Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Wednesday, April 23, 2014

গরমের স্বাস্থ্য সমস্যাঃ হিটস্ট্রোক!

গরমের দিনে স্বাস্থ্যগত যে সকল সমস্যা ঘটে তাদের অন্যতম ভয়াবহ হচ্ছে হিটস্ট্রোক। হিটস্ট্রোক মৃত্যুর কারণও হয়ে যেতে পারে।


✬ হিটস্ট্রোক কী?
প্রচন্ড গরমে তাপমাত্রা মানুষের সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করলে (সাধারণত ১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে) মানুষ হঠাৎ যে স্বাস্থ্যগত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় তাকে বলা হয় হিটস্ট্রোক। এ অবস্থায় মানুষের শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

✬ যাদের হিটস্ট্রোক হতে পারেঃ 
১. প্রচন্ড গরমে যে কোন সময় যেকোন মানুষের হিটস্ট্রোক হতে পারে।
২. যাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম (যেমন- শিশু, বৃদ্ধ) তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
৩. বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি, যাদের শরীর খুব দুর্বল তারাও বিভিন্ন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে।
৪. বেশ কিছু ঔষধ গ্রহণ (প্রস্রাব বাড়ানোর, বিষন্নতার এবং মানসিক রোগের) হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. প্রচন্ড গরমে এবং রৌদ্রে যারা কায়িক শ্রম বেশি করেন, তারা হিটস্ট্রোকে বেশি আক্রান্ত হন।

✬ লক্ষণঃ
১. শরীর প্রচন্ড ঘামতে শুরু করে হঠাৎ ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া।
২. নিঃশ্বাস দ্রুত হওয়া।
৩. নাড়ির অস্বাভাবিক স্পন্দন হওয়া অর্থাৎ হঠাৎ ক্ষীণ ও দ্রুত হওয়া।
৪. ত্বক দ্রুত শুল্ক ও লালাভ হয়ে যাওয়া।
৫. শরীরের তাপমাত্র ১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যাওয়া।
৬. হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়া।
৭. হঠাৎ করে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া।
৮. হঠাৎ শরীরে খিঁচুনি হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, ব্যবহারে অস্বাভাবিকতার প্রকাশ, দৃষ্টিভ্রম হওয়া, কথা-বার্তায় অসংলগ্ন হওয়া।

✬ প্রতিরোধের উপায়ঃ
সর্ব প্রকার প্রচন্ড গরম থেকে দূরে থাকা কিংবা সহনীয় তাপমাত্রায় থাকাই হিটস্ট্রোক প্রতিরোধের উত্তম উপায়। এছাড়াও-
১. গরমে হালকা ও ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করা।
২. যথাসম্ভব ছায়ামুক্ত স্থানে থাকা।
৩. পানিসহ প্রচুর তরল পানীয় পান করা।
৪. প্রচন্ড গরমে কাজের ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রাম নেয়া ও পানি পান করা।

✬ হিটস্ট্রোকে করণীয়ঃ
১. হিটস্ট্রোকের পূর্বে বিভিন্ন লক্ষণসমেত প্রথমে হিট এক্সপ্রেশন দেখা দেয় এবং সে অবস্থাতে রোগীকে শীতল পরিবেশে এনে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়।
২. আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত শীতল স্থানে স্থানান্তর করতে হবে।
৩. আক্রান্ত ব্যক্তির গায়ের কাপড় ঢিলে করে দিতে হবে এবং যথাসম্ভব খুলে নিতে হবে।
৪. সর্বোপরি দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, April 22, 2014

কিশমিশের উপকারিতা!

✬  রক্তশূন্যতা দূর করে:- রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা, বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যতে পারে; এমনকি, বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে। কিশমিশে আছে, প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।


✬  হাড়ের জন্য উপকারিঃ- 
বর্তমানে সময়ে অনেক রুগী অস্টিওপরোসিস (হাড়ের একধরনের রোগ) আক্রান্ত হচ্ছেন। বোরন নামক খনিজ পদার্থের অভাবে এই রোগ হয়। কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণ বোরন, যা অস্টিওপরোসিস রোগের প্রতিরোধক।

✬ এসিডিটি কমায়:- 
রক্তে অধিক মাত্রায় এসিডিটি (অম্লতা) বা টক্সিসিটি (বিষ উপাদান) থাকলে, তাকে বলা হয়, এসিডোসিস। এসিডোসিসের (রক্তে অম্লাধিক্য) কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ ও ক্যান্সার হতে পারে। কিশমিশ রক্তের এসিডিটি কমায়।
কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণে

✬ আঁশ:- 
খাবারে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকলে কোলোরেক্টারাল ক্যান্সার ঝুঁকি কমে যায়। এক টেবিল চামচ কিশমিশ ১ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে।

✬ চোখের জন্য উপকারিঃ- 
আপনি কি জানেন, প্রতিদিন কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়? কিশমিশে আছে প্রচুর পরিমাণ, এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।

✬ কিশমিশে আছে এন্টি কোলেস্ট্রোরেল উপাদান:- 
কিশমিশে কোন কোলেস্ট্রোরেল নাই--এটাই বড় কথা না। বরং কিশমিশে আছে এন্টি-কোলোস্ট্রোরেল উপাদান যা রক্তের খারাপ কোলোস্ট্রোরেলকেহ্রাস করতে সাহায্য করে। কিশমিশের দ্রবণীয় আশ, লিভার থেকে কোলোস্ট্রোরেল দূর করতে সাহায্য করে। এক কাপ কিশমিশে আছে ৪ গ্রাম পরিমাণ দ্রবণীয় আঁশ।পলিফেনল নামক এন্টি-অক্সিডেন্টও কোলোস্ট্রোরেল শোষণকারী এনজাইমকে নিয়ন্ত্রণ করে।

✬ মস্তিষ্কের খাদ্য:- 
কিশমিশের মধ্যে থাকা বোরন খনিজ পদার্থটি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। বোরন মস্তিষ্কের কি উপকার করে? এটা মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে, হাত ও চোখের মধ্যে সমন্বয়কে বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

✬ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:-

কিশমিশ শুধুমাত্র রক্তের মধ্যে থাকা বিষোপাদান কমায় তাই না, বরং রক্তচাপও কমায়। কিশমিশের প্রধান উপাদান, পটাশিয়াম, রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ। কিশমিশ শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

[[ আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ। ]]

Tuesday, April 15, 2014

শসা খাবেন ১৪ কারণে ...!

সারা বিশ্বে আবাদ হওয়ার দিক থেকে ৪ নম্বরে রয়েছে যে সবজিটি, সেটি হলো শসা। শসার রয়েছে হরেক গুণ। রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণসহ নানা উপযোগিতা আছে এই সহজলভ্য সবজির।


শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা। আসুন, একবার নজর বোলাইঃ-

 
১. দেহের পানিশূন্যতা দূর করেঃ 

ধরুন আপনি এমন কোথাও আছেন, যেখানে হাতের কাছে পানি নেই, কিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে।কারণ, শসার ৯০ শতাংশই পানি।

২. দেহের ভেতর-বাইরের তাপ শোষকঃ

কখনো কখনো আপনি শরীরের ভেতর-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন। এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন।

৩. বিষাক্ততা দূর করেঃ- 

শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।

৪. প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করেঃ- 

পরতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।

৫. ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারীঃ- 

শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়।

৬. হজম ও ওজনহ্রাসে সহায়কঃ- 

শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যাঁরা দেহের ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করবে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা স্যুপ ও সালাদে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর হয়।

৭. চোখের জ্যোতি বাড়ায়ঃ- 

সৌন্দর্যচর্চার অংশ হিসেবে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন।এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে।চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।

৮. ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করেঃ-
 

শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল—এ তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে। জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এই তিন উপাদানের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখেঃ-
 

ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১০. মুখ পরিষ্কার রাখেঃ- 

দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমণে আক্রান্ত মাড়ির চিকিৎসায় শসা দারুণ কাজ করে। গোল করে কাটা এক স্লাইস শসা জিহ্বার ওপরে রেখে সেটি টাকরার সঙ্গে চাপ দিয়ে আধা মিনিট রাখুন। শসার সাইটোকেমিক্যাল এর মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে আপনার মুখের জীবাণু ধ্বংস করবে। সজীব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস।

১১. চুল ও নখ সতেজ করেঃ-
 

সার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

১২. গেঁটেবাত থেকে মুক্তিঃ- 

শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেহের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

১৩. মাথাধরা থেকে নিষ্কৃতিঃ- 

ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের মাথা ধরে। শরীর ম্যাজম্যাজ করে। শসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার আছে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এ সমস্যা থাকবে না।

১৪. কিডনি সুস্থ রাখেঃ-
 

শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখে শসা। এতে কিডনি থাকে সুস্থ ও সতেজ।

                                  [আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Monday, April 14, 2014

ডিম নিয়ে ১০ টি মহা মূল্যবান টিপস!




