশী সংকুচন করে ফেলেন। এটা ঠিক নয়। দম বন্ধ বা ধরে রাখবেন না। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

৪. কতবার করবেনঃ
প্রত্যহ ৩ টা সময় (যেমন সকালে দুপুরে বিকেলে) চেষ্টা করবেন। প্রতিবার ১০ রেপস্-এর (Repetitions) 
৩ সেট করবেন। (৩ সেকেণ্ড সংকুচন + ৩ সেকেণ্ড প্রসারণ = ১ রেপ। ১০ রেপ = ১ সেট)

মাঝে মাঝে অন্য কাজের সময় (যেমন দাঁত মাজা) এটা প্রাকটিস করে নিতে পারেন। তলপেটে চাপ পড়ে এমন কিছু কাজকর্মের সময়ও (যেমন হাঁচি, কাশি, হাসা, ভারী বস্তু উত্তোলন) আপনার পেলভিস ফ্লোর মাসল সংকুচন হতে পারে। এছাড়া যৌনমিলনের সময় পেলভিস ফ্লোর মাসল সংকুচন করে লিঙ্গ আরো অধিকক্ষণ উত্থিত রাখতে পারেন বা অকাল বীর্যপাত রোধ করতে পারেন।

সমস্যা হলে-
ব্যায়াম করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে সাহায্য চাইলে কার্পণ্য বা লজ্জা করবেন না। নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা বা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করবেন যাতে তারা আপনাকে সঠিক পেশী সনাক্তকরণ এবং ব্যায়ামের পদ্ধতি শিখিয়ে দিতে পারেন।

কিছু ক্ষেত্রে Biofeedback প্রশিক্ষণ সাহায্য করতে পারে। এই ধরণের সেশনে, ডাক্তার বা অন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা মলদ্বার দিয়ে একটি Monitoring Probe প্রবেশ করিয়ে পুরো ব্যাপারটা মনিটরে পর্যবেক্ষণ করেন। পেলভিস ফ্লোর মাসল সংকুচন করার পর একটা মনিটরে দেখা যাবে যে আপনি সঠিক পেশী সংকুচন করতে পারছেন কিনা, এবং পারলে কতক্ষণ পারছেন।

কখন ফলাফল পাবেন
নিয়মিত কেজেল ব্যায়াম করলে ৩ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা সমাধান হতে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অব্যাহত সুবিধার জন্য এই ব্যায়াম প্রত্যহ করে যাওয়া উচিত।



কেজেল ব্যায়ামঃ মহিলাদের জন্য গাইড

কেগেল ব্যায়াম/কেগেল এক্সারসাইজ/ কেজেল এক্সারসাইজ (Kegel exercises) প্রস্রাবের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্নভাগের মাংশপেশীর সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। এখানে কেগেল ব্যায়াম কিভাবে সঠিক ভাবে করতে হয় তার একটা স্টেপ বাই স্টেপ গাইড দেয়ার চেষ্টা করা হলো।

কেগেল ব্যায়াম শ্রোর্ণী মেঝের পেশীকে দৃঢ এবং শক্তিশালী করে যা জরায়ু, মূত্রথলি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে সাহায্য করে। আপনি প্রায় যে কোনো সময়ে শুয়ে বা বসে কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন। এমনকি গর্ভবতী অবস্থায়ও করা যেতে পারে।

কেন কেগেল ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ- সেটা আগে বুঝতে হবে।
অনেক কারণে আপনার শ্রোর্ণী মেঝের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থা থেকে সন্তান প্রসব, বয়স বৃদ্ধি, এমনকি মুটিয়ে গেলে বা ওজন বৃদ্ধি পেলেও এমন হতে পারে। এ কারণে শ্রোণী অঙ্গ থেকে যোনির অনেক পেশী ঢিলা হয়ে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে। এতে প্রস্রাবের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা কমে যাওয়া সহ আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

