Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Saturday, February 28, 2015

রসুন খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায় !

অনেকের দেখা যায় অতিরিক্ত মাত্রায় শারীরিক মেলামেশা করার ফলে শুক্র সল্পতা দেখা দেয় অর্থাৎ শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায় এবং semen (বীর্য) পাতলা হয়ে যায়। আপনার শরীররে যদি শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায় তবে আপনি অনেক সময় সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হতে পারেন।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিয়নের কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক মসলা রসুন। কেননা সুস্থ semen (বীর্য) তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার।

যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune booster হিসাবে কাজ করে আর এটি অতিঅ সহজলভ্য সব্জী যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুব ই কার্যকরী৷

সেবন বিধিঃ 
প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ি হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন।

যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।

সাবধানতাঃ
যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Sunday, February 22, 2015

তরুণদের বিবাহে ভীতি!

পুরুষের বিয়ে ভীতি। শুনতে নিশ্চয়ই অবাক করার মত কথা। হ্যাঁ, আজকাল তরুণদের একটা বড় অংশের বিয়ে ভীতি রয়েছে। আর এই বিয়ে ভীতির কারণ অর্থ-বিত্তের অভাব, বেকারত্ব, শারীরিক অসুস্থতা, পাত্রী অপছন্দ, নতুন জীবনে পদার্পণ বা দাম্পত্য আতংক এসব কিছুই নয়।


বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত তরুণ-যুবকদের বৃহত্তর অংশ মনে করে তাদের জীবন শেষ হয়ে গেছে। তারুণ্য- যৌবনে শরীরের ওপর অত্যাচার- অবিচার, ক্ষেত্র বিশেষে মাদক সেবন এবং নারীর সংস্পর্শে এলে নিজের নিষ্ক্রীয়তার অভিজ্ঞতা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌন জীবন নিয়ে ভুল ধারণা এবং মানসিক সমস্যা এবং কিছু কিছু মেয়েদের অতিরিক্ত জ্ঞান তরুণদের বিয়ে ভীতির প্রধান কারণ।

অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা নেই তা বলা যাবে না। তবে ডাক্তারদের চেম্বারে আসা বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত তরুণদের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগেরই কোন শারীরিক সমস্যা নেই।

এছাড়া শতকরা যে ২০ ভাগের কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা অন্ততঃ ৫ ভাগের যৌন সমস্যা (ইম্পোর্টেন্স) রয়েছে। এ তথ্য আন্তর্জাতিক গবেষণা তথ্যের সঙ্গে সঙ্গাতিপূর্ণ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমাদের দেশের তরুণরা অধিক সুঠাম ও সক্ষম। তবুও তরুণদের বিয়ে ভীতি কেন। এসব তরুণদের কাছে চেম্বারে আমি পাঁচটি প্রশ্ন করে থাকি। কেমন করে তারা বুঝতে পেয়েছে তারা ফুরিয়ে গেছে বা শারীরিক যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এই ধারণার পিছনে কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে কি? শারীরিক শক্তি ফিরিয়ে কোন ওষুধ সেবন করেছে কি, ইত্যাদি ইত্যাদি।

তরুণ- যুবকদের বিচিত্র সব জবাব, অভিজ্ঞতা, এসব তুলে ধরার কোন ইচ্ছা আমার নেই। এছাড়া রোগীর গোপন তথ্য প্রকাশ মেডিক্যাল এথিকস অবমাননার পর্যায়ে পড়ে। তাই এসব নিয়ে দীর্ঘ বর্ণনার কোন ইচ্ছে নেই। তবে এ কথাটি সত্য, তরুণদের বিয়ে ভীতির কারণের পিছনে যেমন অজ্ঞতা, মানসিক সমস্যা এবং তরুণদের একটি বড় অংশের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেতিবাচক হওয়ায় (যার শতকরা ৯৯ ভাগ বিয়ের পর ঠিক হয়ে যায়) বিভ্রান্তি বাড়ছে। পাশাপাশি একশ্রেণীর তথা কথিত যৌন সমস্যা চিকিৎসক নাম ধারীদের অজ্ঞতা এবং ভুল চিকিৎসার কারণে তরুণদের যৌন ভীতি বেড়ে যাচ্ছে।

