Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Tuesday, October 28, 2014

পানিতে ডোবা!

নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ৷ আমাদের দেশের চারিদিকে রয়েছে প্রচুর নদী-খাল-পুকুর৷ আমাদের দেশের বাচ্চারা এবং বড়রাও অনেক সময় অসাবধানতার কারণে মারা যায় পানিতে ডুবে৷ এই পানিতে ডোবা তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায় বর্ষাকালে৷ একটু সতর্কতা অবলম্বন করলে পানিতে ডুবে মৃতু্যর হার বহুলাংশে কমানো সম্ভব৷ পানিতে ডুবে যাওয়ার পরে নাক-মুখ দিয়ে পানি ফুসফুসে প্রবেশ করার ফলে রোগীর শ্বাসরোধ হয়ে আসে আর প্রচুর পানি খেয়ে পেট ফুলে যায়৷ ২-৩ মিনিট মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে ক্ষতি হয় এবং ৪-৬ মিনিট শ্বাস বন্ধ থাকলে সাধারণত মৃতু্য ঘটে৷

লক্ষণঃ

 রোগী আংশিক বা পুরোপুরিভাবে জ্ঞান হারাতে পারে৷ জ্ঞান ফিরে এলে রোগী অস্থির হয়ে যেতে পারে৷
 ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে শ্বাসক্রিয়া বেড়ে গেছে, শ্বাসক্রিয়া চলাচলে ঘড়ঘড় শব্দ হয়৷ মাঝে মাঝে শ্বাসকার্য বন্ধ হয়ে আসে৷
 মুখমণ্ডল নীলাভ হয়ে যায়৷ মুখ দিয়ে বা নাক দিয়ে ফেনা বের হতে পারে৷ সাধারণত বমি হয়ে থাকে৷
 শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে৷
 নাড়ী দ্রুত ও দুর্বল চলে এবং কখনো কখনো অনিয়মিত হতে পারে৷

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
 যদি কেউ পানিতে ডুবে যায় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডুবন্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে হবে৷ তবে পানিতে ডোবা রোগীকে উদ্ধারের জন্য পারদর্শী লোকের প্রয়োজন৷ নতুবা উদ্ধারকারীর জীবন বিপন্ন হতে পারে৷
 যার শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে তাকে পানি থেকে তোলার আগেই (যদি সম্ভব হয়) নাক ও মুখে কিছু থাকলে তা দ্রুত আঙুল দিয়ে পরিষ্কার করে মুখে মুখ রেখে শ্বাস দিতে হবে৷
 যদি মুখে মুখে শ্বাসক্রিয়া চালু না করা যায় অর্থাত্‌ বাতাস যদি ফুসফুসে প্রবেশ না করে তবে বুঝতে হবে শ্বাসনালী ও ফুসফুস সম্পূর্ণ পানিতে ভর্তি৷ সে অবস্থায় রোগীকে ডাঙ্গায় তুলে এনে ফুসফুস থেকে পানি বের করতে হবে৷ প্রথমে রোগীকে উপুড় করে শুইয়ে দিতে হবে৷ তারপর পেট ধরে উচু করতে হবে যাতে মাথা, বুক নিচের দিকে থাকে৷ পিঠে আস্তে আস্তে চাপড় দিতে হবে৷ এতে পাকস্থলী, শ্বাসনালী ও ফুসফুসের পানি বের হয়ে আসবে৷ পানি বের করার জন্য বেশি সময় নেয়া যাবে না৷ তারপর কৃত্রিম পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস আরম্ভ হয়৷
 সম্ভব হলে  ভেজা কাপড় খুলে দিতে হবে৷ হাত-পা ঠাণ্ডা হলে ম্যাসেজ বা গরম সেঁক দিতে হবে৷
 রোগীকে আরামে শুইয়ে রাখতে হবে, পায়ের দিক কিছু ওপরে ও মাথা কিছু নিচের দিকে রাখলে ভালো হয়৷
 অবস্থা ভালো থাকলে কুসুম গরম দুধ, চা ইত্যাদি খেতে দেয়া যায়৷

✬ অবস্থা ভালো না হলে নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যেতে হবে৷ প্রয়োজনে অক্সিজেন দিতে হবে৷

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, October 27, 2014

বার বার মুখ ধোয়া ঠিক নয়!

রোদের তাপে চামড়া পুড়ে যায় যায় অবস্থা। আর এসময় অনেকেই বিশেষ করে ত্বক সচেতন কারীরা বার বার মুখ ধুয়ে থাকেন। কিন্তু বারবার মুখ ধুলে ময়লা হয়তো পরিষ্কার হবে, সেই সঙ্গে ত্বকের ময়েশ্চারও চলে যাবে অতি দ্রুত। ফলে ত্বক হয়ে পড়বে রুক্ষ ও শুষ্ক।


আসুন জেনে নেওয়া যাক দিনে কতো বার মুখ ধোয়া উচিত?

সারাদিনে কমপক্ষে ৩ বার থেকে সর্বোচ্চ ৫ বার পর্যন্ত মুখ ধোয়া যায়। বাংলাদেশের পরিবেশ ও আবহাওয়ার বিবেচনায় সারাদিনে ৫ বার পর্যন্ত মুখ ধোয়া যেতে পারে। তবে শীত প্রধান দেশে সর্বোচ্চ দুই বার মুখ ধোয়া যাবে।

★ প্রথমবার মুখ ধুতে হবে দিনের শুরুতেই। ঘুম থেকে উঠে অনেকেই গোসল সেরে নেন। সারাদিন সতেজ থাকার এটাই সব থেকে ভাল উপায়। এতে মুখের ত্বকটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে। আর যদি কোন কারণে গোসল করা সম্ভব না হয় তবে ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখ ধোয়ার জন্য অবশ্যই ঘরে বানানো ফেসপ্যাক বা ভাল ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।

★ রাতে শোবার আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তারপর অবশ্যই ভাল একটি ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা জেল লাগিয়ে নিন মুখে। এতে সারা রাত আপনার তকের আদ্রর্তা বজায় থাকবে ও সকালে যখন আপনি উঠবেন তখন আপনার ত্বক নরম ও কোমল অনুভব করবেন।

