Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Thursday, March 3, 2016

গরম পানি পানের অবিশ্বাস্য ১২টি উপকারিতা!

গরম পানি আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে। আসুন আমরা জেনে নেই গরম পানি আমাদের কী ধরনের উপকারে আসে।


১. ওজন কমবে গরম পানি শরীরের বিপাক ক্রিয়া খুব ভালভাবে সম্পন্ন করে। যার ফলে বাড়তি মেদ কমবে। তবে আরো বেশি কাজ দিবে যদি সকালে খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবু মিশ্রিত করে পান করেন। এটা বডি ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করবে।
২. গলা ও নাসারন্দ্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে ঠাণ্ডা লাগা, কফ জমে যাওয়া এবং গলা ব্যাথায় গরম পানি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটা কফ তরল করে বের করে দেয়। গলা ব্যথা কমায়। এছাড়া নাসারন্দ্রের পথ পরিষ্কার রাখে।
৩. মাসিক বাধা দূর করে গরম পানি মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। এটা পেটের পেশীকে শান্ত ও কোমল করে। যার ফলে মাসিকের সমস্যা দূর হয়।
৪. শরীরের বর্জ্য বের করে দেয় গরম পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ঘাম ঝরবে। ঘামের সাথেই শরীরের অনেক ধরনের বর্জ্য বের হয়ে যাবে। এতে শরীর সুস্থ্য থাকবে।
৫. অকালে বয়সের ছাপ দূর করবে শরীরের বর্জ্য বের হতে না পারলে ত্বকের কোষ নষ্ট হয়। ফলে অকালে বয়সের ছাপ পড়ে। গরম পানি এই নষ্ট কোষগুলোকে ঠিক করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ফলে ত্বক কোমল হয় এবং বয়সের ছাপ দূর হয়।
৬. ব্রণ ও ফুস্কুড়ি দূর করে গরম পানি বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে ত্বক পরিষ্কার রাখে। এতে ব্রণ ও ফুস্কুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তাই যারা ব্রণের সমস্যায় কাতর, তাদের উচিত গরম পানি পান করা।
৭. চুলের স্বাস্থ্য এবং জীবনীশক্তি গরম পানি চুলের গোড়ায় থাকা স্নায়ু কার্যকর করে চুল শক্ত করে। ফলে চুল নরম ও উজ্জ্বল থাকে। এটি ফিরে পায় স্বাভাবিক জীবনীশক্তি।
৮. চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে চুলের গোড়ার স্নায়ু সক্রিয় থাকায় চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। গরম পানি প্রতিদিনকার কার্যক্রম চালু রেখে চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
৯. খুশকি দূর করে গরম পানি মাথার খুলি জলযোজিত করে মাথায় খুশকি হওয়া রোধ করে। অনেক সময় শ্যাম্পু ব্যবহার করেও ফল হয় না, তবে নিয়মিত গরম পানি পান করলে সুফল পাওয়া যাবে নিশ্চিত।
১০. রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে নার্ভতন্ত্র সক্রিয় রাখে গরম পানি পানের আরেকটি উপকারিতা হল এটা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে পেশী ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। পাশাপাশি বাড়তি চর্বি ভেঙ্গে ফেলায় এগুলো যথেষ্ট উন্নত হয়।
১১. হজম ভাল হয় খাদ্য গ্রহণের পর ঠাণ্ডা পানি পান করলে খাদ্যের সাথে থাকা চর্বিগুলো জমিয়ে ফেলে। এতে পাকস্থলীর গাত্রে চর্বির স্তর জমতে থাকে। যা শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু গরম পানি তার উল্টোটা করে। এটা চর্বি ভেঙ্গে তা হজম বা নিঃসরণে সহায়তা করে। ফলে হজম প্রক্রিয়া ভাল হয়।
১২. রেচন প্রক্রিয়া ভাল হয় ভাল হজম হলে ভাল রেচনও হবে। গরম পানি নাড়িভুঁড়ির গাত্র সক্রিয় রাখে। ফলে রেচন নিয়মিত ও স্বাভাবিক হয়।



[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, January 25, 2016

সাপে কাটা!

সর্পদংশন বা সাপে কাটা একটি অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা৷ দংশিত ব্যক্তি এরকম পরিস্থিতির জন্য মোটেই প্রস্তুত থাকেন না৷ বাংলাদেশের গ্রামগুলোয় সর্পদংশন প্রায়ই সাপে কাটার ঘটনা ঘটে থাকে৷ বেশিরভাগ জনসাধারণের সাপ সম্পর্কে অযথা ভীতি রয়েছে৷ দংশনকারী সাপ বিষধর হলে মারাত্মক প্রতিক্রয়া হতে পারে৷ সর্পদংশনে মানুষের মৃতু্য হার অনেক৷


বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাপসমূহঃ
বাংলাদেশে মাত্র ৬ প্রজাতির বিষধর সাপ আছে-
 কোবরা (গোখরা)
 কেউটে (ক্রেইট)
 চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার)
 সামুদ্রিক সাপ (সি স্নেক)
 রাজ গোখরা (কিং কোবরা)

