Wednesday, June 25, 2014

ডায়বেটিস নিয়ে কিছু কথা!

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত একটি রোগের নাম – ডায়বেটিস। ডায়বেটিস হলো রক্তের উচ্চ গ্লুকোজ জনিত স্বাস্থ্য সমস্যা। তেল ছাড়া রেলগাড়ি নামের যন্ত্রটি চলে না। মানবদেহ এক ধরনের যন্ত্র। আর এই যন্ত্রের তেল হচ্ছে গ্লুকোজ নামের একটি পদার্থ। রেলগাড়ির তেল জ্বালাতে যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন, তেমনি আমাদের দেহের গ্লুকোজকে কাজে লাগাতে হলে ইনসুলিন নামের একটি পদার্থের প্রয়োজন। ইনসুলিনের কাজ হলো রক্ত থেকে গ্লুকোজের কণাগুলোকে টেনে এনে দেহের কোষে দেওয়া। এই ইনসুলিন তৈরি হয় অগ্ন্যাশয় থেকে। যখন অগ্ন্যাশয় যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা তৈরি হওয়া ইনসুলিন দেহ ঠিকমত ব্যবহার করতে না পারে তখনই রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর এর ফলে দেহে তৈরি হয় নানা অসামঞ্জস্য। এর নাম ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ।



ডায়াবেটিস রোগী যে খাদ্য গ্রহন করছে তা থেকে তৈরি হচ্ছে গ্লুকোজ। আর এই গ্লুকোজের সবটুকু তার দেহে ব্যবহার হচ্ছে না, অর্থাৎ তার রক্তে মিশে থাকছে অতিরিক্ত গ্লুকোজ । এতে করে তার রক্ত হয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘন। এই ঘন রক্ত চিকন চিকন রক্তনালীর মধ্য দিয়ে চলাচল করতে বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এবং তা আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিচ্ছে রক্ত চলাচলের পথ। আর যে পথে রক্ত পৌঁছাবে না সে পথে কোনো অক্সিজেনও পৌঁছায় না। ফলে অক্সিজেনের অভাবে শরীরের ভিতরকার কোষ বাঁচতে পারে না। তার মানে কতগুলো টিস্যুর নির্ঘাৎ মৃত্যু। এমন করে অঙ্গহানির পথে এগোবে শরীর যন্ত্র। অতিরিক্ত গ্লুকোজ মেশা ঘন রক্ত ছাকতে গিয়ে ধীরে ধীরে কিডনি বিকল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, একে একে সব অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু ঘনিয়ে আসবে অসম্ভব দ্রুতগতিতে।

ডায়বেটিস যে শুধু বয়স্ক ব্যাক্তিদের হয় তা নয়। শিশুদেরও হতে পারে ডায়বেটিস।ইদানীংকালে শারীরিক কর্মকাণ্ড (খেলাধুলা, ব্যায়াম ইত্যাদি) কমে যাওয়ার কারণে অনেক অল্পবয়সী শিশু-কিশোরদেরও ডায়বেটিস হচ্ছে। সুষম খাদ্য এবং ব্যায়াম চর্চার অভাবে ডায়বেটিস এ আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে ১৫ হাজারের বেশি শিশু ডায়বেটিস বা বহুমুত্র রোগে ভুগছে। ডায়বেটিসে আক্রান্ত একজন বয়সী ব্যক্তির মধ্যে যে ধরণের উপসর্গ দেখা দেয় তার সবই শিশুরোগীদের মধ্যেও দেখা দেয়।

ডায়বেটিস এর প্রকারভেদঃ
ডায়বেটিস ২ রকম।


টাইপ ১ ডায়বেটিসঃ 

খুব দ্রুত উপসর্গ দেখায় এবং খুব দ্রুত ডেভেলপ করে, সাধারণত সপ্তাহ দুই-তিনেকের মধ্যে। উপসর্গগুলো তাড়াতাড়ি চলেও যায় যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়।
টাইপ ২ ডায়বেটিসঃ 

খুব ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধে, কয়েক বছর ধরে। কেবলমাত্র নিয়মিত মেডিক্যাল চেকআপ করানোর মাধ্যমেই তা ধরা পড়া সম্ভব। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখলে উপসর্গগুলো দূর করা সম্ভব।