★ সারাদিন বাইরে কাটিয়ে আসার পরে বাসায় এসেই ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এ সময় চাইলে সহজে তৈরি করা যায় এমন ফেস প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিন। যতক্ষণ এই প্যাক মুখে থাকবে ততক্ষণ বিশ্রামটাও হয়ে যায়। এতে একদিকে যেমন আপনার ত্বক থেকে জমে থাকা ময়লা বের হয়ে যাবে, তেমনি সারাদিনের ক্লান্তি কাটিয়ে উঠে শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ফেসপ্যাক তুলে ফেলার পরে মুখ ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।

★ এছাড়াও বাকি দুয়েকবার নিজের চাহিদা ও সময় অনুযায়ী ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া যেতে পারে। কোনও নিমন্ত্রণের আগে বা অফিসের মাঝে দরকার মনে করলে মুখ ধুয়ে নেওয়া যায়। বিকালেও একবার মুখ ধোয়া যেতেই পারে।

আর যারা ব্যায়াম করেন, তারা ব্যায়ামের পর অবশ্যই একবার মুখ ধুয়ে নিবেন। আবার রান্নার কাজ শেষে অতি অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে মুখ।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, October 18, 2014

ঘুম সংক্রান্ত যে কাজগুলো আপনার জন্য মারাত্মক খারাপ !

আমরা একেকজন একেক ভঙ্গিমায় শুয়ে ঘুমিয়ে থাকি। বাঁকা হয়ে, কুঁজো হয়ে, গুটিসুটি মেরে, পাশ ফিরে বা কখনো উপুড় হয়ে ঘুমিয়ে থাকি আমরা। আমাদের ঘুমের স্থানও নির্দিষ্ট নয়। আমরা শুধু বিছানাতেই ঘুমুতে যাই না। আমরা কখনো টিভি দেখতে দেখতে সোফায় শুয়ে পড়ি বা কাজ করতে করতে মেঝেতেও ঘুমিয়ে যাই।


কিন্তু এই কাজগুলো কি আদৌ ঠিক? বিজ্ঞানী এবং হেলথ এক্সপার্টদের মতে এইসব প্রাত্যহিক কাজে কর্মে সামান্য উনিশ বিশ হলেই আমাদের বেশ বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে থাকে। বেশির ভাগ মেরুদণ্ড ও পেশি জনিত ব্যথার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের শোয়া-বসা সহ দৈনন্দিন কাজ কর্ম সংক্রান্ত কিছু বাজে অভ্যাস। এই অভ্যাসগুলো দূর করতে পারলে আমাদের মেরুদণ্ড, হাড় এবং পেশি জনিত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

চলুন তবে দেখে নিই এমনই কিছু বাজে অভ্যাস ও এর প্রতিকার!

(১) নরম তুলতুলে বিছানায় ঘুমুতে সকলেই পছন্দ করেন। কিন্তু ঘুমানোর জন্য মোটামুটি শক্ত বিছানা বা গদিই ভালো। বেশি নরম তুলতুলে বিছানায় ঘুমালে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক ‘কার্ভ’ বা বক্রতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাদের পিঠে ও ঘাড়ে ব্যথা রয়েছে তারা গদির নিচে শক্ত কার্ডবোর্ড ব্যবহার করুন।

(২) অনেকেই দুই তিনটি বালিশ মাথার নিচে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু এটি একেবারেই উচিৎ নয়। বালিশের পুরুত্ব হতে হবে স্বাভাবিক। খুব মোটা নয় আবার খুব পাতলাও নয়। বালিশের সঠিক পুরুত্ব বুঝতে চাইলে বালিশে মাথা দিয়ে পাশ ফিরে শোবেন, দেখুন মুখটা বিছানার সঙ্গে সোজা বা সমান্তরাল আছে, নাকি উঁচু বা বেশি নিচু হয়ে গেছে। যদি দেখেন সমান্তরালে রয়েছে তবে বুঝবেন বালিশের পুরুত্ব সঠিক, নতুবা নয়।

(৩) চিত হয়ে ঘুমানো মেরুদণ্ডের জন্য ভালো। কিন্তু চিত হয়ে শোবার কারণে অনেকের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে এবং নাক ডাকার অভ্যাস তৈরি হয়, বিশেষ করে মোটা মানুষদের। তাই চিত হয়ে ঘুমানো মেরুদণ্ডের জন্য ভালো হলেও নিঃশ্বাসের সমস্যার কারণে তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

(৪) ডান পাশ ফিরে শোবার ফলে পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে ও গলা জ্বলে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই শোবার সময় বেশি সময় বা শুরুতেই ডান দিকে শুয়ে ঘুমানো উচিৎ নয়। বাম পাশ ফিরে ঘুমান।

(৫) যারা একপাশে ফিরে ঘুমাতে অভ্যস্ত, তারা দুই হাঁটুর মাঝে একটি কোল বালিশ অবশ্যই নেবেন। এতে করে দেহ বিছানার সাথে সমান্তরালে থাকবে।

(৬) অনেকেই পেটের ওপর ভোর দিয়ে উপুড় হয়ে ঘুমান। এটি অনেক খারাপ মেরুদণ্ড ও স্নায়ুরজ্জুর জন্য। ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার মূল কারণ এটি। এছাড়াও উপুড় হয়ে ঘুমালে পাকস্থলীর ওপর চাপ সৃষ্টি হয় যা পাকস্থলীর স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

(৭) ঘুমানোর জন্য সব সময় আপনার বেডরুম, বিছানা ও বালিশ ব্যবহার করাই ভালো। সোফায়, মেঝেতে বা যেখানে- সেখানে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়া স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এতে করে মেরুদণ্ড ও ঘাড়ের পেশিতে সমস্যা দেখা দেয়।

(৮) শুয়ে অথবা আধশোয়া হয়ে টিভি দেখা, লেখালেখির কাজ করা, কম্পিউটারে কাজ করা খুবই খারাপ একটি অভ্যাস। এগুলোর জন্য সোজা হয়ে বসে কাজ করা উচিৎ। তা না হলে মেরুদণ্ডের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Thursday, October 16, 2014

জলাতন্ক!

