Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Friday, November 28, 2014

শীতে দ্রুত চুল বৃদ্ধি করার ৪টি পদ্ধতি!

শীতে অনেকেরই চুলে দেখা যায় খুশকি। ফলে চুল পড়ে যায়। চুল যেন খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে সে জন্য নিচে কিছু টিপস দেয়া হল। চলুন জেনে নিইঃ-


নিয়মিত চুল ছাটাঃ 
চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর পর চুল ছাটাই করা উচিত। এতে আপনার চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। শিকড় থেকে যখন চুল বেড়ে ওঠে আস্তে আস্তে নিচের দিকে তা ফেটে যায়। ফেটে যাওয়ার ফলে তা আর বাড়তে পারে না। তাই ধীরে ধীরে তা পড়ে যেতে থাকে। ছাটাইয়ের ফলে চুল প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় এবং দীঘল কালো হয়ে বেড়ে ওঠতে থাকে।

গরম তেল ম্যসেজ করুনঃ 
এক সপ্তাহ পরপর মাথায় গরম তেল ম্যসেজ করলে আপনি অবিশ্বাস্য ফলাফল পাবেন। এতে করে শুধু আপনার চুল বৃদ্ধিই পাবে না বরং আপনার চুলকে করবে ঘন এবং চুল পড়া বন্ধ করবে। আপনার চুলের উপযোগী তেল ব্যবহার করে আপনি পেতে পারেন ভালো ফলাফল।

চুলে প্রোটিন দিনঃ 
ভিটামিন  ক্যাপসুল বাজারে পাওয়া যায়। সপ্তাহে একবার চুলে ভিটামিন  ক্যাপসুল এবং ডিমের সাদা অংশ ম্যাসাজ করলে চুল হয়ে ওঠে আরো ঘন ও উজ্জল। এতে করে চুল গোড়া থেকে হয় শক্ত।

রাতে চুলের যত্ন নিনঃ 
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে অন্তত ৫০ বার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো উচিত। এতে করে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল পড়া বন্ধ করে। চিরুনীর পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Wednesday, November 26, 2014

হার্নিয়া হলে কি করবেন?

হার্নিয়া অতি কমন একটি রোগ। জন্ম থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পয়স পর্যন্ত যে কারও এই রোগ হতে পারে। সাধারণ ভাবে হার্নিয়া হলো পেটের মধ্যস্থ খাদ্যনালী বা অন্য যে কোন অঙ্গ পেটের দুর্বল স্থান দিয়ে বাইরে চলে আসাকে বোঝায়।


হার্নিয়ার কারণ কি কি?
পেট বা এবডোমেন ওয়ালের দুর্বলতাই হার্নিয়ার একমাত্র কারণ। এই দুর্বলতা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন- 
(১) জন্মগত
(২) অপারেশন, আঘাত এবং ইনফেকশন ইত্যাদি।

সবচেয়ে কমন যে হার্নিয়া আমরা পেয়ে থাকি তার মধ্যে (১) ইনগুইনাল হার্নিয়া এবং (২) ইনসিসনাল হার্নিয়া বা অপারেশনের জায়গায় হারনিয়া। এবার আমরা ইনগুইনাল হার্নিয়া নিয়ে আলোচনা করব!

ইনগুইনাল হার্নিয়া কোথায় হয়?
কুচকির মাঝামাঝি ১/২ ইঞ্চি উপরে এই হার্নিয়ার প্রাথমিক অবস্থান।

