Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Tuesday, December 24, 2013

দূর্বা ঘাসের উপকারিতা!

 >> চুল পড়া বন্ধের জন্য একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদু তাপে জ্বাল করে ফেনা ফেলে নিন। তারপর দূর্বার ঘাসের টাটকা রস ২০০ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে ফের জ্বাল দিন। চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে সংরক্ষণ করুন।গোসলের ১ ঘণ্টা আগে ওই তেল চুলে মাখুন। নিয়মিত ২ থেকে ৩ মাস ব্যবহার করলে চুলপড়া বন্ধ হবেই।


>>
বমি বমি ভাব বন্ধের জন্য দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ১ চা চামচ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পর পর খাবেন। বমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিন।

>>
দূর্বা ঘাস চিবিয়ে কেটে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে দিলেই রক্তপাত বন্ধ হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই কেটে যাওয়া স্থান ঠিক হয়ে যায়।
[
দূর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।]

>>
রক্তক্ষরণ, কেটে যাওয়া বা আঘাতজনিত রক্তপাত, চুল পড়া, চর্মরোগ,দন্তরোগ ও আমাশয়ে উপকারী।


>>
আমাশয়ে দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ডালিম পাতা কিংবা ডালিমের ছালের রস ৪ থেকে ৫ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার খান। এভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।
 
[ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, December 23, 2013

শরীর ও ত্বক ভালো রাখতে বাদাম!

আমাদের খুব তাড়া। সকালে উঠেই শুরু হয় সারা দিনের কর্মযুদ্ধ। আর তাই সারা দিনের কর্মশক্তিও পুজি করে নিতে হবে সকালেই। প্রাণ শক্তিতে ভরা ও সুস্থ থাকতে প্রতিদিন সকালে পরিবারের সবাই রাতে ভিজিয়ে রাখা মাত্র ৫ পিস যে কোনো বাদাম খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন। আমাদের শরীর এবং ত্বক দুটোই ভালো থাকে নিয়মিত বাদাম খেলে।
 

আসুন জেনে নেই বাদামের পুষ্টিগুণ:-

» বাদাম হলো ভিটামিন ই এর সবচেয়ে বড় উৎস।এতে আরোও আছে ম্যাংানিজ এবং প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন।এইসব উপাদান দেহের শক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দুর করে।

»
বাদামে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে, যা দেহ গঠনে ও মাংসপেশি তৈরিতে সাহায্য করে।
»
নিয়মিত বাদাম খেলে দীর্ঘ সময় তারুণ্য রাখে।
»
বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে, ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখে এবং হজমশক্তিকেও সক্রিয় রাখে।
» বাদামে আছে ফেনোলিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা হ্র্দরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে হ্র্দযন্ত্র সুস্থ রাখে।সপ্তাহে অন্তত কয়েকটি বাদাম খেলে হ্র্দরোগের ঝুকি ৭৪% কমে যায়।
» বাদামে আছে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাটকে বলা হয় 'গুড ফ্যাট্ִদেহের ব্যাড কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে বলে একে গুড ফ্যাট বলা হয়। তাই বলা যায় বাদাম খেলে দেহে বাড়বে গুড ফ্যাট কমবে ব্যাড কোলেস্টেরল।
»
দাঁতও দাঁতের মাড়ি মজবুত করে।
» ত্বক ও চুল উজ্জ্বল, মসৃণ করে।
» বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্ষয় হতে থাকে হাড় ও দাত। কিন্তু বাদাম খেলে খুব সহজেই এড়িয়ে চলা যায় সমস্যাগুলো কারন বাদামে আছে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন 'ডি' যা বাতের সমস্যা থেকেও আমাদের দুরে রাখে।
»
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
» নিয়মিত বাদাম খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুকি ৫০ % কমে যায়
»
আখরোট খেলে হাড় মজবুত হয় মস্তিস্ক বিকাশে সহায়তা করে।
»
পেস্তা বাদাম রক্ত পরিষ্কার করে আমাদের লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।
» বাদাম খেলে ঘন ঘন ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে আসে বলে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে
»
আমন্ডকে বাদামের রাজা বলা হয়। এতে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই রয়েছে।এটি শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে কার্যকর। কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।

সতর্কতাঃ

বাদামে উচ্চমাত্রার ফ্যাট,চর্বি ও ক্যালরী থাকায় ডায়বেটিস রোগীদের এটি পরিমিত হারে খেতে হবে।আর যদি বাদামে কারো অ্যালার্জি থাকে তবে এর ধারে কাছেও ঘেষা যাবেনা।দুরে থাকতে হবে বাদাম থেকে।
 
[ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, December 22, 2013

যে পাঁচটি কাজ করবেন না, ভাত খাওয়ার পর !

পৃথিবীতে অন্তত তিনশ কোটি মানুষের প্রধান খাবার ভাত৷ চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যরক্ষায় ভাত খাবার পর পাঁচটি কাজ করতে অনুৎসাহিত করেন।
 
 
এগুলো হলো:-

. ভাত খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা ১/২ ঘণ্টা পর ফল খাবেন। কেননা, ভাত খাওয়ার পরপর কোনো ফল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

. সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলে যতখানি ক্ষতি হয়, ভাত খাওয়ার পর একটি সিগারেট বা বিড়ি তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে। তাই ধূমপান করবেন না।

. চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। তাই ভাত খাওয়ার পর চা খাবেন না।

. বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেস্টাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বেঁকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বলা হয়। কেউ বেশি খেতে চাইলে আগে থেকেই কোমরের বাধন ঢিলা করে নিতে পারেন।

. গোসল করবেন না। ভাত খাওয়ার পরপরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী লাগবে।

[
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]
 

Saturday, December 21, 2013

মস্তিষ্কের ব্যায়াম !

সুদোকু:ছক কাটা ঘরে সংখ্যা বসানোর এই খেলাকে মগজের জন্য সবচেয়ে উপকারী ধরা হয়। এই খেলা শুধু মগজের গতিই
বাড়াবে না, ঝালিয়ে দেবে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাও।


সাধারণ গণিত:
গণিতচর্চা মানে মস্তিষ্কেরই চর্চা।
মনে মনে করার মতো অতি সাধারণ গুণ, ভাগও মস্তিষ্কের ক্ষমতা

হাতে লিখুন:
কম্পিউটারের যুগ বলে হাতে লেখার অভ্যাসটা একেবারে ত্যাগ করবেন না। হাতে লিখলে হাতের
লেখা ভাল হোক না হোক, মগজটা ব্যস্ত থাকবে।

নিজেই শিক্ষক:
কিছু শেখা বা করার সময় মনে মনে নিজেকে নিজের শিক্ষকের ভূমিকায় কল্পনা করুন। কোনো কিছু ভুলে গেলে
টিচারের মতোই নিজেকে হাত নেড়েচেড়ে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করুন।

গোয়েন্দাগিরি:
গোয়েন্দাদের মতো করে দেখতে শিখুন। একটি ঘটনা বা বিষয়ের
সঙ্গে আরেকটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়ের সম্পর্ক খুঁজে বের করুন।

ধ্যান:
যারা সারাক্ষণ নানা ধরনের চাপে থাকেন, তাদের মগজটাকে সময়ে সময়ে হালকা করতে বিকল্প নেই। মেডিটেশনের ওপর বই বা সিডি এক্ষেত্রে কাজে আসতে

খাবার ও শরীরচর্চা:
সবশেষে মগজটাকেও খেতে দিন।
স্বাস্থ্যকর খাবারে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কও সুস্থ থাকে। আর দিনে মাত্র ১৫ মিনিটের শরীরচর্চাও পারে আপনাকে আরো বুদ্ধিদীপ্ত করে তুলতে।

Friday, December 20, 2013

আনারসের উপকারিতা !