কেগেল ব্যায়াম কিছু অবশ্যম্ভাবী ঘটনাকে বিলম্বিত করে, শ্রোর্ণী অঙ্গ স্থানচ্যুতি এবং সম্পর্কিত উপসর্গ প্রতিরোধ করে আপনার তারুণ্য অনেকদিন ধরে রাখতে পারে। এছাড়া যাদের চরমপূলক লাভে সমস্যা হয় তাদের জন্যও এটা উপকার হতে পারে।

কিভাবে কেগেল ব্যায়াম করতে হয়- সেটা জানার আগে আপনার শ্রোর্ণী মেঝের পেশী চিহ্নিত করে নিতে হবে এবং কিভাবে পেশী সংকুচন এবং প্রসারণ করতে হয়।


চিত্র:২ মহিলাদের পেলভিস পেশী

চিত্র:৩ মহিলাদের পেলভিস এনাটমি

[এই ভিডিওতে দেখতে পারবেন কোনগুলো পেলভিস পেশি এবং কিভাবে সেগুলোকে সংকুচন ও প্রসারণ করা হচ্ছে।]
http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=cWZdRebxsdM

প্রথমে পেশী খুঁজে নিতে হবে। যোনির ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে পার্শ্ববর্তী পেশীগুলো সংকুচন করার চেষ্টা করুন। আপনার যোনি আঁটা এবং আপনার শ্রোর্ণী মেঝের পেশীগুলো ঊর্ধ্বাভিমুখী মনে হবে। তারপর পেশী শিথিল করে দিন। দেখবেন শ্রোণীপেশীগুল আবার আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে।

প্রস্রাব করার সময় দু-একবার প্রস্রাব করার প্রবাহ বন্ধ করে দিন। সফল হলে বুঝলেন প্রাথমিক ধাপটা পার হতে পারছেন। (প্রস্রাব করার প্রবাহ বন্ধ করাটা বার বার বা অভ্যসে পরিনত করবেন না।) মূত্রথলি পরিপূর্ণ অবস্থায় বা প্রস্রাব করার সময় কেগেল ব্যায়াম করবেন না। এতে পেশী আরো শিথিল হয়ে যাবে বা প্রস্রাব করা অপূর্ণ থেকে যাবে যা মূত্রনালিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

এবার পূর্ণ পদ্ধতি। শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্নভাগের মাংশপেশীর অবস্থান নির্ণয় করা হয়ে গেলে বা বুঝতে পারার পর মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি করবেন। তারপর চেয়ারে বসে বা মেঝে/বিছানায় শুয়ে পড়বেন। পেলভিস মাসল সংকুচন করুন। ৫ সেকেণ্ড ধরে রাখুন। ৫ সেকেণ্ড পরে শিথিল করে দিন। এভাবে একটানা ৪/৫ বার করুন। এভাবে ধীরে ধীরে ৫ সেকেণ্ডের জায়গায় ১০ সেকেণ্ড করে করার চেষ্টা করুন।

শুধু শারীরিক ভাবে নয়, মানসিক ভাবেও পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য শুধু পেলভিস মাসলের উপরই মনোযোগ দেবেন। খেয়াল রাখবেন- পেটের পেশী, উরু, নিতম্বের পেশীতে যেন টান না পড়ে বা সেগুলো সংকুচিত না হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস ধরে বা বন্ধ রাখবেন না। স্বাভাবিক অবস্থায় যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস নেন, এই ব্যায়ামের সময়ও সেভাবে নেবেন।

ব্যায়ামটি ১০ বার পুনরাবৃত্তি করে ৩ টি সেট করবেন এবং দিনে ৩ বার করার চেষ্টা করবেন। এজন্য আলাদা সময়ের দরকার নাই। অন্যান্য কাজের ফাঁকেই এটা করতে পারেন। যেমন কম্পিউটারের কাজ করার সময় বা সোফায় বসে টিভি দেখার সময়, বিছানায় গড়াগড়ি দেয়ার সময়।