লক্ষণঃ
 দংশিত স্থানে ব্যথা নাও থাকতে পারে তবে ক্ষতস্থান ফুলে গেলে কিংবা পঁচে গেলে ব্যথা হতে পারে৷
 রোগীর ঘুমঘুম ভাব হতে পারে ও দুর্বলতা অনুভব করতে পারে৷
 প্যারালাইসিস বা পক্ষাঘাত দেখা দিতে পারে৷ চোখের মাংসপেশী ও অক্ষিগোলকের মাংসপেশীতে প্যারালাইসিস হলে রোগীর চোখের পাতা ভারী হয়ে যায়, চোখ বুঁজে আসে, চোখে ঝাপসা দেখে৷
 জিহ্বা জড়িয়ে আসা, কথা বলতে অসুবিধা হওয়া, চোয়াল ও তালু অবশ হওয়ার কারণে ঢোক গিলতে অসুবিধা, হাঁটতে অসুবিধা হওয়া, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া এমন কি মাংসপেশীও অবশ হতে পারে৷ শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা হয়ে রোগী নীল বর্ণ হয়ে যেতে পারে৷

প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
 রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে ৷ বেশিরভাগ রোগী মনে করেন মৃতু্য অবশ্যম্ভাবী৷ তাই জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে সাহস দেয়া ও প্রাথমিক চিকিত্‌সা দিয়ে যথাযথ স্থানে/হাসপাতালে চিকিত্‌সার জন্য প্রেরণ করলে রোগী বিশ্বাস ও সাহস ফিরে পাবে৷
 দংশিত স্থান কিছুতেই কাটা উচিত নয়৷ কেবল ভিজে কাপড় দিয়ে কিংবা জীবাণুনাশক লোশন দিয়ে ক্ষতস্থান মুছে দিতে হবে৷
 দংশনকৃত স্থান থেকে ভিতরের দিকে সাথে সাথে কেবল একটি গিঁট গামছা বা কাপড় দিয়ে (পায়ে দংশন করলে রানে, হাতে দংশন করলে কনুইয়ের উপরে গিঁট) এমনভাবে দিতে হবে যেন খুব আটসঁাট বা ঢিলে কোনটাই না হয় (বলা হয় যেন একটি আঙুল একটু চেষ্টায় ভেতরে যেতে পারে)৷
 সাপে কাটার স্থান বেশি নড়াচড়া করা যাবে না কারণ মাংসপেশী সংকোচন করলে বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে৷
 রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে কোনোক্রমেই রোগীকে হঁাটতে দেওয়া যাবে না৷ রোগীকে কঁাধে, খাটিয়ায় বা দোলনায় করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে৷ (সম্ভব হলে মৃত সাপ এর প্রজাতি ও বিষধর কিনা তা নিরূপণের জন্য সংগে নিতে হবে৷ সাবধান! সাপ মৃত কিনা ঠিকভাবে দেখে নিন৷ কারণ সাপ মারা যাওয়ার ভান করতে পারে এবং পরে আবার সাপ-দংশন করতে পারে৷)
 জরুরি কোনো উপসর্গ না থাকলে বিষদাতের চিহ্ন পরীক্ষার জন্য দংশিত স্থান পরীক্ষা করতে হবে৷ বিষ দাঁতের দাগ প্রায় আধা ইঞ্চি ফাকে দুটি খোচা দেয়ার চিহ্ন হিসাবে অথবা কেবল আচড়ের দাগ হিসেবে দেখা যেতে পারে৷ দুটো বিষদাঁতের চিহ্ন পরিষ্কারভাবে থাকলে খুব সম্ভবত সাপটি বিষধর, তবু বিষদাঁতের চিহ্ন না থাকলে যে সাপটি বিষধর নয় তা বলা যাবে না৷ 
 কামড়ানোর স্থানে চামড়ার রঙের পরিবর্তন, কালচে হওয়া, ফুলে যাওয়া, ফোসকা পড়া, পচন ধরা ইত্যাদি হতে পারে- আবার কোনো পরিবর্তন নাও থাকতে পারে৷ আবার প্রাথমিক চিকিত্‌সার ফলেও স্থানীয় পরিবর্তন হতে পারে৷

কুসংস্কারঃ
আমাদের দেশে অনেক ক্ষতিকর প্রাথমিক চিকিত্‌সা প্রচলিত যা ওঝা ও সর্প-চিকিৎসকরা প্রদান করে থাকেন৷ যা থেকে অনেক সময় রক্তপাত, ধনুষ্টংকার ও পঁচনসহ অন্যান্য অসুবিধা হয়৷
 দংশিত অঙ্গ ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে রক্তক্ষরণ করানো৷
 একাধিক স্থানে খুব শক্ত করে গিঁট দেয়া৷
 কার্বলিক এসিড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে দংশিত জায়গা পোড়ানো
 গাছ-গাছড়ার রস দিয়ে প্রলেপ দেয়া৷
 বমি করানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার৷
 কানের ভেতর বা চোখের ভেতর কিছু ঢেলে দেয়৷
এসব কখনও করা উচিত নয় বরং হাসপাতালে বা ডাক্তারের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷

সর্পদংশন প্রতিরোধঃ
 বেশিরভাগ সর্পদংশন পায়ে হয়ে থাকে৷ কাজেই সাপ থাকতে পারে এমন জায়গায় হাটার সময় বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে জুতা, লাইট ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে হবে৷
 সাপ সামনে পড়ে গেলে ধীর-স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকা উচিত্‌, সাপ প্ররোচনা ছাড়া দংশন করে না৷ (শুধু সাপ নয় পৃথিবীতে কোনো প্রাণীই অনর্থক ক্ষতি করে না)
 দুর্ভাগ্যবশত যদি সাপ দংশন করে থাকে, শান্ত থেকে কারো সাহায্য নিতে হবে৷ সর্পদংশনের পর কখনো দৌড়ানো উচিত্‌ নয়, এতে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে৷

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, January 3, 2016

কম ওজন বাড়িয়ে নিন সহজে!

ওজন বাড়াতে হলে আগে জানতে হবে আপনার ওজন কম কেন???


এর কয়েকটি কারণ হতে পারেঃ
১। বিভিন্ন ধরনের রোগ- যক্ষা, ডায়রিয়া সংক্রামক ব্যধি ইত্যাদি থাকলে।
২। দেহের তুলনায় কম খাদ্য খেলে এবং সেই সাথে খুব বেশি কাজ করলে।
৩। থাইরয়েড গ্রন্থির অসামাঞ্জস্যতা।
৪। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অতিরিক্ত চিন্তা আহারে অরুচি তৈরি করতে পারে।
৫। দুর্বল খাদ্য নির্বাচন।
৬। নিদ্রাহীনতা, অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ, পুষ্টিহীনতা।
৭। খাওয়ার ব্যাপারে অনীহা বা খুতখুত স্বভাব।
৮। বংশগত।

আরো অনেক কারণ আছে যে কারণে কম ওজন দেখা যায়। তাই আগে বের করতে হবে আপনার ওজন কেন কম?

তারপর জানতে হবে আপনার ওজন কত কম, স্বাভাবিক ওজন থেকে। এজন্য আপনি আপনার বি.এম.আই টা মেপে নিতে পারেন। সেই ভাবে আপনি আপনার আদর্শ ওজন কত তা জানতে পারবেন। ১৮.৫-২৪.৯ হলো স্বাভাবিক বি.এম.আই।

৫-৬ কেজি কম হলে মোট ক্যালরির সাথে ২০০ ক্যালরি যোগ করে খেতে পারেন। ৬-১২ কেজি কম হলে ৫০০ ক্যালরি এবং ১২ কেজি বা তার অধিক হলে মোট ক্যালরির সাথে ৬০০ ক্যালরি যোগ করতে পারেন।

ওজন বাড়ানোর জন্য খাবারের ক্ষেত্রে কিছু নীতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। যেমন – উচ্চ ক্যালরির, উচ্চ প্রোটিন, চর্বি, এবং উচ্চ শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ। যাদের ওজন কম তাদের খাবারের প্রতি অরুচি থাকে, তাই এক বারে না খেয়ে বারে বারে (১ঘণ্টা পর পর) খেতে হবে।

✬ উচ্চ ক্যালরিঃ কেউ যদি সকালে ২টি রুটি খেতে না চায় সে ১টি তেলে ভাজা পরোটা খেতে পারে। উচ্চ ক্যালরির কয়েকটি খাবার হলো– হালুয়া, পুডিং, মিষ্টি, মাখন, জ্যাম, জেলী, কলা, কোল্ড ড্রিঙ্কস ইত্যাদি।

✬ উচ্চ প্রোটিনঃ প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের জন্য ১ গ্রাম প্রোটিন দরকার। কিন্তু যাদের ওজন কম তাদের দৈনিক ৯০-১০০ গ্রাম প্রোটিন দরকার। ডিম, মাছ, মাংস, দুধ, ডাল ও বাদামে প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়।

✬ উচ্চ চর্বিঃ স্বাভাবিক সময় থেকে চর্বির পরিমাণ বাড়াতে হবে। মাখন, তেল ঘি, মেয়োনেজ, দুধের সর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের জন্য দুধে একটু তেল দিয়ে গরম করলে তাতে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়বে।

✬ উচ্চ শর্করাঃ পাতা জাতীয় শর্করা না খাওয়া ভালো। অধিক শর্করা পেতে পাউড়ুটি, বিস্কুট, আলু, নুডুলস, মিষ্টি ফল ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।

✬ তরলঃ খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে পানি, সরবত, দুধ ইত্যাদি। বেশি পানি খেলে তা পাকস্থলিকে বড় করতে সাহায্য করে। তবে খাবার গ্রহণের আগে ও মাঝে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবারেও যদি ওজন না বাড়ে তবে ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন! 


সবকিছুর জন্য দরকার নিজের ইচ্ছা এবং প্রচেষ্টা। তাই খাবার বুঝে শুনে খান এবং সুস্থ থাকুন।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]