Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Saturday, September 27, 2014

অকাল গর্ভপাত সম্পর্কে যে ১০টি অজানা তথ্য!

সব গর্ভধারণ নয় মাস (৪০সপ্তাহ) স্থায়ী হয় না এবং সব ক্ষেত্রে শিশুর জন্ম হয় না৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে গর্ভ নিজে নিজেই নষ্ট হয়ে যায়, একে বলা হয় গর্ভপাত বা স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত৷ সাধারণত স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত, কৃত্রিম উপায়ে গর্ভপাত, ওষুধ প্রয়োগে গর্ভপাত, শল্য/যন্ত্র প্রয়োগে গর্ভপাত ইত্যাদি কারণে একটি ভ্রূণ নষ্ট হয়ে থাকে।

চলুন একে একে জেনে নেয়া যাক গর্ভপাত নিয়ে কিছু অজানা বিষয় যা আপনি জানেন না-



✬ সারা বিশ্বে গর্ভপাতের হার আপনার ধারনার চেয়েও বেশি: 
আপনি যদি মনে করে থাকেন গর্ভপাত একটি দুর্ঘটনা তবে অবশ্যই ভুল করবেন, গর্ভপাত অনেক সময় প্রাকৃতিক কারণেও হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে ১৫% মা গর্ভপাতের শিকার।

✬ গর্ভধারণের শুরুর দিকেই গর্ভপাত ঘটার সম্ভাবনা বেশি:
একজন মা গর্ভধারণের শুরুর দিকে সব সময় সাবধান থাকা উচিৎ, কারণ এই সময়েই গর্ভপাত বা মিসকেরেজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাধারণত ডাক্তাররা হবু বাবা মা কে বলে থাকেন যাতে ২০ সপ্তাহের আগে প্রেগন্যান্সির খবর সবাইকে না বলা হয়, এমনকি গ্রামেও এটি সাংস্কৃতিক ভাবেই প্রচলিত। কারণ, সাধারনত গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহের মধ্যেই গর্ভপাত হবার আশংকা বেশি থাকে। এর পরবর্তীতে রিস্ক কমে আসে।

✬ গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে আপনার অজান্তেইঃ 

আপনি জানেন কি আপনার অজান্তেই গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে? গর্ভধারণের প্রথম ১০ দিনের মাথায়ই আপনার অজান্তেই মিসক্যারেজ হয়ে যেতে পারে। রক্তপাত এর একটা খুব সাধারণ লক্ষণ। নারীরা একে পিরিয়ড ভেবে ভুল করতেই পারেন। কিন্তু যদি কখনো অতিরিক্ত রক্তপাত হয়, তবে ঝুঁকি না নিয়ে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। গর্ভপাত না ঠেকাতে পারলেও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা ও সংক্রমণ এড়াতে পারবেন।

✬ গর্ভপাতে মায়ের কোন দোষ নেইঃ 
আমাদের সমাজে একটি ধারণা রয়েছে মায়ের অসাবধানতায় অকাল গর্ভপাত ঘটে, আসলে এটি হয় মূলত ভ্রুণের অস্বাভাবিকতার কারণে, এটা আগে থেকে নির্ণয় করা কঠিন আর এতে মায়ের কোন দোষ নেই। অতএব, মানসিকতা বদলান।

✬ বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেশি: 
আপনি যদি একটু বয়স্ক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে সাবধান হতে হবে। মনে রাখবেন বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে মিসক্যারেজের ঝুঁকি বেশি। কেননা ডিম্বানুর বয়েসের কারণে জিনগত অস্বাভাবিকতার হার বেড়ে যায়।

✬ যৌনতার সাথে সম্পর্ক নেইঃ 
আপনার যৌন জীবন, ব্যায়াম বা নিয়মিত হালকা কাজের সাথে অকাল গর্ভপাতের তেমন কোন সম্পর্কে নেই। তবে একটু সাবধান থাকা ভালো। কারণ, গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে আনপ্রোটেকডেট সেক্স করলে গর্ভপাতের হার বাড়ে।

✬ গর্ভপাত একাধিকবার হতে পারেঃমনে রাখবেন একজন নারীর জীবনে কেবল একবার গর্ভপাত হবে তা কিন্তু নয়! একবার গর্ভপাত হলে আরো গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, ফলে গর্ভপাত একবার হলে, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। 

✬ ফার্টিলিটির চিকিৎসা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারেঃ 
যাদের সন্তান হচ্ছেনা মনে করে অতি আগ্রহী হয়ে বিশেষ চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের সম্ভাবনা অনেক বেশি। সন্তান ধারণের জন্যে বেশি বয়েসে ফার্টিলিটির চিকিৎসা ও ঔষধ সেবনের কারণেও গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