আনারস বর্ষাকালীন ফল হলেও এখন প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। কাঁচা আনারস স্বাদে অম্ল। পাকা আনারসে রয়েছে অম্ল মধুর রস, সুমিষ্ট গন্ধ ও স্বাদ এবং পুষ্টিকর দিক দিয়ে পাকা আনারস অতুলনীয়।


সারাবিশ্বে জনপ্রিয় ফলগুলোর একটি আনারস। ফলটি মিষ্টি, রসালো ও তৃপ্তিকর। সবচেয়ে বড়কথা পুষ্টিগুণে ভরা এ ফলটি। 

এ ফলটিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া এ ফলটিতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ ও ক্যালোরি রয়েছে। এটি কলস্টেরল ও চর্বিমুক্ত। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ ফলের জুড়ি নেই। 

আমাদের দেশে সাধারণ সর্দি-কাশিতে আনারস খাওয়ার পরামর্শ দেন না এমন লোক খুব কমই আছেন। বর্ষাকালেই সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বর বেশি হয় এবং শুরুতেই আনারসের রস খেলে দ্রুত নিরাময় করা সম্ভব হয়। 

আনারসে ব্রোমোলিম নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকায় তা কফ বা মিউকাসকে তরল করে এবং হজমে সহায়তা করে। 

গলাব্যথা, সোর থ্রোট, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং ব্রংকাইটিসে আনারসের রস ওষুধের বিকল্প হিসাবে কাজ করে।

আনারসের পাতার রস ক্রিমিনাশক। দু' চামচ করে প্রতিদিন পাতার রস খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়ে যায়। কৃমি দূর করার জন্য খালি পেটে (সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে) আনারস খাওয়া উচিত। 

গবেষণায় দেখা গেছে, আনারসে রয়েছে এক প্রকার এনজাইম যা প্রদাহনাশক ও মিউকোলহিটিক হিসাবে কাজ করে। বদহজম বা পেট ফাঁপা সমস্যায় আনারসের রসের সাথে সামান্য লবণ ও গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে খেলে আরোগ্য হয়।

আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামি সি, যা ভাইরাস প্রতিরোধ করে এবং গলা থেকে কফ দূর করে। ঠাণ্ডা ইনফেকশন হয়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলেও আনারস খেলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। 

আনারসে থাকা খনিজ পদার্থ হাড়কে মজবুত করে। এক কাপ আনারসের রসে পুরো শরীরের খনিজ পদার্থের ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে পারে। দাঁতের মাঢ়ি নিয়ে যারা দুশ্চিন্তগ্রস্ত তারা নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতের মাঢ়ি সুস্থ ও মজবুত হয়। গরম-ঠাণ্ডার জ্বর, জ্বরজ্বর ভাব দূর করে এই ফল। 

এতে রয়েছে ব্যথা দূরকারী উপাদান। তাই শরীরের ব্যথা দূর করার জন্য এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া এই ফলটি দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হৃৎপিণ্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃৎপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে এবং দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে। 

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Thursday, December 19, 2013

ডাবের জলের উপকারিতাঃ

-নির্ভেজাল বা বিশুদ্ধ জল বলতে যা বুঝায়, ডাবের পানি ঠিক তা-ই।
-এ পানি মানব শরীরের জন্য অসম্ভব উপকারী।
-এটি খাদ্যপ্রাণে যেমন ভরপুর, তেমনি আছে খনিজ পদার্থসমূহ, পটাসিয়াম, শর্করা, সোডিয়াম, প্রোটিন এবং কিছু তন্তু জাতীয় পদার্থ।


-কিডনিতে অনেকেরই পাথর জমে যায় এবং এর কারণে মূত্রঘটিত সমস্যা দেখা দেয়।
কিডনির অম্লত্ব ঠিক রাখতে এবং মূত্রঘটিত রোগ নির্মূল করতে ডাবের পানি মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।
-আমাদের শরীরে প্রতিদিন যে পরিমাণ পানির প্রয়োজন হয়ে পড়ে, তার ঘাটতিও সহজে পূরণ করা সম্ভব ডাবের পানিতে।
-এ জল সাধারণত শক্তিবর্ধক হিসেবেই মানবশরীরে কাজ করে। এতে আছে স্বল্পমাত্রার ক্যালোরি ও চর্বি। কোলেস্টরেল নেই বললেই চলে।
-ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরাও অনায়াসে পান করতে পারে ডাবের পানি। কারণ এ পানিতে যে পরিমাণ শর্করা থাকে, তা ডায়াবেটিস রোদের জন্য সহনীয়।
-এ পানি পানের ক্ষেত্রে সকালবেলাটাই বেছে নেওয়া উত্তম। সকালে দৌড়াদৌড়ি বা ব্যায়ামের পর একটু বিশ্রাম করেই ডাবের পানি পান করুন। দেখবেন শরীর কেমন চাঙা থাকে। আর শরীর-মন চাঙা থাকলে কাজকে কি আর কাজ মনে হয়?


আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Wednesday, December 18, 2013

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভূগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি দামি ওষুধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস দিয়ে যদি করা যায় এর নিরাময়, তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করার কি দরকার।

আসুন এরকম কিছু উপাদানের কথা জেনে নিইঃ-

# লং
যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন, তবে লং হতে পারে আপনার সঠিক পথ্য। দুইটি লং মুখে নিয়ে চিবাতে থাকুন, যেন রসটা আপনার ভেতরে যায়। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে।

# জিরা
এক চা চামচ জিরা নিয়ে ভেজে ফেলুন। এবার এটিকে এমন ভাবে গুড়া করুন যেন পাউডার না হয়ে যায়, একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এই গুড়াটি একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

# গুঁড়
গুঁড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুঁড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগিদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ।

# মাঠা
দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরী মাঠা একসময় আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় ছিল। এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে যদি এর সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া যোগ করেন।

# পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

# বোরহানী
undefined
বিয়ে বাড়িতে আমাদের বোরহানী না হলে চলেই না। টক দই, বীট লবণ ইত্যাদি নানা এসিড বিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরী বলে এটি হজমে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন ভারী খাবারের পর একগ্লাস করে খেতে পারলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।