ব্যায়ামটি চেষ্টা করেও করতে না পারলে লজ্জিত হবার কিছু নাই। এখানে প্রশ্ন করতে পারেন বা আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

যদি একাগ্রতার সাথে সঠিক ভাবে কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন। আর ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হবে না। সেক্সের সময় যোনি মধ্যে ব্যথা কমে যাবে, বেশীক্ষণ মিলিত হতে পারবেন, মিলনে আগের চেয়ে বেশী সুখানুভূতি হবে। আরো অনেক সুবিধা পাবার জন্য এটা করা অব্যাহত রাখা উচিত।

পেলভিস পেশীর ব্যায়ামের জন্য ৩টি আসন
কেজেল ব্যায়াম: মহিলাদের জন্য গাইড নামক পোস্টে কেজেল ব্যায়াম কেন এবং কিভাবে করতে হয়ে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে আমরা জেনেছি যে বসে, শুয়ে, যেকোনো অবস্থাতেই এই ব্যায়াম করা যায়। তবে এই ব্যায়াম থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে দরকার পূর্ণ মনোযোগ। এবং সেটা ঠিক রাখতে ভালো কিছু ব্যায়ামের আসন আছে। তেমনই তিনটি আসন সম্পর্কে ধারনা লাভের জন্য এই পোস্ট।


আসন #১ (ম্যাডোনা)

১. হাটু গেড়ে বসে হাত পিছনে নিয়ে হাত এবং পায়ের উপর শরীরে র ভর ছেড়ে দিন।
২. পেট এবং মেরুদণ্ড স্বাভাবিক রেখে কোমর উঁচু করুন। থুতনি বুকের দিকে টাক করে বা মাথাটা পিছনের দিকে ঝুকে নিতে পারেন।
৩. এবার কোমর উঁচু অবস্থায় কেগেল ব্যায়াম করা শুরু করুন অর্থাৎ শ্রোণী/পেলভিস এলাকার মাংশপেশী সংকুচন করে ৫ থেকে ১০ সেকেণ্ড ধরে রাখুন।
৪. ধীরে ধীরে পেলভিস পেশী শিথিল করে আনুন।
৫. কোমর আগের অবস্থায় অর্থাৎ নিচে নামিয়ে আনুন। এভাবে ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন। এভাবে ১ সেট হবে
৬. একটু বিশ্রাম নিন।
৭. পুরো ব্যায়ামটা মোট ৩ সেট করুন।

আসন #২ (শ্রোণী উত্তোলন)

১. পা টান করে কোমরের উপর ভর দিয়ে বসুন। পা দুইটি কোমরের প্রসস্ততার চেয়ে একটু বেশী ফাঁক করে রাখুন। হাত পিছনে নিয়ে হাতের উপর কিছুটা ভর ছেড়ে দিন। খেয়াল রাখুন হাতের আঙুলগুলো যেন বাইরের দিকে প্রসারিত থাকে।
২. পেট এবং মেরুদণ্ড স্বাভাবিক রেখে কোমর উঁচু করুন। থুতনি বুকের দিকে টাক করে বা মাথাটা পিছনের দিকে ঝুকে নিতে পারেন।
৩. এবার কোমর উঁচু অবস্থায় কেগেল ব্যায়াম করা শুরু করুন।
৪. ১ পর্যন্ত গননা করতে নেয়ে সময়টুকুতে পেলভিস পেশী সংকুচন, আবার ১ পর্যন্ত গননা করতে নেয়ে সময়টুকুতে সেটা প্রসারন করার চেষ্টা করুন।
৫. কোমর আগের অবস্থায় অর্থাৎ নিচে নামিয়ে আনুন। এভাবে ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন। এতে ১ সেট সম্পূর্ণ হবে।
৬. একটু বিশ্রাম নিন।
৭. পুরো ব্যায়ামটা মোট ৩ সেট করুন।

আসন #৩ (শিবা)

১. টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুদিকে ছড়িয়ে দিন। হাতের উপর কোন ভর রাখবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা মেঝের উপর রাখুন। খেয়াল রাখুন যাতে হাঁটু এবং পায়ের আঙুল যেন এক লাইনে থাকে।
২. পায়ের পাতা এবং পিঠের উপর ভর রেখে কোমর উঁচু করুন।
৩. এবার কোমর উঁচু অবস্থায় কেগেল ব্যায়াম করা শুরু করুন।
৪. এই আসনে পেশী সংকুচন/প্রসারন দ্রুত করতে হয়, তাই অনেক মনোযোগ এবং অনুশীলনের দরকার। একবার ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নেয়া কালীন সময়েই ৩ থেকে ৪ বার পেশী সংকুচন/প্রসারন করতে হয়। তারপর গভীর ভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে শিথিল করে দিন। পুনরাবৃত্তি করুন।
৫. কোমর নিচু করে ফেলুন। পুরো প্রক্রিয়াটা আরো ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন। এতে এক সেট সম্পূর্ণ হবে।
৬. সেটের মাঝে একটু বিশ্রাম নিয়ে মোট ৩ সেট করুন।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Thursday, February 6, 2014

শ্যাম্পু করার সময় মনে রাখবেন যে ৫টি জরুরি বিষয়ঃ

প্রতিদিন ধুলোবালি, কালো ধোয়ায় ও মাথার ত্বকের তেলে চুল ময়লা হয়ে যায়। ফলে চুল শ্যাম্পু করতে হয় নিয়মিত। নিয়মিত সবাই শ্যাম্পু করলেও অনেকেই এটা জানেন না যে শ্যাম্পু করারও আছে কিছু নিয়ম কানুন। আর এই নিয়ম গুলো না জানার কারণে শ্যাম্পু করার পরেও ঠিক মত চুল পরিষ্কার হয় না অনেকেরই।




আসুন জেনে নেয়া যাক শ্যাম্পু করার ৫টি টিপসঃ-



শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নিনঃ

অনেকেই ভাবছেন যে শ্যাম্পু করার আগে আবার চুল আঁচড়ে নেয়ার কি আছে! শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নিলে চুল বেশ নরম ও কোমল হয়। এরপর শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে নিলে নিজেই বুঝতে পারবেন পার্থক্যটা।


শ্যাম্পুর সাথে পানি মিশিয়ে নিনঃ

শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর সাথে পানি মিশিয়ে নিন। এরপর সেটাকে মাথায় দিয়ে ভালো করে ঘষুন। শ্যাম্পুর সাথে পানি মিশিয়ে নিলে শ্যাম্পুর ক্ষতিকর কেমিকেল চুলের ক্ষতি কম করে এবং প্রচুর ফেনা তৈরী হয় বলে চুল ভালো করে পরিষ্কার হয়।


দুইবার শ্যাম্পু করুনঃ

যখন শ্যাম্পু করবেন তখন একবারের বদলে দুইবার শ্যাম্পু করুন। কারণ প্রথম বার শ্যাম্পুতে চুলের ধুলা, ময়লা ও মাথার ত্বকের তেল মোটামুটি ভাবে পরিষ্কার হয়। আর দ্বিতীয়বার শ্যাম্পু করার সময় সেটা পুরোপুরি পরিষ্কার হয় এবং চুল ঝরঝরে হয়।


হালকা গরম ও ঠান্ডা পানির ব্যবহারঃ 

চুলে শ্যাম্পু করার আগে চুল খুব হালকা গরম পানি দিয়ে একবার ধুয়ে নিন। এরপর চুল শ্যাম্পু করে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার সময় কখনই গরম পানি ব্যবহার করা উচিত না।


মাথার তালুতে কন্ডিশনার লাগাবেন নাঃ

শ্যাম্পু করার পর চুলের রুক্ষতা দূর করার জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে গিয়ে মাথার তালুতেও লাগিয়ে ফেলে। মাথার তালুতে কন্ডিশনার লাগিয়ে ফেললে চুলের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যাবে। এছাড়াও চুলে কন্ডিশনার লাগিয়ে অন্তত ২ মিনিট রাখুন। তাহলে চুল কোমল হবে।


[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Wednesday, February 5, 2014

তেঁতুল খেলে বুদ্ধি কমে?

আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে তেঁতুল খেলে বুদ্ধি কমে যায়। আসলেই কি তাই? 

এবার তাহলে শুনুন আসল কথা, তেঁতুল খেলে বুদ্ধি কমে না বরং বুদ্ধি বাড়ে। তেঁতুলের এসকর্বিক এসিড এসিড খাবার থেকে আয়রন আহরণ, সংরক্ষণ এবং তা বিভিন্ন কোষে পরিবহন করে। যা মস্তিষ্কের জন্য খুব প্রয়োজন। মস্তিষ্কে আয়রনের পর্যাপ্ত সরবরাহ চিন্তা ভাবনার গতি বৃদ্ধি করে। তার মানে কি দাঁড়াল? 



অধিকাংশ মানুষের এই ভুল বিশ্বাসের কারণে বাংলাদেশে তেঁতুল গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। 

অথচ, তেঁতুলগাছের পাতা, ছাল, ফলের শাঁস (কাঁচা ও পাকা), পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা সব কিছুই উপকরী। এর কচিপাতায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে এমাইনো এসিড। পাতার রসের শরবত সর্দি-কাশি, পাইলস ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় বেশ কাজ দেয়।

তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে। তবে তা দেহের কোষে নয়, রক্তে। এতে কোলস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

দেখা যায়, পুরোনো তেঁতুলের কার্যকারিতা বেশি। যদি পেট ফাঁপার সমস্যা থাকে এবং বদহজম হয়, তাহলে পুরোনো তেঁতুল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় দিয়ে খেলে অসুবিধা দূর হয়। আবার হাত-পা জ্বালা করলেও এই শরবতে উপকার পাওয়া যায়।

প্রয়োজনে টমেটোর সসের পরিবর্তে তেঁতুলের সস বা আচার খাওয়া যেতে পারে। যদি তেঁতুলের সঙ্গে রসুনবাটা মেশানো যায়, তাহলে রক্তের চর্বি কমানোর কাজে ভালো ফল দেয়।


[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Tuesday, February 4, 2014

রূপচর্চায় পেঁপের ৭টি চমৎকার ব্যবহার!

বাংলাদেশের অতি সহজলভ্য একটি ফল হলো পেঁপে। প্রাচীন কাল থেকেই পেঁপে খাদ্য ও রূপ চর্চার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন মিশরের সুন্দরী সম্রাজ্ঞীরা কাচা পেঁপে ব্যবহার করতেন ত্বকের মৃতকোষ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল তুলতে। যুগে যুগে রূপ সচেতন নারীদের রূপচর্চার একটি অন্যতম উপাদান ছিলো পেঁপে। আসুন জেনে নেয়া যাক রূপ চর্চায় পেঁপের দারুণ কিছু ব্যবহার প্রসঙ্গে।

* পেঁপেতে আছে ভিটামিন এ এবং এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে সহায়তা করে।

* কাঁচা পেপে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পুরো মুখে নিয়মিত লাগালে ব্রণের উপদ্রব কমে এবং ব্রণের দাগ মিলিয়ে যায়।

* পেঁপে বাটা পায়ের ফাটা দূর করে পাকে মসৃণ করতে সহায়তা করে।

* পেঁপের খোসা মুখের ত্বকে, হাতে কিংবা পায়ে লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

* মুখের ত্বকে নিয়মিত পেঁপের রস লাগালে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না সহজে।

* পেঁপে বাটা ও মধু এক সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। ত্বকের শুষ্কতা চলে যাবে ও ত্বক কোমল হবে।

* চুল শ্যাম্পু করার আগে চুলে পেঁপে বাটা বা পেপের রস লাগালে খুশকি সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।



[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]