বিয়ে করেনি এমনসব তরুণদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেক্স স্টিমুল্যান্ট ট্যাবলেট দেয়া হয়। ফলে এসব তরুণরা মনে করে তাদের নিশ্চয়ই যৌন সমস্যা রয়েছে। এতে তরুণদের সাময়িক শারীরিক ফিটনেস বাড়লেও দীর্ঘ মেয়াদি মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে।

এমনকি একাধিক তরুণ অকপটে শিকার করেছেন ডাক্তারের দেয়া যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। এসব বিয়ে ভীতি বা যৌন ভীতিতে আক্রান্তদের বেশির ভাগের প্রায় একই মন্তব্য যতদিন ট্যাবলেট সেবন করেন ততদিন ভালো থাকেন। ওষুধ সেবন শেষ তো সবশেষ।

অথচ এসব তরুণের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগই শারীরিক ভাবে সুস্থ এবং কেবলমাত্র যথাযথ কাউন্সিলিং করতে পারলে কোন প্রকার যৌন উত্তেজক ওষুধ ছাড়াই তরুণদের বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব।

বাংলাদেশী রোগীদের শারীরিক বা যৌন সমস্যার চেয়ে মানসিক সমস্যাই বেশি। থাক এসব কথা। তরুণদের বিয়ে ভীতি আসলে মোটেও শারীরিক সমস্যার কারণে হয় না।

যৌবনে অধিকাংশ পুরুষই কিছু অনাকাঙ্খিত অভ্যাসের শিকার হয়। এর জন্য শরীরের যৌন শক্তি শেষ হয়ে যাবে এটা নিতান্তই ভুল ধারণা। শরীরে যৌন শক্তি নামে আলাদা কোন শক্তি নেই। শারীরিক সুস্থতা, সুঠাম দেহ, মানসিক প্রশান্তি থাকলে এবং পরস্পরের সুন্দর সম্পর্কও সমঝোতা থাকলে প্রাত্যহিক জীবনের অন্য সব কাজের মত দাম্পত্য জীবনও সুখের হতে পারে।

তাই বিয়ে ভীতির কারণে তরুণদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করা উচিত নয়। এছাড়া এজন্য অযথা ডাক্তারের চেম্বারে যাবারও কোন দরকার নেই।

তবে বিয়ের পর যদি কোন শারীরিক সমস্যা থাকে এবং এ কারণে স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশংকা তৈরি হয় তখন যেকোন সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। যদি ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে তা আবশ্যই চিকিৎসায় ভালো হয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা-ওষুধ ছাড়াই কাউন্সিলিং তরুণদের বিয়ে ভীতি দূর এবং বিবাহ পরবর্তী জীবন সুন্দর হতে পারে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Thursday, February 19, 2015

নখ ভাঙা রোধ করার ৭টি উপায়!

শখ করে একটু বড় করেছিলেন সাধের নখটা। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করেই ভেঙ্গে গেলো। একটা নখ ভেঙ্গে যাওয়া মানে হাতের বাকি ৪ আঙ্গুলের নখও কেটে ফেলতে হবে। ইশ, নখটা যদি একটু শক্ত হতো!


চাইলে খুব সহজেই নখ শক্ত করা যায়। নখে পর্যাপ্ত পুষ্টির যোগান দিলে এবং একটু যত্ন করলেই পাওয়া সম্ভব কাঙ্খিত শক্ত লম্বা নখ।

আসুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে নখ ভাঙ্গার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভবঃ

অলিভ অয়েল তেল এবং লেবু:- অলিভ অয়েল তেলকে হালকা গরম করে নিন তারপর নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন ৫-১০ মিনিট। এতে আপনার নখ গুলো চকচকে হবে এবং এভাবে নিয়মিত করলে নখগুলো শক্তও হয়ে যাবে। নখ ভাঙ্গা রোধ করতে এবং নখ শক্ত করতে লেবুর বিকল্প নেই । ৩ চা চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নখে লাগান। এটি নখকে শক্ত করার সাথে সাথে নখের হলদে ভাব দূর
করে।

গ্লাভস পরুন:- রান্না-বান্না, তরকারী কাটা কিংবা হাঁড়ি পাতিল ধোয়া যাই করুন না কেন অবশ্যই গ্লাভস পরে নিবেন। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেয়া উচিত। এতে হাতে ময়লা লাগে না এবং নখে চাপ পরে না। তাছাড়া গ্লাভস পরে নিলে বারে বারে ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট ও ডিশ ওয়াসার লাগে না। ফলে নখ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