জলাতন্ক রোগটি র্যাবিস ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমণের ফলে হয় ৷ এটি একটি সিনগেল স্টানডেট আর এন এ (ss RNA) ভাইরাস৷ এই ভাইরাসের বাইরে একটি আবরণ বা এনভেলপ থাকে৷ জলাতন্ক রোগে আক্রান্ত মানুষ পানি দেখলে ভয় পায় বলেই এর নাম হয়েছে জলাতন্ক৷ কুকুর কামড়ালেই জলাতন্ক রোগ হবে এ ধারণা সঠিক নয়৷ জলাতন্ক রোগে আক্রান্ত কুকুর বা অন্য কোনো পশু কামড়ালে জলাতন্ক রোগের জীবাণু মানুষের দেহে প্রবেশ করে৷



যেভাবে ছাড়ায়ঃ
জলাতন্ক রোগে আক্রান্ত কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজী, বানর ইত্যাদির মাধ্যমে জলাতন্ক রোগ ছড়ায়৷

কুকুর কামড়ালে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে হবেঃ
 কুকুর কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতস্থান ভালোভাবে সাবান-পানি দ্বারা তারপর আয়োডিন বা অন্যান্য এ্যান্টিসেপটিক লোশন দ্বারা পরিস্কার করতে হবে৷
 কুকুরটি পরিচিত ও স্বাভাবিক অবস্থায় এলাকায় অবস্থান করছে কিনা তা জানতে হবে৷
 পালিত কুকুর হলে গৃহকর্তার নিকট কুকুরের বর্তমান আচরণ অস্বাভাবিক কিনা জানতে হবে৷
 পালিত কুকুরের জলাতন্কের প্রতিষেধক দেয়া আছে কিনা এবং দেওয়া থাকলে প্রতিষেধকের কার্যকরি মেয়াদ কতদিন তা জানতে হবে৷
 কুকুরটি যদি পরিচিত ও বাড়িতে বা পাড়ায় থাকে তাহলে ১০ দিন কুকুরটিকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে৷ জলাতন্কগ্রস্ত হলে ১০ দিনের মধ্যে কুকুরটি মারা যাবে৷ কুকুরটি বেঁচে থাকলে ভয়ের কোনো কারণ নেই৷
 কুকুরটি যদি জলাতন্কগ্রস্ত বা অপরিচিত হয় অথবা ১০ দিন পর্যবেক্ষণ করা না যায় বা কামড়ানোর পর যদি কুকুরকে মেরে ফেলা হয় অথবা এর কোনো খেঁাজ পাওয়া না যায় তাহলে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
 রোগীকে ধনুষ্টংকারের প্রতিষেধক দিতে হবে৷

জলাতন্ক আক্রান্ত মানুষের লক্ষণঃ

 কামড়ের জায়গায় ব্যথা ও চিনিচিন করে
 জ্বর, ঢোক গিলতে ব্যথা ও খিঁচুনি হয়৷
 পানি খেতে চায় না, পানি দেখলে ভয় পায়৷
 খুব ঘন চটচটে লালা ঝরে
 শান্ত থাকতে থাকতে হঠাত্‌ রেগে যায়
 পরে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায় এবং পক্ষাঘাত দেখা দেয়

কুকুর কামড়ানোর ১০ দিন পর (সাধারণত ৩ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে) জলাতন্কের প্রথম লক্ষণগুলো দেখা দেয়৷ লক্ষণ প্রকাশের পূর্বে চিকিৎসা শুরু করতে হবে৷

জলাতন্ক আক্রান্ত কুকুরের লক্ষণঃ
 জলাতন্ক রোগে কোনো কুকুর আক্রান্ত হলে পাগলের মতো আচরণ করা শুরু করে৷
 সামনে মানুষ বা পশু যাকেই পায় তাকেই কামড়াতে চেষ্টা করে৷
 সর্বক্ষণ ঘেউ ঘেউ করে
 মুখ দিয়ে লালা পড়ে (লালার সাথে জীবাণু নির্গত হয়)
 কুকুরটি খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং কয়েক দিনের মধ্যে মারা যায়৷
 কুকুর বা অন্য কোনো পশু কামড়ালে দিশেহারা না হয়ে কুকুরটিকে ঘেরাও করে পর্যবেক্ষণ করা উচিত৷

প্রতিরোধঃ

 পোষা কুকুর-বিড়ালকে জলাতন্কের টিকা দেওয়া উচিত
 যাদের (পশুডাক্তার, পশুব্যবসায়ী, পশুপালক) পশু কামড়ানোর সম্ভাবনা বেশি তাদের আগেই টিকা নেওয়া উচিত৷
 জলাতন্ক রোগাক্রান্ত প্রাণী কামড় দিলে বা সন্দেহ হলে টিকা নিতে হবে এবং কামড়ানোর স্থানটি দ্রুত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, October 13, 2014

ঘুমানোর আগে যে কাজগুলো চিরকাল আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবে!

ঘুম হচ্ছে মানুষের শরীর নামক যন্ত্রটাকে বিশ্রাম দেয়া। পরবর্তী দিনের কর্মের জন্য প্রস্তুত করা। রাতের ভালো ঘুম নিশ্চিত করে আপনার পরের দিনটা কেমন যাবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি জিনিস একটু সচেতনতার সাথে খেয়াল করে নিয়মিত অভ্যাস তৈরি করে ফেলতে পারলে আপনি ডাক্তার আর ঔষধের পয়সা বাঁচিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন প্রিয় কোন স্থান থেকে। অপর দিকে আপনার শরীরটাও থাকলো সুস্থ।


••►তাহলে একটু দেখে নিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই ৫ টি কাজ আপনি করেছেন কিনা?

রাতের খাবার খাওয়ার পর ১০ মিনিট হাঁটুনঃ ঘুমাতে যাওয়ার কম পক্ষে দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিবেন। খাওয়ার পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ১০ মিনিট হাঁটবেন। এতে খাদ্য পরিপাক ভালো হবে। সামান্য পরিশ্রমের জন্য ঘুমও হবে। দেহে মেদ জমবে না।

মুখের ত্বক ধুয়ে নেয়াঃ সম্ভব হলে কাঁচা হলুদ বাটার সাথে নিম পাতার মিশ্রণ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এত মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। জীবাণুর সংক্রমন থেকে রক্ষা পাবে আপনার ত্বক। আর ব্রন হবে না।

ইসবগুল মেশানো এক গ্লাস শীতল পানি পান করুনঃ ঘুমাতে যাওয়ার কম পক্ষে আধাঘন্টা আগে ইসবগুল মেশানো এক গ্লাস শীতল পানি পান করুন। এটি আপনার খাদ্য পরিপাক ক্রিয়াকে সচল রাখবে। ঘরের তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রার সাথে ব্যালান্স করতে সহায়তা করবে। আর সবচেয়ে সুফল পাবেন সকালে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

