Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Wednesday, June 25, 2014

ডায়বেটিস নিয়ে কিছু কথা!

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত একটি রোগের নাম – ডায়বেটিস। ডায়বেটিস হলো রক্তের উচ্চ গ্লুকোজ জনিত স্বাস্থ্য সমস্যা। তেল ছাড়া রেলগাড়ি নামের যন্ত্রটি চলে না। মানবদেহ এক ধরনের যন্ত্র। আর এই যন্ত্রের তেল হচ্ছে গ্লুকোজ নামের একটি পদার্থ। রেলগাড়ির তেল জ্বালাতে যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন, তেমনি আমাদের দেহের গ্লুকোজকে কাজে লাগাতে হলে ইনসুলিন নামের একটি পদার্থের প্রয়োজন। ইনসুলিনের কাজ হলো রক্ত থেকে গ্লুকোজের কণাগুলোকে টেনে এনে দেহের কোষে দেওয়া। এই ইনসুলিন তৈরি হয় অগ্ন্যাশয় থেকে। যখন অগ্ন্যাশয় যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা তৈরি হওয়া ইনসুলিন দেহ ঠিকমত ব্যবহার করতে না পারে তখনই রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর এর ফলে দেহে তৈরি হয় নানা অসামঞ্জস্য। এর নাম ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ।



ডায়াবেটিস রোগী যে খাদ্য গ্রহন করছে তা থেকে তৈরি হচ্ছে গ্লুকোজ। আর এই গ্লুকোজের সবটুকু তার দেহে ব্যবহার হচ্ছে না, অর্থাৎ তার রক্তে মিশে থাকছে অতিরিক্ত গ্লুকোজ । এতে করে তার রক্ত হয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘন। এই ঘন রক্ত চিকন চিকন রক্তনালীর মধ্য দিয়ে চলাচল করতে বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এবং তা আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিচ্ছে রক্ত চলাচলের পথ। আর যে পথে রক্ত পৌঁছাবে না সে পথে কোনো অক্সিজেনও পৌঁছায় না। ফলে অক্সিজেনের অভাবে শরীরের ভিতরকার কোষ বাঁচতে পারে না। তার মানে কতগুলো টিস্যুর নির্ঘাৎ মৃত্যু। এমন করে অঙ্গহানির পথে এগোবে শরীর যন্ত্র। অতিরিক্ত গ্লুকোজ মেশা ঘন রক্ত ছাকতে গিয়ে ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, একে একে সব অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু ঘনিয়ে আসবে অসম্ভব দ্রুতগতিতে।

ডায়বেটিস যে শুধু বয়স্ক ব্যাক্তিদের হয় তা নয়। শিশুদেরও হতে পারে ডায়বেটিস।ইদানীংকালে শারীরিক কর্মকাণ্ড (খেলাধুলা, ব্যায়াম ইত্যাদি) কমে যাওয়ার কারণে অনেক অল্পবয়সী শিশু-কিশোরদেরও ডায়বেটিস হচ্ছে। সুষম খাদ্য এবং ব্যায়াম চর্চার অভাবে ডায়বেটিস এ আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে ১৫ হাজারের বেশি শিশু ডায়বেটিস বা বহুমুত্র রোগে ভুগছে। ডায়বেটিসে আক্রান্ত একজন বয়সী ব্যক্তির মধ্যে যে ধরণের উপসর্গ দেখা দেয় তার সবই শিশুরোগীদের মধ্যেও দেখা দেয়।

ডায়বেটিস এর প্রকারভেদঃ
ডায়বেটিস ২ রকম।


টাইপ ১ ডায়বেটিসঃ 

খুব দ্রুত উপসর্গ দেখায় এবং খুব দ্রুত ডেভেলপ করে, সাধারণত সপ্তাহ দুই-তিনেকের মধ্যে। উপসর্গগুলো তাড়াতাড়ি চলেও যায় যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়।
টাইপ ২ ডায়বেটিসঃ 

খুব ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে, কয়েক বছর ধরে। কেবলমাত্র নিয়মিত মেডিক্যাল চেকআপ করানোর মাধ্যমেই তা ধরা পড়া সম্ভব। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখলে উপসর্গগুলো দূর করা সম্ভব।

উপসর্গঃ
প্রধান উপসর্গসমূহের মধ্যে যেগুলো সাধারণত দেখা যায়ঃ
- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া, বিশেষ করে রাতে।
- ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া।
- খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া।
- হঠাৎ করে দ্রুতহারে ওজন হ্রাস পাওয়া।
- শরীরের কোথাও কেটে ছিড়ে গেলে, খুব আস্তে ধীরে ক্ষত শুকানো।
- ঝাপসা দৃষ্টি।

