Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Thursday, January 16, 2014

মুখে বা ঠোঁটের কোণায় ঘা!

লক্ষণঃ
     ঠোঁট লাল হয়ে ফেটে যায়/ কোনাগুলি ফেঁটে যায়।
     মুখের বা ঠোঁটের দুই কোণায় ঘা হয়/সাদা হয়ে যায়।
     কস পড়ে ও হা করতে কষ্ট হয়।
     জিহ্বায় ঘা হয়, লাল হয়ে ফুলে যায় ও ব্যথা হয় এবং খেতে অসুবিধা হয়।


কারণঃ
     খাবারে ভিটামিন-বি২ বা রাইবোফ্লাভিনের অভাব অথবা লোহার অভাব।
     দুধ, ডিম, ডাল, কলিজা, সিদ্ধ চাউল এবং শাক-সবজি প্রয়োজনীয় পরিমাণে না খাওয়া।

প্রতিরোধ/ প্রতিকারঃ
     প্রচুর পরিমাণে দুধ, ডিম, ডাল এবং শাকসবজি খেতে হবে।
     মুখে বেশি ঘা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন খেতে হবে/আয়রণ খেতে হবে।

 [ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ]

Wednesday, January 15, 2014

হাড় মজবুত রাখার উপায়!

হাড়ের মূল উপাদান আমিষ, কোলাজেন ও ক্যালসিয়াম। প্রাকৃতিক নিয়মেই ৩০ বছরের পর থেকে হাড়ের ঘনত্ব ও পরিমাণ কমতে থাকে, হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হতে থাকে। ৫০ থেকে ৬০ বছরের দিকে হাড় অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সামান্য আঘাতেও বয়স্ক ব্যক্তির মেরুদণ্ড, কটি, পাঁজর ও কবজির হাড় ভেঙে যেতে পারে।



হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া ও ভঙ্গুরতার ঝুঁকি কাদের বেশি?
= ৪০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব বংশানুক্রমিকভাবে নির্ধারিত হয়। তাই পরিবারে হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে ঝুঁকিটা বেশি।
= ২০ শতাংশ হাড়ের ঘনত্ব নির্ধারিত হয় জীবনযাত্রার মাধ্যমে। শৈশব থেকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, যথেষ্ট পরিমাণ ক্যালসিয়াম, খনিজ ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ধুমপান ও মদ্যপান বর্জন, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা এবং কর্মক্ষম থাকা হাড়ের সুস্থতার জন্য দরকারি।
= পুরুষের তুলনায় নারীদের হাড় ভাঙার প্রবণতা বেশি; বিশেষ করে যাঁরা শারীরিক গঠনে পাতলা ও খাটো।
= প্রায় ২০ শতাংশ নারী মেনোপোজের পর মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙার শিকার হন। একবার হাড় ভাঙার পরবর্তী বছরে সাধারণত আরেকটি নতুন হাড় ভাঙে।
= থাইরয়েড ও পিটুইটারি গ্রন্থির নানা সমস্যা হাড়ের ক্ষয়কে ত্বরান্বিত করতে পারে।
= দীর্ঘদিনের স্টেরয়েড ওষুধ সেবন, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, খাদ্যনালির অস্ত্রোপচার বা রোগ, যকৃতের সমস্যা ইত্যাদি হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস করে

উপসর্গঃ
হাড় ভাঙার আগে সাধারণত কারও কারও পিঠ, কোমর, ঘাড় ও পেশিতে ব্যথা হয়। কারও বয়সের সঙ্গে মেরুদণ্ডের কশেরুকার উচ্চতা কমে যায়, রোগী সামনে ঝুঁকে থাকে এবং পেছনে কুঁজো হয়।

হাড় মজবুত রাখার উপায়ঃ
নিয়মিত ব্যায়ামঃ- যেমন হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা এবং সব সময় কর্মক্ষম থাকা উচিত। কৈশোরে যথেষ্ট কায়িক পরিশ্রম করলে হাড়ের ঘনত্ব ও দৃঢ়তা বৃদ্ধির ফলে বার্ধক্যে হাড়ের ক্ষয় কম হয়।
কৈশোরে দৈনিক এক হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম, ৫০ বছর পর্যন্ত এক হাজার মিলিগ্রাম এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে এক হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সেবন করা উচিত। ধুমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। হাড়ের পরিমাণ হ্রাস, হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা নির্ণয় করা যায় বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ওষুধ সেবন করুন।


 [ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ]

Tuesday, January 14, 2014

অপুষ্টিজনিত সমস্যাঃ- রক্তস্বল্পতা!

বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের শতকরা প্রায় ৫৫ জন রক্তস্বল্পতায় ভুগছে। রক্তস্বল্পতা অতি সহজে নিরাময়যোগ্য অপুষ্টিজনিত একটি রোগ। হিমোগ্লোবিনের গঠনের জন্য লৌহ অপরিহার্য। দেহের প্রতিটি কোষ বাঁচার জন্য অক্সিজেনের ওপর নির্ভরশীল। রক্তস্বল্পতায় কোষে কম পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছানোর কারণে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।


লক্ষণঃ
     মুখমন্ডল ফ্যাকাশে বা সাদা হয়ে যায়।
     শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়।
     বুক ধড়ফড় করে।
     রক্তের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে শ্বাস প্রশ্বাস এবং নাড়ীর গতি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়।
     বসা থেকে উঠলে মাথা ঘুরায় এবং বমি ভাব হয়।
     জিহবা মসৃণ এবং সাদা হয়ে যায়।
     হাতের তালু ও নখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
    রক্তের ঘনত্ব কমে যাওয়ার ফলে পায়ে ও শরীরে পানি আসতে পারে।
    শীত ভাব হয়।

কারণঃ
     খাবারে প্রধানত লৌহের ঘাটতি হলে।
     খাবারে আমিষের ঘাটতি হলে।
     খাবারে ভিটামিন-সি এর ঘাটতি হলে।
     কৃমিতে আক্রান্ত হলে।
     দুর্ঘটনায় অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলে।
     বাচ্চা প্রসবের পর ঠিকমত লৌহ সমৃদ্ধ খাবার না খেলে।

প্রতিরোধ / প্রতিকারঃ
    প্রচুর পরিমাণ লৌহসমৃদ্ধ ও আমিষ জাতীয় খাদ্য যেমন:গাঢ় সবুজ শাকসব্জী, কাঁচাকলা, ডাল, মাছ,মাংস, কলিজা, ডিম ইত্যাদি খেতে হবে।
    ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল যেমন: পেঁপে, কলা, পেয়ারা ইত্যাদি খেতে হবে।
    শিশুকে শালদুধ সহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
    শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।
    কৃমি থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে।
    মারাত্মক অবস্থায় লৌহ ও আমিষ সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ডাক্তারের পরামর্শ মতো আয়রণ ট্যাবলেট খেতে হবে।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ]

Monday, January 13, 2014

রক্ত নেওয়ার সময় প্রচলিত ভুল!

রক্ত নেওয়ার সময় একটি প্রচলিত ভুল হলো হাত বেঁধে নেয়া শক্ত করে৷ কিন্তু এ পদ্ধতি শরীরের জন্য ক্ষতিকর৷ রক্তদানকারীর হাত শক্ত করে বেঁধে রক্ত নেয়ার পরই ছেড়ে দেয়া হয়৷ আর এতে রক্তে পটাশিয়াম বৃদ্ধি পায়, যা থেকে কিডনি অথবা হার্টে সমস্যা দেখা দিতে পারে৷


ব্রিটিশ গবেষকদের এক গবেষণা এনালস অব ক্লিনিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রিতেও বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য৷ তাই হালকা ভাবে হাত বেঁধে রক্ত দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা৷ গবেষণা পরিচালনার সময় গবেষকরা প্রায় ২ লাখ মানুষের রক্ত পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন৷ একজন বিশেষজ্ঞের মতে, রক্ত দেয়ার সময় শক্ত করে হাত বাঁধার প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত পুরোনো৷ এখন যারা রক্ত নেয়ার কাজ করছেন তাদের উচিত নয় রোগীদের ওপর এ প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা৷

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Sunday, January 12, 2014

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ কিছু উপায়!

ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্যের অনেক খানিই নির্ভর করে মুখের স্বাস্থ্যগত অবস্থা তথা দুর্গন্ধমুক্ত মুখগহ্বরের ওপর। কিন্তু দুর্গন্ধ বা দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস অনেক সময়ই বিরক্তিকর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কেউ কেউ হয়তো এমন অবস্থা সম্পর্কে খুব একটা অবগত থাকেন না। কিছু নিয়মকানুন মেনে চললেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


# মুখে দুর্গন্ধ কেন হয়ঃ 
১. প্রতিবার খাবার গ্রহণে মুখের ভেতরে খাদ্য আবরণ দাঁতের ফাঁকে, মাড়ির ভেতর জমে দন্তমল সৃষ্টি হয়। পরে তা থেকে মাড়ির প্রদাহ দেখা দেয়।
২. মুখের যেকোনো ধরনের ঘা বা ক্ষত।
৩. আঁকাবাঁকা দাঁত থাকার কারণে খাদ্যকণা ও জীবাণুর অবস্থান।
৪. মুখের ভেতরে ছত্রাক ও ফাঙ্গাস।
৫. মুখের ক্যানসার।৬. ডেন্টাল সিস্ট বা টিউমার।
৭. দুর্ঘটনার কারণে ক্ষত।
এ ছাড়া দেহের অন্যান্য রোগের কারণেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে, যেমন: পেপটিক আলসার বা পরিপাকতন্ত্রের রোগ, লিভারের রোগ, গর্ভাবস্থা, কিডনির জটিলতা, বাতজনিত রোগ, ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র, উচ্চ রক্তচাপ, গলা বা পাকস্থলীর ক্যানসার, এইডস, হূদেরাগ, মানসিক রোগ, নাক, কান, গলার রোগ ইত্যাদি।

# মুখে দুর্গন্ধ হলে আপনি যা করবেনঃ
১. পরিষ্কার উন্নতমানের একটি ব্রাশ ও পেস্ট দিয়ে দাঁতের সব কটি অংশ ভেতরে-বাইরে পরিষ্কার করুন (তিন বেলা খাবারের পর)।
২. জিব পরিষ্কারের জন্য জিব ছোলা ব্যবহার করুন। বাজারে স্টেনলেস স্টিল অথবা প্লাস্টিকের জিব ছোলা পাওয়া যায়।
৩. যেকোনো ধরনের মাউথওয়াশ (ক্লোরহেক্সিডিন জাতীয়) দুই চামচ মুখে ৩০ সেকেন্ড রেখে ফেলে দিয়ে আবার অল্প গরম লবণপানিতে কুলকুচি করুন। প্রতিদিন অন্তত দুবার, সকালে ও রাতে খাবারের পর।
৪. অবসর সময়ে মুখের ভেতরে একটি লং বা এলাচির দানা রাখুন।
৫. প্রতিবার আহারের পর (যা কিছু খাবেন, যেমন: বিস্কুট, ফলমূলজাতীয় খাবার) সম্ভব হলে দাঁত ব্রাশ করুন অথবা কুলকুচি করে ফেলুন।
৬. ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য জর্দা, পান ইত্যাদি ত্যাগ করুন।
৭. দাঁতের ফাঁকে বা মাড়ির ভেতরে অনেক সময় খাদ্যকণা জমে পচন শুরু হয়। ডেন্টাল ফ্লস, টুথ পিকসের (একধরনের জীবাণুমুক্ত শলাকা) সাহায্যে খাদ্যকণাগুলো বের করুন।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য]

Saturday, January 11, 2014

দ্রুত হাটার উপকারিতা!

হাটা একটি উত্তম ব্যায়াম। সকালে বা বিকালে সুবিধামত সময়ে কমপক্ষে ১ (এক) ঘন্টা দ্রুত হাটতে হবে। এমনভাবে দ্রুত হাটতে হবে যেন হার্টবিট বেড়ে যায় ও শরীর ঘেমে যায়। হাটার সময় পেটে টান রেখে  সোজা হয়ে হাটতে হবে। হাটা শুরু করার পূর্বে ২-৩ গ্লাস পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১ (এক) ঘন্টা দ্রুত হাটলে আল্লাহর রহমতে নিম্নলিখিত ফলাফল পাওয়া যায়।


