Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Monday, July 27, 2020

খাবার বড়ি (পিল)

গর্ভনিরোধক খাবার বড়ি/পিল নিরাপদ ও কার্যকর জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। বাংলাদেশে খাবার বড়ি সর্বাধিক ব্যবহৃত পদ্ধতি। বর্তমানে প্রচলিত মিশ্র খাবার বড়ির উপাদান হল ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টোরেন হরমোন। মূলত ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে খাবার বড়ির প্রকার নির্ণয় করা হয়। এছাড়া শুধুমাত্র প্রজেস্টোরেন সমৃদ্ধ মিনিপিলও কার্যকর গর্ভনিরোধক বড়ি হিসাবে ব্যবহৃত।




গর্ভধারণ প্রতিরোধে খাবার বড়ি কিভাবে কাজ করে?
সারভিক্সের শ্লেষাকে ঘন করে শুক্রকীটকে জরায়ুতে প্রবেশে বাধা দেয়, ডিম্বস্ফুটনে বাধা দেয়। স্বাভাবিক মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে লিউটিনাইজিং হরমোন হঠাৎ বেড়ে যাবার ফলে ডিম্বস্ফুটন হয়। খাবার বড়ি লিউটিনাইজিং হরমোন হঠাৎ বেড়ে যাওয়াকে প্রতিহত করে ডিম্বস্ফুটন হতে দেয় না। ডিম্ববাহী নালীর স্বাভাবিক নড়াচড়ার গতি কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রকীটের গতিও কমে যায়। ডিম্বের কাছে পৌছাতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগে বলে শুক্রকীট দুর্বল হয়ে পড়ে বা মারা যায়। জরায়ুর ভিতরের ঝিল্লির বেড়ে যাওয়া রোধ করে, ফলে নিষিক্ত ডিম্ব জরায়ুতে গ্রথিত হবার মত কোনো পরিবেশ না পেয়ে গ্রথিত হতে পারে না। 

মিশ্র খাবার বড়ি প্রথম শুরু করার নিয়ম!

বাংলাদেশে প্রায় সকল মিশ্র খাবার বড়ির প্যাকেটে ২১টি সাদা জন্মনিরোধক বড়ি এবং ৭ টি খয়েরি বড়ি (আয়রন বড়ি) থাকে। যেসব প্যাকেটে ২১টি বা ২২টি বড়ি থাকে সেক্ষেত্রে সব শেষ হয়ে গেলে মাসিকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে । মাসিক শুরু হলে মাসিকের প্রথম দিন থেকে আবার নতুন প্যাকেটের বড়ি খাওয়া শুরু করতে হবে। যদি মাসিক না হয় এবং গ্রহীতা নিশ্চিত থাকেন যে, কোনো বড়ি খেতে ভুল হয় নি তবে শেষ বড়ি খাওয়ার ৭ দিন পরে নতুন পাতা থেকে বড়ি খেতে শুরু করবেন। এছাড়া-

  • ডিম্বস্ফুটন সঠিকভাবে প্রতিরোধ করার জন্য মাসিকের প্রথম দিন থেকে শুরু করা উচিত। 
  • মহিলা যদি নিশ্চিত হন যে, তিনি গর্ভবতী নন তবে প্রয়োজনে যে কোনো দিন থেকে শুরু করতে পারেন।


মিনিপিল!
শুধুমাত্র প্রজেস্টোরেন দিয়ে যে জন্মবিরতিকরন খাবার বড়ি বা পিল তৈরি হয় তাই মিনিপিল। মিনিপিল শতকরা ৯৭- ৯৮ ভাগ কার্যকর। মিনিপিল খাওয়ার নিয়ম

  • প্রতিদিন একই সময়ে একটি করে বড়ি খেতে হবে।
  • একটি প্যাকেটের সবগুলো বড়ি খাওয়া হয়ে গেলে পরদিনই নতুন আরেকটি পাতা থেকে শুরু করতে হবে । দুই প্যাকেটের মাঝে বিরতি দেয়া যাবে না।

মিনিপিল প্রথম শুরু করার সময়!

  • মাসিক শুরুর ৫দিনের মধ্যে ।
  • যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, তারা বাচ্চার জন্মের ৬ সপ্তাহ পর থেকে শুরু করতে পারেন।
  • যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন না, তারা যে কোনো সময় শুরু করতে পারেন, মাসিক হোক বা না হোক।
  • যদি বাচ্চার জন্মের ৪ সপ্তাহ পর থেকে খাওয়া শুরু করেন তবে তাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, তিনি গর্ভবতী নন।

বড়ি খেতে ভুলে গেলে করণীয়!