আমাদের দেশেও প্রচুর ডায়বেটিস রোগী রয়েছে এবং দিন দিন তা বাড়ছে। আমাদের চারপাশে তাকালেই অনেক রোগী দেখতে পাই। যদিও রোগটি ব্যপক হারে বাড়ছে, কিন্তু এর প্রতি মানুষের সচেতনতা তেমন নেই বললেই চলে। অনেকে এই রোগ নিয়ে না জেনেই দিন পার করছেন এবং শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটাচ্ছেন। যদিও রোগটি সারাজীবনের তবুও একে নিয়ন্ত্রন করে সুস্থ্য সবল ভাবে বেঁচে থাকা যায় অনায়াসে। 


এই রোগ নিয়ে সকলের মনেই নানা প্রশ্ন আছে। আসুন আজ সেইসব প্রশ্নেরই উত্তর খুজি

প্রশ্নঃ ১ – কখন ডায়বেটিসের জন্য টেস্ট বা পরীক্ষা করানো উচিত? 

উত্তরঃ – যদি আপনার বার বার প্রস্রাব পায়, রাতে বেশ কয়েকবার উঠতে হয় প্রস্রাব করতে, হঠাত ওজন কমতে থাকে, হঠাৎ খিদে বেড়ে যায়, হাত-পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরে, বারবার নানা ধরনের ইনফেকশন হয়, কেটে গেলে ক্ষত না শুকোয়-এমন লক্ষন দেখা দিলে অবশ্যই ডায়বেটিস রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। এ ছাড়াও মোটা মানুষদের নিয়মিত ডায়বেটিসের পরীক্ষা করানো দরকার। পাশাপাশি বাবা-মা, ভাই-বোন অথবা পরিবারের রক্তের সম্পর্ক আছে এমন কারও যদি ডায়বেটিস থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই এই টেস্ট করানো উচিত। ৪৫ বছর বয়সের পর থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি তিন বছর অন্তর ডায়বেটিসের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

প্রশ্নঃ ২ – ফাস্টিং এবং পি পি সুগার কীভাবে টেস্ট করা উচিত? 

উত্তরঃ – ফাস্টিং সুগার টেস্ট করতে গেলে অন্তত ৮ ঘণ্টা কোনওরকম ক্যালরি নেওয়া চলবে না। তবে, শুধু পানি খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে পি পি সুগারের ক্ষেত্রে দিনের মেজর বা প্রধান মিলের পর টেস্ট করাতে হবে। যদি সকালে ভারী নাশতা করে দুপুরে হালকে টিফিন করার অভ্যাস থাকে, তাহলে নাশতার ২ ঘণ্টা পরে যে সুগার টেস্ট করা হবে, সেটাই পি পি সুগার। আর, যদি সকালে হালকা টিফিন করে দুপুরে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে তার ২ ঘণ্টা পরের টেস্টটা হবে পি পি সুগার। যদি ফাস্টিং সুগার টেস্ট বা খালি পেটে সুগারের পরিমাণ ৭ মিলি.মোল/লিটার এর বেশি থাকে এবং পি পি সুগার বা ভরা পেটে সুগারের পরিমাণ ১১.১ মিলি.মোল/লিটার এর বেশি থাকে, তাহলে আমরা ধরে নিই যে রোগীটি ডায়বেটিস মেলিটাস হয়েছে। এর পর থেকেই তাকে চিকিৎসার আওতায় চলে আসা উচিত।

প্রশ্নঃ ৩ – ডায়বেটিস থেকে কী কী জটিলতা শরীরে দেখা দিতে পারে? 

উত্তরঃ – সারা বিশ্বে কিডনি ফেলিওরের প্রধান কারণটাই হল ডায়বেটিস মেলিটাস। এমনকী আমাদের দেশে অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হল ডায়বেটিসের জন্য চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাওয়া। সুগারের জন্য শরীরের স্নায়ু, শিরা, ধমনী, প্রতিটি প্রত্যঙ্গেরই সমস্যা শুরু হয়। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেনের স্ট্রোক, নিউরোপ্যাথি-এই সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ ৪ – ডায়বেটিসের চিকিত্সা চলাকালীন কতদিন অন্তর রক্তপরীক্ষা করাতে হয়? 