১.   উচ্চ রক্তচাপ কমে।
২.   দ্রুত হাটা ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমিয়ে ৬০% উচ্চ রক্তচাপ রোগী ঔষধ ছাড়াই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন।
৩.  দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এতে ব্রেন ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমে যায়।
৪.   হার্ট ভাল থাকে এবং হার্টে ব্লক হতে পারে না।
৫.   শরীরের মেদভূড়ি কমে। রক্তে চর্বির মাত্রা হ্রাস পাওয়ার ফলে ধমনীতে ফলক সৃষ্টি হতে পারে না।
৬.  যাদের বুকে ও পেটে চর্বির পরিমান বেশী তাদের হৃদরোগের ঝুকির পরিমান বেশী। প্রতিদিন ১ ঘন্টা দ্রম্নত হাটলে চর্বি কমে গিয়ে ঝুকি কমে যায়।
৭.   যারা নিয়মিত হাটেন তাদের মধ্যে ৬৪% লোকের স্ট্রোকের ঝুকি থাকে না।
৮.  সকল ধরনের বুকের ব্যথা ও ধরফর করা ভাল হয়।
৯.   হার্ট ২০,০০০-৩০,০০০ বার প্রতিদিন স্পন্দন থেকে বিরত থাকে। ফলে হার্টের উপর থেকে অনেক বাড়তি কাজের চাপ হ্রাস পায়।
১০. গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রতিদিন ৫ কিলোমিটার হাটেন তাদের আয়ু বেশী।
১১. ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে না ও রোগ থাকলে নিয়ন্ত্রনে থাকে।
১২.  নিয়মিত হেটে শরীরের অনেক পরিমান ওজন কমানো সম্ভব।
১৩.  শরীরের ভিতর ঝিম ঝিম বা ম্যাচ ম্যাচ ভাব থাকে না ও শরীর তরতাজা থাকে।
১৪.  হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও ক্ষুধা বাড়ায়।
১৫.  খুব ভাল ঘুম হয়।
১৬.  বাত-ব্যথা দূর হয়। দেহের মাংসপেশী ও অস্থিসমূহ নিস্ক্রিয় থাকলে বাত-ব্যথার সৃষ্টি হয়। নিয়মিত দ্রুত হাটলে ঝুকিহীনভাবে এ রোগ দূর হয়।
১৭.  হাপানী রোগ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
১৮.  কাজের প্রতি অনিহা থাকে না।  ১০% কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
১৯.  টেনশন বেড়ে গেলে খুব জোড়ে জোড়ে আধা ঘন্টা হাটলে টেনশন কমে যায়।
২০. আঙ্গুল পচা, গ্যাংগ্রিণ ইত্যাদি হয় না বা কম হয়।
২১.  হার্ট, কিডনী, যকৃত, ফুসফুস ও অন্যান্য অংগের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
২২.  ত্রিশ (৩০) বছর বয়সের পরে শরীরের চামড়া ঢিলা হয়ে যায়। নিয়মিত হাটলে উক্ত চামড়াগুলো টানটান হয়ে বয়স কমিয়ে দেয়।
২৩. চেহারা খুব সুন্দর করে।
২৪.  যারা জড়মড় হয়ে চুপচাপ বসে বসে থাকেন তারা ৪০ বছরেই ক্ষয়িঞ্চু বৃদ্ধের মত হয়ে পড়েন।
২৫. যারা নিয়মিত হাটেন তারা ৭০ বছর বয়সেও বেশ শক্ত সবল থাকেন।
২৬.  যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় ও যৌবনকাল দীর্ঘায়িত হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: যারা নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন বাদ দিবেন না। যাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শুরু হয়েছে মাত্র তারা দ্রুত হাটার দ্বারা উপকার পাবেন। নিয়মিত হাটুন – সুস্থ থাকুন!

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। 

Friday, January 10, 2014

মুদ্রাদোষ‍ !

মুদ্রাদোষ আর বাজে অভ্যাস কিন্তু এক জিনিস নয়। হাতের নখ কামড়ানো, বারবার পা নাড়ানো, আনমনা থাকতে থাকতে মাথা চুলকানো, নাকের ভেতর আঙুল ঢুকিয়ে চুলকানো, হাতের কাছে লম্বা কিছু পেলেই কানে ঢুকিয়ে দেওয়া, আঙুল ফোটানো, কথা বলার সময় জোরে জোরে হাত নেড়ে বা আঙুল তুলে কথা বলা ইত্যাদি হলো মুদ্রাদোষ। মানুষ নিজের অজান্তেই এগুলোর চর্চা করতে থাকে। 