চুল আঁচড়ে নিনঃ ঘুমাতে যাওয়ার আগে বড় দাঁতের চিরুনী ভিজিয়ে নিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আর চুল গুছানো থাকবে। লম্বা চুল হলে চুলে জট বাঁধবে না।

দাঁত ব্রাশ করে নিন ভালো মতোঃ রাতে সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সুযোগ পেয়ে যায় আপনার দাঁতের বারোটা বাজাতে। তাই অবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে নিবেন। আর যেটা করবেন, একটা লবঙ্গ কামড়ে কুলকুচি করে নিতে পারেন। এতে হবে কি, লবঙ্গ ভালো এন্টিস্যাপটিক, আপনার মুখের জীবাণু দূর করবে আর নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধও দূর হবে।

‘প্রিয়’ পাঠক। সামান্য স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করলেই কিন্তু সুস্থ থাকা যায়। সুস্থ থাকুন প্রতিক্ষণ। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Friday, October 10, 2014

দাঁত ও মাড়ির যত্নে অব্যর্থ ৫ টি হারবাল উপাদান!

‘দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য বোঝে না’- কথাটা কিন্তু একেবারে মিথ্যা না। অনেকেই দাঁতের সঠিক যত্ন নেন না। ফলে নানা রকম দাঁত ও মাড়ির রোগে আক্রান্ত হন। আর ছুটতে হয় দাঁতের ডাক্তারের কাছে। অকালেই হারাতে হয় দাঁত। অথচ দাঁতের যত্ন নিতে আমাদের চারপাশেই রয়েছে প্রাকৃতিক সব উপাদান। হাত বাড়ালেই যে গুলো পাওয়া যায়। একটু সচেতন হলে আর কিছু নিয়ম মেনে চললেই ভালো থাকবে আপনার দাঁত ও মাড়ি। আর সুস্থ থাকবেন আপনি।



জেনে নিন দাঁত ও মাড়ির রোগে ৫ টি ভেষজ দাওয়াইঃ

 নিমঃ নিমের হার্বাল গুণ আপনার অজানা নয়। নিমের ডাল প্রকৃতির সর্বোৎকৃষ্ট দাঁতন। নিয়মিত নিমের দাঁতনে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাড়ি উভয়ই সুস্থ থাকে। রক্ষা পায় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন থেকে। চার-পাঁচটা নিম পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানিতে একচিমটি লবণ দিয়ে প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুলকুচি করার অভ্যাস করলে আপনার দাঁত ও মাড়ি থাকবে সুস্থ-সবল।

★ যষ্টিমধুঃ যষ্টিমধুর ফল ও মূলে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লিকোরিসিডিন আর লিকোরিসোফ্লাভিন। এরা মুখ গহ্বরে জীবাণুর বৃদ্ধি দমন করে এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে দেয় না। বাজারে যষ্টিমধুর গুঁড়া পাওয়া যায়। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার সময় সামান্য পরিমান যষ্টিমধুর গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করলে দাঁত ও মাড়ির রোগ উপশম হবে।

★ তুলসীঃ তুলসীর রয়েছে প্রচুর ঔষধিগুণ। এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান তুলসীতে আছে। দাঁতের প্লাক থেকে জীবাণুর সংক্রমণ রোধ করতে তুলসী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তুলসীর দুটি পাতা মুখে নিয়ে চিবিয়ে ফেলে দিন। আপনার নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হবে। মাড়ির অসুখেও উপকার পাবেন।

★ পেয়ারা পাতাঃ দাঁত ব্যথায় পেয়ারা পাতা দারুন ওষুধ হিসেবে কাজ করে। মাড়ির রোগেও পেয়ারা পাতা উপশম দেয়। কিছু পেয়ারা পাতা সেদ্ধ করা গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের ব্যথায় আরাম মিলবে।

★ লবঙ্গঃ লবঙ্গ হচ্ছে দাঁত ও মাড়ির যত্নে সবচেয়ে ভালো উপদান। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। নিঃশ্বাসে সজীবতা আনে। লবঙ্গতে ইউজিনল নামক উপাদান আছে। এন্টিসেপটিকের কাজ করে। মুখের ক্ষত, মাড়ির ঘা দূর করতে লবঙ্গের তুলনা হয় না। মাড়ি বা মুখের ক্ষতে লবঙ্গ তেল মাখলে দ্রুত ক্ষত সেরে যায়। আর একটু লবঙ্গ মুখে রাখলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, October 7, 2014

মাংসের ভালো মন্দ!

সারা বছর জুড়েই আমরা কম বেশি গরুর মাংস খেয়ে থাকিতবে সারা বছর আমরা যে পরিমাণ গরুর মাংস খাই তার চেয়েও বেশি পরিমাণ গরুর মাংস খাওয়া পড়ে কুরবানির ঈদের ২-৩ দিনেতবে মাংসের ভালো ও মন্দ দুটো দিকই রয়েছে


ভালো দিক 
 মাংস প্রাণীজ প্রোটিন বা আমিষখাদ্য মূল্যের দিক থেকে উদ্ভিদ প্রোটিনের তুলনায় উন্নতরমাংস সুস্বাদুও বটেএতে সমস্ত এমাইনো এসিড বিদ্যমানএছাড়া আছে লৌহ, ফসফরাস, ভিটামিন বি১ ও ভিটামিন বি২
 কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকলেও গরু ও খাসীর কলিজায় লৌহের পরিমাণও বেশি থাকেএছাড়া মগজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ থাকে ১০০%
 দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণের জন্য এবং কৃশকায় লোকদের ওজন বাড়ানোর জন্য মাংস প্রয়োজন
 দেহের ক্ষত, পোড়া ঘা সারানোর জন্য জিঙ্ক প্রয়োজনএই জিঙ্ক পাওয়া যাবে মাংস থেকেএই কারণে নিরামিষ ভোগীদের খাবারে জিঙ্কের অভাব হয়ে থাকেআবার খেলোয়াড়দের খেলাধূলা করার সময় প্রচুর ঘাম হয়ফলে শরীর থেকে বেশ জিঙ্ক বের হয়ে যায়এ কারণে তাদের খাবারে মাংসের পরিমাণ বাড়ালে এর অভাব অনেকটা পূরণ হয়