উত্তরঃ – এখানে দিন বলে কোনও ব্যাপার নেই। ডায়বেটিসের বেশ কিছু কমপ্লিকেশনে অনেকসময় আমরা দিনে ৪-৫ বার পর্যন্ত টেস্ট করি। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনে বার দুয়েক টেস্ট করলেই চলে। যেটাকে আমরা ফাস্টিং এবং পি পি সুগার টেস্ট বলি। কতদিন পর পর টেস্ট করতে লাগবে, তা রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। কখনও ২-৩ দিন অন্তর, কখনও বা আবার ২-৩ মাস অন্তর পরীক্ষা করাতে লাগে।

প্রশ্নঃ ৫ – ডায়বেটিস বা সুগারের রোগ ধরলে সেটা কি কোনওদিন সারে? 

উত্তরঃ – এই প্রশ্নের জবাব সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’তে ঠিকঠাক দেওয়া যায় না। কারণ, এমন অনেক মোটা মানুষ রয়েছেন যাঁদের ডায়বেটিস ধরেছে, তাঁরা যদি ঠিকঠাক নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে নিজেদের আদর্শ দৈহিক ওজনের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন বা ৭-১০% ওজন কমাতে পারেন, তাহলে দেখা গেছে বেশ কিছু মানুষের ওষুধ বন্ধ করা গেছে।

প্রশ্নঃ ৬ – ডায়বেটিস হলে কি একজন মানুষের পছন্দের সব খাবার বন্ধ করে দিতে হয়? 

উত্তরঃ – না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। একজন সাধারণ মানুষের হেলদি ডায়েট বলতে যা বোঝায়, বেশিরভাগ ডায়বেটিস রোগীর ক্ষেত্রে সেটা খেলেই চলে। আমরা যেটা হিসেব করে দিই, তা হল প্রতিটি রোগীর বয়স, ওজন এবং সারাদিনে কী ধরনের দৈহিক কাজকর্ম করতে হয়, তার ওপর ভিত্তি করে গড়া।

প্রশ্নঃ ৭ – ডায়বেটিস হলে মিষ্টি, আলু, ভাত সবই খাওয়া চলে? 

উত্তরঃ – হ্যাঁ। আমরা হিসেব করে টোটাল ক্যালোরি ইনটেকের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা দিতে পারি। এর মানে এই নয় যে, মিষ্টি, আলু, ভাত এইসব খাওয়া যাবে না। ন’মাসে-ছ’মাসে এক আধটা মিষ্টি খাওয়াই যায়, যদি রোগীর ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। আমরা সাধারণত ‘ব্ল্যাঙ্ক ক্যালরি’ বা খুব তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয় এমন ধরনের খাবার খেতে নিষেধ করি। যেমন-চিনি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, চকোলেট ইত্যাদি। কারণ, এগুলো চট করে ক্যালরি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু, যদি কেউ একটা মিষ্টি খেয়ে সারাদিন সেই পরিমান ক্যালরি পরিশ্রম করে ঝরিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে ন’মালে-ছ’মাসে একটা মিষ্টি খাওয়া যেতেই পারে।

প্রশ্নঃ ৮ – ডায়বেটিস থেকে কী কী জটিলতা শরীরে দেখা দিতে পারে? 

উত্তরঃ – সারা বিশ্বে কিডনি ফেলিওরের প্রধান কারণটাই হল ডায়বেটিস মেলিটাস। এমনকী আমাদের দেশে অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হল ডায়বেটিসের জন্য চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাওয়া। সুগারের জন্য শরীরের স্নায়ু, শিরা, ধমনী, প্রতিটি প্রত্যঙ্গেরই সমস্যা শুরু হয়। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেনের স্ট্রোক, নিউরোপ্যাথি-এই সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ডায়বেটিস প্রতিরোধে আমাদের করনীয় কিঃ

ডায়বেটিস হবার সম্ভবনা কাদের বেশীঃ
যাদের বংশে ডায়বেটিস রোগ আছে তাদের টাইপ ১ ডায়বেটিস হবার সম্ভবনা বেশী। এছাড়া টাইপ ২ ডায়বেটিস হবার সম্ভবনা বেশী হয় বয়সের সাথে – বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডায়বেটিসের সম্ভবনা বেশী হয়।
 
এশিয়ান এবং আফ্রিকানদের ডায়বেটিসের সম্ভবনা বেশী। 
একজন মা যখন বেশী ওজনের সন্তান গর্ভে ধারন করেন তখন তার ডায়বেটিসের
সম্ভবনা বেশী

ওজন বেশী যেমন পুরুষের কোমড়ের মাপ ৩৫ ইন্চির বেশী এবং মহিলাদের ৪০ ইন্চির
বেশী হলে ডায়বেটিসের সম্ভবনা বেশী দেখা যায়।
 
