Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Monday, December 29, 2014

থানকুনির পাতার গুণাগুণ!

থানকুনির পাতার রয়েছে বগু গুণাগুণ। সামান্য পাতা থেকে এতো উপকার পাওয়া যায় তা আমরা কখনও ভাবতেও পারিনি। আজ থানকুনির পাতার উপকার সম্পর্কে জেনে নিন।



থানকুনির পাতা আমাদের বহুবিধ উপকার করে থাকে। থানকুনির পাতা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে পেটের অসুখে। হজমে গোলমাল, আমাশয় ইত্যাদি সমস্যায় গ্রামের মানুষ থানকুনির পাতা ভর্তা করে বেটে ভাতের সঙ্গে খেয়ে থাকে। থানকুনির পাতার ঝোল রান্না করে ভাতের সঙ্গেও খাওয়া যায়। শহরের মানুষও এই থানকুনির পাতা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি বাজারে হর-হামেশায় কিনতে পাওয়া যায়।

থানকুনির পাতায় কি কি উপকার হয়: 

✬ থানকুনির পাতার ঝোল খুবই পুষ্টিকর একটি খাদ্য।
✬ ভেষজ চিকিৎসকরা বহুবিধ রোগের চিকিৎসায় থানকুনির পাতাকে ব্যবহার করে থাকেন।
✬ থানকুনি লতার রস শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে।
✬ থানকুনির পাতা স্নায়ুতন্ত্রকে তীক্ষ্ম করে তোলে।
✬ গুরুতর রোগের দীর্ঘদিন সয্যাশায়ী থাকলে চিকিৎসকরা থানকুনির পাতার ভর্তা কিংসা রস পথ্য হিসেবে দিয়ে থাকে।
✬ বাত কিংবা হাতের কব্জি কিংবা পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হলে থানকুনির পাতা বেটে মালিশ করা যায়।
✬ শিশুদের অল্প করে থানকুনির পাতার রস নিয়মিত খাওয়ালে কৌষ্টিকতন্ত্র শক্তিশালি হয়।

তাই থানকুনির পাতাকে ছোট করে না দেখে আপনার ছোটখাট অসুখে ব্যবহার করুন। কারণ এসব ভেষজ ওষুধ পার্শ্ব্রপ্রতিক্রিয়াহীন।


[ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য, ধন্যবাদ ]

Thursday, December 25, 2014

লেবুর খোসার অসাধারণ কিছু ব্যবহার!

✽  খাদ্য হিসাবেঃ লেবুর খোসাতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল। একই সাথে এটি প্রাকৃতিকভাবে হজম সহায়ক। লেমন জিস্ট, লেমন সুগার, লেমন অলিভ ওয়েল কিংবা লেমন পিপার এইসব নামের খাদ্য বানিয়ে খেতে পারুন।


✽  পিপড়া এবং কীটপতঙ্গদের হাত থেকে বাঁচতেঃ বুকসেলফের নিচে, আলমারির চিপায়, দরজার পাশে সহ যে সব জায়গাতে পিপড়া অবস্থান করতে পারে সেসব জায়গায় লেবুর খোসা কুচি কুচি করে ছড়িয়ে দিন। পিপড়া আর ঘরে থাকবে না। মাছিও লেবু থেকে দূরে অবস্থান করে।

✽  ফ্রিজ সতেজ রাখুনঃ ফ্রিজের ভেতরে দুই একটি লেবুর খোসা রেখে দিন। ফ্রিজ থাকবে গন্ধমুক্ত এবং লেবুর সুগন্ধময়।

✽  আবর্জনার দূর্গন্ধনাশকঃ দূর্গন্ধময় আবর্জনার মধ্যে লেবুর খোসা নিক্ষেপ করুন। লেবুর খোসা দূর্গন্ধ শুষে নিবে।

✽  চায়ের কেটলি কিংবা কফি পট পরিষ্কার করতেঃ জমে থাকা চায়ের দাগ পরিস্কারের ক্ষেত্রে কেটলিতে পানি নিয়ে তাতে লেবুর খোসার ছোট ছোট টুকরা দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। এক ঘন্টা পর তাপ বন্ধ করে ময়লা জায়গা পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। কফি পট পরিষ্কার করতে লবণ যোগ করে তাতে বরফ ও লেবুর খোসা দিয়ে এক থেকে দুই মিনিট`ঘষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

✽  কাটিং বোর্ড পরিষ্কারঃ কাটিং বোর্ডের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল পরিস্কার করা সম্ভব লেবুর খোসা ব্যবহার করে। কাটিং বোর্ডের সব ময়লা দাগ পরিস্কার করতে অর্ধেক লেবু কেটে তাতে কয়েক সেকেন্ড
রেখে দিলে দেখবেন পরিস্কার হয়ে গেছে।