মন্দ দিক 
 মাংসে অবস্থানকারী রোগ জীবানু দেহে বিষ উৎপন্ন করেযা খাওয়ার ফলে রোগের সৃষ্টি হয়এর জন্য প্রয়োজন রোগ জীবানুমুক্ত মাংস খাওয়ারোগ জীবানু দ্বারা মাংস বিষাক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হলো রোগাক্রান্ত পশু জবাই করাতাই কুরবানির পশু নির্বাচনের সময় এ দিকটি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেআবার সংরক্ষণের অজ্ঞতাও মাংসকে দূষিত করেযদি রান্না করা মাংস সংরক্ষণ করতে ইচ্ছা থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দেয়াই উত্তম, কারণ মাংসের মধ্যে সহজেই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে
 টিনিয়া সেলিনাস নামক প্যারাসাইট রেড মিটে থাকেএটা দেহে বিশেষ এক ধরণের টিবির জন্ম দেয়এ জাতীয় জীবানু অন্ত্র, পাকস্থলী, যকৃত প্রভৃতি জায়গায় প্রবেশ করে আমাদের অসুস্থ করে তোলেঅধিক পরিমাণ অর্ধসিদ্ধ মাংসই এ ধরণের রোগের বিস্তার ঘটায়
 মাংসে ট্রাইসেরাইড, কোলেস্টেরল ও পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে বলে হূদরোগ, বাত, উচ্চ রক্তচাপ এর রোগীদের কম খাওয়া বা পরিহার করা উচিত
 আবার লিভার, গলব্লাডার ও প্যানক্রিয়াসের অসুখে প্রাণীজ চর্বি বাদ দেয়াই ভালোতাই মাংসের সংরক্ষণের সময় মনে রাখতে হবে যাতে এর স্বাভাকি স্বাদ ও গন্ধ বজায় থাকেটুকরা বড় করলে খাদ্য মূল্যের অপচয় কম হয়তাপে থাকমিন নষ্ট হয় ৩০% আবার রাইয়োফ্লভিন নষ্ট হয় ২০%
 অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা মাংস থেকে ফিতা কৃমি হয়এর ফলে পেট ব্যথা, খিঁচুনী, মাথা ধরা, পেট খারাপ ও জ্বর হতে পারে

খাদ্য হিসেবে মাংসের স্বাস্থ্যকর ও অস্বাস্থ্যকর দু'টি দিকই রয়েছেএই দু'দিক বিবেচনা করেই গোসত খাওয়া উচিত

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, October 4, 2014

ঈদ পরবর্তী সময়ে ভালো থাকতে হলে চাই বাড়তি সচেতনতা!

ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দআর ঈদ এলেই ব্যতিক্রম ঘটে আমাদের দৈনন্দিন জীবনেভুলে যাই নানা বিধিনিষেধযার ফলে প্রায়শই আমাদের স্বাস্থ্যগত নানা ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়এর ফলে অনেকের ঈদের আনন্দ নিরানন্দ হয়ে যায়তবে একটু সচেতনতা ও বিধি নিষেধ মেনে চললে ঈদের আনন্দ হয়ে উঠবে আরও প্রাণবন্ত


কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকিএরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বসে গেছে গরু-ছাগলের হাট, বাড়িতে বাড়িতে শুরু হয়ে গেছে ঈদের প্রস্তুতিতবে ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী সময়ে ভালো থাকতে হলে চাই একটু বাড়তি সচেতনতাচাই পরিমিতি জ্ঞান ও সংযমচাই নাগরিক সচেতনতা

আসুন জেনে নিই ঈদের সচেতনতা নিয়ে কিছু তথ্য!

ভ্রমণ: প্রতিটি ঈদে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা সহ বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামের বাড়ী এবং গ্রামের বাড়ী থেকে শহরে ঈদ করতে আসেছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে আসেন বেশীর ভাগ মানুষচড়তে হয় লঞ্চ-ষ্টিমার, বাস, ট্রেন ইত্যাদিতেযাদের প্রাইভেট যানবাহন নেই অথবা বিমানে চড়েন না তাদেরতো বিডম্বনার শেষ নেইবিশেষ করে যাদের দুরপাল্লার বাসে বাড়ী ফিরতে হয় তাদের অনেকেই বাসে বমি করে থাকেনএসব যাত্রীদের উচিত গন্তব্যে রওনা হবার অন্তত: আধা ঘন্টা আগে বমির জন্য সতর্কতামূলক ওষুধ যেমন অমিডন ট্যাবলেট অথবা সিরাপ সেবন করা এতে রাস্তায় এই বিব্রতর স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে

খাবার দাবার: ঈদ এলেই বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় নানা ধরনের খাবারযে গুলোর বেশির ভাগই তেল ও মসলা জাতীয় খাবারঈদে অতিরিক্ত খাবার বিশেষ করে আমিষ জাতীয় খাবার খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারেহতে পারে বদহজম, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, বদঢেঁকুরের মতো সমস্যা

যাদের আলসারের সমস্যা আছে তাদের বুকে জ্বলা বাড়তে পারেঅতিরিক্ত লবণ ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে এসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারেএসব থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুনপরিমিত গোশত খেলে সুস্থ থাকা সম্ভবঅনেকে মনে করেন, পেট পুরে গোশত খাওয়ার পর কোমল পানীয় পান করলে বুঝি সব সমস্যার মুক্তিএ ধারণা মোটেও ঠিক নয়সমস্যার মুক্তি তো মিলবেই না, দেখা দিতে পারে এসিডিটিসালাদ ও ফলমূল বেশি করে খান, প্রচুর পানি পান করুন

নতুন জামা-কাপড় পরিধান: ঈদে সবাই কম-বেশি নতুন জামা-কাপড় পরেনবিশেষ করে শিশু-কিশোরদের বেলায় নতুন জামা-কাপড় ছাড়াতো ঈদ ভাবাই যায়নাপ্রতিটি নতুন জামা-কাপড় কিনে ধোলাই করে পরা উচিতঅনেক ক্ষেত্রে নতুন কাপড়ের রং ও কেমিক্যাল থেকে কন্টাক্ট এলার্জি হতে পারেশরীর চাকা চাকা হয়ে ফুলে যেতে পারেপাশাপাশি যাদের নতুন কাপড়ে এলার্জি হয় তাদের জামা-কাপড় ধুয়ে পরা উচিত