আসুন জেনে নেই মুদ্রাদোষগুলো থেকে নিজেরাই নিজেদের কিভাবে মুক্তি দিতে পারি। 
১. প্রথমে মুদ্রাদোষটি শনাক্ত করুন। 
২. সব সময় সচেতন থাকুন, যাতে মনের ভুলে এমন অভ্যাসের চর্চা না হয়। ৩. যিনি আনমনে বারবার পা নাড়েন, তিনি বসার ধরন বদলে ফেলুন।
৪. যিনি কথা বলতে বলতে হাত নাড়েন, তিনি হাত পেছনে রেখে মনে জোর নিয়ে এসে কথা বলতে পারেন।
৫. নিজের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখুন। 
৬. যেকোনো কাজে গভীর মনোনিবেশ করুন। 
৭. আলস জীবনযাপন বা অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস বাদ দিন। 
৮. নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধ্যান করে মুদ্রাদোষ পরিহার করার ক্ষমতা তৈরি করুন।
৯. কাছের মানুষদের জানিয়ে রাখুন, যাতে তাঁরা থামিয়ে দেন বা মনে করিয়ে দেন। 
১০. মুদ্রাদোষ থেকে মুক্তি পেতে আরেকটি ব্যায়াম করা যেতে পারে। তা হলো যিনি পা নাড়ান কিংবা হাত দিয়ে নাক, কান বা মাথা চুলকাতে থাকেন, তিনি দিনের একটা সময় ধরে একটানা পা বা হাতের দিকে স্থিরভাবে তাকিয়ে থাকুন। মনোযোগ নিয়ে দেখুন আর ভাবতে থাকুন অভ্যাসগুলোর কথা। কিংবা হঠাৎ বেখেয়াল হতেই পা নাড়াচ্ছিলেন, মনে হওয়ার পর বন্ধ করে তাকিয়ে ভাবতে থাকুন পাঁচ মিনিট। ভাবার সময় আবার বেখেয়াল হয়ে যাবেন না।
১১. মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে অবশ্যই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। 

Thursday, January 9, 2014

ক্যান্সার রোধে ফুলকপি !

শীত মওসুমে থাকে সবজির আধিক্য। এসব সবজিতে রয়েছে নানান পুষ্টিগুণ। এর মধ্যে ফুলকপি অন্যতম। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ উপকারী। তাই খাওয়ার আগে জেনে নিন কেন খাবেন এই সবজি। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। ভিটামিন এ, বি ছাড়াও আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সালফার পাওয়া যায়। ফুলকপির ডাঁটা ও সবুজ পাতায়ও রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। ফিগার সচেতনরা ফুলকপি খেতে পারেন। কারণ এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম। ক্যান্সার প্রতিষেধক হিসেবে ফুলকপি খেতে পারেন।



ফুলকপি ক্যান্সার সেল বা কোষকে ধ্বংস করে। এ ছাড়া মূত্রথলি ও প্রোস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির ভূমিকা অপরিসীম। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন এ ও সি শীতকালীন বিভিন্ন রোগ যেমনÑ জ্বর, কাশি, সর্দি ও টনসিল প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ফুলকপির ভিটামিন এ চোখের জন্যও প্রয়োজনীয়। উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস রোগীরা ফুলকপি খেতে পারেন নিঃসঙ্কোচে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও কোলেস্টেরল কমাতেও ফুলকপি ভালো কাজ করে। ফুলকপিতে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের ফুলকপি বেশি না খাওয়াই ভালো। ফুলকপিতে থাকা প্রচুর উদ্ভিজ্জ আমিষ দুর্বল কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া থাইরয়েড গ্ল্যান্ডসংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্তদের ফুলকপি এড়িয়ে চলাই ভালো।


 আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। 

Wednesday, January 8, 2014

বয়সের ছাপ কমাতে পালং শাক!

বয়সের ছাপ লুকানোর জন্য আমরা কতকিছুই না করি। মুখে দামি ক্রিম মাখা থেকে শুরু করে শাক-সবজির ন্যাচারাল ট্রিটমেন্টও নিচ্ছে অনেকে। অথচ শীতের সবজি পালং শাকেই আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট। আর এন্টি-অক্সিডেন্টের কাজই হলো কোষের ক্ষয়রোধ করে শরীরকে তারুণ্যদীপ্ত এবং সুস্থ-সবল রাখা। অর্থাৎ বার্ধক্যকে জয় করতে পালং শাকের রয়েছে অনন্য ভূমিকা।


এছাড়া সহজলভ্য এ শাকটির রয়েছে অনেক খাদ্যগুণ। ভিটামিন 'ডি' ছাড়া বাকি সব ভিটামিনই এতে রয়েছে। বিশেষ করে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন 'ই' এবং ভিটামিন 'সি'র উৎস পালং শাক। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, আয়রনসহ বেশকিছু প্রয়োজনীয় মিনারেল রয়েছে এতে।

পালং শাকের এন্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কেও কোষগুলোকেও সতেজ এবং কর্মক্ষম রাখে। তাই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। তাছাড়া পালং শাকের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। সব মিলিয়ে পালং শাক শীতের এক অসাধারণ সবজি!

 আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। 

Tuesday, January 7, 2014

চিকিত্সা করলে ৭ দিন, না করলে ১ সপ্তাহ !

শীতের স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে প্রথমেই চলে আসে সাধারণ ঠান্ডাজনিত সর্দি-কাশির কথা বা কমন কোল্ডের কথা। শীতের শুরুতে এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। 


এ রোগের শুরুতে গলা ব্যথা করে, গলায় খুশ খুশ ভাব ও শুকনা কাশি দেখা দেয়। নাক বন্ধ হয়ে যায়। নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে এবং ঘন ঘন হাঁচি আসে। হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়।

এটা মূলত শ্বাসতন্ত্রের ওপরের অংশের রোগ এবং সৌভাগ্য হল এই রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায়, চিকিত্সা করলে ৭ দিন, না করলে ১ সপ্তাহ। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাঁশি কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে।

যদি প্রতিরোধের চেষ্টা সত্ত্বেও সর্দি-কাশি দেখা দেয়, তবু প্রতিরোধের উপায়গুলো চালিয়ে যেতে হবে। এটা শুধু রোগের তীব্রতাকে কমাবে না, রোগের বিস্তারও কমাবে। 

প্রয়োজনে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। পাশাপাশি ভেষজ ওষুধ যেমন- মধু, আদা, তুলসীপাতা, কালিজিরা ইত্যাদি রোগের উপসর্গকে কমাতে সাহায্য করবে।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। 

Monday, January 6, 2014

স্মরণশক্তি বাড়াতে মুষ্টিবদ্ধ হাত !

ভুলো মনের মানুষদের জন্য সুখবর! গবেষকরা এমন একটি সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা প্রয়োগ করে আপনিও যাচাই করে নিতে পারেন আপনার মস্তিষ্কে থাকা কোনো বিষয় পুনরায় স্মরণ করতে পারেন কি না। পদ্ধতিটি হলো স্রেফ মুষ্টিবদ্ধ হাত।


বিজ্ঞানীরা জানান, মুষ্টিবদ্ধ হাত মানুষের স্মৃতি বাড়াতে সাহায্য করে। তবে সেটা যখন তখন নয় এবং উভয় হাতের মুষ্টির ফলও একই রকম নয়। গবেষকদের মতে, কোনো কিছু মনে রাখা (মুখস্থ করা) এবং স্মরণ করার সময় হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাখলে পরে স্মৃতির জন্য তা সহজ হয়।

এ ক্ষেত্রে ডান হাতের মুষ্টি বেশি উপকারী। কারণ এ ধরনের শারীরিক নড়াচড়া স্মৃতি জমা ও স্মরণ-সংক্রান্ত মস্তিষ্কের অংশটিকে সক্রিয় করে। তাঁদের মতে, বাজারের তালিকা বা টেলিফোন নম্বর মনে রাখার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর।

গবেষণা কাজের প্রধান এবং ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব টলেডোর ডা. রুথ প্রপার বলেন, ‘এই গবেষণার ফল থেকে বোঝা যায়, শরীরের স্বাভাবিক নড়াচড়ার কারণেও সাময়িকভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায় পরিবর্তন আসতে পারে, যা স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

Sunday, January 5, 2014

গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা ও এর প্রভাব !