ইনগুইনাল হার্নিয়ার উপস্বর্গঃ
✭ যে কোন বয়সেই এ রোগ হতে পারে।
✭ বেশির ভাগ রোগীই পুরুষ।
✭ প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীরা বলবে হাঁটা-চলা করলে বা ভারি বস্তু ওঠালে কিংবা হাঁচি-কাশি দিলে আমরা কুচকির ওপরটা গোলাকার মতের মতো ফুলে ওঠে এবং শুয়ে থাকলে এটা চলে যায়। মাঝে মাঝে শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা হয়। কিছুদিন এভাবে চলার পর গোলাকার ফোলাটি ইসক্রুটামে (অন্ডকোষ থলিতে) নেমে আসে এবং শুয়ে থাকলে আপনা আপনি পেটের ভেতর শব্দ করে চলে যায়। এভাবে ফোলাটি বড় হতে থাকে এবং মাঝে মাঝে চাপ দিয়ে ভেতরে ঢোকাতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছতে পারে যে এটি আর চাপ দিলেও পেটের ভেতরে ঢুকছে না। এই পর্যায়ে প্রচন্ড- ব্যথা, বমি এবং পেট ফাঁপা ও পায়খানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই অবস্থাকে ইনটেন্সিটিনাল বা খাদ্য নালীর অবস্ট্রাকশন বলা হয়।

চিকিৎসাঃ
প্রাথমিক ভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কারলে ইনগুইনাল হার্নিয়া অপারেশন ছাড়া ভালো হয়।
তবে শেষ অবস্থায় অপারেশনই হচ্ছে এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা। 


ইনসিসনাল হার্নিয়া/অপারেশনের স্থানে হার্নিয়াঃ
অপারেশনের পর অপারেশনের স্থানে ইনসিসনাল হার্নিয়া দেখা দেয়। রোগী বলবে আমার অপারেশন লাইনটির সম্পূর্ণ স্থানে অথবা আংশিক জুড়ে ফুলে ওঠে। বিশেষ করে হাঁটা-চলা, হাঁচি-কাশি বা ভারি বস্তু উত্তোলন করলে এবং শুয়ে থাকলে দেখা যায় না।

ইনসিসনাল হার্নিয়া কেন হয়?
 ইমারজেন্সি অপারেশন করলে
✭ অপারেশনের জায়গা পেকে গেলে এবং 
 অদক্ষ সার্জন দ্বারা অপারেশন করলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

উপসর্গঃ
ইনসিসনাল হার্নিয়া রোগীর ইনগুইনাল হার্নিয়া রোগীদের মতো একই কম উপসর্গ ও জটিলতা নিয়ে ডাক্তার এর কাছে আসে।

চিকিৎসাঃ
এই ক্ষেত্রে সার্জারিই একমাত্র চিকিৎসা অর্থাৎ অপারেশন ছাড়া সাধারনত ভাল হয় না।

অপারেশনের পর আবার হতে পারে কি না?
অভিজ্ঞ সার্জন দ্বারা অপারেশন করিয়ে নিলে আবার হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, November 24, 2014

পা ঘামা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন!

পা ঘামা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সেই ঘামার মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে আপনার কপালে দুর্ভোগই আছে বলতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম থেকে যে দুর্গন্ধ তৈরি হয় তাতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যেতে পারেন আপনি। তবে আপনি একটু সচেতন হলেই পা ঘামা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


জেনে নিন হাত-পা ঘামার কারণঃ
সাধারণত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে আপনার হাত-পা ঘামতে পারে। এ ছাড়া শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতাও আপনাকে ঘর্মাক্ত করে তোলবে। বংশগতভাবে এ রোগ থাকাও হাত-পা ঘামার কারণ।

কেনো হয় পায়ের দুর্গন্ধ?
পায়ের ঘাম পায়ের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ। ঘেমে যাওয়ার ফলে পায়ে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। একসময় এই ব্যাকটেরিয়া পায়ে আক্রমণ করে। দীর্ঘক্ষণ পা এই অবস্থায় থাকলে পায়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। জুতা- মোজা নিয়মিত না পরিষ্কার করলেও দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে।

রোধ করুন সহজেইঃ
✭ পা সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
✭ বাইরে থেকে এসেই পা ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। পা ধোয়ার পর শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলুন।
✭ মোজা প্রতিদিন ধুয়ে দিন। ধোয়ার পর ভালো মতো শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।
✭ নিয়মিত জুতা পরিষ্কার রাখুন।
✭ চাইলে জুতায় মাঝে মধ্যে পাউডার দিয়ে রাখতে পারেন।
✭ মাঝে মধ্যে জুতা রোদে দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
✭ সম্ভব হলে কয়েক জোড়া জুতা এবং মোজা ব্যবহার করুন।
✭ সুতি মোজা ব্যবহার করলে ভালো কারণ সুতি মোজা ঘাম শুষে নেয়।
✭ বাজারে ঘাম শুষে নেয় এমন জুতাও পাওয়া যায়। চাইলে এমন জুতা ব্যবহার করুন।


[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, November 23, 2014

শরীলে ছৌদ বা ছুলি রোগ কেন হয়?