✽  ডিসওয়াশার দূর্গন্ধমুক্ত করতেঃ এটির মধ্যে লেবুর খোসা ঘষলে দূর্গন্ধমুক্ত হয়ে যায় এবং সতেজ থাকে।

✽  মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার`করতেঃ মাইক্রোওয়েভের তেল চিটচিটে হলে বাটিতে পানি নিয়ে তাতে লেবুর খোসা ছেড়ে দিয়ে গরম করতে হবে। এরপর পানি ফেলে দিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। তাতেই মাইক্রোওয়েভ ঝকঝকে হয়ে যাবে।

✽  রান্নাঘর সতেজ রাখতেঃ রান্না ঘরের গন্ধযুক্ত ময়লা পরিষ্কারে লেবুর খোসা ব্যবহার করা যায়। এতে রান্নাঘর সতেজ থাকে।

✽  ড্রয়ারের সুগন্ধী হিসাবেঃ লেবুর খোসা সূর্যের তাপে শুষ্ক করে ড্রয়ারে রেখে দিলে সেটি ড্রয়ারকে সুগন্ধ রাখবে।

✽  ত্বক উজ্জ্বল করেঃ ত্বকে মেসেজ করে ধুয়ে ফেললে নরম, কোমল ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়।

✽  নখ উজ্জ্বল করতেঃ হাত বা পায়ের নখে লেবুর খোসা ঘসলে নখ পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল সাদা হয়।

✽  বয়স দাগ দূর করতেঃ মানুষের বয়স যখন বেড়ে যায় তখন শরীরে বয়স দাগ পড়ে। এইসব দাগের উপর লেবুর খোসা ঘষলে তা দূর হয়ে যায়।

✽  স্কিন টনিক হিসাবেঃ লেবুর খোসা ত্বকে অল্প ঘষে ধুয়ে ফেললে এটি ত্বকের স্কিন টনিক হিসেবে কাজ করবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, December 23, 2014

থাইরয়েডের সমস্যায় করণীয়!

থাইরয়েডের সমস্যা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটা যেন একটু বেশিই। হাইপো-থাইরয়েডিজমের জন্য ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে প্রয়োজন যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ, সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। 


থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কোন খাবার গুলো আপনাকে উপকার দেবে আর কী কী করলে আপনি উপকার পাবেন, সে সব সম্পর্কে আসুন জেনে নেয়া যাকঃ-

১। আয়োডিন যুক্ত খাবার গ্রহণঃ যদিও আয়োডিন যুক্ত লবণের মাধ্যমে আমরা আয়োডিন গ্রহণ করে থাকি। তবে লবণ কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। কলা, গাজর, স্ট্রবেরি, দুধ, সামুদ্রিক মাছ এবং দানাশস্যে আয়োডিন রয়েছে। এগেুলোকে রাখতে হবে প্রতিদিনের খাবার তালিকায়। শাকপাতা ও মৌসুমি সবজিতেও রয়েছে আয়োডিন। তাই ডায়েটিং এর নামে খাবার তালিকা থেকে এগুলো বাদ দিলে চলবে না।

২। প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণঃ থাইরয়েড ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। চিজ, পনির, ডিম, ফ্রেশ সি ফুড, মুরগির মাংস পরিমিত খেলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিক মত কাজ করতে পারবে।

৩। জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুনঃ বার্গার, হটডগ, চিপস প্রভৃতি জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুন। এ সব প্রসেসড খাবারের বাড়তি লবণ কোষের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। আর এগুলো শরীরে মেদ জমতে সহায়তা করে। তাই যথাসম্ভব এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন। বাড়িতে তৈরি ওয়েল ব্যালেন্সড খাবার খান।

৪। নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে প্রপার ডায়েটের সাথে সাথে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা জরুরি। ব্যায়ামের জন্য নিতে পারেন অভিজ্ঞ কোন ইন্সট্রাকটরের পরামর্শ। সাইক্লিং কিংবা সুইমিং থাইরয়েডের জন্য খুব উপকারী। যোগাসনও খুব কাজে দেয় বলে জানিয়েছেন অনেকে।

৫। পরিমিত ঘুমঃ থাইরয়েড ভালো ভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন রাতের ভালো ঘুম খুব জরুরি। তাই রাতের ঘুমের সাথে কোন কম্প্রোমাইজ নয়। অনেকে রাতে জেগে থেকে দিনে ঘুমান। এটা ঠিক আছে যদি আপনার ঘুম পরিমিত হয়। তবে মনে রাখবেন রাতের ঘুম বেশি গাঢ় হয়। কারণ শব্দ ও আলোর উৎপাত রাতে কম থাকে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, December 16, 2014

পর্নোগ্রাফি দেখলে যে ক্ষতি গুলো হতে পারে আপনারো!