=> ডিম কড়া সিদ্ধ খাবার চাইতে আধা সিদ্ধ বা পানি পোঁচ খাওয়ান বাচ্চাদের। এতে পুষ্টি বেশি পাওয়া যাবে।
=> অনেক সময়েই ডিমের খোসা ছিলতে গেলে ভেঙ্গে যায় ডিম, খোসার সাথে সাদা অংশটাও
উঠে আসে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে এক চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দেবেন ডিম সিদ্ধ এর পানিতে।

=> ডিমের সরু অংশটা উপরের দিক করে ডিম রাখুন কেসের মাঝে। ডিম ভালো থাকবে অনেকদিন।
=> অমলেট করার সময় সামান্য একটু দুধ মিশিয়ে দিতে পারেন। অমলেট নরম আর ফুলকো হবে।
=> রুক্ষ চুলের জন্য ডিম অসাধারণ এক প্রোটিন প্যাক। কেবল ফেটিয়ে নিয়ে চুলে মাখুন। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
=> ডিমের সমস্ত ক্যালরির বেশিরভাগ থাকে তার কুসুমে। একটা ডিমের সাদা অংশে মাত্র ৫০ ক্যালোরি।

=> চুনের পানিতে ডিম চুবিয়ে রাখলে ডিম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। ফ্রিজে রাখলে থাকে আরও বেশিদিন।
=> ডিম পোঁচ করার সময় তেলের মাঝে আগে একটু লবণ দিন, তারপর ডিম। তাহলে আর প্যানে লেগে যাবে না।
=> সিদ্ধ ডিম তেলে ভাজার সময় কাঁটা চামচ দিয়ে কেঁচে নিন। নাহলে ফুটে উঠে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
=> আগুনে পুড়ে গেলে সাথে সাথে ডিমের সাদা অংশ লাগিয়ে দিন। আরাম তো হবেই, ফোসকা পড়বে না এবং দ্রুত সেরেও যাবে।


[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Sunday, April 13, 2014

চোখের যত্নে প্রয়োজনীয় কিছু টিপস!

চোখ আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। চোখের মূল্য যারা অন্ধ তারা খুব ভালো করেই বুঝতে পারেন। কিন্তু আমরা যারা বেশ ভালো ভাবে দেখতে পাই তারা বেশিভাগ সময়েই চোখের যত্ন নেই না। অবহেলা করি অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু এই কাজটি একেবারেই উচিৎ নয়। আমাদের চোখের যত্নে অনেক বেশি সচেতন হওয়া জরুরী।


চলুন তবে দেখে নেয়া যাক চোখের যত্নে জরুরী দৈনন্দিন কিছু টিপসঃ
✬  চোখকে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সব সময় সাথে রাখুন সানগ্লাস। বিশেষ করে এই মৌসুমে। যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই বাইরে বেরুলে সানগ্লাস পরবেন।
✬  যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তারা ঘরে এসেই প্রথমে লেন্স খুলে ফেলবেন। যতোটা কম পারা যায় কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করুন। চশমা ব্যবহারে আগ্রহী হোন।
✬  ৩ বেলা চোখে পানির ঝাপটা দেয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে চোখ ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন। এতে বাইরের ধুলো বালিতে মিশে থাকা রোগজীবাণু দূর হবে।
✬  প্রতিদিন অন্তত ১ বার চোখের ওপরে ঠাণ্ডা পানি ভেজানো কাপড় ১০-১৫ মিনিট দিয়ে রাখবেন। এতে চোখের কর্নিয়া সুস্থ থাকবে।
✬  সম্ভব হলে চোখে কাজল দেয়া থেকে বিরত থাকুন। গরম কালে কাজল গলে চোখের ভেতরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় যা চোখের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
✬  মেয়েরা ঘরে ঢোকা মাত্র চোখের মেকআপ তুলে ফেলবেন। বেশি জোরে ঘষে চোখের মেকআপ তুলবেন না। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাহায্য আলতো করে চোখের মেকআপ তুলুন।
✬  ঘুমানোর আগে চোখে ভালো কোনো ব্র্যান্ডের এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ক্রিম বা সেরাম অথবা জেল ব্যবহার করুন।
✬  চোখের যে কোনো সমস্যায় অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

যারা বেশি মানসিক পরিশ্রম করেন, অনিয়মের মধ্য দিয়ে দিন কাটান, অনিদ্রা কিংবা রক্ত স্বল্পতায় ভোগেন তারাই চোখের নিচে কালি বা চোখের চারধারে বলিরেখা এই সমস্যায় আক্রান্ত হন।

এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পেতেঃ-
✬  আলু কিংবা শসার টুকরো চোখের ওপর দিয়ে ১০ মিনিট চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। ক্লান্তি কাটবে। চোখের তলায় কালি থাকলে দূর হবে।
✬  যখন তখন চোখে হাত দিবেন না ও অযথা চোখ ঘষবেন না। ময়লা থেকে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘষাঘষিতে চোখের নরম ত্বকে বলিরেখা পড়ে।
✬  তুলসি পাতাবাটা ও চন্দনবাটা গোলাপ পানি দিয়ে মিশিয়ে চোখে লাগান।
✬  ঠান্ডা টি-ব্যাগ চোখের পক্ষে আরামদায়ক।
✬  ভিটামিন এ এবং ডি যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গাজর, বিট, পেঁপে, ইত্যাদি পুষ্টিকর শাক-সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
✬  সাজগোজের সময় ভালো ব্র্যান্ডের মেকআপ ব্যবহার করা উচিত। এভাবে রূপচর্চা চালিয়ে গেলে গরমেও আপনার ত্বক থাকবে সুন্দর।

চোখের যত্নে দরকার পুষ্টিকর খাবার কোন ধরনের খাবার কেন প্রয়োজনঃ
✬  ভিটামিন-এ হলো চোখের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান। ভিটামিন-এ চোখের বিভিন্ন অংশের আবরণকে রক্ষা করে। এর অভাবে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। চোখের কালো রাজায় ঘা হয় এবং পরে চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
✬  ভিটামিন-এর সঙ্গে ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ইর প্রয়োজনীয়তা আজ প্রমাণিত। এদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বলা হয়। এসব ভিটামিন বয়সজনিত চোখের দৃষ্টিক্ষয় অনেকাংশে রোধ করে।
✬  প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাদ্যের অভাবে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়, ফলে চোখ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়।
✬  গ্রামাঞ্চলে অনেক শিশুই ভিটামিন-এর অভাবজনিত অন্ধত্বে ভুগছে। এ ছাড়া ভিটামিন-এর অভাবে চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ রেটিনা নষ্ট হয়ে যায় বলে প্রথমে রাতকানা ও পরে শিশু স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

কী করবেন?
✬  ভিটামিন-এর অভাব জনিত চোখের রোগ শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। শিশুর জন্মের পর মায়ের দুধই তার জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার। মায়ের দুধে প্রয়োজনীয় সব খাদ্য-উপাদান থাকে বলে ভিটামিন-এর অভাবজনিত অন্ধত্ব এসব শিশুর অনেক কম হয়।
✬  ছোটবেলা থেকেই শিশুকে সুষম খাদ্যে অভ্যস্ত করতে হবে।
✬  ছোট মাছ, পাকা ফল, শাকসবজিতে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। শিশুকে এসব খাবারে অভ্যস্ত হতে হবে।
✬  জ্বর ও পাতলা পায়খানা হলে প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইন ও সুষম খাদ্য দেওয়া প্রয়োজন, যেন শরীরে ভিটামিন ও লবণের ঘাটতি না হয়।
✬  শিশু রাতে ঝাপসা দেখলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
✬  চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন-এ সময় মতো খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, ভিটামিন-এর অভাবজনিত অন্ধত্ব শুধু সুষম খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেই প্রতিরোধ করা যায়। এর জন্য প্রয়োজন প্রচার ও জনসচেতনতা।

                            [আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Saturday, April 12, 2014

জন্ডিস রোগের কারণ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে জানুন!

জন্ডিস কি?
জন্ডিস আসলে কোন রোগ নয়, এটি রোগের লক্ষণ মাত্র। চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়াকে আমরা জন্ডিস বলে থাকি। জন্ডিসের মাত্রা বেশি হলে হাত, পা এমনকি সমস্ত শরীরও হলুদ হয়ে যেতে পারে। জন্ডিসের কারনে মৃত্যু হয় কিনা তা নির্ভর করে জন্ডিসের ভয়াবহতার উপর। জন্ডিসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে লিভার আক্রান্ত হয়। সুতরাং জন্ডিসকে কখনোই হেলাফেলা করা উচিত নয়।

জন্ডিস কেন হয়?
আগেই যেমনটি বলেছি, রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। আমাদের রক্তের লোহিত কণিকাগুলো একটা সময়ে স্বাভাবিক নিয়মেই ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে যা পরবর্তীতে লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সাথে পিত্তনালীর মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে। অন্ত্র থেকে বিলিরুবিন পায়খানার মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিলিরুবিনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে রক্তে বিলিরুবিন বেড়ে যায় আর দেখা দেয় জন্ডিস।