✬ ধূমপান, প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষঃ 

প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপানের কারণেও হতে পারে গর্ভপাত। তাই নিজে ধূমপান তো করবেনই না এবং কোন ধূমপায়ীর আশেপাশে থাকা থেকে বিরত থাকুন।

✬ অতিরিক্ত ওজনের কারণে হতে পারে গর্ভপাতঃ 

অতিরিক্ত ওজনের কারণে নানা স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি হতে পারে গর্ভপাতও! যেমন ডায়াবেটিস, যা অতিরিক্ত ওজনের কারণেই হয়ে থাকে। এটি গর্ভপাতের একটি অন্যতম প্রধান কারণ।

গর্ভপাতের অভিজ্ঞতা যেকোন নারীর ক্ষেত্রেই একটি দুঃখ জনক বিষয়। তাই সাবধান থাকুন, সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন আপনার অনাগত অতিথিকেও!



[ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য, ধন্যবাদ ]

Friday, September 26, 2014

সুস্থ থাকতে গায়ে মাখুন রোদ!

দেশের বেশির ভাগটাই তো সমভূমি। আর সেখানে রোদের আলোয় মাখামাখি প্রায় বছরজুড়েই। এখানে আর যাই হোক রোদ বা সূর্যালোকের তো অভাব নেই। কিন্তু তারপরও আমাদের দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষই ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতায় ভোগেন। এটা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এমন এক পুষ্টি উপাদান, যা শরীর নিজেই তৈরি করে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে। শুধু শাক-সবজি আর আঁঁশ যুক্ত খাবার খেলে এটা পাওয়া যাবে না। এই গ্রীষ্মের আলো ঝলমলে দিনগুলোতে সুযোগ পেলেই গায়ে রোদ মাখুন। আপনার পুরো শরীর এমনকি হাড়-মজ্জাও এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।


ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিতেঃ
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিনের অভাবে হাড় ও পেশি দুর্বল থাকে। শরীরে ক্লান্তি আসে এবং ত্বকেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ভিটামিনের অভাব থাকলে দস্তা গ্রহণ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে শরীর। একইভাবে ভিটামিন ডি না থাকলে যথাযথভাবে ক্যালসিয়ামও গ্রহণ করতে পারে না শরীর। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ওজন বেড়ে যাওয়া বা মুটিয়ে যাওয়া এবং হূদরোগের সঙ্গেও সম্পর্কিত। আর হাড় ও পেশির রোগের একটা বড় কারণই তো এই ভিটামিনের ঘাটতি।

নাগরিক জীবনে অনেকেরই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির আশঙ্কা থাকে। দিনের বেলায় বেশির ভাগ সময়ই অফিস-আদালত, দোকানপাট কিংবা ঘরবাড়ির ভেতরে থাকা এর একটা প্রধান কারণ।

বিশেষ ভাবে ভিটামিন ডি দরকার যখনঃ
বয়স্ক ব্যক্তি, হাড় ভাঙার সমস্যায় ভুগছেন কিংবা সদ্য সন্তান জন্ম দিয়েছেন- এমন মানুষদের বিশেষ ভাবে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা দরকার। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের শরীর বাড়ন্ত থাকে বলে এ সময় হাড় ও পেশির গঠন ঠিকঠাক রাখতে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া দরকার।

এ ছাড়া অনেক বিশেষজ্ঞই বলেন শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলোর মাত্রা ঠিকঠাক আছে কিনা তা জেনে নিতে বছরে অন্তত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা দরকার। সময়মতো ধরা পড়লে অনেক ঘাটতিই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ কিছু খাবারঃ
ভিটামিন ডি পেতে সরাসরি সূর্যালোকে তো যেতে হবেই এর সঙ্গে বাছাই করা কিছু খাবারও খেতে পারি আমরা।
নিচে তেমন কয়েকটি খাবারের কথা উল্লেখ করা হলোঃ-

পনির: বেশির ভাগ পনিরেই কিছু পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। তবে, ভেড়ার দুধ থেকে তৈরি ইতালীয় রিকোত্তা পনিরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
মাশরুম: নিরামিষাশীদের জন্য ভিটামিন ডি-এর খুবই ভালো একটা উত্স মাশরুম। ভালো মানের ভিটামিন ডি পাওয়া যায় শিতেক মাশরুমে।
ডিম: ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে সুলভ উত্স ডিম। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে।
মাছ: বেশির ভাগ মাছেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে। মাছের তেল বিশেষত ‘কডলিভার অয়েল’ ভিটামিন ডি-এর বিকল্প উত্স হিসেবে বহুল জনপ্রিয়।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Saturday, September 20, 2014

ফরমালিন: স্বাস্থ্যের কি কি ক্ষতি করে?