যতই চরিত্রবান হোক এক বাক্যে বলা যেতে পারে পর্নোগ্রাফি দেখেনি এমন পুরুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে। চুরি করে একা দেখুক আর বন্ধুবান্ধবি নিয়ে দেখুক প্রায় পুরুষই নীল ছবি দেখে থাকে। এই সমাজের এর ব্যাতিক্রম দেখানো সম্ভব নয়।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় পর্নোগ্রাফি আসক্তিকে তেমন ক্ষতিকর নয় ব্যাখ্যা দিলেও এরও বেশ কিছু খারাপ দিক আছে। নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখার মাধ্যমে নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতির করে ফেলছেন অসংখ্য পুরুষ। 

আসুন জেনে নেয়া যাক পর্নো আসক্তির কারণে যে ক্ষতি হতে পারে আপনারঃ

✭ রুচি বোধের অবনতি হয়: নিয়মিত পর্নো ছবি দেখতে দেখতে পুরুষদের রূচিবোধের অধঃপতন হয়। পর্নো সিনেমার অনৈতিক ও যৌনতা নির্ভর বিকৃত সম্পর্ক গুলোকেই তখন ভাল লাগতে শুরু করে। ফলে যারা নিয়মিত পর্নো সিনেমা দেখে তাদের রুচি বিকৃত হয়ে যায়। জীবনের স্বাভাবিক সম্পর্ক গুলোতেও নিজের অজান্তে বিকৃতি খোঁজে তাদের চোখ।

✭ ফ্যান্টাসির দুনিয়া: নিয়মিত পর্নো ছবি দেখতে দেখতে বাস্তব জগৎ ছেড়ে পুরুষরা ফ্যান্টাসি দুনিয়াতে চলে যায়। অর্থাৎ বাস্তব জীবনেও তারা পর্ণ সিনেমার মত সঙ্গী আশা করে এবং তারা স্বপ্ন দেখে তাদের যৌন জীবনটাও পর্নো সিনেমার মতই হবে। তাই ফ্যান্টাসি দুনিয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে তারা বাস্তব জীবনের সুখ শান্তি হারায়। সাধারণ নারীদেরকে তখন আর তাদের যথেষ্ট মনে হয় না।

✭ নারীরা ঘৃনার চোখে দেখে: পর্নো আসক্ত পুরুষদেরকে সাধারণ রুচিশীল নারীরা হীনমন্য ও চরিত্রহীন মনে করে। নারীরা যখন জানতে পারে যে তার পরিচিত কোনো পুরুষ নিয়মিত পর্নো ছবি দেখে তখন তার সম্পর্কে খারাপ মনোভাব জন্ম নেয় এবং তাঁকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। বিশেষ করে আমাদের সমাজের নারীরা তো অবশ্যই।

✭ নিঃসঙ্গতা: অতিরিক্ত পর্নো নেশার কারণে সাধারন নারীদের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে পর্নো আসক্তদের। তারা পর্ণ সিনেমার নায়িকাদের মত আকর্ষনীয় দেহ ও চেহারার নারী খোঁজে বাস্তব জীবনে। কিন্তু পর্নো সিনেমার নায়িকাদের সৌন্দর্য মূলত কৃত্রিম সৌন্দর্য, তাদের আচরণও কৃত্রিম। মেকআপ, লাইট ও ক্যামেরার কারসাজিতে তাদেরকে মোহনীয় ভাবে দেখানো হয় যা বাস্তব জীবনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। তাই পর্নো আসক্তরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিঃসঙ্গ থেকে যায় অথবা সংসারে অসুখী হয়।

✭ শারীরিক ক্ষতি: নিয়মিত পর্নো ছবি যারা দেখে তাদের মধ্যে হস্ত মৈথুনের অভ্যাসটাও বেশি থাকে। অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন করার ফলে তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়ে এবং যৌন জীবনে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

 ভয়াল নেশা: পর্নো সিনেমার নেশা মাদকের নেশার মতই ভয়ংকর। মাদকাশক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেমন কষ্টসাধ্য, পর্নো আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়াও দূরহ ব্যাপার। পর্নো আসক্তির কারণে পরিবারের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়, পড়াশোনায় ক্ষতি হয় এমনকি নিজের মধ্যেও হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়।

✭ সামাজিক ভাবে হেয় হতে হয়: পর্নো আসক্তদের মোবাইলে, কম্পিউটারে, পেন ড্রাইভে সব খানেই পর্ণ ছবি থাকে অধিকাংশ সময়। অনেক সময় এসব অনৈতিক বিষয় গুলো পরিবারের কাছে ধরা পড়ে যায়। ফলে পরিবারের কাছে হেয় হতে হয় পর্নো আসক্তদেরকে। এছাড়াও সমাজের মানুষজন, বন্ধুবান্ধব বিষয়টি জেনে গেলে তাদের কাছেও হেয় হতে হয় তাদেরকে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, December 13, 2014

যে ৬টি কারণে বাঁধাকপি খাবেন!