  • যদি একদিন বড়ি খেতে ভুলে যান তাহলে যখনই মনে পড়বে তখনই একটি বড়ি খাবেন এবং ঐদিনের বড়িটি যথাসময়ে খাবেন।
  • যদি পরপর দুইদিন বড়ি খেতে ভুলে যান তাহলে মনে পড়ার সাথে সাথে দুইটি বড়ি খাবেন। পাতার বাকি বড়ি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন একটি করে খাবেন এবং পরবর্তী মাসিক না হওয়া পর্যন্ত কনডম ব্যবহার করবেন বা সহবাস থেকে বিরত থাকবেন।
  • যদি পরপর তিনদিন বড়ি খেতে ভুলে যান তবে ঐ পাতা থেকে আর বড়ি খাবেন না এবং পরবর্তী মাসিকের আগ পর্যন্ত কনডম ব্যবহার করবেন বা সহবাস থেকে বিরত থাকবেন।
  • যদি খয়েরি বড়ি (২৮টি বড়ির প্যাকেট) খেতে ভুলে যান তবে ঐ পাতা থেকে আর খয়েরি বড়ি খাবেন না এবং নতুন পাতা হতে রোজ একটি করে সাদা বড়ি খেতে শুরু করতে হবে।
  • কোনো কারণে স্বামী সাময়িকভাবে বাড়িতে না থাকলে বড়ি খাওয়া বাদ দেয়া যাবে না।

খাবার বড়ির সুবিধা!

  • সঠিক ভাবে খেলে এটি অত্যন্ত কার্যকরী ও নিরাপদ।
  • প্রজননক্ষম সকল বয়সী মহিলা / নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হিসাবে খাবার বড়ি ব্যবহার করতে পারেন ।
  • এটি একটি অস্থায়ী পদ্ধতি, যে কোনো সময় বড়ি ছেড়ে দিয়ে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় বা গর্ভধারণ করা যায় ।
  • জরুরি গর্ভনিরোধক হিসাবেও ব্যবহার করা যায় ।

খাবার বড়ির অন্যান্য স্বাস্থ্য সুবিধা!

  • জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণের ঝুকি কমায়।
  • মাসিকের সময় জরায়ুর মোচড়ানো ব্যথা কমায়।
  • মাসিকের স্রাবের সময়কাল ও পরিমাণ কমায় এবং রক্তসল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • মাসিক চক্রকে নিয়মিত করে।
  • ডিম্বাশয়ে সিস্ট হওয়ার ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • স্তনের ব্যাধির সম্ভাবনা কমায়।
  • গনোরিয়াজনিত পিআইডির মাত্রা হ্রাস করে।
  • ব্রণ, অবাঞ্ছিত লোম ওঠা কমায়।
  • মাসিক পূর্ববর্তী উপসর্গ কমায়।

খাবার বড়ি গ্রহণের অসুবিধা!

  • প্রতিদিন খেতে হয়।
  • যৌন রোগ প্রতিরোধ করে না ।
  • মাসিক স্রাব বন্ধ থাকতে পারে।
  • যোনিপথের পিচ্ছিলতা কমে যেতে পারে।
  • বুকের দুধ কমে যেতে পারে।
  • বিমর্ষতা দেখা দিতে পারে।

খাবার বড়ির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া!
খাবার বড়ি ব্যবহারের প্রথম দিকে (৩ থেকে ৪ মাস) ছোটখাটো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন-

  • উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে
  • স্তন ভারী বোধ হওয়া এবং স্তন স্পর্শ কালে ব্যথার অনুভুতি
  • দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব
  • বিমর্ষতা দেখা দিতে পারে
  • বমি বমি ভাব
  • মাথা ধরা
  • মুখে ব্রন
  • ওজন বৃদ্ধি
  • যে সমস্ত মহিলা মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন, স্ট্রোক ইত্যাদি-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাদের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দেয়।
  • ক্লোয়াজম বা গর্ভবস্থার মতো মুখের ত্বকের রঙের পরিবর্তন হতে পারে।
  • শিরার রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই অতীতে বা বর্তমানে যাদের এই সমস্যা হয়েছে, তারা ইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ মিশ্র খাবার বড়ি খেতে পারবেন না।
খাবার বড়ি কোথায় পাওয়া যায়!
আমাদের দেশে সরকারি পর্যায় মাঠকর্মী, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্যাটেলাইট ক্লিনিক, ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং স্বীকৃত এনজিও/ বেসরকারি ক্লিনিক, ফার্মেসিতে খাবার বড়ি পাওয়া যায়।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জন্মবিরতিকরণ খাবার বড়ি!
সরকারি পিল সুখী বিনামুল্য মাঠকর্মীর কাছ থেকে, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্যাটেলাইট ক্লিনিক, ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে পাওয়া যায় । এসমসি ব্র্যান্ডের পিল নরেট-২৮, ফেমিকন, ফেমিপিল, মাইপিল, ওভাকন গোল্ড, এবং শুধুমাত্র প্রজেস্টোরেন সমৃদ্ধ মিনিপিল মিনিকন নামে যে কোনো ফার্মেসিতে পাওয়া যায়।

