Tuesday, August 21, 2018

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ও আমাদের সকলের করণীয়…

:) ঈদ-উল-আযহার দিন ১৩টা সুন্নত কাজ রয়েছেঃ-

১* ভোরে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা ।
২* মেসওয়াক করা ।
৩* গোছল করা ।
৪* যথা-সাধ্য উত্তম পোষাক পরা।
৫* শরী’আত সম্মতভাবে সাজ-সজ্জা করা ।
৬* সুগন্ধি বা খুশবু লাগানো ।
৭* ঈদ গাহে যাবার আগে কিছু না খাওয়া।
৮* আগে আগে ঈদগাহে যাওয়া।
৯* ঈদগাহেই ঈদের নামায পড়া।
১০* পায়ে হেটে ঈদগাহে যাওয়া।
১১* যাবার সময় তাকবীর জোরে জোরে বলতে বলতে যাওয়া ।
“ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লালাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল হ্বামদ”
১২* এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া, অন্য রাস্তা দিয়ে প্রত্যাবর্তন করা।
১৩* ঈদুল ফিতরের তুলনায় আযহার নামায সকাল সকাল পড়া।

** যেখানে ঈদের নামায আদায় হবে সেখানে আগে পরে নফল নামায পরা ঠিক না।


:) কোরবানীর পশু জবেহ করা প্রসংগেঃ

• নিজ পশু নিজেই জবেহ করা উত্তম। না পারলে জবেহের সময় সামনে থাকা।
• পশুকে কিবলামুখী করে শুইয়ে জবেহ করা, জবাই কারীও কিবলাহ মুখী হওয়া।
• ধারালো ছুরি দ্বারা জবাই করা।
• জবাই করার পর পশুটি সম্পুর্ণ নিস্তেজ হওয়ার পর বাকী কাজ শুরু করা, আগে না।
• জবাই করার পুর্বে পানি খাওয়ানো বেশী পরিমাণে, প্রাণীকে ক্ষুধার্থ রাখা জুলুম।
• ঈদের নামাযের পুর্বে কোরবানী না করা।
• গোশত দিয়ে কোন পারিশ্রমিক দেয়া যায়েয নেই।
• গোশত তিন ভাগ করে ১. নিজে ২. আত্বীয়-স্বজন ৩. গরীব-মিসকীন দের দেয়া উত্তম।


:) পরিবেশগত সতর্কতাঃ
• আমাদের পরিবেশ ও চার-পাশ আমাদের পরিষ্কার রাখাই দায়িত্ব।
• অন্যের চলাচলে কষ্ট যাতে না হয় খেয়াল রাখা।
• জবেহ করার আগেই মাথার কাছে গর্ত করে নেওয়া, যাতে রক্ত ওখানে গরিয়ে যায়।
• সকল বজ্র ঐ গর্তে ফেলতে হবে, যাতে দুর্ঘন্ধ না ছড়ায়। আমার পশুর কোরবানীর বজ্রে যাতে অন্য কারো কষ্ট না হয়।
• ছুরি-চাপাতি ব্যবহারে সতর্ক হোন। বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন।
• চামড়া কাটতে দক্ষ ব্যক্তির সাহায্য নিন, অন্যথায় চামড়ার গুনগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
• ছুরি-চাকু জীবানু মুক্ত করে নিন।
• গোশত কাটতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন।

0 comments:

Post a Comment