# তুলসী পাতা
হাজারো গুণে ভরা তুলসী পাতার কথা আপনারা সবাই জানেন। এসিডিটি দূর করতেও এর ভূমিকা অনন্য। যখন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে ৫-৬ টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে দেখবেন এসিডিটি কমে গেছে। তুলসী পাতা যে প্রতিদিন ব্লেন্ড করে পানি দিয়ে খাবেন, তার এসিডিটি হওয়ার প্রবনতা অনেক কমে যাবে।

# আঁদা
আঁদাও এমন একটি ভেষজ উপাদান যা আমাদের অনেক কাজে লাগে। প্রতিবার খাদ্য গ্রহনের আধা ঘন্টা আগে ছোট এক টুকরো আঁদা খেলে দেখবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা গায়েব হয়ে গেছে।

# দুধ
দুধের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীর এসিড কমাতে সাহায্য করে। রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে খলি পেটে সেই ঠান্ডা দুধটুকু খেলে সারাদিন এসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা যাবে। তবে কারো পেট দুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল, এদের ক্ষেত্রে দুধ খেলে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।

# ভ্যানিলা আইসক্রিম
undefined
আইসক্রিম খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু আপনি কি জানেন ভ্যানিলা আইসক্রিম শুধু আমাদের তৃপ্তিই যোগায় না, সাথে এসিডিটি দুর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে! কি এটা শুনে আইসক্রিম খাওয়া আরো বাড়িয়ে দিলেন নাকি? তবে সাবধান আবার ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলবেন না কিন্তু।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Sunday, December 15, 2013

মাতৃদুগ্ধের সুবিধা সমুহঃ

শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দেওয়ার কারণে শুধু যে শিশুই লাভবান হয় তা নয় এর ফলে মায়ের স্বাস্থ্যও উপকৃত হয়। 


আসুন তাহলে একবার সংক্ষেপ জেনে নেই মা ও শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধের সুবিধাগুলো সম্পর্কেঃ-

১) মাতৃদুগ্ধ একটি সম্পূর্ণ শিশু খাদ্য।
২) সহজ পরিপাক ও শোষণে অনন্য।
৩) এটি শিশুর দেহের বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪) মস্তিষ্ক ও বুদ্ধিবৃত্তির সঠিক বিকাশ ঘটায়।
৫) মা ও শিশুর বন্ধন দৃঢ় করে।
৬) শিশু জন্মের কারণে মায়ের জরায়ুতে যে পরিবর্তন আসে সেটি স্বাভাবিক শরীরি প্রক্রিয়াতেই আবার গর্ভধারণের পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। বুকের দুধ খাওয়ালে এই প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত হয়।
৭) শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে তা প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম বিরতি কারকের কাজ করে
৮) স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
৯) এমনকি বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতেও সহায়তা করে।
১০) অন্য যেকোনো শিশু খাদ্যের তুলনায় মায়ের দুধ সহজলভ্য।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Friday, December 13, 2013

চোখ দিয়ে পানি পড়া!

সুন্দর সুস্থ চোখ কার না কাম্য? কিন্তু সেই চোখ হতে কান্না ব্যতিত অনবরত পানি পড়তে থাকলে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। 




চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণঃ

স্বাভাবিক চোখ সবসময় একটু ভেজা থাকে। অতিরিক্ত পানি চোখের ভেতরের কোনায় অবস্থিত নল (নেত্রনালী) দিয়ে নাকে চলে যায় এবং শোষিত হয়। কোন কারণে চোখে অতিরিক্ত পানি তৈরী হলে, অথবা নেত্রনালী বন্ধ হয়ে গেলে চোখের পানি উপচে পড়ে, একে লেক্রিমেশন বা এপিফোরা বলে।


শিশুর জন্মের পর পর যদি নেত্রনালী বন্ধ থাকে, সেক্ষেত্রে চোখ হতে পানি পড়তে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণত: এক বছরের মধ্যে আপনি আপনিই নেত্রনালী খুলে গিয়ে পানি পড়া ভাল হয়ে যায়।


তরুণ বয়সে নেত্রনালীর প্রদাহজনিত কারণে নেত্রনালী সরু হয়ে চোখ হতে পানি পড়তে পারে। এইক্ষেত্রে নেত্রনালীতে ইনফেকশন হয়ে পূঁজ জমতে পারে। চোখের ভেতরের কোনায় চাপ দিলে পানি ও পূঁজ বের হতে পারে।


বয়স্ক লোকের নেত্রনালী বয়সজনীত পরিবর্তনের কারণে সরু হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও বয়সের কারণে চোখের চারদিকের মাংশপেশী দূর্বল হবার কারণেও নেত্রনালী অকার্যকর হয়ে চোখ হতে পানি পড়তে পারে।


এছাড়াও নেত্রনালীর সমস্যা ছাড়াও চোখের এ্যালার্জী, চোখ ওঠা রোগ, গ্লুকোমা, কর্ণিয়ার ঘা, চোখের আঘাত ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে যে কোন বয়স চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে।


অতিরিক্ত সর্দি হলে নাকের প্রদাহের কারণে নেত্রনালীর ছিদ্র মুখ বন্ধ হয়ে চোখ হতে পানি পড়তে পারে।


করণীয়ঃ 

শিশুদের ক্ষেত্রে নেত্রনালীর সমস্যার কারণে চোখ হতে পানি পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে চোখের কোনায় মালিশ এবং এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহারে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে পানি পড়া বন্ধ হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রোবিং সার্জারীর মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে হয়। তরুণ বয়সে নেত্রনালীর সমস্যার কারণে চোখ হতে পানি পড়লে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিবায়োটিক ড্রপ, কোন কোন ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক / স্টেরইড এর মিশ্রন ব্যবহার করলে এ সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হয়।


চোখে জমে থাকা পূঁজ চোখের কোনায় চাপ দিয়ে নিয়মিত পরিস্কার করা প্রয়োজন। ওষুধে ভাল না হলে 'ডিসিআর' অপারেশনের মাধ্যমে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এ সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান সম্ভব।


বেশী বয়স্কদের নেত্রনালী সংকুচিত হওয়ার কারণে ডিসিআর অপারেশন করা সম্ভব হয়না। সেক্ষেত্রে ডিসিটি অপারেশন করা হয়। এক্ষেত্রে পূঁজ জমা বন্ধ হয়, কিন্তু পানি পড়া বন্ধ হয়না। যে সব বয়স্ক লোকের ছানিরোগ আছে, আবার তাদের যদি নেত্রনালীর সমস্যার কারণে চোখ হতে পানি ও পূঁজ পড়ে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ছানি অপারেশনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শে বয়স ভেদে ডিসিআর অথবা ডিসিটি অপারেশন করতে হবে, না হলে চোখের কোনায় জমে থাকা জীবানু ছানি অপারেশনের সময় চোখের ভেতরে ঢুকে মারাত্মক ইনফেকশন করতে পারে।