ছইদ বা ছুলি (Tinea Versicolor) আমাদের দেশে একটি পরিচিত ত্বকের রোগ। সাধারনত জনসংখ্যার ৮-১০% এতে আক্তান্ত হয়ে থাকে, যুব বয়সীরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। গরম এবং আদ্র আবহাওয়া এর জন্য অনুকূল পরিবেশ। হাল্কা চুল্কানি এবং দেখতে খারাপ ছাড়া খুব একটা বেশি জটিলটা এ রোগে হয় না।


✽ কি কারণে হয়?
মেলাসেযিয়া (Malassezia) নামের এক ধরনের ইসট/ছত্রাক (yeast) এর কারন। মেলাসেযিয়া আবার কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। এরা ত্বকে কোন প্রকারে অসুবিধা না করেই পরজীবী হিসেবে অবস্তান করে এবং ত্বক নিঃসৃত তেল ও মৃত ত্বকের কোষকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে। কিন্তু গরম ও ঘর্মাক্ত ত্বকের কারনে এদের অতিরিক্ত ব্রিধি ঘটে, যার কারনে এরা রোগের সৃষ্টি করে।

✽ কোথায় হয়?
শরীরের বুক, পিঠ, গলা এবং হাতে বেশি দেখা দিয়ে থাকে। কোন কোন সময় বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে মুখেও দেখা দিতে পারে। কেমন দেখতে ছোপ ছোপ আকারে গোলাকার কিংবা একসাথে মিশে থাকতে পারে। রং অন্যান্য স্থানের
চেয়ে হাল্কা বা খয়েরি বা গোলাপি হয়। অনেক সময় আঁশের মত আবরন থাকে। সাধারনত যাঁদের ত্বক গাড় বর্ণের তাদের ক্ষেত্রে হাল্কা এবং ফর্শাদের গোলাপি বা খয়েরি রঙের হতে পারে। আক্তান্ত স্থানে হাল্কা চুল্কানি অনভুত হতে পারে।

✽ প্রতিরোধঃ
গরমে শরীরে ঘাম ও তেল নিঃসরিত হয়ে থাকে, যা মেলাসিযিয়ার বংশ বিস্তারে অনুকুল। গোসল এবং সাবান ব্যাবহারের মাধমে ঘাম ও তেল দূর করতে হবে।

✽ চিকিৎসাঃ
এ ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার অনেক কার্যকারী।

মনে রাখবেন এ রোগ ছাড়াও ত্বকের আরও অনেক রোগে একই ধরনের রঙ পরিবরতন হয়ে থাকে, কাজেই সময় মত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করে সুস্থ জীবন জাপন করুন, ধন্যবাদ।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, November 22, 2014

ঘরে বসেই বানিয়ে নিন ক্ষতিকারক রাসায়নিক ছাড়াই হেয়ার রিমুভাল ওয়াক্স!

ক্ষতিকারক রাসায়নিক, হেয়ার রিমুভাল ওয়াক্স অনেকে আছেন হেয়ার রিমুভাল ক্রিম নিয়ে খুঁতখুঁতে। ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ভয়ে ব্যবহার করতে চান না। আবার কর্মব্যস্ততার কারণে সেলুনে যাওয়ার সময় বের করে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে অনেকে সহজ পন্থা হিসেবে শেভিং বেছে নেন।


সচেতন নারীর ক্ষেত্রে এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। বরং, খানিক অবসর মিললে গান শুনতে শুনতে বানিয়ে নিতে পারেন হেয়ার রিমুভাল ওয়াক্স।