Sunday, March 15, 2020

করোনা ভাইরাস (COVID-19) সম্পর্কিত সাধারন তথ্য

✅ করোনা ভাইরাস কী?
👉 করোনা ভাইরাস একটি জীবাণু যা মানুষের শরীরে জ্বর, কাশি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট (নিউমোনিয়া) তৈরী করে।
👉 বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। শুধুমাত্র কিছু কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
👉 বিশেষ করে যারা বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দূর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রভাব মারাত্বক হতে দেখা যায়।
👉 এই রোগটি অতিরিক্ত সংক্রামক, সুতরাং খুব দ্রুত এটি বিস্তার লাভ করে। তবে যথাযথ প্রতিরোধম‚লক ব্যবস্থা নিলে, এর বিস্তার অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।


✅ করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ কিভাবে ছড়ায়ঃ
👉 এই ভাইরাসটি মূলত মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়- আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি, কফ-থুথুর মাধ্যমে ও
আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি সংস্পর্শে আসলে।

✅ রোগের লক্ষণসমূহঃ
👉 ভাইরাস শরীরে ঢোকার পরে সংক্রমনের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ২-১৪ দিন সময় লাগে।
👉 বেশীরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ জ্বর।
👉 এছাড়া শুকনো কাশি হতে পারে।
👉 শ্বাসকষ্ট/ নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে।
👉 অন্যান্য অসুস্থতা (ডায়াবেটিস/ উচ্চ রক্তচাপ/ শ্বাসকষ্ট/ হৃদরোগ/ কিডনী রোগ/ ক্যান্সার ) থাকলে তা বিভিন্ন জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।

✅ কখন সন্দেহ করবেন আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন?
👉 আপনি যদি গত ১৪ দিনের মধ্যে-
- চীন বা অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে (যেখানে স্থানীয় সংক্রমণ আছে) ভ্রমণ করে থাকেন, অথবা
- কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে থাকেন,
এবং আপনার যদি-
- জ্বর (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি)
- কাশি
- গলাব্যথা
- শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে দেরি না করে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাবেন, অথবা আইইডিসিআর হটলাইনে যোগাযোগ করবেন।

✅ সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থাঃ
প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুই প্রকার:
১) ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও
২) কাশির শিষ্টাচার

✬ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতাঃ
👉 সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া অথবা হ্যান্ড ''স্যানিটাইজার" ব্যবহার করে হাত পরিস্কার করা।
👉 অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করা।

✬ নিচের ধাপ অনুসরণ করে হাত ধুতে হবে -
👉 প্রথমে দুইহাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন
👉 এরপরে দুই হাতেই সাবান লাগিয়ে নিন
👉 একহাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের তালু ঘষুন
👉 এক হাতের তালু দিয়ে অন্য হাতের উল্টো পীঠ এবং আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ঘষুন
👉 দুই তালু আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ঘষুন
👉 এক হাত দিয়ে অন্য হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষুন
👉 ডান হাতের সব আঙ্গুল একসাথে অপর হাতের তালুতে ঘষুন
👉 এবার পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধুয়ে একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে হাত মুছে ফেলুন

✬ কখন কখন হাত ধুতে হবে -
👉 নাক পরিষ্কার করা, হাঁচি বা কাশি দেয়ার পরে।
👉 অসুস্থ কাউকে সবো দেয়ার আগে ও পরে।
👉 খাবার তৈরির আগে ও পরে।
👉 খাবার খাওয়ার পূর্বে।
👉 প্রতিবার টয়লেট ব্যবহার করার পরে।
👉 হাতে দৃশ্যমান কোনো ময়লা থাকলে।
👉 ময়লা-আবর্জনা ধরার পরে।
👉 কোন প্রাণী হাত দিয়ে ধরলে বা প্রাণীর ময়লা পরিষ্কার করার পরে।