বাঁধাকপি একটি সুস্বাদু শীতকালীন সবজি। স্বাদে ও গুণে অতুলনীয় এই সবজিটি অবশ্য এখন বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করার কারণে মোটামুটি সারা বছরই পাওয়া যায়। শীত কালীন বাঁধাকপির স্বাদ তুলনামূলক ভাবে অন্য সময়ের বাঁধাকপির চাইতে বেশি। 


বাঁধাকপি ভাজি আমাদের দেশের ঘরে ঘরে একটি জনপ্রিয় খাবার। এছাড়াও বাঁধাকপি কাঁচা কিংবা রান্না করে খাওয়া যায়। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে রয়েছে ১.৩ গ্রাম প্রোটিন, ৪.৭ গ্রাম শর্করা, ০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১, ০.০৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২ ও ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। তাছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে ৩১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮ মিলিগ্রাম লৌহ, ৬০০ মাক্রোগ্রাম ক্যারোটিন ও ২৬ কিলোক্যালোরী খাদ্যশক্তি থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক কোন ৬টি কারণে বাঁধাকপি খাওয়া উচিত।

প্রচুর ভিটামিন আছেঃ অনেকেই শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করার জন্য নিয়মিত মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট খান। আপনি কি জানেন নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে আপনার আর মাল্টি ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন হবে না। কারণ বাঁধাকপিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনই আছে। বাঁধাকপিতে আছে রিবোফ্লাবিন, প্যান্টোথেনিক এসিড এবং থিয়ামিন ।

হাড় ভালো রাখেঃ বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও কে আছে। ভিটামিন সি হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এছাড়াও বাঁধাকপিতে উপস্থিত ভিটামিন কে হারকে মজবুত রাখে। যারা নিয়মিত বাঁধাকপি খায় তারা বয়স জনিত হাড়ের সমস্যা থেকে রক্ষা পায়।

ওজন কমাতে সহায়ক খাবারঃ বাঁধাকপিতে খুবই সামান্য কোলেস্টেরল ও সম্পৃক্ত চর্বি আছে। এছাড়াও বাঁধাকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। ওজন কমাতে চাইছেন যারা তাদের জন্য নিয়মিত সালাদ খাওয়ার বিকল্প নেই। আর প্রতিদিনের সালাদের রাখুন বাঁধাকপি। সালাদে প্রচুর পরিমাণে বাঁধাকপি থাকলে অতিরিক্ত ক্যালোরি বাড়ে না বললেই চলে। তাই ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে বাঁধাকপি রাখুন।

আলসারের সমস্যা কমায়ঃ যারা আলসারের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত বাঁধাকপি খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বাঁধাকপি আলসার প্রতিরোধ করে। পাকস্থলির আলসার ও পেপটিক আলসার প্রতিরোধে বাঁধাকপির জুড়ি নেই। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বাঁধাকপির রস আলসারের জন্য সবচেয়ে উপকারী প্রাকৃতিক ওষুধ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ বাঁধাকপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিজেকে সুস্থ্য রাখতে চান তাহলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বাঁধাকপি যোগ করুন। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত বাঁধাকপি খান তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। বাঁধাকপিতে উপস্থিত ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

ত্বক ভালো রাখেঃ ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন ই এর জুড়ি নেই। আর বাঁধাকপিতে আছে প্রচুর ভিটামিন ই। বাঁধাকপির ফ্রি র‍্যাডিকেল ফাইটিং প্রোপার্টি আছে যা ত্বকের যে কোনও সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। এছাড়াও নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। তাই যারা ত্বক ভালো রাখতে চান তাঁরা বেশি করে বাঁধাকপি খান।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।] 

Monday, December 8, 2014

শীতেও কোমল ঠোঁট পেতে চাইলে!

শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়া, চামড়া ওঠা সাধারণ ব্যাপার। এর ফলে ঠোঁটের স্বাভাবিক কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। এসব সমস্যা সমাধানে বাজারে পাওয়া যায় নানা ধরনের লিপজেল, চ্যাপস্টিক, লিপগ্লস ইত্যাদি। তবে এসব ঠোঁটের জন্য কতটা উপকারী? কিভাবে শীতের রুক্ষ আবহাওয়াতেও ঠোঁটকে কোমল রাখা যায়। আসুন দেখে নিই এক নজরে।




ঠোটের বিশেষ যত্নঃ দুধ, মধু ও গোলাপের পাপড়ির পেস্ট তৈরি করে রাতে ঠোঁটে লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে লিপজেল লাগান। এই ম্যাসাজ এক দিন পর পর করা ভালো। এতে ঠোঁট নরম ও কোমল থাকবে। তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়।