ত্বকের যত্ন: ঈদ মানেই বাড়তি সাজগোজআর এই সুযোগে বিভিন্ন চর্মরোগের জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করেঈদে মেহেদী পরা বাঙালী নারীদের রেওয়াজে পরিণত হয়েছেতবে আমাদের দেশে প্যাকেট জাত যেসব মেহেদী পাওয়া যায় সেগুলোর বেশীর ভাগই নিম্নমানের ও ক্ষতিকর কেমিক্যল যুক্তএতে অনেকের মারাত্বক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। মেহেদী লাগানোর স্থান ফুলে যায়, লাল হয়অনেক সময় তীব্র চুলকানি হয়

যাদের এলার্জি আছে তাদের কৃত্রিম মেহেদী না লাগানোই ভালোতারা প্রাকৃতিক মেহেদী ব্যবহার করতে পারেনএকই
ভাবে যাদের কসমেটিকে এলার্জি হয় তারাও ভারী মেকআপ পরিহার করতে পারেন

কিছু স্বাস্থ্য টিপস •••►

১/ ঈদের তিন দিন আগে থেকেই ও ঈদ উত্সব চলা পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করুন বা পানি পান করা বাড়িয়ে দিনগুরুপাক খাবার খেলে প্রচুর পানি পান করুনকারণ পানি খাবার হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি আপনাকে সতেজও রাখেতাই যেখানেই যান না কেন, একটু কষ্ট করে আপনার সাথে পানি রাখুনবারে বারে পানি পান করুন

২/ লাল গোশত শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এ কথা আজ সবাই জানেলাল গোশত বা রেড মিট, অর্থাৎ গরু বা ছাগলের গোশতে আছে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি, যা স্থূলতা বাড়ায়, রক্তনালিতে চর্বি জমায়, হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহকে ব্যাহত করে, রক্তচাপ বাড়ায়, ডায়াবেটিস জটিল করে তোলে, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার যেমন কোলন ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছে এ লাল গোশততাই ঈদে তো লাল গোশতের নানা পদের সমাহার হবেই, তবে অপরিমিত অবশ্যই খাবেন নাবিশেষ করে যারা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ বা হৃদরাগে ভুগছেন, তারা বিশেষ ভাবে সাবধান থাকবেনমনে রাখবেন, কোনো অবস্থায়ই দৈনিক
খাদ্য তালিকায় চর্বি জাতীয় খাদ্য যেন ৩০ শতাংশের বেশি না হয়। আর এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকবে মাত্র ৭ শতাংশ

৩/ যে চর্বি ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় শক্ত বা জমাট থাকেসেটিই স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বিলাল গোশত ছাড়াও ঘি, মাখন, মার্জারিন, ক্রিম প্রভৃতিতে আছে এ সম্পৃক্ত চর্বিতাই রান্নার সময় খেয়াল করুন কয়েকটি জিনিস গোশতের গায়ে যে সাদা জমাট চর্বি লেগে থাকে, তার পুরোটাই ছেঁটে ফেলে দিনরান্নায় ঘি, মাখন বা ডালডার ব্যবহার একে দ্বিগুণ ক্ষতিকর করে তুলবেরান্নায় তেল যথাসম্ভব কম ব্যবহার করুন

৪/ রান্নার পদ্ধতি গুলো পরিবর্তন করেও মাঝে-মধ্যে ক্ষতি এড়ানো যায়উদাহরণ: গোশতের নানা কাবাব, ভাজা বা ডিপ ফ্রাই না করে গ্রিল, সেদ্ধ বা খুবই সামান্য তেলে স্টু করা গোশত দেহের জন্য কম ক্ষতি বয়ে আনে। সবজি বা সালাদের সঙ্গে সেদ্ধ করা গোশত, নুডলস বা ম্যাকারনির মধ্যে সেদ্ধ গোশত দিয়েও নানা পদ তৈরি করা যায়

৫/ ট্রান্স ফ্যাট হচ্ছে আরেক ক্ষতিকর চর্বি, যা রক্তের এলডিএল বাড়ায় এবং ভালো চর্বি এইচডিএলকে কমিয়ে দেয়বেকারি ও রেস্তোরাঁয় ভেজিটেবল ফ্যাট জমাট করার মাধ্যমে ট্রান্স ফ্যাট উৎপন্ন হয়দোকানের বেক করা খাবার ও ফাস্টফুডে রয়েছে এ ট্রান্স ফ্যাটতাই ঈদের খাবারে নানরুটি, কেক, পরোটা, ফ্রাই করা খাবার, বার্গার, সসেজ, পিৎজা ও এ জাতীয় ফাস্টফুড পরিহার করাই ভালো

৬/ কোরবানির ঈদ বলেই সবজি বা মাছকে বিদায় জানাতে হবে এমন কোনো কথা নেইবিশেষ করে, আঁশ বা ফাইবার এ সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেআঁশ জাতীয় খাবার চর্বি হজমে বাধা দেয় এবং কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করেবাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজিপ্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই এ সবজি অন্তর্ভুক্ত করুনখাবার টেবিলে থাকুক প্রচুর পরিমাণে সালাদ বা কাঁচা সবজিফ্রিজের মাছগুলো একেবারে অবহেলা করবেন না

৭/ নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটার উপকারিতা ভুলে যাবেন না এ ডামাডোলেযে বাড়তি ক্যালরি এ সময়ে গ্রহণ করছেন, তা পোড়াতে প্রচুর হাঁটুনহেঁটেই না হয় আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়ি দেখা করতে যানসিঁড়ি ভাঙুন, ঘরের কাজে সাহায্য করুন, পরিশ্রম করুনবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার করতে নিজেই নেমে পড়ুনএতে উপকারই হবে বেশি

৮/ বেশির ভাগ লোকের, বিশেষ করে বয়স্কদের এ সময় গ্যাস্ট্রিকআলসারের ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যায়কারণ সেই পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাসএ সমস্যা এড়াতে কম তেল, কম মশলা ও কম গোশত খাওয়ার অভ্যাস করুনপ্রয়োজনে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ চেয়ে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকেকোষ্ঠ পরিষ্কারের জন্য প্রতিদিন প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার খান

৯/ গেঁটে বাত বা ইউরিক এসিড বেশি যাদের এবং যাদের কিডনিতে সমস্যা আছে, তাদের জন্যও গোশতের আমিষ ক্ষতিকর। তারা অবশ্যই চিকিৎসক কর্তৃক বরাদ্দকৃত আমিষের চেয়ে বেশি পরিমাণে আমিষ খাবেন নাতাতে বিপদ হতে পারে

১০/ কোরবানির পর স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গোশত সংরক্ষণ করুনযত দ্রুত সম্ভব বাড়ি এবং এর আশপাশ পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত করে ফেলুনরাস্তার ওপর এবং যত্রতত্র কোরবানি দিয়ে রক্ত ও আবর্জনা ফেলে রাখবেন নানির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে আবর্জনা ও রক্ত ফেলা নিশ্চিত করুনজীবাণুনাশক পাউডার, ডেটল ও গরম পানি ব্যবহার করুননিজের ও প্রতিবেশীর স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সচেতন হতে হবে সবাইকে

নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করতে সাহায্য করুনসবার জন্য ঈদ মঙ্গল ও খুশির বার্তা বয়ে আনুক

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্যধন্যবাদ।]

Friday, October 3, 2014

প্রোস্টেটের সম্পর্কে কিছু কথা!