নিচে প্রস্তুত প্রনালী দেওয়া হলোঃ
✭ একটি সসপ্যানে কিছু চিনি নিয়ে গরম করতে থাকুন। গলতে শুরু না করা পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। একসময় ক্যারামেলে পরিণত হবে।
✭ এবার এতে কয়েক ফোঁটা মধু ও লেবুর রস দিন। ভালো করে নাড়তে থাকুন। সবকিছু যেন ভালোভাবে মিশে যায়- খেয়াল রাখুন।
✭ যদি বেশি ঘন হয়েছে মনে হয়, তবে সামান্য পানি মিশিয়ে নাড়তে পারেন।
✭ এবার মিশ্রণ তৈরি। চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা রেখে ঠাণ্ডা করুন।
✭ ঠাণ্ডা হলে একটি টিনের কৌটায় সংরক্ষণ করুন। এরপর রিফ্রিজারেটরে রাখুন। ঘরে তৈরি ওয়াক্স ব্যবহারের সুবিধা বাজারের ওয়াক্সের সঙ্গে এর গুণগত অনেক পার্থক্য রয়েছে। উপকারিতাও বেশি।

তেমন কিছু বিষয় জেনে নিনঃ
✭ এটি শুধু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি। যা ত্বককে মোলায়েম ও উজ্জ্বল করে।
✭ ঘরে তৈরি ওয়াক্স ব্যবহারে ত্বকে কোনো ধরনের ফুসকুড়ি বা সংক্রমণের ভয় থাকে না।
✭ এটি অবাঞ্চিত লোম অপসারণের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে।
✭ এটি লোমের বৃদ্ধি হ্রাস করে।
✭ ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা দূর হয়।

ওয়াক্স ব্যবহারের পরের যত্নঃ
✭ ওয়াক্স ব্যবহারের পর সব সময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
✭ ত্বক মুছার জন্য হালকা ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন। এতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে। ত্বক
সহসা শুকাবে না।
✭ ওয়াক্স ব্যবহারের পরপরই সূর্যালোকে বের হবেন না। যদি বের হতেই হয়, তবে শরীর ঢেকে বের হন।
✭ ওয়াক্স ব্যবহারের পর গরম পানিতে গোসল করবেন না। তাহলে দরকারি তেল ঝরে যাবে।
✭ রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

✭ কোথাও যদি জ্বালাপোড়া করে বা লাল হয়ে যায়, তবে ট্যালকম পাউডার মাখুন। অথবা বরফ ঘষতে পারেন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Friday, November 21, 2014

“ব্যথানাশক” চা!

শরীরের যে কোন ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে তৈরি করুন “ব্যথানাশক” চা!


মাথাব্যথা, হাতে পায়ের জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশি আড়ষ্টতায় ব্যথা, ঘাড় ও কাধের ব্যথায় অনেকেই কাবু হয়ে পড়েন। এই ধরণের ব্যথাগুলো দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে থাকে। একবার শুরু হলে সহজে পিছু ছাড়তে চায় না। আবার এইধরনের ব্যথার পেছনে এই ব্যস্ত যুগে ব্যয় করার মতো সময়ও হয়ে উঠে না। অনেকেই ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে এই ব্যথা কমিয়ে থাকেন। কিন্তু ব্যথানাশক ঔষধের রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা দেহের জন্য অনেক খারাপ।

তাই এই সকল শারীরিক ব্যথা দূর করতে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করাই ভালো। ভাবছেন এই ব্যথা দূর করতে কী করা যায়? আজকে চলুন তবে দেখে নেয়া যাক এক ধরণের ব্যথানাশক চা তৈরির পদ্ধতি যা দূর করে দেবে শারীরিক দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা।

যা যা লাগবেঃ
✭  ২ কাপ পানি
✭  ২ চা চামচ চা পাতা
✭  ১ চা চামচ তাজা আদা কুচি
✭  ২ টি এলাচি (ছেঁচে নেয়া)
✭  ১/৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
✭  ১/২ কাপ বাদাম দুধ (বাদাম দুধ না পেলে সাধারণ গরুর দুধ নিতে পারেন)
✭  ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো বা সামান্য কাঁচা হলুদ বাটা
✭  ২ চা চামচ মধু