এ ছাড়া শীতে ঠোঁটের কোমলতা ধরে রাখতে যা করতে পারেনঃ
 গোসলের আগে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
 শীতে ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে উপকারী হচ্ছে গ্লিসারিন ব্যবহার।
 কিছুক্ষণ পর পর চ্যাপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। লিপজেলও ব্যবহার করতে পারেন।
 পার্টিতে লিপস্টিক ব্যবহার করলে অবশ্যই তার ওপর লিপগ্লস ব্যবহার করতে হবে।
 বাজারে কিছু কালার চ্যাপস্টিক পাওয়া যায়। পার্টিতে কালার চ্যাপস্টিক ব্যবহার করলেও তার সঙ্গে লিপগ্লস ব্যবহার করতে হবে। না হলে মেকআপের টানে এবং শীতের রুক্ষতায় ঠোঁট শুকিয়ে যাবে।
 শীতে ঠোঁটের কোমলতার জন্য চ্যাপস্টিক, লিপজেল, অলিভ অয়েল, গ্লিসারিন, লিপগ্লস ইত্যাদি যা-ই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়।
 কখনোই নিজে নিজে চামড়া ওঠানো যাবে না। এতে ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরা শুরু হবে এবং ফাটা দাগ বসে যেতে পারে। চ্যাপস্টিক, লিপজেল ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের ফাটা চামড়া নরম হয়ে এমনিতেই উঠে যাবে।
 প্রতি রাতে বিট অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগালে কালো দাগ দূর হতে পারে।
 ঠোঁটে ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মাখন লাগানো যেতে পারে, যা ত্বক ফাটা দূর করে ও নরম রাখে।

শুষ্ক ঠোঁটের প্রতিকারঃ
 ভালো মানের লিপস্টিক অনেক সময় ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে। এ ক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
 টুথপেস্টের কারণেও অনেক সময় ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। এ রকম হলে টুথপেস্ট বদলে ফেলুন। সাদা রঙের টুথপেস্ট সাধারণত ঠোঁটের জন্য ভালো ।
 সাবান ও ফেসওয়াশ ঠোঁটে লাগাবেন না।
 সূর্যমুখীর তেল শুষ্ক ঠোঁটের জন্য ভালো। এটি দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ভ্যাসলিন লাগাতে ভুলবেন না।
★ শুষ্ক ঠোঁটে কখনোই ম্যাট লিপস্টিক লাগাবেন না।
 ঠোঁটের লিপস্টিক তুলতে তুলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Wednesday, December 3, 2014

নুডুলসে আছে মোম, তাই সাবধান!

নুডুলস রান্নার যে পদ্ধতি প্রচলিত তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপদজনক। আমাদের অনেকেই নুডুলস ছাড়া চলতেই পারেন না। ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই নুডুলসের জয় জয়কার। নুডুলস খাওয়া নিয়ে কিছু তথ্য আমরা আপনাদের জানাতে যাচ্ছি যা আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি দূর করবে বলে আশা করছি।


পাত্রে পানি নিয়ে তাতে নুডুলস ও মসলার গুড়া দিয়ে ২-৩ মিনিট রান্না করি এবং খাওয়ার উপযোগী বলে ধরে নিই। কিন্তু এটি নুডুলস রান্নার সবচাইতে ভয়ঙ্কর পদ্ধতি। এভাবে রান্নার ফলে মসলার উপাদান এমএসজি (মনোসোডিয়াম গ্লুকামেট) আণবিক পর্যায়ে পৌঁছে বিষাক্ত হয়ে যায়।

এবং আরেকটি বিষয় আমরা হয়তো জানিই না যে, নুডুলসে মোমের আবরণ দেওয়া থাকে এবং এভাবে রান্নার ফলে সেই মোম আমাদের দেহে ঢুকে যায় এবং তা নিষ্কাশন করতে দেহের ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগে।

নুডুলস রান্নার সঠিক পদ্ধতিঃ
★  একটি পাত্রে নুডুলস সিদ্ধ করুন।
★  সিদ্ধ হলে মোম যুক্ত পানি ছেকে ফেলে দিন।
★  আরেক পাত্রে পানি গরম করুন ফুটানো পানিতে সিদ্ধ করা নুডুলস ছেড়ে দিন এবং চুলা নিভিয়ে দিন।
★  এরপর মসলা ছিটিয়ে নেড়ে দিন, নুডুলস স্যুপ তৈরি হয়ে যাবে।
★  আর যদি ঝড়ঝড়া নুডুলস খেতে ভালবাসেন তাহলে পাত্র থেকে পানি ছেকে মসলা যোগ করুন।

তৈরি হয়ে যাবে নুডুলস। যদিও তা তৈরি করতে দুই মিনিট নয় প্রায় ১০ মিনিট সময় এমনিতেই লাগবে।

এই পদ্ধতিতে সামান্য একটু বেশি সময় লাগবে তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। বিজ্ঞাপন দাতাদের মুখরোচক কথায় কান দিবেন না। ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, December 2, 2014

শুষ্ক ও ফাটা চুল বড় করার ৭টি পরামর্শ!