ফরমালিন আসলে কিযদি এই ফরমালিন সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা আমাদের থাকতো তাহলে হয়তো আমরা এরকম মারাত্মক ক্ষতিকর দ্রব্য হয়তো ব্যবহার থেকে বিরত থাকতাম


কি এই ফরমালিনঃ
মিথ্যানলের ৪০ ভাগ জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়ফরমালডিহাইড দেখতে সাদা পাউডারের মতোপানিতে সহজেই দ্রবণীয়শতকরা ৩০-৪০ ভাগ ফরমালডিহাইডের জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলা হয়

ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফরমালিন অতি বিপজ্জনকফরমালিনের বোতলে অতি বিপজ্জনক ছবি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছেবৈজ্ঞানিক ভাবে মানুষের জন্য ফরমালিনের লিথাল ডোজ ৩০ মি.মি. এবং বাতাসে ২পিপিএম-এর নিচের মাত্রাকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়

ফরমালিন কি কাজে ব্যবহার হয়ঃ
 ফরমালিন সাধারণত টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, পেপার, রং, কনস্ট্রাকশন ও মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহূত হয়

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে (বাংলাদেশ, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া ইত্যাদি) ফরমালিনের মূল ব্যবহারের পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে বর্তমানে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে

কিভাবে বুঝবেন খাদ্যে ফরমালিন দেয়া হয়েছেঃ
ফলঃ
ফরমালিন দেয়া ফল শনাক্ত করা বেশ কষ্টসাধ্যকারণ অনেক ফলেই ফরমালিন থাকে

মাছঃ
ফরমালিন দেয়া মাছ ও মাছের আঁশ শক্ত, মাছের কান উল্টালে ভেতরে লাল দেখা যায়, মাছে গন্ধ থাকে না বললেই চলে এবং সাধারণত খুব কম মাছি ফরমালিন দেয়া মাছে বসে (দীর্ঘদিন মাছ বাজারের মাছি ফরমালিনে কিছুটা অভ্যস্ত হলে ফরমালিন দেয়া মাছ বাড়িতে আনলে সহজে মাছি ওই মাছে বসবে না)ফরমালিন দেয়া শুঁটকি মাছ রান্না করার পরেও শক্ত ভাবটা যায় না

মাছ থেকে ফরমালিন দূর করবেন কিভাবেঃ
 পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফরমালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়
 লবণাক্ত পানিতে ফরমালিন দেয়া মাছ ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফরমালিনের
মাত্রা কমে যায়
 প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারণ পানিতে ফরমালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়
 সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে (পানিতে ১০ ভাগ আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফরমালিনই দূর হয়

এ ছাড়া ফরমালিন শনাক্তকরণের রাসায়নিক দ্রব্যও আজকাল বাজারে পাওয়া যায় সুলভমূল্যে

ফরমালিনে ফরমালডিহাইড ছাড়াও মিথানল থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকরলিভার বা যকৃতে মিথানল এনজাইমের উপস্থিতিতে প্রথমে ফরমালডিহাইড এবং পরে ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়দুটোই শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর

ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক এটা দুভাবে ক্ষতি করতে পারেঃ

তাৎক্ষণিক বা একবার ব্যবহারের ফলেঃ-
 সাধারণত চর্ম, চোখ, মুখ, খাদ্যনালি ও পরিপাকতন্ত্র শ্বাসনালি জ্বালাপোড়া করবে
 চোখে পানি পড়া, কর্নিয়া অকেজো হওয়া, দৃষ্টিশক্তি পরিবর্তন হওয়া এমনকি অন্ধও হয়ে যেতে পারে
 দুর্বলতা ও মাথাব্যথা
 কফ ও কাশি, শ্বাসনালি সংকোচন, শ্বাসনালির অবনয়ন, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমা, শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা গ্রস্ত হওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট হওয়া, কখনও কখনও মৃত্যু হতে পারে, শ্বাসতন্ত্রে পানি জমে বা শ্বাসতন্ত্র অকেজো হয়
 বমি বমি ভাব, বমি করা, রক্তবমি হওয়া, বুক ও পেটে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা, কালো পায়খানা, পেটে গ্যাস হওয়া, পাকস্থলীতে ক্ষত রোগ হওয়া, পেটে পীড়া হওয়া, বিপাকজনিত অম্লাধিক হতে পারে
 লাল প্রস্রাব হতে পারে, তাৎক্ষণিক কিডনি অকেজো হতে পারে
 স্পর্শকাতর রোগ, চর্ম রোগ, চর্মেও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হতে পারে
 খিঁচুনি, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবনয়ন, অজ্ঞান হতে পারে