চা তৈরির পদ্ধতিঃ
✭  চুলায় একটি পাত্রে দুই কাপ পানি গরম হতে দিন। পানি গরম হলে এতে আদা কুচি, হলুদ গুঁড়ো/বাটা, দারুচিনি ও এলাচি দিয়ে হালকা আঁচে ১০ মিনিট ফুটতে দিন।
✭  ১০ মিনিট ফুটে পানির রঙ হলদেটে হয়ে এলে এতে চা পাতা ছেড়ে দিয়ে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
✭  ওপর একটি পাত্রে দুধ ফুটিয়ে নিন।
✭  এবার চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম দুধ ঢেলে ঘন ঘন নেড়ে চায়ে মিশিয়ে নিন।
✭  কাপে চা ছেঁকে নিয়ে এতে মধু মেশান।
✭ গরম গরম পান করুন এই ব্যথানাশক চা প্রতিদিন ১ কাপ। এতে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা দূর হবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Wednesday, November 19, 2014

৫ টি খাবারে রুখে দিন শীতের সর্দি-কাশি!

৫ টি খাবারে রুখে দিন শীতের সর্দি-কাশি কিছু দিনের মধ্যেই শীতকালের আগমন ঘটবে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি-কাশি হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু সর্তকতার সাথে চলতে পারলে এই স্বাভাবিক ব্যাপারটিও রুখে দেয়া সম্ভব। খাদ্য তালিকায় কিছু খাবার যোগ করে শীতের সর্দি-কাশি থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। লুন তবে চিনে নেয়া যাক শীতের সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে কাজ করে এমন সুপার ফুড গুলো।


মাছঃ মাছের ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। ফলে সাধারণ সর্দি-কাশি দেহে বাসা বাঁধতে পারে না।

রসুনঃ কাঁচা রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণ ঋতু পরিবর্তনের সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে সবচাইতে ভালো কাজ করে। তাই প্রতিদিন ১-২ কোয়া কাসা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন।

আদা চাঃ শীতের সর্দি-কাশি রুখে দিতে সাধারণ দুধ চা পান কড়া ছেড়ে দিন। আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং গরম গরম চা ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে বেশ ভালো কাজ করে।

মাশরুমঃ মাশরুমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ভিটামিন এবং ফাইবার যা সর্দি-কাশি রোধের পাশাপাশি দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ করে।

মিষ্টি আলুঃ শীতের খাবার এই মিষ্টি আলুর রয়েছে এই শীতকালের নানা ফ্লু জনিত রোগের হাত থেকে মুক্তির ক্ষমতা। এর ভিটামিন এ আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে বেশ কার্যকরী।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, November 16, 2014

শীতে আগাম ত্বকের যত্ন!

সন্ধ্যা মিলাতে না মিলাতেই শিরশিরে ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করে। ভোরবেলার রোদে পাওয়া যায় হিমেল গন্ধ। এ সবই শীতের আগমনীবার্তা। আর কদিনের মধ্যে রাতারাতি পড়ে যাবে ঠাণ্ডা। আর শীতকাল মানেই খসখসে ত্বক। শীতকালে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক বাতাসে ত্বক ফাটে। ঘরের ভেতর এবং বাইরের তাপমাত্রায় পার্থক্য থাকার কারণে ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য নষ্ট হয়। ত্বক নিষ্প্রভ দেখায়। তাই শীত আসার আগেই যত্ন নিতে শুরু করুন ত্বকের।


★ নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুনঃ আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এ সময়টাতে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক লাগে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। তবে কেমিক্যালযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। মাইল্ড ফেসওয়াস দিয়ে ঈষদুষ্ণ পানিতে মুখ ধোবেন। থার্মাল শকের হাত থেকে ত্বক বাঁচাতে সপ্তাহে অন্তত দু দিন সোপ-ফ্রি ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ক্রিম ক্লিনজারও ব্যবহার করতে পারেন।
★ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখুনঃ আবহাওয়ার তারতম্যে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুবই জরুরি। পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ভেজা মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। সারাদিন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে থাকতে চাইলে ব্যবহার করুন ওয়াটার বাইন্ডিং ময়েশ্চারাইজার। এটা ঠাণ্ডা বাতাস থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। ক্রিমের মতো ঘন ময়েশ্চারাইজার ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণ ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।
★ ত্বক নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করুনঃ শীত পুরোপুরি পড়ার আগেই ত্বকের ওপর মরা কোষ জমতে থাকে। তাই ত্বক নিষ্প্রভ, অনুজ্জ্বল দেখায়। স্ক্র্যাবিং করলে মরা কোষ ঝরে যায়। ত্বক বেশি আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। ত্বকের ভেতর ময়েশ্চারাইজার ভালো মতো প্রবেশ করতে পারে। ছোট ছোট দানাযুক্ত স্ক্র্যাবার ব্যবহার করলে ত্বক রুক্ষ হবে না। অ্যালকোহল বেসড টোনার এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
★ হাত ও মুখের চামড়া সব সময় বাতাসের সংস্পর্শে থাকে বলে বেশি ভঙ্গুর। হাতের ত্বকের অবস্থা আরও করুণ। কারণ, হাতের চামড়ায় তরল সরবরাহের গ্রন্থি কম থাকে। তাই হাতের জন্য বিশেষ ধরনের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
★ বেশি গরম পানিতে গোসল করবেন না। অবশ্য শীতকালে একটু বেশি গরম পানিতে গোসলের মজাই আলাদা। কিন্তু এতে চামড়ার শুষ্কতা বাড়ে। তাই কুসুম গরম পানিতে গোসল করাই ভালো।
★ পানি খাবেন বেশি করে। কিন্তু মনে করবেন না যে সেই পানি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করবে। বেশি পানি খেলে চামড়া বেশি সতেজ থাকবে, এমন ধারণা ভুল। আসলে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পানি খেতে হবে। শরীর ঠিক তো সব ঠিক!
★ পায়ে গ্লিসারিন মাখুন। রুক্ষতা কাটাতে এর জুড়ি নেই।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, November 9, 2014

শরীরের যে কোনো ব্যথা নিরসনে কার্যকরী ৬টি খাবার!

শরীর আছে আর ব্যথা থাকবে না, তা কি হয়?

নিত্যদিনের জীবনে না জানি কত ধরণের ব্যথায় ভুগে থাকেন আপনি। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ থাকে না। তখন কী করবেন? তাহলে জেনে রাখুন, এক্ষেত্রে খাবার হতে পারে একটি দারুন সমাধান। আসুন জেনে নেই এমন ৬টি খাবার সম্পর্কে, যেগুলো আপনাকে চটজলদি মুক্তি দিতে পারে অনেক প্রকারের ব্যথা হতেই!



১. চেরি ফলঃ গবেষণাতে দেখা গেছে এই সুমিষ্ট ফলটি দেহের পেশীর পুনর্গঠন করতে সহায়তা করে। চেরি ফলের জুস অথবা হালকা সিদ্ধ চেরি খেলে শরীরের যেকোনো ব্যথা খুব দ্রুত নির্মূল হয়ে যায়।

২. আদাঃ আদা খুবই উপকারী একটি ভেষজ খাবার। আয়ুর্বেদ অনুসারে প্রতিদিন খাবারে সতেজ বা শুকনা আদা যুক্ত করলে এটি শরীরের পেশী গঠনে সহায়তা করে পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নিরসন করে থাকে। গবেষণা অনুসারে এটি আঘাত পেয়ে ফুলে যাওয়া অংশকেও স্বাভাবিক করে আনতে সহায়তা করে।

৩. জইঃ জই এমন একটি খাবার যেটিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম আছে যেগুলো বিভিন্ন ব্যথা নিরসনে সহায়তা করে থাকে। এছাড়া এতে থাকা জিঙ্ক মহিলাদের মেয়েলি ব্যথাও নির্মূল করে থাকে।

