Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Monday, March 31, 2014

মেয়েদের শারীরিক একান্ত সমস্যা ও সমাধান !!

আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা হলো মেয়েদের হাঁচি-কাশির সঙ্গে বেগ ছাড়াই অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়ার সমস্যা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় ‘ইউরিনারি স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স’।

বাংলাদেশের মেয়েদের কত শতাংশ এ সমস্যায় ভুগছে তার সঠিক পরিসংখ্যান না জানা থাকলেও হাসপাতালে এবং ব্যক্তিগত চেম্বারের অভিজ্ঞতা থেকে অনুমেয় যে এ সংখ্যা একেবারে কম নয়। চিরকালীন স্বভাবজাত লজ্জায় আমাদের মেয়েরা যতক্ষণ পারেন সহ্য করেন, আর যেহেতু এটা জীবন সংহারী কোনো অসুখ নয়, তাই সহজে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হন না। কিন্তু ধীরে ধীরে জীবনযাপনের মান নেমে আসতে থাকে।

স্বাভাবিক অবস্থায় যত প্রবল কাশি আর যত জোরেই হাঁচি আসুক না কেন, কখনো প্রস্রাব বেরিয়ে যাবে না। প্রস্রাবের বেগ চাপলেও মানুষ যথাযথ সুযোগ এবং স্থান না পেলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে। কিন্তু যাঁরা ইউরিনারি স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সে ভুগছেন, তাঁদের হাঁচি, কাশি বা হাসির সঙ্গে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, যার ওপর নিজের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। প্রাথমিক অবস্থায় প্রচণ্ড হাঁচি বা প্রবল কাশির সঙ্গে হঠাত্ করে সামান্য প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, কিন্তু বয়স এবং অসুখের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সামান্য হাঁচি, কাশি বা হাসিতেই প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে। অবস্থার আরও অবনতি হলে শারীরিক অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে, যেমন—বসা থেকে দাঁড়াতে গেলে, কোনো ভারী জিনিস তুলতে গেলেই প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে, এমনকি অনেক সময় যৌনমিলনের সময়ও প্রস্রাব নির্গত হতে পারে। এ সমস্যা জীবন সংশয়ী নয়, কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

যত্রতত্র হঠাত্ করে কোনো পূর্ব সতর্কীকরণ ছাড়া প্রস্রাব বের হওয়ার ফলে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য বারবার কাপড় বদলাতে হয়। সমস্যা আরও বেড়ে গেলে অনেককে নিয়মিত স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করতে হয়। নিয়মিত নামাজ পড়া বা অন্য ধর্মীয় কাজে বিঘ্ন ঘটে। এ ছাড়া প্রস্রাব দিয়ে ভেজা থাকার জন্য যৌনিপথের আশপাশে ছত্রাক সংক্রমণ ও ঘা হতে পারে। প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে অনেকে সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে যাওয়া ছেড়ে দেন। একপর্যায়ে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে এবং রোগী বিষণ্ন্নতায় ভুগতে থাকেন। যৌনমিলনের সময় অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাব বের হলে তা স্বামী-স্ত্রীর যৌনজীবনে অস্থিরতা ও উত্কণ্ঠা তৈরি করে। যাঁরা নিয়মিত খেলাধুলা বা ব্যায়াম করেন, এ সমস্যায় তাঁদের ক্রীড়ানৈপুণ্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের সঙ্গে প্রস্রাবের অন্যান্য সমস্যা যেমন, বেগ এলে প্রবল তাড়া অনুভব এবং মূত্র ত্যাগে বিলম্বিত করতে না পারা, কিংবা টয়লেটে পৌঁছানোর আগেই কাপড়ে প্রস্রাব হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।