দীর্ঘমেয়াদি বা বার বার গ্রহণের ফলেঃ-
 ফরমালডিহাইড চোখের রেটিনাকে আক্রান্ত করে রেটিনার কোষ ধ্বংস করেফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে
 তাৎক্ষণিক ভাবে ফরমালিন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, কারবাইড সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগ সহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে
 ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুকে ধ্বংস করে দেয়লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়হার্টকে দুর্বল করে দেয়স্মৃতিশক্তি কমে যায়
 ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারেঅস্থিমজ্জা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রক্তশূন্যতাসহ অন্যান্য রক্তের রোগ, এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারেএতে মৃত্যু অনিবার্য

মানবদেহে ফরমালিন ফরমালডিহাইড ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে রক্তের এসিডিটি বাড়ায় আমাদের দেশে ফরমালিন অপব্যবহার বাড়ছে দিন দিন

আর তা প্রতিরোধ করতে জনসচেতনতা বাড়ানো, অপব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য এবং তার প্রতিকারের ব্যবস্থার আইনসহ বিভিন্ন প্রচার কাজ বাড়ানো সরকার ও জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন

আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্যধন্যবাদ

Thursday, September 18, 2014

কিছু কুসংস্কারঃ আধুনিক ভাবন!

যুক্তিহীন ভ্রান্ত ধারণা বা গোঁড়ামির অপর নাম কুসংস্কারবাংলার আনাচে কানাচে এখনো প্রচলিত আছে অনেক কুসংস্কার যার কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুগের পর যুগশুধু পশ্চাৎপদ জনতা নয় দেশের সর্বস্তরেই এ কুসংস্কার আসন গেড়ে আছেস্বাস্থ্য বিষয়ক এমন কিছু ভ্রান্ত ধারণা এবং সেগুলোর প্রকৃত কারণ আজকে আমরা আলোচনা করবো

জোড়া ডিম বা কলা খেলে যমজ বাচ্চা হয়ঃ


যমজ বাচ্চা হয় যখন কোন নারীর একই সময় দুটি ডিম্বাণু শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়জোড়া ডিম বা জোড়া কলা প্রকৃতির নিয়মেই হয়ে থাকে, এদের মাঝে এমন কোন উপাদান থাকে না যা যমজ বাচ্চা হতে সাহায্য করবেএকটা সাধারণ কলা বা একটা সাধারণ ডিমে যা থাকে জোড়া কলা বা ডিমে তাই থাকে, শুধু একটার স্থানে দুটো একসাথে থাকেতাই জোড়া ডিম বা কলাতে যমজ বাচা হয় না


আনারস আর দুধ এক সাথে খাওয়া যায় নাঃ
এখন পর্যন্ত আনারস এবং দুধের মাঝে এমন কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া খুঁজে পাওয়া যায়নি যার ফলে এদেরকে এক সাথে খেলে সেটা মানুষের জীবনহানি করবেবর্তমানে অনেক খাবারেই দুধ ও আনারস একসাথে মেশানো হয় এবং সারা বিশ্বেই তা খাওয়া হয়কাস্টার্ড নামক ডেজার্টে দুধের সাথে নানারকম ফল মেশানো হয় যার মাঝে আনারসও থাকেকাস্টার্ড খেয়ে বিষক্রিয়ায় কেউ মারা গেছে বলে জানা যায় না

চিনি বা মিষ্টি বেশি খেলে ডায়াবেটিস হয়ঃ
যারা ডায়াবেটিস রোগী তারা মিষ্টি বেশি খেলে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায় যা কমানো তাদের দেহের পক্ষে সহজসাধ্য হয় না কিন্তু যারা ডায়াবেটিক নন তাদের দেহ রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ ব্যবহার করে ফেলতে পারে, তাই তারা মিষ্টি বেশি খেলেও কোন সমস্যা নেইশুধুমাত্র যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা আছে এমন ব্যক্তিদেরকে ডাক্তাররা মিষ্টি বা চিনি কম করে খেতে বলেন

চিনি খেলে কৃমি হয়ঃ
কৃমি আমাদের দেহে বসবাসকারী পরজীবী যা সাধারণত অন্ত্র বা খাদ্যনালীতেই বাস করেআমাদের শরীর থেকেই খাদ্য সংগ্রহ করে তারা বেঁচে থাকেকৃমি আমাদের দেহে প্রবেশ করে অস্বাস্থ্যকর ভাবে রান্না ও পরিবেশিত খাবার খেলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললেঅপরিষ্কার খাবার, দূষিত পানি, ময়লা হাঁতে খাবার খেলে, খালি পায়ে মাটিতে হাঁটলে, মল ত্যাগের পরে হাত জীবাণুমুক্ত না করলে ইত্যাদি কারণে কৃমি আক্রান্ত করতে পারে আমাদেরকেঅতিরিক্ত চিনি খেলে কৃমির বংশবৃদ্ধির কোন উপকার হয় নাএর সাথে চিনি বেশি খাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই

লবণ ভেজে খেলে প্রেসার বাড়ে নাঃ
আমাদের উচ্চ-রক্তচাপের রোগীদের মাঝে এই ধারণাটি প্রচলিত আছে যে খাবারের সময় পাতে লবণ খেতে হলে তা ভেজে খেতে হবে, তাহলে নাকি রক্তচাপ বাড়বে নাঅতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বৃদ্ধি করেলবণের রাসায়নিক পরিবর্তন না হলে লবণ লবণই থাকবে, সেটা ভেজে বা না ভেজে যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন সেই লবণই থাকবে কারণ লবণের রাসায়নিক পরিবর্তন করার কোন সামর্থ্য এতো অল্প তাপমাত্রায় সম্ভব নাডাক্তাররা উপদেশ হিসেবে বলেন কাঁচা লবণ খাবেন নাকাঁচা লবণ বলতে বোঝানো হয় পাতে লবণ খাওয়াকাঁচা লবণকে ভেজে পাকিয়ে ফেলে আসলে কোন লাভই হবে না

গরমে কৃমির ওষুধ খাওয়া যায় নাঃ
 কৃমিনাশক যেসব ওষুধ বর্তমানে বাজারে চালু আছে সেগুলো সবগুলোই অনেক কার্যকর এবং সহনশীলগরমে কৃমির ওষুধ কাজ করে না অথবা গরমে কৃমির ওষুধ খেলে শরীর খারাপ করবে এটা ভুল ধারণাসব পরিবেশেই আর সব তাপমাত্রায়ই কৃমির ওষুধ কাজ করবে

টক খেলে কাটা সারে নাঃ
কোথাও কেটে গেলে এদেশে অনেকে টক খেতে মানা করেন, বলেন টক খেলে নাকি কাটা সারতে দেরি হয়একথাটি সম্পূর্ণরূপেই ভুলপ্রকৃতপক্ষে টক খেলে কাঁটা আরো দ্রুত সারেসাধারণত টক ফল যেমন লেবু, কামরাঙ্গা, কাঁচা আম ইত্যাদি টক ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সিভিটামিন সি কাটা বা ক্ষতস্থানের আঘাত সারাতে প্রয়োজনীয় কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেতাই কেটে গেলে টক কম না খেয়ে বেশি করে খেতে হবে দ্রুত ক্ষতস্থান পূরণের জন্য

গর্ভকালীন অবস্থা নিয়ে এখনও বেশ কিছু কুসংস্কার রয়েছেযেমনঃ
গর্ভবতী অবস্থায় বেশি খাবার গ্রহণঃ
অনেক মায়ের মধ্যে ধারণা গর্ভবতী অবস্থায় বেশি খাবার গ্রহণ করলে বাচ্চা মায়ের গর্ভে বড় হয়ে যায়এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসব হয় না, সিজার করতে হয়মা যতোই খাবার খান না কেন একজন সুস্থ বাচ্চা কখনো খুব বড় হবে না, স্রষ্টার নিয়মেই তার বৃদ্ধি এমনভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে যে সে মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাবে না, যেসব মায়েদের ডায়াবেটিস থাকে বা প্রসবকালীন সময়ে ডায়াবেটিস হয় তাদের বাচ্চার আকার বড় হতে পারে তবে সবসময় নাএ কারণে বেশি খেলে বাচ্চা বড় হবে এটা ভুল ধারণাঅনেকে কম খেয়ে থাকেন বাচ্চা ছোট হবার জন্য যা খুব খারাপ আচরণকম খেলে বাচ্চা বাড়বে নাঅপুষ্ট শিশু জন্ম নেবে এবং প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী নানা সমস্যায় পড়বে মা ও শিশু

নারিকেল গ্রহণ করলে বাচ্চা অন্ধ হয়ঃ
অর্থহীন একটি ধারণা, নারকেল উপাদেয় একটি ফলনারকেল এ এমন কিছু নেই যা মানব চোখকে অন্ধ করে দেয়

হিন্দু মায়েরা এ সময় মাছ-মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকেনঃ
মাছ মাংস না খেলে বাচ্চা বাড়বে না, মা ও পুস্তিহীনতায়  ভুগবেঅসুস্থ মা জন্ম দিবে অসুস্থ এক শিশুতাই এ সময় মা ও বাচ্চার শরীর গঠনে মাছ মাংস খাওয়া দরকার

এধরণের আরো অনেক কুসংস্কার রয়েছে আমাদের সমাজেদায়িত্বশীলতার সঙ্গে নিজেদেরকে এগিয়ে আসতে হবে সমাজের এসব ভুল ধারণার মূলোৎপাটন করতে, তবেই আমরা পাবো সুস্থ্য একটি জাতি

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্যধন্যবাদ।]

Wednesday, September 17, 2014

মাইগ্রেন সমস্যা ???