নেত্রনালী সমস্যা ব্যতিত অন্য কারণে পানি পড়লে সে কারণ চিহ্নিত করে ডাক্তারের পরামর্শে তার চিকিত্সা করাতে হবে। বর্তমানে লেজার রশ্নির সাহায্যে চামড়া না কেটে অল্পসময়ে ডিসিআর অপারেশন করা সম্ভব, ফলে অপারেশনের পরে চামড়ায় দাগ পড়েনা।


আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Sunday, December 8, 2013

সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া (Leucorrhoea) এর কারণ ও প্রতিকারঃ

লিউকোরিয়া হচ্ছে সাদা স্রাব। নারীর যোনি থেকে ক্রমাগত সাদা তরলের ক্ষরণ হলে তাকে লিউকোরিয়া বলা হয়। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি।



স্ত্রীলোকের যৌনাঙ্গ (জরায়ুর মুখ ও যোনিপথ) থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় কখনও পিচ্ছিল বা শুধু সাদা স্রাব নির্গত যা যোনিপথকে ভেজা ও পিচ্ছিল রাখে। অল্প পরিমানে সাদা স্রাব কিন্তু স্বাভাবিক। কিন্তু এ সাদা স্রাব যদি পরিমাণে বেশি ও তার সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ যেমনঃ- দুর্গন্ধ, দুধের মতো সাদা, ছানার মতো, শুধু পানির মতো শ্লেষ্মা, রক্ত ও পুঁজ, কখনও দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ ও চুলকানি, জ্বালা-যন্ত্রণা থাকে তখনই মনে রাখতে হবে যে নিশ্চয়ই এর কোন কারণ রয়েছে।

স্বাভাবিক সাদা স্রাব কোন কোন সময় দেখা যায়ঃ-

• মাসিকের আগে ও পরে।
• ওভুলেশনের সময়।
• মিলন অবস্থায় বা তার পরে।
• গর্ভাবস্থায়।
• যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খান।
• প্রসবের পরে।
• জন্মের ১-১১ দিনের মধ্যে সদ্যজাত শিশুর সাদা স্রাব তার সঙ্গে খুব সামান্য একটু রক্তের লাইন দেখা দিতে পারে হরমোনের কারণে।
• মাসিক বন্ধ হওয়ার পর (মেনোপজ হলে)।

অস্বাভাবিক সাদা স্রাবের কারণগুলো কী কী?

• যোনিপথে প্রদাহ, যাকে ভ্যাজাইনাইটিস বলে।
• ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনাইটিস।
• ক্যানডিডিয়াসিস বা মনিলিয়ান ভ্যাজাইনাইটিস।
• মেনোপজাল ভ্যাজাইনাইটিস।
• অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, কেমিক্যাল ইরিটেন্ট (সাবান, স্যাভলন, ডেটল, অয়েন্টমেন্ট) টাইট আন্ডারওয়্যার, মাস্টারবেশন ইত্যাদি।
• ভ্যালভ্যাল আলসার।
• গনোরিয়া।
• ক্যামাইডিয়া দ্বারা ইনফেকশন হলে।
• আইইউসিডি পরা থাকলে। (২%)
• সারভিসাইটিস।
• সারভাইক্যাল ইরোসন। (২০%)
• কোষ্ঠকাঠিন্য হলে।
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ও খুব রোগা মেয়েদের, কোন সিস্টেমিক ডিজিজ হলে যেমনঃ- অ্যানেমিয়া, ডায়াবেটিস, ম্যালাইটাস, ক্রিমি, কলাইটিস ইত্যাদি।
• মেনোপজের পর।
• মানসিক রোগ যেমন_ দুশ্চিন্তা,অবসাদ, মানসিক অশান্তি ইত্যাদি।
• যারা অনেক বেশি সময় একটানা দাঁড়িয়ে কাজ করেন।
• পুকুরে গোসল করার সময় অপ্রত্যাশিত ভাবে যোনিপথে পানি ঢুকে গেলে।
• জেনিটাল প্রলাপস হলে। (১০%)
• ক্রনিক পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ থাকলে। (২%)
• কৃমি-সুতা কৃমি, ক্রনিক অ্যামিবিয়াসিস থাকলে।
• কোন কারণ ছাড়া (৬%)

যা করতে হবেঃ

• দেরি না করে লজ্জাকে প্রতিহত করে আপনার সমস্যা সমাধানে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন।
• পোশাক পরিধানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সিলেকশনে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
• সুতির প্যান্টি ব্যবহার করতে হবে।
• প্রচুর (১০-১২ গ্লাস) পানি প্রতিদিন পান করুন।
• পুষ্টিকর খাবার সঙ্গে ভিটামিনযুক্ত প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে।
• নিয়মিত ব্যায়াম করতে থাকুন।
• যোনিতে কোনো প্রকার সেপ্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। 
• জন্ম নিরোধক পিল সেবনের পূর্বে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সর্ম্পকে জেনে নিতে হবে।
• মানসিক দুশ্চিন্তা, অবসাদ দূর করতে হবে ও ঠিকমতো ঘুমাতে হবে।
• রোগ নির্ণয়ে ডাক্তারের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন।
• অন্যান্য উপসর্গ ও লক্ষণ থাকলেও তা ডাক্তারকে নির্ভয়ে বলুন।

যে কোন ভ্যাজাইনাইটিস হোক না কেন সাবান, ডেটল, স্যাভলন ইত্যাদি অবশ্যই ব্যবহার করবেন না। 
মৃদু গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ব্যবহার করবেন। 


আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

Saturday, December 7, 2013

ব্রন, মুখে এসব ব্রনের দাগের জন্য চিন্তায় কাটাচ্ছেন!

সত্যিই তাই! কিশোর বয়সে ব্রন হওয়াটা এক অনিবার্য বিড়ম্বনাই বটে। কিশোর-কিশোরীরা এ সময়টা যেন একটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে। লজ্জায় যেন মুখ লুকাতে ইচ্ছে করে। কিন্তু চাইলেই কি এ বিব্রতকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়? এ যে এই বয়সের অনিবার্য ঘটনা। রুখবে কে আর তারে? কাজেই ভাগ্যের এই অমোঘ পরিণতিকে সহজেই মেনে নিয়ে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে যথাসম্ভব বেঁচে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর সেই করণীয় কিছু জানাতেই আজকের এ প্রসঙ্গের অবতারণা।


কেন এমন হয়?
আগেই বলেছি কিশোর বেলাটা এমনই একটা ক্রান্তিকাল যে সময়টা হচ্ছে শৈশবকালের শেষ আর যৌবনের উঁকি দেয়ার মাঝের বিশেষ এক সময়। আর এই সময়টাতেই কিশোর-কিশোরীদের দেহাভ্যন্তরে চলে বিশেষ বিশেষ কিছু পরিবর্তন। সবচেয়ে বেশি যে ব্যাপারটা ঘটে তা হলো হরমোনের উদ্দীপনা। তারই একটি লক্ষণ হলো এই ব্রন।