✬ কি দিয়ে হাত ধুতে হবে-
👉 সাবান-পানি হলো হাত ধোয়ার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়
👉 হাতের কাছে সাবান না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা যাবে

 কাশির শিষ্টাচার
👉 হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে অথবা কনুই ভাঁজ করে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
👉 ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত বিন এ ফেলুন।
👉 যেখানে সেখানে থুথু/কফ ফেলার অভ্যাস পরিহার করুন।
👉 সর্দি/কাশি বা জ্বর এ আক্রান্ত হলে ডিসপাজেবল মাস্ক পরিধান করুন ।
👉 ব্যবহৃত মাস্ক প্রতি ৮ ঘন্টা পরপর বা হাঁচি-কাশি দেবার পর মাস্ক ভিজে গেলে পরিবর্তন করুন।

✅ আপনার নিজের কোন লক্ষণ দেখা দিলে কি করবেন?
👉 জ্বর, হাঁচি-কাশি, মাথাব্যাথা হলে- আইইডিসিআর এ হটলাইনে যোগাযোগ করুন ও আপনার তথ্য অফিসে জানিয়ে দিন।
👉 পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তার সার্থে আপনি একা আলাদা একটি রুমে আলাদাভাবে অবস্থান করুন ও সবসময় মাস্ক পরিধান করুন।
👉 জরুরী কাজ ব্যতিত বাড়ীর বাইরে যাওয়া হতে বিরত থাকুন। জরুরী কাজে বাইরে গলেে মাস্ক পরিধান করুন।
👉 সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখুন।
👉 ব্যবহার করা কাপড়চোপড় ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং আসবাবপত্র জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন।

✅ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে কি করবেন?
👉 সংস্পর্শে আসার দিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত আলাদা একটি কক্ষে অবস্থান করুন ও সবসময় মাস্ক পরিধান করুন।
👉 জরুরী কাজ ব্যতিত বাড়ীর বাইরে যাওয়া হতে বিরত থাকুন, জরুরী কাজে বাইরে গলে মাস্ক পরিধান করুন।
👉 সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখুন।
👉 এই ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষন দেখা দিলে আইইডিসিআর এ হটলাইনে যোগাযোগ করুন ও আপনার অফিসে জানিয়ে দিন।
👉 ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা না দিলে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফেরত যেতে পারবেন।
👉 ব্যবহার করা কাপড়চোপড় ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং আসবাবপত্র জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন।

✅ অন্যান্য মাঠ কর্মীদের করণীয় -
👉 কর্মস্থলে মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলুন।
👉 প্রত্যেক সেবাগ্রহনকারীর সাথে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও কাশি শিষ্টাচার নিয়ে কথা বলুন।
👉 হাঁচি কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে বা বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন, ব্যবহার করা টিস্যু কোন ঢাকনা যুক্ত পাত্রে ফেলে দিন এবং হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
👉 হাঁচি-কাশি বা জ্বর আছে এমন ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখুন।
👉 অপরিষ্কার হাতে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ করবেন না।
👉 টাকা/ পয়সা হাত দিয়ে ধরার পরে সাবান-পানি দিয়ে বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ফেলুন।
👉 হাঁচি-কাশির সময় পোশাকে কিছু লাগলে বাসায় ফিরে তা অবশ্যই ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।

✅ অফিসের নিয়ম কানুনঃ
👉 অফিসে ঢোকার মূল প্রবেশপথে হাত ধোয়ার জন্য ’হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন ষ্টেশন স্থাপন করতে হবে।
👉 জীবাণুনাশক দিয়ে প্রতিদিন ডেস্ক, কম্পিউটার, টেলিফোন, দরজার হাতল, সিঁড়ির রেলিং এবং খাবারের জায়গা পরিস্কার করুন।
👉 কারো সাথে হাত মিলানো বা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন।
👉 মিটিং রুম ও কমন স্পেসে, সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজিং ষ্টেশন স্থাপন করুন।
👉 সর্দি/কাশি বা জ্বর এ আক্রান্ত হলে ডিসপাজেবল মাস্ক পরিধান করুন, অন্যান্য কর্মীদের থেকে কমপেক্ষে এক মিটার দুরত্ব বজায় রেখে চলুন এবং ও আইইডিসিআর এ হটলাইনে যোগাযোগ করুন।
👉 টাকা-পয়সা ধরার পর হাত সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করুন।