জন্ডিসের লক্ষণঃ
জন্ডিস হলে চোখ হলুদ হয়। তবে হেপাটাইটিস রোগে জন্ডিসের পাশাপাশি ক্ষুদামন্দা, অরুচি, বমি ভাব, জ্বর জ্বর অনুভূতি কিংবা কাঁপানি দিয়ে জ্বর আসা, মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। এ সব উপসর্গ দেখা দিলে তাই অবশ্যই একজন লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসক শারীরিক লক্ষণ এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জন্ডিসের তীব্রতা ও কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।


এই ভয়ানক প্রচলিত রোগের কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে আজ আপনাদের জানানো হলোঃ-

                      

জন্ডিসের কারণঃ

লিভারের রোগ জন্ডিসের প্রধান কারণ। আমরা যা কিছুই খাই না কেন তা লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়। লিভার নানা কারণে রোগাক্রান্ত হতে পারে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাসগুলো লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি হয় যাকে বলা হয় ভাইরাল হেপাটাইটিস। আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বেই জন্ডিসের প্রধান কারণ এই হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলো। তবে উন্নত দেশগুলোতে অতিরিক্ত মধ্যপান জন্ডিসের একটি অন্যতম কারণ।

এছাড়াও অটোইমিউন লিভার ডিজিজ এবং বংশগত কারণসহ আরও কিছু অপেক্ষাকৃত বিরল ধরনের লিভার রোগেও জন্ডিস হতে পারে। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়ও অনেক সময় জন্ডিস হয়। তাছাড়াও থ্যালাসিমিয়া ও হিমোগ্লোবিন ই-ডিজিজের মতন যে সমস্ত রোগে রক্ত ভেঙ্গে যায় কিংবা পিত্তনালীর পাথর বা টিউমার এবং লিভার বা অন্য কোথাও ক্যান্সার হলেও জন্ডিস হতে পারে। তাই জন্ডিস মানেই লিভারের রোগ এমনটি ভাবা ঠিক নয়।

রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে যেসব কারণ জানা গেছে তা জেনে নিইঃ 
১. লিভার প্রদাহঃ লিভার প্রদাহে বিলিরুবিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে জন্ডিস সৃষ্টি হয়।
২. পিত্তনালীর প্রদাহঃ পিত্তনালীর প্রদাহে বিলিরুবিন শোষণ ব্যাহত হয়। ফলে বিলিরুবিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৩. পিত্তনালীর ব্লকঃ পিত্তনালীতে ব্লক হলে লিভার বিলিরুবিন সরাতে ব্যর্থ হয়। বেড়ে যায় জন্ডিসের সম্ভাবনা।
৪. গিলবার্ট’স সিন্ড্রোমঃ এই অবস্থায় এনজাইমের কার্যক্ষমতা কমে যায়। এরফলে পিত্তের রেচনতন্ত্রে সমস্যা হয় এবং বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
৫. ডুবিন –জনসন সিন্ড্রোমঃ এই বংশগত রোগে লিভার থেকে বিলিরুবিন শোষণ হতে বাঁধা দেয়। ফলশ্রুতিতে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

জন্ডিস প্রতিরোধের উপায়ঃ 

চিকিৎসা সাধারণত নির্ভর করে ঠিক কি কারণে জন্ডিস হলো তাঁর উপর। তবে জন্ডিস থেকে বেঁচে থাকতে আমাদের কিছু করণীয় আছে। জন্ডিস প্রতিরোধে সে সম্পর্ক জেনে নেওয়া ভালোঃ

১. হেপাটাইটিস এ ও ই খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আর বি, সি এবং ডি দূষিত রক্ত, সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সবসময় বিশুদ্ধ খাদ্য ও পানি খেতে হবে। শরীরে রক্ত নেয়ার দরকার হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করাটাও খুবই জরুরী।
২. মদ্য পান থেকে বিরত থাকুন।
৩. কল কারখানার রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকুন।
৪. নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. ব্যবহারকৃত ইনেকশন কিংবা নাক – কান ফোঁড়ানোর সুই ব্যবহার করবেন না। যারা সেলুনে সেভ করেন, তাঁদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আগে ব্যবহার করা ব্লেড বা ক্ষুর আবারও ব্যবহার করা না হয়।
৬. নিরাপদ যৌনমিলন করুন।
৭. হেপাটাইটিস এ এবং বি হওয়ার আশংকা মুক্ত থাকতে হেপাটাইটিস এ এবং বি এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।


জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রেই মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। 


                                 [আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

Friday, April 11, 2014

এলাচের উপকারিতা!