মূলত এন্ড্রোজেন, প্রজেস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন নামক যৌন হরমোনের উদ্দীপনার জন্য এটা হয়। এর ফলে ত্বকের নিচে সিবাসিয়াস নামক গ্রন্থি থেকে সেবাম নামক এক প্রকার সাদা জেলির মতো পদার্থ নিঃসৃত হয়। এই সেবাম ত্বকের নিচে অবস্থান করে বিধায় ব্রনগুলো উঁচু উঁচু ঢিবির মত দেখায়। তবে যার যত বেশি সেবাম নিঃসৃত হবে তার ততোধিক মাত্রায় ব্রন দেখা দেবে। কারণ হরমোনের উদ্দীপনা ব্যক্তিবিশেষে কমবেশি হতে পারে। এ ছাড়া ত্বকের নিচে এক ধরনের ইনফেকশনের কারণেও সিবাসিয়াস গ্রন্থির উত্তেজনার কারণে ব্রন হতে পারে।

কিছু রোগের কারণেও ব্রন দেখা দিতে পারে। যেমন মোটা হয়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, শরীরে লিপিডের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। আবার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণেও হতে পারে। বংশগত কারণেও কারো কারো আবার ব্রন খুব বেশি মাত্রায় হতে পারে।

এ ছাড়াও অতিরিক্ত কসমেটিকস ব্যবহারে লোমকূপগুলো বন্ধ হয়েও ব্রন হতে পারে। আবার কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াজনিত কারণেও ব্রন হতে দেখা যায়। সে রকম ওষুধগুলো হলো- স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ, খিচুনিনাশক ওষুধ, ঘুমের ওষুধ ইত্যাদি। এ ছাড়া চকলেট, ক্যান্ডি, চিপস, বাদাম সফট্ ড্রিংকস, তৈলাক্ত খাবার ইত্যাদি গ্রহণের ফলেও ব্রনের আধিক্য দেখা দিতে পারে।

ত্বকের উজ্জ্বাল্য এবং সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ব্রন। মুখে এসব ব্রনের দাগের জন্য চিন্তায় কাটাচ্ছেন। চিন্তার কোন কারণ নেই। 

ব্রন থেকে বাঁচতে কিছু উপায় অবলম্বন করুন, দেখুন আপনি অনেক ভাল থাকবেনঃ
— প্রথম ও পূর্বশর্তই হলো সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। বিশেষ করে মুখমণ্ডল ধৌতকরণ প্রণালীটা ভালোভাবে জানতে হবে ও অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মুখের ত্বককে বেশি তৈলাক্ত বা বেশি শুষ্ক হতে দেয়া যাবে না। সে জন্য দিনে অন্তত দুইবার নন-মেডিকেটেড নরম সাবান দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার করার সময় হাতের আঙুলের মাথা দিয়ে বৃত্তকারভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সাবান দ্বারা মুখ পরিষ্কার করতে হবে আলতোভাবে। মুখে বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না। আবার মুখের ব্রণ যখন তখন নখ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা না করাই ভালো, তাতে মুখের ওপর দাগ পড়তে পারে।
—  ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।
— বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন।
— ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এই কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান।
— কোল ড্রিংকস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।
— আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।
— খুব বেশি পরিমাণে পানি খান। দিনে যদি দু লিটার পানি খেতে পারেন তা আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে। পানি বেশি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে পিত্ত বেরিয়ে যাবে। আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
— আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।

ব্রনের দাগ দূর করতে ভেষজ পদ্ধতিঃ
— কমলা লেবুর ছাল শুকিয়ে গুড়ো করে নিন। মুসুরির ডাল আর চাল ভিজিয়ে ভালো করে পিষে নিন। ওই পেস্টের মধ্যে চন্দন পাউডার, মুলতানি মাটি, কমলা লেবুর ছালের গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মিলিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে দুই চামচ দুধও মিশিয়ে নিতে পারেন। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পরে ধুয়ে নিন। এই প্যাকটা নিয়মিত মুখে লাগান। ত্বকের জেলা বাড়বে। ব্রণের দাগও দূর হয়ে যাবে।
ব্রন দূর করবে নিম

— চার-পাঁচটা নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মূলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে ওর মধ্যে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।

ব্রন সমস্যাকে খুব সহজ ঘরোয়া উপায়ে মেটানো সম্ভবঃ
এর জন্যে পরিস্কার আটার সাথে কিছুটা পরিমান মধু, পাতিলেবুর রস এবং বাদাম বাটা মিশিয়ে নিন৷ এবার এই মিশ্রনটিকে প্রতিদিন মুখের প্রলেপের মতন করে লাগাতে থাকুন৷ কয়েক সপ্তাহ ধরে এই নিয়ম মেনে চললে আপনার ব্রন সমস্যা একেবারে কমে যাবে৷

নিজেই তৈরী করুর ব্রনের ঔষুধঃ
এটির নাম নিম পাতার প্যাক। এটি মেখে আপনি খুব সহজে ব্রন থেকে পরিত্রান পেতে পারেন। আসুন জেনেনেই কিভাবে এটি তৈরী করা যায়।

৫ থেকে ৭ টি নিমপাতা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এখন নিমপাতা গুলিকে ভালো করে পিষে নিন। এর সাথে এক চামচ পরিমান মূলতানি মাটি ও সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ব্যাস। হয়ে গেল নিমপাতার প্যাক। এখন আপনার তৈরীকৃত প্যাকটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১ ঘন্টা পর সামান্য গরম পানি দিয়ে প্যাকটি তুলে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করুন। আশা করি ব্রন থেকে মুক্তি পাবেন।

 আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Friday, December 6, 2013

নারীদের স্তন ক্যান্সার থেকে বাঁচতে ৭টি উপায়!


বাংলাদেশে বর্তমানে নারীদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। ফলে নারীদের জন্য আমাদের আজকের ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ নিয়ে বিশেষ এই প্রতিবেদন।
বিগত ২৫ বছর যাবৎ বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমূহে নারীদের স্তন ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী নানান ক্যান্সারের মৃত্যু হারের মাঝে স্তন ক্যান্সারের কারণে মারা যাওয়া রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী।