স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের চিকিৎসায় যাওয়ার আগে এ সমস্যায় যেসব বিষয়কে ঝুঁকি হিসেবে গণ্য করা হয়, তা একটু জানা যাক। স্থায়ী ঋতুস্রাব বা মেনোপজের ফলে অথবা অন্য কোনো কারণে শরীরে এস্ট্রোজেন নামের হরমোন কমে যাওয়ার জন্য বা যোনিপথে প্রস্রাব বিশেষ করে বিলম্বিত কষ্টকর প্রস্রব এবং যেসব প্রস্রবে ফরসেপস ব্যবহার করা হয় সে ধরনের প্রসবের কারণে, মূত্রাশয় এবং মূত্রনালির স্বাভাবিক অবস্থান রক্ষায় যেসব পেশি কাজ করে সেগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে হঠাত্ হাঁচি, কাশি বা হাসির দমকে মূত্রাশয় ও মূত্রনালির সংযোগস্থল তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে নেমে আসে এবং প্রস্রাবের বেগ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সামান্য প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি (ক্রনিক) কাশি বা হাঁপানি, কোষ্ঠকাঠিন্য, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, ধূমপান ইত্যাদি ইউরিনারি স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া কিছু কিছু ওষুধ যেমন, কাশি বা অ্যালার্জির জন্য ব্যবহূত ওষুধ, মানসিক রোগের কিছু ওষুধ, প্রস্রাব হওয়ার ওষুধ ইত্যাদির কারণেও স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স বেড়ে যেতে পারে।

ইউরিনারি স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের চিকিৎসা নির্ভর করে প্রস্রাব নির্গত হওয়ার মাত্রা এবং এর তীব্রতার ওপর। প্রাথমিক অবস্থায় বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই শুধু রোগের ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার পর রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে রোগীর জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন আনার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়, যেমন—ধূমপান পরিহার করা, অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা, কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি। গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু শতকরা পাঁচ ভাগ ওজন কমাতে পারলে স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের ৫০ শতাংশ উন্নতি ঘটে। এ ছাড়া প্রস্রাবের পরিমাণ এবং আবহাওয়ার উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে পরিমিত পানি পান (কখনোই অতিরিক্ত নয়), যেসব পানীয়তে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায়, যেমন—চা, কফি, কিছু ফলের রস, বিভিন্ন কোমল পানীয় ইত্যাদি পান করা কমিয়ে দিতে হবে। সাধারণত জীবনাচরণের এসব পরিবর্তনে প্রস্রাব লিকেজের মাত্রা কমে আসে।

এসবেও সমস্যার উন্নতি না হলে রোগীকে একটি ব্যায়াম শেখানো হয়, যেখানে রোগী তার মূত্রদ্বার, যোনিপথ এবং মলদ্বারের চারপাশের মাংসপেশিগুলো (পেরিনিয়াল মাংসপেশি) নিয়মিত বিরতিতে সংকোচন ও প্রসারণ করবে। এ ব্যায়ামের মাধ্যমে পেরিনিয়াল মাংসপেশিগুলোর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে মূত্রাশয় এবং মূত্রনালির সহায়ক পরিপোষণকে শক্তিশালী করা হয়। কিন্তু সমস্যা একটাই, সঠিক নিয়মে সঠিক মাংসপেশির সংকোচন করা এবং একনাগাড়ে দীর্ঘদিন (অন্তত টানা ছয় মাস) চালিয়ে যাওয়া একটু কষ্টকর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুধু এ ব্যায়ামেই শতকরা ষাট থেকে সত্তর ভাগ উন্নতি হয়।

যেসব রোগীর অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাব বের হওয়ার মাত্রা অনেক বেশি বা এর সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ থাকে, তাদের ইউরোডাইনামিক পরীক্ষার মাধ্যমে আরও মূল্যায়ন করে সমস্যার তীব্রতা নির্ণয় করা হয়। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসা প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ধরনের শল্যচিকিৎসার মধ্যে বর্তমানে উন্নত বিশ্বে যৌনিপথে সিনথেটিক টেপ স্থাপনের মাধ্যমে মূত্রনালিকে সহায়তা দেওয়া হয়। এতে হঠাৎ হাঁচি-কাশির সঙ্গে মূত্রাশয় এবং মূত্রনালির সংযোগস্থল স্বাভাবিক অবস্থান থেকে নেমে আসে না, ফলে নিয়ন্ত্রণহীন প্রস্রাব বেরিয়ে যায় না।

Wednesday, March 19, 2014

মেটাবোলিজম বাড়াতে কার্যকর কিছু খাবার!