এলাচকে বলা হয় মসলার রানী। এলাচ সুগন্ধিযুক্ত একটি মসলা। খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এলাচ। রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়া ও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা।


নিচে এলাচের উপকারিতা তুলে ধরা হলো :

✬ আপনি কি মুখের দুর্গন্ধ, মাঢ়ি দিয়ে রক্তপাত অথবা দাঁত ক্ষয় হওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে কালো এলাচ মুখে নিয়ে চাবাতে পারেন। কেননা এলাচের তেল মুখের সমস্যা দূর করতে কার্যকর একটি ওষুধ।

✬ এলাচ ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। এ জন্য ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়মিত এলাচ খাওয়া উচিত।

✬ শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা হুপিংকাশি, ফুসফুস সংক্রমণ ও অ্যাজমার মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য এলাচ খুবই উপকারী।

✬ মাথাব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতে এলাচ তেলের ব্যবহার করলে সুফল পাওয়া যায়।

✬ এটি অনুভূতি নাশক ও অস্থিরতাকে প্রশমিত করে।

✬ কালো এলাচ হার্ট সুস্থ রাখে, রক্তচাপ ও ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়।

✬ কালো এলাচ হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এ ছাড়া এলাচ রক্তসঞ্চালনে সহায়ক।

✬ এতে থাকে ভিটামিন সি, যা রক্তসঞ্চালন ও ত্বক সমস্যা দূর করে।

✬ রূপচর্চায় এর জুড়ি নেই, রূপচর্চা ও চেহারার কালো দাগ দূর করতে এলাচের জুড়ি নেই।

                             [আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Wednesday, April 9, 2014

পেয়ারার যত গুনাগুণ!

পেয়ারা একরকমের সবুজ রঙের বেরী জাতীয় ফল । তবে অন্যান্য বর্ণের পেয়ারাও দেখতে পাওয়া যায়। লাল পেয়ারাকে (Marroonguava) রেড আপেলও বলা হয়। পেয়ারার বৈজ্ঞানিক নাম Psidiun guajava । পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রভৃতি স্থানে পেয়ারা বেশী জন্মে।


এটি একটি পুষ্টিকর ফল। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় পানি ৮৬.১০ গ্রাম, শক্তি ৫১ কি.ক্যালোরী, প্রোটিন ০.৮২ গ্রাম, আঁশ ৫.৪ গ্রা. ফসফরাস ২৫ মি.গ্রা. সোডিয়াম ৩ মি.গ্রা. ভিটামিন এ ৭৯২ আই ইউ থাকে। তদুপরি পেয়ারাতে ম্যাঙ্গানিজ, সেলিনিয়াম, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩ ইত্যাদি মূল্যবান খনিজ ও ভিটামিন থাকে। রোগ প্রতিরোধে পেয়ারার অনেক গুণ রয়েছে। 
 
নিচে পেয়ারায় উপকারিতা তুলে ধরা হলো
✬ পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়৷ ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ২০০ মি.গ্রাম ভিটামিট ‘সি’ থাকে, যা কমলার তুলনায় পাঁচগুণ বেশি৷ এই ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান।
✬ পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ পয়েন্ট সেক্ষেত্রে পেয়ারার পুষ্টি মূল্যমান ৪২১ পয়েন্ট।

✬ পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক।
✬ পেয়ারায় আছে ভিটামিট ‘এ’ ও ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স৷
✬ আছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন৷
✬ সেই সঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাসিয়াম, আঁশ, ফলিক এসিড ও নিকোট্রিন এসিড প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ৷
✬ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত রাখতে পেয়ার বেশ কাজ দেয়৷
✬ রক্তসঞ্চালন ভাল রাখে ফলে হার্টের রোগীরা পেয়ারা খেতে পারেন৷
✬ নিয়মিত পেয়ার খেলে কোলেস্টোরেলও নিয়ন্ত্রণে থাকে৷
✬ অ্যাজমা, স্কার্ভি, ওবিসিটি ইত্যাদি অসুখের ক্ষেত্রেও পেয়ারা বেশি উপকারী৷
✬ ডায়বেটিস, ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে পেয়ারা৷
✬ কমপ্লেক্স কার্বহাইড্রেট ও ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে৷
✬ পেয়ারা পাতার জুস গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যায় উপকারী৷ কারণ পেয়ারার পাতায় রয়েছে শক্তিশালী এন্টিএক্সিডেন্ট৷