অলস জীবনযাপন করলে ডায়বেটিসের সম্ভবনা বেশী থাকে।


প্রতিরোধঃ 
কিছু কিছু নিয়ম পালন করলে ডায়বেটিস থেকে সাবধানে থাকা যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র কয়েকটি সহজ উপায় চর্চা করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো যায় ৮০ শতাংশ।স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড (বার্গার, স্যান্ডউইচ, পিজা, শর্মা, চিপস, ফ্রেঞ্চফ্রাইজ ইত্যাদি), কোমল পানীয় এবং চকলেটসহ যেকোনো মিষ্টি খাবারেই ডায়বেটিসের ঝুঁকি বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এগুলো থেকে আপনার সন্তানকে দূরে রাখুন এবং তাদের এসব খেতে নিরুৎসাহিত করুন, সহজ ভাষায় এর অপকারিতা বর্ণনা করুন। ঘরের খাবার খাওয়ার অভ্যেস করুন। এবং প্রতিদিনের খাবারের চার্টে প্রচুর ফল ও শাকসবজি রাখুন। প্রতিদিন নির্দ্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

নিজে নিয়ম করে দিনে অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন, সাথে আপনার সন্তানকেও বলুন আপনার সাথে যোগ দিতে। আপনার উৎসাহই পারে তাদের সুস্থ রাখতে। 
স্বাভাবিক দেহ ওজন বজায় রাখা (বি এম আই ১৮.৫- ২৪.৯ এর মধ্যে রাখা)। স্বাভাবিক ওজনের পুরুষের ৭০ শতাংশ ঝুকি কম থাকে এবং স্বাভাবিক ওজনের নারীদের ডায়াবেটিস হওয়ার অশঙ্কা ৭৮ শতাংশ কম। 
ধূমপান করে থাকলে বর্জন করুন এবং মদ্যপান পরিহার করুন। 
বাসায় একটি ডায়বেটিস পরিমাপের যন্ত্র কিনে নিতে পারেন, যাকে ইংরেজিতে বলে গ্লুকোমিটার। ইদানীং বাজারে সস্তায় এগুলো পাওয়া যায়। নিয়ম করে, মাসে অন্তত একবার পরিবারের সবার ডায়বেটিস পরীক্ষা করুন।

অনেক ডায়বেটিস রোগীকেই দেখা যায় নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন নিতে। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে অবশ্যই ইনসুলিন নেবেন না! পুণরায় বলছি, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে অবশ্যই ইনসুলিন নেবেন না! যাদের ইতোমধ্যে ডায়বেটিস আছে, এবং যারা প্রেস্ক্রাইবড ইনসুলিন নিচ্ছেন, তারা দীর্ঘসময় ধরে খালি পেটে থাকবেন না। এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজ খুব বেশি কমে যাওয়া) হয়ে যেতে পারে যার ফলাফল খুব একটা সুখকর নয়। 


এই গাইড লাইন গুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বেশ ফলপ্রসূ হয়। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন, সুস্থ থাকুন। 
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, June 24, 2014

তামার পাত্রে পানি পানের সুফল!

তামার পাত্র নামটি এখন প্রায় গল্পের মতো শোনায়। আমরা অনেকেই দাদা-নানার কাছে গল্প শুনেছি তামা- কাশার ব্যবহারের কথাএখনও অনেকেরই বাসায় antique হিসেবে এগুলো রাখা হয়


এখন এগুলোর ব্যবহার নাইবললেই চলে, তবে আগে এমন একটা সময় ছিল যখন বিয়ে, মুসলমানি, জন্মদিনের মতো বিভিন্ন অনুষ্টানে বেশীরভাগ সময় তামার তৈরী মগ, থালা, কলসি ইত্যাদি উপহার হিসেবে ব্যবহৃত হতো  বর্তমানে এগুলোর ব্যবহার না থাকলেও এই ধরনের পাত্রে পানি পান করার রয়েছে কিছু স্বাস্থ্য সম্মত উপকারিতা

তামার পাত্রে রাখা পানির অনেক গুণ।  তামা একটি মিনারেল (খনিজ)তার সমস্ত বৈশিষ্ট দিয়ে পানিকে পুরো মাত্রায় বিশুদ্ধ করে দেয়পানির গুণাগুণ অনেক মাত্রায় বেড়ে যায়তবে এই পানির সুফল পেতে গেলে একটি তামার পাত্রে পানি ধরে রাখতে হবে কম করে আট ঘন্টা

উপকারিতাঃ
ব্যকটেরিয়া দমনে সাহায্য করেঃ
তামা প্রকৃতিতে oligodynamic হিসেবে পরিচিত, এবং খুব কার্যকর ভাবে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারেসাধারণ ভাবে আমাদের পরিবেশ পাওয়া যায় এবং মানুষের শরীরে গুরুতর অসুস্থতার কারণ পরিচিত যে দুটি ব্যাকটেরিয়া তা হলো E.coli এবং S.aureus । এই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করেএছাড়াও ডায়রিয়া, আমাশায় এবং জন্ডিসের মত সাধারণ পানি বাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে

মস্তিস্কের উদ্দীপকের কাজ করেঃ
আমাদের মস্তিষ্কের synapses নামে পরিচিত একটি এলাকা যা এক মাধ্যমে থেকে অন্য এক মাধ্যমে স্নায়ুর impulses প্রেরণে কাজ করেতামা মাইলিন sheaths গঠনের জন্য অপরিহার্য ফসফোলিপিড সংশ্লেষণ সহায়তা করে, যার ফলে, আরো দক্ষতার সঙ্গে মস্তিষ্ক কাজ অনেক দ্রুত করে

ত্বকের স্বাস্থ্য এবং মেলানিন গঠনেঃ
ত্বকের জন্য এবং মেলানিনের উৎপাদনের প্রধান উপাদান হলো তামাতামার পাত্রে পানি পান করলে এটি মেলানিনের গঠনে সাহায্য করে

হজমের উন্নতি করে:
তামায় ক্ষতিকারক ব্যকটেরিয়া দমনের জন্য peristalsis নামক উদ্দিপক রয়েছে যা পেটের প্রদাহ এবং আলসার সহ পেঠের বিভিন্ন ধরনের অসুখের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ।]


Sunday, June 15, 2014

আসছে রমজানে কখন কি খাবেন?

আসছে সিয়াম সাধনার মাস রমজানরমজানে খাবারের নিয়ম-কানুন সব পাল্টে যায়কেউ কেউ ইফতারিতে এতো বেশী পরিমানে খাবার খায় যে সন্ধ্যারাতে বা সেহরীতে ঠিকমত খেতে পারে নাআসুন জেনে নেই কি রকম হতে পারে ইফতারিতে খাবার, সন্ধ্যারাতে খাবার ও সেহরীর খাবার



ইফতারির খাবারঃ
শরবত বা ডাবের পানি, কাঁচা ছোলা, কম তেলে ভাজা ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি অথবা আলুর চপ বা যেকোনো একটি তেলে ভাজা মুড়ি অথবা চিড়া এবং ফলযেদিন হালিম অথবা খিচুড়ি খাওয়া হবে সেদিন বেসনের বা ডালের তৈরি ভাজা খাবার এবং মুড়ি বা চিড়া বাদ দিতে পারেনআবার নুডলস অথবা ফ্রাইড রাইস খেলেও মুড়ি অথবা চিড়া বাদ দিতে হবেইফতারির কাঁচা ছোলার সঙ্গে আদা কুচি, লবণ ও পুদিনা পাতা কুচি দিয়ে খাওয়া যায়এটা হজমে যেমন সহায়ক, তেমনি ভিটামিন ও খনিজ লবণের ঘাটতি এতে দূর হবেরমজানের সময় ইফতারিতে খেজুর একটি বিশেষ উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছেপ্রতিদিন অন্যান্য খাবারের সঙ্গে একটি বা দুটির বেশি খেজুর খাওয়ার তেমন প্রয়োজন নেইকারণ, এতে ক্যালরি ও শকর্রার পরিমাণ বেশি থাকেযদিও পর্যাপ্ত লৌহ খেজুর থেকে পাওয়া সম্ভব

সন্ধ্যারাতের খাবারঃ
রোজার সময় সন্ধ্যারাতের খাবারের গুরুত্ব তেমন থাকে নাতারপরও কেউ যদি খেতে চান তাহলেযেহেতু ইফতারিতে ডালের তৈরি খাবার বেশি হয়, সেহেতু এ সময় ডাল বাদ দেওয়া যেতে পারেএ সময় হালকা মসলায় রান্না করা মাছ ও সবজি থাকলে ভালো হয়ইফতার ও সেহরীতে অনেক সময় সবজি খাওয়াটা বাদ পড়ে যায়অনেকেই রমজানে সবজি একেবারেই পছন্দ করেন নাতাঁদের জন্য সন্ধ্যারাতেই সবজি খাওয়ার উপযুক্ত সময়এ রাতে খাবারে ছোট মাছও রাখা যেতে পারেসেহেরীর সময় কাঁটা বেছে মাছ খেতে অনেকেই বিরক্ত বোধ করেন