মাথা ব্যথা নামের এই যন্ত্রনাটি সবার মধ্যেই এক ধরনের বিরক্তি তৈরী করে থাকে। বিশেষ করে হুটহাট করে যেই ব্যথাটি হয়ে থাকে


যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে হয়ত দেখলেন যে প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে এবং মাথায় চাপ ধরে আছে অথবা কাজ করতে করতে হঠাৎ করে শুরু হয়ে যায় এই অলুক্ষুনে ব্যাথা বিশেষ করে মাথার এক পাশে ও হঠাৎ করে যেই ব্যথা গুলো হয়ে থাকে এদের মাইগ্রেন এর ব্যথা বলে

যদি আপনার মাথায় এক পাশে ব্যথা শুরু হয়ে ব্যথা আস্তে আস্তে সম্পুর্ন মাথায় ছড়িয়ে পরে, মাঝে মাঝে ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব হয়, শারীরিক দুর্বলতা অনুভুত হয়, চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করেন তাহলে এটি মাইগ্রেন এর ই লক্ষন

কখনো কখনো এই ব্যাথা অনেকক্ষণ স্থায়ী হয় আবার কখনো কখনো ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে কমে যায় এটি বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে, কারো বংশগত, আবার কারো মানসিক চাপ থেকেও হতে পারে

আসুন জেনে নেওয়া যাক মাইগ্রেনের ব্যাথা শুরু হওয়ার কিছু কারন এবং এর কিছু প্রতিকারঃ

অনেকে কাজের চাপে খাওয়া দাওয়া ঘুম সব বাদ দিয়ে শুধু কাজ নিয়ে পড়ে থাকেঅনেক সময় অতিরিক্ত কাজের চাপে মাইগ্রেন এর ম্যাথা অনেক বেড়ে যেতে পারে। কারন মানসিক চাপ বেশী পড়লে এটি স্নায়ু ও মস্তিস্ক দুটোর উপরই অনেক চাপ ফেলতে পারে

এতে শুধু মাইগ্রেনই নয় হার্ট এটার্ক পর্যন্ত হতে পারেতাই কাজ অথবা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে খুব বেশি মানসিক চাপে থাকলে সেটা কারো সাথে শেয়ার করুন এবং অতিরিক্ত চাপ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন

প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন এবং লেবু চা খাওয়ার অভ্যাস করুনএটা মানসিক চাপ কমাতে অনেকটা সাহায্য করে

অপর্যাপ্ত ঘুম অথবা প্রয়োজনের বেশী সময় ধরে ঘুম মাইগ্রেনের ব্যাথার অন্যতম কারন হতে পারে অনেকেই রাত জেগে ফেসবুকিং অথবা কাজ করে এবং সকালে অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে থাকেএটা কখনোই ঠিক নয়কারন প্রতিদিন একজন সুস্থ মানুষের কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত

এর বেশী ঘুমালে অথবা বেলা করে শুয়ে থাকলে ব্যথা হতে পারেতাই যাদের মাইগ্রেন এর সমস্যা আছে তাদের কখনো বেলা করে ঘুমানো উচিত নয়

মাইগ্রেন এর ব্যাথা যাদের আছে তাদের কখনো খালি পেটে থাকা উচিত নয় অনেকে ওজন কমানোর জন্য সকালে নাস্তা করে নাকিন্তু এটা কখনোই উচিত নয়। কারন সকালের নাস্তা না করলে ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে

তাই প্রতিদিন পেট ভরে সকালের নাস্তা করুন এবং প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন

অনেক সময় মাইগ্রেন এর ব্যাথা হলে কফি খেলে ব্যাথা অনেক কমে যায়আবার অনেকের ক্ষেত্রে ব্যাথা বেড়ে যায়এর কারন হচ্ছে যারা প্রতিদিন অতিরিক্ত কফি খেতে অভ্যস্ত তারা কফি খেলে একটু পর শরীর থেকে ক্যাফেইন এর পরিমান কমে যেতে থাকে এ থেকেও মাইগ্রেন এর ব্যথা হতে পারেতাই অতিরিক্ত চা কফি গ্রহন থেকে বিরত থাকুন

উচ্চ শব্দে মিউজিক মাইগ্রেন এর ব্যাথার একটা অন্যতম কারন হতে পারেঅনেক সময় বাসে অনেকক্ষন বসে থাকতে থাকতে গাড়ির হর্ন এর শব্দ, উচ্চ শব্দে মিউজিক এর কারনে মাইগ্রেন এর ব্যাথা হতে পারে তাই যাদের মাইগ্রেন এর সমস্যা আছে তারা উচ্চ শব্দে গান শোনা এড়িয়ে চলুন

আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্যধন্যবাদ

Thursday, September 11, 2014

কোলেস্টেরল সমস্যা নিয়ে সচেতন হই আজ থেকেই!