যুক্তরাষ্ট্রের স্তন ক্যান্সার চ্যারিটি এর চেয়ারম্যান লাস্টার বার বলেন, “স্তন ক্যান্সার হওয়ার কারণসমূহের মাঝে সাধারণত একজন নারীর জীবন-যাপন প্রণালী বিশেষ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি আপনার জীবন-যাপন প্রণালীতে নিয়ন্ত্রণ আনেন, তবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।”
স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচতে এখানে ৭টি উপায় উল্লেখ করা হলঃ-
১/ ঘরের কাজ করুনঃ 
বিশেষজ্ঞরা বলেন যে নারী কাজের মাঝে থাকবে, তার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। ঘরের কাজ বা ব্যায়ামের ফলে আপনার শরীরের চর্বি অনেকটা কমবে। শরীরের বাড়তি চর্বি টেস্টেস্থেরন হরমোন নিঃসরণ ঘটায় যা আপনার শরীরে টিউমার গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একজন নারীকে অবশ্যই প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে ঘরের কাজে হাত লাগাতে হবে, এতে ২০% স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
২/ শিশুকে বুকের দুধ পান করানঃ 
আপনি যখন মা হবেন অবশ্যই আপনার শিশুকে নিজের বুকের দুধ পান করাবেন। অনেকেই এটাকে ঝামেলা মনে করে শিশুকে বুকের দুধ না খাইয়ে বাজারের শিশু খাবার কিনে খাওয়ান, ফলে শিশুর শারীরিক বিকাশ না হওয়ার পাশাপাশি মায়ের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। অপরদিকে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে মায়ের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে।
৩/ নারীরা মদ্য পান করবেন নাঃ 
নিয়মিত এলকোহল পানের ফলে নারীর স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এজন্য নারীদের উচিত মদ্যপান থেকে একেবারে বিরত থাকা ।একেবারেই যদি বিরত রাখতে না পারেন, তাহলে এলকোহল জাতীয় পানীয়ের পরিমাণ কম করে গ্রহণ করা উচিত।
৪/ কর্মজীবীরা রাতের শিফটে কাজ পরিহার করুনঃ 
যেসকল নারীরা চাকুরী করেন তারা অবশ্যই সপ্তাহে টানা ৩ দিন রাতের শিফটে কাজ করবেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, রাতের শিফটে কাজ করা নারীদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশী।
৫/ কোলেস্টেরল কমানো: 
খাবারে কম কোলেস্টেরল গ্রহণ করুন। অধিক পরিমাণ কোলেস্টেরল আপনার স্বাস্থ্যের জন্য স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বয়ে আনবে। খেয়াল রাখবেন সব সময় আপনার খাবারে যেন কোলেস্টেরলের পরিমাণ পরিমিত থাকে।
৬/ অস্বাস্থ্যকর কেমিক্যাল ব্যবহার ত্যাগ করুনঃ 
আপনি খাবারে কখনোই কৃত্রিম রং ব্যবহার করবেন না, বাইরের খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যাতে এতে কৃত্রিম রং না থাকে। এছাড়া ওভেনে খাবার গরম করার ক্ষেত্রে প্ল্যাস্টিক কন্টেইনার ব্যবহার পরিহার করুন।
৭/ সূর্যের আলোতে হাঁটুনঃ 
সূর্যের আলো স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সবচেয়ে বেশী উপকারী। একজন নারী যদি প্রতিদিন সময় করে রোদে হাঁটেন, তবে তাঁর স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। সূর্যের আলোর সংস্পর্শে মানব শরীর এলে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি৩ তৈরি হয় যা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে এক্ষেত্রে স্কিন ক্যান্সারের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিমিত পরিমাণে সূর্যের আলোতে হাঁটুন। সকালের দিকে সূর্যের আলোতে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি কম থাকে, ফলে এ সময় সূর্যের আলোতে হাঁটা স্বাস্থ্য সম্মত।
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Thursday, December 5, 2013

মলদ্বারের রোগ সমূহঃ এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা!

মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন। 

এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যাবস্থায় র্সাজারি দ্বারা এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সার্জারি ছাড়াই সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়।

এনাল ফিসারঃ
মলদ্বারের ব্যথায় অনেক লোক ভুগে থাকেন। যে রোগে মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয় তার নাম এনাল ফিসার। সাধারণত শক্ত মল হলে বা ঘন ঘন মলত্যাগের কারণে মলদ্বার ফেটে ঘা হয়ে যায়। সমস্যা হল এই যে, এই ঘা শুকাতে চায় না সহজে। আবার কিছু কিছু রোগীর এই ঘা শুকিয়ে গেলেও কিছু দিন পর আবার মল শক্ত হলে একই সমস্যা আবার দেখা দেয়। এই রোগ একজন রোগীর বছরের পর বছর এমনকি ৩০-৪০ বছর থাকতে দেখেছি। এ রোগের উপসর্গেরও বেশ তারতম্য হয়। কোন কোন রোগীর মলত্যাগের পর সামান্য জ্বালা পোড়া হয় এবং তা ৫ থেকে ১৫ মি: পর্যন্ত চলে।

আবার কখনও কখনও ব্যথা তীব্র আকার ধারণ করে এবং কয়েক ঘন্টা এমনকি সারাদিন চলতে থাকে। কারো কারো মাথা ধরে যায়। আবার দীর্ঘস্থায়ী এনাল ফিসারে মাঝে মাঝে মোটেই ব্যথা থাকে না। আমার ব্যক্তিগত মতে মলদ্বারের রোগের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি হয়। আমি দেড় মাসের বাচ্চাকে এ রোগ হতে দেখেছি। তবে তরুণ ও যুবকদের বেশী হয়। পুরুষ অথবা নারী উভয়ের এ রোগটি সমান ভাবে হয়ে থাকে।

পাইলস বা অর্শ্বঃ
পাইলস বা গেজ হলো মলদ্বারের এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তনালীগুলো বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে। অর্শ্ব বা পাইলস হলে নিচের সাধারণতঃ যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়ঃ
= মলত্যাগের সময় ব্যথাহীন রক্তপাত
= পায়ুপথ চুলকানো অথবা অস্বস্তিকর জ্বালাপোড়া ব্যথা
= পায়ুপথ থেকে বাইরের দিকে ফোলা ও ব্যথা লাগা
= পায়ুপথের মুখে চাকা অনুভব করা ও ব্যথা লাগা

তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাইলসের রোগীদের কোনো লক্ষণ থাকে না।

ফেস্টুলা/ভগন্দরঃ
ফেস্টুলা একটি নালী যা মলদ্বারের ভেতরে শুরু হয়ে মাংসের ভেতর দিয়ে মলদ্বারের পাশে একটি মুখ হয়ে বেরিয়ে আসে এবং মাঝে মাঝে এখান থেকে পুঁজ পড়ে ও ব্যথা হয়। পেরিএনাল এবসেস বা ফোঁড়া যদি নিজে নিজে ফেটে যায় কিংবা অসম্পূর্ণভাবে অপারেশনের মাধ্যমে পুঁজ বের করা হয় তাহলে এই রোগের উত্পত্তি হয়ে থাকে। এ রোগের দুটি মুখ থাকে। একটি থাকে মলদ্বারের ভেতরে এবং অন্যটি বাইরের স্কিনে। মাঝে মাঝে মলদ্বারের বাইরে ও ভেতরে একাধিক মুখও থাকতে পারে। যাকে আমরা বহুমুখী ফেস্টুলা বলে থাকি। বেশ কিছুদিন স্কিনের মুখটি বন্ধ থাকে এবং ভেতরে পুঁজ ও ময়লা জমতে থাকে। ফলে মুখ ও আশপাশ ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। এক সময় মুখ ফেটে পুঁজ ও ময়লা জাতীয় আঠালো পদার্থ বের হয়ে আসে এবং রোগী সুস্থ অনুভব করে, ভাবে ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে এবং রোগটি জটিলতর হতে থাকে।