✬ পেয়ারার বীজে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ পলিআন-সেচুরেটেড ফ্যাটি এসিড ও আঁশ বিদ্যমান। 
✬ পেয়ারা পাতার রস ক্যান্সার প্রতিরোধী এবং সংক্রমণ, প্রদাহ, ব্যথা জ্বর, বহুমূত্র, আমাশয় প্রভৃতি রোগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
✬ পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং এর জুস সর্দি কাশি উপশম করে৷
✬ আয়রণ ও ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা কনস্টিপেশান সারানোর জন্য উপকারী৷

✬ বয়সের সঙ্গে জড়িত নানা রোগ যেমন অ্যালজাইমার, ছানি, রিউমেটেড, আথ্রাইটিস প্রতিরোধে পেয়ারা সাহায্য করে৷
✬ এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ পেয়ারা ডিসেনট্র্রি প্রতিরোধ করে৷


[ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য, ধন্যবাদ। ]

Monday, April 7, 2014

কাঁচা মরিচ গুণাগুণ!

প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খান ...
কারন,

প্রতিদিন যাদের ভাতের সাথে একটি কাঁচা মরিচ না খেলে চলেই না তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে কাঁচা মরিচ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মরিচকে ঝাল বানায় এর বিশেষ উপাদান ক্যাপসাইকিন।

কাঁচা মরিচ সাধারণত কাঁচা, রান্না কিংবা বিভিন্ন ভাজিতে দিয়ে খাওয়া হয়। এতে আছে ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।

ঝাল স্বাদের সবজি গুলোতে থাকে বিটা ক্যারোটিন ও আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন ও লুটেইন জিয়াক্সানথিন ইত্যাদি উপাদান। এই উপাদান গুলো মুখে লালা আনে ফলে খেতে মজা লাগে। এছাড়াও এগুলো ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দেখে নিন কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো।

কাঁচা মরিচের স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
✬ গরম কালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা থাকে।
✬ প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।
✬ নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।
✬ কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
✬ কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
✬ নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
✬ কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
✬ কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
✬ কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
✬ নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
✬ প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
✬ কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী।
✬ কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।

তাই ঝালের কারণে একে দূরে সরিয়ে রাখবেন না। প্রতিদিন আমাদের খাদ্য তালিকায় অন্তত ১টি কাঁচা মরিচ সঙ্গী হতেই পারে।

 [[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য, ধন্যবাদ।]]

Sunday, April 6, 2014

ঘাড়, পিঠ ও কোমরের ব্যথার অন্যতম কারণ - মেরুদন্ডের ডিস্ক প্রোল্যাপ্স- !!

মানুষের দেহ কাঠামোর একটি বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে মেরুদন্ড। মেরুদন্ড অনেকগুলি ছোট ছোট হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। এই ছোট হাড় গুলির প্রত্যেকটি কশেরুকা (ভাটিব্রা) নামে পরিচিত। প্রতিদুইটি কশেরুকার মাঝে চাপ শোষনকারী ডিস্ক থাকে যেটি মেরুদন্ডের এক হাড় থেকে অন্য হাড়কে আলাদা রাখে এবং নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
অবস্থানভেদে কশেরুকা গুলো চারটি ভাগে বিভক্ত: ১) সারভাইকেল (গ্রীবাদেশীয়) ২) থোরাসিক (বক্ষদেশীয়) ৩) লাম্বার (কোমরদেশীয়)  ৪) স্যাকরাম (কটিদেশীয়)। প্রতেকটি ডিস্কের ভিতরের অংশ জেলির মতো নরম এবং বাইরের অংশ শক্ত তন্তু দ্বারা গঠিত। ভিতরের অংশকে নিউক্লিয়াস পালপোসাস এবং বাইরের অংশকে অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস বলে। আমাদের বিভিন্ন ধরনের নাড়া-চাড়া ও ভার বহন জনিত চাপকে প্রশমিত করে ডিস্ক।

ডিস্ক প্রোল্যাপ্স:
বাহ্যিক আঘাত, হাড়ের ক্ষয় ও অতিরিক্ত ভাড় বহনের ফলে ডিস্কের মধ্যবর্তী অংশ যখন বাইরে বের হয়ে গিয়ে স্নায়ুমূলে (নার্ভরুটে) চাপ সৃষ্টির ফলে ডিস্ক প্রোলাপ্স জনিত ব্যথা উপন্ন হয়। ডিস্কের অবস্থান ও প্রোল্যাপ্স এর মাত্রার উপর নির্ভর করে ডিস্ক প্রোলাপ্সের জটিলতা। প্রাথমিক অবস্থায় রোগী মেরুদন্ডে ব্যথা অনুভব করে। পরবর্তীতে জটিলতা বাড়তে থাকলে  রোগী হাত বা পায়ে ঝিন ঝিন শিন শিন বা অবশ হওয়া অনুভব করেন। 