উপসর্গঃ
প্রধান উপসর্গসমূহের মধ্যে যেগুলো সাধারণত দেখা যায়ঃ
- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া, বিশেষ করে রাতে।
- ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া।
- খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া।
- হঠাৎ করে দ্রুতহারে ওজন হ্রাস পাওয়া।
- শরীরের কোথাও কেটে ছিড়ে গেলে, খুব আস্তে ধীরে ক্ষত শুকানো।
- ঝাপসা দৃষ্টি।

আমাদের দেশেও প্রচুর ডায়বেটিস রোগী রয়েছে এবং দিন দিন তা বাড়ছে। আমাদের চারপাশে তাকালেই অনেক রোগী দেখতে পাই। যদিও রোগটি ব্যপক হারে বাড়ছে, কিন্তু এর প্রতি মানুষের সচেতনতা তেমন নেই বললেই চলে। অনেকে এই রোগ নিয়ে না জেনেই দিন পার করছেন এবং শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটাচ্ছেন। যদিও রোগটি সারাজীবনের তবুও একে নিয়ন্ত্রন করে সুস্থ্য সবল ভাবে বেঁচে থাকা যায় অনায়াসে। 


এই রোগ নিয়ে সকলের মনেই নানা প্রশ্ন আছে। আসুন আজ সেইসব প্রশ্নেরই উত্তর খুজি

প্রশ্নঃ ১ – কখন ডায়বেটিসের জন্য টেস্ট বা পরীক্ষা করানো উচিত? 

উত্তরঃ – যদি আপনার বার বার প্রস্রাব পায়, রাতে বেশ কয়েকবার উঠতে হয় প্রস্রাব করতে, হঠাত ওজন কমতে থাকে, হঠাৎ খিদে বেড়ে যায়, হাত-পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরে, বারবার নানা ধরনের ইনফেকশন হয়, কেটে গেলে ক্ষত না শুকোয়-এমন লক্ষন দেখা দিলে অবশ্যই ডায়বেটিস রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। এ ছাড়াও মোটা মানুষদের নিয়মিত ডায়বেটিসের পরীক্ষা করানো দরকার। পাশাপাশি বাবা-মা, ভাই-বোন অথবা পরিবারের রক্তের সম্পর্ক আছে এমন কারও যদি ডায়বেটিস থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই এই টেস্ট করানো উচিত। ৪৫ বছর বয়সের পর থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি তিন বছর অন্তর ডায়বেটিসের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

প্রশ্নঃ ২ – ফাস্টিং এবং পি পি সুগার কীভাবে টেস্ট করা উচিত? 

উত্তরঃ – ফাস্টিং সুগার টেস্ট করতে গেলে অন্তত ৮ ঘণ্টা কোনওরকম ক্যালরি নেওয়া চলবে না। তবে, শুধু পানি খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে পি পি সুগারের ক্ষেত্রে দিনের মেজর বা প্রধান মিলের পর টেস্ট করাতে হবে। যদি সকালে ভারী নাশতা করে দুপুরে হালকে টিফিন করার অভ্যাস থাকে, তাহলে নাশতার ২ ঘণ্টা পরে যে সুগার টেস্ট করা হবে, সেটাই পি পি সুগার। আর, যদি সকালে হালকা টিফিন করে দুপুরে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে তার ২ ঘণ্টা পরের টেস্টটা হবে পি পি সুগার। যদি ফাস্টিং সুগার টেস্ট বা খালি পেটে সুগারের পরিমাণ ৭ মিলি.মোল/লিটার এর বেশি থাকে এবং পি পি সুগার বা ভরা পেটে সুগারের পরিমাণ ১১.১ মিলি.মোল/লিটার এর বেশি থাকে, তাহলে আমরা ধরে নিই যে রোগীটি ডায়বেটিস মেলিটাস হয়েছে। এর পর থেকেই তাকে চিকিৎসার আওতায় চলে আসা উচিত।

প্রশ্নঃ ৩ – ডায়বেটিস থেকে কী কী জটিলতা শরীরে দেখা দিতে পারে? 