ময়শ্চারাইজ:- যখনই সময় পাবেন নখে পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।

অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার বন্ধ করুন:- সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দিন। এতে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

নিয়মিত নখ কাটুন:- নির্দিষ্ট সময় পর পর সামান্য পরিমাণে হলেও নখ ছোট করুন। নখের কোণা ধারালো হয়ে গেলে নেইল ফাইলার দিয়ে ফাইল করে নিন। নিয়মিত নখ কিছুটা ছোট করে নিলে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ভাঙ্গার প্রবণতা কিছুটা কমে যায়।

দাঁত দিয়ে নখ কামড়াবেন না:- দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর অভ্যাস থাকতে আজই ত্যাগ করুন। কারণ সব সময় দাঁত দিয়ে নখ কাটলে নখ দূর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়। তাই নখ ভাঙ্গা রোধ করতে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।

ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খান:- প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, সি, ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে।

খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন নিয়মিত। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।

লবণ পানিতে নখ ভেজান:- সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা গরম পানিতে লবন মিশিয়ে নিয়ে আপনার নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ২০ মিনিট। এরপর ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন। সব শেষে শুকনো করে মুছে নিয়ে গ্লিসারিন বা ভেসলিন ম্যাসাজ করে নিন।

এক সপ্তাহ পর পর একবার এভাবে লবণ পানিতে নখ ধুয়ে নিলে নখের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং নখের ভঙ্গুরতা কমে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Friday, February 13, 2015

মোবাইল পকেটে রেখে যে ক্ষতির মুখে পুরুষরা!

মোবাইল পকেটে রেখে যে ক্ষতির মুখে পুরুষরা সাধারণত আমরা অধিকাংশ পুরুষ আমাদের সেল ফোনটি প্যান্টের পকেটে রেখেই চলা ফেরা করে থাকি। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় বলেছে, যেসব পুরুষ সাধারণত তাদের প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখেন তাদের প্রজননের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যুক্তরাজ্যের এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তাদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য পেয়েছেন।


মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্ষতির বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানতে এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োসায়েন্সের গবেষক ফিয়োনা ম্যাথিউসের নেতৃত্বে একদল গবেষক ১০টি গবেষণার বিষয়ে বিস্তারিত রিভিউ করেন এবং এক হাজার ৪৯২টি নমুনা পর্যবেক্ষণ করেন।
  
গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধটি প্রকাশিত হয় এনভায়রনমেন্টাল ইন্টারন্যাশনালসাময়িকীতে। গবেষণার বিষয়ে গবেষক ম্যাথিউস বলেন, সারা বিশ্বে প্রচুর মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবেশে এর উন্মুক্ত ব্যবহারে সম্ভাব্য ভূমিকাগুলো আরও পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। মোবাইল ফোনে সাধারণত যে উচ্চ তরঙ্গ ব্যবহার হয় তা মানুষের শরীরের জন্য এবং স্পর্শকারর অঙ্গের জন্য ক্ষতিকর।

ম্যাথিউস স্বীকার করেছেন, তারা যে গবেষণা করেছেন তাতে দেখা গেছে মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন শুক্রাণুর গুণগত মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিকলাঙ্গ হওয়া থেকে শুরু করে নানান শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে। এটি সত্যি উদ্বেগ জনক।

এর আগে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক প্রসূতি ও ধাত্রীবিদ্যা বিষয়ক গবেষক নন্দিতা পালসহেটকার বলেছিলেন, মুঠোফোন থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সির ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন নির্গত হয়। এতে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পুরুষের প্রজননতন্ত্রেরও। এ ধরনের ক্ষতিকর তরঙ্গ শুক্রাণুর ওপর প্রভাব ফেলে এবং শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে।


মোবাইল ফোনের তরঙ্গে শুক্রাণুর ক্ষতি বিষয়ক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরাও এ ধরনের তথ্য পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমরা পারমাণবিক রেডিয়েশনের কথা বলছি, তবে মোবাইলের ব্যবহার এখন যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে মোবাইল ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে আমাদের শারীরিক ক্ষতির বিষয়ে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Monday, February 9, 2015

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ভেষজ গুণ!