চুল বড় করে তোলা হয়তো সময়ের ব্যাপার। কিন্তু চুলকে সুন্দর, ঝরঝরে আর পরিপুষ্ট অবস্থায় রাখাটা বেশ কঠিন। যাদের চুলের অবস্থা ভলো নয় এবং উস্কোখুস্কো, তারাও চুল বড় করে তুলতে পারেন। তবে কিছু বিষয়ে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমনঃ-


১. শ্যাম্পু বদলে ফেলুনঃ চুলের অবস্থা বাজে হলে শ্যাম্পু বদলে দেখুন পার্থক্য হয় কিনা। অনেকের চুলে সব শ্যাম্পু স্যুট নাও করতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু বদলানোর কারণে চুলের চেহারা বদলে যায়। এভাবে বার বার শ্যাম্পু বদলে চুলের জন্য মানাসসই শ্যাম্পু খুঁজে নিতে পারেন।

২. তাপ এড়িয়ে চলুনঃ শুকনো আর ফাটা চুল বড় করতে হলে তাপ এড়িয়ে চলতে হবে। চুল আয়রন করবেন না। স্ট্রেইট করা থেকে আপাতত বিরত থাকুন। চুল বড় করে তারপর একটি ব্যবস্থা করা যাবে।

৩. ভিটামিন খানঃ যদি চুলের জন্য প্রতিদিনই মাল্টিভিটামিন খেয়ে থাকেন, তার সঙ্গে যোগ করুন ফোলিক এসিড ও বায়োটিন। এতে মাথার খুশকি দূর হবে এবং স্কাল্পের ত্বক পরিপুষ্ট মনে হবে।

৪. হেয়ারকাটঃ একটি সুন্দর পছন্দের চুলের কাট দিয়ে দিন। সেই চুলটিকে বড় করতে থাকুন। কোনো কাটিং ছাড়া এমন শুকনো চুল দেখতেও ভালো লাগে না। তাই একটি সুন্দর হেয়ারকাট দিয়ে চুল বড় করুন।

৫. হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুনঃ চুলের শুষ্কতা দূর করতে হলে তাদে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে মলিনভাব দূর হয়ে যাবে। এ ছাড়া ফাটা চুলও কিছুটা সুস্বাস্থ্য ফিরে পেতে পারে। দুই-তিন দিন পর পরই সাধারণ কন্ডিশনার অথবা সপ্তাহে একদিন ডিপ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।

৬. খাবার বদলে ফেলুনঃ খাবারের ওপর যে চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে তা আমরা প্রায়ই ভুলে যায়। তাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিজপূর্ণ একটি বারগার খাওয়ার আগে চুলের কথা ভেবে দেখবেন। ভিটামিন ই-যুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

৭. পানি খানঃ পানি শুধু দেহকেই সুস্থ রাখে না, চুলের বৃদ্ধির জন্যও বেশ কার্যকর। তাই নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি খান।


[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, December 1, 2014

এইডস ও আমরা!

খোলামেলা আলাপ না করলেই নয়। এখানে ছেলে-মেয়ে বিভেদ নাই। বাঁচতে হলে আলোচনা করতে হবে। অনেক জানা ব্যক্তি আছেন, তাদের দায়িত্ব আমাদের মতো কম জানা মানুষকে বিস্তারিত জানানো।


★ ঘটনা-1
-দোস্ত, চল।
-কোথায় যাবি?
-আরে চল না!! এতো প্রশ্ন কেন?
মজা নিবি মামা, এমন মজা লাইফে পাস নাই। নিজে নিজে আর কতো! এবার আসল মজা। ৫০০টাকা সাথে নিস।
-কেন? ৫০০ টাকা কেন??
-আরে, নিস, এতো কেন কেন করিস না।
দুইজন মিলে গেলো এক প্রস্টিটিউট মহলে।
সেখানে গিয়ে কি করলো, সেটা নাই বললাম।

★ ঘটনা-2
তরিকুল গেলো ওষুধের দোকানে। লক্ষ্য- কনডম কিনবে। কিন্তু পকেটে টাকা সামান্যই। দেখলো- ১০০ টাকার, ৭০ টাকার, ৫০ টাকার, ২০ টাকার প্যাকেট। ৬.৫ টাকা পার পিস দামের কনডমও দেখতে পেলো। সে নিলো ৬.৫ টাকারটা। এসবের দামের যে পার্থক্য- বুঝাই যায়, মানের কি গরমিল। এগুলোও আজকাল সেফ নয়।

★ ঘটনা-3
মেসে থাকে সাজিদ। বারান্দায় হাঁটার সময় দেখে- পাশের রুমের ছেলেটি সিরিঞ্জ হাতের চামড়ার ভেতর ঢুকাচ্ছে। মুখের এক্সপ্রেশনে কি যে মজা পাচ্ছে, সেই জানে!
কলেজ লেভেলের ভালো ছাত্র সাজিদ ভার্সিটিতে রেজাল্ট করলো খারাপ। ব্যস। মাদক গ্রহণ শুরু। সিরিঞ্জ-ইঞ্জেকশনের পর্যায় আসতেও সময় লাগলো না। যা দেখে একসময় ঘৃণা হতো সেটা ছাড়া তার পক্ষে যেন বেঁচে থাকাই সম্ভব না।