সেহেরীর খাবারঃ
সেহেরীর খাবার গ্রহণ করার অবশ্যই একটি স্বাস্থ্যগত দিক রয়েছেকারণ, যদি সেহেরীতে খাবার না খান তাহলে অবশ্যই দুর্বল হয়ে পড়বেনএতে ক্যালরির ঘাটতি দেখা দেবেফলে এক মাস রোজা রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবেসেহেরির সময় না খেলে আমাদের দেহের বিপাকক্রিয়ায় বেশ পরিবর্তন আসতে পারেএতে গ্লুকোজ ক্ষয় বেশি হয় বলে ক্লান্তি আসেসেহেরীতে ভাতই খেতে হবে এমন কোনো কথা নেইরুচি অনুযায়ী রুটি, পরাটা, দুধ, সেমাই ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারেএ সময় মাংস ও ডিম খাওয়া সুবিধাজনকএই সময়টাতে ঘন ডাল খাওয়া যেতে পারেএ ছাড়া ছোট-বড় সবার জন্যই এক কাপ দুধ খাওয়া উচিতকারণ, খাবারে চাহিদামতো প্রোটিন বা আমিষ না থাকলে উপবাসের সময় শক্তির ঘাটতি দেখা দেবে

মোট কথা অন্যান্য দিনে যার যতটুকু ক্যালরির চাহিদা থাকে, ততটুকু ক্যালরি রমজানের তিন বেলা আহারে গ্রহণ করতে হবেএর বেশিও নয়, আবার কমও নয়রোজার সময় প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেই মেন্যু ঠিক করা উচিততবে আমার কথা এই যে কিছুদিন আগে পর্যন্তও দেখা যেত যে যেকোনো অসুস্থতায় অনেকেই রোজা রাখাকে আতঙ্কজনক বলে ভাবতেনবর্তমানে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের উপদেশ, আশ্বাস ও সহযোগিতার ফলে অসুস্থতা নিয়েও অনেকে নির্বিঘ্নে রোজা রাখতে পারছেন

রোগীদের জন্য:
ডায়াবেটিস থাকলে চিনি-মিষ্টি-গুড়-মধু শরবত কিংবা অন্যান্য খাবার থেকে মিষ্টি বাদ দিতে হবেপেপটিক আলসারের রোগী হলে ডুবো তেলে ভাজা এবং ঝাল খাবার বাদ দিতে হবেতাঁরা খেতে পারেন চিড়া, কলা, চিড়া-দই, মুগের ডালের নরম খিচুড়ি, নুডুলস ইত্যাদি

রক্তে কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেশি থাকলে ইফতারিতে তেঁতুল ও রসুনের চাটনি খাওয়া যেতে পারেযদি কোনো কারণে ডাল খাওয়া নিয়েও সমস্যা থাকে, তাহলে ইফতারিতে চালের গুঁড়া বা ময়দার বড়া এবং চিড়া, দই, নুডুলস, ফ্রায়েড রাইস খাওয়া যেতে পারে

ওজন বেশি থাকলে তেলের পরিমাণ কমাতে হবে এবং সম্পূর্ণ খাবার থেকে ক্যালরি কমাতে হবেএদিকে যাদের ওজন কম তাদের জন্য ইফতারিই আদর্শ খাবার

সবশেষে বলা যায়, রমজান মাসে যে খাবারই গ্রহণ করুন না কেন, তা যেন সহজপাচ্য ও সীমিত হয়কারণ, এ সময় অতিরিক্ত খাবার দেহের রাসায়নিক উপাদানের মধ্যে সূক্ষ্মভাবে পরিবর্তন আনে, ফলে রক্তের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়এতে শারীরিক দুর্বলতা অনুভূত হয়অর্থাৎ বেশি খাবার খেয়েও কোনো লাভ হয় নাএমনভাবে খেতে হবে যাতে এক মাস রোজা রাখা সম্ভব হয়

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্যধন্যবাদ।]

Saturday, June 14, 2014

রমজানে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়!

সাধারনত রোজা আসলেই ডায়াবেটিসে আক্রন্ত রোগীরা চিন্তায় পড়ে যান, রোজা রাখবেন কি  রাখবেন না
ডায়াবেটিসের রোগীরা আজ থেকে সব দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চলবেনপবিত্র রমজানে স্বাভাবিক ভাবেই পরির্বতন হবে ওষুধ বা ইনসুলিন নেয়ার মাত্রা ও সময়সূচিএ সময় আপনার শরীরের ক্যালরি এবং ওষুধের মধ্যে সামঞ্জস্যহীনতা দেখা দিতে পারেসেজন্য আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে আবার কমে যেতে পারে। 