উত্তরঃ – সারা বিশ্বে কিডনি ফেলিওরের প্রধান কারণটাই হল ডায়বেটিস মেলিটাস। এমনকী আমাদের দেশে অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হল ডায়বেটিসের জন্য চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাওয়া। সুগারের জন্য শরীরের স্নায়ু, শিরা, ধমনী, প্রতিটি প্রত্যঙ্গেরই সমস্যা শুরু হয়। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেনের স্ট্রোক, নিউরোপ্যাথি-এই সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ ৪ – ডায়বেটিসের চিকিত্সা চলাকালীন কতদিন অন্তর রক্তপরীক্ষা করাতে হয়? 

উত্তরঃ – এখানে দিন বলে কোনও ব্যাপার নেই। ডায়বেটিসের বেশ কিছু কমপ্লিকেশনে অনেকসময় আমরা দিনে ৪-৫ বার পর্যন্ত টেস্ট করি। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনে বার দুয়েক টেস্ট করলেই চলে। যেটাকে আমরা ফাস্টিং এবং পি পি সুগার টেস্ট বলি। কতদিন পর পর টেস্ট করতে লাগবে, তা রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। কখনও ২-৩ দিন অন্তর, কখনও বা আবার ২-৩ মাস অন্তর পরীক্ষা করাতে লাগে।

প্রশ্নঃ ৫ – ডায়বেটিস বা সুগারের রোগ ধরলে সেটা কি কোনওদিন সারে? 

উত্তরঃ – এই প্রশ্নের জবাব সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’তে ঠিকঠাক দেওয়া যায় না। কারণ, এমন অনেক মোটা মানুষ রয়েছেন যাঁদের ডায়বেটিস ধরেছে, তাঁরা যদি ঠিকঠাক নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে নিজেদের আদর্শ দৈহিক ওজনের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেন বা ৭-১০% ওজন কমাতে পারেন, তাহলে দেখা গেছে বেশ কিছু মানুষের ওষুধ বন্ধ করা গেছে।

প্রশ্নঃ ৬ – ডায়বেটিস হলে কি একজন মানুষের পছন্দের সব খাবার বন্ধ করে দিতে হয়? 

উত্তরঃ – না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। একজন সাধারণ মানুষের হেলদি ডায়েট বলতে যা বোঝায়, বেশিরভাগ ডায়বেটিস রোগীর ক্ষেত্রে সেটা খেলেই চলে। আমরা যেটা হিসেব করে দিই, তা হল প্রতিটি রোগীর বয়স, ওজন এবং সারাদিনে কী ধরনের দৈহিক কাজকর্ম করতে হয়, তার ওপর ভিত্তি করে গড়া।

প্রশ্নঃ ৭ – ডায়বেটিস হলে মিষ্টি, আলু, ভাত সবই খাওয়া চলে? 

উত্তরঃ – হ্যাঁ। আমরা হিসেব করে টোটাল ক্যালোরি ইনটেকের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা দিতে পারি। এর মানে এই নয় যে, মিষ্টি, আলু, ভাত এইসব খাওয়া যাবে না। ন’মাসে-ছ’মাসে এক আধটা মিষ্টি খাওয়াই যায়, যদি রোগীর ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। আমরা সাধারণত ‘ব্ল্যাঙ্ক ক্যালরি’ বা খুব তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয় এমন ধরনের খাবার খেতে নিষেধ করি। যেমন-চিনি, কোল্ড ড্রিঙ্কস, চকোলেট ইত্যাদি। কারণ, এগুলো চট করে ক্যালরি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু, যদি কেউ একটা মিষ্টি খেয়ে সারাদিন সেই পরিমান ক্যালরি পরিশ্রম করে ঝরিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে ন’মালে-ছ’মাসে একটা মিষ্টি খাওয়া যেতেই পারে।

প্রশ্নঃ ৮ – ডায়বেটিস থেকে কী কী জটিলতা শরীরে দেখা দিতে পারে? 