•••► অনিরাপদ যৌন মিলন বাড়ছেই। এসব এইডসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণে। বাংলাদেশের তরুন সমাজে ৮০% অবৈধ যৌনমিলন হয় আবাসিক হোটেলে।
•••► নিরাপদে কনডম ব্যবহার লোপ পাচ্ছে। যেটি এইডস ছড়াতে ওস্তাদ।
•••► শিরায় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে যারা মাদক গ্রহন করে তাদের ৭০% এর শরীরে এইচআইভি এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
•••► দেশে সমকামীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখে পৌঁছেছে। নারী-পুরুষের চেয়ে এদের এইডস ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
•••► এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেলুনে একই ব্লেড দিয়ে ৮-১০ জনের শেভিং এর কাজ চালানো হয়। শহরে যদিও শেভিং এ আলাদা ব্লেড ব্যবহার করা হয়, কিন্তু চুল কাটার পর এলপাতারি ভাবে লেগে থাকে সামান্য চুল চাঁছার জন্য একটা কমন ব্লেডই ব্যবহার করে নাপিতরা। এটা সবার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।

যাই হোক, এভাবে বললে, বলে শেষ করা যাবে না। ধর্মীয় জ্ঞান
থাকলে এসব নিয়ে ভাবতে হতো না, যেটা আমাদের মধ্যে একেবারেই নেই।

★ এইডস প্রতিরোধে করণীয়:
•••► ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এইডস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুশাসন মেনে চলতে হবে। বিবাহপূর্ব যৌন সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু বিশ্বস্ত একজন স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখতে হবে। একাধিক
যৌনসঙ্গী পরিহার করতে হবে।

সূরা নূর-এর ৩০ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, "মোমেনদেরকে বল, তারা যেন তাদের নজর সংযত রাখে, তাদের যৌনাঙ্গের সংরক্ষণ করে। এটা তাদের জন্য মঙ্গল।"

ইসলামে সমকামিতাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সূরা আরাফ’র ৮২ নাম্বার আয়াতে "সমকামীদের সীমা লংঘনকারী কওম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।"
•••► যৌনসঙ্গীর এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে, অথবা নিয়মিত ও সঠিকভাবে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
•••► শরীরে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রহণের প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে, সে রক্ত বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এইচআইভি নেই।
•••► একবার ব্যবহার করা যায় এমন জীবাণুমুক্ত সুচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
•••► পুনরায় ব্যবহার যোগ্য সুচ, সিরিঞ্জ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পূর্বে নিশ্চিত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
•••► দেখা গেছে, যৌনরোগ বা প্রজনন তন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কারও যৌনরোগ বা প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ থাকলে দ্রুত চিকিত্সা করাতে হবে।

এইডস সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে প্রতিরোধমূলক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

এইডসের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। এর যে চিকিত্সা বের হয়েছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাছাড়া এ চিকিত্সা শুধু এইডস হওয়ার সময়কে বিলম্বিত করে। এইডস পুরোপুরি নিরাময় করে না।

তাই এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো এইডস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা এবং সে অনুযায়ী সচেতন হয়ে নিরাপদ জীবনযাপন করা। এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

শহরে HIV-AIDS সম্পর্কে বিস্তারিত (১০০%) জানেন ৩৩% মানুষ। আর গ্রামে এই পরিমাণ মাত্র ১৯% এইডস যেভাবে ছড়াচ্ছে, আমাদের সকলের সতর্কতার জন্য, মুক্ত আলোচনা একান্তই প্রয়োজন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

ব্রেস্ট ক্যান্সারঃ প্রাথমিক চেকআপ নিজেই করুন!

ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার, আমাদের দেশের মহিলাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় ক্যান্সার। সাধারণত যেসব মহিলাদের বয়স ৪৫ এর উপরে তারাই বেশি এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক ধাপ মাসটেকটমি (Mastectomy) সার্জারির মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব হলেও যদি আক্রান্ত হওয়ার অনেক পরে ক্যান্সার ধরা পরে তাহলে অধিকাংশ সময়ই এই ক্যান্সারের চিকিৎসা সফল হয়না। এর পিছনে মূলত যেই কারণ গুলো আছেঃ