মানবদেহের জন্য যে ২২টা এমিনো এসিড প্রয়োজন তার ৮টি বিদ্যমান রয়েছে এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর মধ্যে।এছাড়াও ভিটামিন-A, C, E, Folic Acid, Choline, B1, B2, B3 (Niacin), B6, B12 রয়েছে।


এই ঘৃতকুমারীতে আরও রয়ছে ২০ রকমের খনিজ রয়েছে যথাঃ Calcium, Magnesium, Zinc, Chromium, Selenium, Iron, Sodium, Potassium, Copper, Manganese ইত্যাদি।

এলোভেরা/ ঘৃতকুমারীর উপকারীতাঃ

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ব্যবহার্য অংশ পাতা এবং পাতার শাঁস। 

★  ওজন কমাতে এলভেরাঃ এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর পাতার ভেতরের শাঁস পানির সাথে ভাল ভাবে নিশিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।
★  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়কঃ এলোভেরার জুস ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে, তাই ডায়বেটিক রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
★  পরিপাক তন্ত্রের সুস্থতাঃ পনিয়মিত এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর রস পানে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাছাড়া ডায়েরিয়া সারাতেও ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে।
★  ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে এবং শক্তিবর্ধকঃ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু উপাদান থাকে যা দেহে ক্লান্তি দুর করে ও শান্তি আনে। কিন্তু নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস সেবন শরীরের শক্তি যোগান সহ ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
★  রোগ প্রতিরোধকঃ যারা দীর্ঘকাল ফিব্রোমিয়ালজিয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল (WBC) গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
★  শরীরের দুষিত পদার্থ অপসারনেঃ দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণে ঘৃতকুমারীর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চাপে থাকি। এছাড়া চারপাশের দূষিত পরিবেশ এবং বিভিন্ন ফাস্ট ফুড গ্রহণের কারণে নিয়মিত পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করা দরকার। ঘৃতকুমারীর রস সেবনের ফলে শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের মিশ্রণ ও খনিজ পদার্থ তৈরি হয় যা আমাদেরকে চাপমুক্ত রাখতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
★  শরিরের ব্যথা ও প্রদাহ দূর করেঃ ঘৃতকুমারীর রস হাড়ের সন্ধিকে সহজ করে এবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া হাড় ও মাংশপেশির জোড়া গুলোকে শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ প্রশমনেও কাজ করে।
★  চর্ম রোগেঃ একজিমা ঘৃতকুমারী শাঁস প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক সপ্তাহ লাগালে চুলকানি খেকে আরাম পাওয়া যায়৷
★  কোন জায়গা যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে টাটকা পাতার শাঁস ঐ জায়গায় লাগলে চট্ জলদি আরাম পাওয়া যায়৷ ফলে ফোসকা পড়ে না এবং চামড়ার দাগ হয় না৷
★  ঘৃতকুমারী পাতার রস বিষাক্ত উপাদানের প্রতি বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে । এ জন্য চেহারা মেচেতার ওপর কিছু ঘৃতকুমারী পাতার রস রেখে দেয়, চেহারার ত্বক নরম হবে এবং কিছু ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় না । যদি আপনার মুখের মেচেতা খুব গুরুতর, তাহলে ঘৃতকুমারী পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান, প্রতিদিন দু’বার, প্রত্যেকবার ১০ মিলিলিটার, কার্যকরভাবে মেচেতা প্রতিরোধ করা যায়।
★  কোমরে ব্যথা হলে শাঁস অল্প একটু গরম করে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
★  ঘৃতকুমারীর একটি পাতা, মধু এ একটি ছোট শসা ছোট করে মিশিয়ে মাস্ক করে এবং মেচেতার ওপর রেখে দেন, চামড়ার ফুস্কুড়িও প্রতিরোধ করতে পারে।
★  এলোভেরার রস ব্রলের দাগ সারাতে খুবই উপকারী ভুমিকা রাখে। এ্যালোভেরা, বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রীতে ব্যবহার করা হয়। এর কাজ হচ্ছে ত্বকের লাবন্যতা ধরে রাখা ও চুলের পুষ্টি যোগান দেওয়া। 

এছাড়া গরমে প্রশান্তি দেয়া, প্লীহা, যকৃত, কৃমি, বাত সহ বহু রোগ ও খুধামন্দা, বদহজম এবং বারতি মেদ দুর করতে এর তুলনা নেই।

আশা করি এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গুনাগুন জেনে আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]