তাই রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য ডায়াবেটিসের রোগীদের দরকার পূর্ব-প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণরমজান মাসে খাদ্য গ্রহণ, ব্যায়াম ও ওষুধের পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন ও আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছেতার ওপর ভিত্তি করে একজন রোগী তাঁর রক্তে শর্করার পরিমাণ ও ডায়াবেটিস জনিত জটিলতা ইত্যাদি বিবেচনা করে নতুন নিয়মসূচির জন্য আগে থেকেই পরামর্শ করে নেবেন

রমজানে প্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেক নর-নারীর জন্য রোজা রাখা ফরজপ্রায় ৮০% টাইপ-২, ডায়াবেটিস রোগী এবং ৪০% টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগী রমজান রোজা রাখে

রমজান-চন্দ্রমাস হওয়াতে ২৯ বা ৩০ দিনে হয়ভৌগোলিক অবস্থান এবং ঋতু ভেদে কমে বেশি প্রায় ১৬ ঘন্টা রোজা রাখতে হয়

রোজা রাখলে শরীরে কি হয়?
খাবার খেলে অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়যা লিভার এবং মাংসপেশীতে গস্নুকোজকে গস্নাইকোজেন হিসেবে জমা করেরোজার সময় রক্তের গস্নুকোজের মাত্রা কমতে থাকেযার কারণে ইনসুলিন নিঃসরণ কমে যায়একই সময়ে গস্নুকাগন এবং কেটে-কোলামিন বেড়ে যায় যা গস্নুকোনিউজনিসের মাধ্যমে এবং গস্নাইকোজেন ভেঙ্গে গস্নুকোজের চাহিদা মিটায়দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকলে গস্নাইকোজেন শেষ হয়ে যায় আর ইনসুলিনের মাত্রা কম থাকার কারণে এডিপোসাইট থেকে ফ্যাটি এসিড নিঃসরণ বেড়ে যায়মাংশপেশী, হ্নদপিন্ড, লিভার, কিডনি এবং এডিপোস টিসু ফ্লাটি এসিডকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে সাথে কিটোন তৈরি করে

টাইপ-১ ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রে হাইপোগস্নাইইসেমিয়া প্রতিরোধে গস্নুকাগন নিঃসরণ চাহিদামত হয় নাইনসুলিনের খুব বেশি ঘাটিত থাকলে সাথে দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকলে গস্নাইকোজেন বেশি পরিমাণে ভাঙ্গেগস্নুকোনিউজেনেসিস এবং কিটোজেনেসিস বেড়ে যায়যার কারণে হাইপার গস্নাইসিমিয়া এবং কিটো এসিডোসিস হয়

টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীর ক্ষেত্রেও দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকলে একই ধরনের সমস্যা হতে পারে
রোজার কারণে ডায়াবেটিক রোগীর যে ধরনের সমস্যা হতে পারে-
হাইপো গস্নাইসেমিয়া
হাইপার গস্নাইসেমিয়া
ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস
পানি শূন্যতা এবং থ্রম্বসিস

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে রমজান মাসে ডায়াবেটিক রোগীর হাইপো গস্নাইসোমিয়ার মাত্রা টাইপ-১ রোগীর ক্ষেত্রে ৪.৭ গুণটাইপ-২ রোগীর ক্ষেত্রে ৭.৫ গুণ বেড়ে যায়আর হাইপার গস্নাইসেমিয়া টাইপ-২ রোগীর ক্ষেত্রে ৫ গুণ এবং টাইপ-১ রোগীর ক্ষেত্রে ৩ গুণ বেড়ে যায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকাই পানিশূন্যতার মূল কারণগরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া এবং কঠোর পরিশ্রম সাথে হাইপোরগস্নাইসেমিয়ায় অতিরিক্ত প্রশ্রাবের কারণে পানি শূন্যতা এবং ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ কমে যেতে পারেবস্নাড পেশার কমে গিয়ে অজ্ঞান হওয়া, পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া, হাড় ভেঙ্গে যাওয়া বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে

চিকিৎসাঃ
ধর্মীয় অনুভূতি এবং ডায়াবেটিস জনিত জটিলতার কথা বিবেচনায় রেখে রোগী নিজেই সিদ্ধান্ত নিবেন রোজা রাখবেন কিনা তবে জটিলতার ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে বিস্তারিত আলোচনা অতীব জরুরিরোজার কারণে যে সমস্ত রোগী ঝুঁকিপূর্ণ তাদের বিবরণ নিম্নে দেওয়া হলো-