ওজন কমাতে বা ফিগার শেইপে রাখতে আমরা সবাই খুব সচেতন সব সময়। সেজন্য শুধু নামমাত্র ডায়েট করলেই হবে না বরং তার পাশাপাশি চাই সচেতনতা এবং ডায়েট চার্টে কোন কোন খাবার রাখা উচিত সে সম্পর্কে ভালো মতো জানা। 


ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মেটাবোলিজম সম্পর্কে অবশ্যই ধারনা থাকতে হবে। মেটাবোলিজম হচ্ছে যে হারে আমাদের শরীরের ক্যালরি চর্বিতে পরিনত না হয়ে বার্ন হয়ে যায় সেটি। তাহলে বুঝতেই পারছেন শরীরের মেটাবোলিজম রেট বেশি থাকলে খুব সহজেই অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আনা সম্ভব। এখন প্রশ্ন হলো কী করে আমরা শরীরের মেটাবোলিজম বাড়াতে পারি? না, খুব বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু আপনার ডায়েট চার্টে এমন সব খাবার যোগ করতে হবে যেগুলো মেটাবোলিজম বাড়াতে সাহায্য করবে। আজকের এই লেখা তাই তেমন কিছু খাবার নিয়ে যেগুলো আমাদের শরীরের মেটাবোলিজম বাড়াতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে।
ব্রোকোলিঃ
দেহের মেটাবোলিজম বাড়িয়ে ওজন কমিয়ে আনতে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি এই দুটি জিনিস একসাথে খুব কার্যকর। ব্রোকোলিতে এই দুটি জিনিসই রয়েছে উচ্চমাত্রায়। ক্যালসিয়াম মেটাবোলিজম বাড়িয়ে দেয় আর অন্যদিকে ভিটামিন সি আরও বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। তাই এই দুটি জিনিস শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে খুবই কার্যকর ভুমিকা পালন করে। তাই খাবারের তালিকায় ব্রোকোলি পরিমাণ বাড়িয়ে খুব সহজেই কমিয়ে নিতে পারেন দেহের অতিরিক্ত ওজন।

আদাঃ 

আদা দেহের মেটাবোলিজম বাড়ানোর সাথে সাথে ব্লাড সার্কুলেশন এবং ডাইজেস্টিভ সিস্টেমও ইম্প্রুভ করতে সাহায্য করে। আদার খোসা ছাড়িয়ে গ্রেট করে সালাদের ড্রেসিং এর সাথে যোগ করতে পারেন অথবা চায়ের সাথে যোগ করতে পারেন আদার রস।

লেবুঃ 

লিভার হচ্ছে আমাদের দেহের এমন একটি অংশ যা ফ্যাট বার্ন করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। লেবুর রসে থাকা এনজাইম, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য উপকারী উপাদান লিভারকে ডিটক্সিফাই করে যার ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। লেবুর রস লিভারকে পরিষ্কার করার মাধ্যমে দেহের মেটাবোলিজম রেট বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন, অথবা সালাদ বা সবজির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন লেবুর রস।

পানিঃ
 

আমাদের দেহের ওজনের দুই তৃতীয়াংশ ওজনই হচ্ছে পানির ওজন। তাহলে বুঝতেই পারছেন দেহের জন্য পানি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই যখন শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয় তখন শারীরিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এর ফলে শরীরের মেটাবলিক ফাংশনও ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার মাধ্যমে শরীর হাইড্রেটেড থাকে যার ফলে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায় এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ গ্লাস পানি পান করুন।

জাম্বুরাঃ 

জাম্বুরা দেহের মেটাবোলিজম বাড়াতে খুবই কার্যকর একটি খাবার। এজন্যই বিভিন্ন ডায়েট প্ল্যানে জাম্বুরাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের পূর্বে অর্ধেক জাম্বুরা অথবা দিনে ৩ বার জাম্বুরার জুস পানের মাধ্যমে ১২ সপ্তাহে ৪ পাওন্ড এর মতো ওজন কমানো সম্ভব। জাম্বুরা শরীরের ক্যালরিকে চর্বিতে রূপান্তরিত করার পরিবর্তে এনার্জীতে রূপান্তর করে । তাই যারা ওজন কমাতে ইচ্ছুক তারা তাদের ডায়েট প্ল্যানে যোগ করে নিতে পারেন এই কার্যকর খাবারটি। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক রয়েছে বা অন্যান্য মেডিকেশনে আছেন তারা অবশ্যই নিজ নিজ ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেবেন।

বাঁধাকপিঃ 

বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি যা শরীরের মেটাবোলিজম বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক একটি উপাদান হিসেবে বিবেচিত। প্রতিদিনের সবজ়ির তালিকায় অবশ্যই বাঁধাকপি রাখুন। আপনার সালাদের সাথেও যোগ করতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর সবজিটি।