কোলেস্টেরল সম্পর্কে আমাদের সবারই কম বেশি ধারনা আছে কিন্তু সঠিক ও স্বচ্ছ ধারনা অনেকেরই নেই। অনেকেই মনে করেন যারা বেশি স্বাস্থ্যবান, বেশি খাওয়া- দাওয়া করেন তাদেরই কোলেস্টেরল সমস্যা হতে পারে কিন্তু বাস্তবে এমন অনেক মানুষ আছে যারা খুব বেশি স্বাস্থ্যবান না হওয়া সত্ত্বেও কোলেস্টেরল সমস্যায় ভুগছেন


তাই, আসুন জেনে নিই আমাদের রক্তের কোলেস্টেরল সম্পর্কে- কোলেস্টেরল হল হাইড্রকার্বন কোলেস্‌টেন থেকে উৎপন্ন যৌগ

মানুষের রক্তে ৩ ধরনের কোলেস্টেরল থাকতে পারেঃ
১) (LDL- Low Density Lipo Protein) এলডিএলঃ রক্তে এলডিএল এর মাত্রা বেড়ে গেলেই মূলত সেটাকে কোলেস্টেরল সমস্যা ধরা হয় পূর্ণ বয়স্ক মানুষের রক্তে ১.৬৮-১.৪৩ গ্রাম/ ডেসি লিটার এলডিএল থাকে
২) (HDL- High Density Lipo Protein) এইচডিএলঃ এইচডিএল আমাদের দেহ কে সুস্থ রাখে, শারীরিক বৃদ্ধি ঘটায়আমাদের রক্তে .৯০-১.৬০ গ্রাম / ডেসি লিটার এইচডিএল থাকেসহজ ভাষায় বলা যায়, এইচডিএল আমাদের বন্ধুর মত
৩) ট্রাইগ্লিসারাইডঃ আমাদের শরীরে মেদ/ চর্বি হিসেবে যা জমে তাই ট্রাইগ্লিসারাইড। তাই যারা মোটা হয়ে যাচ্ছেন তাদের রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই

কাদের কোলেস্টেরল বেশি হয়?
কোলেস্টেরল সমস্যা যেকোনও বয়সেই হতে পারেকিন্তু আপনার বয়স যদি ৩৫/তার বেশি হয় আপনি সহজেই কোলেস্টেরল সমস্যায় পড়তে পারেন। আমাদের দেশে মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের কোলেস্টেরল এর ঝুঁকি বেশিযারা বসে বসে কাজ করেন সারাদিন তারা বেশি আক্রান্ত হতে পারেন

কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণঃ
✬ ফাস্ট-ফুড বেশি খাওয়া
✬ রেড মিট , চিংড়ি মাছ , চকলেট বেশি খেলে
✬ আমাদের গৃহীত খাদ্য পরিশ্রমে ব্যয় না হলে, অতিরিক্ত খাবার দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়ফলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়
✬ খাবার পরপরই ঘুমাল
✬ তৈলাক্ত খাবার বেশি খেলে
✬ শারীরিক পরিশ্রম (যেমন, হাঁটা ) কম করলে ইত্যাদি

কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে যেভাবে বুঝবেনঃ
✬ অল্প পরিশ্রমেই ঘেমে যাওয়া ও হাঁপিয়ে ওঠা
✬ মাথা ও ঘাড়ে ব্যথা
 বুক ধরফর করা
✬ দুর্বল বোধ করা
✬ দেহের ওজন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা ইত্যাদি

উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল ঝুঁকিঃ
উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল ধমনীর রক্ত প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে, ফলে হার্ট এ ব্লক ধরা পড়তে পারেএমনকি মস্তিষ্কের ধমনী ছিরে গিয়ে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু ঘটাতে পারে। মেদ জমার কারণে যকৃত বড় হয়ে যেতে থাকেপিত্ত থলিতে কোলেস্টেরল জমে পিত্ত থলির পাথর সৃষ্টি হতে পারেকিডনি তে প্রদাহ হতে পারেস্বাভাবিক বিপাকীয় কাজ ব্যাহত হতে পারে

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ও সুস্থ জীবনঃ
✬ ব্যালেন্স ডায়েট প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভাত না খাওয়াগরুর মাংস একেবারেই কম পরিমাণে খাওয়ামোট কথা সবকিছু পরিমিত পরিমাণে খাওয়া
✬ শারীরিক পরিশ্রমঃ অতিরিক্ত না ঘুমানোহাঁটার অভ্যাস করাবসে বসে কাজ করলেও আমরা শুধু পা নাড়িয়েই অতিরিক্ত ফ্যাট কিছুটা হলেও কমাতে পারি
✬ ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার পরিহার করাপেস্ত্রি, চকলেট জাতীয় খাবার কম খাওয়া
✬ চিনাবাদাম, সামুদ্রিক মাছ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খাওয়া
✬ রাতের খাবার ঘুমানোর বেশ কিছুক্ষণ আগে খেলে ভালোএসব কথা আমরা প্রায় সবাই জানিকিন্তু জানলেও মানতে চাইনা