যারা খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণঃ
 রমজানের পূর্বে বিগত ৩ মাসের মধ্যে খুব বেশি হাইপোগস্নাইসেমিয়া হয়েছিল
 যাদের বার বার হাইপো গস্নাইসেমিয়া হয়
 যারা হাইপোগস্নাইসেমিয়া বুঝতে পারে না
 যাদের দীর্ঘদিন ঘরে অনিয়মিত ডায়াবেটিস
 বিগত ৩ মাসের মধ্যে (রমজানের পূর্বে) যাদের কিটোএসিডোসিস হয়েছিল
 যারা টাইপ-১ ডায়াবেটিক রোগী
 যাদের অন্যান্য অসুস্থতার মাত্রা অধিক
 যারা বিগত ৩ মাসের মধ্যে ডায়াবেবিস বাড়ার কারণে অজ্ঞান হয়েছিল
 যারা অধিক পরিমাণে পরিশ্রম করে
 গর্ভাবস্থা
 যারা ডায়ালাইসিসের রোগী

বেশি ঝুঁকি পূর্ণঃ
 যাদের ডায়াবেটিস ৮.৩-১৬.৭ মিলিমোল/ লিটার এর মধ্যে এবং এইচবিএ, সি ৭. ৫-৯% এর মধ্যে
 যাদের কিডনিতে সমস্যা (রেনাল ইনসাফিসিয়েন্সি) আছে
 যাদের অর্ধাঙ্গ, পক্ষাঘাত অথবা এমআই, আইএইচডি ইত্যাদি আছে
 যারা একা থাকেন এবং ইনসুলিন নেয় বা গিস্নবেন ক্লামাইড/ গিস্নকাজাইড ইত্যাদি ওষুধ সেবন করেন
 যারা একা থাকেন
 যাদের অন্যান্য জটিলতা আছে
 যাদের বয়স বেশি ও স্বাস্থ্য খারাপ

কম ঝুঁকিপূর্ণঃ
 যাদের খাদ্য নিয়ন্ত্রণেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে অথবা মেটফরমিন বা পাইওগিস্নটাজন জাতীয় ওষুধে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ
 রমজান মাসে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং ডায়াবেটিস জনিত জটিলতার ব্যবস্থাপত্র রোগীভেদে বিভিন্নরকম
 যে সব রোগী খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রক্তে গস্নুকোজের মাত্রা দিনে ২/৩ বার করে পরিমাণ করতে হয়
 পুষ্টিঃ ৫০-৬০% ডায়াবেটিসের রোগীর রমজান মাসে শরীরের ওজন অপরিবর্তিত থাকে২০-২৫% রোগীর হয় ওজন বাড়ে না হয় ওজন কমে, মাঝে মাঝে ৩ কেজির বেশি ওজন কমে যায়। 

সাধারণতঃ ইফতারির সময় জটিল শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার রোগীরা বেশি খেয়ে থাকে, তা পরিত্যাগ করা উচিতকারণ এইসব খাবার পরিপাক হতে অনেক সময় লেগে যায়তাই জটিল শর্করা জাতীয় খাবার সেহেরীর সময় এবং অধিকতর সরল শর্করা জাতীয় খাবার ইফতারিতে খাওয়াই ভালইফতারি থেকে সেহরি পর্যন্ত সময়ে বেশি পরিমাণ পানি/পানি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিতসেহরির খাবার শেষ সময়ের একটু পূর্বে খাওয়াই ভাল

ব্যায়ামঃ
 সাধারণত কায়িক পরিশ্রম করা যায়অতিরিক্ত পরিশ্রম করলে হাইপোগস্নাইসেমিয়ার ঝুকি বেড়ে যায়তাই পরিহার করতে হবেবিশেষ করে বিকেল বেলা বিশ্রামে থাকা উচিততারাবির নামাজ ব্যয়ামাকের বিকল্প হিসেবে কাজ করেটাইপ-১ রোগী ডায়াবেটিস বেশি থাকাবস্থায় ব্যয়াম করলে ডায়াবেটিস আরো বেড়ে যেতে পারে
 টাইপ-২ রোগীর জন্যঃ যে সব রোগীর ডায়াবেটিস পরিমিত খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামের নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আছে, তাদের রোজার নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা মেনে চলা উচিত যা ডায়াবেটিক হাসপাতালে পাওয়া যায়নিয়মিত ব্যায়াম ইফতারীর ২ ঘন্টা পর করা উচিত 
 গর্ভবতী ডায়াবেটিক মায়ের রোজার সময় নানা জটিলতা দেখা দেয় তাই রোজা না খারাই ভালরোজার সময় পানি শূন্যতা, রক্তের আয়তন কমে গিয়ে হাইপো টেনশন হতে পারেতাই প্রেসারের ওষুধগুলো মাত্রা পুনঃনির্ধারন জরুরি, কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার রক্তে চর্বি থাক বা না থাক ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সর্বদা বর্জন করা উচিত


আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্যধন্যবাদ