ওটমিলঃ 

সকালের শুরুটা করুন এক বাটি ওটমিল দিয়ে। এটি ফাইবারে সমৃদ্ধ একটি খাবার যা ক্যালরি বার্ন করতে খুবই উপকারী। ওটমিল কোলেস্টেরল লেভেল কমানোর সাথে সাথে হার্টের রোগের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয় অনেকখানি।

স্যালমন এবং টুনামাছঃ 

শরীরে লেপটিন নামক এক ধরনের হরমোনের পরিমাণ যদি বেড়ে যায় তাহলে মেটাবোলিজম হ্রাস পায় এবং ফলাফল স্বরুপ ওজন বেড়ে যায়। স্যালমন এবং টুনা মাছে এমন এক ধরনের অয়েল রয়েছে যা শরীরের লেপটিনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে যার ফলে মেটাবোলিজম রেট বাড়ে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এই সামুদ্রিক মাছ গুলো রাখতে ভুলবেন না যেন।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]

Tuesday, March 18, 2014

সাধারণ উপাদানে ত্বকের পি এইচ পুনরদ্ধার!

প্রথমে আমাদের জানা দরকার ত্বকের পি এইচ কী? 

পি এইচ বা পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন হল কোন একটি পদার্থের এসিডিক বা এলকালীর পরিমাপ। ০-১৪ পর্যন্ত মাপের স্কেল দ্বারা এটি পরিমাপ করা হয়। মানুষের ত্বকে সেবামের পি এইচ সাধারণত ৪.৫ থেকে ৫.৫ পর্যন্ত থাকে। যা স্কেল অনুযায়ী এসিডিক। 



এই ন্যাচারাল স্কিন এসিডিটি ত্বককে ফাঙ্গাস আর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে আর আমাদের ত্বক রাখে স্বাস্থ্যজ্জ্বল। কিছু কিছু স্কিন প্রোডাক্ট এই ন্যাচারাল পি এইচ ব্যাহত করে। আমাদের ত্বক স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমণ এবং পরিবেশগত চাপ সহ্য করার ক্ষমতার অধিকারী কিন্তু আন ব্যালেন্সড pH এর মাত্রা দ্বারা এসব কর্মকাণ্ড প্রভাবিত হয়। 

আমাদের ত্বকের পৃষ্ঠতলে একটি পাতলা, প্রতিরক্ষামূলক স্তর আছে, যাকে এসিড ম্যাণ্টেল বলা হয়। এই এসিড ম্যাণ্টেল সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে নির্গত সেবাম (ফ্রি ফ্যাটি এসিড) দ্বারা গঠিত হয়। এটি আবার ঘামের ল্যাকটিক এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের সাথে মিশ্রিত হয়ে ত্বকের জন্য pH তৈরী করে। 

আপনার ত্বক ওয়াটার প্রুফ থাকার জন্য এবং সংক্রমণ প্রতিহত করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল প্রয়োজন। এই তেল আমদের শরীরেই উৎপন্ন হয়। তেলের পরিমাণ খুব সামান্য হলে ত্বক শুষ্ক এবং অকালে রিংকেল দেখা দিতে পারে। আবার খুব বেশি পরিমাণ তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হতে পারে। বাহ্যিক এবং আভ্যন্তরীণ কারণে ত্বকের পি এইচ ভারসাম্যহীন হয়ে যেতে পারে। 

আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বক আম্লিক হয়ে যায় আবার আমাদের জীবনধারা এবং আমাদের পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার (ধূমপান, বায়ু, জল, সূর্য, দূষণ) সংস্পর্শে ত্বক নিজেকে রক্ষার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এখন চলুন দেখা যাক কিছু ফেস মাস্কের বদৌলতে ত্বকের পি ইচ কীভাবে পুনরদ্ধার করবেন।

টমেটো মাস্কঃ
১টি টমেটোর পাল্প, ১ প্যাকেট জেলাটিন, ১ টেবিল চামচ কমলার রস। এই উপাদান গুলোকে গরম করুন তারপর মসৃণ একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে অ্যাপ্লাই করে শুকানোর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টমেটো ত্বকের প্রাকৃতিক পি এইচ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং ব্লেমিশের জন্য চমৎকার প্রাকৃতিক প্রতিকারক। উপরন্তু জেলাটিন মুখের ত্বক দৃঢ় করতে সাহায্য করে এবং কমলার রস ত্বককে এক্সফলিয়েট করে।