✅ গাড়িতে করণীয়ঃ
👉 গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করার পূর্বে ও প্রতি ট্রিপের পর ড্রাইভিং হুইল, গিয়ার, ড্যাশবোর্ড, গাড়ির হাতল, কাঁচ এবং যেসব জায়গায় যাত্রী বসা বা উঠা-নামার সময় হাত দিয়ে স্পর্শ করা হয়, সেসকল স্থান অফিস থেকে সরবরাহকৃত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করুন।
👉 গাড়ি চালনার সময়ে হাঁচি বা কাশি আসলে টিস্যু বা হাতের কনুই এর ভাঁজ ব্যবহার করুন।
👉 এসি গাড়ির চালকগণ বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। কারণ বদ্ধ জায়গায় হাঁচি বা কাশি থেকে জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি থাকে।
👉 গাড়িতে পর্যাপ্ত টিস্যু বক্স রাখুন এবং যাত্রীদের হাতের নাগালে রাখুন।

✅ বাড়িতে করণীয়ঃ
👉 বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
👉 খাবার প্রস্তুত করার পুর্বে হাত ও কাঁচা খাবার ভাল করে ধুয়ে নিন।
👉 মাছ-মাংশ-ডিম ভাল করে রান্না করুন।
👉 অপ্রয়োজনে পশু-পাখি ধরবেন না, ধরলে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
👉 অসুস্থ ব্যক্তির পরিচর্যার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

✅ যারা রান্নার কাজে জড়তি তাদরে করণীয়ঃ
👉 খাবার প্রস্তুত করার পুর্বে এবং পরিবেশনের আগে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
👉 কাঁচা খাবার (শাক- সব্জি, ফল-মূল, মাছ-মাংশ) ভাল করে ধুয়ে নিন।
👉 মাছ-মাংশ-ডিম ভাল করে (সিদ্ধ) রান্না করুন । আধা-সিদ্ধ খাবার খাওয়া যাবে না।
👉 কোন প্রাণীর শ্লেষ্মা বা মল হাতে লাগলে দ্রুত সাবান পানি দিয়ে হাত পরিস্কার করুন।
👉 খাবার প্রস্তুত করার সময় উচ্ছিষ্ট জিনিস খোলা জায়গায় ফেলবেন না, ঢাকনাবদ্ধ পাত্রে উচ্ছিষ্ট রাখুন ও পরে ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থানে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন বিড়াল, কুকুর বা কাক যেন ময়লা না ছিটায়, রান্নাঘর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
👉 রান্না বা খাবার পরিবেশনের সময়ে হাঁচি বা কাশি না দেয়ার চেষ্টা করুন, প্রয়োজনবোধে মাস্ক ব্যবহার করুন

✅  কোভিড-১৯ এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে কি?
👉 আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ উপশমের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা এবং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা (সাপোর্টিভ কেয়ার) দিতে হবে।
👉 এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই।
👉 সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা বা ব্যবস্থা পরীক্ষাধীন, যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
👉  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এ সংক্রান্ত গবেষণা ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা করছে এবং প্রাথমিকভাবে চিকিৎসার একটি গাইডলাইন দিয়েছে।

 অ্যান্টিবায়োটিক কি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে কার্যকরী?
👉 অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে নয়, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।
👉 নোভেল করোনাভাইরাস এক ধরনের ভাইরাস বিধায় এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা উচিত নয়।
👉 তবে, যদি কেউ কোভিড-১৯ দিয়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যাকটেরিয়া থেকে সহ-সংক্রমণের জন্য (co-infection) অ্যান্টিবায়োটিক পেতে পারেন।

✅ কোয়ারান্টাইন কী? আইসোলেশন কী? কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন – এর মধ্যে পার্থক্য কী?
👉 কোয়ারান্টাইনঃ কোয়ারান্টাইন–এর মাধ্যমে সেই সকল সুস্থ ব্যক্তিদের, যারা কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে, অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়, তাদের গতিবিধি নয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ঐ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় কি না তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
👉 আইসোলেশনঃ আইসোলেশন–এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের, অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়।

👉 পার্থক্যঃ
√ কোয়ারান্টাইন–এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে এমন সুস্থ ব্যক্তিদের আলাদা রাখা হয় ও তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হয় আইসোলেশন–এর মাধ্যমে সংক্রামক রোগে আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের আলাদা রাখা হয়।
√ কোয়ারান্টাইন–এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণাধীন সুস্থ ব্যক্তিবর্গ ঐ নির্দিষ্ট সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় কি না তা দেখা হয়আইসোলেশন–এর মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তি হতে যেন সুস্থ ব্যক্তিরা আক্রান্ত না হয় এ জন্য অসুস্থ ব্যক্তিদের অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা হয়।

                           আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।