ঘাড় ও পিঠ ব্যথা: ঘাড়ে উৎপন্ন ব্যথা ঘাড় নড়াচড়ার সাথে সাথে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। ঘাড় থেকে ব্যথা মাথার দিকে বা শিরদাড়া বেয়ে হাতের দিকে যেতে পারে। ব্যথার সাথে ঘাড়ে বা হাতে জ্বালা-পোড়া, ঝিন-ঝিন, শিন-শিন করতে পারে। অনেক সময় ঘাড়ে উৎপন্ন ব্যথার ফলে রোগী হাত-পা বা আঙ্গুল অবশ হয়ে যেতে দেখা যায়। একপর্যায়ে হাত ও পায়ের কার্যক্ষমতা লোপ পেতে থাকে। সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে চলাফেরা বা দৈনন্দিন কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কোমর ব্যথা: লাম্বার ডিস্ক প্রোলাপ্সের ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা অনুভব হয়। স্বাভাবিক নড়াচড়ায় ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে বা দীর্ঘক্ষণ হাটাহাটি করলে কোমড় ব্যথা বেড়ে যায়। এমনকি হাচি ও কাশির ফলে কোমরে ব্যথা অনুভূত হয়। কোমর থেকে ব্যথা ক্রমশ পায়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ধীরে ধীরে পা প্যারালাইসিস বা অবশ হয়ে যেতে দেখা যায়। পায়ে নিচের দিকে টানটান ভাব, জ্বালা-পোড়া, ঝিন-ঝিন, শিন-শিন ও কামড়ানো অনুভব হতে পারে। ধীরে ধীরে মেরুদন্ড বেকে গিয়ে কুঁজো হয়ে যেতে পারে। চূড়ান্ত পর্যায়ে কোমর ব্যথার ফলে পস্রাব পায়খানা বন্ধ হয়ে রোগী শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। এইভাবে চলতে থাকলে রোগী একপর্যায়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।

চিকিংসা:  ঘাড়, পিঠ ও কোমর ব্যথায় ক্রমাগত ব্যথানাশক খাওয়ার পরিবর্তে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিংসকের শরণাপন্ন হয়ে রোগ নির্ণয় করতে হবে। প্রথমিকভাবে কয়েকটি ফিজিওথেরাপি দিয়েও যখন রোগী আরোগ্য লাভ না করে তখন MRI করে দেখতে হবে ডিস্ক প্রোলাপ্সজনিত কোন সমস্যা আছে কি না? মেরুদন্ডের ডিস্কের চাপ বেশী হলে অপারেশনের মাধ্যমেই সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমানে বিশ্বের অত্যাধুনিক লেজার সার্জারীর মাধ্যমে কাটা-ছেড়াহীন (Percutaneous Laser Disc Decompression -PLDD) চিকিংসা বাংলাদেশে চালু আছে। এর ফলে রোগীকে দীর্ঘমেয়াদী ও জটিল চিকিংসার পরিবর্তে স্বল্প মেয়াদী ও নিরাপদ লেজার চিকিংসায় দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হয়। তাছাড়া যেহেতু লেজার সার্জারীতে রোগীকে অজ্ঞান করতে হয় না তাই ডায়াবেটিস, কিডনী ও হৃদরোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক রোগীরাও এখন ঝুকিহীনভাবে পিএলডিডি চিকিংসা গ্রহণ করতে পারছেন।

খরচ: অত্যাধুনিক লেজার সার্জারীর পিএলডিডি অপারেশনটি US FDA কর্তৃক স্বীকৃত হওয়ায় উন্নত বিশ্বে ব্যাপক পরিচিত। ইউরোপ ও আমেরিকায় এই
চিকিংসাটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল তথাপি বাংলাদেশে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে একমাত্র লেজার সার্জারী এন্ড হাসপাতালে নিরাপদ  PLDD চিকিংসাটি চালু আছে। রোগীদের সন্তুষ্টি ও দ্রুত আরোগ্যের কারণে  PLDD বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই ঘাড়, পিঠ ও কোমর ব্যথায় অবহেলা না করে নিরাপদ চখউউ এর মাধ্যমে দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন।


লেখক: ডা. মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লেজার সার্জারী এন্ড হাসপাতাল

www.LaserHospital.net Phone: +88-01856439001