উত্তরঃ – সারা বিশ্বে কিডনি ফেলিওরের প্রধান কারণটাই হল ডায়বেটিস মেলিটাস। এমনকী আমাদের দেশে অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হল ডায়বেটিসের জন্য চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাওয়া। সুগারের জন্য শরীরের স্নায়ু, শিরা, ধমনী, প্রতিটি প্রত্যঙ্গেরই সমস্যা শুরু হয়। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেনের স্ট্রোক, নিউরোপ্যাথি-এই সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ডায়বেটিস প্রতিরোধে আমাদের করনীয় কিঃ

ডায়বেটিস হবার সম্ভবনা কাদের বেশীঃ
যাদের বংশে ডায়বেটিস রোগ আছে তাদের টাইপ ১ ডায়বেটিস হবার সম্ভবনা বেশী। এছাড়া টাইপ ২ ডায়বেটিস হবার সম্ভবনা বেশী হয় বয়সের সাথে – বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডায়বেটিসের সম্ভবনা বেশী হয়।
 
এশিয়ান এবং আফ্রিকানদের ডায়বেটিসের সম্ভবনা বেশী। 
একজন মা যখন বেশী ওজনের সন্তান গর্ভে ধারন করেন তখন তার ডায়বেটিসের
সম্ভবনা বেশী

ওজন বেশী যেমন পুরুষের কোমড়ের মাপ ৩৫ ইন্চির বেশী এবং মহিলাদের ৪০ ইন্চির
বেশী হলে ডায়বেটিসের সম্ভবনা বেশী দেখা যায়।
 
অলস জীবনযাপন করলে ডায়বেটিসের সম্ভবনা বেশী থাকে।


প্রতিরোধঃ 
কিছু কিছু নিয়ম পালন করলে ডায়বেটিস থেকে সাবধানে থাকা যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র কয়েকটি সহজ উপায় চর্চা করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো যায় ৮০ শতাংশ।স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড (বার্গার, স্যান্ডউইচ, পিজা, শর্মা, চিপস, ফ্রেঞ্চফ্রাইজ ইত্যাদি), কোমল পানীয় এবং চকলেটসহ যেকোনো মিষ্টি খাবারেই ডায়বেটিসের ঝুঁকি বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এগুলো থেকে আপনার সন্তানকে দূরে রাখুন এবং তাদের এসব খেতে নিরুৎসাহিত করুন, সহজ ভাষায় এর অপকারিতা বর্ণনা করুন। ঘরের খাবার খাওয়ার অভ্যেস করুন। এবং প্রতিদিনের খাবারের চার্টে প্রচুর ফল ও শাকসবজি রাখুন। প্রতিদিন নির্দ্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

নিজে নিয়ম করে দিনে অন্তত ২০ মিনিট ব্যায়াম করুন, সাথে আপনার সন্তানকেও বলুন আপনার সাথে যোগ দিতে। আপনার উৎসাহই পারে তাদের সুস্থ রাখতে। 
স্বাভাবিক দেহ ওজন বজায় রাখা (বি এম আই ১৮.৫- ২৪.৯ এর মধ্যে রাখা)। স্বাভাবিক ওজনের পুরুষের ৭০ শতাংশ ঝুকি কম থাকে এবং স্বাভাবিক ওজনের নারীদের ডায়াবেটিস হওয়ার অশঙ্কা ৭৮ শতাংশ কম। 
ধূমপান করে থাকলে বর্জন করুন এবং মদ্যপান পরিহার করুন। 
বাসায় একটি ডায়বেটিস পরিমাপের যন্ত্র কিনে নিতে পারেন, যাকে ইংরেজিতে বলে গ্লুকোমিটার। ইদানীং বাজারে সস্তায় এগুলো পাওয়া যায়। নিয়ম করে, মাসে অন্তত একবার পরিবারের সবার ডায়বেটিস পরীক্ষা করুন।

অনেক ডায়বেটিস রোগীকেই দেখা যায় নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন নিতে। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে অবশ্যই ইনসুলিন নেবেন না! পুণরায় বলছি, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে অবশ্যই ইনসুলিন নেবেন না! যাদের ইতোমধ্যে ডায়বেটিস আছে, এবং যারা প্রেস্ক্রাইবড ইনসুলিন নিচ্ছেন, তারা দীর্ঘসময় ধরে খালি পেটে থাকবেন না। এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজ খুব বেশি কমে যাওয়া) হয়ে যেতে পারে যার ফলাফল খুব একটা সুখকর নয়। 


এই গাইড লাইন গুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ বেশ ফলপ্রসূ হয়। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন, সুস্থ থাকুন। 
[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

0 comments:

Post a Comment