প্রোস্টেটের যত সমস্যা বয়স ৬০ এর ওপরে গেলেই পুরুষরা সাধারণত যে স্বাস্থ্য সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন, সেটা প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যা। হঠাৎ করে প্রস্রাব আটকে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা, ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব হওয়া কিংবা সম্পূর্ণ ক্লিয়ার না হওয়া প্রভূতি উপসর্গ নিয়ে কেউ যখন চিকিৎসকের কাছে যান, চিকিৎসক পরীক্ষা করেই বলে দেন যে সমস্যাটা প্রোস্টেটের। কিন্তু রোগী জানেন না প্রোস্টেট আসলে কী জিনিস। অনেক সময় রোগীর অপারেশনের প্রয়োজন হয়। রোগী ভয় পান এ ধরনের অপারেশনে যৌন সংক্রা- সমস্যা দেখা দিতে পারে ভেবে।


পাঠক যাতে প্রোস্টেট সম্পর্কে জানতে পারেন তাই বিষয়গুলো সহজভাবে প্রশ্নোত্তর আকারে সাজানো হলোঃ

প্রোস্টেট কি? 
বেশির ভাগ লোক প্রোস্টেটের কথা শুনে ধারণা করেন এটা পুরুষদের প্রজনন অঙ্গ। আসলে প্রোস্টেট হলো পুরুষদের প্রজননতন্ত্রের একটি গ্রন্থি। রেকটাম বা মলনালীর সামনে এবং মূত্রথলির তলায় বা গোড়ায় থাকে। প্রোস্টেট মূত্রনালী বা ইউরেথ্রার এক অংশ দ্বারা বেষ্টিত। মূত্রনালী হলো একটি টিউব, যার মাধ্যমে প্রস্রাব মূত্রথলি থেকে বেরিয়ে যায়। মূত্রনালীর একটা অংশ প্রোস্টেটের মধ্যে থাকে। নাম প্রোস্টিটিক ইউরেথ্রা। অনেকে ওটাকে প্রজনন অঙ্গ বলে ভুল করেন। প্রোস্টেটিক ইউরেথ্রা শেষ হয় এক্সটার্নাল ইউরেথ্রাল স্ফিংকটার-এ। এই স্ফিংকটার মূলত একটা পেশী, প্রস্রাবের সময় ওটাকে সংকুচিত করে প্রস্রাব বন্ধ করে রাখা যায়। অর্থাৎ প্রস্রাব করা সময়ে হঠাৎ প্রস্রাব বন্ধ করতে চাইলে, আমরা যে পেশীটিকে চাপ দেই, সেটা এক্সাটার্নাল ইউরেথ্রাল স্ফিংকটার। মূত্রথলির মুখে আরেকটি স্ফিংকটার রয়েছে যা আমাদের ইচ্ছায় কাজ করে না। তবে প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে এই দুটো স্ফিংকটার ভালভ-এর মত কাজ করে।

প্রোস্টেট দেখতে কেমন? 
প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের প্রোস্টেট বড় আখরোটের মতো। ওজন প্রায় ২০ গ্রাম। যদি ওটাকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে নিয়ে দেখা হয়, তাহলে দেখা যাবে ওটা একটা মাংসপেশী, গ্রন্থি । প্রোস্টেটের বাইরের আবরণটি মূলত পুরু মাংসপেশী দিয়ে আবৃত-ওটাকে বলে প্রোস্টেটিক ক্যাপসুল। এ ধরনের নামকরণের কারণ-প্রোস্টেটকে চারপাশ থেকে ক্যাপসুলের মতো ঘিরে রাখে ওটা। যদিও প্রোস্টেটে সে রকম পৃথকীকরণ চিহৃ নেই, তবু চিকিৎসকরা প্রোস্টেটকে বর্ণনা করার জন্য কয়েকটি লোব বা অঞ্চলে ভাগ করেছেন। এর কেন্দ্রীয় বা মধ্যাঞ্চলে বেষ্টিত থাকে মুত্রনালী। সাধারণত ৫টি লোবে বিভক্ত করা হয়েছে প্রোস্টেটকে। সামনে, পেছনে, মাঝখানে এবং দুপাশে দুটি। চিকিৎসক যখন প্রোস্টেটের রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করে থাকেন, তখন ব‘ত এই লোব বা অঞ্চলগুলোই দেখে থাকেন।

প্রোস্টেট যদি প্রজনন অঙ্গ না-ই হয়, তাহলে এর কাজ কি?
আমরা বলেছি প্রোস্টেট একটি গ্রন্থি। গ্রন্থির সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে বলেই প্রোস্টেটকে গ্রন্থি বলা হয়েছে। যে কোনো গ্রন্থিই কিছু কিছু রস নিঃসরণ করে। প্রোস্টেটও করে। তবে প্রোস্টেটের মূল ভূমিকা হলো প্রজননের ক্ষেত্রে সহায়তা করা। যেমন একটি ছেলের অণ্ডকোষ যখন বীর্য তৈরির জন্য সক্ষম হয়, তখন প্রোস্টেট এক ধরনের রস প্রচুর পরিমাণে নিঃসরণ করে, যার নাম প্রোস্টিটিক ফ্লুইড। এই প্রোস্টিটিক ফ্লুইড বীর্যকে সচল রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ সবসময় সে বীর্যকে সাপোর্ট দেয়। প্রোস্টেটে অসংখ্য ছোট ছোট গ্রন্থি রয়েছে যারা অবিরাম কম বেশি রস নিঃসরণ করে যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থে প্রোস্টেট এই রস নিঃসরণ করে বলে যৌন উত্তেজনার সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবং বীর্যপাতের সময় শুক্রাণুগুলো শরীরের বাইরে আসতে পারে। প্রোস্টেটিক ফ্লুইড শুক্রাণুকে সজীব রাখে।