১) স্তন ক্যান্সার হওয়ার একটি লক্ষণ হল ব্রেস্ট লাম্প (Breast Lump)স্তনে যদি গোটা বা চাকার মত থাকে সেটিই ব্রেস্ট লাম্প। আক্রান্তদের অধিকাংশই জানেন না তাদের এই গোটা রয়েছে। যতদিনে তারা এটি লক্ষ্য করেন, ততদিনে হয়তো অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে!
২) ব্রেস্ট লাম্প লক্ষ্য করার পরেও অনেক মহিলা লজ্জা পেয়ে বা এটিকে গুরুত্বপূর্ন মনে না করে ডাক্তার দেখান না।

নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করার পদ্ধতি (BSE-Breast Self Examination) পুরো বিশ্বেই এখন পরিচিতি পেয়েছে। এই পদ্ধতিতে নিজের বাসায় বসেই আপনি পরীক্ষা করতে পারবেন আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার আশংকা আছে নাকি। নিয়মিত যদি আপনি এই পরীক্ষা করে থাকেন তাহলে প্রাথমিক ধাপেই আপনি সচেতন হবেন স্তন ক্যান্সারের ব্যাপারে। 

জেনে নিন কিভাবে বাসায় বসেই নিজের চেকআপ করবেনঃ

১ম ধাপঃ
প্রথমেই আয়নার সামনে সোজা হয়ে দাড়ান। এ সময় কাধ সোজা থাকবে এবং দুই হাত কোমরের উপরে রাখুন।
আপনার স্তন লক্ষ্য করে দেখুন। দেখুন দুইটি স্তনই সাধারণ আকার, আকৃতির এবং রঙের নাকি। এটিও লক্ষ্য করুন স্তন দুইটি ফোলা ভাব ও কোন রকম বিকৃতি ছাড়া সমান আকৃতির নাকি।
খেয়াল করুন আপনার-
✭ স্তনে টোল পড়েছে/ ফুলে গিয়েছে/ কুঞ্চিত হয়েছে নাকি
✭ স্তনবৃন্তের জায়গা সরে গিয়েছে নাকি
✭ স্তনবৃন্ত ভেতরে ঢুকে গিয়েছে নাকি
✭ স্তনে র‍্যাশ/ লাল দাগ/ ঘা হয়েছে নাকি উপরের কোনটি ধরা পড়লে ডাক্তার দেখান।

২য় ধাপঃ
এবার হাত দুইটি উপরের দিকে তুলে প্রথম ধাপে যা লক্ষ্য করেছেন আবার তা লক্ষ্য করুন। আয়নার দিকে লক্ষ্য করে দেখুন স্তনবৃন্ত থেকে রস পড়ছে বা পড়তে পারে নাকি। এ রস পানি জাতীয়/ হলুদ রঙের/ দুগ্ধপূর্ণ বা রক্তও হতে পারে।

৩য় ধাপঃ
এবার শুয়ে পড়ুন এবং ডান হাত দিয়ে বাম স্তন ও বাম হাত দিয়ে ড়ান স্তন অনুভব করুন। আপনার হাতের কয়েকটি আঙ্গুল সমান করে বৃত্তাকার গতিতে স্তনের উপর হাল্কা চাপ দিয়ে ঘুরিয়ে দেখুন। পুরো স্তন এভাবে আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন। স্তনবৃন্ত থেকে শুরু করলে আপনি প্রথমে বৃন্তের চারপাশে ছোট করে বৃত্ত তৈরী করুন এবং ক্রমান্বয়ে বৃত্তের আকার বাড়াতে থাকুন ও পুরো স্তন এভাবে চেক করুন। এরপর আপনার কন্ঠাস্থি থেকে শুরু করে তলপেটের আগ পর্যন্ত এবং বগল থেকে শুরু করে স্তনসংকট পর্যন্ত সব জায়গায় বৃত্তাকার গতিতে আঙ্গুল ঘুরিয়ে দেখুন। আপনার এই বৃত্তাকার গতিতে পরীক্ষা করার সময় বুকের সব কলা/টিস্যু(Tissue) অনুভব করতে ভুলবেন না। যখন বুকের উপরে পরীক্ষা করবেন তখন হাল্কা চাপ দিবেন, বুকের মাঝের টিস্যু অনুভব করার জন্য মাঝারি চাপ এবং বুকের নিচের টিস্যু অনুভব করার জন্য দৃঢ় চাপ দিবেন।

৪র্থ ধাপঃ
৩য় ধাপে স্তন যেভাবে পরীক্ষা করেছেন এই ধাপেও সেভাবে পরীক্ষা করবেন কিন্তু এবার বসে বা দাঁড়িয়ে আপনাকে পরীক্ষা করতে হবে। এই পরীক্ষা করার সময় স্তন ভেজা থাকলে সুবিধা হয়। তাই যদি পারেন স্নান করার সময় পরীক্ষাটি করবেন।

আপনার যদি ব্রেস্ট লাম্প হয়ে থাকে এই পরীক্ষার মাধ্যমে তা ধরা পরবে। যদি লাম্প ধরা পরে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন। নিয়মিত এই পরীক্ষা করুন, আপনার কাছের সবাইকেও করতে বলুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]