তাই, কোলেস্টেরল এর ঝুঁকি কমাতে আপনার লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। কেননা আমাদের সুস্বাস্থ্য, আমদের সুন্দর ও গোছানো লাইফ স্টাইল এর উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল

 [আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য ধন্যবাদ।]

Thursday, September 4, 2014

মেদ-ভূড়ির সমস্যা!

যারা একটু স্বাস্থ্য সচেতন ও ‘ফিট’ থাকতে চান তাদের কাছে মেদভূড়ি মারাত্বক সমস্যাই নয়, ফ্যাশন সচেতনদের কাছেও ভূড়ি এক বিড়ম্বনা। শার্ট ইন করে পরার পর বা শাড়ি পরা অবস্থায় সব কিছু ছাপিয়ে বেড়িয়ে আসছে ভূড়ি। কিংবা একটু ফিটিং ড্রেস পরেছেন, এই ভূড়িতে আপনার সব স্টাইল শেষ।

সমালোচকরা তো ভূড়িতে চিমটিও কেটে ঠাট্টা করছে। আর অন্যদিকে মেদভূড়িদের মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তো রয়েছেই।


ভূড়ি— হৃৎপিণ্ড, শ্বাসযন্ত্র, গলব্লাডার এমনকি মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটা হার্ট অ্যাটাক, ডিমেনশিয়া (মস্তিষ্কের রোগ), ডায়াবেটিস, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের অন্যতম কারণ। তাই সুস্থ ও সবল থাকতে হলে ভূড়ি দূর করা জরুরি।

খুব সহজেই এই বিড়ম্বনাকে তাড়ানো যায়। এর জন্য দরকার ইচ্ছা ও অধ্যবসায়। দেহের আকার ঠিক রাখতে নিচের হেলথ টিপসগুলো মেনে চললে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

✬  নিয়মিত ও পরিমিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। খাবার তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার বাড়ান। আমিষ ও
চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে আনুন। ভাজা-পোড়া ও ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ বন্ধ করুন।
✬  খাবারের শুরুতে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করুন। খাবার শেষে অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা পর পানি পান করবেন। লালমাংস (চার পা বিশিষ্ট পশুর মাংস), দোকানের কেনা মিষ্টি, ঘি, ডালডা, ডাল ও ডাল জাতীয় খাবার কম খান।
✬  ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খাদ্য তালিকায় রাখুন। একবারে বেশি করে খাওয়ার চেয়ে অল্প অল্প করে বার বার খেতে পারেন। রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। আহারের এক থেকে দুই ঘন্টা পর
শোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
✬  সুস্বাস্থ্য ও ফিগারের জন্য নিয়মিত ও পরিমিত ঘুম প্রয়োজন। দিনে শোওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
✬  প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস গড়ুন।
✬  যাদের মেদ বা ভূড়ি জমেছে তারা নিয়মিত ও সঠিক ব্যায়াম করতে পারেন। এর জন্য একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে। মনে রাখবেন ভুল ব্যায়াম ও অনিয়ন্ত্রিত ‘জিম এক্সারসাইজ’ আপনার সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
✬  প্রতিদিন সমতল জায়গায় হাঁটার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন হাঁটা সর্বোৎকৃষ্ট ব্যায়াম। নিয়মিত অন্তত এক থেকে দুই ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস করুন।
✬  ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে স্কুল, কলেজ বা অফিসে যাওয়ার আগে গোসল
সেরে নিন।
✬  বেশি উঁচু তলায় উঠার দরকার না হলে, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যাবহার করুন।
✬  সাইক্লিং, সাঁতারের সুযোগ থাকলে নিয়মিত করুন।
✬  দৈনন্দিন কাজকর্ম ও চলাফেরার সময় সোজা ও সঠিকভাবে করুন। মনে রাখবেন চলাফেরা ও কাজের ক্ষেত্রে শরীরের অবস্থান গত ভুলের কারণে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। বসা, শোওয়া, কম্পিউটিং, দৈনন্দিন বা প্রফেশনাল কাজে কোন শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে পারেন।
✬  দেহ-মন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যে কোনো প্রতিকুল মানসিক চাপে নিজেকে দূরে না সরিয়ে ধৈর্য
সহকারে মোকাবেলা করুন।
✬  সর্বোপরি সুস্থ ও সুন্দর চিন্তা করুন। প্রাণ খুলে হাসুন। এতে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


 [আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]