তাহলে শুক্রাণু কি প্রোস্টেটের মধ্যে দিয়ে আসে?
একটা কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে শুক্রাণুকে তৈরি করছে অণ্ডকোষ। এই শুক্রাণুগুলো এসে জমা হয় এপিডিডাইমিস নামের এক ধরনের পেঁচানো টিউবে। এখান থেকে ভাস ডিফারেন্স বা শুক্রবাহী নালীর মাধ্যমে তা যায় সেমিনাল ভেসিকল নামের এক ধরনের থলির মধ্যে। সেমিনাল ভেসিকল থাকে মূত্রথলির ঠিক পিছনে, নিচে। একই জায়গায় আছে প্রোস্টেটিক ইউরেথ্রা। ভাস ডিফারেন্সের ওপরের অংশের সংকোচনের জন্য শুক্রাণুগুলো সেমিনাল ভেসিকল থেকে প্রোস্টেটিক ইউরেথ্রার দিকে ধাবিত হয়। একই সময়ে প্রোস্টেটের সংকোচনের ফলে প্রোস্টেটের রস প্রোস্টেটিক ইউরেথ্রায় চলে আসে। শুক্রাণুর সঙ্গে প্রোস্টেট রসের এই মিশ্রণ সামনের দিকে চালিত হয় এবং মূত্রনালীর চারপাশের পেশীর হঠাৎ হঠাৎ সংকোচনের মাধ্যমে তা বের হয়ে আসে। আর এটাকেই আমরা বীর্যত্থলন বা বীর্যপাত বলি। যৌন মিলনের সময় বীর্যের মাধ্যমে শুক্রাণু মহিলাদের যোনিতে ও জরায়ুতে গিয়ে পড়ে এবং সেখান থেকে মহিলাদের ফ্যালোপিয়ান টিউব বা ডিম্ঁবাহী নালীতে যায়।

প্রোস্টেটের রস বীর্যকে চালু রাখা ছাড়া আর কি দায়িত্ব পালন করে? 
প্রোস্টেটের ও সেমিনাল ভেসিকলের নিঃসরণে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন উপাদান। এ সবের কিছু কিছু উপাদান শুক্রাণুর পুষ্টিসাধন ও উর্বরতা বৃদ্ধি করে। কিছু কিছু উপাদান আবার শুক্রাণুগুলোকে যোনিরসের স্বাভাবিক অ্লত্ব থেকে রক্ষা করে। সেমিনাল ফ্লুইডের রাসায়নিক উপাদান গর্ভসঞ্চালনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিক রাখে।

তার মানে নো প্রোস্টেট, নো সেক্স, নো বেবি, কথাটি কি তাহলে সত্যি?
এ নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা আছে। প্রোস্টেটের সমস্যা দেখা দিয়েছে এমন লোকের সামনে এ ধরনের কথা বললে দেখা যায় সত্যি সত্যিই সে তার বিশেষ অঙ্গ উত্থিত করতে পারছে না। প্রোস্টেট নিয়ে এ ধরনের আলোচনা করলে পুরুষত্বহীনতা নামক ভৌতিক অপচ্ছায়া তার মনে দারুণ প্রভাব ফেলে। খুশির খবর হলো, প্রোস্টেটের অসুখ হয়েছে এমন রোগীর চিকিৎসা করালে তাদের বেশিভাগই যৌনমিলনে আগের মতোই পারদর্শী হয়ে উঠবেন। আর দুঃসংবাদ হলো এতে অল্প হলেও কিছু লোকের যৌনক্ষমতা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্র- হয়। গর্ভসঞ্চারের ক্ষেত্রে বলা চলে-যেখানে বীর্য রস নেই সেখানে শুক্রাণু সহজে মেয়েদের ডিম্ঁনালীতে প্রবেশ করতে পারে না।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Thursday, October 2, 2014

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাথমিক চিকিত্সা!

হঠাৎ করে কেউ কোনো দুর্ঘটনার কবলে পরলে রোগী নিজে এবত্‌ তার আশেপাশের মানুষ জন সকলে হতবিহ্বল হয়ে পরে৷ অনেক সময় উপকার করতে যেয়ে দেখা যায় যে রোগীর আশেপাশের মানুষ জন তার ক্ষতি করে ফেলে স্বল্প জ্ঞানের কারণে৷ প্রাথমিক চিকিত্সা সম্পর্কে ধারণা থাকলে এ পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব৷ এই বিষয় টুকু যদি মানুষের জানা থাকে তাহলে দেখা যায় রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে রোগী এমন কিছু চিকিত্সা পেয়ে যায় যা দেওয়ার জন্য ডাক্তারের প্রয়োজন হয় না এবং এতে করে রোগী মারাত্মক কোনো ক্ষতির কবল হতে মুক্তি পায়৷


এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিত্সা কি হবে তা নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করা হলঃ
 আহত ব্যক্তিকে প্রথমে দুর্ঘটনা স্থান (রাস্তা) থেকে নিরাপদ জায়গায় আনতে হবে৷
 পর্যাপ্ত বাতাস শ্বাস-প্রশ্বাসের সাহায্য নিতে পারছে কিনা সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে৷
 নাক-মুখে রক্ত বা অন্যকিছু যা শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি করে এমন কিছু থাকলে বের  করে দিতে হবে৷
 আশেপাশের ভীড় কমিয়ে পর্যাপ্ত বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে৷
 সম্ভব হলে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে৷
 রক্তপাত হতে থাকলে তা বন্ধ করার চেষ্টা করতে হবে৷
 হাড় ভেঙে থাকলে নড়াচড়া না করে বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে৷
 উপযুক্ত চিকিত্সার জন্য দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে৷



অতিরিক্ত রক্তপাতঃ
 ক্ষত থেকে রক্তপাত হলে কী করবেন
 আঘাতের জায়গাটা উঁচু করে রাখতে হবে৷
 একটা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে অথবা হাত দিয়ে সরাসরি ক্ষতের ওপর চাপ দিয়ে ধরে রাখুন৷
 অতিরিক্ত কেটে গেলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে৷
 ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ধনুষ্টংকারের টিকা নিতে পারেন৷

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]