মা হওয়ার অনুভুতি সাধারণত স্বর্গীয় বলেই ধরে নেয়া হলেও গবেষণায় দেখা গেছে অন্তত ১০ জনের মাঝে এক ১ জন মা গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতায় ভুগে থাকেন ও এর প্রভাবের শিকার হয় মা ও শিশু দুজনেই। আসুন আমরা আজকে এ সম্পর্কে জানি।


গর্ভকালীন সময়ে মায়ের দেহে হরমোনের যে পরিবর্তন হয় তার কারণে ও অন্যান্য কারণেও মায়ের বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা বা অবসাদ্গ্রস্ততা দেখা দিতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলারা নিজেদের এ ধরণের সমস্যার ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। কিন্তু এমনটা যেন না হয়। মনে রাখতে হবে, আপনার দৈহিক সুস্থতার মতোই আপনার মানসিক সুস্থতাও একটি সুস্থ শিশুর জন্মলাভের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই গর্ভাবস্থায় আপনার যদি মনে হয় যে আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন, দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কি কি বিষয় গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ায়?
১. যদি ইতিমধ্যে আপনি বিষণ্ণতায় অতীতে ভুগে থাকেন বা আপনার পরিবারের কারো এই সমস্যা থেকে থাকে। পূর্বে বিষণ্ণতা না থেকে থাকলেও আপনার পুরোপুরি সম্ভাবনা থাকে গর্ভাবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত হবার।
২. সম্পর্কজনিত টানাপড়েন বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক ভাল থাকা খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে স্বামীরা বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে। সাধারণ সময়ের চেয়ে এসময় ভবিষ্যৎ শিশু ও তার মায়ের কথা ভেবে স্ত্রীর প্রতি স্নেহ মমতা ভালবাসা পূর্ণ ব্যাবহারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য একথা মনে রাখা উচিৎ।
৩. যদি অক্ষমতাজনিত কারণে গর্ভধারণ করতে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে গর্ভাবস্থায় মায়েরা এক প্রকারের আতঙ্কে ভোগেন এবং এ থেকেও বিষণ্ণতা সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার।
৪. পূর্বে যদি কোন শিশু গর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় মারা যায় বা গর্ভপাতের ইতিহাস থাকে।
৫. অতীত জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা, হতে পারে তা দৈহিক বা মানসিক বা যে কোন প্রকারের অনাকঙ্খিত স্মৃতি এসময় বেশি পীড়া দেয়। কাজেই চেষ্টা করতে হবে এধরণের কিছু যেন মনে না আসে। সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে।

কীভাবে বুঝবেন আপনি বিষণ্ণ??
১. অকারণে কোন কিছু ভাল না লাগা।
২. শুন্য অনুভুতি বা ফাঁকা ফাঁকা লাগা।
৩. কোন কিছুতে মননিবেশ করতে ব্যর্থ হওয়া।
৪. ঘুমের সমস্যা হওয়া।
৫. খাদ্যাভ্যাসে হঠাৎ পরিবর্তন আসা। হতে পারে অতি ভোজন বা খাবারের রুচি নষ্ট হওয়া উভয়ই।
৬. সবসময় কোন কারণ ছাড়াই ক্লান্ত লাগা।
৭. নিজেকে যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ ছাড়াই দোষী ভাবা, মূল্যহীন ভাবা। এবং
৮. হঠাৎ করে মানসিকতার পরিবর্তন। হঠাৎ ভাল লাগা, বেশি বেশি কথা বলা। অকারণে বেশি অস্থির লাগা এমন যদি হয় তবে বুঝতে হবে আপনি "বাইপোলার ডিসঅর্ডার" এ ভুগছেন যার জন্য যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসা নেয়া অতি জরুরী।

এগুলোর মধ্যে যদি যেকোনো ৩ বা তার বেশি বৈশিষ্ট আপনার মধ্যে ২ সপ্তাহের বেশি অপরিবর্তনীয় অবস্থায় থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং আপনার সাহায্য দরকার।

শিশুর উপর মায়ের বিষণ্ণতার প্রভাবঃ
১. শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। বিষণ্ণতায় ভুক্তভোগী মা নিজের ঠিকমত যত্ন নিতে পারে না ফলে শিশুর বৃদ্ধিও বাঁধাগ্রস্থ হয়।
২. মা ও শিশুর মধ্যে যে স্বাভাবিক বন্ধন তা পরিপূর্ণরূপে বিকাশলাভ করতে ব্যর্থ হওয়া।
৩. এইসব শিশুরা সাধারণত জন্মের পরে অন্যান্য শিশুর চেয়ে কম প্রাণচাঞ্চল্যপূর্ণ হয়। তারা অন্য স্বাভাবিক শিশুর মতো কথাবার্তা, নড়াচড়ায় দেরী করে এবং অনেক সময় অনেকে ব্যর্থ পর্যন্ত হয়।
৪. শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের একটি বড় অংশের জন্য দায়ি তাদের মায়েদের গর্ভকালীন বিষণ্ণতা।
৫. কাজেই এই ব্যাপারটি আপাতদৃষ্টিতে অনেক সাধারণ মনে হলেও এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে কাজেই সকলেরই উচিৎ এ বিষয়ে সচেতন হওয়া। মনে রাখবেন, বিষণ্ণ মা, বিষণ্ণ শিশু। সুস্থ মা, সুস্থ শিশু। সকলের সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ।

 আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। 

Saturday, January 4, 2014

দাঁতের কিছু পরিচিত সমস্যার সমাধান এবং প্রয়োজনীয় টিপসঃ

দাঁতের কিছু পরিচিত সমস্যার সমাধানঃ
• মাঢ়ি দিয়ে রক্ত পড়া, মুখে দুর্গন্ধ, কালো বা হলদেটে দাগ যা দাঁত ব্রাশে যায় না তার জন্য স্কেলিং করা
• দাঁতের ছোট গর্ত হওয়া যা ক্যারিজ নামে পরিচিত তার জন্য ফিলিং করা
• দাঁতে জমে থাকা খাদ্যকণা অথবা প্লাক দূর করতে দিনে একবার ডেন্টাল প্লস দিয়ে ক্লিন করা
• নড়বড়ে দাঁত এবং শুধু গোড়া আছে সেগুলো তুলে ফেলা পরবর্তীকালে ডেনচার বা ব্রিজ করা যায়
• দাঁতের মজ্জা পর্যন্ত ক্ষয় হওয়া, শিরশির করা, প্রচ- ব্যথা সে ক্ষেত্রে এক্স-রে করে রুট ক্যানাল নামে আধুনিক চিকিৎসা করে পরবর্তীকালে ওই দাঁতে ক্যাপ করে নেয়া
• আঘাত বা অন্যান্য কারণে দাঁতের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে ঝকঝকে করার জন্য ব্লিচিং করা ব্লিচিং পদ্ধতি যেকোনো দাঁতের পাশাপাশি রুট ক্যানাল চিকিৎসা চলছে এমন দাঁতেও সম্ভব
• উঁচু-নিচু, আঁকাবাঁকা দাঁত অর্থোডোন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুন্দর করে তোলা
• মুখগহ্বরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে বা বাঁকা হয়ে ওঠা আক্কেল দাঁত থাকলে সেগুলো সার্জিক্যাল অপারেশন করে তোলা
• দাঁতের শার্প অংশ কামড়ে কামড়ে গালে বা জিহ্বায় ক্ষত হলে সে ক্ষেত্রে গ্রাইন্ডিং করা
• তামাকসমৃদ্ধ দ্রব্য যেমনঃ সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এগুলো মুখে ক্যান্সার ও দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ
• মুখের আর্দ্রতার জন্য প্রচুর পানি পান করা
• দিনে অন্তত দু’বার নরম ব্রাশ দিয়ে ফুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে হালকাভাবে দু-তিন মিনিট দাঁত ব্রাশ করা


দাঁতের উপকারী খাদ্যঃ
• যেসব খাদ্য চিবুতে হয় যেমনঃ ফল, শাকসবজি, শস্যকণা
• ঈধষপরঁস সমৃদ্ধ খাবারঃ দুধ, পনির, দধি ইত্যাদি
• ভিটামিন ডিঃ সামুদ্রিক মাছ, কলিজা, ডিমের কুসুম ইত্যাদি
• আঁশযুক্ত খাদ্য, ভিটামিন সিঃ আমলকী, লেবু, কমলা, টমেটো, পেয়ারা ইত্যাদি

দাঁতের অপকারী খাদ্যঃ
• মিষ্টি ও অন্যান্য আঠালো শর্করাজাতীয় খাদ্য
• প্রচুর পরিমাণে চিনিসমৃদ্ধ চা ও কফি, বিস্কুট, আইসক্রিম, পটেটো চিপস ইত্যাদি

সুস্থ দাঁতের জন্য করণীয়ঃ
• দু-তিন মাস পরপর নতুন টুথব্রাশ ব্যবহার করা
• নিয়মিত হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করা
• বছরে অন্তত দু’বার দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ইত্যাদি

মুখ বা মুখগহ্বরের সমস্যা হওয়া মাত্র অবহেলা না করে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করে নিলে বড় রকমের বিপদের হাত থেকে বাঁচা যায়

 আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।