রোগের কারণ এবং কি করে ঘটেঃ 
= এটি হওয়ার জন্য সাধারণতঃ দায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মলত্যাগের সময় কুথুনি দেয়া। শক্ত মল বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়। 
= ঘন ঘন মলত্যাগ বা ডায়রিয়া হলে ফিসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলে মলদ্বার অতিরিক্ত সংকুচিত বলে মনে হয়।
= গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকে ফিসার এর সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার গ্রোথ এর সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পরে ফিসার হয়। 
= পায়ুপথে যৌনমিলনে অভস্ততা ফিসার এর সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
= মলদ্বারের ভিতর সাপোজিটরী জাতীয় ওষুধ দেয়ার সময় অনেকের মলদ্বারে যে ঘা হয় তা থেকেও অনেক রোগীর বিশেষ করে মহিলাদের এ জাতীয় রোগ হতে পারে।

উপসর্গ ও লক্ষণসমূহঃ
মলদ্বারে ফিসারের প্রধান লক্ষণ হলো ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও রক্তক্ষরণ। এ ধরণের ব্যথা সাধারণত মল ত্যাগের অব্যবহিত পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে বহু ঘন্টা এমনকি সারাদিনও চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফিউগাঙ্’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয় কিন্তু তা মলত্যাগের অব্যবহিত পরেই হয় না, দিনের যে কোন সময় হতে পারে। পাইলসের জটিলতা যেমন রক্ত জমাট বাধা, আলসার বা গ্যাংগ্রীন হলেও মলদ্বারে প্রচুর ব্যথা হয় কিন্তু তখন রোগী মলদ্বারে বড় একটি মাংসপিন্ড আছে বলে অভিযোগ করেন। মলদ্বারে সংক্রমণ হয়ে ফোড়া হলে, ফিষ্টুলা বা ভগন্দর এবং দুরারোগ্য ক্যান্সারেও ব্যথা হয়। এসব ক্ষেত্রে রোগের ইতিহাস ও রোগীকে ফিজিক্যাল পরীক্ষা করে রোগ সনাক্ত করতে হয়। এই রোগে রক্তক্ষরণের পরিমাণ সাধারণতঃ কম। তবে আমি অনেক রোগী দেখেছি যারা বলেন মুরগী জবাই করলে যেরূপ রক্ত পড়ে তেমন রক্ত যায়। কিছুদিন পূর্বে অল্প বয়সী এক অফিসারকে চিকিত্সা করেছি যার তীব্র রক্ত শূন্যতা হয়েছিল। দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) মলদ্বারের ফিসারের রোগী একটু ভিন্ন ধরনের উপসর্গের কথা বলেন। তাদের অভিযোগের মধ্যে থাকে মলদ্বারে অতিরিক্ত মাংসপিন্ড, পুঁজ পড়া, চুলকানি ইত্যাদি। এসব উপসর্গ একত্রে অথবা আলাদা আলাদাভাবে হতে পারে। এক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে।

ব্যথা সাধারণতঃ তীব্র হয় না, আবার অনেক সময় ব্যথা একেবারেই থাকে না।

ফিসারের রোগীরা অনেক সময় প্রস্রাবের সমস্যায় ভোগেন। অনেকে বহুদিন ধরে প্রস্রাব করতে কষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ রোগে মহিলারা কখনো কখনো যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব করেন। যদিও রোগীরা বুঝতে পারেন যে কোষ্টকাঠিণ্যের কারণে এ সমস্যাটির উদ্ভব হয়েছে তবু ব্যথার ভয়ে রোগীরা টয়লেটে যেতে চান না। এভাবে কোন কোন রোগী ৫-১০ দিন পর একবার টয়লেটে যান।

তীব্র ব্যথা সম্পন্ন ঘা বা একিউট এনাল ফিসারঃ এ অবস্থায় রোগীরা ভীষণ ব্যথায় ভোগেন। কয়েক ঘন্টা থেকে বিছানায় শুয়ে ছটফট করতে থাকেন। এসময় মলদ্বার পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে, সেটি খুবই সংকুচিত অবস্থায় আছে। তীব্র ব্যথার কারণে ভিতরের ঘা দেখা দু:সাধ্য। কোন যন্ত্রও প্রবেশ করানো যায় না। অনেক রোগী তীব্র ব্যথার জন্য মলদ্বার স্পর্শ করতে দিতে চান না।

দীর্ঘস্থায়ী মলদ্বারের ঘা বা ক্রনিক এনাল ফিসারঃ ক্রনিক ফিসার বলা হয় যখন একটি সঠিক ভাবে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে ঘা দেখা যায়। এক্ষেত্রে একটি বাড়ন্ত মাংশপিন্ড বা গেজ দেখা যায়। এটিকে বলা হয় ‘সেন্টিনেল পাইলস’।

প্রতিরোধঃ 
কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করা উচিত এবং বেশী শক্তি প্রয়োগে মলত্যাগ করা উচিত নয়। বারে বারে মলত্যাগের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎ্‌সা করতে হবে।

কি খাবেন?
1. যারা আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের এ রোগ কম হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক-সবজি, কাঁচা ফলমূল, আলুর ছোলা, ইসুপগুলের ভূষি ইত্যাদি। এতে থাকা আঁশ মলে পানি ধরে রেখে মলকে নরম করে। ফলে কোষ্টকাঠিন্য এর সম্ভাবনা থাকেনা।
2. ডাল জাতীয় খাবার খান। এক কাপ ডালে ১৫-১৬ গ্রাম আঁশ থাকে। দিনে অন্তত দুই কাপ ডাল খান।
3. খোসাহীন শস্যের চাইতে খোসা যুক্ত শস্য খান। সাদা চাল বা আটা এর বদলে লাল চাল বা আটা খান। খোসা, প্রচুর পরিমানে আশ ও ভিটামিন সরবরাহ করে। 
4. নিয়মিত দই খান। এতে থাকা উপকারী ব্যক্টেরিয়া কোষ্টকাঠিন্য রোধে সহায়তা করে।
5. দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খান।

কি খাবেন না?
1. পাস্তা, ক্র্যাকার, ভাত, বিস্কিট, রুটি ইত্যাদিতে আঁশ অনেক কম। ধরুন আপনি এক বেলার খাবারে নিয়মিত পাস্তা খান বা এক প্যাকেট বিস্কিট খান বা অল্প পরিমান সব্জী দিয়ে বা সব্জী ছাড়া প্রচুর পরিমাণে রুটি বা ভাত খান- এই ধরণের খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকলে কিন্তু আপনার শরীরে আঁশ গ্রহণ কম হচ্ছে। ফলে দেখা দিতে পারে কোষ্টকাঠিন্য। মোটকথা কোষ্টকাঠিন্য নিরোধে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে আঁশ এর অনুপাত ঠিক থাকতে হবে।

