Monday, February 9, 2015

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ভেষজ গুণ!

মানবদেহের জন্য যে ২২টা এমিনো এসিড প্রয়োজন তার ৮টি বিদ্যমান রয়েছে এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর মধ্যে।এছাড়াও ভিটামিন-A, C, E, Folic Acid, Choline, B1, B2, B3 (Niacin), B6, B12 রয়েছে।


এই ঘৃতকুমারীতে আরও রয়ছে ২০ রকমের খনিজ রয়েছে যথাঃ Calcium, Magnesium, Zinc, Chromium, Selenium, Iron, Sodium, Potassium, Copper, Manganese ইত্যাদি।

এলোভেরা/ ঘৃতকুমারীর উপকারীতাঃ

এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ব্যবহার্য অংশ পাতা এবং পাতার শাঁস। 

★  ওজন কমাতে এলভেরাঃ এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর পাতার ভেতরের শাঁস পানির সাথে ভাল ভাবে নিশিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।
★  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়কঃ এলোভেরার জুস ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে, তাই ডায়বেটিক রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
★  পরিপাক তন্ত্রের সুস্থতাঃ পনিয়মিত এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর রস পানে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ হয়। ফলে দেহের পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাছাড়া ডায়েরিয়া সারাতেও ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে।
★  ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে এবং শক্তিবর্ধকঃ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু উপাদান থাকে যা দেহে ক্লান্তি দুর করে ও শান্তি আনে। কিন্তু নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস সেবন শরীরের শক্তি যোগান সহ ওজনকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
★  রোগ প্রতিরোধকঃ যারা দীর্ঘকাল ফিব্রোমিয়ালজিয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ঘৃতকুমারীর রস দারুণ কাজ করে। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল (WBC) গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
★  শরীরের দুষিত পদার্থ অপসারনেঃ দেহ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ অপসারণে ঘৃতকুমারীর রস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চাপে থাকি। এছাড়া চারপাশের দূষিত পরিবেশ এবং বিভিন্ন ফাস্ট ফুড গ্রহণের কারণে নিয়মিত পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করা দরকার। ঘৃতকুমারীর রস সেবনের ফলে শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের মিশ্রণ ও খনিজ পদার্থ তৈরি হয় যা আমাদেরকে চাপমুক্ত রাখতে এবং শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
★  শরিরের ব্যথা ও প্রদাহ দূর করেঃ ঘৃতকুমারীর রস হাড়ের সন্ধিকে সহজ করে এবং দেহে নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া হাড় ও মাংশপেশির জোড়া গুলোকে শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ প্রশমনেও কাজ করে।
★  চর্ম রোগেঃ একজিমা ঘৃতকুমারী শাঁস প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক সপ্তাহ লাগালে চুলকানি খেকে আরাম পাওয়া যায়৷
★  কোন জায়গা যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে টাটকা পাতার শাঁস ঐ জায়গায় লাগলে চট্ জলদি আরাম পাওয়া যায়৷ ফলে ফোসকা পড়ে না এবং চামড়ার দাগ হয় না৷
★  ঘৃতকুমারী পাতার রস বিষাক্ত উপাদানের প্রতি বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে । এ জন্য চেহারা মেচেতার ওপর কিছু ঘৃতকুমারী পাতার রস রেখে দেয়, চেহারার ত্বক নরম হবে এবং কিছু ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় না । যদি আপনার মুখের মেচেতা খুব গুরুতর, তাহলে ঘৃতকুমারী পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান, প্রতিদিন দু’বার, প্রত্যেকবার ১০ মিলিলিটার, কার্যকরভাবে মেচেতা প্রতিরোধ করা যায়।
★  কোমরে ব্যথা হলে শাঁস অল্প একটু গরম করে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
★  ঘৃতকুমারীর একটি পাতা, মধু এ একটি ছোট শসা ছোট করে মিশিয়ে মাস্ক করে এবং মেচেতার ওপর রেখে দেন, চামড়ার ফুস্কুড়িও প্রতিরোধ করতে পারে।
★  এলোভেরার রস ব্রলের দাগ সারাতে খুবই উপকারী ভুমিকা রাখে। এ্যালোভেরা, বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রীতে ব্যবহার করা হয়। এর কাজ হচ্ছে ত্বকের লাবন্যতা ধরে রাখা ও চুলের পুষ্টি যোগান দেওয়া। 

এছাড়া গরমে প্রশান্তি দেয়া, প্লীহা, যকৃত, কৃমি, বাত সহ বহু রোগ ও খুধামন্দা, বদহজম এবং বারতি মেদ দুর করতে এর তুলনা নেই।

আশা করি এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গুনাগুন জেনে আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

0 comments:

Post a Comment