৪. রসুনঃ এই কটুগন্ধযুক্ত মসলাটি ব্যথা প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। শারীরিক যেকোনো ব্যথায় এটি হালকা গরম তেল বা অলিভ অয়েলে পেস্ট করে লাগিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্ত ব্যথা প্রশমিত হয়ে যায়।

৫. আঙ্গুরঃ প্রতিদিন এক কাপ আঙ্গুর খেলে পিঠের ব্যথা দ্রুত নির্মূল হয়ে যায়। কেননা এই ফলটিতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে ফলে ব্যথা নিরসিত হয়ে যায়।

৬. লবঙ্গঃ লবঙ্গ একটি ভেষজ উপাদান যেটিতে অনেক কার্যকরী উপাদান রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের দাঁতের ব্যথা নির্মূলে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য যেকোনো ব্যথা নিরসনে এটি অলিভ অয়েল এর সাথে ব্যবহার করা যায়।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Tuesday, November 4, 2014

হার্ট এটাক থেকে কিভাবে বাঁচবেন?

মনে করুন, সন্ধ্যা ছয়টার সময় একা একা বাড়িতে বসে আছেন। বাসার মানুষেরা অন্য কামরাতে বসে টিভি দেখছে



হঠাৎ করে আপনার বুকে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলো এবং সেই ব্যথা যেন আস্তে আস্তে করে আপনার নিচের চোয়ালের দিকে হেঁচড়ে আসা শুরু করলো!

আপনার কাছাকাছি কেউ নেইআপনি বুঝতে পারছেন, আপনার হৃদপিণ্ডে ক্রিয়া বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে

এখন আপনি কি করবেন??

হার্ট এটাক হবার ফলে অধিকাংশ সময় মানুষ মারা যান, কারণ তারা একা থাকেনঅন্য কারো সাহায্য ছাড়া তাদের বুকের ওপর পাম্প করে হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন সম্ভব হয় না, এবং ব্যথা শুরু হবার পরে অজ্ঞান হয়ে যাবার আগ পর্যন্ত সাধারণত তাদের হাতে ১০ সেকেণ্ড সময় থাকে

এমতাবস্থায় বুকে ব্যথার শিকার ব্যক্তি নিজেকে সাহায্য করতে পারেন বারংবার জোরে জোরে উচ্চস্বরে কাশি দিয়ে

 লম্বা করে শ্বাস নিনএবার কাশুনলম্বা সময় নিয়ে দীর্ঘ কাশি দিনএর ফলে আপনার ফুসফুসে স্পাটাম/মিউকাস উৎপন্ন হবে
 ‘শ্বাস কাশি, শ্বাস কাশি...’ এই প্রক্রিয়া প্রতি দুই সেকেণ্ডে একবার করে করতে থাকুন, যতক্ষণ না কেউ আপনার সাহায্যে এগিয়ে না আসে অথবা যতক্ষণ আপনার হৃদযন্ত্র একা একাই স্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হতে থাকে
 লম্বা করে শ্বাস নেবার ফলে আপনি পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাবেনআর কাশির ফলে আপনার হৃদযন্ত্র সংকোচন-প্রসারণ হবে যার ফলে আপনার হৃদপিণ্ডের ভিতর দিয়ে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে
 এবং কয়েক বার কাশির ফলে উৎপন্ন সংকোচন-প্রসারণে হৃদযন্ত্রের স্বাভাবিক, স্বয়ংক্রিয় স্পন্দনে ফিরে আসার কথা

এরপরে অপর কোনো ব্যক্তির সাহায্যে আপনি হাসপাতালে পৌঁছতে পারবেন

আপনি শিখে নিলেনআপনি কি চান না আপনার প্রিয়জনটাও শিখে নিক? বাবা- মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, নানা-নানি, বন্ধু-বান্ধব, সবাইকেই শেখানসাহায্যহীন ভাবে হার্ট এটাক করে যেন কেউ আর মৃত্যুবরণ না করে


আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করছিআপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্যধন্যবাদ