2. ফ্যাটি ও উচ্চ সুগার যুক্ত খাবার নিয়মিত গ্রহণের অভ্যাস ও কোষ্টকাঠিন্য ঘটাতে পারে। যেমন, গরুর মাংস, চীজ, মাখন, ফ্রাইড খাবার, চকোলেট, আইস্ক্রীম, কোমল পানীয় ইত্যাদি। 

ব্যায়ামঃ 
যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তারা ব্যায়ামের মাধ্যমে কোষ্টকাঠিন্য কমাতে পারেন। ফলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। মাটিতে সোজা শুয়ে পরুন, পা মাটিতে মেশানো থাকবে, পায়ের পাতা ছাদমুখী থাকবে। এবার পেটের পেষী ভিতরে দিকে টেনে ধরে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন ও ডান পা টা আস্তে আস্তে দূরে নিন। যতদূর পারেন করুন, এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা আগের জায়গায় আনুন। এরপর বাম পা ব্যবহার করে একি ব্যায়াম করুন

মলদ্বার এর যত্নঃ
মলদ্বার ও প্বার্শবর্তী অঞ্চল যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখুন। সুতী ও ঢিলেঢালা অন্তর্বাস পরিধান করুন। অন্তর্বাসের ভিতরে নরম কোন প্যাড ব্যবহার আপনাকে স্বস্তি দেবে। মাঝে মাঝেই সিজ বাথ (Sitz Bath) নিন, এটির নিয়ম হচ্ছে আধ গামলা লবণ মিশ্রিত গরম পানিতে নিতম্ব ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

সার্জিক্যাল চিকিৎসাঃ
এ রোগের জন্য অপারেশন করতে হতে পারে এ কথা শুনলেই রোগীদের আত্মা শুকিয়ে যায়। এমনকি বায়ু বের করতেও কষ্ট হয়। ওষুধে না সারলে অপারেশনই এই ঘা শুকাবার একমাত্র পথ, এবং তারপরই সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। 

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
মলদ্বারের রোগ সমূহ বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে বিশেষ করে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রধান কারন।
এনাল ফিসার, পাইলস, ফিস্টুলা সহ  মলদ্বারের সকল রোগই এ্যালোপ্যাথিক র্সাজারি ছাড়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সর্ম্পূন র্নিমূল করা সম্ভব হয়। সার্জারি চিকিৎসায় এক.দুই বছর পর পুনরায় এ রোগ দেখা দেয় কিন্তু হোমিও চিকিৎসায় সম্পূর্ন নির্মূল হয়ে যায় তবে চিকিৎসা নিতে হয় দীর্ঘ দিন যাবত।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Wednesday, December 4, 2013

নাক দিয়ে রক্ত পড়া (Epistaxis) এর সমস্যা ও সমাধান!

নাক দিয়ে রক্ত পড়া আমাদের একটি সাধারণ বা সচরাচর ঘটে থাকা ঘটনার মধ্যে একটা। আসুন জেনে নেই নাক দিয়ে রক্ত পড়া নিয়ে ...!


নাক দিয়ে রক্ত পড়া (Epistaxis) কি? 
ছোট ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রায়ই নাক দিয়ে রক্ত পড়া দেখা যায়। অনেক সময় বড়দেরও পড়তে দেখা যায়। এটা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। রক্ত পড়া অল্প সময়ের জন্য ৩-৪ বার পড়তে থাকে। যদি ১-২ দিন অনবরত পড়তে থাকে তবে উপযুক্ত কারণ খুঁজে চিকিৎসা করা দরকার।

নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারনঃ
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারনগুলোকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি ...

১) কোন কারন ছাড়া রক্ত পড়াঃ 
কারণ ছাড়া (Idiopathic) ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না ...
২) নাকের সমস্যাঃ
-> আঘাত -সাধারণত: নাকে কোন ভোতা বস্ত্ত দিয়ে আঘাত করলে
-> বহিরাগত দ্রব্য- যেমন হাত দিয়ে নাক খোটার সময়
-> শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা জনিত- যেমন নাকের সর্দি, সাইনোসাইটিস
-> নাকের কোন সমস্যা, যেমন পলিপ/টিউমার থাকলে
-> রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থাকলেও নাক দিয়ে রক্ত পরতে পারে
-> নাকের অপারেশন
৩) শারীরিক সমস্যাঃ
-> আঘাত
-> এলার্জি
-> প্রদাহ
-> উচ্চ রক্তচাপ
-> রক্ত স্বল্পতা/এনিমিয়া
-> রক্তে জমাট বাঁধার সমস্যা হিমফিলিয়া, লিউকোমিয়া ইত্যাদি
-> মাসিক-এর সময় এবং গর্ভাবস্থায়
-> এছাড়া ঔষধ যেমন-এসপিরিন, আইবুপ্রফেন সেবনের কারণে অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।

লক্ষণ/চিহ্নঃ
সাধারণ বলে মনে হলেও রোগটি কিন্তু মোটেই সাধারণ রোগ নয়; বড় বিপজ্জনক রোগ। একে অবহেলা করা উচিত নয়। এই রোগে হঠাৎ হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে। কখনো ফোঁটা ফোঁটা, কখনো বেশ গড়গড় করে পড়ে। কখনো জমাট বাঁধা খয়েরি রঙের রক্তও বের হয়। নাকে ঘা বা ফোঁড়া না হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার পিছনে নাক ছাড়াও অন্য কারণও থাকে। এটি উপসর্গ মাত্র।

চিকিৎসা/ব্যবস্থাপনাঃ
-> রোগীর পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন।
-> নাক দিয়ে রক্ত পড়লে সঙ্গে সঙ্গে বসে পড়ুন এবং বৃদ্ধ ও নির্দেশক অঙুলি দিয়ে নাকের সামনের নরম অংশে চাপ দিয়ে এবং মুখ দিয়ে শ্বাস নিন...
এভাবে ১৫-২০ মিনিট চেপে ধরলে অনেক ক্ষেত্রে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
-> অনেক সময় কপালে, ঘাড়ে বরফ দিয়ে ঘষলে বা বরফ ঠান্ডা পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
-> যদি এতেও বন্ধ না হয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
-> অবস্থ্যা জটিল হলে ডাক্তার রক্তের উৎস (Cauter) নির্নয় করে নাক প্যাক (ANS/PNS pack) দিয়ে রক্তক্ষরন বন্ধ করেন। মেডিক্যাল কারণে রক্ত ঝরলে তার চিকিৎসা করেন। নাকের পেছনের অংশ থেকে রক্ত ঝরলে রোগীর অবস্থা আশঙ্কা যুক্ত হতে পারে ...!

উপদেশঃ খাদ্য ও পথ্য
#পথ্য খাবার কোনো অসুবিধা নেই, খেতে পারলে সব খাবারই খাওয়া যাবে।
#রোগের সঠিক কারণ খুঁজে বের করা গেলে সেভাবেই চিকিৎসা করতে হবে।
#উচ্চ রক্তচাপ বা বেশি রক্তশুন্যতার সৃষ্টি হলে হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
#সঠিক রোগ নির্ণয় না করে চিকিৎসা করা উচিত না।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।