টক দইয়ের মাস্কঃ 

১ টেবিল চামচ পাকা কলার পেস্ট এবং ১ টেবিল চামচ টক দই নিন। এটি ভালো ভাবে মিশিয়ে মুখে অ্যাপ্লাই করুন। এই দুটি উপাদানই ত্বকের জন্য একদম জাদুর মত কাজ করে। কলাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ, পটাসিয়াম এবং খনিজ পদার্থ একটি সুস্থ ত্বক সুনিশ্চিত করে। আবার দইয়ে আছে আলফা হাইড্রক্সি এসিড, এটি ত্বকের pH এর ভারসাম্য পুনঃস্থাপনে সাহায্য করে।

লেমন মাস্কঃ 

আধা কাপ লেবুর খোসা এবং লেবুর পাতা পানিতে ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। এর সাথে ওটস মিশিয়ে পানিটি ছেঁকে ঠাণ্ডা করতে রাখুন। আরেকটি বাটিতে বেসন, লেবুর রস, ছেঁকে রাখা পানিটি মিশিয়ে একটি ফেস মাস্ক বানিয়ে ফেলুন। মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে নিন তারপর গুঁড়ো করুন। এবার এই চূর্ণ দিয়ে ত্বক উপযোগী ফেস মাস্ক তৈরী করা হবে। আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়ে থাকে তবে আধা চা চামচ কমলার খোসা চূর্ণের সাথে ১ চা চামচ লেবুর খোসা চূর্ণ, বেসন, লেবুর রস এবং টক দই মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। প্রথমে মাস্কটি দিয়ে মুখ হালকা ম্যাসেজ করবেন তারপর শুকানোর জন্য ১৫ মিনিট অপেক্ষা করবেন। এসময় কারও সাথে কথা বলবেন না। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।

এসব মাস্ক ছাড়াও আরও কিছু খাদ্য আছে যা আপনার ত্বকের পি এইচ সমতা রক্ষা করতে সাহায্য করে এমনকি এসব খাদ্য আপনার ত্বককে ক্লিনও করে।

পানিঃ 

পানিতে ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য আছে আর যখন কোন কিছু ক্ষারীয় হয়, তখন এটি আপনার শরীরে্র বাড়তি অ্যাসিড প্রতিরোধ করে। এসিডের উপস্থিতি ব্যক্তির pH এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান আপনার pH এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

লেবুঃ 

লেবু আম্লিক কিন্তু এটি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে ক্ষারীয় আকার ধারণ করে। শুধু লেবু নয় সব ধরণের সাইট্রাস জাতীয় ফল আপনার pH এর মাত্রা কম করতে সাহায্য করবে।

কাজুবাদামঃ
 

কাঁচা কাজুবাদাম আপনার ত্বকের pH এর সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তবে একটি অঙ্কুরিত কাজুবাদামে পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি পরিমাণে থাকে এবং আপনার ত্বক এর pH এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ 

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পুরো দেহের Ph এর সমতা রক্ষা করতে সহায়তা করে। যার শরীরে Ph এর মাত্রা কম সে খুব তাড়াতাড়ি যে কোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং দেহে শক্তি অনেক কম থাকে। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার প্রতিদিন খেলে দেহে শক্তি সঞ্চয় হয়।

রসুনঃ 

রসুন বিভিন্ন রোগের জন্য মহৌষধ স্বরূপ এবং ত্বকে pH এর ভারসাম্য বজায় রাখতে এর অবদান অনস্বীকার্য। আপনি প্রতিদিন রসুন এবং একটি কাঁচা লবঙ্গ খেলে আপনার ত্বক এবং চেহারা স্বাস্থ্যজ্জ্বল হতে বাধ্য।

শাক-সবজিঃ 

দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ত্বকের পি এইচ রক্ষা করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক খাবারই আছে যা আমাদের শরীরে প্রবেশের পূর্বে এসিডিক থাকে কিন্তু হজমের পর পরই তা আ্যালকালাইনে পরিণত হয়। একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ Jeannette Graf এর মতে আমাদের আম্লিকের থেকে ক্ষারীয় খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন, নতুবা অভ্যন্তরীণ ভাবে আমরা অনেক বেশি আম্লিক হয়ে পড়বো। তার মানে আমাদের প্রচুর পরিমাণে এল্কালাইজিং খাদ্য যেমন সবুজ শাক-সবজি, লেবু , টমেটো, গাজর, সয়াবিন গ্রহণ করতে হবে।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।]